এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • গুপি গাইন বাঘা বাইন নিয়ে বাৎচিত

    Arnab913 লেখকের গ্রাহক হোন
    সিনেমা | ১৩ জুলাই ২০১৭ | ৪৭৩২৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রে | 69.94.31.107 | ২২ জুলাই ২০১৭ ২৩:৩৮367695
  • ট্যারাব্যাকা ছবিটা জাস্ট সাক্ষাতকারের রেফারেন্স যেটা এখন সত্যজিত পত্রিকায় "সাক্ষাতকার-২" হিসেবে প্রথম প্রকাশের তথ্যবিহীনভাবে ছাপা হয়েছে। ওখানে আর কিছু দেখার নেই।

    আর দেশ থেকে তোলা গুগুল ফটো ফোল্ডারের ছবিগুলো ওই তো টি নামিয়ে জুড়ে পিডিএফ করে দেবেখন। তখন ডাউনলোডিয়ে পড়বেন।
  • এলেবেলে | 212.142.67.155 | ২২ জুলাই ২০১৭ ২৩:৪৬367696
  • Arnab913 এ লেখা কেবল আপনার জন্য ।

    গুগাবাবায় ভূতের নাচের সিকোয়েন্সটা বাস্তবতা ও যাদুবাস্তবতার বাফার জোন হিসেবে কাজ করে । ছবি শুরু হওয়ার প্রথম কুড়ি মিনিট পরিচালক গুপির বাস্তব জগৎ ও তার সাথে বাঘার সাক্ষাতের প্রসঙ্গটি আনেন এবং ভূতের নাচ শেষ হওয়ার পর তারা রূপকথার জগতে বিরাজ করতে শুরু করে ।

    সত্যজিৎ এই সিকোয়েন্সটাকে বর্ণনা করেন ‘surely the most striking thing ever done in cinematic choreography’ এবং ‘a most abstract, avant-garde affair which I haven’t the faintest idea how people are going to react to’ হিসেবে । আমাদের শ্রেণীবৈষম্যের সাথে সাযুজ্য রেখে তিনি চার শ্রেণীর ভূতকে নিয়ে আসেন । দক্ষিণ ভারতীয় ধ্রুপদী সংগীতের ছকে আবর্তিত এই নাচের ক্ষেত্রে উনি ব্যবহার করেন দক্ষিণ ভারতীয় পারকাশন ইন্সট্রুমেন্টস — মৃদঙ্গ, ঘট্টম, মূড়শৃঙ্গ (এটি পথের পাঁচালীতেও ব্যবহৃত হয়েছিল) এবং খঞ্জিরা । প্রতিটি শ্রেণীর নাচের দৃশ্যগুলিতে একই দল ভিন্ন পোষাক ও মেক আপে সজ্জিত হয়ে নাচে ।

    ভূতের নাচের মূল ডিজাইন বিভিন্ন শ্রেণীর অন্তর্কলহ, বিনাশ ও পুনরুজ্জীবন । এবং নাচের শেষে একদম ওপরের সারিতে সাধারণ মানুষদের দেখা মেলে । এখান থেকেই সত্যজিৎ যেন ছবিটির মূল সুর বেঁধে দেন । তাই ‘সাদাসিধা মাটির মানুষ’ গুপি-বাঘা যুদ্ধ থামিয়ে দেয় এবং রাজত্বসহ রাজকন্যা লাভ করে । সোজা ভাষায় বললে ইচ্ছাপূরণের গল্পটি এমন মোড় নেয় যে গুপি-বাঘার জীবনে বাস্তবের আমলকি-হরতুকির বাসিন্দারা চোখের পলকে নেই-রাজ্যের বাসিন্দা হয়ে যান, হয়তো বা নৈরাজ্যেরও । পরের ছবি হীরক রাজার দেশেতে তারা দু’জন নিজেদের পরিচয় দেয় ‘রাজার জামাই’ হিসেবে, সেখানে পেছনে ফেলে আসা কানু কাইনের ছেলে গুপি বা ‘গাধার পিঠে তুইলে দূর করে’ দেওয়া বাঘা বাইনের কোনও প্রসঙ্গই আসে না ।

    তবে বাস্তব জগৎ অত প্রসন্নময় নয় । এখানে আমলকির রাজারা (পড়ুন ‘থেলো হুঁকো হাতে চণ্ডীমণ্ডপ আলো করে বসে থাকা গুরুর প্রগাঢ় পণ্ডিতরা) ‘চেঁচাইছিলি কেনে’ বলামাত্র মোসাহেবের দল ‘চেঁচাচ্ছিলি কেন?’ বলে সমবেত বৃন্দগান শুরু করে দেন কিংবা বটতলার বাবুরা ‘আমার এই যষ্ঠির ছায়া যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রস্তরখণ্ড স্পর্শ করছে’ ততক্ষণ গান চালানোর হুকুম দেন !!

    ও হ্যাঁ, ছবিতে নাচটি ছিল সাকুল্যে সাড়ে ছ’মিনিট (২০.৪৫-২৭.১৫) । ফলত বাকি দেড় মিনিট ‘এঞ্জয়’করতে না পারার জন্য নিজেকে ভাগ্যবান বোধ করতে পারেন !!! আপনার অ্যাপ্রোচ দেখে মনে হয়েছে আপনি সিনেমার ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহী । জানি না পড়েছেন কিনা তবে আপনাকে সুবিমল মিশ্র-র ‘ঋত্বিক ঘটক : একটি ব্যক্তিগত তীর্থযাত্রা, একটি আবেগায়িত উন্মোচন, আপাতভাবে’ লেখাটা পড়ে দেখার অনুরোধ রেখে গেলাম ।

    মূলত B এবং অংশত PT এখানে নতুন করে আর কিছু না লিখলে এখান থেকে খোরাক কিছু মিলবে না বুঝতে পেরে এই টই থেকে কাটলাম ।
  • sm | 52.110.171.236 | ২২ জুলাই ২০১৭ ২৩:৫৫367697
  • এলেবেলে,
    ইন্টারভিউ টা দেখেছেন নিশ্চয়। সৌমিত্র নিজের মুখে বলছেন।অক্টাজেনেরিয়ান-কারো কাছে জবাবদিহি করার কিছু নেই।
    উনি তখন সদ্য যুবক।থিয়েটার এ প্রচন্ড প্রেম এবং বিদেশী সিনেমার ভক্ত।বাংলা সিনেমা দেখেছেন তবে খুব অবজ্ঞার চোখে কারণ বিদেশী ভালো সিনেমার সঙ্গে তুলনা করা যায় না।এমতবস্থায় পথের পাঁচালী দেখে মেসমেরাইসড !
    এমন সিনেমাও হতে পারে;তাও বাংলায়!সত্যজিতের ওপর নিশ্চয় তখন থেকেই বিরাট ইম্প্রেশন।
    এমন সময় বন্ধু তাঁকে পরিচয় করায় সত্যজিতের পরিচিতর
    সঙ্গে। বলে যাবি -রায় বাবু অপুর জন্য ছেলে খুঁজছে।
    সৌমিত্র এক কথায় রাজি ও কাজ ফেলে তৎক্ষণাৎ সত্যজিতের বাড়ি।
    এটা কে কি ছুটে যাওয়া বলে না?
    সৌমিত্র যদি বন্ধু কে বলতো ;ওকে ভেবে দেখবো বা পরে একদিন টালিগঞ্জে দেখা করবো ;তাহলেও নয় অন্য কিছু ভাবতেপারতাম।
    দুই,সত্যজিৎ উত্তমের প্রথম দু তিনটে বই দেখে তাঁর অভিনয় স্টাইলে মুঘ্ধ হন ও নায়ক ছবির কথা ভাবেন।
    উনি নিশ্চয় তখন বুঝতে পেরেছিলেন এই ব্যক্তি একজন ষ্টার হতে চলেছে।তিন বছর পর নায়ক ছবি অফার করেন। সত্য সত্যই উত্তম তখন মেগাস্টার!তিনি অফার লুফে নেন।বুঝতে পারেন রায় বাবু একটি ভিন্ন স্বাদের ক্ল্যাসিক করতে চলেছেন। এ পর্যন্ত্য, এটুকুই আমি বুঝেছি।
    দ্বিতীয় ছবি চিড়িয়াখানা। সত্যজিতের তৈরী তুলনামূলক ভাবে খারাপ ছবি। কারণ তেন্ডুলকর ও মাঝে মাঝে খারাপ ইনিংস খেলে।যেহেতু রায় সাহেবের কাছে এক্সপেক্টেশন বেশি তাই ওরকম বোধ হতেই পারে।
    উত্তম এ ছবিতেও চুটিয়ে অভিনয় করেছেন। কিন্তু আর একটা নায়ক হয়নি। ততদিনে উত্তম হয়তো মানিকবাবুর ওপর আগ্রহ কিছুটা হারিয়েছেন বা মানিকবাবুর আর উত্তমের উপযুক্ত ছবি পান নি বা দুজনের মধ্যে মৃদু ইগো ক্ল্যাশ ও হতে পারে।
    উত্তম কে যে সোমিত্রর মতো ১৪ টা ছবি করতে হবে এমন মাথার দিব্যি কে দিয়েছে?
    তিন,শর্মিলার ওই মানিকবাবুর পুরুষ পুরুষের বন্ধু হতে পারেনা কনসেপ্ট এর অবতারণা কেন ,সেটা বুঝতে পারলাম না।যদ্দুর জানি মানিক বাবুর বাড়ি বিভিন্ন আর্টিস্ট দের মাঝে মধ্যেই আসর বসতো। উনি অনেকটা আড্ডা ধারী কাম অভিভাবকের মতন মিশতেন।
    মতপার্থক্য থাকাই সুস্থ ডিবেট এর লক্ষণ।সুতরাং আপনার ও আমার ইন্টাপ্রিটেশনে পার্থক্য থাকতেই পারে ও সেটাই স্বাভাবিক।
  • S | 57.15.11.159 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ০০:০৯367698
  • চিড়িয়াখানা খারাপ হওয়ার কারণ বোধয় অন্য। ডিটেক্টিভ গল্প বইতে পড়ে যতটা ভালো লাগে, সিনেমায় ততোটা ফুটে তোলানো খুব মুশকিলের। একটা কারণ ডিটেলিঙ্গ। রিসেন্ট যে শার্লক করা হয়েছে, সেইটা দেখলে বুঝবেন যে কি করে সেখানে ডিটেলিঙ্গটা করা হয়েছে (পাশে লিখে লিখে দিয়ে - মানে শুধু ভিসুয়াল দিয়ে হচ্ছে না)। ফেলুদা অন্য কেস। সেখানে গল্প লেখাই হচ্চে সিনেমা হবে বলে (এবং লেখক নিজেই চিত্র পরিচালক)।
  • dc | 113.215.54.39 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ০০:৪৯367699
  • এলেবেলে,

    "ঋত্বিকের কোমল গান্ধার-এ ১৪ খানা গান আছে । এ ছবি ঋত্বিক চোখ বুজে দেখতে পারেন বলেছিলেন । গুগাবাবার টইতে সে ব্যাপারে আলোচনা করুন কিংবা আলাদাভাবেও করতে পারেন । নতুবা এক ধরণের জোলো উচ্ছ্বাসের বিপ্রতীপে আর এক ধরণের জোলো উচ্ছ্বাস হিসেবে আপনার দ্বিতীয় মন্তব্যটি পরিগণিত হওয়ায়ার আশঙ্কা প্রবল ।"

    ঋত্বিকের নিজের যেটা বক্তব্য যে কোমল গান্ধার ছবিটা চারটে স্তর-এ বলা হয়েছে , ১৪ খানা গান এর চেয়েও যা চমকপ্রদ , সেই জায়গাটা
    কি আপনি আদৌ কিছু জানতে পেরেছেন ?

    "কল্লোল বাবু র সৎ সাহস আছে তাই বলতে পেরেছেন যে গুগাবাবা ক্লাস কোলাবোরেশন এর গপ্পো।"

    অর্থাৎ "ক্লাস annihilation " এর গপ্পো না হলে তা ছবিতে চলেনা । সত্যি , মগজধোলাইয়ের এর একটা সীমা থাকা উচিত !

    "শর্মিলা লিখছেন “ আরও একটা ব্যাপার, মানিকদার কিন্ত খুব একটা পুরুষ বন্ধু ছিল না। ... শিশু মানসিকতা, একাকিত্বও খুব ভালো বুঝতেন, কিন্তু পুরুষে-পুরুষে বন্ধুত্ব তিনি বুঝতেন বলে মনে হয় না। ... এটাই হয়তো তাঁর ঘাটতি ” (শর্মিলার প্রতিটি কথাই সত্যজিতের মৃত্যুর পরদিন বিজ্ঞাপনহীন আনন্দবাজার থেকে গৃহীত। কী আশ্চর্য সেটাও ব্যক্তিগত সংগ্রহে আছে !) আচ্ছা এটা কি একটা কারণ হতে পারে ?"

    অর্থাৎ সত্যজিৎ সম্পর্কে পুরো analysis টাই হয়ে দাঁড়ালো তার স্বভাব এবং চারিত্রিক দোষের সমাহার ! এখানে মেধা , মনন , শিল্পীর পরিশ্রম , বিদ্যা , বুদ্ধি কোনোটাই মুখ্য নয় !! সাবাশ, এই না হলে বাঙালি !! আশা করি B বাবুকে আর প্রমান দিতে হবেনা কেন বলেছিলাম 'বিচিত্র বাঙালিসুলভ মানসিকতা ব্যাপারটা" ।
  • Arnab913 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ০২:১৪367700
  • @এলেবেলে,
    Thanks for the explanation and suggestion :)
    হ্যাঁ, আমি জানার বোঝার আগ্রহ থেকেই লিখেছি। আপনার সাজেস্ট করা লেখাটা পড়ার ইচ্ছা রাখি। লেখাটা কি সুবিমল মিশ্র বই সংগ্রহ-তে আছে? বাংলাদেশে পাওয়া যাবে কিনা খোঁজ নিতে হবে, ঢাউস সংকলন দেখছি।
    আর কারো সংগ্রহে থাকলে লেখাটা ছবি তুলে শেয়ার করতে পারেন জনস্বার্থে। আশাকরি খুব উৎকট দাবী করা হলনা।
  • ন্যাড়া | 109.72.224.255 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ০৩:৫৪367701
  • ও বাবা, এটা তো সেই সঞ্জীব চাটুজ্জের ইন্টারভিউ। ৮৯ সাল নাগাদ দেশে বেরিয়েছিল। সঞ্জীব এক প্যারা করে প্রশ্ন করছেন আর সত্যজিত একটি "হুঁ" দিচ্ছেন টাইপের ব্যাপার। সঞ্জীব অবশ্য আগেই গেঁজে গেছিলেন।
  • রে | 127.194.194.28 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ০৯:১৮367702
  • ১৭ই জুন ১৯৮৯ এর দেশ। এটা ঠিক হয়েছে, কিন্তু দ্বিতীয়টা ছড়িয়েছে। সঞ্জীব এর প্রায় কোনো প্রশ্নই এক দেড় লাইনের চেয়ে বড় নয়।
  • কল্লোল | 116.51.132.249 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১১:৪১367703
  • "কল্লোল বাবু র সৎ সাহস আছে তাই বলতে পেরেছেন যে গুগাবাবা ক্লাস কোলাবোরেশন এর গপ্পো।"
    অর্থাৎ "ক্লাস annihilation " এর গপ্পো না হলে তা ছবিতে চলেনা । সত্যি , মগজধোলাইয়ের এর একটা সীমা থাকা উচিত !

    ডিসি। আপনি মগজ ধোলাইয়ের কথা তুললেন। তা, মগজ কার সাফ আছে? কারুর ক্লাস স্ট্রাগলের স্বপক্ষে, কারুর বিপক্ষে বা আরও নানা রকম। সকলেরই কিছু জীবন দর্শন ও সেই অর্থে বায়াস থাকে।
    যদিও আমি কোথাও একথা বলিনি যে ক্লাস কোলাবরেশনের শিল্প বা ক্লাস স্ট্রাগল বিরোধী শিল্প ভালো হতেই পারে না। অ্যানিমেল ফার্ম আমার প্রিয় উপন্যাসগুলোর একটা। গুগাবাবা অমিও দেখেছি বেশ কয়েকবার, এখনো পেলেই দেখি। কোমল গান্ধারও দেখেছি বেশ কয়েকবার এখনো পেলেই দেখি। তারকভস্কি বা বার্গম্যান ভালো লাগে, বরং গোদার বেশ শিশি বোতল।পুদভকিনও ভালো লাগে চার্লিও। তো?

    সত্যজিত ক্লাস স্ট্রাগলে আস্থা রাখতেন না। সেটা তাঁর ব্যাপার। আমি একমত হতেও পারি, নাও হতে পারি। সেটা আমার ব্যাপার। আমার মনে হয়েছে ভূতের নাচ তো বটেই, গোটা গুগাবাবা সিরিজই শ্রেণী সমন্বয়ের গপ্পো - রক্তকরবীর মতো। তো? তাতে না রক্তকরবী ম্লান হয়, না গুগাবাবা।
    আপনার মগজ ধোলাই হয় নি অবশ্য। আপনি আমার চাইতে আলাদাভাবে দুনিয়া দেখেন - এইমাত্র।
  • রে | 127.194.194.28 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১২:০৪367705
  • সুবিমলমিশ্র কি সত্যই পড়তে চাইছেন? আচ্ছা তবে রইল লিং। সুবিমলমিশ্র কিন্তু ত্যাড়াব্যাকা করেই ছাপিয়েছেন বইতে। মানে দুটো কলমে লেখা, কিন্তু কলমের ব্রেকটা পাতা অনুযায়ী নয়, টপিক অনুযায়ী। অর্থাৎ পাতার পর পাতা একটা কলম বরাবর পড়ে যেতে হবে, যতক্ষণ না নতুন টপিক আসছে। এলে আবার ফিরে গিয়ে দ্বিতীয় কলম ধরে পড়া শুরু করতে হবে। এজন্য আমায় গালি দিয়েন না।

    https://drive.google.com/file/d/0B84ka3JOiOF0QUVTNEVzZFBKckE/view?usp=sharing
  • কল্লোল | 116.51.132.249 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১২:০৫367706
  • সত্যজিত ও রবীন্দ্রনাথের রাজনৈতিক চিন্তার প্রচুর মিল আছে। সেটা সত্যজিতের পরিবারের সাথে রবীন্রনাথের ঘনিষ্টতা, ব্রাহ্ম ধর্মের প্রভাব, শান্তিনিকেতনে বেশ কিছুদিন কাটানো -এসব অনেক কিছুর প্রভাব হতে পারে।
    রবীন্দ্রনাথ খুব স্পষ্টতঃই শ্রেণী সংগ্রামে বিশ্বাসী ছিলেন না। সেটা সবচেয়ে স্পষ্ট রক্তকরবীতে। যারা সশস্ত্র সংগ্রামে আস্থা রাখতেন তাদের সম্পর্কে ওনার মনোভাব - চার অধ্যায়। দুটোই অসাধারণ সৃষ্টি। ওনার মানবতাবাদ সকলকে মেলাতে চায়, চায় দুষ্টের হৃদয়ে শুভবুদ্ধির উদ্রেক। তাই রাজা পথে নামেন, ইন্দ্রকে হার স্বীকার করতে হয়।
    গুগাবাবা সিরিজেও তাইই। হাল্লা ও শুন্ডীর রাজার মিল হয়, হীরক রাজাও দড়িতে হাত লাগান।
    একেবারেই রবীন্দ্রানুসারী রাজনীতি।
    কেউ এর সাথে একমত হতেও পারেন, নাও হতে পারেন। আমি একমত নই। আমি মনে করি না নরেন মোদী বা সোনিয়া গান্ধী বা বুদ্ধ ভট্টাচার্য বা মমতা কেউই নিজের ক্ষমতা নিজেই ভাঙ্গতে যাবেন।
    তাতে রবীন্দ্রনাথ বা সত্যজিত ছোট হয়ে যান না। ঋত্বিক বা মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের চেয়েও বড় হয়ে যান না। প্রত্যকেই নিজের নিজের জায়গায়।
  • cm | 127.247.100.50 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১২:০৮367707
  • আমাদের নবীন খেলোয়াড়ের মুখে “ গুপি-বাঘার জীবনে বাস্তবের আমলকি-হরতুকির বাসিন্দারা চোখের পলকে নেই-রাজ্যের বাসিন্দা হয়ে যান, হয়তো বা নৈরাজ্যেরও । ” শুনে একটু চিন্তায় ছিলাম। তবে কল্লোলদার মন্তব্য পড়ে মনে হয়না কল্লোলদা ওপরের মতের সাথে একমত।
  • কল্লোল | 116.51.132.249 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১২:১৬367708
  • সিএম। না ভাই চিন্তার কিসু নাই। যে আমলকী-হরতুকির বাসিন্দারা গুপিবাঘাকে অপমান করে তাড়ায় তারা আর যাই হোক নেই-রাজ্য বা নৈরাজ্যের বাসিন্দা নন। বরং গুপিবাঘার মধ্যে প্রথমদিকে একটা নৈরাজ্য ছিলো, যেটা রাজার জামাই হয়ে মাঠে মারা যায় (মোরা দুজনায় রাজার জামাই - গানটি দ্রষ্টব্য)।
  • রে | 127.194.194.28 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১৫:৩০367709
  • সুবিমল মিশ্রটা ছোটো করে দিলাম, ২.৭ এম বি।
    https://drive.google.com/open?id=0B84ka3JOiOF0S2tNTTFSdTdXZE0

    আর, টি যখন করলই না, দেশ এর লেখাদুটো ও পিডিএফ করে দিলাম। একটু ঝপসা হলেও পড়া যচ্ছে ঠিক। ১৫.২ এম বি।
    https://drive.google.com/open?id=0B84ka3JOiOF0NlpWeUVqTnJLTjA

    আসলে সত্যজিৎবাবু নিজে ভুতের নাচ নিয়ে এত কিছু বলে দিয়েছেন, যে তারপরে আর কারো বিশেষ কিছু বলার নাই। তাই এ নিয়ে ওঁর বলার পরে আর কোথাও বিশেষ কিছু আলোচনাও হয় নি।
  • dc | 160.107.215.89 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১৫:৩১367710
  • কল্লোল বাবু আপনার রাজনৈতিক মতামত সেটা আপনার ব্যক্তিগত নিঃসন্দেহে , কিন্তু 'গুপি গাইন বাঘা বাইন ' এর মতন একটা ফ্যান্টাসি নির্ভর ছবিতে মার্ক্সিয়ান dialectics , শ্রেণী সংগ্রাম এই বিষয়গুলো টেনে আনার কোনো প্রয়োজন আছে কি ? তার জন্য তো 'প্রতিদ্বন্দ্বী' আছে , 'সীমাবদ্ধ' আছে , 'জন-অরণ্য' আছে, যেগুলি সরাসরি বা প্রচ্ছন্ন ভাবে সেই রাজনীতির সাথেই সম্পৃক্ত । গুগাবাবা আদতে একটি ফ্যান্টাসি নির্ভর ছবি যা মূলত শিশুদের জন্যই বানানো, দুর্ভাগ্য সত্যজিতের সেই ছবি ৮ থেকে ৮০ সবার কাছেই সমানভাবে সমাদৃত । যেখানে পরিচালক নিজে বারবার এইধরণের categorisation থেকে ছবি কে বহুদূরে রাখছেন , কোনোমতেই এটাকে কোনো পলিটিকাল ফিল্মের তকমা দিচ্ছেন না , সেখানে কি লাভ এ'সমস্ত প্রসঙ্গ এনে ? পৃথিবীর কোথাও ইটা হয় ? কোনো দেশে হয় এগুলো ? একটা ছবির নির্দিষ্ট একটা genre আছে, বা অনেকগুলো genre এর একটা সমন্বয় হতে পারে , সমালোচনা সেই জায়গা থেকে হতে পারে, গুগাবাবা একটা সার্থক ফ্যান্টাসি ধর্মী শিশু চলচিত্র কিনা সেইটা বিচার্য , দেশি বিদেশী এই গোত্রের ছবিগুলির সাথেও তাকে মিলিয়ে দেখাটাও বিচার্য হতে পারে ! কিন্তু এই ছবি কে জোর করে একটা রেডিকাল মার্ক্সিজম এর তকমা এতে সেই ঠুলি দিয়ে দেখতে বসাটা বা বিচার করতে যাওয়া কোনো শিক্ষিত , সৎ অভিপ্রায় হতে পারে না , মাফ করবেন ।
  • dc | 160.107.215.89 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১৫:৪৯367711
  • আর 'গুগাবাবা' কে 'রক্তকরবী' র সাথে তুলনায় আনাটাও একটা হাস্যকর প্রয়াস । 'রক্তকরবী ' সম্পূর্ণভাবেই একটা আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত সিরিয়াস একটা নাটক । তার পরতে পরতে সেই জটিল বিন্যাস এর এক একটা প্রতিরূপ । গুগাবাবা তে সত্যজিত কোথাও একে ধনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার রূপক হিসেবে দেখতে চেয়েছেন সেরকম দৃষ্টান্ত নেই ।
    যেকোনো শিল্পের সমালোচনা করতে গেলে কিছুটা অন্তত অব্জেক্টিভিটি রাখা টা আমাদের সকলের দ্বায়িত্বের মধ্যেই পরে বলে মনে হয় ! ব্যক্তিগত মতামত বা জীবনদর্শন জোর করে চাপিয়ে দেওয়াটা কোনো শিল্প কে বিচার করার পদ্ধতি হতে পারেনা । সেটা 'শিল্পী হিসেবে সত্যজিতের সামগ্রিক মূল্যায়নের নিরিখে আস্তে পারে , ভালো মন্দ , রাজনীতি-সমাজনীতি , সবকিছুই ।
  • sm | 52.110.133.93 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১৬:৩৬367712
  • পলিটিক্যাল সিনেমা বোলে তো, আগ মার্ক করে বই করা হয় না। পলিটিক্স ,সমাজ আপনে আপসে চলে আসে ।
    ঘরে বাইরেও এসেছে, গুপী বাঘা তেও সাটল ভাবে রয়ে গেছে। ভুতের নৃত্য তে, বিভিন্ন শ্রেণীর মারামারি, দ্বন্দ্ব এগুলো তো আছে। শুধু ফ্যান্টাসি হলে ,অবান্তর হতো।
    মনে করুন চিন্ময় ও জহর রায় এর সংলাপ।
    মনে করুন প্রহরী বাঘা কে কি বলছে। যে রাজা খেতে দেয় না তার আবার খাজনা!টুকরো টুকরো ভাবে আছে তো!
    হীরক রাজার দেশে তো পুরো মন্ত্রী সভা রয়েছে!
    তবে দিনের শেষে শিশু দের জন্য সহজ পাচ্য সিনেমা।
  • dc | 160.107.215.27 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১৭:০৬367713
  • 'হীরক রাজা' তে অবশ্যই আছে , সোজাসুজি ভাবেই আছে । সুতরাং সেটা ফ্যান্টাসি এবং একই সাথে পলিটিকাল স্যাটায়ার । এবং পলিটিকাল সিনেমা বলে আগ মার্ক ছবি অবশ্যই হয় । তার ঝুড়ি ঝুড়ি উদাহরণ আছে । 'মেমোরিজ অফ আন্ডারডেভেলোপমেন্ট' যেমন একটা আদ্যন্ত পলিটিকাল সিনেমা , ফার্নান্দো সোলানাস যেমন একজন আদ্যন্ত পলিটিকাল ফিল্ম মেকার । সুতরাং subtle ভাবে যুদ্ধ বিরোধী মেসেজ বা রাজ্যে মানুষের অনাহার এগুলো তাকে পলিটিকাল তকমা দেয়না । সেই ভাবে খুঁজলে ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমীর গল্প বা রবিনহুডের গল্পেও পলিটিক্স পাওয়া যাবে ।
  • dc | 160.107.215.27 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১৭:০৮367714
  • তাই বলে কি সেগুলোকে আপনি ক্লাস স্ট্রাগল , মার্ক্সিয়ান dialectics দিয়ে বিচার করতে বসবেন ?
  • sm | 52.110.157.141 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১৭:২৯367716
  • বিচার তো নিজের হাতে। যে যেমন এঙ্গল থেকে দেখবে তাঁর ওপর নির্ভর করছে।পরিচালক তাঁর নিজস্ব কনসেপ্ট ঢুকিয়ে দেবেন।
    এবার আপনি আপনার মতো আতস কাঁচের তলায় ফেলে দেখবেন।
    তবে এটাতো মানবেন ,গুগা বাবার সংলাপ সব সময় ফ্যান্টাসির সঙ্গে খাপ খায় না।
  • sm | 52.110.157.141 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১৭:৩৭367717
  • ফেলুদা দেখুন। একই পরিচালকের ছবি। আদ্যোপান্ত কিশোর রহস্য কাহিনী। পলিটিক্স এর বালাই নেই।
  • dc | 160.107.215.27 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১৭:৫৭367718
  • ফ্যান্টাসির সাথে খাপ খায় না তার কারণ সেটাও একটা রিপ্রেসেন্টেশন অফ রিয়ালিটি । রূপকথা হোক , ফ্যান্টাসি হোক , কোনোটাই বাস্তব বিরোহিত নয় । সুকুমার রায় যখন পড়েন তখন ভাবেন এই সব একুশে আইন , রামগরুড়ের ছানা , এগুলো কি অসম্ভবরকমের বাস্তবের প্রতিফলন ! অথচ এই ছড়াগুলো মূলত ননসেন্স রাইম , শিশুদের উদ্দেশ্য করেই লেখা ! আপনি যে আপনার জগতের সাথে মিল পেয়ে গেছেন কারণ সেটা বাস্তব থেকেই নেয়া কিন্তু শিশুরা সেইভাবে নেয়না, তাদের কাছে সেটা একটা নির্মল আনন্দ, হাস্যরস । তখন কি বিচার করতে বসেন সুকুমারের এই ছড়াগুলো কতটা 'হিস্টরিকাল মেটেরিয়ালিজম'এর ত্বত মেনে হয়েছে ? 'সাত ভাই চম্পা' একটা রূপকথা কিন্তু বিষ্ণু দে যখন 'সাত ভাই চম্পা' লেখেন সেটা আর শিশু পাঠ্য থাকেনা , তার বিষয় এবং বক্তব্য বড়োদের । সেইরকম গুগাবাবা-ও তাই, আপনি যে আপনার জগতের সাথে মিল পেয়ে গেছেন সেটা ওই বাস্তবের সঙ্গে তার যোগসূত্র অটুট বলে , কিন্তু কোনোমতেই তাতে কোনো গুরুগম্ভীর রাজনৈতিক দর্শন ঢোকানো নেই।
  • cm | 127.247.100.50 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১৮:০৫367720
  • গুরুগম্ভীর রাজনৈতিক দর্শন কি বাস্তবের বাইরে?
  • dc | 160.107.215.27 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১৮:০৫367719
  • বোধয় শিশু না বলে ছোটদের বলাই ভালো বা কিশোর বড়জোর ।
  • sm | 52.110.141.135 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১৮:১৫367722
  • আপনার সঙ্গে একমত। দর্শক বোঝে তার পারিপার্শিক আবহ ,ম্যাচুরিটি,রাজনৈতিক ও সামাজিক বোধ দিয়ে।
    পরিচালক এই সাটল জিনিস গুলো ঢোকায় ব্যবসায়িক ভিত্তি ও বৃহত্তর অডিয়েন্স এর কথা মনে রেখে।
    ফেলুদা -রাজনীতি বিবর্জিত, কারণ ওখানে বন্দুক ,পিস্তল ,অপহরণ,জবরদস্ত ভিলেন,টেলিপ্যাথি -মানে ,বয়স্ক দর্শক দের মালমশলা মজুত।
    কিন্তু গুগা বাবা?ওটা খালি জুতো গলিয়ে ওড়া,গান শোনানো ও রাজকন্যার বিয়ে তে থেমে থাকলে একটি কালজয়ী সিনেমা হতো না।
    তাই তো একটু আলাদা ভুতের নৃত্য ,সংলাপ এর অবতারণা।
    তবে এটা ঠিক বিরাট রকম রাজনৈতিক মতবাদ বা দর্শন খুঁজতে যাওয়া এক ধরণের পন্ডশ্রম।
  • dc | 160.107.215.27 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১৮:১৫367721
  • আজ্ঞে না । কিন্তু শিশুদের/ছোটদের জীবনবোধের বাইরে ! সেইসব যদি গুগাবাবায় থাকতো তাহলে সেই নিয়ে আপনি আর আমি সারাদিন ত্বতের জাল রচনা করতুম আর একটি পরিবার-ও তাদের বাড়ির ছেলে মেয়েদের নিয়ে এই ছবি দেখতে যেতোনা ! ধন্ন্যি আপনার প্রশ্ন !
  • cm | 127.247.100.50 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১৮:২৩367723
  • ও আচ্ছা, বড় হয়ে সহসা এক নতুন জীবনবোধ লাভ হয় হয়ত!

    আলোচনায় যে প্রশ্নটা আসছেনা সেটা হল সিনেমাটা কেন তৈরি হয়েছিল? বা খুবই সরল প্রশ্ন এর কি রকম প্রভাব কার মনে হয়েছিল? সেই প্রভাবের সময়ের সাথে কিরকম বিবর্তন হয় সেটাও হিসেবে ধরা উচিত।
  • dc | 160.107.215.27 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১৮:২৭367724
  • সেটা জানতে হলে 'রে' বাবু যে পিডিএফ লিংকটা দিয়েছেন কষ্ট করে একটু পরে নিন ।
  • cm | 127.247.100.50 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১৮:২৯367725
  • তিনটে প্রশ্ন আছে। আর বিনির্মাণ বলে একটা শব্দ আছে সেটা মাথায় রাখা ভাল।
  • T | 131.6.68.127 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১৮:৩৪367727
  • হ্যাঁ, পাঁচ নম্বর পাতায় আচে। তাও লিখে দিচ্ছি,
    "ছোটদের জন্য ছবি বাংলায় প্রায় হয় না বললেই চলে, সেই অভাব দূর করার ইচ্ছা আমার মনে অনেকদিন ধরেই উঁকি দিচ্ছিল। তাছাড়া আমার নিজের ত্রয়োদশ বর্ষীয় পুত্র সন্দীপও এই ছবি করার একটা কারণ। তখন অবধি ওর উপযোগী কোনো ছবি আমি করি নি"
    ওই পাতাতেই,
    "ছবিটি দেখে কেউ কেউ মন্তব্য করেছিল এতে শান্তির বাণী প্রচার করা হয়েছে। আমি যখন ছবিটি করি তখন আমার মনে তেমন কোনো ধারণা ছিল না। আমি কেবল একটি মজাদার গল্পই বলতে চেয়েছিলাম। "
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন