এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হাতে কুদর্শন জ্যোতিষ আংটি - পার্ট থ্রি

    Samik
    অন্যান্য | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ | ৩৪০৪৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • rupankar sarkar | 14.96.188.2 | ২২ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:৫৭506359
  • * রেফারেন্স
  • Ghanada | 223.223.138.96 | ২২ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:৫৮506360
  • ইয়ে মানে, বইমেলা এসে গেল! আমাকে আজ কিছু লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদক, দূরভাষে রীতিমত হুমকী দিয়েছেন, লেখা আগামী ৩১/১২/২০১১ মধ্যে জমা না দিলে, তাঁরা আমার বাড়ীতে এসে অনশনে বসবেন।
    তাই এই লেখাটা এবং বাকী দুটো টইতে আমার লেখা, এই কদিন বন্ধ থাকবে।
    অবশ্য, তাতে কিছু যায় আসে না। তবুও বলে রাখলাম।

  • PM | 2.50.41.123 | ২২ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:০০506361
  • যা:। মানে বইমেলা শেষ হওয়া পর্য্যন্ত বন্ধ ?!!!!!। আপনার মনে এই ছিলো??:)))
  • rupankar sarkar | 14.96.188.2 | ২২ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:১৪506362
  • আচ্ছা, 'বুজরুকি' টইটাতে যাঁরা লিখছেন, তাঁরাতো মোটামুটি সবাই একমত। তবুওতো দুশো ছাড়িয়ে গেল পোস্ট। তো ৩১/১২ অবধি ঘনাদা আড়ালে গেলে তাঁরা তো এপাড়ায় গেস্ট লেকচারারের ভূমিকায় নামতে পারেন। তা না হলে এটা শেষ ? যা:
  • Ghanada | 223.223.138.96 | ২২ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:১৯506363
  • না! না! পি এম। আমি ০১/০১/২০১২ থেকে আবার লিখবো। তবে, ঐ লেখাগুলো আমাকে আগে শেষ করতে হবে! জ্যোতিষের ঠেলায় এদিকে মাথায় কিস্‌সু আসছে না! কি যে লিখি!!!!!!!
    কেন যে এখানে লিখতে গ্যাস খেলাম!!! ঐ ভগাই জানে।

  • nk | 151.141.84.194 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:১৮506364
  • প্রথমে ডিক্লারেশন দিই। আমি জ্যোতিষ(Astrology) র কিছু জানি না, এককালে জ্যোতির্বিদ্যা (Astronomy) নিয়ে কিছুকিঞ্চিৎ লড়েছিলাম, তখন আনুষঙ্গিক হিসাবে তিথি নক্ষত্র সেলেস্টিয়াল কো-অর্ডিনেট এইসব জানতে হয়েছিলো।

    কিন্তু জ্যোতিষ বিষয়ে কৌতূহল রয়ে গেছে বঙ্কিমচন্দ্র আর সঞ্জীব চট্টো পড়ার পর থেকেই। তাই কয়েকটি প্রশ্ন। ঘনাদা যখন অবসর পাবেন উত্তর দেবেন যদি ইচ্ছা করেন। প্রসঙ্গত বলে রাখি প্রাচীন ইতিহাস ইত্যাদি সমন্বিত ঘনাদার বড় বড় পোস্টগুলো পড়ছি আর আলাদা করে প্রিজার্ভও করে রাখছি।

    ১। সীতারাম উপন্যাসে একজায়গায় ছিলো এক জাতিকার জন্মছকে "চন্দ্র শনির ত্রিংশাংশগত" আর তার ফলেই সে নাকি প্রিয়প্রাণহন্ত্রী হবে। এইটা কী ব্যাপার? কীভাবে বোঝা গেল?

    ২। সঞ্জীব চট্টোর লেখায় একজায়্‌গায় গাছকোষ্ঠী র উল্লেখ আছে। এটা কী ? খুব বড়ো কোষ্ঠী? মানে কোনো জাতক/ জাতিকার জীবনের সম্ভাব্য ঘটনাবলী একেবারে পুরোপুরি দেখিয়ে করা কোষ্ঠী?

    ৩। হাতের রেখা থেকে হিসাব করা আর গ্রহ নক্ষত্র মিলিয়ে করা জন্মছক থেকে হিসাব করা সম্ভাব্য ঘটনাবলী কি একই মানে মোটামুটি একই ?

    ৪। বরাহমিহির কী করে স্ত্রীকে হত্যা করেও পার পেয়ে গেলেন? মানে আইন অনুসারে তো ওনার মৃত্যুদন্ড হবার কথা! নাকি উনি খুন করেন নি? ব্যাপারটা দুর্ঘটনা?

    ৫। পৃথিবীর আহ্নিক গতি নিয়ে কোনো কথা প্রাচীন জ্যোতির্বিদেরা বলেছেন কি?

    (আরো আছে, পরে হবে :-) )

  • PM | 2.50.41.123 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৩১506365
  • বরাহ-এর পুত্রবধু বোধ হায় ক্ষনা
  • nk | 151.141.84.194 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৫১506366
  • পুত্রবধূ থাকলে পুত্র থাকতেই হবে(এই যুক্তিতেই দশরথকে শান্ত করেছিলেন বশিষ্ঠ, আরে মহারাজ পুত্র না হলে পুত্রশোক পাবেন কী করে? শাপে বর হয়েছে। :-) ), সেই পুত্রটা কে? তার নামই বরাহমিহির? সেই ই জ্যোতিষী+ জ্যোতির্বিদ? নাকি পুত্র নন, পিতাই জ্যোতিষী + জ্যোতির্বিদ? নাকি দু'জনেই? কী জটিল ব্যাপার!
    শাশুড়ীমা ভদ্রমহিলাই বা গেলেন কোথা????

    একটু অপ্রাসঙ্গিক, একটা ফিকশনাল সিনেমা হয়েছিলো খনাকে নিয়ে, সেটার লিংক দিতে পারেন পি এম? এমনি এমনি, কোনো যুক্তির জন্য না। :-)

  • PM | 2.50.41.123 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ০১:০৪506367
  • ছোটোবেলায় TV-তে দেখেছিলাম।

    এই লিন্‌ক-টা চেক করতে পারেন। কপালে থাকলে পেয়ে যেতে পারেন, নিশ্চিত নয়-
    http://adf.ly/3t0wU

  • rupankar sarkar | 115.117.245.129 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ০৮:৫৬506369
  • http://www.saptarishisastrology.com/filedownload.php?v=7&a=y...

    খনার বচনের একটা লিঙ্ক দিলাম। প্রথম দিকে ইতিহাস(?) নিয়ে ধানাই পানাই, পরের দিকে বাংলায় বচনগুলি আছে।

    আমার যতদূর মনে হয়, বাংলার দক্ষিণ ২৪ পরগণার খনা, আর বরাহমিহিরের পুত্রবধু ক্ষণা এক ব্যক্তি না। শ্রীলঙ্কা ও উজ্জয়িনীতে এক ভাষা বলা হত কিনা জানিনা, তবে বাংলার দক্ষিণে যা বলা হত, বা যে ভাষায় বচনগুলি লেখা, তা অন্য ভাষা শুধু নয়, সম্পূর্ণ অন্য সময়ের। আমার মনে হয়, কোনও এক মেয়ে মুখে মুখে ছড়ার আকারে বচন বলতে আরম্ভ করায় লেজেন্ডারি বিদুষী ক্ষণার নামে তাকে ডাকা শুরু করে লোকে।

    খেয়াল করলে দেখা যাবে, খনার বচনগুলি মোটেই ভবিষ্‌য়্‌ৎবাণী নয়, অনেকটা অমুক করলে তমুক ফল পাবে জাতীয় বিধান।
  • Ghanada | 223.223.142.242 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:২০506370
  • @nk
    আপনার শেষ প্রশ্ন থেকে উত্তর দেবার চেষ্টা কোরছি। অন্যান্য প্রশ্নেরও উত্তর কিস্তিতে ধীরে ধীরে দেবো।
    আপনার লেখা দেখে আমার মনে হয়েছে, আপনি astro- physicsinterested অথবা এই নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করেছেন। ( ভুল হলেও হতে পারে। এই মনে হওয়ার কারণ হিসেবে, আপনার pi কে উত্তর দেওয়াটা লক্ষ্য কোরেছিলাম) হয়তো, এই বিষয় নিয়ে আপনার সর্বোচ্চ স্তরেও জানা আছে।
    আমি, সেইরকম ভাবে পড়াশোনা কোরি নি! তবে, অবসর নেওয়ার পর, প্রচুর সময় হাতে থাকার ফলে, বর্তমানে একটু আধটু পড়াশোনা কোরছি।
    আপনি লিখেছেন, আমার বড় বড় পোষ্টগুলো রেখে দিচ্ছেন। খুব ভালো লাগলো।
    তবে একটা কথা জানিয়ে রাখি, ঐ লেখাগুলো আমার কোনো মৌলিক রচনা নয়।
    বিভিন্ন জায়গা থেকে সংকলন কোরেছি মাত্র।
    আপনার কৌতুহলের উত্তরে বলি, যদি পারেন- তবে নারায়ণ চন্দ্র জ্যোতির্ভূষণ ভট্টাচার্য্যের লেখা *হোরাবিজ্ঞান রহস্যম বা জ্যোতিষ কল্পবৃক্ষ* বইটি কিনে নিলে আপনি সব রকম তথ্য পাবেন।
    আর্য্যভট্টের শ্লোক বর্তমানে আমার কাছে নেই। কারণ, হাতে নকল করা যে পুঁথিটি আমার কাছে ছিল, ( তাও, ধরুন ২০০ বছর আগের) সেটা আমার যত্নের অভাবে এবং যৌবনকালে আগ্রহ না থাকায় নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আফশোষ করে মরছি।
    আমি তাই, একটি পরোক্ষ প্রমাণ দেবার চেষ্টা কোরছি, যদি মনে হয় এটা তথ্যসূত্রে রাখতে পারেন।
    জগন্ময় তর্কালংকার, তাঁর নিত্যপূজা পদ্ধতিতে লিখেছেন:-
    সূর্য্যের উদয়- অস্তাদির নিয়মে দিগ নিয়ম হয় না! পূজ্য ( মানে যাকে পূজা করা হচ্ছে) আর পূজকের ( মানে যিনি পূজা কোরছেন) মধ্যস্থান *পূর্ব* ধরিয়া অন্যান্য দিক নির্ণয় করিবে।
    তিনি এর টীকাতে লিখেছেন:- *সূর্য্যসিদ্ধান্ত* পাঠ করিলে এই নিয়মের কারণ সকল জানিতে পারিবে। ইহার কারণ- পৃথিবীর আহ্নিক গতি।
    এবারে কি আপনি নিজে কি সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটা আপনার ওপর নির্ভর কোরছে।

  • Ghanada | 223.223.131.134 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:২৫506371
  • মায়ের কাছে মাসির গল্প হলেও হতে পারে, তবে কয়েকটা তথ্য দিচ্ছি, যাতে যাঁরা জ্যোতির্বিজ্ঞান ( Astronomy), নিয়ে জানতে উৎসুক ( জ্যোতিষ নয়) তাঁরা একটা তথ্য পাবেন।
    প্রতিটি গ্রহ তার নিজ অক্ষে আবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সূর্য্যকে পরিক্রমণ করছে। একে গ্রহের গতি বলা হয়। এবং এই গতিকে আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতিতে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি গ্রহ তার নিজ অক্ষে থেকে পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে আবর্তন করছে। এই গতিকে বলা হয় আহ্নিক গতি। ( এই নামকরণের তাৎপর্য্য হলো, এই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যাঁরা পূজা- আচ্চা করেন, তাঁরা তা কোরতে পারেন, তাই আহ্নিক) এবং এভাবে একবার আবর্তন করাকে সেই গ্রহের একদিন বলা হয়। আবার কোনো গ্রহ যখন নিজ অক্ষে অবিরাম ঘুরতে ঘুরতে একটি নির্দিষ্ট উপবৃত্তাকার কক্ষপথে নির্দিষ্ট দিকে, নির্দিষ্ট সময়ে সূর্যের চারদিকে একবার পরিক্রম করে আসে তা হলে তা হবে সেই গ্রহের এক বছর এবং এই গতিকে বলা হয় বার্ষিক গতি।

    সূর্য্য পৃথিবীর ওপরে আকাশের একদিক থেকে অন্যদিকে যাতায়াত করছে – পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে এইরকমই মনে হয় ( যদিও আমরা জানি আসলে ব্যাপারটা অন্যরকম)।
    বছরের বিভিন্ন সময়ে মহাকাশে সূর্য্যের অবস্থান বদলায়। এইসব অবস্থানগুলি নিয়ে একটি কাল্পনিক বৃত্তাকার পথ পাওয়া যায়। এই পথকে সমান বারোভাগে ভাগ ( ৩৬০ ডিগ্রি / ১২ = ৩০ ডিগ্রী) করলে এক একটি ভাগে বিভিন্ন নক্ষত্র নিয়ে সিংহ, ভেড়া, বিছে ইত্যাদির ছবি পাওয়া যায়। সেই অনুযায়ী এদের নাম হয়েছে সিংহ রাশি,মেষ রাশি, বৃশ্চিক রাশি ইত্যাদি। মহাকাশের পটে আঁকা মানুষের এইসব কাল্পনিক ছবির সঙ্গে আমাদের স্বাস্থ্য, চাকরি, পরীক্ষা, বিয়ে, ব্যবসা ইত্যাদির কোন সম্পর্ক আছে কি নেই, সেটাই জ্যোতিষের ব্যাপার, জ্যোতির্বিদ্যার নয়।
    মেষ, বৃষ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বৃশ্চিক, ধনু, মকর, কুম্ভ, মীন – এই বারোটি রাশির এক একটিতে সূর্য্য বাংলা বছরের এক একটি মাস কাটায় (অর্থাৎ পৃথিবী থেকে দেখলে তাই মনে হয়)।

    কোন রাশিতে সূর্য কতদিন থাকবে সেই হিসাব বছর বছর বদলায়। পৃথিবীর কক্ষপথ উপবৃত্তাকার। তাই বছরের বিভিন্ন সময়ে সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব বাড়ে কমে।

    (এই সময়ে পৃথিবীর গতিবেগ কমে যায়,সেটা মনে হয় আর্য্যভট্টরা জানতেন।)
    তাই মনে হয় সূর্য যেন দীর্ঘসময় ধরে অবস্থান করছে মেষ, বৃষ, মিথুন ও কর্কট রাশিতে। সূর্য যথাক্রমে বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে থাকে এই চারটে রাশিতে। এই চারমাসে তাই দিনের সংখ্যা বেশি হয়। কোন কোন মাসে ৩২ দিনও থাকে। আবার আমাদের যখন শীতকাল,
    তখন উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পৃথিবী সূর্যের কাছে চলে আসে। পৃথিবীর গতিবেগ যায় বেড়ে। তাই, পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে মনে হয় সূর্য যেন দ্রুত পেরিয়ে যাচ্ছে তুলা, বৃশ্চিক, ধনু,মকর ও কুম্ভ রাশি। কার্তিক থেকে ফাল্গুন – এই পাঁচ মাসে তাই দিনের সংখ্যা কম। কোন কোন মাসে ২৮ দিনও থাকে।
    প্রাচীন জ্যোতির্বিদেরা বাংলা মাসের নামকরণ করেছিলেন বছরের বিভিন্ন সময়ে চাঁদের অবস্থান অনুযায়ী। বছরের প্রথম মাসে পূর্নিমার রাতে চাঁদকে তুলা রাশির পটভূমিকায় দেখা যায়।
    এই রাশির বিশাখা নক্ষত্রের নাম অনুসারে বছরের প্রথম মাসের নাম দেওয়া হয়েছিল বৈশাখ। বছরের দ্বিতীয় মাসে পূর্নিমার রাতে চাঁদ থাকে বৃশ্চিক রাশিতে।
    এই রাশির জ্যেষ্ঠা নক্ষত্রের থেকেই, দ্বিতীয়া মাসের জৈষ্ঠ নামটি এসেছে। এইভাবে বছরের বিভিন্ন মাসে পূর্নিমার রাতে চাঁদের কাছে কোন নক্ষত্র দেখা যাচ্ছে সেই ভাবেই নামকরণ করা হয়েছে, সেটা আগেই লিখেছি।
  • nk | 151.141.84.194 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১১ ০২:৩৯506372
  • ঘনাদা, অনেক ধন্যবাদ। এত তাড়াতাড়ি উত্তর পাবো(আংশিক হলেও)আশাই করিনি।

    বৃহতের নয়, আমরা সামান্য ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্রের কারবারী। মেসন কণা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করি। ঐ আরকি হিসেব টিসেব। আর এক্সপেরিমেটাল ভ্যালুগুলোর সাথে মেলানো। তবে কিনা মহতোমহীয়ানও ও অণরোণীয়াণের উপরেই নির্ভরশীল, ঠিক না? :-)

    ঘটনাচক্রে এই আলোচনাগুলো থেকে আমার একভাবে খুবই লাভ হচ্ছে। এমনকি ঝগড়াঝাঁটি তক্কতক্কি করেও লাভ হচ্ছে।:-)

    বিগ ব্যাং থিওরির মধ্যে জন্ম ও বেড়ে ওঠা বলে লক্ষ্যই করিনি কী মারাত্মক একটা থিওরি আমাদের মেনে নিতে হয়েছে কারণ সমস্ত এভিডেন্স সেদিকে নির্দেশ করছে। যারা এর আগের যুগের মানুষ, তত্বটি যারা আনলেন কী মারাত্মক মানসিক হাইজাম্প দিয়ে ওদের বাধাটা পার হতে হয়েছিলো সেটা হঠাৎ বুঝতে পারলাম ঐ পৃথিবী বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়েই। সামান্য ক্ষুদ্র বালুকণার মতন পৃথিবী(গ্যালাক্সির সাপেক্ষে ত তাই ই), এইটাকেই বিন্দু থেকে সৃষ্টি মেনে নেওয়া অসম্ভব, আর এই বিলিয়ন বিলিয়ন জায়ান্ট গ্যালাক্সিওয়ালা মহাবিশ্ব ঐভাবে এক বিগ ব্যাংগ থেকে এসেছে বলে মেনে নেওয়া ছাড়া নান্যপন্থা!
    :-)

    তবে বিজ্ঞানের মজাই এই, ক্রমেই নতুন নতুন চিন্তাধারা আসে আর নতুন নতুন সমাধান আসে। :-)

    আহ্নিক গতির কথা জানতে চাইছিলাম এইজন্যে যে পৃথিবী নিজের অক্ষের উপরে ঘুরছে এটা অনেক প্রাচীন জ্যোতির্বিদ মানতেন না, কারণ হিসাবে বলতেন "তাহলে তো পাখিরা আর বাসায় ফিরতে পারতো না, ওরা যতক্ষণ উড়েছে, ততক্ষণে তো পৃথিবী বোঁ করে ঘুরে গেছে! কিছু পাথর টাথর জোরে উপরে ছুঁড়ে দিলেও তো তা নেমে আসার সময় অনেক দূরে গিয়ে পড়তো কারণ পৃথিবী তো ঘুরে গেছে!"

    কাথাগুলো খুবই যৌক্তিক। এখন না হয় আমরা জানি রেফারেন্স ফ্রেমের কথা, কিন্তু সেই প্রাচীন কালে, তখন কী ভাবে এই যৌক্তিক সমস্যা সমাধান করা হতো?
  • kd | 59.93.199.123 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১১ ০৪:৪২506373
  • এই জাতীয় আলোচনাই তো আশা করেছিলুম শুরু থেকে। আমার মনে হয় তোমার প্রশ্ন ঘনাদাকেও আনন্দ দিচ্ছে। মাঝখান থেকে কেন যে ব্যাগড়া পড়তে শুরু করলো, কে জানে!

    বিনয় ভালো, কিন্তু এতো? তুমি ক্ষুদ্র হ'লে আমি যে পরমাণু (বা মেসন)। :)

    একটা রিকোয়েস্ট করবো? শশিকান্তকেও ডাকো না এই আলোচনায় অংশ নিতে। বা ও শুরু করুক ভারতের ইতিহাস - একজন পাঠক গ্যারান্টিড।
  • nk | 151.141.84.221 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১১ ০৫:২৯506374
  • "কাহারবা নয় দাদরা বাজাও, উল্টোপাল্টা মারছো চাঁটি" সেই শশিকান্ত এখন তো নানা প্যাঁচে পড়ে ব্যস্ত হয়ে আছে। :-) আমিও বিশেষ দেখতে পাই না মাঝে মাঝে ফেবুতে ছাড়া।
    আরে কেডি, তুমি তো জানি শাক্ত, এরকম বৈষ্ণব বিনয় কেন? :-)
    আসলে সত্যিই প্রাচীন বইগুলো থেকে তোলা কোটেশন-ওলা বড় বড় লেখাগুলো প্রিজার্ভ করে রাখছি,খুবই ভালো লাগছে। কোথায় কী মণিমুক্তা আছে, কে বলতে পারে? যা আছে তা আছেই, এর মধ্য থেকে বেছে তুলে নেওয়া তো আমাদের উপরেই, না? ইন্টারপ্রিটেশন বদলালেই কত কী বদলে যায়!

  • Ghanada | 223.223.142.208 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:০২506375
  • nk
    শালীন তর্ক ছাড়া পৃথিবীতে জ্ঞান আহরণ করা যায় না, এটা প্রমাণিত। আজ তাড়াতাড়ি বেরুতে হবে।
    শুধু আপনার তথ্যের জন্য সিদ্ধান্ত শিরোমণি থেকে একটা শ্লোক দিয়ে যাচ্ছি:- ( ঐ পণ্ডিতদের আহ্নিক গতির কচকচানি নিয়ে)
    *যান্তো ভূচক্রে লঘু পূর্বগত্যা খেটাস্তু তস্যাপর-শীঘ্রগতা ।
    কুলাল চক্র- ভ্রমিবামগত্যা যান্তো ন কীটা ইব ভান্তি যান্ত: । ।*

    অস্যার্থ: -
    অতিবেগে পরিভ্রমিত কুম্ভকার চক্রের ( কুমোরের চাক) উপরিস্থিত একটি কীট, ধীরে ধীরে সেই চক্রাবর্তনের বিপরীত দিকে গমন করিলেও ত্‌ৎকালে তাহাকে সেই চক্রাবর্তনের দিক অভিমুখেই গমন করিতে দেখা যায়, তদ্রুপ........ ইত্যাদি ইত্যাদি ।
    এই ভাবেই তর্কটা জমে উঠেছিল।
    আজ আর সময় নেই। পরে লিখবো।
  • nk | 151.141.84.194 | ২৫ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:৪৮506376
  • দারুণ ইন্টারেস্টিং লাগছে, অপেক্ষায় রইলাম।
  • kd | 59.93.254.76 | ২৬ ডিসেম্বর ২০১১ ০১:২৪506377
  • নিশি, আমি শাক্ত হ'লে কি হবে, আমার মা কালী যে বোষ্টম কালী!
  • nk | 151.141.84.194 | ২৬ ডিসেম্বর ২০১১ ০১:২৭506378
  • কেডি, শ্যামা আর শ্যাম একীভূত হয়ে ইউনিফাইড ফিল্ড হয়ে গেছেন। :-)
  • Ghanada | 223.223.132.118 | ২৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:১৩506380
  • ২ নং প্রশ্নের উত্তরে বলি:-
    সঞ্জীব চট্টোর লেখা হাতের কাছে নেই। তাই ওখানে *গাছ কোষ্ঠী* বলতে কি বুঝিয়েছেন আমার এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না। তবে, আমি যা জানি ,সেটাই লিখছি।
    আগে, ঠিকুজী এবং কোষ্ঠীর পার্থক্যটা একটু খানি বলি।
    ঠিকুজীতে, শুধু, জাতক বা জাতিকার জন্মছক, রাশি, লগ্ন, গণ, দশা মহাদশা, নবাংশ থাকে।
    কোষ্ঠীতে, এই সব তো থাকেই, উপরন্তু, পতাকী চক্র,
    সারা জীবনের ঘটনাবলী, এই সব থাকে ডিটেইলে।
    গাছ কোষ্ঠী নামটা নেওয়া হয়েছে *বৃক্ষ আয়ুর্বেদ* থেকে। এই গ্রন্থের দুজন রচয়িতার নাম আমি জানি।
    ১। চরক
    ২। রাজা ভোজ
    এই বইতে বৃক্ষ বা গাছ সম্বন্ধে পুঙ্খানু পুঙ্খ ভাবে গাছের বর্ণণা দেওয়া আছে বলে * গাছ কোষ্ঠী* নামকরণ।
    প্রাচীনকালে সমুদ্র যাত্রার জন্য জাহাজ তৈরী করার জন্য গাছের দরকার পড়ত। এছাড়া, গৃহস্থেরা বাড়ীতে কি কি গাছ লাগাবেন তার একটা বিবরণ দেওয়া ছিল।
    এবার:-
    শ্রী রাধাকুমুদ মুখোপাধ্যায় তাঁর- HISTORYOFINDIANSHIPPING বইতে লিখেছেন:- ধারা রাজ্যের ভোজ, যাকে আমরা ভোজরাজা বা ভোজ নরপতি নামে জানি আর যিনি প্রাচীন ভারতে ম্যাজিকের স্রষ্টা( ভোজবাজী হচ্ছে- MAGIC এর কমন বাংলা), কৌটিল্য বা চাণক্যের অর্থশাস্ত্রের মতই একটা বই লিখেছিলেন। নাম:- যুক্তি কল্পতরু। এতে রাজ্য শাসনের বিস্তৃত তথ্য আছে। এরই মধ্যে, একটা অংশ হলো বৃক্ষ আযুর্বেদ। এই খানে জাহাজ তৈরীর জন্য কাঠের জাতিবিভাগ বা WOODCLASSIFICATION আছে।
    লঘুয়ত কোমোলম কাষ্ঠম ব্রহ্মজাতি তত।
    দৃঢ়াঙ্গ লঘু য়ত কাষ্ঠঘটম ক্ষত্রজাতি তত।অ।
    কোমোলম গুরুয়ত কাষ্ঠম বৈশ্যজাতি তদুচ্যতে।
    দৃঢ়াঙ্গ গুরুয়ত কাষ্ঠম শূদ্রজাতি তদুচ্যতে।অ।
    লক্ষণদ্বয় য়োগেন দ্বিজাতি: কাষ্ঠ সংগ্রহ:।অ।”
    অর্থাৎ, যে কাঠ হাল্কা আর নরম তাহলো ব্রাহ্মণজাতি। যে কাঠ হাল্কা আর শক্ত, তা হলো ক্ষত্রিয় জাতি। যে কাঠ, ভারী আর নরম, তা হলো বৈশ্যজাতি। যে কাঠ, ভারী আর শক্ত, তা হলো শুদ্রজাতি। যে কাঠের মধ্যে যদি অন্তত দুটো গুণ থাকে তা হলে সেই কাঠ দ্বিজাতি ।
    কেন তিনি এই সব বলেছিলেন, তার কয়েকটা বিবরণ, বাহুল্য হলেও দিচ্ছি:-
    সেই সময়ে, দুরকম জাহাজ তৈরী হতো।
    প্রথমটা হলো:- সামান্য জাতি।
    এগুলো নদী বা হ্রদে ব্যবহার হতো।
    দ্বিতীয়টা হলো:- বিশেষ জাতি।
    সমুদ্রে ব্যবহৃত হতো! মানে:- Speciallymadeforsea.
    এদের আবার নামও ছিল। সামান্য জাতির জাহাজগুলোর নাম ছিল, এরকম:-
    ক্ষুদ্রা।
    মধ্যমা।
    ভীমা।
    চপলা।
    পটলা।
    ভ।
    দীর্ঘা।
    পত্রপুটা।
    গর্ভরা।
    মন্থরা।
    এদের মধ্যে সবচেয়ে ছোটো ছিল:-ক্ষুদ্রা! নাম শুনেই বুঝতে পারছেন। এর দৈর্ঘ ছিল- ১৬ হাত!
    সবচেয়ে বড় ছিল- মন্থরা। এর দৈর্ঘ ছিল- ১২০ হাত!
    বিশেষ জাতির জাহাজদের নাম ছিল, এরকম:-
    দীর্ঘিকা। ( সবচেয়ে ছোট , দৈর্ঘ ছিল- ৩২ হাত)
    তরসী।
    লোলা।
    গত্বর।
    গামিনী।
    তরী।
    জঙ্ঘালা।
    প্লাবিণী।
    ধারিণী।
    বেগেনী।( সবচেয়ে বড়, দৈর্ঘ ছিল-১৭৬ হাত)

    মাস্তুল খুব উঁচু হলে, সেই জাহাজকে বলা হত- উন্নত। এবার হাত মানে কতটা লম্বা? আমাদের হাত আর যেটা বলছে সেই দুটো কিন্তু সমান নয়।
    কারণ একটাই!!! সকলের হাত তো সমান নয়! আমাদের হাতের মধ্যম আঙ্গুলের দ্বিতীয় আর তৃতীয় পর্বকে – এক মানাঙ্গুলি বা এক অঙ্গুলি বলা হত। মেপে দেখা গেছে- ওটা আজকের দিনে হয়, ১.৩ ইঞ্চি বা ৩.৩ সে.মি। এটাকেই StandardParameter ধরে সব দৈর্ঘ মাপা হত।
    হিসেব ছিল- এইরকম:-
    এক অঙ্গুলি=.৩ ইঞ্চি বা ৩.৩ সে.মি।
    ২৪ অঙ্গুলি= এক হাত বা ২.৬ ফুট বা ৭৯.২ সে.মি।
    ৪ হাত= ১ ধনু বা ১০.৪ ফুট বা ৩১৬.৮ সে.মি।
    ২০০০ = ১ ক্রোশ বা ২ মাইল বা ৩.২৪ কি.মি।
    ৪ ক্রোশ= ১ যোজন বা ৮ মাইল বা ১২.৯৬ কি মি।
    এবার এই হিসেবে সবচেয়ে ছোট সামান্য জাতির(ক্ষুদ্রা) জাহাজের দৈর্ঘ ছিল-৪১.৬০ ফুট।
    এবারে এক হাত কে ২.৬ ফুট দিয়ে গুণ করলেই সবচেয়ে বড় জাহাজের দৈর্ঘ পেয়ে যাবেন।

    গৃহের পুর্বদিকে অশ্বত্থ গাছ থাকলে অগ্নিভয় হয়। দক্ষিণে পাকুড় গাছ থাকলে পিত্ত বৃদ্ধি হয়। পশ্চিমে বট বৃক্ষ থাকলে রাজপীড়া হয় এবং বাড়ির উত্তরে ডুমুর গাছ থাকলে উদরাময় রোগ হয়। সুপারি, শ্রীফল, নারিকেল (ঝুনো), লবণী (লবণাক্ত), জাম, কাঁঠাল, আম, ডালিম, কমলালেবু, লেবু, মধুপর্ণী, কলা, শিরীষ, আমলকী, জাতি, চাঁপা, মল্লিকা, বকুল, সজনে, পাটল, দেবদারু, অশোক, জয়ন্তী ও টগর ইত্যাদি গাছ বাড়ি ঘরে লাগালে সমৃদ্ধি ঘটে। জ্যোতিষতঙ্কেÄ বলা হয়েছে যে, জাম, সুপারি, কাঁঠাল, আম, কেতকী, জাতি, পদ্ম, টগর, দারুচিনি,মল্লিকা, নারকেল,কলা ও পটল ইত্যাদি গাছপালা যদি বাড়ি ঘরে লাগানো হয় তা হলে সে বাড়িতে ধন-সম্পদে পরিপূর্ণ থাকে।
    জ্যোতিষতঙ্কÄ অনুসারে দাড়িম্ব, অশোক, পুন্নাগ, বিল্ব ও কেশরের গাছ বাড়িঘরে লাগানো মঙ্গলজনক। রক্ত পুষ্প গাছ লাগালে রাজভয় হয়। আর শাল্মলী গাছ লাগালে হয় গৃহবিচ্ছেদ। যে সব গাছ বাড়িতে লাগানো উচিৎ নয় সে গুলি হলো- নিম, পলাশ, খেজুর, জাম, সরল, তেতুল, কাঞ্চন, স্থুল শিম্ব, বহেরা, ধুতরো, হরীতকি, সপ্তপর্ণী ও মনসা, এই সব গাছ লাগালে ক্ষতি হয়।
    তুলসী দিন ও রাতে সর্বদাই অক্সিজেন দেয়। অন্যান্য গাছের এই ক্ষমতা নেই। তাই, প্রত্যেক গৃহস্থকে তুলসী গাছ লাগানর জন্য বারবার বলা হয়েছে। সেটা ধর্মের মোড়োকে বা যে কোনো মোড়োকেই হোক।
    বৃক্ষ আয়ুর্বেদ সম্পর্কে ‘চরক’ বলেছেন, বাড়ির পূর্ব দিকে অশ্বত্থ, দক্ষিণে পাকুড়, পশ্চিমে বট ও উত্তর দিকে উদুম্বরের গাছ লাগাবেন না।
  • Ghanada | 223.223.132.118 | ২৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:৩০506381
  • প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, প্রাচীন ভারতের নাবিকদের কাছ থেকেই কিন্তু, ভারতীয় এবং পশ্চিমের জ্যোর্তিবিদরা – জ্যোর্তিবিদ্যা সম্বন্ধে অনেক তথ্য জানতে পেরেছিলেন।
    দু:খ জনক হলেও সত্যি, এই নাবিকরা কিন্তু জ্যোর্তিবিদ্যায় বেশ ভালো রকম ভাবে উপেক্ষিত। এটা আমি আগেও লিখেছি। তাই প্রাচীন ভারতের কিছু জাহাজের নাম দিলাম।
    আহ্নিক গতি নিয়ে কিছু তথ্য খুঁজছি, পেলেই দেব।

  • pi | 72.83.83.28 | ২৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:৩৭506382
  • ঘনাদা, তুলসীর রাতে অক্সিজেন ছাড়া নিয়ে তথ্যটার কোন প্রমাণ আছে কী ? মানে এনিয়ে কোন স্টাডি হয়েছে কী ? নেট ঘেঁটে ওজোন নিয়ে কিছু পেলাম। তাও

    আর বাকি গাছগুলো নিয়ে যা বলা আছে তা আপনার ঠিক মনে হয় ? হলে কেন ?

  • Ghanada | 223.223.135.231 | ২৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:৪৫506383
  • @pi
    এই ব্যাপারে, আমি শুধু, বৃক্ষ আয়ুর্বেদে যা লেখা আছে, সেটাই লিখেছি।
    এর মধ্যে আমার কোনো মতমত দেই নি। আমার তুলসী গাছ সম্বন্ধে শুধু এটুকুই জানা আছে যে এর মধ্যে নানারকম আয়লকালয়েড আছে, যে গুলো মানুষের অসুখ সারাতে সক্ষম।

  • nk | 151.141.84.194 | ২৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:৫০506384
  • খুবই ইন্টারেস্টিং। জাম গাছটাকে কমপ্লিকেটেড লাগলো, একটা লিস্টে ওটাকে বাড়ীতে লাগালে উপকার বলছে আর আরেকটা লিস্টে লাগাতে নিষেধ বলছে।

    আর এই প্রাচীন সমুদ্রযাত্রা নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে খুবই কৌতূহল আমার, কারণ দিকচিহ্নহীন সমুদ্রে কোথায় গিয়ে পড়লাম সেটা জানতে গেলে নক্ষত্রমন্ডলী ছাড়া উপায় কোথায়? নৌকম্পাস থাকলে অবশ্য অন্য কথা। আর ল্যাটিচুডের চেয়ে লংগিচুডের ব্যাপার মনে হয় আরো জটিল, বিশেষ ধরনের ঘড়ি টড়ি লাগতো বলে শুনেছিলাম।

    ঘনাদার লেখার এই পার্টটাও প্রিজার্ভ করে রাখলাম। :-)
  • dd | 124.247.203.12 | ২৭ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:৩৮506385
  • না লিখলেও হোতো।

    কিন্তু প্রাচীন বিশ্বের (স্ট্রিকটি খৃষ্টপুর্বের)বাণিজ্য নিয়ে আমার উৎসাহ অনেকদিনের।

    তাই চোখে লাগলো।

    ভোজ বাবু নিতান্তই মধ্যযুগের, ১০০০ AD। আদৌ প্রাচীন যুগের নন। খোদ ঋগবেদেই সাগর ও বাণিজ্যের উল্লেখ আছে যদিও মনুস্মৃতির সময়েই ব্রাহ্মনদের সাগরপাড়ি নিষিদ্ধ হয়।

    বিশ্ব জুড়ে প্রাচীন নৌ বাণিজ্য চলছে ১৪০০ বিসি থেকে। ফিনিসিয়াননরা ছিলো সর্ব স্বীকৃত উস্তাদ। তাদের নক্ষত্রজ্ঞান ছিলো সে সময়ের সর্বোত্তম । ইজিপ্টের নৌ বহরের সিডার কাঠ আসতো তাদের দেশ থেকেই। তবে মিশরে ও আরো কয়েক যায়গায় প্রাপ্ত ব্ল্যাক উড, মানে খুব ভারী আবলুশ কাঠ, অনেকের ধারনা, ভারত থেকে আমদানী হতো।

    কিন্তু সে সব অন্য কথা।
  • Ghanada | 223.223.158.217 | ২৭ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:০৪506386
  • dd
    আপনি দ করে দেখুন, আমি চরক আর ভোজ দুজনের কথাই লিখেছি
    আপনার সাথে কোনো মতবিরোধ নেই।
  • dd | 124.247.203.12 | ২৭ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:২৮506387
  • আজ্ঞে স্যার আছে।

    তঙ্কÄ কথা নিয়ে বলার কিছু নেই, আমরা দু জনা উল্টো পথে হাঁটি। এ ভিন্ন আপনি আপনি ভালো গান করেন, আমি ভালো রাঁধি। আপনি মোটাটে,আমি চিমসে পানা।

    তথ্য নিয়েই। আপনি কইলেন, (হুবহু কোট করছি না)ভোজের কথা। তার যুক্তিকল্পতরুর কথা। সেগুলি মধ্য যুগের,প্রাচীন যুগের নয়।

    চরক মানে চরক ডাক্তার যদি হন তো তিনি প্রাচীন, মানে ৩০০ বিসি, তিনি গাছ নিয়ে লিখলেও নৌকো নিয়ে লেখেন নি। ওটা তার ডোমেইন ছিলো না।

    আরো লিখলেন ভারতীয় নাবিকদের থেকেই .... পশ্চিমের জ্যোতির্বিদরাও শিখলেন। হিন্দুদের থেকে জ্যোতির্বিদ্যা পশ্চিমে গেছে এমন তথ্য কেনো দিলেন ? এ কথা এর আগে কেউ কয় নাই।

    আরেকটা প্যারাতে পড়ে মনে হোলো আপনি বৈশাখ ,জৈষ্ঠ্য এসব "বাংলা মাসের" নাম করন নিয়ে লিখলেন। হা কপাল ! এ তো সব বৈদিক যুগের মাসের নাম করণ। তবে ঋতু গুলি অন্য রকম ছিলো। মানে বৈ - জৈ এগুলি তখন গ্রীশ্ম ঋতুর মাস ছিলো না। (পরে টুকে দেবো)। বাংলা মাস কেনো হবে?
  • Ghanada | 223.223.158.217 | ২৭ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:৪৫506388
  • আরে dd সাহেব
    আমি ঐ মাসের নাম করণ নিয়ে আগেই লিখেছি। আপনার সাথে তো মতান্তর নেই। লে হালুয়া!
    আমাদের ভারতীয়দের জীবনে, তিনটে সাগর খুবই গুরুঙ্কÄপূর্ণ। ভারত মহাসাগর, আরব সাগর আর বঙ্গোপসাগর। যদিও বঙ্গোপসাগরকে, ঠিক সেই অর্থে সাগর বলা যায় না। এই সাগরগুলোর একটা অত্যন্ত প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য, যার মাহাত্ম, আমরা বেশীর ভাগ ভারতীয়রাই বুঝি না। অথচ, ভারতীয় সামুদ্রিক ঐতিহ্য আমাদের জাতীয় জীবনে এক অনন্যসাধারণ দিক! বহুদিন ধরে ভারত, বিশ্বকে এই ব্যাপারে পথ দেখিয়েছে, যার সাক্ষ্য- ইতিহাসে সোনার অক্ষরে লেখা আছে।
    আমাদের সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতা যে পাঁচ হাজারের পুরোনো, সেটা আমরা বিংশ শতাব্দীর গোড়াতেই জেনে গিয়েছি, বিভিন্ন গবেষণা এবং অনুসন্ধানের মাধ্যমে। বাংলা আর সংস্কৃত শব্দকোষ অনুসারে “সমুদ্র” শব্দটার অন্তত আটটা সমশব্দ আছে:-সাগর, সিন্ধু, বারিধি, বারীশ, অর্ণব, পারপার. জলধি আর রত্নাকর।
    ভারতীয়রা, বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী- এই প্রবাদে বিশ্বাসী ছিল। তাই সড়কপথে ব্যাবসা তো করতৈ, সেই সঙ্গে প্রাচীন ভূগোলের সাহায্য নিয়ে এটা বুঝতে পেরেছিল- সমুদ্রে যাত্রা করলে, অনেক জায়গার সন্ধান পাওয়া যাবে, আর ব্যবসাও করা যাবে।
    এটা কিন্তু, ভারতীয়রা অনেক আগেই বুঝতে পেরেছিল। আজ এটা বুঝতে পারা যাচ্ছে, তার প্রধান কারণ হলো-
    খ্রীষ্টপূর্ব ত্রিশের দশক থেকেই, যে এই মহাযাত্রা শুরু হয়েছিল তার প্রমাণ- এশিয়া, ইউরোপের ধর্মগ্রন্থে, সাহিত্যে, পুরাণে, ভাস্কর্যে, চিত্রকলায়, প্রস্তর লিপিতে, ধাতুর মুদ্রায় এবং আরো নানারকম নমুনায় এই প্রমাণ পাওয়া গেছে।
    খুব সম্প্রতি সরস্বতী উপত্যকার সভ্যতা আবিস্কার হওয়ার পর এই বিষয়টা যে আরও পুরোনো, সেটা নিশ্চিত করা গেছে। ভারতের এই ব্যাবসার ব্যাপারটা প্রায় তিন থেকে, পাঁচ হাজার বছরের পুরোনো।
    ভারত আর ইউরোপের সমুদ্রপথে ব্যাবসা- বাণিজ্যের আরও প্রচুর উদাহরণ পাওয়া গেছে।
    বাইবেলের ওল্ড টেষ্টামেন্টে ভারতের কয়েকটা জায়গার নাম আর বেশ কয়েকটা পণ্যের উল্লেখ আছে।
    সুদূর প্রাচ্যে, উত্তর আফ্রিকায়, পশ্চিম এশিয়ায় আর দক্ষিণ ইউরোপে পাওয়া মোহোরে আর মাটীর পাত্রের ভাঙ্গা টুকরোয়-নোঙ্গর, সাধনী (tool) যন্ত্রপাতি, রান্নার সরঞ্জামের ছবি থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, এখানকার উপকূলবর্তী দেশগুলিতে- যেমন সুমের, মিশর, ক্রীট, পারস্য, দক্ষিণ চিন, শ্যামদেশ ( তাইল্যাণ্ড), জাভা, সুমাত্রা প্রভৃতি দেশে। সমুদ্রপথে প্রচুর পণ্য এই সব দেশে, তখনকার সময়ে গেছিল।
    ভারত থেকে পণ্যসামগ্রী রপ্তানী হয়েছে, বহু শতাব্দী ধরে। চিন, আরব, পারস্য আর ইউরোপের অনেক পরিব্রাজকের লেখাতেও এর উল্লেখ আছে। বেশ কিছুদিন আগে, গুজরাতের লোথাল অঞ্চলে প্রায় ছয় হাজার বছর আগের বানানো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ড্রাই ডকের (drydock) আবিস্কার হয়েছে।
    সমুদ্র পথে যাতায়াতের ভিত্তিতে ইউরোপে ভারতীয় ভাষা, সাহিত্য, ধর্ম, দর্শন, কারিগরী কৌশল- এই সব জানবার এবং বোঝবার চেষ্টা বহুবছর ধরে হয়ে আসছে।
    বিখ্যাত ভারতবিদ- গাই সরমান(GuySorman) তাঁর বই GENIOUSOFINDIA তে লিখেছেন:-যদিও ভারতকে বোঝবার চেষ্টা হাজার হাজার বছর ধরে হয়ে আসছে, কিন্তু গত আড়াই হাজার বছরে Indomania বা ভারতকে জানবার চেষ্টার মহাতরঙ্গ উঠেছে চারবার।
    প্রথমে, ওঠে সম্রাট অশোকের সময়। গ্রীক, মিশরীয়, হিব্রু আর আরব ধর্মতাত্তিক, দার্শনিকদের সঙ্গে চিন্তা আর জ্ঞান বিনিময়ের জন্যে সম্রাট অশোক,জলপথে পশ্চিম এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা আর দক্ষিণ ইউরোপে বৌদ্ধধর্ম, ভারতের সনাতন ধর্ম ( আমরা যেটাকে হিন্দু ধর্ম বলি), ভারতের সামাজিক চিন্তার ধারণা দেবার জন্য, কয়েক শ বৌদ্ধ ভিক্ষু পাঠিয়েছিলেন। ফলে, খ্রীস্টান ধর্মে এবং ধর্মগ্রন্থে ভারতের দর্শন, মহাকাব্য, সামাজিক চিন্তাধারা প্রতিফলিত হয়েছিল।
    দ্বিতীয় মহাতরঙ্গ ওঠে, অষ্টাদশ শতাব্দীতে। মূলত ফ্রান্সে এই মহাতরঙ্গ ওঠে। এই বিশেষ সময়কে দার্শনিক ইতিহাসে- PERIODOFENLIGHTMENT নামে পরিচিত।
    ঠিক এই সময়েই, ভারতের পুরোনো ও সমৃদ্ধ ধর্মতাঙ্কিÄক, দার্শনিক চিন্তাধারা ভালো করে অনুধাবন করে দার্শনিক ভলতেয়ার (১৬৯৪žž-১৭৭৮) বলেছিলেন:- 'ThewholeearthneedsIndia.Indiaaloneneedsnoone.'
    ভারতের পুরোনো বিষয়ে সমৃদ্ধ দার্শনিক শোপেনহাওয়ার (Schopenhauer) আর নীটশেও (Nietzsche)ও এই সব ব্যাপারে বেশ কয়েকটা সারগর্ভ বই লিখে গেছেন।
    বিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকে আসে তৃতীয় মহাতরঙ্গ। রোমা রোঁলা (RomainRolland), রামকৃষ্ণ ও স্বামীজির ওপর তাঁর অবিস্মরণীয় বইটি রচনা করেন।
    গাই সরমান বলেছেন:- 'Thecentralthemeoftheseworks - theefficacyofnon-violence, therespectforculturaldiversity, theneedtochangeoneselfasapreludetochangingtheworldfoundfavourableechoesinthefeministandecologicalmovementsinthewest;laterthereweresimilarechoesintheanti- VietnamWarprotestsandculturalactivitiesaroundtheglobe.'
    Indomania র চতুর্থ মহাতরঙ্গ বইছে এখন। ইউরোপ ও পশ্চিমের নানা দেশে এটা চাঞ্চল্যর সৃষ্টি করেছে। গাই সরমান লিখছেন:- 'Despiteitsabysmalpoverty, itscommunalandcaststrife, Indiandemocracy, India'scarefullycalibratedeconomicreforms, India'sITexuberanceandtheresurgenceofIndianpopularandclassicalculture, includingliterature, music, yoga, ayurveda, vegetarianism, pranayama, dance, cinema, food, andfashion;areattractingtheattentionoftheWestasneverbefore.TheWestdetectsintheIndianexperienceanswerstosomequestionsraisedbytheWest'smaterialsuccess.'
    পূর্ব এবং পশ্চিমে, তিনটি মহাদেশের সঙ্গে সমুদ্রপথে ভারতের বহু হাজার বছর ধরে কৃষ্টি আর বাণিজ্যের সম্পর্ক সম্বন্ধে প্রমাণ ঐ মহাদেশগুলোতে ছড়িয়ে রয়েছে। খ্রীষ্টপূর্ব ৩০০০ হাজার আগে তৈরী উর ( UR) এবং সম্রাট নেবুকাডনেজারের (Nebuchadnezzar) প্রাসাদে যে কাঠের তক্তা এবং থাম পাওয়া গেছে, তা হলো ভারতীয় টীক আর দেবদারু গাছের গুঁড়ি থেকে তৈরী।
    ঋগ্বেদে দেখি:- সমুদ্রদেবতা বরুণের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা। বরুণদেবতার আশীর্বাদ ছাড়া, সেকালে এবং এখনও সমুদ্রযাত্রা যে নিরাপদ নয় , সেটা বারবার বলা আছে।
    এবার মন্ত্রটি:-শম ন বরুণ:! অর্থাৎ:- হে সমুদ্র দেবতা বরুণ, তোমার আশীর্বাদ যেন নিরন্তর পাই! এইটাই এখন ভারতীয় নৌবাহিনীর CREST বা ব্যাজ! ১৯৪৮ এ চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী এটা বেছে দেন।
    আমরা মহেঞ্জোদারো বলি বটে, কিন্তু ঠিকঠাক উচ্চারণ হবে:- মোন- জো- দারো! মানে হলো- মৃতদের ঢিপি!
    অথর্ব বেদে আছে, নৌকো আর জাহাজ বানাবার কথা। জাহাজের খোল ছিল- প্রশস্ত, মাস্তুল উন্নত ও মজবুত। মাস্তুলের গঠন মজবুত করতে হতো- সামুদ্রিক ঝড়ের কথা মাথায় রেখে।
    রামায়ণে, আছে- লোহিত সাগরের সঙ্গে আরও এক দেশের ব্যাবসার কথা! এই দেশে- পোকা থেকে রেশমী সুতো বেরোয়। এটা তো চিন!
    মহাভারতে আছে পাণ্ডবদের বিশাল নৌবহরের দীর্ঘ বর্ণণা! তা এসব বর্ণণা কেন? কোন এক ঘনা, এখানে সামুদ্রিক যাত্রার বর্ণণা দেবে বলে?
    কভি নেহী!
    ঐ সেই বেওসা!!!! পয়সা আর ক্ষমতা! পয়সা আর ক্ষমতা না থাকলে রাজ্য শাসন আর ভোগ করা যায় না!
  • Ghanada | 223.223.158.217 | ২৭ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:৫০506389
  • dd

    বৈদিক মাস নিয়ে আমি পার্ট ২ ত লিখেছি। কোনো মতান্তর তো নেই।
    আমি GUNNER.। গান জানি না!
    মোটা হয়ে গেছি, সাথে মাথাও!
  • dd | 124.247.203.12 | ২৭ ডিসেম্বর ২০১১ ১৪:০৩506391
  • যা: বাবা।

    আমি লিখলাম জৈষ্ঠ্য বৈশাখ, নামের দিক দিয়ে আদৌ বাংলা মাস নয়, আপনি যেরকমটি লিখেছেন।

    এর উত্তরে আপনি লিখলেন সব কঠিন কঠিন উচ্চারণের জার্মান সাহেবেরা হিন্দু ফিলজফিতে আচ্ছন্ন ছিলেন।

    আমি লিখলাম ভোজ মধ্যযুগের আর যে চরকের নাম নিলেন সেটিও পুরা কালে চরক ডাক্তার নয়। আপনার তথ্য সুত্র তাই প্রাচীন ভারতের সাথে সম্পর্ক রাখে না।
    আপনি লিখলেন ৩০০০ বছর আগেও ভারতীয় পণ বিদেশে যেতো।

    সেই পদ্যটি মনে পরায়
    "এখান থেকে মারলাম তীর
    লাগলো কলা গাছে
    হাঁটু বাইয়া রক্ত পরে
    চোখ গ্যালো রে বাবা।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন