এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • জনৈক প্রবাসীর অনধিকার চর্চার কৈয়ফত

    bip
    অন্যান্য | ০২ জুন ২০১৫ | ১৯৯৭৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • SC | 83.222.179.56 | ০৮ জুন ২০১৫ ০৯:০৮679393
  • আর ইউরোপ এ পিএইচডি নিয়ে যা বললে, ওটার সাথেও সহমত হতে পারলাম না। যা ইচ্ছে মাথা মুন্ডু বলে যাচ্ছে তো।
    engg এ পিএইচডি নাকি ঢপ! সিরিয়াসলি! এইসব কথার আর জবাবও দেব না।
    কিন্তু ইউরোপ এ পিএইচডি করতে কম সময় লাগে কারণ ক্লাস থাকে না, ফলে মোটামুটি প্রথম দু বছর কাট আউট হয়ে যায়।
    এখানে যারা ইউরোপ এ পিএইচডি করেছে, আরো বেটার বলতে পারবে। কিন্তু ইউরোপ এ অনেক উনিভ থেকে খুব ভালো ভালো কাজ হতে দেখেছি, বেশ কয়েকজন faculty দেখেছি ইউরোপ এ পিএইচডি করা, খুব ভালো কাজ করেন।
    বিপ এর যদিও আউটসোর্সিং ছাড়া পৃথিবীর সব জিনিস ঢপ মনে হয়।
  • - | 109.133.152.163 | ০৮ জুন ২০১৫ ০৯:৫৯679394
  • তবে যাই বলুন, সামার এলেই বিপের ক্লাসিক সানি-কাঁবা কম্বাইন্ড দুঃখটা মনে পড়ে আর কুলকুলিয়ে হাসি পায়। সেই যে, সে-এই-যে, মেয়েরা কেন জামা পুরো খুলে হাওয়া খায় না! ;D
  • - | 109.133.152.163 | ০৮ জুন ২০১৫ ১০:০১679395
  • তো, এই সানির সংশোধন ওনার বাড়ি থেকে শুরু করলে কেমন হয় জানতে চাওয়া হয়েছিল। তখন সেই ভাটের দুঃখের ইতি হয়। যদ্দুর মনে পড়ে। ঃ-)
    তাই আটভাট বকা নিয়ে চিন্তিত হবেন্না।
  • bip | 79.138.209.156 | ০৮ জুন ২০১৫ ১০:১৫679396
  • [1] পি এই চ ডি করা কালীন ইউরোপে এক বছর তুরিন পলিটেকনিকে ছিলাম ত। ইটালিতে ৫-৬ বছর লাগত। বৃটেনে ৩ বছর লাগত বলে ওরাই হ্যাটা দিত। আমার কোলাবরেটর
    ছিল ইউ সি এলে -কি জানি বাপু-আমার ইটালির ছাত্রগুলোকেই সলিড লেগেছে-বৃটেনের না। স্যাম্পল এরর হতে পারে

    [২] স্কুলের কৌলিন্য-আমার নিজের কথা ছেড়ে দিলাম। সার্ভে গুলো বলছে আই ভি লিগে ইনভেস্টমেন্ট বেকার।

    [৩] এম আই টি স্টান্ডফোর্ডের ছেলেরা মূলত স্টার্টআপ করে দুনিয়া বদলে দেয়। চাকরি ওদের জন্য না । কুলীনদের ডিমান্ড নেই বলবো না। তবে সেটা এন্ট্রি লেভেলে।
    অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগে স্কুলের থেকে অভিজ্ঞতা দাম অনেক বেশী।

    [৪] ইঞ্জিনিয়ারিং এ পি এই চ ডির গুরুত্ব আছে-কিন্ত অতটা না বাপু। কি জান কি করেছ, সেটা ডিগ্রির আগে। অন্য ফিল্ডে পি এই চ ডি একটা এনট্রান্স কোয়ালিফিকেশন।

    [৫] অবসারভেশন যা ফ্যাকচুয়াল তা কখনো ডিস্ক্রিমিনেশনের আওতাই পড়ে না। বিজনেসে সবাই বেটার ডিসিশন আগে নেয়।

    এটা দ্য এন্ড অব দ্যা ডে, ইঞ্জিনিয়ারিং এ সবটাই ব্যবসা। এখানে নতুন জ্ঞানের ভ্যালু নেই যদি না তা কোন কাজে আসে। বেসিক সায়েন্সে কিন্ত তা না।
    আর সেখানেই ইঞ্জিনিয়ারিং পি এই চ ডির সমস্যা।

    এবং সবিনয়ে নিবেদন-না-আমি নরেন্দ্রপুর, আই আই টি নিয়ে ভাবিত না। কারন ওই ব্রান্ডগুলো আমার পেশাদারি জীবনে কোন কাজে আসে নি। বরং ইঞ্জিনিয়ারিং এর
    ক্ষেত্রে কোন কোম্পানীতে কাজ করেছ-সেই ব্রান্ডের দাম অনেক বেশী স্কুলের থেকে।

    আমার সাথে অন্যে পর্যবেক্ষন এক নাও হতে পারে। আমি আই টি দুনিয়ার লোক নই ।চিরকাল কোরে কাটিয়েছি-যেখানে সাদাদের প্রাধান্য এখনো বেশী। এবং অনেক রক্ষনশীল
    এরা। হার্ডকোর জিওপি পাবলিক সব। সুতরাং আমার সাথে বাকীদের দেখা দুনিয়া মিলতে নাও পারে। তাই নিয়ে ঝগড়া না করলেও হবে।
  • bip | 79.138.209.156 | ০৮ জুন ২০১৫ ১০:৪২679397
  • সিলিকন ভ্যালিতে আমি মোটে এক বছর ছিলাম। সুতরাং ওই পাড়া নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা কম। তবে অনেক বন্ধু আছে-আমাদের আই আই টির ব্যাচমেট-যারা গুগল, আপেলে আড়াইশো, তিনশো হাজারের বেশীই পায়। তারা কেও আই ভি লিগার না। শ্রেফ আই আই টির বিটেক। কোন এম বি এ , আমেরিকান ডিগ্রি নেই। সে আমার ও নেই। ওদের সব হাই ফাই ব্যপার। তারা আই ভি লীগ দেখে হায়ার করে এমন জানি না। যেটা জানি, তারা ইন্ড্রাস্ট্রিতে ট্যলেন্টের খোঁজ রাখে এবং সুযোগ পেলে প্রুভেন ট্যালেন্ট গুলোকেই টানে।

    আমি আরো দুজনকে চিনি। প্রতিবেশী। দুজনেই যাদবপুরের পি এই চ ডি। কিন্ত জীবনে আমেরিকাতে অনেক পরিশ্রম করে সায়েন্স, নেচারে অনেক নামিয়েছে। তারা এখন বেশ নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। যা ছিঁড়তে আই ভি লিগের গ্রাজুয়েটদের ও কষ্ট করতে হয়। কারন ভাল ফ্যাকাল্টি পজিশন পাওয়া আজকাল খুব কষ্টের।

    কেরিয়ারটা ম্যারাথন, আগে বেশী দৌড়ে , দৌড়ানো ছেড়ে দিলে মুশকিল আছে। সব সময় ডিম্যান্ড বুঝে শিখে যেতে হয়। আমি যে ফিল্ডে পি এই চ ডি করেছি-সারা জীবন শুধু সেটাই চালিয়ে গেলে, অনেক কিছুই জীবনে সম্ভব হত না। আর আরেকটা ব্যপার হচ্ছে হায়ার্কিটা এমন হওয়া উচি ৎ

    ফিল্ড/সাবজেক্ট -৭
    স্কুল -২
    টিচার-১
  • S | 139.115.2.75 | ০৮ জুন ২০১৫ ১০:৫৭679398
  • বিপদা আপনাকে কি বলবো বলুন তো? আইআইটির বিটেকদের অ্যাভারেজ স্যালারি কত? আর আভি লিগের অ্যাভারেজ স্যালারি কত? শুধুমাত্র ইন্ডিয়ার ডিগ্রি নিয়ে আমেরিকার বড় কোম্পানিতে সিইও হয়েছেন এমন এক্জনের নাম বলুন। (আমি এক্জনের নাম জানি - কিন্তু ঐ এক্জনই)

    আপনি এখানে দুজন ওখানে আমার বন্ধু এই দিয়ে যদি ডেটাবেস তইরী করেন, আর সেই দিয়েই কনক্লুশন করেন তাহলে কি বলবো। অবশ্যি আপনার কথা আলাদা। আপনার বন্ধুরা গুচ্ছের মাইনে পায়। যারা চাকরি করে না তারা থার্ড ডিভিসন পেয়েও কোটি টাকা কামান। মনে হয় আপনি শুধু মাত্র সাকসেশফুল লোকেদের সঙ্গে মেশেন। তাই আপনার কনক্লুশন খুব বায়াস্ড।

    আর আপনার কাছ থেকে কেরিয়ার নিয়ে এমন গ্যান দেখে অবাক এবং হতাশ হলাম। এই ৭,২,১ কোথা থেকে আসলো? কোনো বেস আছে। নাকি আবার নিজের ওপিনিয়ন?
  • bip | 79.138.209.156 | ০৮ জুন ২০১৫ ১১:২৪679399
  • (১) আমেরিকাতে আই আই টি বি টেকদের গড় বা মিডিয়ান, আই ভি লীগের থেকে বেটার হবে। অবশ্য এর পেছনে কোন স্টাডি নেই। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।
    তবে এই ক্যালকুলেশনে ওয়াল স্ট্রিটের ব্যাঙ্কারদের ধরা যাবে না- ওরা মিলিয়ান ডলারের বেশী ইনকাম করে এবং তাদের অনেকেই আই ভি লীগের। ওইটা বাদ দিলে
    আই আই টিয়ানরা ইনকামের দিক দিয়ে এগিয়ে থাকবে / সিবিএস সিক্সটি মিনিটস এ ওরকম কিছু বলেছিল।

    (২) ইনকাম বনাম প্যাশন- এখানে আমার সাথে অন্যের মিলবে না। আমার প্যাশন লেখালেখি করাতে। যদি প্যাশনটাই মুখ্য হয়, আমার উচিত সব কিছু ছেড়ে লেখা লেখি করা।
    ইঞ্জিনিয়ারিং এ লিমিটেড প্যাশন নিশ্চয় আছে-কিন্ত এবসল্যুউট না। তাহলে লেখালেখি ছেড়ে যা ভাল লাগে, ইঞ্জিনিয়ারিং এ কেন? কারন টাকার জন্য। সেটাই যখন মুখ্য, তাহলে
    আবার সাবজেক্ট প্যাশনে ফেরা কেন? "টাকা" তেই ফোকাস করা ভাল। এই স্ববিরোধিতাতে না ভোগায় ভাল। যদিও টাকা কখনোই হায়েস্ট মটিভেটিং ফ্যাক্টর হতে পারে না-কিন্ত
    টাকা ছাড়াও পাওয়ার, স্বাধীনতা, মনের শান্তি-এগুলোও গুরুত্বপূর্ন। সাবজেক্ট প্যাশনের স্থান এগুলোর পরে আসাই ভাল।

    (৩) আমাদের এডুকেশন সিস্টেমে কি ট্যালেন্টদের সত্যি এসেস করা হয়? যে থার্ড ডিভিশনে পাশ করে কোটি টাকা কামাচ্ছে, তার ব্যবসায়িক
    বুদ্ধি, ভিশন একদম চমকে দেওয়ার মতন। খুব কম বাঙালীর মধ্যে ওগুলো আছে, বাম বাঙালীর মধ্যে একদম নেই।

    (৪) সাবজেক্টের মূল্য সব থেকে বেশী কেন দিচ্ছি? কারন ওই যে বল্লাম-আমি বা আমার আই আই টির বন্ধুরা এই দেশে এই দেশের বিটেক পি এই চ ডির থেকে
    অনেক বেশী কামাচ্ছি বা অনেক বেশী কিছু করার সুযোগ পাচ্ছি-কারন আমরা " সাবজেক্ট" চয়েসটাকে সব থেকে বেশী গুরুত্ব দিয়েছি। এই নয় যে আমাদের
    বুদ্ধি বিদ্যা বেশী-আর সার্টিফিকেটের ভ্যালু যে কম -সেত দেখতেই পাচ্ছ!
  • SC | 83.222.179.56 | ০৮ জুন ২০১৫ ১১:৩২679400
  • এবারের কথাগুলো তাও আমার মনে হচ্ছে অনেক ঠিকঠাক বলছ। obviously , এক্সপেরিয়েন্সড লেভেল এ আগের কি ওয়ার্ক qualification কি, সেটা ম্যাটার করবে। টপ টেন স্কুলের প্রচুর ইঞ্জিনিয়ারিং পিএইচডি চাকরি করে বড় বড় কোম্পানিতে সিলিকন ভ্যালি তে, সুতরাং তারা শুধু স্টার্টআপ বানায় তা নয়। অনেকে বানায়, বিশেষ করে stanford এ সেই culture তা খুব বেশি, বাকি স্কুলগুলোতে অতটা নেই।

    এবারে তোমার বন্ধুদের ব্যাপারে আমি বলতে পারব না। তবে আই আই টি র বিটেক কে অনেক কোম্পানিই বেশ ভালো মাইনে দিয়ে নিয়ে আসে, সেই নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই তো। সেখানেও আই আই টি দেখে হায়ার করে, আবার আমেরিকার কলেজে রিক্রুট করলে টপ টেন স্কুলের পাল্লা ভারী, স্বাভাবিক। তবে আই আই টি থেকে ডাইরেক্ট সিলিকন ভ্যালি তে রিক্রুট করার ব্যাপারটা খুব বেশিদিন হলো চালু হয়নি। আমরাই মনেহয় প্রথম ব্যাচ, যখন কিছু ডাইরেক্ট মার্কিন রিক্রুটমেন্ট হয়েছিল, তাও সিলিকন ভ্যালি তে নয়, ওয়াল স্ট্রিট র কিছু firm এ। ফেসবুক গুগলে এর আই আই টি থেকে ডাইরেক্ট রিক্রুট করাটা তার অনেক পরে চালু হয়েছে। আইভি লীগের ক্ষেত্রে বহুদিন থেকেই এরকম ভাবে রিক্রুটমেন্ট হয়।
    এবং আমি খুব কাছ থেকে কম্পারিসন টা দেখেছি বলে বলতে পারি, যে কোনো কারণেই হোক, এখনো একটা প্রিমইয়ের আইভি লীগ কলেজের অ্যাভারেজ সালারী আই আই তির থেকে অনেক বেশি হবে।
  • SC | 83.222.179.56 | ০৮ জুন ২০১৫ ১১:৩৭679401
  • ওটা একটু বাড়িয়ে বলেছিল তাহলে। সি বি এস সিক্ষ্ত্য মিনিটস যখন তৈরী হয়েছিল, সেটা আমাদের passout করার আগে। তখন তো কোনো ডাইরেক্ট রিক্রুটমেন্ট ই হত না আই আই টি থেকে। তুমি কি যারা আই আই টি থেকে বেরিয়ে আমেরিকা তে মাস্টার্স পিএইচডি করে আমেরিকা তে চাকরি করছে , তাদের সাথে আই ভি লিগ থেকে উন্দের্গ্রাদ করা লোকেদের তুলনা করছ, নাকি যারা বিতেচের পরে আর কোনো ডিগ্রী করেনি, তাদের সাথে তুলনা করছ?
    এটা হতেই পারে, যে আই আই টি উন্দের্গ্রাদ করে আমেরিকা তে হায়ার ডিগ্রী যারা করেছে, তাদের অ্যাভারেজ কোনো আই ভি লিগ স্কুলের থেকে বেটার।
  • sm | 233.223.152.135 | ০৮ জুন ২০১৫ ১১:৪০679403
  • এত স্ববিরোধিতা থাকলে তো মিনিময় চালানো মুশকিল। ক্যাপিটালিস্ম এ যদি টাকা তাই মুখ্য হয় তাহলে প্যাশন এনে ঘেঁটে ফেলা হচ্ছে কেন?
    আপনি বললেন থার্ড ডিভিসনে পাস করা লোক; কিন্তু প্রচুর ট্যালেন্ট এর জোরে ব্যবসা করে কোটি কোটি কামাচ্ছে।
    এটা কি সত্যি? যে প্রমোটার রা কোটি কোটি ইনকাম করছে বা বড় বাজারে যে মারওয়ারীরা ঘি, তেল কাপড় বেচছে, তারা কি প্রচুর ট্যালেন্টের অধিকারী নাকি?
    বিদেশেও তাই; কেউ ফার্মাসির দোকান খুলে কেউ পুরনো গাড়ির ব্যবসা করে প্রচুর কামায়; তাতে কি প্রমান হলো?
    আর আমি অন্য প্রফেশনের যে উদাহরণ দেখালাম সেখানে কিভাবে গরু দুধ দিচ্ছে জানা গেলো?
  • S | 139.115.2.75 | ০৮ জুন ২০১৫ ১১:৪০679404
  • ১) প্রথমত আন্ডারগ্র্যাড করেই কেউ এক মিলিয়ন পায়না। অ্যাসোসিয়েট লেভেলে উঠতে গেলে একটা মাস্টার্স ডিগ্রি চাই। আর মিলিয়ন ডলার ইনকাম সাধারণতঃ ভিপি লেভেল থেকে শুরু হয়। তা আগে ঐ লেভেলের বোনাস পাওয়া যায়্না। ওয়াল স্ট্রিটের বালজ ব্র্যাকেট ব্যান্ক গুলো অ্যাসোসিয়েট লেভেলে টপ টিয়ার স্কুল ছাড়া অলমোস্ট নেয়্না। আনলেস ইউ আর জিনিয়াস।

    আর আইআইটি বিটেকের গড় কখনই আইভিলিগের থেকে বেশি নয়। আইআইটির বেস্ট ছেলেরা সিলিকন ভ্যালিতে চাকরি পায়। সেটা আইভি লিগেদের কাছে একটা ওকে অপশান।

    ২) "যদিও টাকা কখনোই হায়েস্ট মটিভেটিং ফ্যাক্টর হতে পারে না" - আর আমি ভেবেছিলাম আপনি ক্যাপিটালিস্ট।

    ৩) সিরিয়াসলি আমাদের এডুকেশন সিস্টেমে ট্যালেন্টের ঠিকঠাক অ্যাসেস হয়না? আমি তো ভেবেছিলাম উল্টোটাই সত্যি। আপনি বলতে চাচ্ছেন যে আইআইটির ছেলেদের থেকে অমুকতলা ইন্জিনিয়ারিঙ্গের ছেলেদের ট্যালেন্ট বেশি।

    ৪) আপানার পোস্টে আবারও আইআইটি গরিমার খুব গন্ধ পাচ্ছি। নাথিঙ্গ রঙ্গ উইথ ইট। ইউ শুড বি প্রাউড অ্যাবাউট ইট। জাস্ট অ্যাডমিট ইট।

    আমি আপনাকে এবং অনেককই একটা অনুরোধ করছি। প্লিজ আউটলায়ার্স দিয়ে কনক্লুশন করবেন না। এক্দিকের বেস্টের সাথে অন্যদিকের ওয়ার্স্টের তুলনা করলে এমনই হয়।
  • SC | 83.222.179.56 | ০৮ জুন ২০১৫ ১১:৪৫679406
  • "আর আইআইটি বিটেকের গড় কখনই আইভিলিগের থেকে বেশি নয়। আইআইটির বেস্ট ছেলেরা সিলিকন ভ্যালিতে চাকরি পায়। সেটা আইভি লিগেদের কাছে একটা ওকে অপশান।"

    রাইট। এটাই বলতে চাইছিলাম।
  • S | 139.115.2.75 | ০৮ জুন ২০১৫ ১১:৪৯679407
  • থ্যান্কু লসাগু।

    আমার এক বন্ধু আছে বস্টন কলেজ থেকে। বলেছিলো যে ওয়াল স্ট্রিট অ্যানালিস্ট রোলে নেয় ৭০০০০ দিয়ে। বিজনেস/ফাইনান্স আন্ডারগ্র্যাড ভালো ছেলেদের। কিন্তু কিছুই প্রায় সেভ হয়না। কারণ ম্যানহ্যাটনে বা কাছাকাছি থাকতে হয়। তার থেকে অন্য কোথায় কিছু কম স্যালারিতে থাকা ভালো। জিগালাম আর এম্বিএতে? বললো, বস্টন কলেজ থেকে নেয়্না। বোঝো।
  • lcm | 118.91.116.131 | ০৮ জুন ২০১৫ ১১:৫৫679408
  • আসলে এখানে তো টপ পেইড-দের আলোচনা হচ্ছে, এবং, গুগল/ইয়াহু/অ্যাপ্‌ল/আমাজন-এই সব কোম্পানির স্যালারি নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটা তো ঠিক আছে। কিন্তু সেটা আর কজন, বাকিরা? তাদেরও তো হিসেবে ধরতে হবে নাকি।
  • S | 139.115.2.75 | ০৮ জুন ২০১৫ ১২:১২679409
  • হ্যাঁ ঠিকই আছে। এখন ফেসবুককেও ঐ লিস্টে অ্যাড করে নিন। কিন্তু এগুলোতে ইন্ডিয়ার বেস্ট ট্যালেন্ট ছাড়া যাস্ট ঢোকা যায়্না। মানে আইআইটির হলেই চলবে না, পেটেন্ট থাকলে ভালো হয়, নাহলে অন্তত ওলিম্পিয়াড ইত্যাদি। কিন্তু আমেরিকার একটু ভালো ইস্কুল থেকে মোটামুটি ভালো ছেলে হলেও এইসব কোম্পানিতে ঢোকা যায়।

    স্ট্যানফোর্ডের স্টার্টাপ কালচার মনে হয় সিলিকন ভ্যালি থেকে কাছে হওয়ার জন্যে, সহজে ফান্ডিঙ্গ বা পরবর্তী কালে ক্রেতা পাওয়া যায়। প্লিজ বলবেন।
  • lcm | 118.91.116.131 | ০৮ জুন ২০১৫ ১২:১৭679410
  • হ্যাঁ, স্ট্যানফোর্ড থেকে অনেকে আন্ডারগ্র্যাড/গ্র্যাড করে বেরিয়ে স্টার্ট`আপে ফান্ডিং পেয়ে যায়, কারণ গ্রাউন্ড ওয়ার্কটা কলেজে থাকতে থাকতেই করে রাখে, প্লাস লোকেশনের একটা অ্যাডভান্টেজ-ও আছে, ঐ একদম প্যালো অ্যাল্টো-র মধ্যে।
    কিন্তু তাও, প্রত্যেক ব্যাচে ফ্রেশ গ্র্যাডরা কিন্তু সবাই নিজের স্টার্ট`আপ খোলে না, অনেকে স্টার্টাপে বা ছোটো কোপ্ম্পানিতে চাকরি করতে ঢোকে, কিন্তু পাশ করেই নিজেরা কোম্পানি খোলে এমন % কম। তবে কি, তাও অন্য কলেজের থেকে হয়ত বেশি।
  • kaktarua | 216.223.181.135 | ০৯ জুন ২০১৫ ০২:৩১679411
  • আমি একটা অদ্ভূত সেক্টর-এ কাজ করি কানাডা-য়। এর আগে USA তেও ৫ বহর কাজ করেছি। কনস্ট্রাকশন। সিলিকোন ভ্যালি থেকে আমার সমস্ত এক্সপেরিয়েন্স অনেক অনেক ডিফারেন্ট। এই সেক্টর-এ সবই সাদা আর মেয়ে তো ১% -ও নয় । এখানে আমার এক্সপেরিয়েন্স একদম বিপ-এর সাথে মেলে। কোনো ভ্যালু নেই ডিগ্রী/স্কুল এর। অনেক কেই দেখেছি শুধু হাই স্কুল ডিগ্রী নিয়ে এক্সপেরিয়েন্স এর জন্য হাই পোস্ট এ আছে। এর জন্য কিছু অসুবিধা অবশ্যই হয়। একটাই ভালো যে অবস্থা তা খুব ধীরে হলেও পাল্তাছে।
  • bip | 79.138.209.156 | ০৯ জুন ২০১৫ ০৮:১৭679412
  • আপনি বললেন থার্ড ডিভিসনে পাস করা লোক; কিন্তু প্রচুর ট্যালেন্ট এর জোরে ব্যবসা করে কোটি কোটি কামাচ্ছে।
    এটা কি সত্যি? যে প্রমোটার রা কোটি কোটি ইনকাম করছে বা বড় বাজারে যে মারওয়ারীরা ঘি, তেল কাপড় বেচছে, তারা কি প্রচুর ট্যালেন্টের অধিকারী নাকি?
    বিদেশেও তাই; কেউ ফার্মাসির দোকান খুলে কেউ পুরনো গাড়ির ব্যবসা করে প্রচুর কামায়; তাতে কি প্রমান হলো?
    আর আমি অন্য প্রফেশনের যে উদাহরণ দেখালাম সেখানে কিভাবে গরু দুধ দিচ্ছে জানা গেলো?

    >>>>>>
    তাহলে আপনার কি মনে হয়? দুধ ঘিএর ব্যবসা করতে ট্যালেন্ট লাগে না? সব ট্যালেন্ট হাই টেকের ব্যবসায় ?

    অধিকাংশ বাঙালীই যে আপনার মতন ব্যবসা নিয়ে একটা স্নব ধারনায় চলে, সেটা জানি। কারন ব্যবসা যে নিজে হাতে করে নি-সে বুঝবেই বা কি করে
    যে দুধ ঘিয়ের রিটেল করা হাইটেকের থেকে অনেক বেশী কঠিন। কারন দুধ ঘি এর ব্যবসায় অনেক প্রতিযোগিতা। রিটেল থেকে মার্জিন বার করা সৎ পথে অত সহজ না।
    ইনফ্যাক্ট ওই ব্যবসা আমি পারবো না-যিনি লিখেছেন ট্যালেন্ট লাগে না-তিনিও পারবেন না।

    হাইটেকের ব্যবসা অনেক সহজ-যদি প্রতিযোগিতা ঠেকাতে একটা ভাল নিশ খুঁজে বসে যান।

    ভাই আমি লাইফে অনেক নরেন্দ্রপুর আই আই টি এম আই টি স্টানফোর্ড দেখলাম--চাকরিতে বা একাডেমিক্সে আমাকে যা করতে হয়েছে, কোনদিন তা চ্যালেঞ্জিং মনে হয় নি।
    ব্যবসা করতে এসে লাইফে প্রথম চ্যালেঞ্জ কাকে বলে বুঝেছি- যারা দুধ ঘি এর ব্যবসা করে কোটি টাকা কামাতে পেরেছে বাপের সাহায্য ছাড়া
    ফ্রাঙ্কলি তাদের ক্ষমতাকে আমি আই আই টিয়ানদের থেকে বেশী মার্কস দেব।

    আমার যে বন্ধুটির কথা বলছি-তার বাবার ছিল এক ভাঙাচোরা রেডিওর দোকান। সে সেখান থেকে বছরে কুড়িকোটি টাকার বেশী ডিলারশিপের ব্যবসা করছে। আমি ওর সাথে ওর
    গাড়িতে গ্রামে গ্রামে ওর সাবডিলারদের কাছে গেছি-দেখার জন্য। চারশো পাঁচশো সাব ডিলার মেইনটেইন করা, তাদের উৎসাহ দেওয়া-নতুন স্কীম নিয়ে জানানো সহজ না।
    এগুলো চিট ফান্ডনা-প্রোডাক্ট যা বেচতে হয়-বা বেচা শেখাতে হয় ওই বিরাট নেটোয়ার্কে।

    দুটো ইকোশেন সলভ করতে শিখে, আই ট্রিপলি পাবলিকেশন করে ( যার ৯৮% কাজ ফালতু ), দুধ ঘি এর ব্যবসায়ীদের টন্ট ডাউন না করায় ভাল।
  • Bratin | 122.79.37.48 | ০৯ জুন ২০১৫ ০৮:৫২679415
  • বিপের লাস্ট পোস্টের সাথে পুরোপুরি একমত
  • sm | 233.223.155.185 | ০৯ জুন ২০১৫ ০৯:২৮679416
  • বিপ, আমার মনে হয় আপনি ব্যবসা সম্মন্ধে একেবারেই নিজের মতন করে বলছেন।। ধরা যাক একজন প্রমোটার। তার পাড়ায় কিছু দাদা বা পার্টির সঙ্গে যোগ আছে। কোনো রকমে ৫-৬ কাটা জমি কলকাতায়/ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ম্যানেজ করলো। ২৪ টা ফ্ল্যাট হলে তার প্রায় দেড় কোটি টাকা লাভ।শ্রম খুব অল্প।ম্যানেজমেন্ট বলতে শুধু ঠিকাদারী। বছরে এমন ২-৩ টে প্রজেক্ট করা বিরাট ব্যাপার নয়।
    একজন লোক ইঁট ভাটার ব্যবসা করে বা বালি/ স্টোন চিপ সাপ্লাই করে। কি বিশাল ট্যালেন্ট লাগে আপনি বলুন।
    আর বাবা মা ! এখন তো পয়সা দিয়ে ডাক্তারি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হচ্ছে ব্যাপক ভাবে। তো, যার বাবার বড় বাজারে দোকান আছে, সে কাপড়, তেল ঘি এর ব্যবসা করবে, তো আপনার আপত্তি কোথায়? আর কম্পিটিশন, সে আপনার প্রফেশনে যেমনি, তাদের প্রফেশনেও তেমনি।একজন ডাক্তারি পাস করে প্র্যাকটিস করতে বসে কি কম্পিটিশন ফেস করে না?
    আপনি পরের প্রশ্ন করবেন, তাহলে জনতা এত ডাক্তারি ইন্জিনিয়ারিন্গের পিছনে ছুটছে কেন?ব্যবসা করলেও পারত।\
    মুশকিল হলো, অধিকাংশ বাঙালি লোকের মাইন্ড সেট হলো চাকুরী বৃত্তি । গুজরাটি , মারওয়ারী হলে মাস মাইনের চাকরি কে দুরে ঠেলে ব্যবসায় নামত।
    এবার আসি বিদেশের কথায়। একজন প্রপার্টি ডিলার,সেকন্ড হ্যান্ড গাড়ির ব্যবসায়ী, বাংলাদেশী রেস্টুরান্তের মালিক, অনেক সিলিকন ভ্যালির চাকুরিজীবির থেকে বেশি কামায়। তারা কি বেশি ট্যালেন্ট এর অধিকারী, নাকি ? সবটাই নির্ভর করছে আপনার মাইন্ড সেট এর ওপর। আপনি চাকরি ছেড়ে ব্যবসায় নেমেছেন; ভালো কথা। কিন্তু ৯৯ শতাংশ নামে না। তার মানে এই নয় আপনার ট্যালেন্ট বেশি।
  • bip | 79.138.209.156 | ০৯ জুন ২০১৫ ০৯:৪৩679417
  • আসলে এই স্নব ব্যপারটা সমাজই ছোটবেলা থেকে মাথার মধ্যে ঢুকিয়ে বাঙালী পেছন মারছে।

    কর্পরেট লাইফে এক সময় নিজের প্রতি ঘৃণা এসে গিয়েছিল। এত বালেছাল অঙ্ক কষে নরেন্দ্রপুর, আই আই টি মারিয়ে ফাইনালি কর্পরেট গোলামগিরি
    হচ্ছে মেরুদন্ডহীন ফালতু এক জীবন। পলিটিক্যাল কারনে ঠিক কে ভুল বলতে হত, ভুলকে ঠিক। এখানে যারা কর্পরেট লাইফে বড় বড় চাকরি করেন,
    তারাও ঠিক তাই করেন- কর্পরেট লাইফে সরীসৃপের দল হঠাৎ করে স্যোশাল মিডিয়াতে মেরুদন্ড নিয়ে উদয় হৌন।

    কর্পরেট জীবনে নিজের মেরুদন্ডটা ভুলে যেতে হত বলে, মাঝে মাঝেই ভেবেছি-এসব না করে স্কুলের মাস্টার মশাই হওয়া শতগুনে ভাল ছিল।
    আমার বাবা মা স্কুল টীচার ছিলেন। তাদের অন্তত মেরুদন্ড নুইয়ে চলতে হয় নি। তাও কিসের জন্য? এই কর্পরেট লাইফে টাকা এমন কিছু বেশী না
    যা ব্যবসা করে ইনকাম করা যায় না। ইনফ্যাক্ট অনেক বেশীই করা যায়।

    তবে স্টার্টাপে অভিজ্ঞতা আলাদা। অনেক ভাল। আমি কর্পরেট বলতে বড় বিলিয়ান ডলারের বালগুলোকে মিন করছি।

    এত আই ভি লীগ, আই আই টি করে বিলিয়ান ডলারের কর্পরেটেই যদি ঢুকতে হয় - তাহলে এই সার্টিফিকেটগুলোকে ফালতুই বলবো।

    যাদের মেরুদন্ড নেই, তাদের সার্টিফিকেট নিয়ে গর্ব করে কি হবে?
  • বিপ | 79.138.209.156 | ০৯ জুন ২০১৫ ০৯:৪৮679418
  • একজন লোক ইঁট ভাটার ব্যবসা করে বা বালি/ স্টোন চিপ সাপ্লাই করে। কি বিশাল ট্যালেন্ট লাগে আপনি বলুন।

    >> আগে নিজে ওটা কর -তখন ট্যালেন্টের ব্যপারটা বুঝতে পারবে। রিয়ালাইজেশন লাইফে ওই ভাবে আসে না।

    একজন প্রপার্টি ডিলার,সেকন্ড হ্যান্ড গাড়ির ব্যবসায়ী, বাংলাদেশী রেস্টুরান্তের মালিক

    >>
    পপার্টি ডিলারদের বাৎসরিক মিডিয়ান ৩৫ হাজার ডলার, সেকন্ড হ্যান্ড গাড়ির ব্যবসায়ী দের ৪২ হাজার ডলার আর ২০ টা রেস্টুরেন্টের ১৯ টা প্রথম বছরেই বন্ধ হয়!!!

    সুতরাং এই সব লাইনে যারা প্রসপার করে, তাদের একটু কাছ থেকে দেখে শেখো-দেখবে নিজের ভুলটা বুঝতে পারবে।
  • S | 109.27.138.238 | ০৯ জুন ২০১৫ ০৯:৫৮679419
  • বিপদা, এইটা ঘটনা যে দুধঘি তেল সাবানের ব্যবসা করা খুব কঠিন, কারণ মার্জিন খুব কম। ফলে বড় ভল্যুমে সেলস না হলে রিটার্ণ নেই। তার উপরে আবার পেরিশেবল গুডস। আর কোম্পানি যতই অ্যাড দিক না কেন, ঐ ট্রুথ অব দ্য মোমেন্ট - যখন অ্যাক্চুয়াল ট্রানজাকশন হচ্ছে, মানে মাল নিয়ে টাকা দিচ্ছে - ঐটা হওয়া খুব কঠিন ব্যাপার। এবং এইটা খুব খুব কঠিন কাজ। কিন্তু এখানে খুব কম লোক সাকসেশফুল হয়। আপনি আবারও বায়াস্ড কম্পারিজন করছেন। আপনি আপনার বন্ধুদের মধ্যে সবথেকে বেশি যারা সাকসেশফুল হয়েছে, তার উদাহরণ দিয়েছেন। অন্য অনেকে আছেন যারা ঐ একই ধরনের ব্যবসা করতে গিয়ে তেমন সাকসেশফুল হয়নি - এমন উদাহরণই বেশি। নইলে তো সক্কলে কোটি টাকার ব্যবসা করতো।

    আর আপনি বলছেন দুটো ইকোশান সলভ করতে শিখে আই ট্রিপল ইতে পাবলিশ করা যায়। এইটা মনে হয় আপনি রাগ করে বলছেন, কারণ আপনিও জানেন এইটা সত্যি নয়। আমি ঐ লাইনের লোক নই, কিন্তু আমার লাইনে টপ টিয়ারে পাবলিশ করা যে কত কঠিন সেইটা আমি জানি। লোকে ৫-৭ বছর ধরে একটা পেপারের উপরে কাজ করে। আর আপনি যদি সত্যি ভাবেন যে এগুলো করা কোনো ব্যাপার নয় তাহলে আমার আর কিছু বলার থাকে না।

    আপনি বলেছেন যে অ্যাকাডেমিয়াতে বা ইন্ডাস্ট্রিতে আপনাকে তেমন কঠিন কাজ করতে হয়নি, যেটা ব্যবসাতে করতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তিনটে কথা আসে। এক, এটা হতে পারে যে আপনি হয়তো একাডেমিয়াতে অনেক বেশি স্বচ্ছ্ন্দ। ব্যবসা আপনার কাছে আপনার অ্যাপটিটুড/অ্যাটিটুড অনুযায়ী একটু বেশি কঠিন। আপনার বিভিন্ন ব্যাপারে ভাট বকার এবং সেই নিয়ে লেখালেখি করার স্বভাব সেইটাকে সাপোর্ট করে। আপনি বলুন তো আপনার এইসব ধম্ম-ক্যাপিটালিজম-কম্যু-প্রাদেশিক ইত্যাদি তক্ক করে কটা ক্লায়েন্ট নামান। দুই, আপনি তাহলে হয়তো তেমন কঠিন কাজ কম্মের সাথে জরিত ছিলেন না। তৃতীয়ত, আপনি এখন বেশি কামান নাকি আগে। বেশি ইনকাম করার জন্যে বেশি কঠিন কাজ করতেই হবে।
  • lcm | 118.91.116.131 | ০৯ জুন ২০১৫ ১০:১৮679420
  • ধুস, ওরকম ভাবে কিছু বলা যায় নাকি।
    কত লোক আছে ব্যবসা করে স্ট্রাগ্‌ল করছে, কোনোরকমে চালাচ্ছে, বা, দেনায় ডুবে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। শুধু সফলদের নিয়ে আলোচনা - ব্যবসা, অ্যাকাডেমিক্স, চাকরি ... সর্বত্র। বোরিং।
  • | 213.99.211.18 | ০৯ জুন ২০১৫ ১০:২৫679421
  • এল সি এম দা, স্ট্যাটিসটিক্সের ভাষায় বলতে গেলে " দ্য স্যাম্পেল ইজ নট রিপ্রেজেন্টটেটিভ"। তাই তো? ঃ)
  • lcm | 118.91.116.131 | ০৯ জুন ২০১৫ ১০:২৮679422
  • অথবা, দ্য স্যাম্প্‌ল রিপ্রেজেন্ট্‌স ১% অফ দ্য পপুলেশন
  • sm | 233.223.158.78 | ০৯ জুন ২০১৫ ১০:২৯679423
  • বিপ, তোমার মধ্যে যুক্তির প্রবল অভাব। তুমি নিজেই লিখছ বাঙালি স্নব। তুমি নিজেই লিখছ কর্পোরেট সেক্টরে মেরুদন্ড নুইয়ে চলতে হয়; তাহলে ঠিক কাকে সাপোর্ট করছ বলা মুশকিল। কথা হচ্ছিল ট্যালেন্ট নিয়ে। তোমাকে দেখালাম, একজন স্থানীয় প্রমোটার কত কোটি কামাচ্ছে; তুমি কোথায় দেখলে, সে বেশি ট্যালেন্ট এর অধিকারী?
    তুমি আগের পোস্টে বললে ব্যবসায় কম্পিটিশন বেশি; তা, আমি বললাম ডাক্তারি তেও প্র্যাকটিস করতে গেলে এর চেয়ে বেশি কম্পিটিশন ।কেউ জয়েন্ট এ পেতে গেলে যা কম্পিটিশনে পরে; তার তুলনা জগতে ভার।
    তুমি বললে বাবার পয়সার কথা। তা, আমি বললাম বাবার পয়সায় ব্যবসা করতে আপত্তি কোথা ; যেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং , ডাক্তারি তে মানুষ পয়সা দিয়েই পড়ছে।
    তুমি বললে, তোমার বাবা শিক্ষক ছিলেন। নিজের বাবা কে উদাহরণ করলেই বুঝতে পরতে, শিক্ষকতা ছেড়ে ব্যবসা করলে কত বেশি কমাতে পারতেন। এমন কি ভালো টিউটোরিয়াল হোম খুললেও বেশি কামাতেন।
    যে মিডিয়ান স্যালারীর উদাহরণ তুমি দিলে, যদি সমগ্র গ্রজুএত(সমস্ত স্ট্রীমে) কম্যুনিটির রোজকারের হিসেব কর তাহলে দেখবে প্রপার্টি ডিলার বা রেস্তুরান্তের মালিক বেশি উপার্জন করছে।
    আমি এমন কিছু বাঙালি টিচার , ইঞ্জিনিয়ার বা জিপি জানি যারা লন্ডনে বাড়ি কিনে আর বেচে অন্তত ৫-৬ টা বাড়ির মালিক।
    তুমি আলবাল বকবে, আর সবাই মেনে নেবে, এমন তো নয়।
  • সে | ০৯ জুন ২০১৫ ১১:৫৫679424
  • ট্যালেন্ট জিনিসটা শুধু লেখাপড়ায় ভালো রেজাল্ট ধরে নিলে মুশকিল। ব্যবসায়ে ট্যালেন্ট লাগে সাকসেসফুল হতে। কেউ চাপে পড়ে ব্যবসা করে (by push), কেউ নিজে কিছু করে দেখাবে বলে (by pull)। এদুটো আলাদা ব্যাপার। ব্যবসা আমিও করেছি লাইফে। চাকরিও করেছি। ব্যবসায়ে অনিশ্চয়তা অসম্ভব রকমের বেশি, মাস মাইনের চাকরির মতো নয়। ব্যবসায়ে ছুটি বলে প্রায় কিছুই থকে না, সবসময় কিছু না কিছু করতে হয়, চিন্তা, কম্পিটিশন, হিসেব, কাস্টমার রিলেশন, আরো অনেক ফ্যাক্টর সমস্ত সময় খেয়াল রেখে সেই মতো হিসেব করে এগোতে হয়। একবার ব্যবসা দাঁড় করিয়ে ফেললেও বসে থাকবার জো নেই, কাজ কখনো কমে না। ব্যবসায়ে সাকসেসফুল হওয়া খুব কঠিন কাজ। নিরাপদ শান্তিময় জীবনের জন্যে চাকরি করাই উপযুক্ত সমাধান। চাকরিতে হয়তো কাজের চাপ আছে, কিছুটা চিন্তা ভাবনাও হয়তো করতে হয়, কিন্তু ব্যবসার তুলনায় তা নস্যি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন