এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মহাভারতের যুগের স্থাপত্য বিষয়ে

    nk
    অন্যান্য | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ | ১১৮০৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • maximin | 59.93.216.197 | ০৩ জানুয়ারি ২০১২ ১৭:০৫505279
  • "রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে ভারতবর্ষকে দীন বলিয়া জানিয়াও অন্য বিশেষ দিক হইতে সে দীনতাকে তুচ্ছ করিতে পারা যায়। ভারতবর্ষের সেই নিজের দিক হইতে ভারতবর্ষকে না দেখিয়া আমরা শিশুকাল হইতে তাহাকে খর্ব করিতেছি ও নিজে খর্ব হইতেছি। ইংরাজের ছেলে জানে, তাহার বাপ-পিতামহ অনেক যুদ্ধজয় দেশ-অধিকার ও বাণিজ্যব্যবসায় করিয়াছে; সেও নিজেকে রণগৌরব ধনগৌরব রাজ্যগৌরবের অধিকারী করিতে চায়। আমরা জানি, আমাদের পিতামহগণ দেশ-অধিকার ও বাণিজ্যবিস্তার করেন নাই–এইটে জানাইবার জন্যই ভারতবর্ষের ইতিহাস। তাঁহারা কী করিয়াছিলেন জানি না, সুতরাং আমরা কী করিব তাহাও জানি না। সুতরাং পরের নকল করিতে হয়। ইহার জন্য কাহাকে দোষ দিব? ছেলেবেলা হইতে আমরা যে প্রণালীতে যে শিক্ষা পাই তাহাতে প্রতিদিন দেশের সহিত আমাদের বিচ্ছেদ ঘটিয়া ক্রমে দেশের বিরুদ্ধে আমাদের বিদ্রোহভাব জন্মে।

    আমাদের দেশের শিক্ষিত লোকেরাও ক্ষণে ক্ষণে হতবুদ্ধির ন্যায় বলিয়া উঠেন, দেশ তুমি কাহাকে বল, আমাদের দেশের বিশেষ ভাবটা কী, তাহা কোথায় আছে, তাহা কোথায় ছিল? প্রশ্ন করিয়া ইহার উত্তর পাওয়া যায় না। কারণ, কথাটা এত সূক্ষ্ম, এত বৃহ্‌ৎ, যে ইহা কেবলমাত্র যুক্তির দ্বারা বোধগম্য নহে। ইংরাজ বল, ফরাসি বল, কোনো দেশের লোকই আপনার দেশীয় ভাবটি কী, দেশের মূল মর্মস্থানটি কোথায়, তাহা এক কথায় ব্যক্ত করিতে পারে না – তাহা দেহস্থিত প্রাণের ন্যায় প্রত্যক্ষ সত্য, অথচ প্রাণের ন্যায় সংজ্ঞা ও ধারণার পক্ষে দুর্গম। তাহা শিশুকাল হইতে আমাদের জ্ঞানের ভিতর, আমাদের প্রেমের ভিতর, আমাদের কল্পনার ভিতর নানা অলক্ষ্য পথ দিয়া নানা আকারে প্রবেশ করে। সে তাহার বিচিত্র শক্তি দিয়া আমাদিগকে নিগূঢ়ভাবে গড়িয়া তোলে–আমাদের অতীতের সহিত বর্তমানের ব্যবধান ঘটিতে দেয় না – তাহারই প্রসাদে আমরা বৃহ্‌ৎ, আমরা বিচ্ছিন্ন নহি। এই বিচিত্র-উদ্যম-সম্পন্ন গুপ্ত পুরাতনী শক্তিকে সংশয়ী জিজ্ঞাসুর কাছে আমরা সংজ্ঞার দ্বারা দুই-চার কথায় ব্যক্ত করিব কী করিয়া?"
  • Kaju | 121.242.160.180 | ০৩ জানুয়ারি ২০১২ ১৭:১৮505280
  • এ তো আরেন্টিদাদুর লেখা। পুরো মুখস্থ !!??
  • maximin | 59.93.216.197 | ০৩ জানুয়ারি ২০১২ ১৭:২৩505281
  • contd.
    "ভারতবর্ষের প্রধান সার্থকতা কী, এ কথার স্পষ্ট উত্তর যদি কেহ জিজ্ঞাসা করেন সে উত্তর আছে; ভারতবর্ষের ইতিহাস সেই উত্তরকেই সমর্থন করিবে। পরের সহিত আপনার সম্বন্ধবন্ধন ও নিজের ভিতরকার বিচিত্র বিভাগ ও বিরোধের মধ্যে সামঞ্জস্য-স্থাপনের চেষ্টা, ইহাই ধর্মনৈতিক ও সামাজিক উন্নতির ভিত্তি। য়ুরোপীয় সভ্যতা যে ঐক্যকে আশ্রয় করিয়াছে তাহা বিরোধমূলক; ভারতবর্ষীয় সভ্যতা যে ঐক্যকে আশ্রয় করিয়াছে তাহা মিলনমূলক। য়ুরোপীয় পোলিটিক্যাল ঐক্যের ভিতরে যে বিরোধের ফাঁস রহিয়াছে তাহা তাহাকে পরের বিরুদ্ধে টানিয়া রাখিতে পারে, কিন্তু তাহাকে নিজের মধ্যে সামঞ্জস্য দিতে পারে না।

    যাহারা এক হইবার নহে তাহাদের মধ্যে সম্বন্ধস্থাপনের উপায়-তাহাদিগকে পৃথক অধিকারের মধ্যে বিভক্ত করিয়া দেওয়া। পৃথককে বলপূর্বক এক করিলে তাহারা একদিন বলপূর্বক বিচ্ছিন্ন হইয়া যায়, সেই বিচ্ছেদের সময় প্রলয় ঘটে। ভারতবর্ষ মিলনসাধনের এই রহস্য জানিত। ফরাসি বিদ্রোহ গায়ের জোরে মানবের সমস্ত পার্থক্য রক্ত দিয়া মুছিয়া ফেলিবে এমন স্পর্ধা করিয়াছিল, কিন্তু ফল উল্টা হইয়াছে–য়ুরোপের রাজশক্তি, প্রজাশক্তি, ধনশক্তি, জনশক্তি ক্রমেই অত্যন্ত বিরুদ্ধ হইয়া উঠিতেছে। ভারতবর্ষের লক্ষ্য ছিল সকলকেই ঐক্যসূত্রে আবদ্ধ করা, কিন্তু তাহার উপায় ছিল স্বতন্ত্র। ভারতবর্ষ সমাজের সমস্ত প্রতিযোগী বিরোধী শক্তিকে সীমাবদ্ধ ও বিভক্ত করিয়া সমাজকলেবরকে এক এবং বিচিত্র কর্মের উপযোগী করিয়াছিল, নিজ নিজ অধিকারকে ক্রমাগতই লঙ্ঘন করিবার চেষ্টা করিয়া বিরোধবিশৃঙ্খলা জাগ্রত করিয়া রাখিতে দেয় নাই। পরস্পর প্রতিযোগিতার পথেই সমাজের সকল শক্তিকে অহরহ সংগ্রামপরায়ণ করিয়া তুলিয়া ধর্ম কর্ম গৃহ সমস্তকেই আবর্তিত আবিল উদ্ভ্রান্ত করিয়া রাখে নাই। ঐক্যনির্ণয় মিলনসাধন এবং শান্তি ও স্থিতির মধ্যে পরিপূর্ণ পরিণতি ও মুক্তিলাভের অবকাশ, ইহাই ভারতবর্ষের লক্ষ্য ছিল।

    বিধাতা ভারতবর্ষের মধ্যে বিচিত্র জাতিকে টানিয়া আনিয়াছেন। ভারতবর্ষীয় আর্য যে শক্তি পাইয়াছে সেই শক্তি চর্চা করিবার অবসর ভারতবর্ষ অতি প্রাচীনকাল হইতেই পাইয়াছে। ঐক্যমূলক যে সভ্যতা মানবজাতির চরম সভ্যতা, ভারতবর্ষ চিরদিন ধরিয়া বিচিত্র উপকরণে তাহার ভিত্তিনির্মাণ করিয়া আসিয়াছে। পর বলিয়া সে কাহাকেও দূর করে নাই, অনার্য বলিয়া সে কাহাকেও বহিষ্কৃত করে নাই, অসংগত বলিয়া সে কিছুকেই উপহাস করে নাই। ভারতবর্ষ সমস্তই গ্রহণ করিয়াছে, সমস্তই স্বীকার করিয়াছে। এত গ্রহণ করিয়াও আত্মরক্ষা করিতে হইলে এই পুঞ্জীভূত সামগ্রীর মধ্যে নিজের ব্যবস্থা নিজের শৃঙ্খলা স্থাপন করিতে হয়–পশুযুদ্ধ-ভূমিতে পশুদলের মতো ইহাদিগকে পরস্পরের উপর ছাড়িয়া দিলে চলে না। ইহাদিগকে বিহিত নিয়মে বিভক্ত স্বতন্ত্র করিয়া একটি মূল ভাবের দ্বারা বদ্ধ করিতে হয়। উপকরণ যেখানকার হউক সেই শৃঙ্খলা ভারতবর্ষের, সেই মূলভাবটি ভারতবর্ষের। য়ুরোপ পরকে দূর করিয়া, উৎসাদন করিয়া, সমাজকে নিরাপদ রাখিতে চায়; আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া নিয়ুজীলাণ্ড কেপ-কলনীতে তাহার পরিচয় আমরা আজ পর্যন্ত পাইতেছি। ইহার কারণ, তাহার নিজের সমাজের মধ্যে একটি সুবিহিত শৃঙ্খলার ভাব নাই–তাহার নিজেরই ভিন্ন সম্প্রদায়কে সে যথোচিত স্থান দিতে পারে নাই এবং যাহারা সমাজের অঙ্গ তাহাদের অনেকেই সমাজের বোঝার মতো হইয়াছে–এরূপ স্থলে বাহিরের লোককে সে সমাজ নিজের কোন্‌খানে আশ্রয় দিবে? আত্মীয়ই যেখানে উপদ্রব করিতে উদ্যত সেখানে বাহিরের লোককে কেহ স্থান দিতে চায় না। যে সমাজে শৃঙ্খলা আছে, ঐক্যের বিধান আছে, সকলের স্বতন্ত্র স্থান ও অধিকার আছে, সেই সমাজেই পরকে আপন করিয়া লওয়া সহজ। হয় পরকে কাটিয়া মারিয়া খেদাইয়া নিজের সমাজ ও সভ্যতাকে রক্ষা করা, নয় পরকে নিজের বিধানে সংযত করিয়া সুবিহিত শৃঙ্খলার মধ্যে স্থান করিয়া দেওয়া, এই দুইরকম হইতে পারে। য়ুরোপ প্রথম প্রণালীটি অবলম্বন করিয়া সমস্ত বিশ্বের সঙ্গে বিরোধ উন্মুক্ত করিয়া রাখিয়াছে–ভারতবর্ষ দ্বিতীয় প্রণালী অবলম্বন করিয়া সকলকেই ক্রমে ক্রমে ধীরে ধীরে আপনার করিয়া লইবার চেষ্টা করিয়াছে। যদি ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা থাকে, যদি ধর্মকেই মানবসভ্যতার চরম আদর্শ বলিয়া স্থির করা যায়, তবে ভারতবর্ষের প্রণালীকেই শ্রেষ্ঠতা দিতে হইবে।"

    -- ভারতবর্ষের ইতিহাসের রবীন্দ্রনাথকৃত ইন্টারপ্রিটেশন। রবীন্দ্রনাথ নাহয় এইভাবে ভেবেই শান্তি পেয়েছেন। যার যেরকম ইনক্যুয়ারি, সে সেভাবেই উত্তর খুঁজবে।
  • maximin | 59.93.216.197 | ০৩ জানুয়ারি ২০১২ ১৭:৩১505282
  • এতখানি মুখস্থ? লজ্জা দিয়েন না কাজু।
  • maximin | 59.93.216.197 | ০৩ জানুয়ারি ২০১২ ১৭:৪৩505283
  • যেহেতু 'ধর্ম' এসে গেল, কাজেই আরেকটু যোগ করা দরকার।

    "য়ুরোপে রিলিজন বলিয়া যে শব্দ আছে ভারতবর্ষীয় ভাষায় তাহার অনুবাদ অসম্ভব; কারণ, ভারতবর্ষ ধর্মের মধ্যে মানসিক বিচ্ছেদ ঘটিতে বাধা দিয়াছে–আমাদের বুদ্ধি-বিশ্বাস-আচরণ, আমাদের ইহকাল-পরকাল, সমস্ত জড়াইয়াই ধর্ম। ভারতবর্ষ তাহাকে খন্ডিত করিয়া কোনোটাকে পোশাকি এবং কোনোটাকে আটপৌরে করিয়া রাখে নাই। হাতের জীবন, পায়ের জীবন, মাথার জীবন, উদরের জীবন যেমন আলাদা নয়–বিশ্বাসের ধর্ম, আচরণের ধর্ম, রবিবারের ধর্ম, অপর ছয়দিনের ধর্ম, গির্জার ধর্ম, এবং গৃহের ধর্মে ভারতবর্ষ ভেদ ঘটাইয়া দেয় নাই। ভারতবর্ষের ধর্ম সমস্ত সমাজেরই ধর্ম, তাহার মূল মাটির ভিতরে এবং মাথা আকাশের মধ্যে।"
  • maximin | 59.93.216.197 | ০৩ জানুয়ারি ২০১২ ১৮:০৬505284
  • যারা এক নয়, এক হওয়া যাদের পক্ষে অসম্ভব ছিল, তাদেরকেও কী শৃংখলায় বাঁধা হয়েছিল? কাজগুলোকে ভাগ ভাগ করে দেওয়া, নাপিতের সঙ্গে ধোপার বিরোধ নেই, ধোপার সঙ্গে জেলের, জেলের সঙ্গে .. এই ব্যাপারে মতবিরোধ আশা করছি। চাইলে অন্য টইতে আলোচনা হতে পারে। ঘনাদা সহায়।
  • suddhasatya | 117.194.231.184 | ০৩ জানুয়ারি ২০১২ ১৮:৫০505285
  • aka এবং কল্লোলদা, আমি আপনাদের কথা থেকে কিছু মনে করিনি। aka, আপনি ঠকানো তর্ক করছেন এমন বলছি ভাববেন না, আমি এমন কথা বলিনি আপনাকে। সাধারণভাবে বলছিলাম আমার নিজের ভাবনা সম্পর্কে (এবং কিছুটা দেশাচার সম্পর্কেও)। ভাবলে দু:খই পাব। কল্লোলদা,আমিও চিরকালের শিক্ষানবীশ। তাই যেখানে পাই সেখানে দু হাত পেতে যাই। সকলে ভাল থাকবেন। আড্ডা চলুক।
  • dri | 106.67.227.113 | ০৩ জানুয়ারি ২০১২ ২১:২৮505286
  • মেগাস্থেনিস ভারতে দাসপ্রথা দেখতে পান নি।

    Arrian লিখছেন Indica য় :

    ... The same writer (Megasthenes) tells us further this remarkable fact about India, that all Indians are free, and not one of them is a slave. The Lakedaimonians and the Indians here so far agree. The Lakedaimonians, however, hold the Helots as slaves, and these Helots do servile labour; but the Indians do not even use aliens as slaves, much less a countryman of their own.

    রোমিলা থাপার বলেছেন, মেগাস্থেনিস ভুল। ওনার মতে মৌর্য্য পিরিয়ডে জঙ্গল সাফ করে চাষ আবাদের জমি বাড়ছিল। এবং ঐ কাজে প্রচুর লেবার প্রয়োজন হত। যুদ্ধ জয়ের পর বিজিতদের দাস হিসেবে ব্যবহার করা হত নতুন জমিতে চাষের কাজে।

    অবশ্য এই তথ্যের প্রাইমারি সোর্সটা আমার কাছে পরিষ্কার নয়। তবে রোমিলা লিখেছেন যখন আশা করা যায় কিছু একটা রেফারেন্স আছে।
  • dri | 106.67.227.113 | ০৩ জানুয়ারি ২০১২ ২২:০৪505287
  • পেরিপ্লাসে ভারত থেকে মিড্‌ল ইস্টে স্লেভ ট্রেডের মেনশান পাচ্ছি। রেড সীতে ঢোকার মুখে একটা ছোট্ট দ্বীপ আছে, এখন তার নাম Socotra। পেরিপ্লাসের সময় তার নাম ছিল Dioscorida

    এই Dioscorida য় বাণিজ্যের ব্যাপারে বলা আছে :

    Trade is also carried on there by some people from Muza and by those who chance to call there on the voyage from Damirica and Barygaza; they bring in rice and wheat and Indian cloth, and a few female slaves; and they take for their exchange cargoes, a great qunatity of tortoise-shell.
  • dri | 106.67.227.113 | ০৩ জানুয়ারি ২০১২ ২২:৩১505289
  • পেরিপ্লাসে আরো একটা জায়গায় স্লেভারির ইঙ্গিত আছে।

    From Comari towards towards the south this region extends to Colchi, where the pearl-fisheries are; (they are worked by condemned criminals); and it belongs to the Pandian Kingdom.

    অপরাধীদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার ট্র্যাডিশান, বোঝা যাচ্ছে, বহুদিনের। ইওরোপে অপরাধীদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া ও তার ইকনমিক্স নিয়ে ফুকোর কাজ মনে করিয়ে দেয়।
  • ranjan roy | 14.97.181.109 | ০৩ জানুয়ারি ২০১২ ২২:৫২505290
  • দ্রি,
    রোমান সমাজের তুলনায় এশিয়াটিক সোসাইটিতে স্বতন্ত্র গ্রামসমাজে দাসেদের বেশি ভূমিকা ছিল ডোমেস্টিক লেবার হিসেবে। মহাভারতে দেখুন দাসীপুত্র বিদুর। জাতকের গল্পে ,
    লীলাবতীর অংকের চর্চায় দাসীর ক্রয়মূল্য নিয়ে উদাহরণ ইত্যাদি। এই প্রক্রিয়া চলেছিল বহুদিন। বৌদ্ধ সাহিত্যে দেখুন পলাতক দাসেদের সংঘে আশ্রয় নেই, সম্ভবত: ওল্ডেনবার্গ ও রাহুল সাংকৃত্যায়নে পড়েছি। রাইস ডেভিস এ নিয়ে কিছু বলেছেন কি না মনে পড়ছে না।
  • dri | 27.97.53.161 | ০৪ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:৩০505291
  • থ্যাঙ্ক্যু রঞ্জনদা, এই এক্সিলেন্ট ইন্‌ফরমেশানগুলোর জন্য।

    নেট ঘেঁটে লীলাবতীতে এই অংকের কথা পেলাম।

    Bhaskara discusses some questions on the price of slaves, and incidentally remarks that a female slave was generally supposed to be the most valueable when 16 years old, and subsequently to decrease in value in inverse proportion to the age; for instance, if when 16 years old she were worth 32 nishkas, her value when 20 would be represented by (16X32)/20 nishkas. It would appear that, as a rough average, a female slave of 16 was worth about 8 oxen which had worked for two years.

    যদি হাতের কাছে লীলাবতী থাকে তো স্লোকটা দিয়ে দিতে পারেন। খুব ইন্টারেস্টিং।

    একটা কথা পয়েন্ট আউট করতে চাই। লীলাবতীর পিরিয়েড কিন্তু মেগাস্থেনিসের চেয়ে অনেক আলাদা। প্রায় হাজার বছরের চেয়েও বেশী পরের। এতটা সময়ে সমাজে অনেক পরিবর্তনও আসতে পারে।

    আর মহাভারতের দাসীপুত্র প্রসঙ্গে, রাজারাজড়াদের বাড়ীতে যে দাসদাসীরা থাকত, তারা কি ওয়েস্টার্ন স্লেভদের ইকুইভ্যালেন্ট ছিল? খুব গরীবরা যখন বড়লোকদের কাছে নিজেদের বিকিয়ে দেয়, তারা অন্তত খাতায় কলমে নিজেদের রাইট হারায় না। ইচ্ছে করলে তারা ছেড়ে চলে যেতে পারে। কিন্তু ব্রেড আর ফ্রিডমের মধ্যে তারা অধিকাংশ সময়ের ব্রেডকে বেছে নেয়। স্লেভ সিস্টেমে কিন্তু স্লেভদের কোন রাইট নেই। ইভেন কোন মনিবকে সে চুজ করবে সেই অধিকারও তাদের নেই। এই ব্যাপারটা আমার কাছে ঠিক ক্লিয়ার নয়।

    আর জাতকের গল্পটা একটু ইলাবরেট করুন না।
  • ranjan roy | 115.118.144.16 | ০৫ জানুয়ারি ২০১২ ০০:৩৬505292
  • দ্রি,
    সরি! হাতের কাছে কিস্যু নেই। নিজের অক্ষমতার কথা সাতকাহন করে বলা শোভনীয় নয়। কিন্তু আজ দু:খ উথলে উঠেছে। :))) ঐসব বই বিশেষ করে লীলাবতীর ওই অংক যাতে দাসীর বয়সের সঙ্গে দাম কমে,-- আমার বিশ থেকে পঁচিশ বছর বয়সের মধ্যে পড়া। তারপর ঘোর অন্ধকার। তাই যা বলছি সব ঝাপসা স্মৃতি থেকে বলছি।
    ছত্তিশগড়ের গাঁয়ে গাঁয়ে ঘুরে বই কেনার সুযোগ পাইনি, আর্থিক সংগতিও ছিল না। না ছিল আপনাদের মত বন্ধুবান্ধব যাঁদের সঙ্গে তর্ক করে, আলোচনা করে নতুন বই পড়া বা কেনার উৎসাহ পেতে পারতাম।
    আজ জীবন সায়াহ্নে প্রতিমাসে নতুন বই কিনছি এবং দুইহাতে আঁকড়ে ধরেছি গুরুর আড্ডাকে, আশ মিটছে না। সে গুরু ফালতু বলে যিনি যত গালই পাড়ুন গে'।:))))
  • ad | 223.223.129.82 | ০৫ জানুয়ারি ২০১২ ১৩:৩৫505293
  • Ranjanda
    etadilam.
    Dekhun, konokajelagekina

    LilavatiofBhaskaracarya:ATreatiseofMathematicsofVedicTradition:withrationaleintermsofmodernmathematicslargelybasedonN.H.Phadke'sMarathitr.ofLilavati
    BookDetails

    Author:Patwardhan, KrishnajiShankaraetal (Tr.)
    Year:2006
    ISBN:8120814207
    [23cm., pp.xxvi+202, Rep.]
    [Price:RS.495.00, US$11.25]
  • ad | 223.223.129.82 | ০৫ জানুয়ারি ২০১২ ১৩:৩৮505294
  • 1tabangladeshisiteApelam
    Tai- C + P
    লীলাবতী একটি কাব্যময় গণিতের বই—ভাস্করাচার্যের “সিদ্ধান্ত শিরোমনি” গ্রন্থচতুষ্টয়ের প্রথম গ্রন্থ। তেরটি অধ্যায়ে রচিত পাটিগণিতের এই বইটিতে আলোচনা করা হয় আটটি গাণিতিক প্রক্রিয়া (পরিকর্মষ্টক): যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, বর্গ, ঘন, বর্গমূল এবং ঘনমূল। তারপর আসে
    • শূন্যপরিকর্মণ: শূন্যের ব্যবহার
    • ব্যস্তবিধি: ব্যস্ততার নিয়ম
    • ইষ্টকর্ম: ঐকিকনিয়ম
    • সংক্রমণ: (ক+খ) এবং (ক-খ) থেকে অপনয়ন পদ্ধতিতে ক ও খ-এর মান নির্ণয়
    • বর্গসংক্রমণ: (ক+খ) এবং (ক^২-খ^২) থেকে অপনয়ন পদ্ধতিতে ক ও খ-এর মান নির্ণয়
    • বর্গকর্ম: ক ও খ-এর এরূপ মান নির্ণয় যাতে (ক^২+খ^২-১) এবং (ক^২-খ^২-১) পূর্ণবর্গ হয়
    • মূলগুণক: বর্গমূল ও দ্বিঘাত সমীকরণ সংক্রান্ত সমস্যা
    • ত্রৈরাশিকা: তিন-এর নিয়ম
    • বন্দপ্রতিবন্দক: বিনিময় ব্যবস্থা
    • মিশ্রব্যবহার: মিশ্রণের নিয়ম
    • শ্রেণীব্যবহার: ধারার ব্যবহার
    • অঙ্কপাশা বিন্যাস ও সমাবেশ
    • কুত্তক বা কুট্টক: অনির্ণেয় সমীকরণের সমাধান
    • ক্ষেত্রগণিত: জ্যামিতি

  • dd | 110.234.159.216 | ০৫ জানুয়ারি ২০১২ ১৬:১৫505295
  • দৃ সাহেবকে বলি, যদিও রঞ্জন অলরেডি বলেই দিয়েছি, তা ও । আমি ও বোলবো।

    আমাদের "দাসপ্রথা' আর রোমানদের "দাসপ্রথা" এক রকম ছিলো না। ঋগ্বেদে প্রথম নটি সুক্তে আর্য্য ব্যতিরেকে সকলেই দাস বা দস্যু ছিলো, কখনো গোষ্ঠির নাম নেওয়া হয়েছে (পণি অথবা যাতুধান)- আদারওয়াইস সবাই ঐ "দাস'ই ছিলো। নি:সন্দেহে একটা ডিরেগোটারি টার্ম । এবং একটা জাতির নাম ।

    পরে পুরাণে যেসব "দাসে"রা এসেছে, তাদের সকলেরই একটা সামাজিক সন্মান ছিলো, বিদুর যুযুৎসূ, সকলের । হয়তো "দাস" বা "দাসী" কথাটা তখনো কিছুটা জাতিবাচক ছিলো বা কর্মবাচক ছিলো। এক্সাক্টলি "স্লেভ" ছিলো না।

    শ্রী পান্থের বইতে পড়েছি কোম্পানি আমলেও রীতিমতন বিজ্ঞাপন দিয়ে দাস ও দাসী বেচাকেনা হতো, কিন্তু সে ও কি রোমান বা আম্রিকান সাদাদের মতন সর্ব শক্তিমান ছিলো ? পেত্যয় হয় না।
  • maximin | 59.93.221.79 | ০৫ জানুয়ারি ২০১২ ১৭:০১505296
  • ডিডির জন্যে অপেক্ষা ছিল একটা কথা বলব বলে। কেসি গাঙ্গুলির অনুবাদ কি আক্ষরিক অনুবাদ? যন্ত্রযুক্তাকে কেসিগাঙ্গুলি বলছেন ফিটেড উইথ ইঞ্জিন। মোটর ইঞ্জিন নয় নিশ্চয়ই? তাহলে ইঞ্জিন কীরকম ইঞ্জিন? আমার তো মনে হয় অনুবাদ করার সময়ে কেসিগাঙ্গুলিও সময়ের পার্স্পেকটিভটা মাথায় রাখেন নি।
  • maximin | 59.93.221.79 | ০৫ জানুয়ারি ২০১২ ১৭:১৪505297
  • যন্ত্র মানে ইঞ্জিন কেন? ইমপ্লিমেন্টস অথবা ইকুইপমেন্ট নয় কেন? ইঞ্জিনই যদি হবে তাহলে পিসি চক্রবর্তী আর কেসি গাঙ্গুলীর মধ্যে তফাতটা হল কোথায়?
  • dri | 49.15.191.175 | ০৫ জানুয়ারি ২০১২ ২০:০৬505298
  • পেয়েছি!

    অর্থশাস্ত্র, Book 2, Chapter 24 :

    বহুহলপরিকৃষ্টায়াং স্বভূমৌ দাসকর্মকরদন্ডপ্রতিকর্তৃভির্বাপয়েৎ

    যার ইংরেজি করা হয়েছে,

    He shall employ slaves, labourers, and prisoners (dandapratikartri) to sow the seeds on crown-lands which have been often and satisfactorily ploughed.

    মনে হয় এইটাই রোমিলা থাপারের সোর্স ছিল।

    দাস আর কর্মকরের তফাতটা যে ঠিক কী ছিল কে জানে। মাস মাইনে আর জন্মের মত কেনা? এই দাস নিশ্চয়ই ডিডিদার কথামত বৈদিক দাস (দস্যু) নয়? লীলাবতীর দাস ও বোধহয় নয়।

    আর প্রিজ্‌নারকে দিয়ে মুফ্‌তে খাটিয়ে নেওয়ার ট্র্যাডিশান এখানেও পাওয়া যাচ্ছে।
  • dri | 49.15.191.175 | ০৫ জানুয়ারি ২০১২ ২০:৩৪505300
  • দাস নিয়ে মনুসংহিতাতে এইটা পেলাম :

    ধ্বজাহৃতো ভক্তদাসো গৃহজ: ক্রীতদন্ত্রিমৌ।
    পৈত্রিকো দণ্ডদাসশ্চ সপ্তৈতে দাসযোনয়:।।

    মোট সাত রকমের দাস হয়:

    ধ্বজাহৃত - যুদ্ধে বন্দী
    ভক্তদাস - অন্নলোভে যে দাস্য স্বীকার করেছে
    গৃহজ - আপন দাসীপুত্র
    ক্রীত - মূল্য দ্বারা ক্রীত
    দন্ত্রিম - প্রতিগৃহলব্ধ, অন্যেন দত্ত:
    পৈত্রিক - পিত্রাদিক্রমাগত: (হেরিডিটারী?)
    দণ্ডদাস - রাজকৃত দণ্ডশুদ্ধির জন্য যে দাস্য স্বীকার করে
  • dri | 49.15.191.175 | ০৫ জানুয়ারি ২০১২ ২১:০১505301
  • মনুসংহিতাতে নদী ও সমুদ্রগামী জাহাজের রেফারেন্স আছে। পণ্য বয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় কিরকম শুল্ক দিতে হবে সেই বিধান দেওয়া আছে এক জায়গায়।

    দীর্ঘাধ্বনি যথাদেশং যথাকালং তরো ভবেৎ।
    নদীতীরেষু তদ্বিদ্যাৎ সমুদ্রে নাস্তি লক্ষণম্‌।।

    নদীমার্গে দূরে যাতায়াত করিতে হইলে, নদীর প্রবলতা বা স্থিরতা তথা গ্রীষ্মবর্ষাদিকাল বিবেচনায় তরপণ্য নির্দ্ধারণ করিবে, সমুদ্র-পোতের বাতাধীন গমন, সুতরাং স্বায়ত্ব গমন না থাকায়, নদীর ন্যায় যোজনাদি অনুসারে তাহার পণ্য নির্ণীত হইবে না, অর্থাৎ তাহার সম্ভবমত পণ্য গ্রহণ করিবে।

    অর্থাৎ, মনুসংহিতার সময়েও সমুদ্রপথে হৈহৈ করে বাণিজ্য হত।
  • maximin | 59.93.246.171 | ০৬ জানুয়ারি ২০১২ ০০:০৮505304
  • এডি, এই সাইটটা দারুন। আমিও যাই মাঝে মাঝে।
  • kallol | 115.184.92.159 | ০৬ জানুয়ারি ২০১২ ০৭:১৭505305
  • আরে, সমুদ্র বাণিজ্য হতো তো। দ্বারকার বন্দরই তো তার প্রমাণ। জল যুদ্ধ হতো কি? যুদ্ধ জাহাজ ছিলো কি? সেইটা নিয়ে কেউ কিছু পেলে? ভীষ্মের মৃত্যুর আগে যুধিষ্ঠিরকে উপদেশেও জলযুদ্ধ নিয়ে কিছু নেই।
  • kd | 59.93.194.84 | ০৬ জানুয়ারি ২০১২ ১৪:১০505306
  • একটা জিনিস বুঝতে পারছি না। মহাভারত তো এসেন্সিয়ালি কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ-ওরিয়েন্টেড গপ্পো। সেখানে জলযুদ্ধের ব্যাপার-ট্যাপার কেন থাকবে?

    অবিস্যি ব্যাসদেব হিন্দি সিনেমার রাইটার হ'লে আশা করা যেতেও পারতো। ""সুইস নেভি'' যখন ভাবতে পারে!

    ডি: আমি শুধু ""ছবিতে মহাভারত'' পড়েছি। আসল বইতে অন্য কিছু থাকলে সরি।
  • dd | 110.234.159.216 | ০৬ জানুয়ারি ২০১২ ১৪:২৬505307
  • রিফ্রেজ করাই যায় । অষ্টাদশ পুরাণ, চতুর্বেদ, দুটি মহা কাব্য, এ ভিন্ন এই ৪০০ এ ডি পর্যন্ত্য যতো ইতিহাস ও তার আকর গ্রন্থ, কোথাও কি রনতরীর কথা আছে? চতুরংগ বলের কথা কিন্তু ব্যাদেও আছে,পরবর্তী সাহিত্যে তো আছেই।

    নৌ বাণিজ্য তো ছিলই, যুদ্ধ জাহাজ ? যুদ্ধ জাহাজ? ছিলো ?
  • dri | 106.66.19.178 | ০৬ জানুয়ারি ২০১২ ২০:২৫505308
  • তামিল সোর্স চলবে?

    কাবেরীর মোহানায় Poompuhar নামে এক অতি প্রাচীন নগর আছে। সেখানে অ্যাবাউট দুশো বিসি থেকে একশো এডি পর্য্যন্ত চোল রাজারা ছিল। এবং সেখানে রোমানরা বাণিজ্যে আসত। সেখানে চোল রাজাদের নেভি বাণিজ্য তরীদের এস্কর্ট করে নিয়ে আসত (জলদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা করতে?)।

    The earliest record of Chola Naval activity by an external source is dated around 1st century CE, the Roman report of Kaveripoompattinam(presently known as Poombuhar) as Haverpoum and a description of how the Trade vessels were escorted by the King's fleet to the estuary as it was a natural harbor in the mouth of the river Kaveri.[8]

    Little archeological evidence exists of the maritime activities of this era, except some excavated wooden plaques depicting naval engagements in the vicinity of the old city (See Poompuhar for more details).

    However, much insight into the naval activities of the Cholas has been gathered from Periplus of the Erythrean Sea. In this work, the unknown merchant describes the activity of escort-ships assigned to the merchant vessels with valuable cargo. These early naval ships had some sort of a rudimentary flame-thrower and or a catapult type weapon.[9]


    উইকি বলছে, সিলপ্পথিকরম বলে একটি সুপ্রাচীন তামিল এপিক আছে। সেখানে Poompuhar এর বর্ণনা আছে। সেখানে অ্যালেজেডলি যুদ্ধজাহাজের বর্ণনা আছে।

    The general plan of the city of Puhar is described in considerable detail in the fifth book of Silapathikaram (c. fifth century CE). The town was built on the north banks of the river Kaveri. Elara Chola are ruled(1,389,968 sq mi)from the Place of present parts India, Sri Lanka, Bangladesh, Burma, Thailand, Malaysia, Cambodia, Indonesia, Vietnam, Singapore, Maldives and they had around 10,000 battle ships in the kavaripatinum port .near river Kaveri mouth.

    প্রশ্ন হল, এর অরিজিনাল সোর্স কিভাবে চেক করা যায়। ডিডিদার কি একটা তামিল কানেকশান ছিল না?
  • dri | 106.66.19.178 | ০৬ জানুয়ারি ২০১২ ২০:৫৫505309
  • এই যা:, উইকি সোর্সগুলোই তো দেওয়া হল না।

    http://en.wikipedia.org/wiki/Chola_Navy
    http://en.wikipedia.org/wiki/Poompuhar

    কয়েকটা পয়েন্ট।

    চোল রাজারা প্রমিনেন্সে এসেছে দুটো ফেজে। এক, খৃষ্টের সময়ের অ্যারাউন্ডে, তারপর আবার ৮০০ এডির পর তিনশো চারশো বছর। এনশিয়েন্ট চোলদের নেভাল পাওয়ারের এভিডেন্স এইসব এপিক টেপিকে হলেও, মিডিয়াভেল চোলদের নেভাল পাওয়ার কিন্তু আনকোয়েশ্চেনেব্‌ল। ওরা বাংলায় পালদের হারিয়েছিল। ইন্দোনেশিয়ায়ও কলোনি বানিয়েছিল।

    নেভাল পাওয়ার হতে হলে সমুদ্রের কাছে থাকাটা প্রাইমারী কন্ডিশান। এটা সাউথ ইন্ডিয়াতেই বেশী খাটে। কুরু, পাঞ্চাল। হস্তিনাপুর, ইন্দ্রপ্রস্থ এইসব আপার গ্যাঞ্জেটিক প্লেন। এখানে নেভি নিয়ে খুব বেশী কারিকুরি দেখানো মুস্কিল। ওকে, বড় বড় নদী পার হওয়া একটা চ্যালেঞ্জ। নদীর জন্য উপযোগী জাহাজ চাই। যুদ্ধের সময়ও সৈন্যদের নদী পার হওয়ার ব্যাপার থাকে। আরিয়ানের অ্যানাবেসিস অফ আলেকজান্ডারে গ্রীকদের চারটে নদী (ইন্ডাস, ঝেলাম, চেনাব, রভি) পার হওয়ার এক্সাইটিং বর্ণনা আছে। কিন্তু এরকম ল্যান্ডস্কেপে নেভির করার কিছু থাকে না। আলেকজান্ডারের নেভি জলে তো কোন যুদ্ধ করতে পারে নি, জাস্ট ইন্ডিয়ানদের দিয়ে জাহাজ বানিয়ে, তাতে চড়ে বাড়ি গিয়েছিল।

    জলপথে প্রথমে এসেছে বাণিজ্য, তারপর জলদস্যু, তারপর নেভি। গোড়ার দিকে নেভির মূল কাজ ছিল ডিফেন্সিভ। ট্রেডকে জলদস্যুর হাত থেকে প্রোটেক্ট করা। কলোনাইজেশানের ইচ্ছেয় অফেন্সিভ পোজিশানে নেভির ব্যবহার হয়েছে তার পরে। ইভেন এখনও আমেরিকার নেভি স্ট্রেইট অফ হরমুজ, রেড সী ইত্যাদি জায়গায় রয়েছে এই ট্রেড রুট প্রোটেকশানের বাহানায়। ওটাই নেভির মূল কাজ। যুদ্ধ অধিকাংশ সময় বাধে ট্রেড রুটে ডিসরাপশান হলে। জার্মান ইউ-বোট বৃটিশ সাপ্লাই লাইন বন্ধ করার জন্য কয়েকটা আমেরিকান বাণিজ্য জাহাজ ডুবিয়ে দেওয়ার পর জার্মানীতে এরিয়াল বম্বিংএর সিদ্ধান্ত নেয়। নেভির সাথে বাণিজ্যের দখলদারীর একটা সম্পর্ক আছে।
  • aka | 168.26.215.13 | ০৬ জানুয়ারি ২০১২ ২১:০২505311
  • খুবই কমপেলিং যুক্তি - বাণিজ্য থাকলে জলদস্যু থাকবে, আর জলদস্যু থাকলে তার থেকে রক্ষা করার জন্য নেভিও থাকবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন