এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মহাভারতের যুগের স্থাপত্য বিষয়ে

    nk
    অন্যান্য | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ | ১১৮০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kallol | 119.226.79.139 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ১৬:০২505146
  • ঝুমিঝুমি।
    মুস্কিলটা হলো ইতরজনে কেমন বাসায় থাকতো, সেটা নিয়ে বিশদে কিছু নেই। বক বধের গল্পে দেখি পান্ডবেরা এক ব্রাহ্মণের বাসায় থাকতো। তাতে নিশ্চই আলাদা ঘর ছিলো।
    আবার ইন্দ্রপ্রস্থ সভার, ইন্দ্র সভার, যম সভার, বরুণ সভার বর্ণনায় কোথাও কক্ষের কথা নেই। খেয়াল করুন এগুলো সভা, কোথাও প্রাসাদ বলা হচ্ছে না। দেওয়াল ছিলো, আড়াল ছিলো, ঘর ছিলো না হয়তো।
  • Ghanada | 223.223.129.165 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ১৬:০৪505147
  • কল্লোলবাবু
    আরও একটা কথা।
    পাণিণি পড়ে কিন্তু সংস্কৃত শেখা যায় না! সংস্কৃত শিখে পাণিণি পড়ে বুঝতে হয়!!!
    তাই আমার এই ভাষাটা শেখার একটা চেষ্টা আছে।

  • Ghanada | 223.223.129.165 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ১৬:০৭505148
  • Name:kallolMail:Country:

    IPAddress:119.226.79.139Date:30Dec2011 -- 04:02PM

    ঝুমিঝুমি।
    মুস্কিলটা হলো ইতরজনে কেমন বাসায় থাকতো, সেটা নিয়ে বিশদে কিছু নেই।
    -----------------------------
    সেকেণ্ডেড!
    একটুই আছে সেটাও ঘরবাড়ী নিয়ে নয়! ঐ কর্ণের সঙ্গে অর্জুনের যুদ্ধ হলো না দেখে সাধারণ লোক নিজেদের মধ্যে কথা বলতে বলতে চলে গ্যালো!
    ব্যস!
    আর নেই!

  • lcm | 69.236.169.179 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ১৬:১৩505149
  • প্রতাপাদিত্য পাল - http://www.calcuttaweb.com/nri/Pratapaditya_Pal.shtml

    এনার লেখা বই : Indian Sculpture - Volue 1 , circa 500 BC - 700 AD - এই বইটা গুগল বুক্‌স-এ আছে - দেখতে পারেন।

    শিবুদা যা বলেছে,
    এই বই-এর ১২১ পাতায় ---
    ... the prinicipal sculptural medium during the Maurya period (c. 324 - 187 B.C.) was terra-cotta. Palaces and mansions, as well as temples, were probably built with timber and brick, and wood sculptures were used more extensively as architectural adornments ... Stone seems to have been employed for monumental sculpture ...
    স্টোন-এর ব্যবহার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্যে।

    আর, ১৭ পাতায় ---
    ... Hindu images and temples were erected at least from the time of the Sanskrit grammarian Panini (active fourth century B.C.). Although no temple remains of the Maurya period have yet been discovered, the reliefs preserved on the late-second-century B.C. Buddhist sites at Bharhut and Amarvati clearly demostrate that houses of worship... were constructed of wood, brick, and other perishable material.

    খেয়াল করুন perishable material

    কেন মুসলিম যুগের আগের কোনো রাজপ্রাসাদ দেখা যায় না (শিবু/শিবাংশু/কল্লোল... যা এই পোস্টে আগে লিখেছেন) তার কিছুটা ব্যাখ্যা এখানে পাওয়া যায়।
  • kallol | 119.226.79.139 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ১৬:২৬505150
  • সেরকম ছোট ছোট করে ইতরজনের কথা আছে। তবে আগে বলে রাখি, এই ইতরজন মানে তখনকার প্রান্তিক মানুষজন নয়। এরা সাধারণ গরীব ব্রাহ্মণ যারা নগরে থাকতেন। এরা দল বেঁধে দ্রৌপদীর স্বয়ম্বর সভায় গেছিলো। যখন ব্রাহ্মণবেশী অর্জুন লক্ষভেদ করলেন তখন আনন্দে ব্রাহ্মণেরা উত্তরীয় খুলে মাথার ওপর ঘুরিয়ে আনন্দ প্রকাশ কচ্ছিলেন। ফ্লিনটফ বা সৌরভ ওটা প্রথম করেনি।
    তবে সত্যিকারের ইতরজনদের নিয়ে প্রায় কিছুই নেই। মাত্র একজনই মহাভারতে শ্রদ্ধার সাথে ঠাঁই পেয়েছেন - ট্রাজিক হীরো একলব্য নিষাদ। আজও আদিবাসীরা তীর-কাঁড় ব্যবহার করেন বুড়ো আঙ্গুল ছাড়া। ছিলার সাথে তীরের পিছনের অংশকে তর্জনী ও মধ্যমা দিয়ে ধরে জ্যা আকর্ষণ করেন।
    আর যা আছে সে প্রায় পাসিং রেফারেন্স, যেমন জতুগৃহে পুড়ে মরা পাঁচ চন্ডাল ও এক চন্ডালিনী।
    হিড়িম্বা ও ঘটোৎকচ বা অলম্বুশ এরা অন্য জাতের মানুষ, জঙ্গলবাসী রাক্ষস। কিন্তু কোনভাবেই প্রান্তিক নয়। এদের সমাজে এরা যথেষ্ঠ প্রতিপত্তিশালী।
  • Ghanada | 223.223.129.165 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ১৬:৩৮505151
  • হুম!
    ঠিক!
    আর্য্যরা এদের মানুষ বলে মনে করত না!একটা গোটা বন ( খাণ্ডব) পুড়িয়ে দিয়ে অনেক *ইতর* জাতিকে মেরেছিল।
    শুধু ময় কে এরা রেহাই দিয়েছিল, নিজেদের স্বার্থে।
    পরে বলেছিল- ও অনেক কাকুতি মিনতি করেছিল।
    তাহলে কি অন্যরা করে নি?
    বিশ্বাস করা যায়?

  • kallol | 119.226.79.139 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:০৫505152
  • ঘনাদা। এট্টা নিবেদন ছিলো।
    মহাভারতের এবং এই পৃথিবীর সম্ভবত: প্রথম রানিং কমেন্টেটর সঞ্জয়এর জন্ম বৃত্তান্ত কিছু পেয়েছেন? আমি বহু খুঁজেও পাই নি।
    যদি পেয়ে থাকেন একটু জানতে ইচ্ছে করি।
  • Ghanada | 223.223.136.158 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ১৮:১৬505153
  • সঞ্জয় ছিলেন- হস্তিনার সূত ( সারথী) বংশের লোক। বাবার নাম:- গবলগণ ( ইনি সারথী ছিলেন, তবে কার সেটার উল্লেখ পাই নি)। মায়ের নাম পাওয়া যায় না।
    সঞ্জয় ছিলেন বিদ্বান ।অতিনি তখনকার দিনে প্রচলিত সব রকম ব্যাকরণ পড়েছিলেন। যে যে ব্যাকরণ পড়েছিলেন- তার নামগুলো হলো:-ঐন্দ্রং, চান্দ্রং, কাশকৃৎস্নং, কৌমারং,সারস্বতং , আপিশলং, শাকলং এবং শাকটায়নং। এর মধ্যে শাকটায়নং ছিল সর্বশ্রেষ্ঠ। এই শাকলং এবং শাকটায়নং পড়েই সঞ্জয় স্পষ্টবক্তা হন। কারণ এতে ব্যকরণ ছাড়াও রাজ্য চালনার জন্য নির্দ্দেশ ছিল। তাই তিনি ধৃতরাষ্ট্রের অন্যতম মন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রীসভার সদস্য ছিলেন।
    ধৃতরাষ্ট্রকে তিনি সব সময়েই স্‌ৎ পরামর্শ দিয়েছেন। ব্যাসদেবের প্রসাদে সঞ্জয় দিব্য দৃষ্টি লাভ করে ধৃতরাষ্ট্রকে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের বিবরণী শুনিয়েছেন। এই সময় ধৃতরাষ্ট্র নিজের বা কৌরবদের পক্ষ নিয়ে কোনও অসত্য উক্তি করলে, তিনি কঠোর ভাবে তার সমালোচনাও করেছেন।
    মহাযুদ্ধের শেষদিনে সাত্যকির (যদু বংশীয় সত্যকের পুত্র ও শিনির পৌত্র। ওঁর জন্মদত্ত নাম ছিল যুযুধান। সাত্যকি অর্জুনের কাছে অস্ত্রশিক্ষা করেছিলেন। ভীষ্ম তাঁকে অধিরথ (শ্রেষ্ঠ শ্রেণীর যোদ্ধা) হিসেবে গণনা করেছিলেন। সাত্যকি ছিলেন কৃষ্ণের অনুগত।) হাতে সঞ্জয় বন্দী হন, কিন্তু ব্যাসদেবের হস্তক্ষেপে তিনি মুক্তি পান। যুধিষ্ঠির হস্তিনায় সিংহাসনে বসলে সঞ্জয়কে নানারকম গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব দেন। এর পনেরো বছর পরে যখন ধৃতরাষ্ট্র গান্ধারীকে নিয়ে বানপ্রস্থে চলে যাচ্ছেন, তখন বিদুর ও কুন্তির সঙ্গে সঞ্জয়ও তাঁদের সাথী হন। ধৃতরাষ্ট্র, গান্ধারী ও কুন্তি তপস্যারত অবস্থায় যখন বনের আগুনে নিজেদের আহুতি দেন, তখন ধৃতরাষ্ট্রের নির্দেশে সঞ্জয় তাঁদের ছেড়ে হিমালয় পর্বতের দিকে চলে যান। তারপর নো ট্রেস!
    ব্যস! এটুকুই জানা আছে।
  • maximin | 59.93.207.124 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:৩৯505154
  • আমার একটি ছোট্ট আক্ষেপ আছে। আগেকার দিনের বেশ কয়েকজন বাঙালী বিজ্ঞানীরা সংস্কৃত শিখতে আগ্রহী ছিলেন, এখনকার বাঙালী বিজ্ঞানীরা নন।
  • maximin | 59.93.207.124 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:৪৩505156
  • আর দ্বিত্তীয়ত, অঙ্কশাস্ত্র যদিও বিজ্ঞান নয়, কিন্তু অনেকের তো অঙ্কশাস্ত্রে মতি আছে (তাদের কথা বলছি যারা এমনি এমনি অঙ্ক ভালোবাসেন) তাদের পাণিনি ভাল লাগার কথা।
  • T | 14.139.128.11 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:১১505157
  • অঙ্কশাস্ত্র বিজ্ঞান নয় কেন?
  • kallol | 115.241.30.53 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:৩৯505158
  • ঘনাদাদাগো।
    এট্টু রেফারেন্স মেরে দাও গো দাদা। সঞ্জয়ের পিতৃপরিচয় কোন পর্বের কোন অধ্যায়ে। আম্মো পড়বো। অন্যগুলো জানি (অবশ্য ব্যকারণের নামগুলো জানতাম না)।
  • Ghanada | 223.223.129.139 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:০১505159
  • কল্লোলবাবু,
    এই তথ্যটা আম্মো পেয়েছিলাম, প্রতাপ রায় অনূদিত মহাভারতে।
    ১৮৮৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। বইটা নুচি হয়ে গেছে। পড়া যাচ্ছে না!
    স্মৃতি থেকে বলছি- শান্তি পর্বে আছে।

  • Ghanada | 223.223.129.139 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:৪৫505160
  • শ্রীমদ্ভাগবতে (০১/১৩/৩২) সঞ্জয়কে বলা হয়েছে 'গাবল্গন' অর্থাৎ সূত গবলগন হচ্ছেন সঞ্জয়ের পিতা।
  • dri | 106.79.64.255 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:০৮505161
  • থ্রেডটা ভালো লাগছে।

    আসলে আমাদের জেনারেশান একদম ভালো করে সংস্কৃত শেখেনি। ঐ দু ক্লাস সংস্কৃত পড়ে কোন ক্লাসিকাল টেক্সট পড়ার দক্ষতা হয় না। আমাদের আগের জেনারেশান অনেক ভালো সংস্কৃত জানতেন। এই অজ্ঞানতা আমাদের বড় হ্যান্ডিক্যাপ।

    আরো একটা ব্যাপার। 'ব্যাদে সবই আছে'র ব্যাকল্যাশ হিসেবে আমাদের মধ্যে একটা 'ব্যাদে কিসুই নাই' মানসিকতা কাজ করে। তাতে, ব্যাদে কি আছে তার অবজেক্টিভ অ্যানালিসিস মার খায়।
  • Ghanada | 223.223.129.139 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:২৩505162
  • আমার শুধুই একটা বক্তব্য!!!! যাঁরা বলছেন- এসব কিছুই ছিল না প্রাচীন ভারতে, তাঁদের নিশ্চয়ই কোনো শক্তপোক্তো প্রমাণ আছে।
    দ করে দিন না, সেইসব প্রমাণ! প্রাণভরে এই সব মহাভারত, ব্যাদ সব উড়িয়ে দিতে পারব!!!!!!আ:! কি শান্তি!!!!

  • dri | 106.79.64.255 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৩০505163
  • যাই হোক, যা যা আলোচনা হয়েছে তার সাপোর্টে কিছু অরিজিনাল সোর্স খুঁজে যা পেলাম দিচ্ছি।

    Arrian এর Anabasis of AlexanderBook 6, Chapter 15 :

    There, at the confluence of the Acesines and the Indus, he waited until Perdiccas with the army arrived, after having routed on his way the independant tribe of the Abastanians. Meantime, he was joined by other thirty-oared galleys and trading vessels, which had been built for him among the Xathrians, another independant tribe of the Indians who had yielded to him.

    অলেকজান্ডারের নদীপথে ফেরার বর্ণনা। 'ক্ষত্রিয়'রা অ্যালেক্সের জাহাজ বানিয়ে দিয়েছিল।

    তবে নাবিকরা ভারতীয় ছিল না। ঐ Book 6 এর Chapter 1 :

    The crews of the ships were fully supplied from the Phoenicians, Cyprians, Carians and Egyptians who accompanied the army.
  • nk | 151.141.84.194 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৪৬505164
  • আ:, জমে উঠেছে।
    সঞ্জয়কে কতকাল ধরে খুঁজেছি, এক আশ্চর্য চরিত্র, যেন সিম্বলিক, উৎস অজানা, কিন্তু বৃদ্ধ রাজার সঙ্গে সমস্ত উত্থানপতনে পাশে পাশে, সৎ পরামর্শ দ্যান কিন্তু রাজাকে দিয়ে মানাতে পারেন না, রাজাকে ছেড়েও যেতে পারেন না, এতবড়ো যুদ্ধের বর্ণনা তাকেই দিতে হয়, তারপরে নতুন শাসকেরা আসে তখনো তিনি রাজত্বহীন বৃদ্ধের পাশে পাশে, তারপরে তাদের বাণপ্রস্থে তিনিও সঙ্গে যান, হয়তো একই আগুনে পুড়ে মরেন দাবানলে। কেমন প্রতীকি মনে হয় না? আবহমান কালের বিশ্বাসী সৎ কর্মীর মতন?

    স্থাপত্য বিষয়ে আমার পুরানো প্রশ্নটা আবারও, গিরিব্রজের দেয়াল, ওটা কবে কারা বানান?
  • nk | 151.141.84.194 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৫২505165
  • আর এই নৌবহর নিয়ে একটা প্রশ্ন জাগছে, সেই যে টিগরার ছেলে ভূর্জ্য র জাহাজডুবি হলে পর বড়ো জাহাজ নিয়ে গিয়ে উদ্ধার করা হলো---এটাকে একটা উদাহরণ হিসাবে ধরে একটা প্রশ্ন জাগছে যে এদের কমুনিকেশনের উপায় কী ছিলো? ওর যে জাহাজ ডুবি হোলো, উদ্ধার করতে হবে, সেই খবর এলো কীকরে? খবরবাহক কবুতর মারফৎ? নাকি শব্দ বা আলো দিয়ে সংকেত জানাবার উপায় ছিলো? নাকি অন্য কোনো টেকনোলজি?
  • ranjan roy | 14.97.232.79 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ ০১:৪৬505167
  • শিবাংশু,
    প্লীজ, টই ছেড়ে যাবেন না। এটি আবার ব্যক্তি ছেড়ে বিষয়মুখী হয়েছে।

    বিষয় : মহাভারতযুগীন স্থাপত্য। কিন্তু মহাভারতের কালনির্ণয়? সে যুগের নির্ণয়চিহ্ন?
    ১৯৭১ এ স্টেটস্‌ম্যান পত্রিকায় কুরুক্ষেত্র নিয়ে খোঁড়াখুঁড়ির সরকারী প্রোজেক্টের খবর বেরোয়। তাতে ইউনিভার্সিটির প্রো ইউ এস উপাধ্যায়ের নাম ছিল। আমি চিঠি লেখায় উত্তর দেন প্রোজেক্ট অফিসার কোন মহারাষ্ট্রিয়ান গুণী। নাভালে বা ওইরকম কোন নাম। তিনি জানান যে ওনারা যুগকে চিহ্নিত করেছেন -- লালচে মৃৎপাত্র নির্মাণ ও ব্যবহার দিয়ে। আর এঁরা মহাভারতকালীন যুগকে ১২০০ থেকে ৮০০ বিসি'র বেশি ধরছেন না। আমাকে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের ওমুক ওমুক ভল্যুমটি পড়ে নিতে বল্লেন, যা আমার দ্বারা হয়ে ওঠেনি।
    এদিকে অবিনাশ চন্দ্র দাস গ্রহনক্ষত্রের উল্লেখের ভিত্তিতে ( খানিকটা যেমন এন কে খুঁজছেন) তাঁর Rigvedic India তে বেদের সময়ই অনেক আগে ধরেছেন, সেই হিসেবে রামায়ণ-মহাভারতেরও। এর বিরোধীমত ও প্রচূর। তবে যদ্দূর জানি পুণের ভান্ডারকর ইনস্টিট্যুট থেকে সংকলিত মহাভারত ও তার কালনির্ণয় কে বেশির ভাগ পন্ডিত প্রামাণ্য বলেন।
    শিবাংশু বা অন্যেরা কেউ কি সংক্ষেপে মহাভারতের যুগনির্ণয় ও তার পহচান নিয়ে যতগুলো প্রচলিত থিওরি আছে তাদের সারসংক্ষেপ একজায়গায় আমাদের মত অজ্ঞ লোকদের জন্যে রাখবেন? তারপর মনে হয় স্থাপত্য নিয়ে কথা বলা প্রাসংগিক হবে।
    আর দ্রি'র সঙ্গে একমত।
    আমরা দুই মেরুর( সব ব্যাদে আছে আর কিছুই ব্যাদে নেই) মাঝখানে দোলায়মান, ফলে ক্ষতি আমাদেরই।

  • dri | 106.79.64.255 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ ০৩:০২505168
  • Arrian এর Indica :

    (এখানে আরিয়ান মেগাস্থেনিসের ইন্ডিকা থেকে কিছু অংশ কোট করেছেন, মেগাস্থেনিসের ইন্ডিকা হারিয়ে গেছে, বেঁচে আছে বিভিন্ন লেখায় কোট হিসেবে)

    The fourth caste consists of handicraftmen and retail-dealers. They have to perform gratuitously certain public services, and to pay tribute from the products of their labour. An exception, however, in made in favour of those who fabricate the weapons of the war, -- and not only so, but they even draw pay from the state. In this class are included shipbuilders, and the sailors employed in the navigation of the rivers.

    মেগাস্থেনিস কাস্ট ব্যাপারটা সম্ভবত ভুল বুঝেছিলেন। কিন্তু তিনি ভারতে প্রোফেশানভিত্তিক সাতটি ভাগ করেছিলেন। তার চতুর্থ ভাগে শিপবিল্ডারের কথা আছে। তবে এগুলো সম্ভবত নেভি শিপ নয়, মার্চেন্ট শিপ, নদীর জন্য (সমুদ্রের জন্য নয়)।
  • dri | 106.79.64.255 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ ০৩:৪৬505169
  • Periplus of the Erythrean Sea

    এটি খৃষ্টের সমসাময়িক। এতে আরব সাগরে তৎকালীন বাণিজ্যের কথা আছে। PanoOpone নামে দুটি পোর্টের (অধুনা সোমালিয়ায় অবস্থিত) কথা বলতে গিয়ে বলা আছে :

    The voyage to all these far-side market-towns is made from Egypt about the month of July, that is Ephiphi. And ships are also customarily fitted out from the places across this sea, from Ariaca and Barygaza, bringing to these far-side market-towns the products of their own places; wheat, rice, clarified butter, sesame oil, cotton cloth, (the monache and sagmatogene), and girdles, and honey from the reed called sacchari.

    এই Barygaza হল ভৃগুকচ্ছ/ভারুকচ্ছ অর্থাৎ মডার্ন Bharoch। মালাবার কোস্টের সাথে রেড সী'র থ্রুতে ইজিপ্টে বাণিজ্যের কথা এখানে পাওয়া যাচ্ছে।

    Barygaza র সাথে পার্সিয়ার Ommana নামে এক বন্দরের বাণিজ্যের কথাও আছে।

    Sailing through the mouth of the Gulf, after a six-days' course there is another market-townof Persia, called Ommana. To both these market-towns large vessels are regularly sent from Barygaza loaded with copper and sandalwood and timbers of teakwood and logs of blackwood and ebony.
  • dri | 106.79.64.255 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ ০৪:০৮505170
  • Those sailing to Barygaza pass across this gulf, which is three hundred stadia in width, leaving behind to their left the island just visible from their tops towards the east, straight to the very mouth of the river of Barygaza; and this river is called Nammadus.

    ভারোচের কাছে নর্মদা নদীর মোহানার কথা বলা হয়েছে।

    ... native fishermen ... go up the coast as far as Syrastrene, from which they pilot vessels to Barygaza.

    সৌরাষ্ট্রের কথাও বলা হয়েছে।

    Inland from this place and to the east, is the city of Ozene, formerly a royal capital; from this place are brought down all things needed for the welfare of the country about Barygaza, and many things for our trade: agate and carnelian, Indian muslins and mallow cloth, and much ordinary cloth.

    ভৃগুকচ্ছর সাথে উজ্জয়িনির ট্রেড লিংকের কথাও বলা আছে।
  • dri | 106.79.64.255 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ ০৪:২৮505171
  • Arrian এর Indica য় পাটলীপুত্রের (Palimbothra) বর্ণনা পাওয়া যায়:

    The greatest city in India is that which is called Palimbothra, in the dominions of the Prasians, where the streams of Erannoboas and the Ganges unite, -- the Ganges being the greatest of all rivers, and the Erannoboas being perhaps the third largest of Indian rivers, though greater than the greatest rivers elsewhere; but it is smaller that the Ganges where it falls into it. Megasthenes says further of this city that the inhabited part of it stretched on either side to an extreme length of eighty stadia, and that its breadth was fifteen stadia, and that a ditch encompassed it all round, which was six plethra in breadth and thirty cubits in depth, and that the wall was crowned with five-hundred and seventy towers and had four-and-sixty gates.

    * Erannoboas = হিরণ্যবাহ/Son
  • aka | 75.76.118.96 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ ০৮:৫৯505172
  • সত্যি বলতে কি এই টইতে এত কিছু নিয়ে আলোচনা হয়েছে যে ঠিক কি নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে বুইতে পারছি না।

    পাণ্ডবদের বিশাল নৌবহরের কি কোন রেফারেন্স পাওয়া গেল? পাই যে লিংকটি দিয়েছে তাতে দেখলাম পাণ্ডবরা যখন জতুগৃহ থেকে পালাচ্ছে তখন একটা অস্ত্র শস্ত্র সজ্জিত নৌকো চড়ে পালিয়েছে। এটা তো দীর্ঘ নৌবহর নয়। মেক শিফট যুদ্ধনৌকো বলা যায় বড়জোড়। ঠিকই বুইলাম মনে হচ্ছে, তাও বলা যায় না।
  • Ghanada | 223.223.136.124 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:৫৩505173
  • আমার শুধুই একটা বক্তব্য!!!! যাঁরা বলছেন- এসব কিছুই ছিল না প্রাচীন ভারতে, তাঁদের নিশ্চয়ই কোনো শক্তপোক্তো প্রমাণ আছে।
    দ করে দিন না, সেইসব প্রমাণ! প্রাণভরে এই সব মহাভারত, ব্যাদ সব উড়িয়ে দিতে পারব!!!!!!আ:! কি শান্তি!!!!

  • kallol | 119.226.79.139 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:৫৪505174
  • রামায়ণ মহাভারতের যুগে জলপথে যুদ্ধের চল ছিলো না বোধ হয়।
    মহাভারতে কোথায় কোন জলযুদ্ধ নেই, থাকার কথাও নয়। না, ভুল বললাম, থাকার কথা নয় কেন? যদি ধরে নেই মহাভারতের সময় রামায়ণের পরেকার তবে অশ্বমেধের ঘোড়া লঙ্কায় গেলো না কেন? প্রাগজ্যোতিষ গেল, অঙ্গ বঙ্গ গেলো, পাতালে গেলো (উলূপী-বভ্রুবাহন), লঙ্কায় তো গেলো না।
    সবচেয়ে বড়ো কথা রাবন্দার নৌবহর নাই কেনো? সে নিজে তো নাহয় পুষ্পকে উড়ে যেতো, তার সৈন্য সামন্ত সাগর পার হতো ক্যামনে? একটা দ্বীপরাজ্যের অত পরাক্রমশালী নৃপতি, তার নৌবহর নাই কেনো?
    অথচ নৌকা ছিলো। সে নেহাৎই অসামরিক পরিবহন। সেই নৌকাতেই না পরাশর সত্যবতীর দেখা। তবে না কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন, তবে না ব্যাস, তবে না মহাভারত।
  • aka | 75.76.118.96 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ ১০:৪৪505175
  • ঘনাদা সেতো ভুত নেই প্রমাণ করে দেখানোর মতন। যা নেই, তা যে নেই সে কি করে প্রমাণ করা যায়? :(

    সেসব কিছু বলি নি, শুধু জানতে চাইছি পাণ্ডবদের দীর্ঘ নৌবহরের কোন রেফারেন্স অলরেডি পড়ে গিয়েছে কিনা। কল্লোদদার আর আপনার পোস্ট পড়ে মনে হল কোনো রেফারেন্স পড়ে নি। এইটুকুই বলার ছিল। পাইয়ের লিংকটি এক্ষেত্রে একটু আউট অফ টার্গেট। যা নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছিল তার সাথে রিলেটেড কিন্তু খুব ট্যানজেনশিয়ালি। তাই পাই রাগারাগি না করে একটু ঘুরে দেখলে পারে। যেমন আমি ঘুরে দেখে রূ বাবুর পোস্টের জন্য দু:খিত বোধ করেছি, হয়ত পাইয়েরও তেমনই কোন আত্মোপলব্ধি হবে।
  • Tim | 173.163.204.9 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ ১০:৪৮505176
  • ঘনাদার যুক্তি অসাধারণ! এইরকম যুক্তি দিয়ে এমনকি এও প্রমাণ করা যায় যে দুজ্জোধনের পোষা ডাইনোসর ছিলো।
    নির্মল আনন্দ।
  • Tim | 173.163.204.9 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ ১০:৫২505178
  • দুত্তোর! আকাদাও লিখেছে দেখছি। রিডান্ডান্ট পোস্ট হয়ে গ্যালো। এক একটা পোস্ট হতে তিন চারমিনিট সময় লাগছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন