এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • জ্যোতিষ কে কেন আমার বুজরুকি বলে মনে হয়

    aka
    অন্যান্য | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ | ১৫৬০৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ishan | 117.194.38.23 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:৩৪506897
  • উঁহু। রঞ্জনদার গল্পে একটি মেয়েকে যৌনভাবে "অসৎ' দাবী করা হয়েছে। মেয়েটিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ না দিয়ে। সে এখানে উপস্থিতও নেই। সেটাকে মন খারাপের গপ্পো বলে মেনে নেওয়া বা সস্নেহ প্রশ্রয় দেওয়াটা "জাস্ট একটা কুযুক্তি' নয় কেন? "আমরা কেউ ওখানে ছিলাম না তাই ওনার মুখের কথায় বিশ্বাস করতে হবে' -- এ রূপ কুযুক্তিই বা নয় কেন এটা?

    এই হল কোশ্নো।

    ডি: আমার রঞ্জনদার গপ্পো নিয়ে কোনো আপত্তি নেই। আমি শুধু কোশ্নোটা সাজিয়ে দিলাম।
  • aka | 75.76.118.96 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:৩৭506898
  • এই বিষয়ে নতুন কিছুই আমার বলার নেই। রূ বাবু লিখতে থাকুন, আমার কিছু বলার থাকলে বলব। এক্সট্রীম বিহেভিয়ার ইজ মাই প্রবলেম সেটা ভবিষ্যতে খেয়াল রাখব।
  • pi | 72.83.83.28 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:৪৭506900
  • টিম, আইন হাতে তুলে নেওয়া সংক্রান্ত আপত্তি নিয়ে একটা কথা ছিল।
    স্কুলে তো এরকম ঘটনা ঘটে থাকে।আমার ক্লাসেই হয়েছিল। দিনের পর দিন নানাজনের নানা জিনিস চুরি যেত। ক্লেপ্টোম্যানিয়াক। শিক্ষকরা উদ্যোগ নিয়ে বের করেন ( লোকজনের মুখের কথা ও সন্দেহের ভিত্তিতেই) , তার কাউন্সেলিং এর ব্যবস্থা করেন । পুলিশ তো ডাকেননি। আইন নিজেদের হাতে নিয়ে অন্যায় করেছিলেন কী ?

    এরকম সব ঘটনায় পুলিশ ডাকাটা কি এক্সট্রীম অ্যাকশন হয়ে যায়না ?

    রঞ্জনদার গল্প নিয়ে রূপঙ্করদা যে পয়েন্টটা তুলেছেন, সেই পয়েনটাতে কিন্তু একমত। যদিও রঞ্জনদার লেখা নিয়ে আমার আপত্তি নেই। আর সেই কারণে রূপঙ্করদার গল্প নিয়ে আপত্তি তুলতে গেলেও ঐ পয়েন্টে আটকে যেতে হচ্ছে।
  • Sibu | 108.23.41.126 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:৪৭506899
  • যৌনভাবে অসৎ - এই কথাটার মানে কি?
  • pi | 72.83.83.28 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:৫৩506901
  • তবে এনিয়ে আর কিছু বলার নেই আমার। তক্কো করবো না :)

    রূপঙ্করদাকে একটা কথা বলার, এখানে কিন্তু কেউ গ্রুপিজম করেনি। যার যা মনে হয়েছে , বলেছে।
  • Tim | 173.163.204.9 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:৫৪506902
  • যৌনভাবে অসৎ কেন? ব্যবসায়িক সুবিধের জন্য যৌনতা ব্যবহার করা বলতে পারো। এরকম তো অনেক পেশাতেই হয়। হয়না?
  • Tim | 173.163.204.9 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:৫৮506903
  • এবং, আইনের চোখে সেটা অপরাধ কি? অথচ চুরি করলে আইনে সাজা আছে। এইসব কারণে দুটো অভিযোগ আমার একরকম লাগেনি।

    এইরকম ক্ষেত্রে সবাইকে জড়ো করে ( বাড়ির এবং বাইরের লোক নির্বিশেষে ) পরেরদিন পুলিশ ডাকার কথা ঘোষণা করলে কি হতো? (জোরে জোরে ভাবছি)
  • Ishan | 117.194.38.23 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:০০506904
  • হয় তো। যেমন অনেকে নিজের "সম্মোহনী ক্ষমতা'কেও অন্যকে টুপি দিতে ব্যবহার করেন। অনেকে আঙুলের দক্ষতাকেও পকেট কাটতে ব্যবহার করেন। তাতেই বা অসুবিধে কি?
  • Ishan | 117.194.38.23 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:০২506905
  • পুলিশে খপর না দিয়ে কায়দা করে চোরাই মাল উদ্ধার করাও তো আইনের চোখে অপরাধ নয়। তাই না?
  • Tim | 173.163.204.9 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:০৭506907
  • না ভেবে দেখলাম দুটোই ক্রাইম। রঞ্জনদাকেও তো কিসব খাইয়েছিলো। সেইটা ক্রাইম। তাছাড়া বাকিটাকেও সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টে ফেলা যায়। একজনকে চোর সাব্যস্ত করার চেষ্টাও আছে।

    ওক্কে, সেক্ষেত্রে আমি আমার প্রতিবাদ উইথড্র করে নিলাম। রূপঙ্করবাবু, সরি।
  • Sibu | 108.23.41.126 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:০৮506908
  • যৌনভাবে অসৎ কথার অর্থ কি? যৌনতার প্রলোভন দেখানো কি বেআইনী? নাকি মরাল পুলিশ বসিয়ে ঠিক করা হবে (আইনের সীমানার মধ্যে) কে যৌনতাকে কিভাবে ব্যবহার করবে?
  • Tim | 173.163.204.9 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:১০506909
  • ঈশানদা,
    হ্যাঁ, সেইটা নিয়ে দ্বিমত নাই।
  • Sibu | 108.23.41.126 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:১৭506910
  • তিমি হে, এট্টুখানি কথা আছে। সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের জন্যি দুটি ব্যাপার লাগে।

    ১। পাওয়ার রিলেশন। মেয়েটির কি রঞ্জনদার ওপর কোন ক্ষমতা ছিল? চাগরির প্রোমোশন, পরীক্ষার গ্রেড, এই সব?

    ২। আনউইলিং ভিক্টিম। গপ্পোটায় রঞ্জনদাকে আনুইলিং মনে হল কি? :-)

    তবে যদি বল কি সব খাইয়ে রঞ্জনদার জাজমেন্ট ইমপেয়ার করে দেওয়া হয়েছিল, নইলে রঞ্জনদা আনুইলিং হতেন - তাহলে আই রেস্ট মাই কেস।
  • Ishan | 117.194.38.23 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:২০506912
  • কিন্তু এটা জেনে ভারি দু:খ পেলাম, যে, আমার ক্রিকেট নিয়ে টিমের কোনো ইন্টারেস্ট নাই। আমার প্রতিভা নিয়ে বলতে বললেও আর কখনও বলবনা। :(
  • Ishan | 117.194.38.23 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:২২506913
  • এই জন্যই তো আমি FDI নিয়ে লিখব ঠিক করেছিলাম। কিন্তু জ্যোতিষের করাল চক্র আগে থেকেই ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে রেখেছে। :(
  • Tim | 173.163.204.9 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:২৩506914
  • কত রান করেছিলে? খেলার গপ্পোটাই তো ভালো করে বললে না। শুনি শুনি।
  • Tim | 173.163.204.9 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:২৫506915
  • শিবুদা,
    কিসব খাইয়েছিলো বলেই বললাম তো। প্লাস রঞ্জনদা তো একটা ইনভেস্টিগেট করতে গেছে। সেটাকে প্রভাবিত করাও বলতে পারো। আনউইলিং বলে তো মনে হয়নি, তবে নেশায় কি না হয়! ;-)
  • Ishan | 117.194.38.23 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:২৭506916
  • ব্যাটিং এ আমি স্ট্রোকলেস ওয়ান্ডার। আর বোলিং এ স্লোয়ার ডেলিভারিটা খুব ভালো পারি। জোরে বলটা স্টক ডেলিভারি, সেটা অবশ্য হাতে নেই।

    কিন্তু বাকি গল্প পরে। এখন আমি ঘুনু করতে যাব।
  • Sibu | 108.23.41.126 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:২৮506918
  • তিমি কিন্তু আরো সিরিয়াস চার্জ আনছ। তুমি কিন্তু মেয়েটিকে স্ট্যাটুটরী রেপের আসামী বলছ!
  • hu | 12.34.246.73 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:৩৫506919
  • রূপংকরবাবুর চোর ধরার পদ্ধতি আপাতদৃষ্টিতে ক্ষতিকারক নয়। এবং আমাদের দেশের পুলিশের কথা মাথায় রাখলে অবশ্যই হ্যাসেল ফ্রি। কিন্তু কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের অন্ধবিশ্বাসকে ব্যবহার করা এবং তাতে ইন্ধন যোগানো এথিকালি কতটা ঠিক সেটা চিন্তা করছি।
    (ডি: রূপঙ্করবাবুকে সমালোচনা করা এই পোস্টের উদ্দেশ্য নয়। উনি ওনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন বলেই এটা নিয়ে ভাবার সুযোগ হল।)
  • hu | 12.34.246.73 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:৩৮506920
  • চোর ধরার পদ্ধতি বলা ঠিক হল না। বলা উচিত ছিল চুরি হওয়া জিনিস উদ্ধার করার পদ্ধতি।
  • pi | 72.83.83.28 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:৫২506921
  • হু র এই পয়েন্টটা আমারো মনে হচ্ছে। ঐ তিমি যেটা বল্লো, জোরে জোরে পুলিশ ডাকার কথা বলা, সেটা মনে হয় বেটার হত।
  • PM | 2.50.41.123 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:৫৬506922
  • যাক সব মিটমাট। শান্তি। রু-বাবু মনে আর দু:খ নেই তো?
  • rimi | 75.76.118.96 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:১১506923
  • ইশানের 10.06 এর অবস্থান প্রসঙ্গে:

    আমি মনে করি ওঝাগিরির মতন জ্যোতিষও যথেষ্ট ক্ষতিকর। অ্যাপারেন্টলি হয়ত মনে হয় যে কেউ আংটি পরলে বা ভাগ্য আগে থেকে জানলে ক্ষতি কি? ক্ষতি আছে।

    ১। মানুষ যখন দৈবে বিশ্বাস করে, তখন নিজের কাজের উপরে বিশ্বাস তার কমে যায়। যে সমস্যা একজন নিজের কর্মক্ষমতা, নিজের বুদ্ধি, এবং অন্যান্য আরো জাগতিক জিনিশ কাজে লাগিয়ে সমাধান করতে পারত, সেই সমস্যা সমাধান করার জন্যে সে দৈবের উপরে নির্ভর করে। এবং নিজের বুদ্ধি, বিচারক্ষমতা, কর্মক্ষমতা কমে যেতে থাকে। উদাহরণ প্রচুর আছে।

    উদা: ক: আমার এক মামা ছোটো থেকে মন দিয়ে লেখাপড়া করেন নি, ফ্যা ফ্যা করে ঘুরে বেরিয়েছেন। কোনোরকমে হায়ার সেকেন্ডারি পাস। যথারীতি, চাকরি হল না। চাকরির জন্যে অ্যাক্টিভলি খোঁজা থেকে শুরু করে, নিজের যোগ্যতা বাড়ানো ইত্যাদি কোনোটাই তিনি করলেন না। গেলেন জ্যোতিষীর কাছে। জ্যোতিষীও দিলেন আংটি ঠুকে। মামার বাবা মা মানে দাদু দিদাও দিব্বি যেন তেন প্রকারেণ টাকা জোগাড় করে দামী আংটি বানালেন। আংটি বছরখানেক বাদে মামার চাকরি হল, কিন্তু কয়েকমাস বাদে সেই চাকরিটি গেল। জ্যোতিষী বললেন কপালে আছে চাকুরিরতা মেয়ে বিয়ে করা। মামা তখন খুঁজে পেতে এক টিউশনি করা মেয়েকে বিয়ে করে আনলেন, অবশ্যই প্রেম করে :-) তাদের দুরবস্থা ২৫ বছর বাদেও এখনো ঘোচে নি। মামা মামীর জ্যোতিষে এখনও অখন্ড বিশ্বাস। সংসার চলে দাদুর পেনশন আর মামীর টিউশনি থেকে।

    উদা: খ: যারা আগে থেকে ভাগ্য জানায় বিশ্বাসী, তারা যেহেতু দৈবের উপরে নির্ভরশীল, কোনো বিপদের ভবিষ্যৎবাণী শুনলে তারা বিপদটাকে রিয়ালিস্টিকালি কাটানোর বদলে মাদুলি কবচের উপরে বেশি নির্ভর করে। যেমন, সিকির রঘুনাথপুরের ঘটনা। বাবা মা জানতেন সাত বছর তিনমাসে মেয়ের বিপদের সম্ভাবনা। তবু গুলিভরা বন্দুক এমন জায়গায় রেখেছেন যে ছেলে, যেও নাবালক, সে সেটা বের করতে পারে। (একজন বাবার পক্ষে এই কাজটা ক্রিমিনাল নেগলিজেন্সের পর্যায়ে পড়ে, সেটা জ্যোতিষী বলুক বা না বলুক)।

    দৈবে বিশ্বাসী মানুষ মনে করে দৈবের উপরে হাত চালাতে গেলে নিজের ক্ষমতা দিয়ে শুধু হবে না, তার সঙ্গে অন্যকিছু চাই। তাই ফোকাসটা বিপদের আসল কারণগুলোর দিকে পড়ে না।

    ২। একটা গোটা সমাজে যখন দৈবে বিশ্বাস ক্রমাগত বাড়তে থাকে, মিডিয়ায় জ্যোতিষীরা রমরমা ব্যবসা করতে থাকেন, গোটা সমাজে তখন যেকোনো রকম কুসংস্কারের সঙ্গে লড়াই করা খুব কঠিন হয়ে যায়। যে মানসিকতা থেকে মানুষ দৈবে বিশ্বাস করে, সেই একই মানসিকতা থেকে মানুষ ওঝা জলপড়া গুপ্তবিদ্যাতেও বিশ্বাস করে। এই মানসিকতা হল কোনো ঘটনার পিছনে কার্য্য কারণ অনুসন্ধান না করার প্রবণতা, যা দেখা যাচ্ছে তাকেই বিশ্বাস করে নিয়ে অলৌকিক তঙ্কÄ খাড়া করার প্রবণতা, ভুল কাজ করে বা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই ভুল সংশোধন না করে ভাগ্যের দোহাই দিয়ে নিজেকে এবং অন্যদের সান্ত্বনা দেওয়া।

    উদা: আমরির ঘটনা। কোথায় সেই জনরোষ? কোথায় দোষীদের শাস্তি দেবার ক্রমাগত দাবী?? মিডিয়া জ্যোতিষ নিয়ে রমরমে ব্যবসা করে চলেছে, অথচ আমরির মতন একটা চুড়ান্ত অন্যায়ে দুদিন হইচইএর পরে সব স্তব্ধ। ভাগ্যে বিশ্বাসী সমাজে এরকমটাই এক্সপেক্টেড।

    ৩। জ্যোতিষ ব্যপারটা ওঝাগিরি, জলপড়া চালপড়ার থেকে আরো ক্ষতিকর এই কারণে যে জ্যোতিষের গায়ে একটি বিজ্ঞানের মোড়ক আছে। তাই শিক্ষি্‌হত মানুষও জ্যোতিষে বিশ্বাস করে নিজেকে সান্ত্বণা দিতে পারেন - হ্যাঁ, এটা তো "ফলিত বিজ্ঞান"।

    ৪। সমাজে জ্যোতিষের রমরমা বাড়লে সেই সমাজ থেকে যুক্তিবাদ, বিজ্ঞানমনস্কতা হারিয়ে যেতে থাকে। ছেলেপুলে সায়েন্স পড়ে শুধুমাত্র চাকরি পাবার জন্যে, কিন্তু সায়েন্স কি এবং কেন, সেই বিষয়ে সায়েন্সে শিক্ষিত লোকেরও সঠিক ধারণা জন্মাতে পারে না।

    আপাতত এই। আংটি পরা লোক দেখলে আমিও তেড়ে ফুঁড়ে গিয়ে তর্ক করি না। ইন্ডিভিজুয়াল লোকের সঙ্গে তর্ক করে গোটা সমাজের ট্রেন্ড পাল্টানো যায় না।

    আমি মনে করি, আমাদের এডুকেশন সিস্টেমে একেবারে এলিমেন্টারি লেভেল থেকেই জ্যোতিষ সহ সবরকম কুসংস্কারের বিরুদ্ধে চেতনা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা থাকা উচিত শিক্ষাবিদদের তরফ থেকে।

    এই নিয়ে আরো লিখব পরে। এখনই বেরোতে হবে।
  • Tim | 198.82.17.36 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:২৮506924
  • রিমিদিকে ক দিলাম সব পয়েন্টেই।
  • kd | 59.93.199.123 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৩৪506925
  • রূপঙ্করবাবু গল্পটি লেখার সময় একটি বড় ভুল করেছেন। জ্যোতিষে বিশ্বাস নিয়ে লেখা কয়েকজনের বেশ অপছন্দ হয়েছে এবং তাঁরা সঠিকভাবেই প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ সেই সূত্রে ওনার অন্য পোস্টকেও আক্রমণ করতে পারেন সেটা উনি হয়তো ভেবে দেখেন নি আর তাই মনে মনে যা ভেবেছেন তাই লিখেছেন, পলিটিকালি কারেক্ট করে লেখেন নি।

    মনে যাই থাক, উনি যদি লিখতেন যে ওনার সন্দেহ ওয়ালেট চুরি বাড়ির কোন লোক (মানে নিজের ও কাজের) করেছে, আর এই চালপড়া অ্যাপ্লাইজ টু অল অফ দেম আর ওনার উদ্দেশ্য ওয়ালেট ফেরত পাওয়া, চোর ধরা নয়, তাহ'লেই কোন ফাঁক থাকতো না।

    অবিস্যি এর মধ্যেও যে ফাঁক পাওয়া যাবে না, তাই বা কি করে বলি।

    আর একটা কথা, অনেকেই লিখেছে দেখছি, টইতে আবাহনও নেই বিসর্জনও নেই। টেকনিকালি এটা সত্যি জানি, তবে এর আগে একজনকে এমন ভাবেই তাড়াতে দেখেছি আর তার ""দোষ'' রূপঙ্করবাবুর থেকেও কম, সে এ'সাইটে তেমন কিছুই লেখেনি, অন্য এক সাইটে এই ""দল''এর বিরুদ্ধমতে কিছু লিখেছিলো, এই তার ""দোষ''।

    যখন এতোই লিখলুম, ঘনাদা বা যাঁরা নতুন আসছেন তাঁদের জন্যে এটাও লিখি। এ'সাইটে একটি রীতি আছে। ধরুন আমি বেশ কিছুদিন ধরে আপনাকে খিস্তি করে গেলুম; আপনি শেষে আর সহ্য করতে না পেরে উল্টে কিছু বল্লেন। ব্যস্‌, হয়ে গ্যালো - সকলে আপনার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে, অ্যান্ড আই গো স্কট ফ্রি। এটাই এখানে নিয়ম, প্রতিবারই এমন হতে দেখেছি।
  • pi | 72.83.83.28 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৪১506926
  • বেশ কিছু পয়েন্টে একমত হলেও বেশ কিছু পয়েন্ট অতিসরলীকরণও মনে হয়েছে। এবং , আবারো এই যুক্তির পরম্পরায় আবারো খুব অদ্ভুত অদ্ভুত জায়গায় পৌঁছতে হচ্ছে।

    আম্রি কাণ্ডে লোকে হইচই করলো না, তার কারণ তারা ভাগ্যে বিশ্বাসী, এটা ভাবা একটু চাপ হয়ে গেল।
    তা এখানের ভাগ্যে ঘোরতর অবিশ্বাসী মানুষজন এই কাণ্ড নিয়ে কীরকম হইচই জিইয়ে রেখেছেন তার কিছু নমুনা দেখতে চাই।
    সিরিয়াসলি চাইছি।

    আর জনরোষের নমুনা কি কিছু কম দেখা গেছেআমাদের দৈব বিশ্বাসী দেশে ?
    পকেটমারকে যারা কেলিয়ে মারে,তালে তারা কেউ ভাগ্যে বিশ্বাসী নয়, তাই নাকি ?

    আর এই স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে আন্না হাজারে, সেরকম সেরকম ইস্যুতে জনগণের যোগদান কিচু কম তো দেখা যায়নি। তো, মানুষজন খামোখা বদল টদলের জন্য চাপ নিতে গেলেন কেন ? ভাগ্যে চাপ নেওয়া আছে, জ্যোতিষীরা এরকম কয়েছেন বলে ? আলোচনার সুবিধার জন্য নাহয় রামদেবের উদা: ই নেওয়া নেয়া যায়। কারণ রামদেবের ঐ দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে ( ওর হোয়াটেভার) অংশ নেওয়া মানুষের একটা বড় অংশ ভাগ্যে বিশ্বাসী, ফর শিওর। ভাগ্যে আছে, তাই কেউ প্রচুর কালোটাকা করে, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাদের ভাগ্যে আছে , তাই হচ্ছে, এমন মনে হলেই তো হত।
    কি ভাগ্যে পরাধীন থাকা আছে, লড়াই করে আর কী হবে। কে সবাই মিলে আংটি ধারণ করি, স্বাধীনতা এসে যাবে !
  • Tim | 198.82.17.204 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৫৫506927
  • পাই,
    পয়েন না উদাহরণ অতিসরলীকৃত। আমি কিন্তু পয়েন্টে ক দিয়েছি। ক্লারিফাই করে দিলুম।

    শিবুদা,
    স্ট্যাটুটরি রেপ হয় কিনা বুঝতে পারছিনা। দুজনেই তো অ্যাডাল্ট। তবে কনসেন্ট দেওয়ার মত মানসিক অবস্থা না থাকার সম্ভাবনা থেকেই যায়। এটা চার্জ করছিনা, হহপা ক্রাইমের মধ্যে ধরছিলাম।
  • pi | 72.83.83.28 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৫৭506929
  • টিম, হুঁ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন