এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • চাগ্রীর গপ্পো

    সে
    নাটক | ১৩ নভেম্বর ২০১৪ | ২০৮৪৮ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সে | 188.83.87.102 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৫:২২652607
  • এখন অজ্ঞান হলে চলবে না। আমি উঠে দাঁড়িয়েছি। কয়েকটা লোক ঘিরে আছে সেখানে।
    কী হয়েছে?
    না মানে বলছে বাচ্চাটা নেই। সেইজন্যে কাঁদছে। মা তো।
    ইস্‌! কী হয়েছিলো?
    হয়েছিলো মানে কী? এরা এরকম করে বলছে কেন? আমি বলতে চেষ্টা করি, ডিফ্‌থেরিয়া।
    ও!
    ডিফ্‌থেরিয়া তো পাসের বিল্ডিংটা।
    আপনি তো কলেরা ওয়ার্ড থেকে বেরোলেন দেখলাম।
    তাই?
    মুহূর্তের মধ্যে শরীরে শক্তি পেয়ে যাই। দৌড়ে যাই পাশের বিল্ডিংটায়। কাল রাত্রে অন্ধকারে বুঝতেই পারিনি যে পাশাপাশি দুটো বিল্ডিং।
    কিন্তু সেখানে গিয়েও ভেতরে ঢুকতে দেয় না। দশটা সাড়ে দশটায় ডাক্তার আসবে রাউন্ডে, তখন ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলা যাবে। পেশেন্টদের সঙ্গে দেখা হবে বিকেলে, ভিজিটিং আওয়ার্সে।
    দোতলায় টিটেনাস, তিনতলায় মেনিন্‌জাইটিস, চারতলায় ডিফ্‌থেরিয়া, পাঁচতলায় রেবিস্‌। পাঁচতলায় কারোকে ঢুকতে দেয় না। যে সব পেশেন্ট পাঁচতলায় অ্যাডমিটেড হয়েছে, তারা কোনোদিনো ফিরবে না। জলাতঙ্ক রোগের চিকিৎসা এখনো বের হয় নি। সেই নোটিশ একতলায় দেয়ালে টাঙানো আছে।
    বসে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করি নীচে, দশটায় ডাক্তারের রাউন্ড শেষ হলে কথা বলতে হবে, তার ওপরে আজ হচ্ছে শনিবার। কে যেন বলল আজ হাফ্‌ ডে। অন্যদিনে এতক্ষণে অফিসে পৌঁছে কত কাজ করে ফেলি, আজ অফিস যাওয়া হয় নি। একটা ফোন করে দেবো?
    বাইরে বেরিয়ে একটা ওষুধের দোকান, পাশেই টেলিফোনের বুথ। ফোন করি অফিসে, ফোন বেজে যায়। অনেকক্ষণ পরে কে একজন ধরে, হয় দীপক , নয় অজয়দা। আজ আসতে পারছি না আনন্দ সেনগুপ্তকে বলে দেবেন।
    কেন দিদি? কী হয়েছে?
    মেয়ের অসুখ।
    স্যার তো আসেনি এখনো।
    এখনো আসেনি?
    না এখনো পর্যন্ত কেও আসেনি, মেশিন, সার্ভার কিছুই অন হয় নি। আজ মনে হয় কেও আসবেও না। আজ তো ভ্যালেনটাইন্স্‌ ডে আছে। আপনি এক কাজ করুন, আনন্দ স্যারকে বাড়িতে একটা ফোন করে দিন।

    বাড়ির নম্বরে ফোন করি।
    আজ আসতে পারছি না। বাচ্চার অসুখ।
    খুব অসুখ কি? খুব অসুখ হলে আসবার দরকার নেই। তা না হলে আমি ভাবছিলাম বিকেলের দিকটায় একটু যাবো।
    বাচ্চা হসপিটালে।
    কোথায়?
    আইডি, বেলেঘাটা।
    সেকি!
    হ্যাঁ।
    ওখানে তোমার কেউ চেনা আছে?
    না।
    আমার বাবা কর্পোরেশনের হেল্‌থ্‌ ডিপার্টমেন্টে ছিলেন। অবশ্য এখন রিটায়ার করেছেন। আমি দেখছি বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি কিনা।
  • সে | 188.83.87.102 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৫:৫৪652608
  • ডাক্তারের জন্যে অপেক্ষা করছি। আরো অনেকেই আছে সেখানে। পেশেন্ট পার্টি।
    দরজার বাইরে একটা সবুজ রঙের বাক্স এনে রাখলো চারটে লুঙ্গিপরা লোক। বাক্সটার দুদিকে ডান্ডা লাগানো, ওপরটা খোলা। বাক্সের গায়ে ঊর্দুতে কিছু লেখা। পড়তে জানি না। মিনিটখানেকের মধ্যেই লিফটএর দরজা খুলে একটা স্ট্রেচারে করে নিয়ে এসেছে একটা দেহ। মৃতদেহ। সাদা কাপড় দিয়ে মুড়ে সেটা ঐ সবুজ বাক্সে করে নিয়ে গেল তার বাড়ীর লোক।
    কে যেন বলল, টিটেনাস।
    আমরা সবাই যে যার জায়গায় অনড়।
    এমন সময়ে ওপর থেকে সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসেন ডাক্তারবাবু। এক এক করে পেশেন্টদের নাম ধরে ধরে ডাকছেন পেশেন্টপার্টিকে।
    প্রথমে যার নাম ধরে ডাকা হয়, তার পার্টি ভালো করে বুঝতে পারেনি নামটা। দ্বিতীয়বারে বোঝে, দৌড়ে যায় সিঁড়ির সামনেটায় ময়লা ধুতি পরা দুজন লোক। এই শীতেও তাদের গায়ে কোনো চাদর বা জামা নেই।
    তোমাদের পেশেন্টের তো অবস্থা ভালো নয়।
    তারা হাঁ করে শোনে সে কথা। কিছু বলে ন।
    বুঝতে পারছ? বাংলা বোঝো? নাকি হিন্দিতে বলব?
    বাংলা বুঝি।
    হ্যাঁ। পেশেন্টের অবস্থা খারাপ। রেবিস হয়েছে।
    তারা হাঁ করে তাকিয়ে থাকে। কতটা কী বুঝছে, বোঝা যায় না।
    এ অসুখ সারবে না। কিন্তু এখানেই ভর্তি থাকতে হবে, বুঝেছো?
    এরপরে আমার বাচ্চার নাম ধরে ডাকেন।
    আমি এতক্ষণ এদেরকে দেখছিলাম, হঠাৎ করে বাচ্চার নাম শুনে চমকে যাই।
    আপনি পেশেন্টের মা?
    হ্যাঁ।
    ডিফ্‌থেরিয়া হয়েছে তো।
    সেরে যাবে তো?
    ফর্টি থাউজেন্ড অ্যান্টি ডিফ্‌থেরিয়া সিরাম দিতে হবে, এই নিন প্রেস্‌ক্রিপশান, ইন্‌জেক্‌শানটা নিয়ে আসুন এখন। আর্জেন্ট।

    হাসপাতালের বাইরে সেই ওষুধের দোকানেই পাওয়া গেল ইঞ্জেকশান।
    ততক্ষণে কিছু চেনা লোকজন ডাক্তার এসে গেছে।

    ইঞ্জেকশান দেবার সময়েও আমায় ওপরে যেতে দেয় নি।
    দুপুর বারোটা বেজে গেছে।
    ভাবি বিকেল চারটে অবধি এখানেই বসে থাকি, নাকি বাড়ি ফিরে গিয়ে ফের আসবো ঘুরে। অনেক সময় নষ্ট হবে, তার চেয়ে এদিকেই কোথাও বসি। আইডি পেরিয়ে, শিশুহাসপাতাল পেরিয়ে, রাস্তার ওপারে সি আইটি রোডের ওপরে একটা চায়ের দোকানের বেঞ্চিতে বসি। আরো অনেকে বসে আছে সে দোকানে। সবারই মনে হয় হাসপাতালে কেউ ভর্তি আছে।
    এই পাড়াটা আসলে আমি চিনি। আগে এসেছি বহুবার। চোদ্দো বছর আগে। ঐ যে সামনে যে চারতলা বাড়ীটা দেখা যাচ্ছে, ঐখানে। আমি চা খাই। অপেক্ষা করবার জন্যে। দুধ দেওয়া চা।
  • Nina | 83.193.157.237 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৭:০৭652609
  • উফ ! মানুষ ই মানুষ এর সব থেকে বড় শত্রু হয় আবার মানুষ ই মানুষ এর সব থেকে বড় বন্ধুও
    সে পড়ছি আর স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছি---
  • | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১০:৪৪652610
  • এ ব্যাটা আনন্দ'র নির্ঘাৎ নিজের কোনও ক্যান্ডিডেট ছিল ঢোকানোর জন্য। সে ঢুকে যাওয়ায় সেইটে পারে নি নির্ঘাৎ।
    আমি এরকম দুটো অভিজ্ঞতা ফেস করেছি কলকাতায়, দুটো ক্ষেত্রেই আমি নিজে গিয়ে সিভি পুশ করে সিলেক্টেড হয়ে গেছিলাম দেখে ওনাদের বিরাট আক্রোশ ছিল।

    আর ঐ প্রচুর লাট খাওয়ার পর একটা মোটামুটি ঠিকঠাক বেতনের চাকরি পাবার পর, জীবনে প্রথম 'অফার লেটার' এর নাম শোনা ও হাতে পাবার পর আমার ঐ নেট আর গ্রস স্যালারিতে বিস্তর কনফিউশান হয়েছিল। এমনকি বারবার চোখের কাছে নিয়ে দেখেছিলাম যে শুন্যের সংখ্যা ঠিক দেখছি তো? মাঝখানে কোথাও একটা দশমিক বিন্দু বসে নেই তো?

    কিন্তু এই বাচ্চাটার ওপর দিয়ে কি গ্যাছে!!! :-( :-(
  • de | 69.185.236.53 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১১:০৭652611
  • কাল থেকে এই লেখাটা পড়ার পর আর কিছু বলার অবস্থাতেই নেই -

    এখন তো আমাদের তবু ক্রেশ ইঃ আছে, সে আমলে বোধহয় ছিলোও না এসব!
  • @ | 118.171.159.41 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১১:৩০652612
  • এ সমস্ত ঘটনা কথাবার্তা আগে শেয়ার করে থাকলে একরকম, কিন্তু এতোদিন মাথার মধ্যে একলা বয়ে নিয়ে চলা কারোর সাথে শেয়ার না করে, একলা লড়াইয়ের কারণে - সেই মানসিক দমবন্ধ চাপ - তারপরেও এত হাসিঠাট্টা ফাজলামো, সহজ থাকা, কীকরে? কেমন অসম্ভব মনে হয়, অপ্রাকৃত, অবাস্তব।
  • সিকি | 125.249.13.82 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১১:৪৭652613
  • তিনদিন ধরে টইটা খুলি নি, সময় পাচ্ছিলাম না, ভেবেছিলাম একসাথে পড়ব। এখন চারপাতা উল্টে ফেলার পর মনে হচ্ছে - কেন পড়লাম অফিসে বসে। তিনবার মুছে ফেললাম, চোখে জল এখনও শুকোচ্ছে না।

    মানুষ কেন এমন হয়!
  • !! | 133.242.242.16 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৪:১২652614
  • সেই বাচ্চা মেয়েটা আজ মাকে প্যারিস ঘুরিয়ে নিয়ে এসেছে -সে আপনার বাচ্চার জন্য রইল শ্রদ্ধা - হোক না সে বয়েসে ছোট আমার চেয়ে।
  • সে | 188.83.87.102 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৭:৩২652615
  • সোমবার থেকে যথারীতি অফিস করছি। বিকেলে চারটের সময় বেরিয়ে যাই অফিস থেকে; তারপরেও যদি কোনো দরকার থাকে আনন্দ তো রয়েছেই। চারটের মধ্যে বেরিয়ে পড়লে বাস ধরে পাঁচটার মধ্যেই ঢুকে যাই বেলেঘাটা আইডি হসপিটাল। দূর থেকে জালের ওপারে দেখা যায় পেশেন্টদের। সেই ঘরে ঢুকবার অনুমতি নেই। কাজেই জালের ওপরে অন্যদেরও ভীড় হয়। আয়া রাখা দরকার, সকলেই রেখেছে। কিন্তু সবার জন্যেই একজন আয়া। বেশ বয়স্ক মানুষ, থুরথুরে না হলেও, বুড়ি বলা যায়। অ্যাজ ইউজুয়াল, তাকে মাসী বলে ডাকতে হয়। গড়ে প্রায় কুড়ি কি বাইশ জন রোগীর জন্যে এই একজনই মাসী। এই ওয়ার্ডে সবই বাচ্চা, খুব রেয়ার কেসে হয়ত একটু বড়ো কেউ এলো। বাচ্চাদেরই এটা বেশি হয়। ঐ মাসী একা সবকটা বাচ্চাকে কীকরে সামলায় কে জানে। তার মধ্যে ফি হপ্তায় দু তিনজন করে বাচ্চাকে বাঁচানো যায় না। হার্টফেল করে মরে যায়। জোরে আওয়াজ করা বারণ এই ওয়ার্ডে। ডিফ্‌থেরিয়া রোগীকে বেলুন উপহার দেওয়া নিষিদ্ধ। সব জায়গায় বড়ো বড়ো করে লেখা আছে এই সতর্কবাণী।
    মাসী, বেলুন আনা কেন বারণ গো?
    এই ডিফ্‌থেরিয়া রোগের বিষটা হার্টের মধ্যে জমছে তো, যত বেশি করে জমছে তত হার্টটা আরো বেশি করে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। কারো কুড়ি হাজার, কারো চল্লিশহাজার, কারো ধরো ষাট হাজার, এরম কেসও ছিলো। সেগুলোয় বাঁচার চান্স খুব কম। এখন বেলুন যদি দুম করে ফেটে যায়, আচমকা সেইটুকু আওয়াজেও হার্টফেল করে মরে যেতে পারে পেশেন্ট। এইজন্যে বারণ। বুঝেছো এবার?
    মাসী চমৎকার করে বুঝিয়ে দিলো।
    এখন শুধু সেরে ওঠার অপেক্ষা। সবচেয়ে ভয়ের সময়টা প্রথম আটচল্লিশ ঘন্টা, ইন্‌জেক্‌শান পড়বার পরে। তার পরেও ভয় আছে। দু থেকে তিন সপ্তাহ তো থাকতেই হবে।
    ভিজিটিং আওয়ারে বাচ্চারা যেমন চুপচাপ ভদ্র মিষ্টি হয়ে রয়েছে, এমনি সময়ে সেরকম থাকে না। ঐ অসুখ নিয়ে ঐ ঘরে খেলাধুলো করে বেড়ায়। তারই মধ্যে মাসী সামলাচ্ছে এদের। কোনো আয়াই আইডির আয়া হতে চায় না। খুব রিস্ক এই কাজে।
    হাসপাতালের খাবারই খায় সকলে, বাইরের থেকে খাবার আনার ব্যাপার নেই, বাইরের থেকে কোনো খাবার দাবার দেওয়া যায় না। কেবল কম্‌প্ল্যান আর বিস্কুট রেখে আসা যায় মাসীর কাছে, সকালের দিকে কি বিকেলের দিকে যদি খিদে পায়, সেজন্যে।
    কিন্তু কবে নাগাদ ছেড়ে দেবে সেটা জানবো কীকরে?
    ডাক্তারবাবুকে জিগ্যেস করে নেবে; ডাক্তার বাবুর সঙ্গে দেখা করো না?
    কই নাতো!
    ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করতে হবে। রাউণ্ডের পরে, এগারোটা বারোটা নাগাদ। তখনই ডাক্তার বলে দেবেন, কতটা সেরেছে, কতদিন থাকতে হবে।

    সত্যিইতো! মারাত্মক ভুল হয়ে গেছে।
    পরের দিনই ভোরে অফিসে এসে যতটা পারি কাজ করে সাড়ে নটার মধ্যেই বেরিয়ে যাই। আনন্দকে জিগ্যেস করে, বলে যাওয়ার ইচ্ছেও হয় না।
    মিতাকে বলে দিই, আমার খোঁজ করলে বলে দিবি, এই তো জাস্ট বেরিয়ে গেল।
    তারপরে ফিরে এসে আমি ম্যানেজ করব।

    সেই প্রথমদিনের মতো অবস্থা আইডিতে। সেই ভীড়, সেই কোনো কোনো পেশেন্ট পার্টিকে তাদের প্রিয় মানুষের অবশ্যম্ভাবী মৃত্যুর ব্যাপারে অবগত করে দেওয়া। গোটা দুই মৃতদেহ দর্শন, তারপরে এগিয়ে গিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলা।
    আর দিন সাত কি দশের মধ্যেই ছেড়ে দেবেন বললেন। আরো কিছুদিন থাকুক। সামনের সপ্তাহে আবার খোঁজ নিন।
    রোজ কি খবর নিতে হবে ডাক্তারবাবু?
    না, রোজ রোজ খবর নেবেন না। সামনের সপ্তাহে আসবেন, তখন বলে দেবো।
    অনেকটা আশ্বস্ত হই। যাক্‌! এখন ভয়ের ব্যাপারটা মোটামুটি কেটে গেছে মনে হয়।
    বিকেলে দেখা করতে আসতে হবে। বাড়ী ফিরে চান করে কাপড় চোপড় পাল্টে অফিসে যাই।
    তখন লাঞ্চ ব্রেক প্রায় শেষ হয়ে গেছে। বাবুরা খাওয়া দাওয়া সেরে সামনের সিগারেটের দোকানের ফুটে দাঁড়িয়ে মৌতাত ও আলোচনায় ব্যস্ত। ওরা দেখতে পায় আমি ফিরছি।
    অফিসে প্রত্যেইকেই জানে যে বাচ্চা আইইডিতে আছে। এর দরুণ সবাই বেশ এড়িয়ে চলছে আমাকে ইদানীং। যদিও আমো আজ চন টান করে কাপড় চোপড় বদলেই এসেছি। অন্যদিন তো অফিসের পরে হাসপাতালে যাই। তবু ওদের মনে একটা ভয় মতো। এই বুঝি ছুঁয়ে ফেললাম।
    দূর থেকে কুশল সংবাদ আদান প্রদানে যে সংক্রামক রোগের জীবানু ছড়ায় না, সে হুঁশও এদের নেই। সামান্য ছোটো ভদ্রতা, যেমনঃ বাচ্চা কেম্নন আছে? ভালো আছে তো?
    এগুলো জিগ্যেস করতে তো খরচও নেই, মন থেকেও জিউগ্যেস করবার দরকার নেই, তবুও এগুলোও করে না। বিরাট বিরাট সব অফিসার।

    আনন্দ আমাকে দেখতে পেয়েছে।
  • সে | 188.83.87.102 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৭:৫০652617
  • আনন্দ আমাকে দেখতে পেয়েছে।
    দূর থেকেই দেখি, তার মুখটা বিকৃত হয়ে গেল। ঘৃণায়? রাগে? প্রেডিকশান করা অসম্ভব।
    সে আড়চোখে আমাকে দেখে নিয়ে অন্য একটা কিউবিকলে কার সঙ্গে যেন কথা বলছে। পরিষ্কার বুঝতে পারছি, প্যাঁচ কষছে মনে মনে, কীরকম ভাবে অ্যাটাক করবে।
    কিন্তু আমার আজকে মনটা হালকা। বাচ্চা সেরে যাবে সে আভাস পেয়েছি। তরপরে চান টান করে এসে, একটা ব্রেকও পেলাম আজ। আনন্দ কিছু ঝামেলা করলে আজ রুখে দাঁড়ানোর এনার্জি আছে।
    আনন্দ এগিয়ে আসছে এদিকে, কিন্তু তার আগেই দূর থেকে দিব্যেন্দু দত্ত আমায় দেখতে পেয়ে এগিয়ে আসেন। ইনি অত্যন্ত ভদ্রলোক।
    মেয়ে কেমন আছে?
    ভালো, আমি দেখা করতে গিয়েছিলাম, এখন ফিরছি।
    তুমি কি সোজা হাসপাতাল থেকেই?
    না না! আমি বাড়ি হয়ে, চান করে, কাপড় পাল্টে আসছি।
    বাঃ, ভালো আছে, এতো খুব ভালো খবর। আর কদিন থাকতে হবে কিছু জানা গেল?
    সাধারণতঃ একুশ দিন থাকতে হয় মোটামুটি, আর মনে হয় সাত থেকে দশ দিন।
    আনন্দ আর অ্যাটাক করতে পারে না। তবু এগিয়ে আসে।
    তোমার যদি রোজই দুপুরের দিকে হাসপাতালে যেতে হয়, আমাকে বোলো, আমি পার্মিশান করিয়ে আনব।
    না। রোজ রোজ যাবার কোনো ব্যাপার নেই।
    আমার বাবার চেনা একজন আছেন ঐ হসপিটালে, তাঁর থ্রু দিয়ে।।।
    এখন দরকার হবে না মনে হয়। ঐ হাসপাতালে ডাক্তাররা খুব ভালো। ট্রিটমেন্টও ভালো।
    আনন্দ অপ্রতিভ হয়ে যায়।
    খরচ টরচের ব্যাপারে, তুমি মিঃ দাসের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারো। ভালো মেডিক্যাল ইন্‌শিওরেন্সের কভারেজ আছে। জানোতো?
    লাগবে না। কোনো মেডিক্যাল ইন্‌শিওরেন্স লাগবে না। আইডি তো ফ্রী হসপিটাল। দাতব্য চিকিৎসালয়। একটা পয়সাও লাগে না। ঐ আয়ার জন্যে কিছু দিই, আর টুকটাক খাবার। একটাই ইন্‌জেকশান কিনতে হয়েছিলো। ওটাকা মেডিকেল ইন্‌শিওরেন্স থেকে রিইম্‌বার্স্‌ করবার কোনো মানে হয় না।
    আনন্দ থমকে যায়। তারপরে চলে যায় সেখান থেকে।
    আমি বুঝতে পারি যে আস্তে আস্তে শক্তি ফিরে পাচ্ছি। একেই বোধহয় বলে পজিটিভ এনার্জি।
  • সে | 188.83.87.102 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৮:০২652618
  • ranjan roy | 24.99.111.31 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২০:৩৫652619
  • !!! কে অনেকগুলো ক।
  • সে | 188.83.87.102 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:২১652620
  • ব্রেক!
  • a x | 60.171.26.111 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:১০652621
  • অনেক প্রশ্নই আসে মনে, ব্যাক্তিগত হবে বলে করিনা। সেরকম মনে হলে উত্তর দেবেন না। বাচ্চাটি যখন পড়ে গেছিল কত বয়স ছিল? আর এই হাসপাতালে থাকার সময়? আর যখন অফিসে লুকিয়ে নিয়ে গেছিলেন, তখন কি ইচ্ছে করেই ছেলেদের জামা পরিয়ে?

    এই লেখাগুলো খুব খুব জরুরী। এই খণ্ড খণ্ড লেখাগুলো থেকে যে ছবি, যে ইতিহাস উঠে আসে, তা কোনোদিনও টেক্স্টবুকে যায়না। এইভাবেই এগুলো লিপিবদ্ধ থাকুক। পার্সোনাল ইস পলিটিকাল।
  • সে | 188.83.87.102 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:২৯652622
  • এটা ক্লাস ওয়ানের সময়কাল। হাফপ্যান্ট টিশার্ট ই তার সবসময়ের পছন্দের
    পোশাক। ফ্রক নয়।
  • kd | 127.194.252.87 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৪:২৬652623
  • ঐ বাচ্চা তো গুরুতেও (না কি বা-লায়?) লিখেছে তো!

    বাই দ্য ওয়ে, "সে"র বাচ্চা আর সাহানার বাচ্ছর নামদু'টো জাস্ট দারুণ - আমার মোস্ট ফেবারিট (আজ পর্যন্ত)।
  • Nina | 83.193.157.237 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৬:১১652624
  • সে ও তার বাচ্চার কছে অনেক শেখার আছে----
  • potke | 126.202.8.208 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১০:২০652625
  • প্রশ্ন আমারো পায়, যারা আপনাকে চাকরী করতে দেবে না বলে আপনার মেয়েকে অবহেলা করত তারা কারা? হোস্টেলে পাঠানো জোর করে?

    এরা কি আপনার আপন জন? একটা বাচ্চা মেয়েকে খেতে দিত না????

    মানুষ কেন এরকম হয়?
  • কল্লোল | 125.242.174.12 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১০:২৪652626
  • একজনের সন্তানকে কেউ হস্টেলে পাঠিয়ে দিচ্ছে, মায়ের অনুমতি পর্যন্ত নিচ্ছে না - তারা "আপনজন" না হয়ে পারে!!
  • ranjan roy | 24.99.228.87 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:০৫652629
  • এই হল মানুষরতন!!!
  • ranjan roy | 24.99.228.87 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:০৮652630
  • অক্ষকে ক।
  • সে | 188.83.87.102 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৪:২৬652631
  • ব্রেকের পর।
  • সে | 188.83.87.102 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৫:২৬652632
  • অনেক কিছু হয়ে গেল। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, পবন সিং বলে এক জাঁদরেল কন্‌সাল্টেন্ট রিজাইন করে ফেলল দুম করে। সে এক সাড়া জাগানো ঘটনা। এটা ভালো খবর, না মন্দ খবর সেটাই বুঝবার উপায় নেই। পবন সিং চাকরি পেয়েছে খুব নামকরা কোম্পানীতে, বিগ্‌ ফাইভ না সিক্স্‌ না ফোর, ঐরকম কিছু একটায়। খুব ক্যাজুয়ালি ঘুরছে সে, কিন্তু মুখখানা গাম্ভীর্যে ভরপুর। অনেকেই হাসি হাসি মুখ করে তার পেছন পেছন ঘুরছে, চায়ের কাপ নিয়ে আলাদা করে তার সঙ্গে চা খেতে ঢুকে যাচ্ছে স্মোকিং রুমে। সে এখন নোটিস পিরিয়ডে আছে, সামনের মাস থেকে আর আসবে না। সৌম্যদার মুখে হাসি ও বিষাদ মেশানো অভিব্যক্তি। খুব টেনশনে আছেন, যে কোনোদিন অ্যামেরিকা থেকে ডাক আসবে। বৌ বাচ্চা নিয়ে নতুন একটা দেশে যেতে হবে, বোসপুকুরে সদ্য বানানো দোতলা বাড়ীটার কী হবে, এসব নিয়ে খুব চিন্তিত, ঘনঘন সিগারেট খাচ্ছেন, আবার থেকে থেকে আক্ষেপ করছেন, লাইফে কিছুই করা হোলো না - এই সব ইয়াং ছেলেরা কী সুন্দর বিগ্‌ ফাইভে জয়েন করছে দেখলেও ভালো লাগে। অথচ আমরা? কিসুই করতে পারলাম না।
    নতুন অফিস স্পেসে আমি যে জায়গাটায় বসি সেখানে কোনো আড়াল নেই। ওটামুটি প্রত্যেকেরই বসবার জায়গায় একটা দেয়াল, কি জানলা আছে। যারা বেশি ক্ষমতাবান তারা একটা করে কোণাও পেয়েছে। আমার জায়গাটা কোনো কিউবিক্‌ল্‌ নয়, এক্ক্বারে হাটের মধ্যিখানে। আনন্দ মাঝেমধ্যে তার কোণা থে উঠে কিউবিক্‌ল্‌এর ওপর দিয়ে উঁকি মেরে আমার ওপরে লক্ষ্য রাখে। তাছাড়া আমর যে টেবিলটা, সেটার প্রায় অর্ধেক জুড়ে একটা কালার প্রিন্টার রাখা হয়েছে। ইংক্‌জেট। সেটা থেকে অনবরত প্রিন্ট আউট বেরোচ্ছে।
  • সে | 188.83.87.102 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৫:৩৯652633
  • এইরকম সময়ে জয়েন করলেন মিঃ ঝাঁ। বিহারের লোক। জামসেদপুরে টাটার চাকরি ছেড়ে এখানে এসেছেন। উদ্দেশ্য বাকিদের মতোই, অ্যামেরিকা। ঝাঁ জী র সঙ্গে আমার কথাবার্তা হোতো। এর একটা কারণ হচ্ছে, ইনি বাংলা খুব একটা ভালো বুঝতেন না, তাই প্রথম প্রথম সবাই যেগুলো বুঝে যায়, সেগুলো বুঝতে পারেন নি। একজিকিউটিভদের মধ্যে একমাত্র ঝাঁজীই আমার সঙ্গে ঠিকঠাক কথা বলতেন।
    ইন্টারনেটের কানেকশান নিয়ে সমস্যার কথাটা ওঁকে খুলে বলেছিলাম, উনি বললেন, স্ট্রেইঞ্জ! কোনো প্রক্সি সারভার নেই তো?
    না।
    একটু খেয়াল করবেন তো আনন্দ কী করে কানেকশানটা করে।
    সমস্ত স্টেপ আমার মুখস্ত ঝাঁজী, আমি দেখেছি, সি সেম স্টেপই ও করে। ও করলে কানেকশান হয়, আমি করলে হয় না।
    এটা শুনে ঝাঁজী হাসতে আরম্ভ করেন। কোম্পানীতে ভূত টুত কিছু আছে নাকি?
    ঠাট্টা নয়, আমি আপনাকে কালকে দেখাবো, যদি সকাল সকাল আসেন।
    এর পরেই ইন্টারনেটের ভূত ওঝা দিয়ে তাড়ানোর ব্যবস্থা হোলো।
  • aranya | 154.160.130.94 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৮:২১652634
  • প্রচুর লড়াই করতে হয়েছে সে-কে, বাচ্চাটাকেও। কুর্ণিশ। এমন লড়াই-এর কথা অন্যদেরও প্রেরণা দেয়।
    বড় ভাল লেখেন সে, পড়তে শুরু করলে থামা যায় না
  • Abhyu | 85.137.14.83 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৮:৩৯652635
  • খুবই সত্যি কথা, অরণ্যদা।
  • Nina | 83.193.157.237 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৯:০১652636
  • বার বার পড়ার মতন----
    তার মধ্যে বিহারের ঝাজী হেল্প করছে দেখে বেশ লাগছে ---বিহারের ওপর একটা টান আছে যে :-D
  • 00 | 78.65.167.166 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৯:০৩652637
  • @ সে, অসাধারন। সবচেয়ে ভালো লাগে কি নিরাসক্ত ভাবে লেখা। দ এর লেখার মধ্যে ও এটা দেখেছি।
  • @ | 118.171.159.41 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৯:৪৩652638
  • না নিরাসক্ত লেখা নয়। প্রচন্ড পার্সোনাল লেখা। প্রচণ্ড। আর নিরাসক্তিটা ক্রাফটেড, যেটা বারবার তৈরি হচ্ছে, ভাঙছে, আবার তৈরি হচ্ছে, আবার ভাঙছে ... আর সেইজন্যেই এত অন্যরকম।
    গিফটেড আর্টটি হল ফ্লো। ঐ নিরাসক্তি তৈরি আর ভাঙার পুরো কন্ট্রাডিকশনটা, দ্বন্দ্বটা স্রেফ এই ফ্লো দিয়ে ক্যারি করে দিচ্ছে। আনবিলিভেবেল।
  • ranjan roy | 113.240.98.61 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১১:২২652640
  • দ এবং সে।
    দুজনেরই লেখার স্কিল সেলাম করবার মত। অতি পার্সোনাল যন্ত্রণার জায়গাটাও কি ভাবে আপাত নৈর্ব্যক্তিক ভাবে পেশ করতে হয়! শেখার মতন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন