এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মহাভারতের যুগের স্থাপত্য বিষয়ে

    nk
    অন্যান্য | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ | ১১৯৩২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PM | 86.96.228.84 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:৫৬505362
  • কালোল-দা সেটা ঠিক আছে। অর্থশাস্ত্র লেখা হয়েছে খ্রী: পু: ৩য় শতব্দী তে। কেনো জানি না আমার মনে হয় মহাভারতের লেখাও অনেক আগের। অনেক প্রক্ষিপ্ত অংশ জুরে হয়তো গুপ্তযুগে নতুন করে লেখা হয়।

    ওপড়ার ছেলে কি সাঁচী স্তুপ দেখেছেন। ওটাও খ্রী: পু: ৩য় শতাব্দী-তে তৈরি। সেটার যেটুকু বেঁচে বর্তে আছে তাও তো কুঁড়ে বাড়ি বলে মনে হয় না। তার ওপোর সেটা আবার পাহাড়ের ওপোর।

    তবে আপনার স্থাপত্য আর ইন্টর্নেট-এর তুলনাটা ঝক্কাস। এক্কেবারে চেথেছিপগে :) (সিকির কাছ থেকে শেখা)
  • arindam | 14.99.98.109 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৮:০৩505363
  • আরে চুক্কি খাবেন না , ইপ্সিতার এসব অশ্রুপাত একেবারে classical attention seeking behaviour । না লিখতে চাইলে চুপচাপ থেমে গেলেই হত। বলেকয়ে ন্যাকামি করার মানে সিগনাল - কয়েকজন একটু আহাউহু করে তেল মারলেই উনি আব্বার সকলের ঝাঁট জ্বালাতে ফিরে আসবেন সেইটির অপেক্ষায় আছেন।
  • PM | 86.96.228.84 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৮:১৮505364
  • বন্ধুদের আহা উহু করবো না তো কাকে করবো? বেপারার গবা পাগলাকে?

    ঐ যে শোলোক-এ আছে " রাজদ্বারে শ্মশানেচ য: তিষ্ঠতি স: বান্ধব:"।

    সেই কেলাস ৮ এ পড়েছিলাম। কি স্মৃতি শক্তি। প্রবাসে ফোর্সড ব্রহ্মচর্য্য পালন করছি তো তাই স্মৃতিশক্তি বেড়ে গেছে :)। আজ বাড়ী গিয়ে নিজেকে রাম থুরি সোমরস খাইয়ে দেবো।
  • Sibu | 108.23.41.126 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৮:৩২505365
  • সক্কলে দিচ্ছে, আম্মো আর্কিওলজি, আর্কিটেকচার এই সব নিয়ে থিওরি দেব। দেবই দেব :(।

    খাজুরাহো ইত্যাদি মন্দিরের ছাদ কর্বেলিং করে বানানো। ট্রু কিস্টোন-ওলা আর্চ হিন্দুরা বানাতে জানতো না। উটি মোচলমানেদের সাথে ভারতে আসে। তো কর্বেল করে উঁচু বাড়ী বানানো যায়, কিন্তু বেশী স্প্যান পাওয়া যায় না। অর্থাৎ, ঐ ভাবে প্রাসাদ বানালে প্রাসাদের ঘরগুলি মন্দিরের ঘরের মত ঘুপচি ঘুপচি হত। তাই এটা হয়ত সম্ভব, যে রাজা গজারা দেবতাকে পাকা বাড়ী বানিয়ে দিয়ে নিজেরা কাঠের ঘরে থাকতেন। তাই মন্দির পড়ে আছে, কিন্তু কাঠের প্রাসাদের কোন চিহ্ন নেই।
  • PM | 86.96.228.84 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:০৬505366
  • শিবুবাবু, লোক-এ বলে মৌর্য যুগে ভারতিয় স্থাপত্যে ও শিল্পে গ্রিক আর পার্সিয়ান প্রভাব চিলো প্রচুর-

    "Chandragupta marched on Magadha with a largely Persian army to win the throne and having overthrown his kinsmen, the last Nanda, with this Persian host of his, he then proceeds to build himself palaces directly modelled on Persepolis. He fills these palaces with images of foreign types and decorates them with Persian fashion. He organizes the court along purely Persian lines, and pays regard to Persian ceremonial down to the washing of his royal hair. the script he introduces is of Achemenid origin; the inscriptions of his grandson still imitate Darius's. His very masons are imported Persians for whom the monarch has such marked regard that he ordains a special set of penalties for all who injure them, while they link the name of Ahura Mazda with the Mauryan palaces that it still echoes down the ages to our day as the Asura Maya." from D.B. Spooner (Director-General of Archeology in India), p. 417. The Zoroasterian Period of Indian History.

    তবে সব-ই সাদা লোকের মুখের ঝাল। কতোটা সত্যি জানি না।
  • Sibu | 108.23.41.126 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:২২505367
  • @PM

    এইটে একটা ইন্টারেস্টিং খবর, মানে পার্সিপোলিসের কপি করে চন্দ্রগুপ্তের প্রাসাদ বানানো। পারিপোলিসের ছাদও কিন্তু কাঠের ছেল (যদ্দুর জানি)। পারিপোলিসের সেই বিখ্যাত পিলারগুলোর অপূর্ব সুন্দর ক্যাপিটাল শুধু ডেকোরেটিভ নয়। ওগুলোর একটা ফাংশনাল জায়্‌গা আছে। কাঠের বীম ঠিক করে ধরে রাখা। তো পার্সিপোলিসের কপি কল্লে মৌর্য্য রাজাদের প্রাসাদ কাঠের ছাদ আর পাথরের স্তম্ভ হবার কথা।

    এখন প্রশ্চেন, পাথরের স্তম্ভের কোন আর্কিওলজিকাল এভিডেন্স নাই কেন? সে নিয়ে ঐ বইতে কি সাহেবেরা কিচু কয়েচেন?
  • kd | 59.93.241.74 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:২৭505368
  • অ্যাই দ্যাকো দ্যাকো! ও'পাড়ার সেই সঅঅবজান্‌তা ভদ্দরনোক এ'পাড়াতেও হাজির। অ্যাদ্দিন তো ফুট্‌ফাট চলছিলো, এ'বার গ্যানের ফুলঝুরি ছুটবে। আর বড়েরা ধন্যি ধন্যি করবে।

    গুরুর ষোলকলা পূর্ণ।

    ডি: এখন তো এখানে এই চলছে। আমিই বা বাদ থাকি কেন। :)
  • maximin | 59.93.164.141 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:৩৬505369
  • ডিডি, সাদা কালো নিয়ে জ্যোতিষ টইতে ওটা ম্যাক্সিমিনি লেখেনি, সে ঘনাদাকে কোট করেছে, আর বলেছে এটা শুনে খুব আনন্দ হল। উল্টোটা তো শুনেই আসছি বহুদিন ধরে। সেটাও যে সব সত্যি, তাই বা কে বলতে পারে?
  • maximin | 59.93.164.141 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:৪৮505370
  • সংস্কৃত অলঙ্কার বইতে রূপকের উদাহরণ ছিল। ইন্দ্রপ্রস্থের চারটি স্তম্ভ হল বিষ্ণুর চারটি হাত, যা এই পৃথিবীকে ধরে রেখেছে। যদিও এটা স্থাপত্যের বর্ণনা নয়, তবুও বলতে ইচ্ছে করল।
  • PM | 2.50.41.123 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:০৮505372
  • চন্দ্রগুপ্তের প্রাসাদ বোধ হয় মুলত: কাঠের-ই ছিলো।
    তবে মেগাস্থেনিস দেখে খুব চমকে গেছিলো। তখনকার পাটুলীপুত্র আর তার রাজপ্রাসাদ নিয়ে মুল বর্ননা ওর লেখা থেকেই পাওয়া যায়। তবে ভদ্রলোক অনেক ঢপ-ও মেরেছিলেন।

    ফা হিয়েন ওর বর্ননায় চন্দ্রগুপ্তের প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ দেখার কথা বলেছিলেন।

    ASI বলছে "It was even concluded that Pataliputra had been washed away by the river."

    তবে খাজুরহো আবিস্কার হয়েছে ১৮৩৮-এ (এখোনো খোঁড়াখুঁড়ি চলছে) , তার আগে কেউ খাজুরহের নাম-ও শোনেনি, অথচ মত্রো ১০০০ বছর আগে সেটা এমন রমরমা জায়গা ছিলো। নালন্দা মাটি খুঁড়ে পাওয়া যায় ১৮৬০-এ, লোথাল (খ্রী: পু: ২৪৫০ - ১৯০০ ),চন্দ্রকেতুগড় (খ্রী: পু: ৫ম) দুটো-ই ১৯৫০এ। আরো পাওয়া যাবে হয়তো। কতো ইতিহাস পড়ে আছে মাটির তলায়, আমাদের পড়ার মতো সময় থাকলে তবে তো।
  • PM | 2.50.41.123 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:৩৩505373
  • দ্বারকা সংক্রান্ত রিসার্চ পেপার
    http://drs.nio.org/drs/bitstream/2264/507/1/Migration_Diffusion_6_56.pdf
    বলছে এখানে নোঙর পাওয়া গেছে যা ২৫০০বিসির-ও হতে পারে।

    আরেক্টা খবর দেখলাম যে সবচেয়ে পুরনো নোঙর অবিষ্কার হয়েছে লোথাল-এ। তাহলে দেখা যাচ্ছে আমাদের নৌযাত্রার ইতিহাস বেশ পুরনো।

    আরেকটা খবর দেখলাম যে প্লিনির লেখা বলছে জে ১০০ AD যে ইতালির সাথে ভারতের নৌ বানিজ্য ছিলো।

    অবশ্য এটা স্থাপত্য সংক্রান্ত খবর নয়, অন্য পাতায় জাহাজ নিয়ে মারামারি হচ্ছিল বলে দিলাম
  • PM | 2.50.41.123 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:৪৮505374
  • আরেকটা পেপার দেখলাম
    "An Encient Harbour at Dwarka : Study based on recent Underwater Exploration". গোয়ার National Inst. of Oceanography" থেকে বেড়োনো পেপার।
  • kallol | 115.242.182.131 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:২০505375
  • দ্বারকায় প্রচুর পাথরের থাম, নোঙ্গর, অর্ধবৃত্তাকার, চৌকো পাথর পাওয়া গেছে, কিন্তু দৈনিক ব্যবহার্য বস্তু, যেমন থালা, বাটির টুকরো জাতীয় কিছুই মেলেনি।
    দ্বারকাকে যদি মহাভারতের কালের শহর বলে ধরি, তবে কিছু সূত্র পাওয়া যায় কি?

  • Sibu | 74.125.59.177 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:০২505376
  • পিএমের পেপারটা পরে পড়ব। তবে কয়েকটা কুইক অবজার্ভেশন।

    ১। আমি আর্কিওলজির ব্যাপারে এক্ষপার্ট না। আমি ভুল জানতেই পারি।

    ২। নৌ-বানিজ্য ছিল, আর নিজেদের ব্লু সী নেভি ছিল - এ দুটো ঠিক এক ব্যাপার নয়। ধরুন বাঙালীর নৌ-বানিজ্য ছিল। কিন্তু অলমোস্ট সার্টেনলি ব্লু সী নেভি ছিল না। থাকলে জলদস্যুর উৎপাতে বাঙালীর নৌ-বানিজ্য উৎখাত হত না। শরদিন্দুর লেখায় জলদস্যুর একটা সংস্কৃত নামও পড়েছি - হিংস্রিকা।

    ৩। বাঙালীর নদীতে যুদ্ধ করার মত শক্তি ছিল। রামায়নের বা অন্যত্র নেভির যে উল্লেখ পড়লাম, সেও নদীতে যুদ্ধ করার জন্যই মনে হল।

    ৪। হতেই পারে হরপ্পার অধিবাসীদের জাহাজ আর্য্যদের চেয়ে অনেক ভাল ছিল। আর্য্য বিজয়ের পরে ভারতীয় জাহাজ শিল্পের পশ্চাৎগতি হয়। আরো একটা ব্যাপার খেয়াল করার মত। বন্দর থাকা মানেই বড় নেভি বা মার্চেন্ট ফ্লীট থাকা নয়। বন্দর বিদেশী বনিকদের সুবিধার জন্যেও করা হয়ে থাকতে পারে।
  • dukhe | 117.194.243.169 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:২৪505377
  • আরে ম্যাক্সিমিন, ডিডিদা আজ এট্টু ভুলভাল ফর্মে আছেন । অ্যাদ্দিন চেন্নাইতে থাকলে যা হয় । পাইকেও বলি চেন্নাইয়ের প্রকোপকে ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখতে । দিনের পর দিন রসম আর কার্ড রাইস চললে আমি হয়তো লোককে কামড়েই দিতাম ।
  • PM | 2.50.41.123 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:৩৭505378
  • dd বাবুর কাছ থেকে এটা সত্যি দু:খজনক। আপনার লেখার পাখা আমি। তাই আরো বেশি দু:খ।
  • Sibu | 74.125.59.177 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:৪৭505379
  • একটা কথা বলব কি বলব না ভাবছি। তো বলেই ফেলি।

    ডিডিদা এখানে একজন সর্বজনপ্রিয় মানুষ। লেট আস নট ট্রীট হিম অ্যাজ এ চাইল্ড। পাইকে উনি যা বলেছেন সেটা উনি নিশ্চয়ই ভেবে চিন্তে বলেছেন। বিশেষত: উনি নিজেই যখন বলেছেন যে উনি এই কথাটা কিছুদিন ধরেই বলবেন ভাবছিলেন। কেউ একজন লোকের ডেলিবারেট কমেন্টের সাথে একমত না হতেই পারে, সেটা এক কথা। কিন্তু তার জন্য সেই মানুষটিকে - আহা, দু:খে-কষ্টে ওনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে, এরকম বলাটা ইনসাল্টিং।

    সো ফার আই অ্যাম কনসার্নড, আমি মনে করি ডিডিদা ন্যায্য কথাই বলেছেন।
  • Shibanshu | 117.195.143.15 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:৫১505380
  • আলোচনাটি শুরু হয়েছিলো একটি বিষয় নিয়ে । তার পর তা নানামুখী স্রোতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এমন কি অনুমান করি ব্যক্তিস্তরের মনান্তরের ছোঁয়াও লেগেছে কোথাও। সত্যি দুর্ভাগ্যজনক।

    কয়েকটি কথা, যা ইতোমধ্যে বলা হয়েছে হয়তো, তাই নিয়ে দুচারটি কথা। আমি টইয়ের মূল বিষয়টির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবো।

    . মহাভারত ইতিহাস নয়, মহাকাব্য। তাই তার প্রামাণ্যতার প্রস্তরফলক খুঁজে বেড়ালে বিশেষ লাভ হবেনা।

    . মহাভারতের কাল নিয়ে এতোগুলি মতবাদ আছে যে তাই নিয়ে কোনও স্থির নির্ণয়ে পৌঁছোনো যায়না। কারণ মহাভারতের যুদ্ধের কাল ও মহাভারত রচনাকালের মধ্যে ব্যাপক ব্যবধান রয়েছে।

    . মহাভারতের যুদ্ধের 'বিশালত্ব' নিয়ে বহুরকমের অতিশয়োক্তি রয়েছে। এই অতিশয়োক্তি মহাকাব্যের অঙ্গ, ইতিহাসের নয়। ঋগ্বেদ রচনাকাল আর গৌতমবুদ্ধের অভ্যুত্থান, এর মাঝে চার পাঁচশো বছরের যে সময়কাল, যাকে উত্তর বৈদিক যূগ বলা হয়, সে সময়টিতে ঋগবেদের অর্বাচীন অংশ, ব্রাহ্মণ ও উপনিষদগুলি রচিত হয়েছিলো। এই পর্বটিকে একসময় এপিকযুগ নাম দেবার প্রচেষ্টা দেখা যায়। এই সময়ে আর্যরা গাঙ্গেয় অববাহিকা ধরে পূর্বদিকে এগিয়ে আসছিলো। হস্তিনাপুর, অহিছত্র ও কৌশাম্বির খনন থেকে যেসব পুরাতাঙ্কিÄক নিদর্শন পাওয়া গেছে তা এতই নগণ্য যে তার থেকে এ সময়ের কোনও প্রামাণ্য ইতিহাস প্রতিষ্ঠা করা যায়না। হস্তিনাপুরে কিছু ভাঙাচোরা মৃৎপাত্র, সামান্য তামার জিনিসপত্র ও কাঁচা ইঁটের অবশেষ, এর বেশি আর কিছু পাওয়া যায়নি। কৌশাম্বিতে অবশ্য এর সঙ্গে পোড়ামাটির নগরপ্রাচীরের নিদর্শনও দেখা গেছে। অহিছত্রের পশ্চিমে সরস্বতীর উপত্যকাতেও এই সব প্রত্ন অবশেষই সম্বল। তাই এর ভিত্তিতে কোনও ইতিহাসকালকে প্রামাণ্যভাবে ধরে ফেলা সম্ভব নয়। যা আছে তা মূলত অনুমান ও কল্পনা এবং যার আকর মহাকাব্য ও পুরাণ।

    . আমাদের মহাকাব্যের যে আখ্যানভাগ তার আদি সূচনা হয়তো এই সময়েই হয়েছিলো, কিন্তু প্রকৃত রূপপরিগ্রহ করে মৌর্যযুগ থেকে গুপ্তযুগের মাঝের সময়ে। এই অনুমানের প্রত্নতাঙ্কিÄক সাক্ষ্য অপ্রতুল, কিন্তু স্মৃতিশাস্ত্রের বিবর্তনের পথরেখা ধরে একটি নির্ণয়ে পৌঁছোনোর প্রচেষ্টা চলে। উত্তরবৈদিক কালের মনুস্মৃতি ও মৌর্যযুগের অর্থশাস্ত্র, এই দুই আদি স্মৃতিগ্রন্থের বহু নিষ্কর্ষ মহাভারত ও রামায়ণে পাওয়া যায়।

    . উত্তরবৈদিক কালে আর্যদের পশ্চিম উপনিবেশে সবচেয়ে ক্ষমতাশালী উপজাতি ছিলো কুরু ও পাঞ্চাল। কুরুক্ষেত্রে তখনকার মাপে একটা বেশ বড়ো গৃহযুদ্ধ হয়েছিলো একথা স্বীকার করা যায়। কারণ এই যুদ্ধের অভিঘাত বহুকাল ধরে ঐ অঞ্চলে নানা প্রবাদ, কিম্বদন্তী ও লোককথায় প্রচলিত ছিলো। তাই পুরোটাই কল্পনা নয়। তবে সেই যুদ্ধে প্রাগজ্যোতিষ-কামরূপ থেকে সিন্ধু-গান্ধার এবং কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত সমগ্র ভারতবর্ষ যোগ দিয়েছিলো একথা স্বীকার করতে কষ্টকল্পনার আশ্রয় নিতে হবে। কারণ এই সময়ের মধ্যে আর্যরা পূর্বদিকে বড়োজোর কোসলদেশ পর্যন্তই পৌঁছোতে পেরেছিলো। মগধ বা আরো পূর্বে অঙ্গদেশ পর্যন্ত আর্যদের পৌঁছোতে তার পরেও অনেকদিন লেগেছে। ভারতবর্ষের এই ভৌগোলিক ব্যপ্তির ধারণা সম্রাট অশোকের জয়যাত্রার আগে খুব স্পষ্ট ছিলোনা এবং গুপ্ত সাম্রাজ্যের সম্প্রসারনের সূত্রে তা একটি সামগ্রিক ভারতরাষ্ট্রের রূপ পরিগ্রহ করে। একথা ভাবা খুব ভুল হবেনা, যে মহাভারত আমরা আজ পড়ি, তার মধ্যে এই দীর্ঘ 'কালের যাত্রা'র নিজস্ব ছাপ থেকে গেছে। তাই মহাভারতে যে সব স্থাপত্য ও বাস্তুকলার বিবরন পাওয়া যায়, তার সময়কালের পরিধির মধ্যে খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ-সপ্তম শতক থেকে খ্রিস্টিয় চতুর্থ শতক পর্যন্ত নানা সংযোজন হয়েছে। এখানেও পাথুরে প্রমাণ দেওয়া সম্ভব নয়, কারণ হস্তিনাপুর বিধ্বংসী বন্যায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিলো।

    . সঙ্গতভাবেই এই বিষয়ে প্রথম ডকুমেন্টেড ইতিহাস মৌর্যযুগের আগে পাওয়া যায়না। তাও মেগাস্থিনিসের নামে নানা গালগল্পের সঙ্গে কিছু ইতিহাস উপাদান আমাদের জ্ঞাত হয়েছে। মেগাস্থিনিসের লেখার উপর স্ট্রাবো ও আরিয়ানের টীকা অনুযায়ী পাটলিপুত্ত শহর কাঠের প্রাচীর দিয়ে ঘেরা ছিলো। এই প্রাচীরে পাঁচশো বুরুজ ও চৌষট্টিটি দ্বার ছিলো। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে সেখানে নগরপ্রাকারই যদি দারুনির্মিত হয়, তবে বাসভবন ও প্রাসাদও কাঠেই নির্মিত হতো। মেগাস্থিনিসের বর্ণনা অনুযায়ী চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের প্রাসাদ ছিলো দারুনির্মিত, বিপুল আকার, বিলাসবহুল, এবং অতি কারুকার্যময়, মণিরত্নখচিত।

    . এবার শিবু। আমার দীর্ঘ উত্তরবিহারে বসবাসকালে আমি মৌর্যকালীন অবশেষগুলিকে আগ্রহসহকারে ঘুরে দেখেছিলুম। এই প্রসঙ্গে বলি, গঙ্গার দক্ষিণে মগধ, অর্থাৎ পাটলিপুত্ত ও উত্তরে বৈশালী, দুই জায়গাতেই অশোককালীন স্থাপত্যের অবশেষ দেখা যায়। অশোকের স্তম্ভ ও শিলালিপি এখনও দেশের নানা স্থানে দেখা যায়, তাই তা বেশ জানিত তথ্য। কিন্তু যদি শুধু পাটলিপুত্তের উদাহরণই নেওয়া যায়, তবে দেখবো পূর্ব পাটনার শহরতলিতে কুম্‌হরার নামক অঞ্চলে যে বৌদ্ধবিহারের অবশেষ পাওয়া গেছে সেখানে বেশ কিছু প্রস্তরস্তম্ভ প্রদর্শিত হয়। ঐ প্রত্নস্থানটিতে আমি বারবার গিয়ে বুঝতে প্রয়াস পেয়েছি মূল নির্মানটি কেমন ছিলো। যদিও বেশ বিশদ ভিত্তিচিহ্নের রূপরেখা আছে, কিন্তু সুপারস্ট্রাক্‌চারটি কেমন ছিলো তা অনুমান করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের সময় দেশীয় স্থপতিরা প্রস্তর স্থাপত্যে পারদর্শী ছিলোনা। এর কারণ হচ্ছে গাঙ্গেয় অববাহিকায় স্থাপত্যের উপযুক্ত পাথরের দুÖপ্রাপ্যতা এবং একই সঙ্গে উত্তম মানের কাঠের সহজলভ্যতা। ঐ সময় পূর্ব ও মধ্য ভারতে যা কিছু প্রস্তর স্থাপত্য পাওয়া যায় তা সবই বারাণসীর দক্ষিণে চুনার থেকে আনা। এই সব পাথরের যেসব স্থাপত্য আমরা আজ দেখতে পাই তা পারস্য থেকে আসা স্থপতিদের কীর্তি। অবশ্য যে স্তম্ভগুলি কুম্‌হরারে দেখেছি সেগুলি বেশ দীর্ঘ ও পোক্ত হলেও নিরলংকার। পার্সিপোলিসের সঙ্গে কোনও মতে তুলনা চলেনা। ঐ একই রকমের স্তম্ভের অবশেষ বৈশালীর প্রত্নক্ষেত্রেও দেখা যায়। উচিত খনন কাজ হলে হয়তো অনেক নিদর্শন পাওয়া যেতো, কিন্তু তা অনেক শতাব্দীর মনীষীর কাজ। কারণ এই দুহাজার বছরে গঙ্গা এতোবার তার পথ পাল্টেছে যে সাবেক পাটলিপুত্তের কোনও সঠিক প্রত্ননির্দেশ পাওয়া সম্ভব নয়। তবে বছর পনেরো আগে ফ্রেজার রোড চৌমাথায় যখন একটি বিশাল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের জন্য খনন চলছিলো তখন ভূমিগর্ভ থেকে মৌর্যকালীন নানা প্রত্নচিহ্ন পাওয়া গেছিলো।
  • dukhe | 117.194.237.53 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:০১505381
  • মনে করা নিয়ে তো তর্ক হয় না । ডিডিদাও লিখেছেন এটা ওনার 'বিশ্বাস' ।

    সেই ক্লাসে কী একটা চুরি হওয়ায় ভোলানাথ (নাকি জগ্যিদাস) বলেছিল - অমুকে নিয়েছে । পণ্ডিতমশায় বললেন - কেন বললে ? তুমি নিতে দেখেছ ? - তাইতে মাথাটাথা চুলকে বলল - আজ্ঞে আমার ওরকম মনে হয় ।

    চাইল্ড-ফাইল্ড না, সব কথা অত সিরিয়াসলি নিতে নাই । রবিদাদুই দেখুন প্ল্যানচেট বাবদ বুজরুক খেতাব পেয়ে গেলেন ।

  • T | 14.139.128.11 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:১৩505383
  • শিবাংশু বাবুকে এ বিষয়ে আরো লিখতে অনুরোধ করি।
  • Ghanada | 223.223.134.158 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৩৮505385
  • শিবু বাবু যথার্থ কথা বলেছেন। এই ব্যাপার নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে ওনার সঙ্গে একমত।
    আদিতে মহাভারতের শ্লোক সংখ্যা ছিল মোটে ৯,০০০। পরে সেটা এক লক্ষে দাঁড়ায়।
    বোঝাই যায়, পরের শ্লোক গুলি প্রক্ষিপ্ত- আপন মনের মাধুরী মিশায়ে। অথবা সমকালীন ঘটনাকে পুরাকালীন বলে প্রক্ষিপ্ত হয়েছিল।
    রামায়ণ, মহাভারত সহ প্রায় সব গ্রন্থ- ই দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের আমলে লেখা হয়েছিল, এটা অনেকাংশে সমর্থন যোগ্য।
    তবে, সম্রাট অশোকের সময়তেও এই পুর্নযোজন করা হয়েছিল।
    এবার:-
    Name:kdMail:Country:

    IPAddress:59.93.241.74Date:28Dec2011 -- 07:27PM

    অ্যাই দ্যাকো দ্যাকো! ও'পাড়ার সেই সাঅবজান্তা ভদ্দরনোক এ'পাড়াতেও হাজির। অ্যাদ্দিন তো ফুট্‌ফাট চলছিলো, এ'বার গ্যানের ফুলঝুরি ছুটবে। আর বড়েরা ধন্যি ধন্যি করবে।

    গুরুর ষোলকলা পূর্ণ।

    ডি: এখন তো এখানে এই চলছে। আমিই বা বাদ থাকি কেন। :)

    কাব্লের পোষ্টের উত্তরে বলি- আমি এই টইতে প্রথম এলাম।

  • nk | 151.141.84.194 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৩৮505384
  • আরে শ্‌শাবাস! কতো লেখা হয়ে গেছে! ছোটোখাটো ঝড়ও হয়ে গেছে!

    ইতিহাস নিয়ে যতো নাড়াচাড়া হয় ততই ভালো, নইলে কী যেন একটা ক্ষতি হয় বলে শরদিন্দুবাবু লিখেছিলেন। বিদ্যাসাগর আর বঙ্কিমও লিখেছিলেন ইতিহাস না চর্চা করলে বাইরের লোকেরা কী যেন ক্ষতি করে যায়।

    আমার একটি নিবেদন আছে, মহাভারত যুদ্ধের কাল নির্ণয় একটি ঘোর প্যাঁচালো ব্যাপার, নয় কি? এই নিয়ে কেউ একটু যদি বলেন। বিশাল হাজার হাজার বছর হিসাব তো সাধারণ ক্যালেন্ডারে হয় না, জ্যোতির্বিদ্যা খানিকটা সহায় হতে পারে মনে হয়। কোথাও একটা এই নিয়ে কিছু ছিলো, লাট্টুর মতন ঘোরা পৃথিবীর precession of the equinoxes মনে হয় একটা সুবিধা দিতে পারে, যার জন্য ধ্রুবতারা বদলে বদলে যায়, ২৬০০০ বছরে একটা গোটা সাইকল ঘুরে আসে। এই ব্যাপারটাকে কাজে লাগিয়ে মহাভারত যুদ্ধের আনুমানিক কালনির্ণয় কি করা হয়েছে কোথাও? কেউ লিখুব প্লীজ।
  • PM | 2.50.41.123 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৪৭505386
  • দেখুন শিবু বাবু, যখন কেউ খোলা পাতায় লিখবেন, তিনি যত জনপ্রিয়-ই হোন হন যতো পন্ডিত-ই হোন আমার মতো অনেক পাঠক-ই থাকবে যারা ঐ নিদিষ্ট বিষয়ে মুর্খ। তাই আমার মোতো মুর্খ লোকেরা তো প্রশ্ন করবেই। এই মুর্খতাকে হিসেবে ধরেই কি খোলা পাতায় লেখা উচিত নয়? না হলে তো স্ট্যটিক লেখাই লেখা ভালো যেখানে করোর কিছু বলার নেই .... আমি বললাম- এইবার তুমি বোঝো কি না বোঝো তা তোমার ব্যেপার।

    বহু ক্ষেত্রে হেটা খাবার ভয়ে আমার মনে কোনো প্রশ্ন জাগলেও করি নি কারন কতোটা বোকা বোকা প্রশ্ন হবে হয়তো বুঝতে পারি নি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই পাই দেখেছি প্রশ্ন গুলো করে ফেলেছেন।

    আমার মনে হয়েছে পাই অত্যন্ত বুদ্ধিমান লোক যে গুরুতে আমার মোতো বোকা কিন্তু জানার ইচ্ছা আছে এরকম লোকেদের প্রতিনিধিত্ত করে এই ফোরামে।

    আর বহু ক্ষেত্রেই দেখেছি পাই-এর প্রশ্ন-ই টইকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। না হলে বহু টই-ই হয়তো দুপাতায় শেষ হয়ে যেতো।

    আর একটা কথা মনে হচ্ছে অপরাধ নেবেন না। মেয়েদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কুট প্রশ্ন শোনার জন্য কি এখনো আমরা মানসিক ভাবে প্রস্তুত নই?
  • nk | 151.141.84.194 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৪৮505387
  • এই তো! ঘনাদা এসে গেছেন! ভারতযুদ্ধের কাল নির্ণয়ে ঐ ধ্রুবতারা পাল্টে পাল্টে যাওয়া চক্রটা কি কোনো সুবিধা দিতে পারে? আপনি যে মহাদশা র কথা কইছিলেন, সেটা কি precession of the equinoxes?

    ঋগ্বেদের সময় কি এই আজকালকার পোল স্টার টাই ধ্রুবতারা ছিলো, নাকি থুবান নাকি অভিজিৎ নাকি অন্য কোনো তারা? এই এভিডেন্স খুব পোক্ত এভিডেন্স, এটা তো কবিতা বা মন্ত্র না, আকাশের তারা, এতো ম্যানিপুলেট করা যাবে না!
  • Sibu | 74.125.59.177 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৫০505389
  • থ্যাংকু শিবাংশু। আমি মনে মনে খুব এক্সপেক্ট করছিলাম যে তুমি এই আলোচনাতে ঢুকবে। দেখলাম এই যুগেও কখনো কখনো সাইলেন্ট প্রেয়ার কাজ দেয় :)।

    আমি আসলে ভারতে খুব কম ঘুরেছি। অল্প বয়েসে দেশ ছাড়ার পর কখনো সেভাবে সময় নিয়ে দেশে যাওয়া হয় নি। তাই তোমাদের মত পায়ে সর্ষেওলা মানুষদের চোখেই আমার ভারতদর্শন। সামনের বার যখন দেশে যাব তখন বুদ্ধের পথ ধরে মগধদর্শনের ইচ্ছের কথা তোমাকে বলেছিলাম। বলেছিলাম তোমার অভিজ্ঞতার নিরিখে একটা আইটিনেরারী বানিয়ে দিতে। সেই লিস্টে পাটলিপুত্তও ঢুকিয়ে দিও।

    আমার আসল প্রশ্নটি ছিল এই রকম। হিন্দু যুগের আর্কিওলজিক্যাল এভিডেন্সের মধ্যে মন্দির ইত্যাদি যত পাই, রাজপ্রাসাদ তেমন পাই না। কেন? বিভিন্ন লোকে বিভিন্ন তঙ্কÄ দেয়। কেউ বলেন

    ১। হিন্দু রাজারা পারলৌকিকে মন দিতেন বেশী। বাকোয়াস। কামসূত্রের দেশে এই কথা!! অবিশ্যি কামসূত্র ব্যাপারটা স্রেফ মেল বারফাট্টাই-ও হতে পারে। আবছা মনে পড়ছে কামসূত্রের কোন একটি শ্লোকে ফিমেল অর্গ্যাজম হয় না বলে লেখা আছে। কনফার্ম বা রিবাট করতে পারো নাকি?

    ২। তুমি যেটা বলেছ, রাজপ্রাসাদ ইত্যাদি মাটির নীচে চাপা পড়ে আছে। আরো খোঁজ করলে পাওয়া যাবে।

    ৩। আমি, পেশায় ইঞ্জিনীয়ার, একটি ইঞ্জিনীয়ারীং বেসড হাইপোথিসিস পেশ করছিলাম। আমার হাইপোথিসিস হল, আরামদায়ক পাথরের প্রাসাদ বানানোর টেকনোলজি হিন্দুদের জানা ছিল না। সুতরাং হিন্দু রাজারা কাঠের প্রাসাদ বানাত। তাই পাথরের মন্দির, বিহার ইত্যাদি পাওয়া যায়, রাজপ্রাসাদ পাওয়া যায় না।
  • kd | 59.93.241.74 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৫০505388
  • যা: বাবা! ঘনাদা, ইটা কী তুমায় বলেছি নাকি? :)
  • Ghanada | 223.223.134.158 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৫১505390
  • nk
    প্রাচীনকালে, এখনকার সময়ের মত ব্‌ৎসর নির্ধারণ এতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলনা তাই তারা নক্ষত্র দেখেই সময়ের হিসাব করতেন। আনুমানিক ৫০০০ বছর ধরে ব্‌ৎসর হিসাব করা হচ্ছে। তখন তারা বিভিন্ন নক্ষত্র যেমন সপ্তর্ষী, vernalequinox এর দ্বারা সময় নির্ধারণ করতেআ। বর্তমানে এই হিসাবের উপর ভিত্তি করেই রামায়ন ও মহাভারতের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
    .শ্রীকৃষ্ণের একটি পুরাকীর্তি পাওয়া যায় মহেঞ্জেআদারেআতে যার সময়কাল ছিল ২৬০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ।

    ২। বিষ্ণু পুরাণ থেকে জানা যায় যে, কলি যুগ শুরু হয় ফেব্রুয়ারী ২০, ৩১০২ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ তে। এবং মহাভারত অধ্যায় ঘটে দ্বাপর ধ্বংশ হওয়ার পূর্বে। তাই দেখা যায় ৩১০২ বিসি হচ্ছে মহাভারতের নুন্যতম সময়সীমা।
    ৩। মহাভারতে কথিত নক্ষত্রের অবস্থান যাচাই করে এর তারিখ বের করার চেষ্টা করেছেন অনেক জ্যেআর্তিবিদ। আর্যভাটের হিসাবে ৩১০০ বিসি, ড: পাতনিক এর হিসেবে অক্টেআবর ১৬, ৩১০২ বিসি, আবার ড: পি. ভি. ভর্তক প্রমান করেছেন যে সেই তারিখ হচ্ছে অক্টেআবর ১৬, ৫৫৬১ বি.সি। তাই এক্ষেত্রে আমরা ধরতে পারি যে মহাভারত হয়েছিল সর্বনিন্ম ৩১০২ বিসি থেকে সর্বেআচ্চ ৫৫৬১ বিসি পর্যন্ত সময়ের মধ্যে।
    মিশরে ৩০০০ বিসির একটা পিরামিডে গীতার যে শ্লেআক পাওয়া গেছে তা হচ্ছে
    vasanvsijeernaniyathavihaya, navani
    ghrunnatinaroparani

    মূল শ্লোকটি হল:

    বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায় নবানি
    গৃহ্নাতি নরোঅ পরাণি।
    তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণান্যন্যানি
    সংযাতি নবানি দেহী।অ।
    নৈনং ছেদন্তি শস্ত্রাণি নৈনং দহতি পাবক:।
    ন চৈনং ক্লেদয়ন্ত্যাপো ন শোষয়তি মারুত:।অ।

    গীতা, দ্বিতীয় অধ্যায়, সাংখ্যযোগ, শ্লোক ২২,২৩

    (২২- মানব যেমন পুরাতন বস্ত্র ত্যাগ করে নতুন বস্ত্র পরিধান করে, আত্মাও সেভাবে পুরাতন দেহ ছেড়ে নতুন দেহ ধারণ করে। ২৩- এই আত্মাকে অস্ত্র দিয়ে ছেদ করা যায় না, অগ্নি একে দগ্‌ধ করতে পারে না, জল একে আদ্র করতে পারে না এবং বায়ু একে শুষ্ক করতে পারে না।)
    অনেক স্কলাররা এখনও দাবী করেন যেহেতু মিশরে গীতার শ্লেআক পাওয়া গেছে তাই শ্রীকৃষ্ণ মিশর থেকে গীতার জ্ঞান আহরণ করেছেন। কিন্তু কথা হচ্ছে যদি তাই হতেআ তাহলে সেখানে সম্পূর্ণ গীতাই পাওয়া যেত। তা ভারতে পাওয়ার কথা না।
    অলমতি.....

  • nk | 151.141.84.194 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৫৩505391
  • পাই কে আমার এক অসাধারণ এডিটর বা মডারেটর বলে মনে হয়, এমন জনসংযোগ, এমন সংযত অথচ উৎসাহী প্রশ্নের দ্বারা লেখককে এগিয়ে দেওয়া, নিজে প্রধানত: আড়ালে থাকা, এরকম শুধু শুনেছি সাগরময় ঘোষের ছিলো। সেও শুনেছি মাত্র, সাগরময়কে তো দেখিনি আর! এখানে সাগরময়ীকে দেখলাম।
    আমি নিতান্ত বাইরের লোক,কোনো গুরুত্ব নেই, কিন্তু তাও মনে হয় পাই না থাকলে এ পাতার ৯০% জৌলুশ ভ্যানিশ হয়ে যাবে।
  • Sibu | 74.125.59.177 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৫৯505394
  • পিএম-কে।

    দেখুন, ডিডিদা পাইকে বোকা প্রশ্ন করার জন্য বকেন নি। সে তো আম্মো মূর্খ। আমি তো বকুনি খাই নে। উনি পাইকে বকেছেন হোম-ওয়ার্ক না করার জন্য, আর অন্যের লেখা ভাল করে না পড়ে প্রশ্ন করার জন্য।

    এখানে ডিডিদার মত যাঁরা লেখেন তাঁরা সবাই ব্যস্ত মানুষ। তাঁদের লেখা ভাল করে না পড়ে অনেক প্রশ্ন করাটা, আমার মনে হয়, ঠিক শিষ্টাচারসম্মত নয়।

    আমি বলেছি, আমার মতে, ডিডিদার অবজার্ভেশন সঠিক। অর্থাৎ পাই ঠিক করে অন্যের লেখা না পড়েই প্রশ্ন করে। অন্য একটি টইতে আকা একটি গ্রাফ দিয়েছিল (নিউ ইয়র্ক টাইমস থেকে মনে হচ্ছে)। সেখানেও পাই ঠিকমত না দেখেই অনেক প্রশ্ন করেছিল।

    এখন দেখেন, এক ব্যাপার নিয়ে দুজন রিজনেবল লোক ভিন্নমত হতেই পারেন। আপনে আর আমি ভিন্নমত তো হতেই পারি এই ব্যাপারে। তাই না?
  • Ghanada | 223.223.134.158 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৫৯505392
  • অ অ অ! কাব্লে, তুমি আমারে কও নাই!!!! ঠিক আছে! ছাড়ান দাও! ভুল অইসে।
    ক্ষী কান্ড!!!!!!!

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন