এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  অপর বাংলা

  • 'বোরকা পরতে হবে কেন?' জামিল অমৃতবচনে ৫ নোক্তা

    বিপ্লব রহমান লেখকের গ্রাহক হোন
    অপর বাংলা | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪০৪ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • ১০
    স্লিভলেস পরার অধিকার থাকলে বোরকার অধিকারও থাকবে, মাই হিজাব, মাই রাইটস-- ইত্যাদি চটুল বাক্যে  সরগরম ফেসবুকের রংগিন দুনিয়া। 

    'বোরকা পরতে হবে কেন?' বিশিষ্ট নাট্য নির্দেশক ও শিক্ষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদের একটি খোলাখুলি বিস্ফোরক মন্তব্যে  আগুনে ঘি ঢালার মতো তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে মডারেট মুসলিম থেকে শুরু করে উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠীর মধ্যে।
     
     অধ্যাপক জামিল (১০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে একাডেমিতে যোগদান করেছেন। তবে তার এ পদে নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই ‘ইসলামবিদ্বেষী’ হিসেবে অনেকে অ্যাখ্যায়িত করেছেন। 


    বলা ভাল, বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার বেহাত আন্দোলন, তথা মার্কিন লবির প্রক্সি যুদ্ধে সেমি তালিবান গোষ্ঠী বিপ্লবের পর চারিদিকে বইছে নানান ধরনের সংস্কারের হাওয়া। 

    এই সুযোগে একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী একের পর হিন্দু ও আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় হামলা করে আতংক ছড়িয়ে দিতে তৎপর। 
     
    বর্ষিয়ান বীর মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডারকে প্রকাশ্যে লাঞ্চিত করার ধৃষ্টতা দেখে চমকে উঠেছে বাংলাদেশ! 
     


    এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকার হোলি আর্টিজানে আইএসের হত্যাযজ্ঞ বিরোধী ভাস্কর্য একরাতে গুঁড়িয়ে দিয়ে সেঁটে দেয়া হয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জংগিগোষ্ঠী, খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তৎপর হিযবুত তাহেরির কমলা-লাল রংগের জিহাদের দাওয়াতী পোস্টার। 

    একই চক্র একের পর এক ভারতবর্ষে মুঘল আমলে ইসলাম প্রচারকারী সুফি ধর্ম প্রচারক ও দরবেশদের মাজারে হামলা করছে। ফতোয়া জারি করছে, ইসলামে মাজার পূজা, ওরশ ইত্যাদি নাকি হারাম! যদিও সাধারণ মুসলিম সমাজে শত বছর ধরে পীর-মুরশিদ মাজার বাউল সংস্কৃতির অংশ হয়ে মিশে আছে। 


    এই নিয়ে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কম হাংগামা পোহাতে হচ্ছে না। রক্তক্ষয়ী 
    ৩৬ জুলাইয়ে হাসিনা স্বৈরশাসকের অবসানের পর অধিকাংশ থানায় আগুন ও লুটপাট এবং অনেক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার প্রেক্ষাপটে সারাদেশে এখনো থানা পুলিশ মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেনি। এমনকি মেগাসিটি ঢাকা থেকে শুরু করে অধিকাংশ নগরে তেমনভাবে ট্রাফিক পুলিশও দৃশ্যমান নয়। 
    এ পরিস্থিতিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অন্যতম দুশ্চিন্তা আসন্ন দুর্গাপূজার নিরাপত্তা নিয়ে। 
     
    অবশেষে জানা গেল, এবারের দুর্গাপূজায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন মাদ্রাসা ছাত্ররা। এছাড়া পূজায় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নেয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। পূজার সময় আকাশে থাকবে হেলিকপ্টারের টহল আর দশমীতে পানিতে থাকবে ডুবুরি দল। (১০ সেপ্টেম্বর)  সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র ও ধর্ম উপদেষ্টা।


    এতে দুর্গাপূজা নিয়ে আপাততঃ টেনশন মুক্ত হওয়ার পাশাপাশি ভারতের ঘনিষ্ঠতা অর্জনের সুযোগ পাবে জামায়াত-হেফাজত ধর্মীয় গোষ্ঠী। 


    এমনই একটি নাজুক পরিস্থিতিতে অধ্যাপক জামিলের বিরুদ্ধে 
    অভিযোগ—নারীদের বোরকা পরা নিয়ে তিনি নাকি ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করেছেন। আবার তার বক্তব্য খণ্ডিত করে প্রচারের অভিযোগও রয়েছে।

    "২০২৪ সালেও কেন মেয়েদের বোরকা পরতে হবে?"—এমন একটি বক্তব্য ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

    খবরে প্রকাশ, ৭ সেপ্টেম্বর নাট্যাপাড়া খ্যাত বেইলী রোডের মহিলা সমিতি মিলনায়তনে বক্তব্য দেন এ বর্ষীয়ান নাট্য নির্দেশক। ‘বিক্ষুব্ধ থিয়েটারকর্মীগণ’ ব্যানারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জামিল আহমেদ বলেন, "হাজার মালভূমির দেশ হোক এটা। এক দেশ, এক চিন্তা, এক বটবৃক্ষ, এক মানব, একজন নেতা, তার পেছনে সবাই না দাঁড়িয়ে—হাজার মালভূমি থেকে হাজার রকম কথা হোক।"
    শিল্পকলা একাডেমিতে জামায়াত পন্থীদেরও স্বাগত জানাবেন বলে জানান জামিল আহমেদ।
     
     তিনি বলেন, "শিল্পকলা একাডেমিতে আমি যদি সুযোগ পাই, আমি চাইব সেখানে জামায়াত যেন আসে, এজন্য যে বলুক না জামায়াত—কেন ২০২৪ সালেও মেয়েদের বোরকা পরতে হবে? তারা আমাদেরকে কনভিন্সড করবে যে কেন ২০২৪ সালে শরীয়তি রাষ্ট্রব্যবস্থা দরকার? কোরআনে তো আমাদের দৃষ্টিকে সংযত করার কথা বলা আছে। আমি যদি দৃষ্টিকে সংযত করি, তাহলে নারীকে কেন মাথায় বোরকা দিতে হবে?"

    খবরে প্রকাশ, সেখানে সবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলেন তিনি। গুণী এই নাট্যজন আরও বলেন, "আমরা এমন একটা ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ চাই যেখানে সবাই সবরকম মত প্রকাশ করতে পারবেন। ওই প্রেক্ষাপটে আমি উদাহরণ দিয়ে বলছিলাম- আমি শুনতে চাই আমি জানতে চাই আমি বুঝতে চাই, দৃষ্টিসংযত রাখলেও কেন বোরকা পরতে হবে?"

    উদাহরণ টেনে জামিল আহমেদ বলেন, "বাংলাদেশে না পারলেন; কিন্তু আমেরিকা-ভেনিজুয়েলা বা ইংল্যান্ডের সবাইকে কি সাদা বা কালো বোরকা পরিয়ে দেওয়া সম্ভব? যদি সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে কী হবে? সেটাই আমি জানতে চাই, এরকম সংলাপ আমি চাই বাংলাদেশে হোক। সে জায়গা থেকেই আমি শুধু জানতে চেয়েছি, কেন বোরকা পরতে হবে? আমি একবারও বলিনি নারীরা বোরকা পরতে পারবেন না! আমি শুধু একটা প্রশ্ন করেছি, কোনো সিদ্ধান্ত দিইনি। আমি কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার মানুষই না।"

    ৪ 


    সিআইএ'র প্রক্সি যুদ্ধে পরিবর্তিত সময়ে ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেয়া নারী ছাত্রদের ওপর শিগগিরই আঘাত আসবে, তাদের বোরখা-হিজাবে শিগগিরই অন্দরমহলে ফেরত যাওয়ার সময় হয়েছে, এই আশংকার কথা আগেই বলা হয়েছিল, এ যেন এরই বাস্তবায়নের ক্ষেত্র গড়ে তোলা। 
    ৫ 
    ক্ষীণ আশার আলো আবারও সেই ৩৬ জুলাইয়ের স্পিরিট; এখনো পথ চলতি ছাত্র-জনতার আঁকা বেশকিছু গ্রাফিতি চোখে পড়ে। 

    এরমধ্যে একটি খুব জ্বলজ্বলে হরফে মওলানা ভাসানীকে উদ্ধৃত করে লেখা, "শুনো, দেশ আর ধর্ম মিলাইতে যাইও না। শেষে ফুলের নাম কি দিবা, ফাতেমা চূড়া?"
    তবে ৩৬ জুলাইয়ের এই আকাংখা শেষ পর্যন্ত কতোটা টিকে থাকে, সে প্রশ্নের পাশাপাশি জারি আছে আরেক ভেলিড প্রশ্ন, সত্যিই কি  অভিজিৎ রায়ের মতো অধ্যাপক জামিলরা শেষ পর্যন্ত বিশ্বাসের ভাইরাস নির্মূলে সক্ষম, নাকি তারা কেবলই অন্ধের দেশে চশমা বিলি করে চলেন?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    ১০
  • অপর বাংলা | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪০৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • প্রতিভা | 116.73.133.72 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:০৬537509
  • ভালো লেখা। যেখানে যা কিছু হয়, গৃহযুদ্ধ, উপবিপ্লব, সবের চূড়ান্ত বলি হয় মেয়েরা!  এই জন্মে ঘেন্না ধরে গেল! 
  • দীপ | 42.110.172.35 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৫৬537515
  • পশ্চিমবঙ্গের মহাবিপ্লবীরা অবশ্য বোরখা, হিজাবে নারীর অধিকার দেখতে পেয়েছিলেন! এইখানেই তার উদাহরণ আছে!
  • PRABIRJIT SARKAR | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:২৬537519
  • দীপ ঠিকই বলেছেন। মাকুরা ও মৌলবাদীদের তোয়াজ করে নিজেদের সেকু প্রমাণ করতে চায়।
  • Silent _Observer | 2603:8081:2200:26:a8f6:9c93:3c23:5d59 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৩৬537522
  • এই প্রসঙ্গে আসিফের লেখাটাও এখানে থাকুক:
     
    অনেকে বলছেন সৈয়দ যামিল আহমেদের বক্তব্য মিসকৌট বা ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। নিচের স্ক্রিনশটে যামিলের বক্তব্যের ‘কনটেক্সট’ দেয়া আছে। এটা দেখিয়ে বলা হচ্ছে – যামিল তো আসলে জামাআতকে স্পেইস দিতে চেয়েছেন। বোরকার ব্যাপারে ডায়ালগ আর ডিবেটে আমন্ত্রন জানিয়েছেন। এখানে বোরকা বা ইসলামের বিরুদ্ধে তো কিছু নেই। কেন এখানে ইসলামবিদ্বেষের কথা আনা হচ্ছে...ইত্যাদি।  
    .
    এসব কথার প্রেক্ষিতে আবারও বলি- যামিল আহমেদের বক্তব্য আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রে গেঁথে থাকা ইসলামবিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই না। কেন সেটা ব্যাখ্যা করছি। তার আগে এটুকু বলে রাখি, এই সহজ বিষয়টা যে ব্যাখ্যা করে বোঝাতে হচ্ছে তা থেকে বোঝা যায় এই ইসলামবিদ্বেষ আমাদের চিন্তার ওপরও কতোটা প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে। 
    .
    ১) জামাআতে ইসলামী করা দোষের কিছু না। কিন্তু পর্দা জামাআতে ইসলামের একক কোন প্র্যাকটিস না। এটা ইসলামের ফরয বিধান। পুরো বিশ্বের শত কোটি মুসলিম এই বিশ্বাস রাখে। অথচ যামিল এটাকে যুক্ত করে দিল জামাআতে ইসলামের সাথে। দ্বীন ইসলামের অবিচ্ছেদ্য একটা অংশকে কেউ যখন একটা ছোট্ট দেশের একটা রাজনৈতিক দলের প্র্যাকটিস হিসেবে তুলে ধরে তখন সেটা রিলিজিয়াস প্রোফাইলিং। 
    .
    সমাজে আধিপত্য কায়েম করা গোষ্ঠীগুলো তাদের ক্ষমতা আর নিয়ন্ত্রন টিকিয়ে রাখার জন্যে বিভিন্ন সামাজিক ক্যাটাগরি তৈরি করে। দ্বীন ইসলামের একটি বিধানকে একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সাথে মিলিয়ে দেয়ার মাধ্যমে যামিলরা তৈরি করে এক ধরণের স্টেরিওটাইপ। এটা বর্ণবাদী স্টেরিওটাইপিং-এর অনুরূপ।
    .
    ‘সব আফ্রিকান মানেই মনে হয় ক্রিমিনাল, সব মেক্সিকান মানেই মনে হয় ড্রাগ ডিলার’। একইভাবে যারা পর্দা করে তারাই জামাআত। তারাই রাজাকার, অথবা উগ্রবাদী, অথবা অন্য কিছু। এভাবে ইসলামী পোশাক, বিধান, বিশ্বাসকে পলিটিসাইযও করা হয়। 
    .
    ইসলামের এই বিষয়টা আমরা তোমাদের পালন করতে দেবো না, এটা বলা কঠিন। কিন্তু অমুক বিশ্বাস যে রাখে, অমুক বিধান যে মানে সে xyz, অতএব তাকে দমন করা উচিৎ - এটা বলা সহজ। দশকের পর দশক ধরে এভাবেই আমাদের এই দেশে দমনপীড়ন চালানো হয়েছে।  
    .
    .
    ২) যামিল জামাআতকে স্পেইস দেয়ার কথা বলেছেন। ডায়ালগ আর ডিবেটে আমন্ত্রন জানিয়েছেন – এমন চিন্তায় অনেকে আনন্দে গদগদ হয়ে গেছেন। তাদের জন্য আমার প্রশ্ন -
    .
    শিল্পকলা অ্যাকাডেমীর পরিচালকের কাজ কী? শিল্প আর কলার প্রমোশন, নাকি? রাজনৈতিক মতাদর্শ কিংবা ধর্মীয় বিধান নিয়ে জাজমেন্ট দেয়া কি তার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে? 
    .
    সে কে যে তার কাছে গিয়ে বোরকার ব্যাপারে আলাপ করতে হবে? তাকে কনভিন্স করতে হবে? আমার দ্বীন আমি কিভাবে মানবো সেটার কৈফিয়ত আমি শিল্পকলা অ্যাকাডেমির পরিচালককে গিয়ে দেবো? 
    .
    রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চালিত বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রের হবু মহাপরিচালক বলছে, জামাআত এসে আমার কাছে প্রমান করে যাও কেন এই ২০২৪ এও বোরকা পরতে হবে। মানে রাষ্ট্রের কাছে গিয়ে আমার বিশ্বাস, আমার দ্বীনকে আমার জাস্টিফাই করতে হবে! 
    .
    গতো দুই যগ ধরে পুরো বিশ্ব জুড়ে ইসলাম ধর্মকে মার্জিনালাইয করা হয়েছে। দ্বীনের অনেক বিষয়কে অপরাধ বানিয়ে ফেলা হয়েছে। নানা অজুহাতে মুসলিমদের রাখা হয়েছে নজরদারির মধ্যে। নানা এজেন্সির মাধ্যমে তাদেরকে ইন্টারোগেট করে ‘শৃঙ্খলা’ আর ‘সুনাগরিক’ হবার সবক দেয়া হয়েছে। আমাদের দেশে আয়নাঘর, গুম, ক্রসফায়ার, মিথ্যা মামলার শিকার মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশটা হল প্র্যাকটিস মুসলিম।  
    .
    যামিলরা এই সিলসিলারই মানুষ। সে এক দিকে জমিদার, অন্যদিকে রাষ্ট্রযন্ত্রের অংশ। এই দেশ মনে হয় তার বাপদের, তাই তার কাছে গিয়ে আমাদের ব্যাখ্যা দিয়ে আসতে হবে। 
    .
    এই বক্তব্যের মাধ্যমে যামিল এটাও চাপিয়ে দিচ্ছেন যে সেক্যুলার-লিবারেলিসম হল একমাত্র সঠিক ওয়ার্ল্ডভিউ। আর ইসলামী মূল্যবোধ, পোশাক এগুলো ইনফিরিওর। তাই তাদের কাছে গিয়ে কৈফিয়ত দিয়ে আসতে হবে। 
    .
    .
    ৩। ভারসাম্যহীনতা লক্ষ্য করেন। যামিলরা কিন্তু অন্য কোন ধর্মের অনুসারীদের ‘ডায়ালগ’ কিংবা ‘বিতর্কের’ জন্য ডাকছে না। এই ২০২৪ এ এসে সিঁদুর কিংবা ক্রুশ পরতে হবে কেন  - এ নিয়ে কথা বলার জন্য কোন হিন্দু কিংবা খ্রিষ্টানকে কিন্তু ‘স্পেইস’ দেয়ার কথা বলা হচ্ছে না। ফোকাস শুধু মুসলিমদের ওপর। 
    .
    সেখানেও আবার আমরা মুসলিম পরিচয়ে যেতে পারবো না, আমরা সবাই তার কাছে জামাআত। শুধু তাই না, জমিদারবাবু যে কৃপা করে এই সুযোগ দিয়েছেন, স্পেইস দিয়েছেন, তার জন্য ভক্তি ভরে তাকে প্রণাম করতে হবে। তা নাহলে, জাতে ওঠা যাবে না। 
    .
    এটা যদি বৈষম্য না হয়, তাহলে বৈষম্য কী? 
    .
    .
    ৪। শিল্পকলা অ্যাকাডেমির পরিচালক সমাজে একটা শক্তিশালী অবস্থান দখল করে থাকে। সে রাষ্ট্রযন্ত্র এবং শাসক গোষ্ঠীর অংশ। এই অবস্থান থেকে যখন বোরকা নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে তলব করা হয়, তখন একদিকে সেটা তার পারসোনাল বায়াস তুলে ধরে। অন্যদিকে একটা কমিউনিটির ওপর সাংস্কৃতিক এবং আদর্শিক নিয়ন্ত্রন কায়েম এবং তাদের ওপর রাষ্ট্রীয় ন্যারেটিভ চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টাও প্রকাশ করে দেয়। 
    .
    সহজ ভাষায়, যামিল এবং বাই এক্সটেনশন রাষ্ট্র ঠিক করবে ইসলামের কোন অংশ গ্রহনযোগ্য আর কোনগুলো অননুমোদিত। রাষ্ট্র ঠিক করবে ইসলামের কোন কোন দিক আধুনিক, আর কোন কোন বিষয় এই ২০২৪ এ এসে বাদ দেয়া ভালো। 
    .
    এই বক্তব্য স্পেইস দেয়া আর উদারতার প্রমান না। বরং মুসলিম সমাজের ওপর সাংস্কৃতিক নিয়ন্ত্রন আর সামাজিক আধিপত্য কায়েম ও টিকিয়ে রাখার হাতিয়ার।  
    .
    .
    ৫। ২০২৪-এও বোরকা কেন – এই কথার মধ্যে তাচ্ছিল্য এবং নেতিবাচক ফ্রেইমিং স্পষ্ট। এই কথার পেছনের উহ্য থাকা আলাপগুলো স্পষ্ট। বোরকা সেকেলে, ব্যাকওয়ার্ড, এবং খারাপ। এই আধুনিক সময়ে এমন একটা জিনিস কিভাবে মানুষ পরতে পারে? অর্থাৎ, যারা বোরকা পরে তাদের সিদ্ধান্ত ভুল, এবং এতোটাই ভুল যে এটার জাস্টিফিকেশন দরকার। 
    .
    কোন সুস্থ মানুষ এই ২০২৪ সালে এসে বোরকা পরতে পারে না। নিশ্চয় জামাআত এটা মানুষকে পরতে বাধ্য করছে। হয়তো ব্রেইনওয়াশ করছে…ইত্যাদি। এসব আলোচনা আমাদের চেনা। সম্প্রীতি বাংলাদেশ থেকে শুরু করে হাসিনা, প্রথম আলো থেকে শুরু করে ৭১ – এসব কথা শুনতে শুনতে আমাদের কান পচে গেছে।
    .
    এই পুরো আলাপটা গড়ে উঠেছে একটা ওরিয়েন্টালিস্ট ফ্রেইমওয়ার্কের মধ্যে। কলোনিয়াল আগ্রাসনের সময় কিভাবে ইসলামী বিধিবিধানকে ‘অপর’ বানানো হয়েছে, আদিম, সেকেলে এবং আধুনিকতার সাথে বেমানান হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে তা নিয়ে এডওয়ার্ড সাইদরা বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। 
    .
    ইসলাম সেকেলে আর নিপীড়নমূলক, অন্যদিকে পাশ্চাত্য হল প্রগতির মহাজন – এসব বয়ান দিয়েই তো প্রথমে কলোনিয়ালিসম, তারপর সাম্রাজ্যবাদ এবং ইসলামের মার্জিনালাইযেইশান জায়েজ করা হয়েছে কয়েক শতাব্দী ধরে। এই পুরনো ওরিয়েন্টালিস্ট দৃষ্টিভঙ্গির সাথে ক্যালকেশিয়ান মশলা মাখিয়ে যামিল এবং তার মতো অন্যরা প্রগতির শরবত বানিয়ে বহু বছর ধরে বিক্রি করছে বাংলাদেশে। এই ইসলামবিদ্বেষী বয়ান ইসলাম এবং মুসলিমদের নেতিবাচক এবং রিগ্রেসিভ হিসেবে উপস্থাপন করে। 
    .
    .
    ৬। পাওয়ার ডায়নামিক্সটাও লক্ষ্য করুন। যামিল সাংস্কৃতিক জমিদারদের প্রতিভূ, যে অফিশিয়ালি রাষ্ট্রযন্ত্রের অংশ হতে যাচ্ছে। আর সে একদিকে টার্গেট করেছে পর্দানশীন মুসলিম নারীদের, যারা নানাভাবে প্রাতিষ্ঠানিক এবং কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের শিকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মিডিয়া, জনপরিসরের আলাপ নানা জায়গায় তারা আক্রান্ত। অন্যদিকে যামিলের বক্তব্য টার্গেট করছে জামাআতকে যারা দেড় দশক ধরে রাষ্ট্রীয় দমনপীড়নের শিকার।
    .
    ইসলামবিদ্বেষ স্রেফ ব্যক্তিগত বায়াসের বিষয় না। এটা একটা কাঠামোগত ইস্যু যা আইন, রাজনৈতিক এবং সামাজিক ব্যবস্থার মধ্যে গেঁথে থাকে। কাজেই রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রের হবু মহাপরিচালক যখন এই বক্তব্য নিয়ে হাজির হয় তখন সেটার ইন্সটিটিউশানাল ওজন থাকে। 
    .
    ইসলাম ও মুসলিম পরিচয়কে রাষ্ট্র ও জনপরিসরে বাদ দেয়ার, চেপে রাখার, ডিলেজিটিমাইয করার যে ব্যবস্থা, এই বক্তব্য সেটাকে আরও মজবুত করে। এই বক্তব্য বার্তা দেয় যে, রাষ্ট্র আর সমাজের মালিক হলাম আমরা সেক্যুলাররা। আর তোমরা মুসলিমরা আর তোমাদের পোশাক-পরিচ্ছেদ, কাজকর্ম সন্দেহজনক। তোমরা যদি এখানে আসতে চাও তাহলে তোমাদের ব্যাখ্যা দিয়ে দিয়ে, কৈফিয়ত করতে করতে আসতে হবে। 
    .
    .
    ৭। সর্বোপরি যামিলরা আরও বলছে নাটকের মাধ্যমে ওয়াজ-মাহফিলকে প্রতিহত করতে হবে। আবার বলছি, একটা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চলা জাতীয় প্রতিষ্ঠানের হবু মহাপরিচালক এই কথা বলছে। অর্থাৎ, রাষ্ট্রযন্ত্রের শক্তি ব্যবহার করে ওয়াজ-মাহফিলকে প্রতিরোধ করা হবে। আর এখানে ওয়াজ-মাহফিল কীসের প্রতিনিধিত্ব করে? অবশ্যই ইসলামের। 
    .
    ব্যাপারটা কতোটা অগ্রহনযোগ্য তা বুঝতে কষ্ট হলে, ওয়াজ-মাহফিলের জায়গায় অন্য কোন ধর্মের অনুসারীদের ধর্মীয় আলোচনা সভার কথা চিন্তা করুন। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ আর টাকা খরচ করে এমন আলোচনা প্রতিহত করার ঘোষণা কেন প্রবলেম্যাটিক আশা করি তখন আর বুঝতে কষ্ট হবে না।
    .
    .
    ৮। ফাইনালি, দ্বীন ইসলাম ব্যাখ্যা করার দায়িত্বটাও জমিদার বাবু নিজেদের পবিত্র কাঁধে তুলে নিয়েছেন। কুরআনে কী আছে, কোন বিধান সঠিক আর কোনটা ভুল (হয়তো 'জামাআতের বানানো') সেটাও তিনি ঠিক করবেন। 
    .
    এখানে একেবারে সরাসরি ইসলাম ব্যাখ্যা করার ঠিকাদারিটাও জমিদার বাবু তার জমিদারি আর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা বলে নিয়ে নিচ্ছেন। 
    .
    মানে ইসলামের বিধানের বিরুদ্ধে তো তারা বলবেই, এখন ইসলাম কী - সেটাও তারাই ঠিক করবে। আবার ওয়াজ-মাহফিলও প্রতিহত করবে। কালচারাল হেজেমনি সাধারণত সুক্ষ হয়, এটা একেবারে নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। 
    .
    .
    সৈয়দ যামিলের বক্তব্য ন্যাক্কারজনক, এবং প্রচন্ডভাবে ইসলামবিদ্বেষী। তার অবস্থানের কারণে এই বক্তব্য ও দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষতিকর দিক আরও বহুগুণে বেড়ে যায়। আগে বলা কিছু কথার পুনরাবৃত্তি করি-
    .
    দেশে নূন্যতম ইনসাফ থাকলে এমন নিচু মানসিকতার লোক এধরণের পদে নিয়োগ পাওয়ারই কথা না। যদি ভুল করে নিয়োগ হয়েও গিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে  ক্ষমা চাওয়ার পর দ্রুততম সময়ে এই ব্যক্তির নিয়োগ বাতিল করা হতো।  
     
  • বিপ্লব রহমান | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৪৬537527
  • @ ​​​​​​Silent _Observer,  
     
    গুরুতেই সৈকতদার লেখায় "খাপ পঞ্চায়েত" কথাটি পড়ি,  ফেসবুকে আসিফদের এসব খাপ পঞ্চায়েত বা গণ ধোলাইয়ের আসরে দেখবেন শত শত, হাজার হাজার লাইক/শেয়ারের বন্য বয়ে যায়; ঠিক এমনটিই বহুবার ঘটেছে অভিজিৎ রায়ের সন্দেহভাজন হত্যাকারী ফ্যানাটিক ফারাবীর অসংখ্য ফেসবুক পোস্টে। 
     
    লক্ষ্যনীয় আসিফ বরাবরই বোরখা এবং জামায়াত এই দুই বস্তুর সমালোচনার ধারেকাছেও নাই,  দুইই যে অবিজ্ঞান, বিশেষত জামায়াত যে যুদ্ধাপরাধী, ঘাতক রাজাকারের দল, এর লেশমাত্র উল্লেখ কোথাও নাই।  
     
    বরং তার তীব্র আপত্তি জামিলের বাহাসের আমন্ত্রণের পক্ষে মত দেয়া নিয়ে, বাহাসে তাদের খুবই ভয় (যদিও তিনি এই আমন্ত্রণ জানান নাই, শিল্পকলা মহাপরিচালক হিসেবে তো নইই),  এটাই তার মৌলিক মূর্খতা ও মৌলবাদী অন্ধত্বের স্বাক্ষর। 
     
    যা হোক। মূর্খের স্তরের নেমে যুক্তিতর্ক করা সম্ভব নয়, উচিতও নয়। 
     
    আপনাকে ধন্যবাদ 
     
    @প্রতিভা দি,  সঠিক পর্যবেক্ষণ। শুভ 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন