এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • জ্যোতিষ কে কেন আমার বুজরুকি বলে মনে হয়

    aka
    অন্যান্য | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ | ১৫৬১৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Sibu | 108.23.41.126 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ০৭:২১506798
  • রঞ্জনদা, রোগীর কল্যানকামনার ব্যাপারটাও ডিসি হতে পারে। রোগীকে বা রোগীর প্রিয়জনকে ভরসা দেওয়াকে কেউ প্রতারণা বলবে না। কিন্তু জ্যোতিষ বা জলপড়া প্রায়ই সেখানে থেমে থাকে না তো। ধরুন আমার মা কিছুদিন আগে সিজে ডি্‌জজে মারা গেল। কোন চিকিৎসা নেই। এমনকি কষ্ট কমানোরও কোন উপায় নেই। আমি তো বাবাকে বলেছি যে কি অবস্থা দাঁড়াচ্ছে বোঝা জাচ্ছে না। ড্‌ক্‌তারেরা চেষ্টা করছেন। বলছি জেনেই, যে ডাক্তারেরা জবাব দিয়েছেন। কিন্তু যদি ওষুধ ইত্যাদি বন্ধ করে জল্পড়ার ওপর রাখার পরামর্শ কেউ দিত তো সেটা কেমন হত?

    আরো একটা কথা আছে। অসহায় মানুষকে ভরসা দেওয়া, আর যুক্তিবিরোধীতা তৈরী করা - দুটো এক ব্যাপার নয়। এইখান থেকে একজন ব্যক্তি ব্যক্তিহিসাবে ফোর্স অফ গুড এবং সামাজিক হিসাবে ফোর্স অফ ইভিল হতেই পারেন। বিশেষত: এই সময়ে, যখন অ্যান্টি-ইন্টেলেকচুয়ালিজমের চাদ্দিকে এত রমরমা।
  • ranjan roy | 115.118.237.6 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ০৭:২১506797
  • নখদর্পণের গল্প:

    স্থান: বরাহনগর রামকৃষ্ণ মিশন। কাল: বর্ষ ১৯৬৫'র প্রথমার্ধ। পাত্র ক্লাস টেনের তিন ছাত্র- দেবু, জয়ন্ত ও রঞ্জন। এক তান্ত্রিক পরিবার ও ডেপুটি হেড মাস্টার শম্ভুবাবু স্যার।
    দেবুর রিস্টওয়াচ চুরি গেছে। গতকাল বিকেলে আশ্রমের ফুটবল মাঠে খেলার সময় ঘড়িটা ও বইপত্তর বাউন্ডারি ওয়ালের ওপর রেখেছিল। খেলার শেষে দেখা গেল ঘড়িটা উধাও। বৃষ্টি পড়ছিল, মাঠে তখন জনা আটেক খেলুড়ে ছাড়া কেউ ছিল না। আর্টসের ছাত্র দেবু ডে-স্কলার, স্থানীয়। সে ঘাবড়ে গিয়ে পাড়ার বন্ধুদের পরামর্শে নৈনান্‌পাড়ার এক তান্ত্রিকের আশ্রমে যায়। সে যজ্ঞ করে তার ভস্ম নিয়ে দেবুর নখে লেপে তার মধ্যে দোষীকে দেখিয়ে দেয়। সে সায়েন্সের জয়ন্ত ব্যানার্জি, হস্টেল নিবাসী।
    পরের দিন স্কুলে ভারি বাওয়াল। দেবু সোজা জয়ন্তকে চার্জ করে-- ভালয় ভালয় ঘড়িটা ফেরত দিয়ে দে, কিছু বলবো না। নইলে তোকে পুলিশে দেব।
    জয়ন্ত অবাক। কিসের ঘড়ি? আমি কেন নিতে যাবো? হ্যাঁ, বিকেলে খেলার মাঠের কাছে ছিলাম বটে। সেতো আরও অনেকে ছিল। তাবলে--।
    -- ন্যাকা সাজিস না। এত ছেলে থাকতে তোর ছবিটাই নখদর্পণে কেন দেখতে পেলাম? তান্ত্রিক বাবা তো আর তোকে জানেন না!
    এই তর্কে জয়ন্ত ভ্যাবাচাকা ! ছাত্রসমাজ দ্বিধাবিভক্ত। এর মধ্যে আবার আশ্রমের আবাসিক( অবশ্যই আউট সাইডার) এবং ডে-স্কলার( অবশ্যই স্থানীয়) বিভাজনের চেহারা স্পষ্ট। হাতাহাতি শুরু হয়ে থেমে গেল। কিন্তু ছোটখাট দাঙ্গার সম্ভাবনা(:))) বাড়তে লাগল। শেষে দু'পক্ষের ডেপুটেশন স্টাফ রুমে হাজির। ডেপুটি হেডু শম্ভুবাবু স্যার বি এ, বি এস সি, বি এল। সৌম্যকান্তি, রবীন্দ্রসংগীত গায়ক সুভদ্র কিন্তু জ্যোতিষে মাদুলিতে বিশ্বাসী, চর্চা করেন। উনি দ্বিধান্বিত।
    পশ্চাতপক্ক রঞ্জনের প্রশ্ন: তান্ত্রিক কি অন্য কাউকে এই নখদর্পণ করে চোরের চেহারা দেখাতে পারেন?
    -- হ্যাঁ, পারেন। তবে শর্ত আছে। ছেলেটির নাম অ, ক, প অথবা র দিয়ে শুরু হতে হবে। আর ধনু বা সিংহরাশি হতে হবে।
    ভীড় থেকে আওয়াজ ওঠে। পরীক্ষা করে দেখা যাক। দেবু এবং স্যার বলেন-- বেশ, কে যাবে? ভলান্টিয়র চাই।
    ভীড় পাতলা হতে থাকে। রঞ্জনের মাথায় পোকা নড়ে। জয়ন্তের সঙ্গে ঝগড়া হয়ে তিনদিন ধরে কথা বন্ধ। শালা ছোটলোক! কিন্তু তা বলে ঘড়িচোর? না:, এ হতে পারে না। ও ধ্রুব ও জ্যোর্তিময়কে ডেকে বলে আগামী দুঘন্টা জয়ন্তের সঙ্গেই থাকিস। থিওরি প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস সবসময়।
    তারপর ও শম্ভুবাবু স্যারকে বলে-- আমি যাব স্যার! আমার ধনু রাশি আর নাম র দিয়ে শুরু। আপনি গেটপাস বানিয়ে দিন।
    তাই হল। ফিরে এসে ওকে স্টাফরুমে রিপোর্ট দিতে হবে।
    মিশনের গেট থেকে পেরিয়ে দেবুর সঙ্গে রঞ্জন হাঁটতে থাকে, মিনিট পনেরোর পথ। রাস্তা ধরে দেবুর বকবকানি, তান্ত্রিক বাবার মাহাত্ম্য ও জয়ন্তের ছোটোলোকোমির গল্প। ব্রাহ্মণ সন্তান হয়েও এমন কাজ!
    রঞ্জন সায় দেয়। মনে প্রশ্ন-- এত ছেলে থাকতে তান্ত্রিকের দর্পণে জয়ন্তের চেহারা কেন দেখা গেল?
  • Sibu | 108.23.41.126 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ০৭:২৩506799
  • ডিসি না, ডাইসি হবে।
  • Sibu | 108.23.41.126 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ০৭:৩০506800
  • গল্পে বাধা দিলাম, সরি, আপনি গল্প বলুন। সকালের চা খাওয়া হল?
  • aranya | 144.160.98.31 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ০৮:৩৩506801
  • খাসা হচ্ছে রঞ্জন-দা। গপ্পোটা-ই চলুক। তক্কো, তোমায় দিলাম আজকে ছুটি।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:৪৩506802
  • অ্যাই রঞ্জন, আমি নোখদর্পনে পস্টো দেখতে পাচ্ছি তুই ব্যাটা ল্যাদ খাচ্ছিস। শিগ্গিরি লিখতে বস।
  • ranjan roy | 14.97.135.183 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:৪৪506803
  • শিবু,
    ঠিক ধরেছেন,:)))। আর আপনার মূল বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি একমত, বিশেষ করে শেষ লাইনটা।
    ১৯৮৮'র কথা বলছি। আমার ছোটভাইয়ের জিভে ক্যানসার, লেট ধরা পড়েছে, ঠাকুরপুকুরে চিকিৎসা হচ্ছে। একটা সময় হল যখন ডাকতাররা বল্লেন যে প্রাণ বাঁচাতে জিভ কাটতে হবে। আমার স্ত্রী তাতে দিশেহারা হয়ে আমাকে না জানিয়ে ট্রেনে করে ভোপালে পালালেন। চিরকূট ছেড়ে গেলেন যে ভোপালে বিধানসভার সামনে কোন বিখ্যাত ফকিরের দেয়া তেল ও শিকড়বাকড়ে ক্যান্সার সারে। আর উনি নির্লোভ। আগরবাতির প্যাকেট, নারকেল আর একশ' টাকা নেন।
    আমি তক্ষুণি কোলকাতায় মেজভাইকে লিখলাম যে ইমোশনের চোটে চিকিৎসাবিভ্রাট ঘটানো ঠিক হবে না।ওই তেল -শিকড়বাকড় যেন না দেয়া হয়। দেয়া হয়নি। একবছর পরে ভাই কোলকাতায় আমার সামনেই মারা গেল। কিন্তু আপনার লাস্ট লাইনটা আমি মানি, ব্যক্তিগত সৎভাবনায় করা কাজও ম্যাক্রো-লেভেলে সামাজিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। সেভিংস এর বাড়াবাড়ি নিয়ে কেইনসের সেই বাণী:))!

    অরণ্য,
    এবার গল্প শেষ করছি।
  • Tim | 173.163.204.9 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১০:১২506804
  • বসে আছি গপ্পের শেষটা পড়বো বলে।
  • aranya | 144.160.98.31 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১০:৩১506805
  • আমিও, বসে আছি পথ চেয়ে। এদিকে হুল্লাট তক্কো করে, পরে পিছনে তাকিয়ে ব্যাপক দু:খে হাবুডুবু খেয়ে (গুরুতে ২+ বছরে এই আমার প্রথম দীর্ঘ তক্কো, আর সে ক্ষি/ক্ষী তক্কো :-(((( ) পরশু রাতে তো ঘুমই এল না, ডেডলাইন মিস করে কালও সারারাত আপিসে, এখন কেমন মাল না খেয়েই টলছি :-( ।
    রঞ্জন-দাআআআআআ, আমি আর ঠিক চার মিনিট - মধ্যরাত পর্যন্ত ওয়েট করব, গপ্পের জন্য, নইলে আগামীকাল।
  • ranjan roy | 14.97.135.183 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১০:৩৩506807
  • একটু ঝোপড়পট্টি মতন জায়গা। তবে ভাঙা ইঁটের ও ছাঁচের বেড়া দিয়ে ঘেরা আঙিনাটি বেশ বড়। একপ্রান্তে চুণ-সুড়কির জোড়াই দিয়ে তোলা একটি ইঁটের দেয়ালের আড়ে কুলুঙ্গি মতন, তার মধ্যে ছোট কালীমূর্তি। আর অন্য প্রান্তে খাপরা দিয়ে ছাওয়া মাটির ও ছাঁচের বেড়ার দেয়াল দেয়া নীচু দুটো কামরা। প্রাঙ্গণে বেশ কিছু গাছগাছালি, লতাপাতা, জড়িবুটি শেকড় বাকড়। একদিকে হামানদিস্তেয় কিছু কোটা হচ্ছে। হতদরিদ্র সংসারের ছবি। তান্ত্রিক বয়স্ক জটাজুটধারী, শ্রান্তক্লান্ত চেহারা, একেবারেই কপালকুন্ডলার কাপালিকের মত ন'ন, তেমনি তাঁর গিন্নি। আর আছে তাঁর মেয়ে বয়স তিরিশ হবে, একটি ছাগলচানা নিয়ে খেলা করছে ছোট ছোট দুটি বাচ্চা।
    দেবু ওনার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলো, আমিও। আগমনের কারণ শুনে উনি আমার নাম-গোত্র জিগ্যেস করে নিশ্চিন্ত হয়ে দেবুকে পূজোর আবশ্যক সামগ্রীর সঙ্গে অগুরু, দেশি কারণবারি এক পাঁইট, জবাফুল আর ১০০ গ্রাম ঘি আনতে বল্লেন। দেবুর প্রায় আধঘন্টা লাগলো। ততক্ষণ আমাকে উনি ভরসা দিলেন। কোন চিন্তা কোর না। আমরা মন্ত্রসিদ্ধ। দেবুকে দেখিয়েছি, তুমিও দেখতে পাবে। তারপর জয়ন্ত ছোঁড়া জেলে যাবে।
    রঞ্জনের বয়স পনের, আশ্রমের বখা ছোকরা; ওর বারবার চোখ যাচ্ছে তান্ত্রিকের জটাধারী মেয়েটির দিকে, বলা উচিত ওর পুষ্ট বক্ষদেশের দিকে। কারণ খালি গায়ে শাড়িজড়ানো মহিলা, বিশেষত: এই বয়সের, দেখা ওর অভ্যেসে নেই।
    হবনসামগ্রী আনা হলে কালীমূর্তির সামনে জায়গাটা শুদ্ধ করে নিয়ে পূজো- যজ্ঞ ইত্যাদি শুরু হল। মন্ত্রোচ্চারণ বেশ লয়বদ্ধ, সুরের ওঠানামা ভালই। তান্ত্রিকের পূজোয় সহায়তা করছিলেন ওঁর স্ত্রী আর মেয়েটি কিছু জিনিসে মধু মিশিয়ে একটা হামানদিস্তায় কূটছে, তারপর একটা পাত্রে মেশাচ্ছে।
    দেবু ও রঞ্জনের বাপ-পিতামোর নামগোত্র সব হল। রঞ্জনের ঘুম পেতে লাগলো। সভয়ে ভাবলো শুরুতে যে একটা সরবতের মত কিছু মেয়েটা খাইয়েছিল তাতে কিছু নেই তো? না:, তাহলে দেবুর কেন কিছু হচ্ছে না! ভয় তাড়িয়ে ও ভাবতে লাগলো এখন জয়ন্ত কি করছে? বন্ধুদের কথা আনুযায়ী আজ পরপর ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রির প্রাকটিক্যাল আছে, ওরা নিশ্চয়ই ল্যাবে রয়েছে।
    পূজো-যজ্ঞ যথাসময়ে শেষ হল। দেবু পাঁচসিকে দক্ষিণা দিয়ে গড় হয়ে প্রণাম করলো, আম্মো। শান্তিজল-পাদোদক প্রসাদ সব হল।
    এইবার সিনিয়র তান্ত্রিকের নির্দেশে ওনার সিদ্ধা জটাজুট মেয়েটি রঞ্জনের পাশে বসে যজ্ঞের ছাই আর ঘি দিয়ে কপালে তিলক করে দিল। তারপর ওর পিঠে বেড় লাগিয়ে রঞ্জনের ডানহাত নিজের হাতে নিয়ে মধ্যমার নোখের চওড়া জায়গাটায় সেই আঠালো জিনিসটা আর যেটা পিষে রেখেছিল সেটা লেপে দিল।
    এখন রঞ্জন বসেছে কালীমূর্তির সমান্তরালে, পিঠের দিকে খাঁজকাটা চুনসুড়কির দেয়াল। মেয়েটি পেছন দিকে বসে বাঁহাত দিয়ে জড়িয়েছে ওর কাঁধ, ডানহাতে রেখেছে ওর মধ্যমা।
    তান্ত্রিক মন্ত্র পড়ছেন। ক্রমশ: মন্ত্র শেষ হয়ে হুংকারে পর্যবসিত হল।

    -- জয়ন্ত আয়! জয়ন্ত আয়! কোথায় পালাবি? আসতেই হবে? কার আজ্ঞে? অমুক বাবার আজ্ঞে! বল, কি দেখতে পাচ্ছ?

    -- কিচ্ছু না।
    -- ভালো করে তাকাও! মন সংযোগ কর, ঠিক দেখতে পাবে। (মেয়েকে) ওকে ভাল করে দেখা!
    মেয়েটি আরও গাড় ভাবে জড়ায়।
    -- এই দেখ! দেখা তো যাচ্ছে! দেখ, তোমার নোখে মানে নখদর্পণে তোমাদের স্কুলের লোহার গেট। এবার মন লাগিয়ে দরজা ঠেলে ভেতরে ঢোক।
    রঞ্জন কিছুই দেখতে পাচ্ছে না। আড়চোখে তাকিয়ে দেখে পেছনের দেয়ালের ইঁটের খাঁজে মশলা জোড়ার জলছবি খুব মাইক্রো ইমেজ তৈরি করেছে ওর নোখে। লোহাঅর গেট না হাতি!
    কিন্তু, কিন্তু ওর পিঠে যে টের পাচ্ছে একজোঋহা পুরুষ্টু স্তনের চাপ। একি! এমন অভিজ্ঞতা আগে তো কখনো হয় নি। অন্যরকম ভয়-ভয় ভালো লাগছে। এর মধ্যে কোথায় একটু আবছা আশ্রয়-আশ্বাস রয়েছে।
    রঞ্জন বলে-- হ্যাঁ, হ্যাঁ, দেখতে পাচ্ছি।
    পিঠের চাপ বাড়ে। তান্ত্রিক বলেন-- বা:, ভালো করে দেখে বলো আর কি কি দেখছ।
    তারপরে শুরু হয় সেই মেয়ে ও অভিভূত রঞ্জনের গল্পো বানানোর খেলা। বেশ মজা।
    রঞ্জন: দেখতে পাচ্ছি-- আমাদের তিনতলা স্কুল বাড়ি, সিঁড়ি, তার ছদ। জলের ট্যাংক!
    মেয়েটি: আর জলের ট্যাংকের নীচে হামাগুড়ি দিয়ে একটি ছেলে, সে কে?
    রঞ্জন: হ্যাঁ ছেলে, তার মুখ দেখতে পাচ্ছি না।
    মেয়েটি: পাবে , পাবে; দেখতে পাবে।ওর পোষাকের বর্ণনা দাও।
    রঞ্জন: নীল ফুলপ্যান্ট, হলদে হাফশার্ট। ও নীচু হয়ে ট্যাংকের নীচে হাত ঢুকিয়ে একটা কাপড়ের পোঁটলা বের করেছে।

  • aranya | 144.160.98.31 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১০:৪১506808
  • একটু অ্যাডাল্ট গপ্পো :-) । তবে কি লেখার তার, আহা। মারহাব্বা। রাত জাগা সাথ্‌থক।
    হাত চালিয়ে।
  • Sibu | 108.23.41.126 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:০২506809
  • বড্ড মন খারাপ করে দেওয়া গপ্পো। জয়ন্ত, তান্ত্রিক, মেয়েটি, রঞ্জন, দেবু সবার জন্যেই।
  • ranjan roy | 14.97.135.183 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:১০506810
  • মেয়েটি: ছেলেটা চারদিকে তাকাচ্ছে, এদিকে মুখ ফেরাচ্ছে, দেখ চিনতে পার কি না?
    পিঠে চাপ বাড়ে। রঞ্জনের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে: জয়ন্ত! ছেলেটা জয়ন্ত!
    মেয়েটি: জয়ন্ত কি করছে? বল, ভালো করে দেখে বল।
    রঞ্জন: পুঁটলি খুলেছে, ওর হাতে একটা কিছু চক্‌চক করছে।
    উত্তেজিত দেবু প্রায় চেঁচিয়ে ওঠে্‌--- কি? ওটা কি? দেখে বল। ঠিক করে বল।
    রঞ্জন: একটা রিস্ট ওয়াচ, স্টীলের ব্যান্ড।
    দেবু: সত্যি দেখছিস? ঠিক দেখছিস? ও এখন ওটা নিয়ে কি করছে?
    রঞ্জন: আবার পুঁটলিতে মুড়ে ট্যাংকের নীচে লুকিয়ে রাখছে। এবার সিঁড়ি দিয়ে নেমে যাচ্ছে।
    নখদর্পণ শেষ হয়। মেয়েটি রঞ্জনের হাত যত্নে ধোয়ায়, নিজেও ধোয়। আনন্দে ডগমগ দেবু গড় হয়ে প্রণাম করে আরো পাঁচসিকে দেয়। রাস্তায় জিগ্যেস করে -- সত্যি দেখেছিলি?
    -- স্টাফরুমে গিয়ে বলবো।
    তখন তিনটে বাজে। স্টাফ রুমে ছোটখাটো জটলা। স্যারেরা কৌতূহলী চেহারায়। রঞ্জন জীবনে প্রথম নিজেকে লাইমলাইটে দেখতে পায়।
    -- স্যার, আপনি কোয়াড্রাটিক ইকুয়েশনের যে দুটোর বেশি রুট হতে পারে না , তার একটা অলটারনেটিভ প্রুফ দিয়েছিলেন না -- সেই যে ধর ওর তিনটে রুট, শেষে অ্যান্সার বেখাপ্পা হবে, ফলে দুটোর বেশি হতে পারে না?
    -- হ্যাঁ, তাতে কি হল? ওর সঙ্গে নখদর্পণের কি সম্পর্ক?
    -- আছে স্যার! আমি মিথ্যে কথা বলেছিলাম। আমার ধনু রাশি নয়, আমার বৃষরাশি। সেই হিসেবে আমার নখদর্পণে চোরের চেহারা দেখতে পাওয়ার কথা নয়, তাহলে তান্ত্রিকেরা কি করে দেখাল! তার মানে ব্যাপারটা ফক্কিকারি!
    --- রঞ্জন মিথ্যে কথা বলছে! ওর নিশ্চয়ই ধনু রাশি। নইলে কি করে দেখা গেল? আসলে ও আগে মিথ্যে কথা বলে নি, এখন বলছে। ও হোস্টেলের ছেলে, জয়ন্তও তাই। ও নিজের বন্ধুকে বাঁচাতে চাইছে।
    -- ঠিক আছে স্যার! আমি মিথ্যে কথা বলেছি। কিন্তু ফিজিক্সের ও কেমিস্ট্রির স্যারেরা বলুন-- গত দুঘন্টা জয়ন্ত ল্যাব ছাড়া আর কোথাও গিয়েছিল কি না! ওর ল্যাব পার্টনাররা বলুক। যদি না গিয়ে থাকে তাহলে ওকে নখদর্পণে ছাদের ট্যাংকের নীচে ঘড়িটা লুকিয়ে রাখতে কি করে দেখা গেল?
    --- আর আমরা সবাই এখানে আছি, দেবু নিজে দৌড়ে যাক ছাদের ট্যাংকের নীচে, গিয়ে নিয়ে আসুক ওর লুকিয়ে রাখা ঘড়ি। তাহলেই হবে তো?
    সমস্যা শেষ। পুলিশে খবর দেয়ায় ঘড়িটি পাওয়া গেল এক পন-ব্রোকারের দোকানে। একটি স্থানীয় ছেলেই পড়ে থাকতে দেখে নিয়ে গিয়ে কমদামে বিক্রি করে দিয়েছিল। রঞ্জন ও জয়ন্তের মধ্যে আবার ভাব হয়ে গেল। শুধু দেবু বললো-- তুই আগে যদি বলতি তাহলে আমার এত টাকা গচ্চা গেল , কিছু বেঁচে যেত।

  • aranya | 144.160.98.31 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:১৯506812
  • শিবু-দা (নাকি শিবু, আমি ৪৭) , আপনি প্রশ্ন করেছিলেন নিজে বিশ্বাস করছে কিনা কি করে বোঝা যাবে, ট্রুথ সেরাম না দিয়ে।
    সেটা বোঝার তো সত্যিই কোন উপায় নেই। একজন লোকের সারাজীবনের না হলেও, দীর্ঘ সময়ের কাজকে পর্যবেক্ষণ করলে হয়ত কোন সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। আবার সেই সিদ্ধান্তও ভুল হতে পারে।
    আবার আমাদের সবার প্রিয় দক্ষিণেশ্বরের গদাধর-বাবুকে স্মরণ করি। তাকে তো আমরা দেখিনি, তবে তার জীবনকাহিনী পড়ে মনে হয় তিনি মা কালীকে সত্যিই দেখতে পেতেন বলে বিশ্বাস করতেন, হ্যালুসিনেশন হতে পারে, তবে কিছু না দেখেও দেখেছি বলতেন না।
    এখন এরকম লম্বা পর্যবেক্ষণ যদি না করা যায়, তবে আমি তাকে বিশ্বাসী যদি না বলতে পারি, তাহলে charalatan-ও বলতে পারব না, এই আর কি।

  • ranjan roy | 14.97.135.183 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:১৯506811
  • শিবু,
    সত্যি বড্ড মন খারাপ করে দেয়া গপ্পো। বিশেষ করে এইঘটনার পরে দেবু কিছু স্থানীয় ছেলে নিয়ে গিয়ে নৈনানপাড়ায় ওই ঠেকে গিয়ে বাওয়াল করে, আমাকে বলা সঙ্কেÄও আমি যাইনি। তবে ওরা বাচ্চা, খুব কিছু করতে পারেনি, কিছু খিস্তিখাস্তা আর ইঁটছোড়া ছাড়া।
    আর ওরা বড় গরীব, খালি গোর্কির লোয়ার ডেপথ্‌স এর চরিত্রগুলোর কথা মনে হয়।
  • ppn | 216.52.215.232 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:২১506813
  • রঞ্জনদাকে সালাম। অফিসের সময় চুরি করে গুরুতে উঁকি মারা সার্থক।
  • aranya | 144.160.98.31 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:২৬506814
  • হ্যাঁ, মন খারাপ করে দেয়। হারবার্ট মনে পড়ায়। পৃথিবীতে কি যে ঠিক কাজ, আর কি যে ভুল।
    সাদা-কালোয় প্রায় কোন কিছুকেই দেখা যায় না, এইটুকুই বুঝি। গ্রে এরিয়া চারদিকে। প্রত্যেকটা ঘটনা, প্রতিটা সিচুয়েশন কেস-বাই-কেস বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে দেখা দরকার, জেনেরালাইজ না করে, এটাই মনে হয়।
  • gh | 223.223.143.18 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:২৯506815
  • এখানে আমার আসার কথা নয়, তবুও এলাম। বেশ কিছু লেখা লিখে, ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। সকালে ঢুঁ মারতে গিয়ে এই টইটা কৌতুহলে খুললাম।
    খুলে,রঞ্জনবাবুর লেখাটা খুব মন দিয়ে পড়ে নির্মল আনন্দ পেলাম। এই সব বাটী চালা, নখদর্পন, পরী নামানো, জিন নামানো- আমি প্রচুর দেখেছি।
    সব কটাই ঢপ! (বোল্ড , আণ্ডারলাইন)
    ধরতে গিয়ে, কোথাও কোথাও আমার প্রাণ- সংশয় পর্যন্ত হয়েছে। আসলে, জনগণ এইসবের মধ্যে একটা শান্তি খোঁজে।
    হিন্দি সিনেমাতে, তাও একটু বাস্তবতার ছোঁয়া থাকে , এই সব গুলোতে কোনো কিছুরই ভিত্তি নেই।
    রঞ্জনবাবু যেটা লিখেছেন, তার ভিত্তিতে বলি- অনেক ক্ষেত্রে-ই যৌবনবতী মহিলাদের একটা ভূমিকা থাকে।
    যাই হোক, অন্য টইগুলোরর সাথে এই টইটাও চলুক।

  • Sibu | 108.23.41.126 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৩৩506816
  • অরন্য, আমরা মোটামুটি এক বয়েসী। শিবুই ঠিক হবে।

    রামকৃষ্ণ নিয়ে আর একদিন হবে। ওনার সম্পর্কে আমার মত খুব ফেভারেবল নয়। কিন্তু আজ থাক।
  • aranya | 144.160.98.31 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৪০506818
  • শিবু, ঠিক আছে। ভাল লাগল আলাপ হয়ে।
    gh - আপনি কি ঘনাদা?
  • siki | 122.177.189.106 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৪৫506819
  • এই gh অবশ্যই ঘনাদা নন।

    প্রবীর ঘোষ নয় তো? :-)
  • aranya | 144.160.98.31 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৫৩506820
  • সিকি :-) । আমি গতকাল ওনার একটা পার্ট আবার পড়ছিলাম, যুক্তিবাদে ফিরে আসার জন্যে :-)
  • pi | 72.83.83.28 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৫৫506821
  • gh মহাশয়/মহাশয়া, তো, লিখতে থাকুন !
  • Tim | 173.163.204.9 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৫৬506822
  • ভাগ্যিস রঞ্জনদার গল্পটা শোনার জন্য বসে ছিলাম। সত্যিই রাত জাগা সার্থক।
  • siki | 122.177.189.106 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৫৭506824
  • অরণ্য, পার্ট থ্রি কী? ছেলের সঙ্গে যেটা লেখা?
  • aranya | 144.160.98.31 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৫৭506823
  • লেখার স্টাইল দেখে আমার প্রেডিকশন - উইথ ৯০% কনফিডেন্স, gh = ঘনাদা।
  • pi | 72.83.83.28 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৫৮506825
  • হ্যাঁ, খুব ইন্টারেস্টিং।

    কিন্তু দেবু যখন গিয়েছিল, এই জয়ন্তর নামটা এল কোত্থেকে ? ও নিজেই বলেছিল ? সন্দেহ ছিল বলে ?
  • aranya | 144.160.98.31 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৫৯506827
  • হ্যাঁ, প্রবীর ঘোষ, পিনাকী ঘোষ।
  • siki | 122.177.189.106 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৫৯506826
  • হুঁ, এটি ঘনাদাই বটেক। :-) সেন্ট পার্সেন্ট ঘনাদা।
  • pi | 72.83.83.28 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:০০506830
  • ঘদা, লিখুন , লিখুন !
    সব গপ্পো শুনতে চাই :)

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন