এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • স্বচ্ছন্দে ছন্দ শিখুন: আনন্দ পুরস্কার গ্যারান্টেড

    `'
    অন্যান্য | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ | ৮২৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Souva | 125.18.104.1 | ২৮ জুলাই ২০১০ ১৬:০৯391524
  • @সোমনাথ,

    কিন্তু মাত্রাবৃত্ত না স্বরবৃত্ত, না কি দুই-ই? এটা বলে দাও। "দাদা, আমি জানতে চাই, আমি জানতে চা-আ-আ-ই।'
  • Souva | 125.18.104.1 | ২৮ জুলাই ২০১০ ১৬:১৪391525
  • @ সোমনাথ,

    ঐ তাতা ধিনতাতাধিন ছাড়াও তো অন্যভাবে পড়া যায়, তাই জিগ্যেস করছি, মাত্রা-স্বর দুটো-ই সম্ভব কি, এক্ষেত্রে?
  • Somnath | 188.135.2.245 | ৩০ জুলাই ২০১০ ২৩:৩৪391526
  • লিখলাম তো বাবা, যে যেমন ভাবে পড়ে ....
    দ্যাখ, 'তা" কে স্বরান্ত স্বর আর "ধিন্‌" কে হসন্ত স্বর হিসেবে দেখলে,

    (a) তাতা । ধিনতাতাধিন । তাতা । ধিনতাতাধিন

    এটা ইটসেলফ
    i) ২+৪ / ২+৪ করে স্বরবৃত্তে বা
    ii) ২+৬ / ২+৬ করে মাত্রাবৃত্তে পড়া যায়।

    আবার,

    (b) তাতাধিনতা । তাধিনতাতা । ধিনতাতাধিন

    - এভাবে
    iii) স্বরবৃত্তে বা
    iv) ৫ মাত্রার মাত্রাবৃত্তে (শেষের পর্বটা নিয়ে পরে লিখছি)
    ও পড়া যায়।

    আবার, এটাকে (ii) এর একস্ট্রাপোলেশনে আমি
    v) ৮ মাত্রার মাত্রাবৃত্ত বলেও চালাতে পারি।

    একবার লেখা হয়ে যাওয়ার পরে যেহেতু পাঠকের দায় নেই লেখকের ইনটেনশন জানার অর্থাৎ কিনা, সে নিজের মতো করে যেকোনো লেখা পড়তে পারে, তাই সে যেমন ইচ্ছে তেমন ভাবেই লেখাটা পড়বে। যেভাবে পড়তে ভালো লাগবে সেভাবেই পড়বে।
    কার্তুজ iii) স্বরবৃত্তে পড়বে, কারন সেটাই একমাত্র কপিবুক কেস, যাতে এই লেখাটা খাপে খাপ পড়ে যায়।
    আমি (i) এর মতো করে পড়বো, কারন আমার ওটাই ভালো লাগছে।

    শেষের পর্বটা নিয়ে বলি, এটা শ্রীজাত হলমার্কের মত ইউজ করে বলে সবচেয়ে বেশি ওর লেখার উদাহরণ দেওয়া যাবে, যে, মাত্রাবৃত্তে লাইনের শেষ ধ্বনিটা এক মাত্রা কম নিয়ে স্বরান্ত হোক বা পূর্ণ মাত্রার হসন্ত, কানে বিশেষ অসুবিধে করে না।

    ক্লিয়ার হল না, তো, উদাহরণ দিয়ে বলি, এখানেই, 'বাসবে কি আর" (৬) এর সাথে 'হাসবে প্রিয়া" মিল দেওয়া যায়। কানে লাগে না। কারণ শেষ ধ্বনিটা ("আর" এর "র") উচ্চারণের সময় এতই কম সময় নেয় যে ওটা আছে কি নেই বিশেষ ম্যাটার কত্রে না।

    যদি মিনিংফুল ভাবে "হাসবে প্রিয়ার" লিখতে পারতাম তাহলেও কানে যেমন শোনাত, "হাসবে প্রিয়া" লেখাতে উচ্চারণগতভাবে তার থেকে বিশেষ আলাদা শোনাচ্ছে না। সেম কেস "তন্দ্রামদির" আর 'নৃত্যামোদী"। 'সর্বনাশের" - 'ভয় তরাসে", 'মির মণিতের' "-নীর যোনিতে"। নৃত্যামোদীর, ভয় তরাসের, মির মণিতে এগুলো যদি মিনিংফুলি লেখা যেত তাহলেও ছন্দ কাটত না। কিংবা সর্বনাশে, তন্দ্রামদি লেখা যদি সম্ভব হত তাহলেও না। লাইনের শেষ শব্দটা 'পাগলা ঝড়ে" লেখা আর 'পাগলা ঝড়েই' বা 'পাগলা ঝড়ের" লেখার মধ্যে তাই ছন্দগত ভাবে বিশেষ তারতম্য নেই।

    সুতরাং উপরের (a) বা (b) যদি মাত্রাবৃত্তে পড়ি তো শেষ পর্বটা ধিনতাতাধিন হল না ধিনতাতাধি হল তাই নিয়ে ছন্দোগতভাবে বিশেষ অসুবিধে হবে না। যদিও, যেমন লিখেছিস, কোথাও ২+৬+২+৬ হবে, কোথাও ২+৬+২+৫ হবে।

    আসলে সব ছন্দই তো সিলেবিক। আমরা তো ধ্বনি উচ্চারণ করি, বর্ণ নয়। শুনতে কেমন লাগছে তার উপরেই সব নির্ভর করে। মাত্রাবৃত্তে শেষের পর্বটা নিয়ে যা বললাম সেটা স্বরবৃত্তের ক্ষেত্রে অসুবিধে হয় না, কারন সেখানে ধি আর ধিন, দুইই ১ মাত্রা।।

    আর একটা জিনিস , i) আর ii) নিয়ে

    আমরা যখন খেলতে যেতাম ভুবনডাঙার মাঠে
    কৃষ্ণকলির মাটির বাড়ির পাশে
    মেঘের কালোয় ভিজলে আকাশ, বৃষ্টি নামার আগে;
    অপেক্ষা তার, বাজবে কখন পায়ের কাঁকন ঘাসে

    ইত্যাকার ঝারিবাজি কেস বাদ দিলেও এরকম লেখা স্বরবৃত্তের পাশাপাশি ৬-এর মাত্রাবৃত্তের দাবিও পূর্ণ করতে পারে। তো, কিভাবে পড়বে পুরো নিজের উপর।

    ও, সুব্রতবাবুর ফেসবুকে ঢুকতে পারলাম না। ইউনিকোডে হলে লেখাটা, বা ইমেজ ফাইল হলে সেটাই কোথাও তুলে দে।
  • Kartuj | 59.93.215.86 | ৩১ জুলাই ২০১০ ১১:৫১391527
  • এইখানে আমি একটা ছোট্ট কথা বলে যাই। 'কপিবুক কেস' কিনা জানি না, এটা পড়তে শুরু করেই লোকে ঐ ২+৪ স্বরবৃত্তে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে। আমি যখন পড়লাম তখনও ঐভাবে পড়তেই মন চাইছিল। কিন্তু নীরেনবাবু যে স্পষ্ট লিখেছেন, চার হল স্বরবৃত্তের একমাত্র চাল, তার টুকটাক ব্যতিক্রম ইতিউতি আছে। এখানে (২+৪ এ) কি চালটাকে ৬ ধরা হল? কারণ ২+৪ pattern যখন repeat হচ্ছে, তখন "প্রিয় আজকে আমার" ২+৪ নিয়ে একটি সম্পূর্ণ পর্ব। এই প্রশ্নগুলো ছিল বলেই সোমনাথের মতে আমি (iii) 'কপিবুক কেস'-এর পন্থী ( এবং হয়ত অর্ধশিক্ষিত)।

    আর, মাত্রাবৃত্ত ধরতে গেলে শেষে হসন্তস্বর আছে বলেই নিশ্চয়ই 'তন্দ্রামদির' (৬) আর 'নৃত্যামোদী' (৫) এ অসুবিধে হচ্ছে না, তাই না? মাত্রাবৃত্তে at least দির ২ আর দী ১ হয়ে থাকে। এর ব্যতিক্রম তো কোথাও দেখিনি।
  • Somnath | 85.154.255.42 | ৩১ জুলাই ২০১০ ১৩:৫৫391528
  • তোমারে অর্ধশিক্ষিত বলি নাই। সেধে গাল পেতে গাল খাও কেনে? মালটা স্বরবৃত্তে খাপে খাপ পড়ে বললাম তো। শেষটা ঠিকই বুঝেছো। ঐ ৬ - ৫ এর কেসটা। ব্যতিক্রমের কথা আসে কেন?

    ৩ এর স্বরবৃত্ত পড় পিনাকী ঠাকুরের "অঙ্কে যত শূন্য পেলে" -
    "যাচ্ছিল যাচ্ছিলাম তাকায় নি যাক গে যাক
    ...

    ডাকব না খুব দেমাক আচ্ছা বেশ চাকরি পাই"

    ২ কাটা মাত্রা আগে রেখে ৪ এর স্বরবৃত্ত আছে। এখুনি উদা দিতে বললে পারব না। কোনো বই টই কিছুই নেই। তবে এটা খুব একটা রেয়ার কিছু নয়। সত্যেন দত্তের ও থাকা উচিত।

    দাঁড়া / দেখছি তোকে
    দেব / গাট্টা পিঠে
    তবে / বুঝবি মজা
    কত / ধান চালেতে

    এই রকম জিনিস। নর্মাল ছড়া। এবার সুব্রতবাউ যেটা করেছেন এইরকম দুটো লাইনকে এক লাইনে লিখেছেন। তাতে ব্যপারটা বেড়ে জমেছে। :-)

  • Kartuj | 59.93.254.235 | ৩১ জুলাই ২০১০ ২১:৫২391529
  • জমেছে মানে !!! জমে দই। এটাও যে হয় জেনে আর একটা দিক খুলে গেল। আসলে নীরেনবাবু এটা কন নাই তো। :-)
  • ranjan roy | 122.168.205.238 | ০১ আগস্ট ২০১০ ০৬:১২391530
  • গুরুদেব সোমনাথের এই একটি বাক্যে ছন্দতঙ্কেÄর সার কথাটা বলা হয়ে গেছে।
    " আসলে সব ছন্দই সিলেবিক। আমরা ধ্বনি উচ্চারণ করি, বর্ণ নয়। কানে কেমন লাগছে------'।
    আহা! একেবারে ""ঈশাবাস্যমিদং সর্বং----''!!!
    ছন্দের বিভিন্ন সংজ্ঞা না বোঝা নিয়ে আমার যে inferiority complex ছিল তা কপ্পূর।
  • Somnath | 85.154.255.42 | ০১ আগস্ট ২০১০ ০৯:৫২391531
  • (তোটক)

    সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ


    তাতা ধিনতাতাধিন তাতা ধিনতাতাধিন

    প্রিয়, আজকে আমার শুধু ভাঙছে দুয়ার,
    ধুধু উড়ছে পরাগ কালো পাগলা ঝড়ে,
    বুকে বর্শা-সমেত ছোটে মত্ত শুয়ার,
    তত শুক্র উছল, যত রক্ত ঝরে!

    ফাঁকা বৃক্কে আমার কোনো নক্তাহারী
    বাঁকা কুকরি শানায় পাকাপোক্ত হারে :
    তুমি আসবে কি আর? ভালবাসবে কি আর?
    গোধূলির লালিমায় মধু হাসবে, প্রিয়া?

    বহে সন্ধ্যানদীর মোহতন্দ্রামদির
    মৃদু মেঘলাটে জল ভরা সর্বনাশের--
    কালী-জিহ্বা-- প্রথম-রতি-ভয়-তরাসে--
    আমি কৃত্তিবাসের বুকে নৃত্যামোদী;

    আমি চন্দ্রিকাখোর, আমি রৌদ্রখেকো,
    আমি অন্ধকারের পোষা হ্যাংলা মেকুর;
    আমি দংষ্ট্রানখর, আমি চৌর্যতুখোড়,
    আমি রূপ ও অরূপ-চাঁছা ক্ষিপ্র উখো--

    তুলে আর্তনাদের তানে মিড় মণিতের
    আমি গান গেয়ে যাই একা শেষ ত্রুবাদুর;
    আমি বীর্য ঝরাই জননীর যোনিতে,
    মনোনির্জনে এক ভূতপূর্ব বাদুড়...



    তাতাধিনতাতা ধিনতাতাধিন তাতাধিন

    আমি বস্তুকে বস্তুরূপেই খুঁজি আজ
    যত মন-গড়া হাতকড়াদের খশিয়ে;
    তবু মন অসতর্ক সুযোগ বুঝিয়া
    শত গিট্টুতে নিত্য পেঁচায় রশি এর!

    ভরো সৌরভে রৌরবও আজ, কিশোরী,
    বেলি-মল্লিকা-বল্লী তোমার কি শরীর?
    ঢেলে মস্তানা পূর্বীতে আর পরজে
    বোধি-আস্তানা নাস্তানাবুদ করো যে!

    তব সঙ্গীতে লঙ্ঘিতে চাই এ-আরাফ,
    স্মৃতি-তিতলি হে, উড়তে শেখাও আমারে।
    যাব পাল তুলে সাদরা ধ্রুপদ ধামারে,
    হবে কাণ্ডারী দীপ্ত তোমার চেহারা।

    রাঙা কুর্তা ও ঝিলমিলে নীল সালোয়ার--
    তুমি আসবে কি, বাসবে আমায় ভালো আর!
    রাজে চারপাশে কার্পেদিয়েম ভনক,
    মরু-চাঁদনিতে ধন্ধ-অবোধ, নয়নও।

    এসো স্রগ্বিণী, অজ্ঞাতিমির বিদারি’,
    দেহো নির্জ্ঞানে তেইশ ক্রোমোজম জুড়ায়ে,
    আনো শেষ-তম নৌকাবিলাস-নিদালি,
    আলেয়ার মতো, তার পরে যাও ফুরায়ে।



    তাতাধিনতা তাধিনতাতা ধিনতাতাধিন

    ছিল হয়তো সুখের দিনে বন্ধু অনেক,
    তারা আজকে নিদান-কালে সব বীতরাগ।
    কোনো স্বপ্ন না-দেয় আলো অন্ধজনে;
    শুধু কুশ্রী হ’য়েই চলে নেগ্রিটোরা।

    বুঝি বাজল কোথাও কাফি কিংবা গারা,
    যেন খুলছে কেলাস-ঘন প্যাঁচটা দাঁড়াশ;
    শেআঁকে হিংসা স্নায়ুর অমা-অন্ধ কেনাইন,
    তবু শত্রু খেআঁজার শেষে বন্ধুকে পাই!

    মরু-ফুলটা ভবের ভোমা ডাইনামোতে
    ঘোরে উলটা-- নয়ন মুদে প্রত্যেকে দ্যাখ!
    মুখে-বহ্নি বিহঙ্গমা কোত্থেকে এক
    ঢুকে যাচ্ছে চোখের পিছে, পাই না কো টের...

    এ কী চিন্তা ঊষর পীত পিত্ত জ্বালায় :
    জাগে সংজ্ঞা জীবন্মৃতে-- তপ্ত লালায়;
    হাড়ে-মাংসে রিরংসাতে খিঁচ এত যে--
    দেহে ঘুরছে ঘোরের মতো কোন প্যাথোজেন!

    কালীসন্ধ্যা সুরোৎসবে আঁৎকা-আকুল,
    স্বীয় গল্পে কয়েদ খাটে কাফকা-কামু,
    শিলাবৃষ্টি ভবের নাটে চলবে চাকু--
    খালি একটি চুমুক দেবে কলবে আমূল...



    তাতা ধিনতাতা ধিনতাতা ধিনতাতা ধিন

    নামে মেঘ-মালা পাখ মেলে খল জুপিটার,
    দু’টি অণ্ডে কী গণ্ডগোলের মাজেজা!
    পশে কাষ্ঠঘোটক-রূপী কারচুপি তার,
    রসে হায় ইহ- আর পরকাল ম’জে যায়!

    মহাবিশ্বমাতার যদা দিল বেচইন
    দিয়ে সিন্ধু সাঁতার কত দিগ্বিজয়ী
    মেলা মাইফেলে যায় খেলে রঙ্গভরে,
    তবু মংগ্রেলে মংগ্রেলে বঙ্গ ভরে!

    আঁটে আষ্টে ও পৃষ্ঠেতে ঢের কাঁটাতার,
    ঢাকে মসজিদে মন্দিরে জান্নাতি নুর,
    আহা মুক্তাবিহীন খোলে পচল ঝিনুক!
    ’ল গেণ্ডুয়া শেষ মসিহের মাথাটা...

    শুধু বিশ্বাসে মিলবে সে, তর্কে সুদূর :
    যত পথ আছে যাইতেছে ঘরকে শুধু--
    আহা ভুল শিবিকায় কী-বিড়ম্বনা রে!
    তবু দিনশেষে ভিনদেশে দমব না রে।

    খাখা প্রান্তরে গান ধরে আন্তরিকা
    ’রে একহাতে শুকতারা একহাতে চাঁদ--
    হিয়া-উদ্ভাসনের ইহা কোন তরিকা,
    যদি শেষরাতে নিভবে এ-দিব্য প্রমাদ?



    তাতাধিন তাতাধিন তাতাধিন তাতাধিন

    কবরের আবরণ খোলে লোডশেডিঙে,
    কারা তিন সারাদিন থেকে যায় বাহিরে--
    সাধিলাম, তা দিলাম খালি নষ্ট ডিমে,
    যা-কিছুই আমি ছুঁই, সবই হায় জাহেরি!

    কালা এক নালায়েক কলায়েদ চমরী
    হেঁটে যায় হিমালয় থেকে কেপ কমরিন--
    নিশুতির শিশুটির ঘুমে লীন চোখে লোর :
    বসুধার সুধাহীন বুকে দুধ শুকাল।

    রে-মাছের মতো এক ভেসে যায় বলাহক,
    টানে গা’য় আকাশের পশমের মলিদা;
    নীচে তার জনতার চশমের বলিদান,
    বেখেয়াল কারো হায় ফেঁসে যায় গলা-ও--

    বাজে তিন পাগলের মায়া-বীণ নদিয়ায়,
    ম্যাকাবার নেচে সব অভিধায় বধি আয়;
    নোনাজল-আচমন-- কী-কুহক, পরাশর!
    আমি কার? কে আমার? ত্রিভুবন-ভরা শব।

    ধরণির ধমনির অব-লাল নিয়নের
    কুয়াশায় বোঝা দায় কে বেজায়, ছোট কে;
    মরণের করোনা-র অ্যারিনায় ক্রিয়নের
    সবিনয় অভিনয় ত্রুটিময় তোটকে।

    (সিঙ্গাপুর, মে ২০০৫)
  • Somnath | 85.154.255.42 | ০১ আগস্ট ২০১০ ১০:০০391532
  • বাবা কার্তুজ, পড়ে দেখো, শুধু দিক নয় দিগন্ত খুলে যাবে।

    সৌভকে ধন্যযোগ জিনিসটার খোঁজ দেওয়ার জন্যে। সুব্রতবাবুতেও ধন্যবাদ ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করার জন্যে।

    ক্লুটা খুব সোজা, প্রথমে যে ভাবে ঐ তাতাধিন কে ভাঙবে, সেইমতোই শব্দ সাজাতে হবে লাইনে। তারপর পুরো জিনিসটাকে দাঁড় করাবার কাজটা কঠিন।

    এটার কন্টিনুয়েশন কেউ করবে? অন্য অন্য ভাবে ভেঙে? টিম? তীর্থদা? ভিকি?
  • Tim | 98.230.9.113 | ০১ আগস্ট ২০১০ ১২:০১391534
  • ব্যাপক লিখেছেন সুব্রতবাবু। সৌভ আর সোমনাথকে থ্যাঙ্কু।
    কন্টিনিউ কল্লে বেশ হয়! এট্টু সময় নিয়ে বসতে হবে। চাপের জিনিস। তীর্থদা বা ভিকি হাত লাগাক ততক্ষণ। বা লামাদা? হুতো? মামু? :-)
  • Kartuj | 59.93.219.12 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৮:১৫391535
  • অনেকদিন পরে একটা ছোট্ট জিনিস জানতে এলাম।

    পয়ারে ৮+৬ maintain করলেই তো হয়, ৪ এ ৪ এ ভাঙা তো mandatory নয় নাকি? মানে ৩+৩+২, ৩+৫, ৫+৩ এই টাইপের থাকলেই তো চলে? 'বিজোড়ে বিজোড় গাঁথ' করে অবশ্যই।

    যেমন নীরেনবাবুর সেই উদা-টা দিই,

    গর্জনে কম্পিত বিশ্ব - এটা ৩+৩+২ এই ৮ হল, এখানে ৪+৪ করতে গেলে তো যুক্তাক্ষর-টা নিয়ে সমস্যা।

    আর একটা sample লাইন দিই অক্ষরবৃত্তে, এখন মাথায় এল জাস্ট -

    শেষকুড়ন্তি আলগা মেঘে দায়হারা শরতের

    এটা তো হয়?
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৭:০৮391536
  • সোমনাথের অপেক্ষায়।
  • Kartuj | 59.93.206.203 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২১:০৮391537
  • পিছল সিঁড়ির প্রস্তরপটে গচ্ছিত ঢেউয়ের কথা

    এটা অক্ষরবৃত্তের হিসেবে ঠিক? আগের প্রশ্নটাও আছে।

    উত্তর দেবার কেউ নেই? কেউ?

    সোমনাথ, জানি এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে তোমার আর ভালো লাগে না। তবু একটু কষ্ট করে একবার...:-)
  • Kartuj | 59.93.223.162 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২১:১৩391538
  • ...
  • Kartuj | 59.93.208.58 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২১:০১391539
  • ...
  • Kartuj | 59.93.243.76 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২০:৪৪391540
  • আরে কেউ তো উত্তর দাও। কি মুস্কিল ! নাহয় এই শেষবার। আর কত বলতে হবে?
  • Kartuj | 59.93.192.64 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৮:২৯391541
  • .
  • . | 59.94.2.209 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২০:৪০391542
  • ..
  • .. | 168.26.215.13 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২১:১৭391543
  • ....
  • Kartuj | 59.93.199.255 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২১:৩১391545
  • ওপরেরটা তো আকা-কাকা। তা . কেন শুধু?
  • aka | 168.26.215.13 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২৩:৫৪391546
  • . নয়ত .., পার্থক্য হ্যাজ, পার্থক্য হ্যাজ।
  • Kartuj | 59.93.162.106 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১১:০৩391547
  • Date:07 Sep 2010 -- 06:15 PM

  • Somnath | 85.154.255.42 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৯:০০391548
  • শেষকুড়ন্তি টা টেনেমেনে চলে যাবে। কোন লাইনের সাথে মেলাতে চাইছো তার ওপর।

    পিছল সিঁড়ির - টা চলে না। প্রথম আট কোথায় শেষ হচ্ছে? আর ৬+৮+৬ হবে না। ৬+৮+৮ করে দেখতে পার। তাও মনে হয় হবে না। আর একরকমভাবে কেঁদে কঁকিয়ে মেলানো যায়। সেসব শর্টকাট আমি দেবো না।

    ** খুব বেশি যুক্তাক্ষরের টানাহেঁচড়া না করাই ভালো। যদিও বেশ কয়েকটা লাইন একসাথে না পড়ে বলা যায় না, তবু বলি, শেষকুড়ন্তি -এর পরে আল্গা না পড়িয়ে আ-ল-গা পড়াতে পারবে? এটা এখনই পড়তে গিয়ে আমার

    ""শেষ্কুড়ন্তি আল্গা মেঘে (৮) দায়হারা শরতের (৮) আলো (?)""

    হয়ে যাচ্ছে।

    আর শেষকুড়ন্তি আলগা মেঘে , বা, পিছল সিঁড়ির প্রস্তর পটে --- স্বরবৃত্তে বেশি স্বস্তিকর। কন্টিনুয়েশনে দু চার লাইন লিখে দেখাও নইলে হচ্ছে না।

    দুবাই ঘুরতে গেছিলাম, তাই দেখা হয়নি। ভালো লাগা না লাগার ব্যপার নয়।
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৩:৪৯391549
  • ঠিক আছে, পুরো কবিতাটা 'পর্বে পর্বে কবিতা-২' এ দেব। তাহলে হয়ত সুবিধে হবে।

    আমি জানি তুমি থাকলে ঠিকই বলে দিতে। তাও একটু বিধিসম্মতভাবে বিনয়ী হবার চেষ্টা। আসলে এতবার এতকিছু জিগেস করেছি। :-P
  • Kartuj | 59.93.217.192 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২১:১৬391550
  • সোমনাথ, প-প-ক-২ তে দিয়েছি পুরো কবিতাটা।
    Date:20 Sep 2010 -- 09:09 PM

    এবার মতামত জানিয়ো। আর কেমন লাগল সেটাও। খারাপ শোনার জন্যে রেডি আছি। :-;
  • Kartuj | 59.93.217.192 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২১:২২391551
  • এহে, ভুল sign

    ;-)

  • Somnath | 188.135.2.91 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২১:৪৬391552
  • যেটা পর্বে পর্বে কবিতায় লিখেছো, সেটাকে নিশ্চয় অক্ষরবৃত্তের উদাহরণ বলে দাবি করছ না। যদি কর, তাহলে নিজে নিজে একটা কাজ কর। ৮+২, ৮+৬, ৮+৮+২, ৮+৮+৬ এভাবে সব গুলো লাইন ভাঙা যাচ্ছে কিনা পেন্সিলে কেটে কেটে দেখ।

    যাচ্ছে না। তবু দেখ। ভুলগুলো ধরতে পারবে।

    একটা সাজেশন দিই? অক্ষরবৃত্তের জন্যে কান তৈরি করতে বিনয় মজুমদার পড় ভালো করে। প্রতি লাইন ধরে ধরে গুনে গেঁথে সুর বুঝে "ফিরে এস চাকা" পড়। আবার। সবগুলো কবিতা।

    পরে মধুসূদন ও পড়তে পার। মেঘনাদ বধ।

  • ranjan roy | 122.168.227.29 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২২:২৪391553
  • হ্যাঁ,হ্যাঁ, সোমনাথ।

    ""আমি মুগ্‌ধ উড়ে গেছ ফিরে এস চাকা''।

    ""ফিডিং বটলে করে দুধ খাও খোকা।''

    "" উড়িল কলম্বকুল অম্বরপ্রদেশে''। ইত্যাদি:)))))
  • ranjan roy | 122.168.227.29 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২২:২৫391554
  • সরি! বয়সোচিত মাত্রাজ্ঞান হারিয়ে ফেলেছি।, সরি!
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:৩৬391557
  • হ্যাঁ জানি সেটা।

    কিন্তু প্রতিটা লাইনকে তো জোড় মাত্রায় ভাঙা যাচ্ছে। ৮+৬, ৮+৮, ৮+৮+২ এরকম তো অধিকাংশ লাইনই আছে। যেখানে ৮ নেই সেখানে জোড় মাত্রা (৬) মেলানো আছে। বে-জায়গায় কোথাও ভাঙতে হচ্ছে না। হয় না এটা? শেষের ২ কে দরকার মত বাদ তো দিতেই পারি, তাই না? ১৪, ১৮, ২২ এরকম না হয়ে ১৬, ২০ র লাইন থাকতে পারে না?

    মানে এটা কবিতা বলে বিবেচ্য-ই নয়, Trash হল আবার, তাই তো?

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন