এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মহাভারতের যুগের স্থাপত্য বিষয়ে

    nk
    অন্যান্য | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ | ১১৭৯৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kiki | 59.93.243.103 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:২৭505046
  • দিদিয়ার বাড়ীর ভাটলিশ দেখছি বেশ লোকজনের গাত্রদাহ কেস হয়েছে। ওখানে বিএলের বা গুরুর যে কজনকে আমি থাকতে দেখে এসেছি আর পরে যারা এসেছেন শুনেছি তাদের কেউ এরকম নোংরা আলোচনা করবে না।আর দিদিয়া যথেষ্ট ভালো হোষ্ট। সেখানে গান বাজনা, আনন্দ, লেগ পুলিং এসব ই হচ্ছিলো আমি যতক্ষন ছিলাম।আর তারপর সেটা আরো হয়েছে শুনলাম সবাই মিলে গান করায়।যেটা খুব মিসিয়েছি। খুব খারাপ লাগলো তাই বলে গেলাম।
  • Ghanada | 223.223.133.156 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:২৯505047
  • নীনার বাড়ীতে যে আড্ডানো হয়েছিল, সেখানে পুরোপুরি আড্ডা এবং জলপথ/ স্থলপথে বিচরণ ছাড়া, গান বাজনা -এই সবই এখন অতীত হলেও, আমরা স্মৃতি মেদুরতায় ডুবে আছি ।
    নীনি এবং অমিত খুবই ভালো আপ্যায়ন করেছিল সবাইকে। অমিত দম্পতি, সবার ব্যক্তিগত ভাবে তদারকি করেছিল।
    এছাড়া, ওদের ক্যাটারার খুব দেরীতে আসায় টেনশনেও ভুগেছে ওরা।
    আমার একবারও মনে হয় নি- ওখানে কোনোরকম পরনিন্দা বা পরচর্চা হয়েছে।
    তাছাড়া, এই ভাটলিশে যদি আমার আমন্ত্রণ না হতো, তবে অনেক ভালো বন্ধুর সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে আলাপ করার থেকে বঞ্চিত হোতাম।
    ঈপ্সিতাকে কেউ কেউ পছন্দ না-ই বা কোরতে পারেন, সেটা যার যার- তার তার ব্যাপার।
    তবে, এই সব আলোচনা থেকে টইকে মুক্ত করা হোক।
    তাই, এই ব্যাপারে কিকি এবং কল্লোলবাবুর সঙ্গে একমত।
  • Sibu | 74.125.59.177 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:৩৬505048
  • শিবাংশু, টইতে আলুচান্না কাটিয়ে দাও। সামনের বার যখন দেখা হবে তখন এই প্রাসাদ বনাম মন্দির নিয়ে কথা হবে। আমার আরো কিছু পয়েন আছে। যেমন ধর তোমার ঐ ল্যাক অফ ডকুমেন্টেশন নিয়ে কথাটা। পুরীর পান্ডারা একটি ডিটেল ডায়রী মেনটেন করেন, অনেকটা চার্চ রেজিস্টারের স্টাইলে। সেটাকে মাদলপঞ্জী বলে। এরকম ডকুমেন্টেশন যদি আরো কয়েক জায়গায় থাকে তো ল্যাক অফ ডকুমেন্টেশনের কথাটা খাটে না।

    ডিডিদা, এ নিয়ে কিছু জানতে পারলে প্লিজ জানাবেন। আমি এই টপিকটাতে (মানে মন্দির বনাম প্রাসাদ) খুব ইন্টারেস্টেড।
  • PM | 2.50.41.123 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:৫৪505049
  • শিবুবাবুর পয়েন্ট-টা আমাকে খুব চিন্তায় ফেলেছে। সত্যি বলতে উত্তর ভারতে যতো মন্দির দেখেছি সেক্ষেত্রে মন্দির বড় সড় হলেও গর্ভগৃহ খুব-ই ছোটোখাটো। তবে পুরীতে জগন্নাথমুর্তি যেখানে অছে তার সামনে খুব বড় এক্টা চত্তর আছে । কিন্তু থাম আছে কিনা মনে পড়ছে না।

    সোমনাথ সম্পর্কে কারোর আইডিয়া আছে? মুল সোমনাথ শুনেছি বিরাট বড় ব্যাপার ছিলো।
  • Shibanshu | 117.195.150.162 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:১৩505050
  • শিবু,
    বেশ এখানে আর না। তবে মাদলাপঞ্জি তো আর ইতিহাস নয়, মানে পশ্চিমি মতে। দশ ভাগ তথ্য, বাকিটা গল্পকথা ও কল্পকথা। অর্বাচীন পুরাণ বলা যেতে পারে। ডকুমেন্ট বলতে দ্বিধা হয়। সে অর্থে আংশিকভাবে কল্‌হন ও রাজতরঙ্গিনী ছাড়া বলার মতো বিশেষ কিছু নেই।
  • Shibanshu | 117.195.131.23 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:৪৬505051
  • সিকি, ঈশান, কল্লোলদা, কিকি, ঘনাদা, আমিও আছি আপনাদের সঙ্গে।

    উঙ্কÄল মানুষদের এতো অমাবস্যার গল্প করতে দেখলে কষ্ট হয়।
  • Suvajit | 120.56.224.94 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:২২505052
  • অনেকদিন বাদে গুরুতে এলাম। এই টইটা খুব ইনটেরেস্টিং। দয়া করে আলোচনা থামাবেন না।
    ডিডিদার পোস্টটাও পড়লাম। এটাকে বকুনি বলে আমি ধরতে চাই না। বলতে পারা যায় ডিডিদা পাইকে ফীডব্যাক দিয়েছেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ফিডব্যাক সবসময় ওয়ান ইসটু ওয়ান দেওয়া উচিৎ। খোলা পাতায় ডিডিদা এই ফিডব্যাক না দিলেই পারতেন। ডিডিদা (এবং শিবুদাও) মনে করেছেন পাই অন্যের পোস্ট না পড়েই পোস্ট করে, প্রশ্ন করে। ওনারা যখন মনে করেছেন নিশ্চয় তাতে কিছুটা সত্যতা আছে। তবে এ দোষে অনেকেই কমবেশী দুষ্ট। আমিই যেমন স্ক্যান করে পোস্ট পড়ি (মূলত সময়াভাবে)। জ্যোতিষের টইতে যেমন শুধু ঘনাদার পোস্টগুলো পড়ছিলাম, বিষয়টাকে জানার জন্য।
    হয়ত পাইয়ের মত রেগুলার পোস্ট করিনা বলে ডিডিদার (বা অন্যের) এই ফীডব্যাক পাইনি। কিন্তু এই ফীডব্যাক আমার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য বলে, ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবো। কিছু বলতে গেলে বা জানতে গেলে আগাগোড়া পড়াশুনা করে, বিশেষ ভাবনাচিন্তা করে, তবে খাপ খুলব।
    দুখের মতো ফাজলামি একদম করব না।

  • Ghanada | 223.223.133.156 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:৪১505053
  • ওড়িশার মাদলাপঞ্জী পুরীর জগন্নাথ দেবের ঘটনার নথীভুক্তকরণ বা পঞ্জী মাত্র।
    এতে ওড়িশার জগন্নাথ দেবের কালনুক্রমিক ইতিহাস সংরক্ষিত আছে।
    ঠিক কবে এই মাদলাপঞ্জী রচিত হয়েছিল, সেটা জানা না গেলেও, আনুমানিক দ্বাদশ থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে রচিত হয়েছিল বলে, গবেষকদের অনুমান।
    সম্পূর্ণ ওড়িয়া ভাষায় রচিত এই বইটি ভারতীয় ভাষায় রচিত একটি অনন্যসুন্দর আনুপর্বিক বর্ণণা।
    কাশ্মীরের রাজতরঙ্গনী, অহমের বরুণজী বা শ্রীলংকার রাজবংশমের সাথে তুলনীয় এই মাদলাপঞ্জী।
    *করণা* ( ওড়িয়া ভাষায় এই উচ্চারণ-ই হয়) বলে এক শ্রেণী এই বইটি রচনার দায়িত্বে ছিলেন। এঁরা বাংলার কায়স্থ জাতির সমতুল।
    ভূর্জপত্রে লিখিত আসল বইটির অনেক অংশ কিন্তু পুরীতে নেই।
    এটা আছে যাজপুরের এক মন্দিরে। কটক থেকে বাই রোড আসতে গেলে এই মন্দিরটি কপিলাশ রোড ষ্টেশনের কাছাকাছি পড়ে।
    এছাড়াও, বহরমপুর ( গঞ্জাম) থেকে ১২০ কি. মি. দূরে, পারলাখেমুণ্ডি বলে একটি জায়গা আছে। ( আন্ধ্রা ওড়িশার সীমান্ত)
    এখানে প্রাচীন ওড়িশার রাজাদের আদলে তৈরী একটি রাজার প্রাসাদ এখনও বর্তমান। এটি ১৯ শতকে তৈরী।
    ছবি দেখার লিংক দিলাম:-
    http://www.google.com/imgres?q=palace+of+paralakhemundi&hl=en&sa=X&biw=1024&bih=629&gbv=2&tbm=isch&tbnid=bMUS5eo_sfYk6M:&imgrefurl=,r:0,s:0
    পুরোটা কপি করে URL এ দেবেন।
    এই অধম ওড়িয়া অনর্গল বলতে পারে ও পড়তেও পারে। কর্মরত অবস্থায় আমি ঐ মাদলাপঞ্জী দেখেছি, যদিও ছুঁতে দেওয়া হয় নি।
    এটা সম্ভব হয়েছিল, আমার এক পুরীর পাণ্ডার দৌলতে। শ্রী বনবিহারী পতি। তিনি আমার কোম্পানীর ডিষ্ট্রিবিউটার ছিলেন।
    তিনি বর্তমানে মৃত। তবে আপনারা যদি পুরী কেউ যান, তবে পতি গ্রুপ অফ ট্‌র্‌যাভেলসে গিয়ে এই ব্যাপারে খোঁজ নিতে পারেন।
    পারলাখেমুণ্ডিও যেতে পারেন। পুরী থেকে সোজা ট্রেন আছে।

  • kallol | 115.241.23.199 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:৫৬505056
  • মহাভারতের সভাপর্বের তৃতীয় অধ্যায়ের শেষে ময় কর্তৃক পান্ডবসভা নির্মান। তাতে বলছে, কৈলাশের উত্তরাংশে মৈনাক সন্নিধানে, রমণীয় বিন্দুসরোবর। সেখান থেকে ময়, মণিময় যুপ,হিরণ্ময় চৈত্যসকল,দানবরাজ বৃষপর্বার অধিকৃত স্ফটিকময়সভানির্মানোপযোগী সমুদয় দ্রব্য সামগ্রী, মহতী গদা, দেবদত্ত শঙ্খ ও কিন্নর ও রাক্ষসরক্ষিত ধণ সমস্ত আহরণ করিল। তাই দিয়ে ময় অলোকসামান্য, ত্রিলোকবিখ্যাত মণিময়ী সভাস্থলী নির্মান করিল।
    সভাটি কেমন। সুবর্ণনির্মিত তরুরাজি বিরজিত সভামন্ডপ চতুর্দিকে পঞ্চসহস্র হস্ত বিস্তীর্ণ হইয়াছিলো।
    কিন্তু এর মানে কি? পাঁচ হাজার হাত মানে যদি ধরে নেই পাঁচ হাজার ফুট মানে এক মাইলের চেয়ে একটু কম, অর্থাৎ প্রায় এক বর্গমাইল জোড়া ছিলো প্রাসাদটি।
    কিন্তু যেটি সাংঘাতিক, তা হলো, সভাটি ছিলো বহনযোগ্য। ময়ের আদেশানুসারে গগনচর, মহাঘোর, মহাকায়, মহবল, রক্তনেত্র, শুক্তিকর্ণ আয়ুধধারী অষ্টসহস্র কিঙ্কর ও রাক্ষস ঐ রমণীয় সভার রক্ষণাবেক্ষণ করিত ও আবশ্যকমতে বহন করিয়া উহাকে স্থানান্তরেও লইয়া যাইত।
    এরপর একটা সরোবরের বর্ণনা আছে, যেটিতে সম্ভবত: দুর্যোধন পপাতচ হয়েছিলেন, আর তাই দেখে দ্রৌপদী খিল্লি করেছিলেন - অন্ধের বাচ্চা বলে। তাতেই আক্ষরিক অর্থে কুরুক্ষেত্তর হলো। কিন্তু ঘর দোরের বর্ণনা নাই। আট হাজার কর্মী কাজ করতেন। তারা থাকতেন কোথায়? প্রেসিডেন্সি জেলের ফাইলের মতো পেল্লায় হলে আমরা চল্লিশ জন থাকতাম। সেটা প্রায় চল্লিশ বাই কুড়ি ফুট মাপের জায়গা। সেরকম ২০০টি ডর্মেটারী থাকতে হবে। মানে ১লক্ষ ৬০ হাজার বর্গ ফুট শুধু সার্ভেন্টস কোয়ার্টার। অবশ্য সভাটি ২কোটি ৫০লক্ষ বর্গফুটের।
    সেটি নবীননীরদসঙ্কাশ, অতি বিশাল, বিপুল, রমণীয়, পাপনাশক, শ্রমাপহারক, রত্নপ্রাকারমন্ডিত, বহুচিত্রোপশোভিত, অত্যুত্তম দ্রব্যসম্ভারশালী, বহুলধণসম্পন্ন, গগণব্যাপী..........
    সেই সভার উভয় পার্শে ফল পুষ্প, কিশলয়োপশোভিত নীলবর্ণ সুশীতলছায়া সম্পন্ন মনোরম উন্নত পাদপবলী সন্নিবেশীত ছিলো। অতি সুরভি কানন ও হংস-কারন্ডব-চক্রবাকপশোভিত পুষ্করিনী সকল সভার চারিদিকে শোভা বিস্তার করিল। সমীরণ তত্রত্য জলজ ও স্থলজ পদ্মের গন্ধ গ্রহণপূর্বক পান্ডবদিগের সেবা করিতে লাগিল।
    এই সভা তৈরী করতে চতুর্দশ মাস লেগেছিলো।
    আজকে বড়জোর হাজার বর্গ ফুটের একটা তিনতলা বাড়ি তৈরী করতে দেড় থেকে দুবছর লাগে। সেই সময় যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া এই বিশাল সভা তৈরী করতে ১ বছর ২ মাস। বেশ কম সময়।
    আবার দেখুন একবারও প্রাসাদ কথাটা আসছে না। বারবার বলা হচ্ছে সভা। তাহলে কি আলাদা ঘরের ভাবনাই ছিলো না? দেওয়াল ছিলো। বর্ণনায় বলছে রত্নপ্রাকারমন্ডিত। তাহলে কি ঘর ছিলো না, কিন্তু আড়াল ছিলো? নাকি তখন ব্যক্তিগত স্পেসের ধারণাই ছিলো না।
  • kallol | 115.241.23.199 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:৫৮505057
  • এই খেলো যা। টইটা এমন চ্যাপ্টা হয়ে গেলো ক্যানো?
  • Ghanada | 223.223.133.156 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:০৫505058
  • পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সামনের স্তম্ভটি *অরুণ স্তম্ভ* নামে পরিচিত।
    এটা কোণারকে ছিল। পরে খুরদার রাজা এটিকে পুরীতে আনেন।

  • lcm | 69.236.169.179 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:০৯505059
  • মহাভারত কথা (গুলগপ্পো) অমৃত সমান।
    গুল চিরকালই অমৃত সমান।
    সত্য চিরদিনই চিরতার ন্যয় তিক্ত।
  • Ghanada | 223.223.133.156 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:১০505060
  • কল্লোলবাবু
    এই হিসেবটা একটু দেখে নিন।
    সচরাচর কনুই থেকে মধ্যমার অগ্রভাগ পর্যন্ত পরিমাণকে আমরা ১ হাত বলে জানি।অকিন্তু প্রাচীন কালের শাস্ত্রকারেরা এই পরিমানকে ১ হাত বলেন নি।অতার কারন হিসেবে যেটা বলা হয়েছে যে; সকলের হাত সমান নয়। তাই আমার ১ হাত অন্য লোকের ১ হাত নাও হতে পারে। তাই শাস্ত্রকারেরা একটি “নির্দ্দিষ্ট মান” ঠিক করে দিয়েছেন। মধ্যমার ২য় ও ৩য় পর্বের মধ্যভাগকে; এক মানাংগুলি বা এক অঙ্গুলি বলে। সাধারণত এটা ৮ টি যবোদরের সমান। এবার যবোদর কি? যবোদর=যব+উদর, অর্থাৎ ১টা যবের উদর বা মধ্যের ভাগ। ৮ টা যব পর পর রাখলে তাদের মধ্যভাগের যে মাপ হবে তা এক অঙ্গুলি। এখনকার মতে ১.৩ ইঞ্চি বা ৩.৩ সে.মি. এর সমান।অএটাই Standard বা Parameter.
    সুতরাং; ৮ টি যবোদর = ১ অঙ্গুলি=.৩ ইঞ্চি বা ৩.৩ সে.মি.
    ২৪ অঙ্গুলি= ১ হাত =.৬ ফিট/৭৯.২ সে.মি.
    ৪ হাত = ১ ধনু = ১০.৪ ফিট/ ৩১৬.৮ সে.মি.
    ২০০০ ধনু = ১ ক্রোশ = ২ মাইল/.২৪ কিমি।
    ৪ ক্রোশ = ১ যোজন= ৮ মাইল/১২.৯৬ কিমি।

    উৎস:- শ্রীজগন্মোহন তর্কালংকার প্রণীত "নিত্যপূজা পদ্ধতি"।
    এই হিসেবে ৫০০০ হাত = ১৩০০০ ফিট

  • PM | 2.50.41.123 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:১৫505061
  • খাইছে!!!
  • lcm | 69.236.169.179 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:১৬505062
  • এক হাত = দেড় ফুট -- এরকমই তো রাফ্‌ হিসেব ছিল না?
    ঘনাদা তো এক হাত প্রায় আড়াই ফুট করে দিলেন।
  • PM | 2.50.41.123 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:২২505063
  • দ্বাপর আর কলি যুগে মানুষের দৈর্ঘ্যে (মানে তার হাতের দৈর্ঘ্যেও) পার্থক্য আছে। পরশুরামের রেবতির পতিলাভ মনে করুন
  • Ghanada | 223.223.133.156 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৩৩505064
  • আমি আবার কি করলাম!!!!
    জগন্নাথ বাবু যা লিখেছেন, তাই বলেছি।
    তবে, পঞ্চাশ্‌ৎ মানে কিন্তু ৫০। আর এখানে সহস্র মানে ৫। ১০০০ নয়।
    অন্তত, টীকাকার নীলকণ্ঠের হিসাব অনুযায়ী।
    এবার পঞ্চাশ্‌ৎ সহস্র = ৫০ X= ২৫০ হাত = ১২৫০ ফিট।
    মানে হল, যদি টীকাকারেরা যদি সঠিক হিসেব দিয়ে থাকেন, তবে সভাস্থল হবে মাত্র ১২৫০ ফিট।
    আমি আর নেই এর মধ্যে।
    বাকীটুকু অন্যেরা বলুন। মানে এই ব্যাপারটা যারা ভালো করে বোঝেন।
  • a | 208.240.243.170 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৪০505065
  • কল্লোলদা,

    IP Address : 115.184.91.98 Date:29 Dec 2011 -- 08:25 PM


    শুধু দুটি কথা

    ১। এখানে যারাই লিখেছেন, তারা কেউ ব্যক্তিগতভাবে পাইকে পছন্দ বা অপছন্দ করেন বলে বলেননি। পাইএর লেখা বা তর্ক অপছন্দ করেন বলেছেন। সেই ডিস্টিংশনটা রাখা উচিত।

    ২। কেউ ফোনে ফোনে পছন্দ ডিসকাস করবে না টইতে লিখে, সেটা কি আপনি ঠিক করে দেবেন এর পর থেকে?
  • lcm | 69.236.169.179 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৪২505067
  • একে তো মেট্রিক সিস্টেম, ব্রিটিশ সিস্টেম .... (CGS, FPS...) নিয়ে এক কনভার্শন কনফিউশন-- এর ওপর আবার জগন্নাথদার সিস্টেম।
  • kallol | 115.184.93.66 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৪৬505068
  • হুম।
    লসাগু তো ঠিকই বলছে। ঘনাদার হিসেবে কিছু ঝামেলা আছে। ৫০০০ হাত যদি ১৩০০০ ফুট হয় তো ১ হাত ২.৬ ফুট।
    ও ঘনাদা এ তো জমলো না।
    এক হাত দেড় ফুট ধরাই যায়। সেক্ষেত্রে সভাটি ১.৪২০ মাইল লম্বায় ও চওড়ায়।
    তবে আমি সেটায় খুব একটা উৎসাহিত নই। তখন জমি অধিগ্রহনে সরকার পড়ে যেতো না।
    আমার কথা হলো এখন একটা হাজার বর্গফুটের তিনতলা (মানে জি+৩) বাড়ি বানাতে যন্ত্রপাতি ব্যাবহার করে দেড় বছর তো লাগেই। তখনকার দিনে লোক লাগিয়ে অত বড়ো আর অ্যাতো কারুকার্য্যওয়ালা সভা বানাতে এতো কম সময়! মাত্রে ১ বছর ২ মাস!
    যেটা আগের পোস্টে বললাম, সৌধটিকে সভা বলা হচ্ছে, প্রাসাদ নয়। তবে কি আলাদা করে ঘর ছিলো না। দেওয়াল তো ছিলো বর্ণনাতেই আছে রত্নখচিত প্রাকার। কক্ষ কথাটাই নেই। এর পর ইন্দ্র, যম ও বরুণের সভা বর্ণনা আছে। তাতেও ঐ একই চিত্র। সভাটি বহনযোগ্য, বিশাল আকারের ও অতিশয় মনোরম ইত্যাদি। কোন সভার বর্ণনায় কোথাও কক্ষ কথাটি নেই।
    অর্জুন যুধিষ্ঠিরকে ফাউল করেছিলেন অস্ত্রাগারে। সেখানে ধম্মের ব্যাটা দ্রৌপদীর সাথে কেলি কচ্ছিলো। আর জায়গা ছিলো না?

  • lcm | 69.236.169.179 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৪৭505069
  • মহাভারতের যুগের স্থাপত্য। মহাভারতের যুগ - ব্যাপারটাই তো কনফিউশন। গুলগপ্পো কালোত্তীর্ণ, কোনো যুগ নেই। তার আবার স্থাপত্য?
    বরং, খৃষ্টপূর্ব সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশের স্থাপত্য....
  • kallol | 115.184.93.66 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৫৩505070
  • অ।
    তা ফোনে পছন্দ না হয়, তো পিএনপিসি নামে একটা টই খুলে ফেলুক উৎসাহীজনে।
    এই রে! আমি কি ঠিক করে দিলুম কেমন করে পিএনপিসি কত্তে হবে!
    না, বাপু যেমন খুশী করুন।
  • Ghanada | 223.223.133.116 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৫৮505071
  • আরও একটা তথ্য জানিয়ে রাখি। সংস্কৃত শাস্ত্রে অনেক সময় প্রহেলিকার ব্যবহার আছে। এর কারণ সম্বন্ধে দুর্গাচরণ সাংখ্যবেদান্ততীর্থ রচিত * প্রহেলিকা* কাব্য দেখে নিতে পারেন।
    এখানে অনেকেই হয়তো দেখে থাকতে পারেন।
    এই প্রহেলিকতে, প্রথমে একটা অর্থ মনে হয়, তবে আসল অর্থটা কিন্তু অন্যরকম।
    উদাহরণ:-
    *হতে হনুমতারাম: সীতা হর্ষমুপাগতা
    রুদন্তি রাক্ষসা সর্বে হা হা রামো হতাহত:*
    যাঁরা সংস্কৃত জানেন, তাঁদেরও এই শ্লোকের অর্থ নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়।
    মনে হতে পারে, হনুমান রামকে মারলে সীতার আনন্দ হয়েছিল.........ইত্যাদি।
    কিন্তু আসল অর্থটা হল:-
    হনুমান আরাম ( অশোকবন) নষ্ট করলে সীতা নিজের উদ্ধারের আশায় আনন্দ পেয়েছিলেন। রাক্ষসেরা হায় রাম ( আরাম= অশোকবন) করে কেঁদেছিল।
    আরও আছে। বাহুল্যবোধে আর দিলাম না।
  • lcm | 69.236.169.179 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ০১:০৭505073
  • ওহ্‌, ঘনাদার প্রহেলিকার উদাহারণটি খাসা।
    আরো দু একটা দিন।
  • kallol | 115.184.93.66 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ০১:০৭505072
  • তবে মহাভারতের সহস্র নিয়ে আমারও একটু দ্বন্দ আছে। হাজার বছর ধরে কেউ তপস্যা করছে। ব্যাটা তবে মরবে কবে?
    কিন্তু অন্য সব সময়ের হিসেব তো দিব্যি পাক্কা। বারো বছরের বনবাস তো যথাযতই লাগে।
  • Ghanada | 223.223.138.188 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ০১:১৯505074
  • তবে দিলুম
    এক ব্যকরণবিদ ব্রাহ্মণ রাজার কাছে এয়েছিলেন, কিছু প্রাপ্তির আশায়।
    রাজা বললেন- ব্যকরণও হবে আবার আপনার পরিস্থিতির বর্ণণাও হবে, এরকম একটা শ্লোক যদি এক্ষুনি বানাতে পারেন, তবে আপনাকে আমি ধন দৌলত দেব।
    ব্রাহ্মণ বললেন:-
    *দ্বন্দ্বো হং দ্বিগুরপি চাহম
    মদগেহে নিত্যমব্যয়ী ভাব:
    ত্‌ৎপুরুষ কর্মধারয়
    যেনাহং স্যাৎ বহুব্রীহি:*
    এখানে দেখুন- সমস্ত সমাসের নাম এক জায়গায় আছে।
    কিন্তু মানেটা হলো:-
    আমরা বাড়ীতে স্বামী- স্ত্রী দুইজন আর আছে দুটি গরু।
    আমার বাড়ীতে সব সময় ব্যায়ের অভাব ( মানে আয় নেই, তাই ব্যয় নেই) । তাই হে মহান পুরুষ, আপনি এমন কিছু করুন যাতে আমি বহু ধান্য শালী হতে পারি। ( ব্রীহি = ধান)
    আজ চলি। শুভরাত্রি।
  • a | 208.240.243.170 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ০১:২৭505075
  • কল্লোলদাকে আমার লেখাটা এই টই থেকে উইথড্র করলুম। টই এর আলোঅচনা বেশ ভালো জমে উঠেছে, তাই ডিস্ট্র্যাকশনের মানে হয়না
  • nk | 151.141.84.194 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ০১:৩৭505076
  • মহাভারতের স্থাপত্য দেখতে এসে দেখি কুরুক্ষেত্র! আরে আগে সভা টভা তৈরী হোক, তারপরে তো যুদ্ধ! :-)

    তা ভারতযুদ্ধের কাল কি স্থিরীকৃত হলো? আর্যভটের মীমাংসাই মেনে নেওয়া হলো?
    আর সেই পাটলিপুত্রের ঔদকদুর্গ? আর সেই প্রাচীন পাঁচিল, গিরিব্রজে? আর সেই মিশরের পিরামিডে "বাসাংসি জীর্ণানি" শ্লোকটার ব্যাপারে কী মীমাংসা হলো?
  • T | 14.139.128.11 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ০৩:৩১505078
  • কই ঘনাদা, মিশরের ঐ গীতার শ্লোক পাওয়ার ব্যাপারটার তথ্য ইত্যাদি কিছু তো দিলে না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন