এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  ইতিহাস

  • আক্রমণকারী তৈমুরকে কী চোখে দেখতেন হিন্দুস্থানের মোঘল বাদশাহরা : উপল মুখোপাধ্যায়

    upal mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | ইতিহাস | ২১ জুলাই ২০২৪ | ১৮১ বার পঠিত
  • তৈমুর হিন্দুস্থান আক্রমণ করেন ও হাতের কাছে হিন্দু–মুসলমান যাকে পেয়েছেন মারকাট, লুটপাট করে আবার মধ্য এশিয়ায় চলে যান মুলতানে তাঁর সেপাইসালার খিজির খানকে রেখে। তিনি এসব করেন তেরোশো সাতানব্বই থেকে নিরান্নব্বইয়ের মধ্যে দিল্লীর সুলতান মাহমুদ তুঘলকের ফৌজকে হারিয়ে। হিন্দুস্থানের চোখে ওটা একটা ভয়াবহ মঙ্গোল আক্রমণই ছিল যার ঠ্যালায় আর ঠিক পরের মহামারীতে উজাড় হওয়ার দশা হয় দিল্লীর। এক নিদারুণ ট্র্যাজেডি বটে। দুটো ফার্সি স্মৃতি নির্ভর অতীত কথা বা তারিখে এই আক্রমণের বর্ণনা জানা যাচ্ছে। একটা আক্রান্তের দিক থেকে সমালোচনামূলক লেখা তারিখে মোবারাকশাহী যা লিখেছিলেন ইয়াহয়া সিরহিন্দি চোদ্দোশো চৌতিরিশের মধ্যে সুলতান মোবারক শাহের আমলে। অন্যটা তৈমুর বংশের শাহী তারিখ জাফরনামা যা লিখেছিলেন শারাফ আল দিন ইয়াজদি চোদ্দোশো পঁচিশের মধ্যে। প্রথমটার লেখা পরে শেষ হলেও সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিতে লেখা আর আক্রমণের অংশটা অনেক আগেই লেখা বলে ধরা হয়।

    তবে ছোটোখাটো তফাৎ ছাড়া দুটো ন্যারেটিভে ঘটনাক্রমের মিল আছে। তৈমুর প্রথমে দিল্লীর অধিবাসীদের ছেড়ে দিলেন করদানের শর্তে (মাল এ আমানি)। দিন চারেকের মাথায় তাঁর কী খেয়াল হল সবাইকে ক্রীতদাস বলে ঘোষণা করেন। এর মধ্যে হাজার হাজার দক্ষ কারুশিল্পী ছিলেন যাঁদের তৈমুর আর তাঁর চেলাচামুন্ডাদের সঙ্গে যেতে হয়। আক্রমণকারীরা এক লক্ষ লোক মেরেছে এমনটা ইয়াজদি দাবি করছেন আর সিরহিন্দির কথা অনুযায়ী সেটা পঞ্চাশ হাজার। দ্বিতীয়টাই সঠিক বলে অনুমান করছেন অধ্যাপক ইরফান হাবিব কারণ প্রথমটায় অনেক একপেশে কথা আছে। ধর্ম–অধর্ম এসব নিয়েও অনেক তালগোল পাকানো কথা বলছেন ইয়াজদি।

    যেমন বিধর্মী হিন্দুদের (হেন্দুআন–এ গাবর) সম্পর্কে বলা হচ্ছে যারা ঘরের মেয়েদের আর নিজেদের আত্মাহুতি দিতে শুরু করতে গিয়েছিল। দিল্লীর তিন শহরের সব তৈমুরের সৈন্যরদের জ্বালিয়ে দেবার কথা বলা হচ্ছে। আরও বলা হচ্ছে অবিশ্বাসী হিন্দুরা জড়ো হয়েছিল পুরনো দিল্লীর মসজিদে আর তৈমুরের সৈন্যরা তাদের কচুকাটা করছে তেরোশো আটানব্বইয়ের উন্তিরিশে ডিসেম্বের। অধ্যাপক হাবিবের মন্তব্য – “ ইয়াজদির হিন্দুরা মুসলিমদেরও ধরে’’।

    The “pagan Hindus” (Henduân-e gabr) having had the temerity to begin immolating their women and themselves, the three cities of Delhi were put to sack by Timur’s soldiers. “Faithless Hindus”, he adds, had gathered in the Congregation Mosque of Old Delhi and Timur’s officers put them ruthlessly to slaughter there on the 29th of December. Clearly, Yazdi’s “Hindus” included Muslims as well. { Timur in the Political Tradition and Historiography of Mughal India Irfan Habib (source - Open Edition Journal) }

    এইভাবে ধর্ম নির্বিশেষে হাজার হাজার দিল্লীর অধিবাসীদের গণহত্যা করে হিন্দুস্থানে তৈমুরের ইমেজ মোটেই ভালো ছিল না। তাই পরবর্তী কালে বাবর নিজেকে তৈমুরের মুখ্য উপাধি সাহিব-এ কিরান বা গ্রহযোগের সম্রাট না বলে শুধু বেগ বলে উল্লেখ করছেন। পনেরশো সাতাশে রানা সংগ্রাম সিংহ কে হারানোর পর ফতেহনামায়ও তৈমুরের কোন উল্লেখ বাবর করেন না। হিন্দুস্থানে তৈমুরের কথা বেশি বলায় অসুবিধে ছিল।

    আকবরের ফরমানের সিল মোহরে তৈমুর ঐতিহ্যের উৎযাপন আছে বিশেষ করে দান খয়রাতির ফরমানের সিল মোহরের গোল চক্রে তৈমুর ঐতিহ্যের চিহ্ন আঁকা থাকত। অধ্যাপক হাবিব দেখিয়েছেন পনেরোশো একষট্টির সাতই এপ্রিল এক হিন্দু কাপড় চোপড় রঙের ওস্তাদকে দানের ফরমানে লেখা আছে শুধুমাত্র আমির তৈমুর। পরের দিকের অন্য এক ফরমান পনেরোশো আটানব্বইয়ের এগারোই সেপ্টেম্বর আগ্রার কাছে বৃন্দাবন মন্দিরের দান ফরমানে আবার আমির তৈমুর লেখার পর ঐতিহ্য শাস্ত্র অনুযায়ী সাহিব -এ কিরান বলে উল্লেখ করা হচ্ছে তৈমুরকে। আকবর কখনো নিজেকে সাহিব-এ কিরান উপাধি দিয়েছেন বলে উল্লেখ নেই কিন্তু কিছু আধাসারকারি শিলালিপিতে তাঁকে এসব বলে তৈমুরের যোগ্য উত্তরসূরি বলা হয়েছে। আরেফ কান্দাহারি বাদশাহের জীবনী লেখার সময়, আকবরকে সাহিব-এ কিরান বলে উল্লেখ করলেন পনেরোশো উনআশিতে। দেখা যাচ্ছে একটার পর একটা সাফল্যে গর্বিত আকবরকে তৈমুরের প্রধান উপাধি সাহিব-এ কিরান বা গ্রহযোগের সম্রাট বলে উল্লেখ করার লোভ দরবারী অভিজাতরা সামলাতে পারছেন না আবার সরকারি ভাবে প্রকাশ্যে তৈমুর ঐতিহ্যের জয়গানেও দ্বিধা ছিল আকবরের সময়। এর চূড়ান্ত প্রকাশ দেখা যায় আকবরের দায়িত্বপ্রাপ্ত তারিখকার-গেজেটিয়ার - সলাহকার আবুল ফজলের লেখায়। বাবরের হিন্দুস্থান জয়ের সঙ্গে পূর্বপুরুষ তৈমুরের বিশ্ব জয় আর মঙ্গোল রাজশক্তির আদি প্রতীক অমুসলিম এলান কোয়ার ঐতিহ্যশালী আলোকবর্তিকা যে বিজয়ী আকবরকেও রাস্তা চেনাচ্ছে এসব আকবরনামাতে বলছেন আবুল ফজল সাহেব। প্রশ্নটা হল বলছেন কী ভাবে? না অনেক কায়দার কুশলতায় কথা বলতেই হচ্ছে তাঁকে! হিন্দুস্থানের জাত-ধর্ম নির্বিশেষ আম লোক কী করে তৈমুরের অত্যাচারী খড়গ কৃপাণের ভীমরণ ভূমে রণনের কথা ভোলে? একথা তাঁর থেকে আর তাঁর প্রভু হিন্দুস্থানী ঐতিহ্যের উদযাপনে নতুন এক শক্তিশালী সালতানাত প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে বিভোর আকবরের থেকে ভালো জানবে কে? তাই কাজটা বড়ই ঝামেলার ছিল আবুল ফজলের। ইয়াজদির জাফরনামার শাহী তারিখের ওপর নির্ভর করে তাঁকে লিখতে হবে তৈমুরের জন্য আলাদা পরিচ্ছদ। তিনি সংক্ষেপে সারছেন তৈমুরের হিন্দুস্থান জয়ের প্রসঙ্গ, বীরত্বের কথা :

    মহরমের দ্বাদশ দিনে হিজরি আটশো এক, তিনি সিন্ধু পার হলেন নৌকো দিয়ে খাড়া করা সেতুতে, আর, ভাগ্যলক্ষ্মী তাঁর হিন্দুস্থান বিজয়ে সহায়ক হল।
    “On the 12th of Moḥarram 801, he crossed the Indus after constructing a goodly bridge [of boats], and, with fortune accompanying him, conquered India25”. { Timur in the Political Tradition and Historiography of Mughal IndiaIrfan Habib (source - Open Edition Journal) }

    আকবরনামার তৃতীয় খণ্ড আইন-ই আকবরিতে আবুল ফজল আর একবার তৈমুর প্রসঙ্গ টানলেন, তবে সেটা তৈমুরের হিন্দুস্থান আক্রমণের সময় বিশাল ফৌজের তুলনায়, পানিপথের প্রথম যুদ্ধে বাবরের অনেক ছোট ফৌজের প্রসঙ্গেঃ
    যখন দিল্লীর মসনদে বসলেন সুলতান ফিরোজ তুঘলকের নাতি সুলতান মাহমুদ, মাল্লু খান যখন উজির, গুণের কদর আর কাজের সুনাম লুটোয় ধূলোয়, তখতের শান হয় নিস্প্রভ। সেসময় তৈমুরের শাহী পাতাকা দিল্লীর মাটিতে পোঁতা হয়। যদিও বিপুল জন সংখ্যার এ দেশ তাঁর তাঁবেতে এল, কিন্তু এ দেশে তাঁর জন্য তেমন লুটের মালই ছিল না তাই দেশের টানে তিনি ফিরে যান।
    “When the sovereignty of Delhi came into the hands of Solṭân Mahmud, the grandson of Solṭân Firuz [Toghloq], and the viziership in the hands of Mallu Khân, the thread of worth-recognition and work-taking fell from the hand, and sovereignty lost its lustre. At this moment, the Imperial banners [of Timur] arrived, as has been briefly noted27. Although such a populous country came into his [Timur’s] hands, it did not have [for him] the desired booty: out of love for home, he went back”. ( Â’in-i Akbarî, ed. Nawal Kishore, Lucknow, 1892, vol. III, p. 163. )

    ঘুরিয়ে খানিকটা ঠেস দিয়েই বলছেন আবুল ফজল। যদিও তার কথায় অসচ্ছতা স্পষ্ট কারণ মুঘোল দরবারে থেকে এরকমটাই বিধেয়।

    আকবরের সময়ের অন্য অনেক তারিখ লিখিয়ে আবার রাখঢাকের তোয়াক্কা না করে তৈমুরের দিল্লী অভিযানকে সিরহিন্দির তারিখ এ মোবারাকশাহী র কায়দায় কাঠগড়ায় তুলে ছেড়েছিলেন।তাঁদের মধ্যে বাদায়ুনি, যিনি গোঁড়া অবস্থান থেকে আকবরের সুল ই কুল বা সহনশীলতার নীতির বিরোধিতা করেছেন তিনি কিন্তু তৈমুরের দিল্লীতে অত্যাচারের বিরোধী তারিখকার সিরহিন্দির সুরে সুর মিলিয়ে গণহত্যার বিরোধিতা করছেন, বিরূপ মন্তব্য করছেন তাঁর বুদ্ধিদাতা উলেমাদের সম্পর্কে দিল্লীর নিরীহ মুসলমানদের কচুকাটা করার জন্য। বাদায়ুনি অবশ্য অন্য তারিখকারদের মতোই কিছু গুলগাপ্পা ঢুকিয়েছেন তাঁর ন্যারেটিভে যেমন দিল্লীর অধিবাসীদের সবাইকে দাস বলে গণ্য করা থেকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে সুফি সন্ত শেখ আহমদ খাটটুর অবদানের কথা। সুফিদের বিষয়ে তাঁর দুর্বলতার জন্য তৈমুর ওই সন্তকে ছেড়ে দিয়েছিলেন এটা মনে করা হচ্ছে কিন্তু অন্যদের পোড়া কপাল, পুড়েই ছিল।বাদায়ুনিরই সমসাময়িক তারিখকার নিজাম আল-দিন আহমদ তাঁর তাবাকাত-এ আকবরি বইতেও তারিখ এ মোবারাকশাহী র বর্ণিত গণহত্যার কথা একটু রেখে ঢেকে বলছেন যে, পঞ্চাশ হাজার বন্দীর মধ্যে কিছু লোককে কোতল করা হয় ইত্যাদি। এক কথায় এই দুই গুরুত্বপূর্ণ তারিখকারই হিন্দুস্থানি হিসেবে, তৈমুরকে আক্রমণকারী বলে সমালোচনা করেছেন।

    আকবরের পরে জাহাঙ্গীর তৈমুরের ঐতিহ্য নিয়ে নিজে খুব একটা ভাবিত ছিলেন না। এর ব্যতিক্রম ছিলেন শাজাহান। পনেরোশো একানব্বই-বিরানব্বই ছিল ইসলামী ক্যালেন্ডারের নতুন সহস্রাব্দ। নতুন সহস্রাব্দের সূচনায় জন্মান শাজাহান। এই ঘটনাকে নিজের মহিমা কেত্তনের শাজাহানি প্রোপাগান্ডার অঙ্গ করছেন তিনি। নিজের আবির্ভাবের অভূতপূর্ব গ্রহযোগের বিশেষ ধারণার নির্মাণ করছেন শাজাহান। নিজেকে তৈমুরের সঙ্গে তুলনা করছেন তিনি, নিজেই নিজেকে উপাধি দিলেন গ্রহ যোগের দ্বিতীয় কর্তা হিসেবে -সাহিব –এ কিরান। ইতিহাসকার সঞ্জয় সুব্রামনিয়াম এই প্রবণতাকে রাজনৈতিক মসিহার আবির্ভাবের প্রত্যাশী চিন্তা (political millenarianism)* বলেছেন। কী মোঘল ভারতে, কী পর্তুগালে সর্বত্র রাজা বাদশাহদের ছিল একই চিন্তা। সবাই মসিহা হতে চাইছেন। এছাড়া শাজাহান বাবা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন শাহাজাদা হিসেবে। সে যুদ্ধও চলে চলল ষোলোশো বাইশ থেকে সাতাশ, পাঁচ বছর। সারা হিন্দুস্থান জুড়ে চলা বাপ-ছেলের যুদ্ধে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে তাঁর জিতে বা বেঁচে ফিরে আসার ক্ষমতা অনেকটা যেন তৈমুরের মতোই। সে জন্য তারিখ লিখিয়ে কাজউইনি বলেছিলেন, "নতুন বাদশাহর সঙ্গে কাজেকম্মে তৈমুরের অনেক মিল আছে।" এছাড়া মধ্য এশিয়ার উজবেক খানেদের মধ্যে বা ইরানের সাফাভিদ দের মধ্যে গণ্ডগোলের সুযোগে সেখানে নাক গলানোর ইচ্ছেতে শাজাহানের নিজেকে বিশ্বজয়ী তৈমুর ঐতিহ্যের প্রত্যক্ষ প্রতিনিধি ভাবাটাও একটা কারণ বটে। সে করতে তাঁর প্রধান হাতিয়ার হলেন শাহাজাদা ঔরঙ্গজেব। এজন্য ছেলে বয়স থেকেই শাহজাদাকে আলাদা করে তৈরি করছিলেন শাজাহান এমন মনে করার কারণ আছে। আবার কাজউইনির স্মরণাপণ্ণ হতে হবে এ জন্য। উনি লিখছেন যে তৈমুরের স্মৃতিমালার চাঘতাই তুর্কি পাণ্ডুলিপি ছিল ইয়েমেনের শাসকের কাছে। মির আবু তরবাতি এর অনুবাদ করেন ফার্সিতে। বইটার নাম দেন ওয়াকাত এ সাহেবকিরানি। এ বইতে তৈমুরের অনেক ফরমান যেন তার নিজের মুখেই শোনা যায় এরকম ভনিতা আছে সোজাসাপ্টা চাঘতাই তুর্কিতে।ষোলোশো সাঁইতিরিশে শাজাহানকে অনেক বইয়ের মতো এটাও পড়ে শোনালে তিনি খুব খুশ হয়ে এর কিছু অংশ মুখস্ত করে স্বর্গীয় বিভায় উদ্ভাসিত দরবারে বারবার উচ্চারণ করেন আর ভুলঠিক দেখার জন্য পাঠালেন তাঁর সুপুত্র শাহাজাদা সুলতান - ঔরঙ্গজেব বাহাদুরের কাছে, কদিন আগেই যিনি দরবারের আদেশে দাক্ষিণাত্য সুবার রাজধানী দৌলতাবাদে গেছেন।

    অবশ্য শাজাহানের নিজেকে তৈমুর প্রতিপন্ন করার উচ্চাভিলাষে মধ্য এশিয়া আক্রমণ হাস্যকর প্রমাণিত হল। পারস্যের সাফাভিদরা দূরের কথা, উজবেক খানদের হাতেই ভালো রকম হেনস্থা হয়ে, বালখ দখল করেও সেখান থেকে কোনরকমে থেকে পালাতে হয় ঔরঙ্গজেবকে ষোল শো সাতচল্লিশের শেষে। আর শাহজাহানের পর শেষ গ্রেট মোঘল ঔরঙ্গজেব কখনোই ওসব তৈমুর ইত্যাদি হবার চেষ্টাও করেননি।দরবারি নথিতে ঐতিহ্যের সূত্রে তৈমুর আওড়ানো হলেও একান্তই হিন্দুস্থানের বাদশাহ হয়েই কাম সেরেছেন তিনি। এই ভাবে বাবর থেকে ঔরঙ্গজেব সব মোঘল বাদশাহরা হিন্দুস্থানের চিহ্নিত আক্রমণকারী তৈমুরকে কী চোখে দেখতেন তার চর্চার মধ্যে আমরা থাকতে পারি ঐতিহাসিকদের সঙ্গে।

    সূত্রঃ

    ১) Timur in the Political Tradition and Historiography of Mughal India Irfan Habib ( source- Open Edition Journal)
    ২) Aurangzeb as seen from Gujarat: Shi‘i and Millenarian Challenges to Mughal Sovereignty, SAMIRA SHEIKH Published online by Cambridge University Press: 25 April 2018, pp. 557-581
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২১ জুলাই ২০২৪ | ১৮১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন