এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • স্বচ্ছন্দে ছন্দ শিখুন: আনন্দ পুরস্কার গ্যারান্টেড

    `'
    অন্যান্য | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ | ৮২৩৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 122.168.238.179 | ০২ জুলাই ২০১০ ২১:৪৬391458
  • নীরেনবাবুর এই উদাহরনটা দেখ।
    যমুনাবতী-সরস্বতী, কাল যমুনার বিয়ে।
    আবার,

    যোম্‌নাবতী, সরস্বতী, কালা যোম্‌নার বে'।
    আসলে, সোমনাথ যে লাখ কথার এক কথা বলেছে--- এইসব চর্চার একটাই লক্ষ্য-- কান তৈরি করা।
    সেটা হয়ে গেলে কে মাত্রা গোনে? কে ছন্দের নাম নিয়ে বদার করে?
  • I | 59.93.204.84 | ০২ জুলাই ২০১০ ২৩:০৮391459
  • নীরেনবাবু আবার কৈত্থিক্যা আইল !

    শঙ্খবাবু বলুন !
  • Kartuj | 59.93.255.121 | ০৩ জুলাই ২০১০ ১১:৫৭391460
  • না না, নীরেনবাবু ওটা তো স্বরবৃত্তে দিয়েছেন উদা-টা। আমি বলতে ভুলে গেছি, এটা মাত্রাবৃত্তে ৩ হবে তো?

    মানে একটা চটজলদি স্যাম্পেল দিই -

    জ্যোৎস্নাজলেই সারা হল স্নান
    শুক্লবসনে ঘেরি দেহখান

    ইত্যাদি।

    (এটা এখুনি বসে বসে বানালাম, দাদুছাপ দাদুছাপ বলে লাগবেন না কেউ, প্লীজ।)

    এখানে জ্যোৎস্না ৩ না ধরলে তো হবে না। ঠিক না?
  • Somnath | 85.154.255.42 | ০৩ জুলাই ২০১০ ১৫:১৬391461
  • ভাঙা না দিয়ে সব চার করে দিলে দৌড়ে দৌড়ে পড়তে হত। সেটাই চাইলে সেরকম করবে। তুমি কিভাবে পড়াতে চাইছো, বক্তব্যটা কিরম চালের সাথে খাপে খাপ মিলবে সেটা তোমাকেই ডিসাইড করতে হবে। আমরা পড়ে বলব ভালো লাগল কি না। ভিকিদা অমন পুরো ৪ এর সার্কেলে লিখেছিল একখান। বোধহয় বাংলালাইভের ই-পত্রিকায়।

    হ্যাঁ দাঁড়ানোর জায়গা মানে ভাঙা পর্ব। তবে পুরো লেখাটার গতি স্লথ করে দিয়ে যতিচিহ্ন দিয়েও করা যায়। সেটা একটু এক্সপেরিমেন্টাল হয়ে যাবে। আগে করে তারপর দেখতে হবে কেমন হল।

    প্রথমে হসন্ত স্বর যুক্তাক্ষর ছাড়া ও হতে পারে। "দেখবি তো", "পড়ছি না" "ধরতো" "দেখ না" "দূরদেশ" এইরকম।

    জ্যোৎস্না মাত্রাবৃত্তে ৩। বল দেখি "জিনস্‌" মাত্রাবৃত্তে কত?

    আলবাৎ দাদুছাপ বলব। ভাবো এই ধরণের লেখাটা মজ্জায় ঢুকে গেছে। ইন্সট্যান্ট বানাতে গেলে পুরো মার্কামেরে উঠে আসছে। নিশ্চয়ই চাকরি বাকরি করো। একদিন কলেজস্ট্রীটে গিয়ে দে'জ থেকে শ্রেষ্ঠ কবিতা সিরিজ কিনে আনো গোটা তিরিশ। মন্দাক্রান্তা সমগ্র কেনো। দে'জ নিজের বই ২৫% দেয়। আনন্দ থেকে জয় তিন খন্ড আর কিছু শ্রীজাত। বিনায়ক, পিনাকি। গ্রাউণ্ড ফ্লোরের আনন্দ শোরুম থেকে আলটিমেটলি ২২.৫% এ পাবে। দাদু ছেড়ে মাস দুই ওগুলো পড়। নইলে লেখা থেকে এত বিচ্ছিরি দাদুগন্ধ বেরোচ্ছে যে পড়া যচ্ছে না। ;-(

    :-P
  • Kartuj | 59.93.205.213 | ০৩ জুলাই ২০১০ ১৮:২৬391462
  • ওফ দু লাইনেও রেহাই নেই। শোনো তাহলে, এখানে আমি 'কবিতা লিখছি' বলে সিরিয়াসলি আজ অব্দি একটা লাইনও লিখিনি। দরকারের খাতিরে বা যেটা বুঝতে চাইছি তার উদা হিসেবে তাড়াহুড়োয় হঠাৎ যেটুকু মাথায় এলো সেটুকুই। এখানে যেমন 'জ্যোৎস্না' দিয়ে কি লেখা যায়, তাই যা হোক লিখে দিলাম। এগুলোকে আমার 'মজ্জাগত' usual ধরণ ভাবলে তো মুস্কিল। যে কেউ চাইলেই তো দুটো লাইন যা হোকভাবে লিখে ফেলতে পারে। অসুবিধের কি আছে? তাতেই কি প্রমাণ হয়ে গেল যে দাদুর বাইরে বেরোনো অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে আমার পক্ষে?

    যাই হোক তোমার সাজেশনগুলো নি:সন্দেহে ভালো। তবে একটা কথা বলি, একেবারেই আমার নিজস্ব মত - শ্রীজাত আমার পোষায় না একদম, জয়ও বহুকাল আগে কলেজের লাইব্রেরিতে পড়েছিলাম বেশ কিছু, এমন কিছু দাগ কাটার মত লাগেনি। খুব কম লেখাই জয়ের আমার ভালো লাগে। এখনকার অনেক কবির কবিতাই পড়েছি নানা জায়গায় কৌতূহলবশত:, খুব একটা কিছু আহামরি মনে হয়নি। ভাষায় নিজস্বতা নিশ্চয়ই আছে, তবে আমার ভাবনার ওয়েভলেংথের সাথে যায়নি সেসব। মানে, পড়ে যে মনে একটা জায়গা করে নেয়া, একটা গভীর মেসেজ রেখে যাওয়া চিরদিনের জন্যে, তা হয়নি। শক্তি-শঙ্খ-বীরেন্দ্র-নীরেন-অরুণ-বিনয় এই হল আমার প্রিয় কবিতার জগৎ। একেবারেই আমার নিজের মতামত। অনেকেই হয়ত পছন্দ করবেন না কথাগুলো। সরি।
  • Tim | 173.163.204.9 | ০৪ জুলাই ২০১০ ০৮:৩৯391463
  • আরে সরি বলার কিছু হয়নি। সবার পছন্দ একরকম হয় নাকি? আর তুমি যাঁদের নাম করলে তাঁরা তো সত্যিই বড় কবি, অনেকেরই পছন্দের কবি। পছন্দের কবিদের প্রভাব নিজে নিজে ধরা যায়না। বেরোনো অসম্ভব কেন হবে, তবে কঠিন।

    কিন্তু এটা ছন্দের ক্লাস হচ্ছে, না কবিতার? কবিতার ক্লাস হলে পড়ার, না লেখার? এই প্রশ্নটা কার্তুজকে।
  • Tim | 173.163.204.9 | ০৪ জুলাই ২০১০ ০৮:৪৮391464
  • সিরিয়াস কবিতা লেখার চেষ্টা সম্পর্কে আমার একটা কথা মনে হলো। কবিতা আদৌ চেষ্টাকৃত জিনিসই নয়। শুধু চেষ্টা করে করে সবার স্টাইলের থেকে একেবারে অন্যরকম অথচ দারুণ সুন্দর কবিতা লেখা যায় বলে মনে হয়না। অভিজ্ঞতা থেকে বললাম। তাড়াহুড়ো করে কলমের আগায় যখন একেবারে নিজস্ব স্টাইল আসে, তখন সেটা আপনা থেকেই হয়। সেটা একটা বিবর্তন।
  • Somnath | 85.154.255.42 | ০৪ জুলাই ২০১০ ১০:৫২391465
  • টিম, ঠিক। কিন্তু লিখতে গেলেই কারো লেখার স্টাইল কপি হতে থাকলে সেই প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবেই। নিজের স্বর আবিষ্কার, নিজের স্টাইল ডেভেলপমেন্ট অনেক সময়ের ব্যপার আর কন্টিনিউয়াস প্রসেস, কিন্তু পড়া কবির মতো, প্রিয় কবির মতো - না লিখে ফেলার মধ্যে, লিখে ফেললেও কেটে ফেলার মধ্যে একটা সচেতন প্রয়াস থাকা উচিত। আমার মনে হয় নিজের মতো করে বলাটা, আলাদাভাবে বলাটা যদি স্বাভাবিকভাবে নাও আসে, অনেক পড়তে পড়তে, অনেক লিখতে লিখতে আর লেখাটা অন্যদের মতো না হয়ে যায় সেটা সচেতনভাবে মাথায় রাখতে রাখতে কালক্রমে একটা নতুন বলার ভঙ্গি গড়ে উঠবেই। যেটাকে বিবর্তনও বলা যায়। আপত্তি নেই। সেটা তাড়াহুড়ো করে এলেও আপত্তি নেই।

    নিজের স্বর একবার খুজে পেলে, এবার, দারুণ সুন্দর কবিতা লিখে ফেলার জন্যে কিছু সময়ের অপেক্ষা আর নিজেকে আরো শিক্ষিত, শীলিত করা। তাই না?

    আসলে দুরকমভাবে লেখার কথা শোনা যায়। কারো খসড়ায় কাটাকুটি প্রায় নেই। পুরোটাই ফ্লো তে লেখা। যা মনে এল তাই। স্বাভাবিক, ন্যাচারাল। রিভিসন দেওয়াও নেই, সংশোধন ও কাটাকুটি কিছুই নাই।

    আর, কারো লেখার পাতা ভরা কাটাকুটি, এক একটা শব্দ নিয়ে অনেক দিনের চিন্তা, যতিচিহ্ন বসানো নিয়ে প্রবল দ্বিধা দ্বন্দ। জীবনানন্দের অন্যান্য লেখা আর রূপসী বাংলার লেখাগুলোয় যেকরম বৈপরীত্য। তো , দুভাবেই লেখে লোকে। আমার নিজের মনে হয়, প্রথম দিকের লেখালেখিতে একটু বেশি কাটাকুটি থাকা ভালো। কি জানি।
  • Kartuj | 59.93.211.26 | ০৪ জুলাই ২০১০ ১৯:৪৫391466
  • চেষ্টা করলে কারুর প্রভাব থেকে নিশ্চয়ই বেরোনো যায়, আর শ্রেষ্ঠ জিনিস তো একটাই হয়, কেউ তার নকল করলে সে জিনিস ভালো হবে না সে তো একশবার। প্যারোডি কোনো কিছুরই ভালো লাগে না। যেমন, হেমন্তর গলা নকল করে কেউ গাইলে আমার তো অতি খাজা লাগে। সুতরাং সে চেষ্টা করতেই বা যাবো কেন? আর রবীন্দ্রনাথের নকল করা কি এতই সোজা? সেই ভাষায় সেই গভীরতা আনতে গেলে বহুজন্মের তপস্যা লাগে। বললাম না, এখানে যে কটা লাইন লিখেছি আগে তাতে এতোটুকু সিরিয়াসভাবে লেখার ইচ্ছে ছিল না। আমার মনে যে ভাবনাটা নাড়া দিল, আমার নিজের মত করে নিশ্চয়ই তার প্রতিফলন ঘটবে ভাষায়। আমার ভালো লাগাটা যে 'সচেতনভাবে নকল না করা' ভাষায় এলো, তা নিশ্চয়ই অন্যকেও টাচ করবে কোথাও।

    কিন্তু, একটা কথা, কোনো শব্দ কারুর মার্কামারা নয়, শব্দগুলো বাংলা শব্দভাণ্ডারের। আমি যদি ছন্দের খাপে ফেলতে বা কানে ভালো লাগছে ভেবে 'অন্ধকার'-কে ৩ মাত্রায় আঁটাতে 'আঁধার/তিমির/তমসা' ব্যবহার করি বা কোথাও 'করিছে' বললে 'করছে'-র চেয়ে ভালো লাগে কানে (যদিও মাত্রার হিসেবে হয়ত করছে করিছে তুল্যমূল্য মাত্রাবৃত্তে, বলছি), আমি কেন তার সাথে আপস করব? আঁধার বললেই দাদু হয়ে গেল? কাব্যরস কি ঐটুকুতেই হারিয়ে যাবে? আর ভাববস্তু নকলের তো প্রশ্নই ওঠে না। আর যদি হয়েও যায় এক, আলাদা প্রকাশভঙ্গী তাকে স্বতন্ত্র সৃষ্টির মর্যাদা দেবেই।

    বিভিন্ন কবির লেখা পড়া ভালো, আমি তো আমার প্রিয় কবি যাঁরা তাঁদের বা তা ছাড়াও ভালো লেখা কোথাও পেলেই পড়ি। শারদীয়া সংখ্যা এলে কবিতার পাতায় আগে যাই। কাজেই দাদু ছাড়া কিছুই দেখিনি এটা ভাবলে ভুল ভাববেন। তবে এত কবি বঙ্গে, তাঁদের প্রত্যেকের নিখাদ নিজস্ব ভাষা আছে এটা বললে মানা যাবে না। শুধু legend যারা তাঁরা ব্যতীত। তবু ধরণ দেখে সবসময় বলা যায় না এটা শঙ্খ না শক্তি। আমার আগে যাঁরা লিখেছেন সবার বাইরে গিয়ে আনকোরা নিজের ভাষা আবিষ্কার করা কি সম্ভব? তাহলে তো কোনো ভাবনা আমার মাথায় এলো, লিখতে গিয়ে ভাবব দশবার কারুর নকল হল না তো? confused হবার চান্স অনেক বেশি। টিম যেটা বললেন কলমের আগায় আসে যখন নিজের ভাষাতেই আসে। আমারও। কিছু ক্ষেত্রে ৫ বা ৬ এর চালে আঁটাতে একটু করিছে/ঝরিছে হয়ে যেতে পারে উপায়ান্তর না থাকলে। বিশেষ করে যেখানে ছন্দ কেটে যাবার চান্স। ঐ ১-২ টো শব্দ পেলেই দাদুর নকল বললে কিন্তু মানব না। আমি মনে করি সহজ উপায় হল, সচেতন নকল না করা।
  • kc | 89.203.49.18 | ০৪ জুলাই ২০১০ ২০:৩৪391468
  • কার্তুজ, আপনার লেখা কোনও কবিতা কি বছর খানেক আগে 'সানন্দা'তে প্রকাশিত হয়েছিল?
  • Tim | 173.163.204.9 | ০৪ জুলাই ২০১০ ২২:২৮391469
  • সোমনাথ ঠিকই। পরে ভেবে দেখলাম, খানিকটা রিভিশনের খুব দরকার। কবিতায় শুধু তো না, গদ্যেও এর ভূরিভূরি উদাহরণ আছে। বিভূতিভূষণের খসরা দেখেছি, অজস্রবার কেটেকেটে বা নতুন করে লেখা। সেসব তো অনেক পরের কথা, একেবারেই প্রথমদিককার নয়।

    কার্তুজ,
    ১-২ টো শব্দ না, লেখার ধরণে দাদুর ছোঁয়া মানে একটু পুরাতনী লেখা। এই মুহূর্তে এই ধরণের কবিতার খুব একটা চল নেই। আমরা যখন ঐ লাইনগুলি পড়ছি তখন টের পাচ্ছি। দাদুর ছোঁয়া মানেই নকল না। তুমি না মানতেই পারো, এবং নিজের ইচ্ছেমত লিখে যেতে পারো। পাঠক হিসেবে আমি ফিডব্যাক দিতে গেলে (এবং অনেস্ট ফিডব্যাক) ওমনাথের কথাগুলোই হয়ত বলে ফেলব। এতে দু:খ পেওনা, স্পোর্টিংলি নাও এবং লিখে চলো। এটা তো হাত পাকাবারই জায়গা। সময় লাগবে।

    হাতের কাছে খুব ভালো উদাহরণ হলো কহিপ্তাশা, হুতো, ফরিদা, সায়ন্দা বা একমেবাদ্বিতিয়ম দীপ্তেনদার লেখা কবিতাগুলো। ওঁদের সকলেরই নিজস্ব স্টাইল তৈরী হয়েছে। বহুদিনের চর্চার ফল।
  • Tim | 173.163.204.9 | ০৪ জুলাই ২০১০ ২২:৩৩391470
  • গুরুকে যদি সেকেন্ডারি সোর্স (মানে বইপত্তরের বাইরে) হিসেবে ভাবো তো খুঁজে পেতে তীর্থংকরদা বা পোত্তুষার লেখা পুরোনো পোস্ট দেখতে পারো। ওমনাথেরই অনেক লেখালেখি আছে বিভিন্ন সময়ে। ইন্দোদার লেখালেখি আছে। বহুবিধ আলোচনা আছে পুরোনো টইতে। পুরো খনি। আমি নিজে এইগুলো থেকে অনেক শিখেছি।
  • ranjan roy | 122.168.20.144 | ০৪ জুলাই ২০১০ ২৩:০১391471
  • টিম অতি বিনয়ী, অতি ভদ্র।
    ছড়া লিখতে গিয়ে "" হিলপাহাড়ে হিলহিলিয়ে হিলতুলিরা থাকে''--- এই অসামান্য লাইনটা কে লিখেছিল?

  • dalia | 83.83.40.194 | ০৪ জুলাই ২০১০ ২৩:১৭391472
  • উপরক্ত পদ্যগুলির মধ্যে কোন পদ্য লেখক বা লেখিকা কে আনন্দ পুরষ্কার দেওয়া যায়?? আমার মাথায় ঠিক আসছেনা, প্লিজ একটু হেল্প করুন!!!!
  • ranjan roy | 122.168.20.144 | ০৪ জুলাই ২০১০ ২৩:৩২391473
  • ডালিয়া,
    আনন্দ পুরস্কার অতি খাজা জিনিস। গুরুচন্ডালীর ""ল্যালা ম্যানিফেস্টো'' পড়লেই জানতে পারবেন যে আমরা আনন্দ পুরস্কার কত হেয় দৃষ্টিতে দেখি।
    ( কনফিডেন্সিয়ালি জানাচ্ছি: একবার ডিডিকে দেয়ার প্রস্তাব এসেছিল। ডিডি চটে গিয়ে বল্লেন আমাকে অপমান করার সাহস হল কি করে? সে থেকে এটা নিশ্চিত যে গুরুতে কবিতা বেরুলে সে কোনদিন আনন্দ পুরস্কার পাবে না।)
  • Dalia | 83.83.40.194 | ০৫ জুলাই ২০১০ ০০:৩৫391474
  • রঞ্জন রায়,
    ধন্যবাদ, এটা আমার জানা ছিলনা।
  • tuli | 131.95.30.135 | ০৫ জুলাই ২০১০ ০০:৫১391475
  • আহা তীর্থঙ্করের সেই ছড়া

    "রাবণ রাজার দশটি মাথা বিশটি তাহার গাল ছিলো
    দশ হাতেতে কামিয়ে দাড়ি ডেনিম লোশন ঢালছিলো
    শার্টে বিশটা হাতা ছিলো
    মস্তবড়ো ছাতা ছিলো
    জামার বোতাম ছিঁড়লে পড়ে মন্দোদরী ত্রাতা ছিলো।

    ---"

    অনবদ্য। আজও আমি আওড়াই। :-)

  • tuli | 131.95.30.135 | ০৫ জুলাই ২০১০ ০১:০৭391476
  • অথবা ডীপ টেনের সেই অসাধারণ ছড়ার একটা টুকরো-

    পানেতে চুন ছিলো
    ডালেতে নুন ছিলো
    আকাশে নীল অকারণে।

    :-)
    তখনো জন্মায় নি টই ভাট কিছুই, কিন্তু তিনি ছিলেন, ছিলেন, ছিলেন যিনি কিনা চিরকালই আছেন। :-)
  • tuli | 131.95.30.135 | ০৫ জুলাই ২০১০ ০১:২০391477
  • এমনকি সেই পুরাকালে দ্রি পর্যন্ত ইংরেজীতে ছড়া অনুবাদ করতেন।
    সেই যখন শুচী লিখলেন-

    হাতীদার গার্লফ্রেন্ড মিস হায়না
    রেডমীট ছাড়া কিছু খেতে চায় না
    যোগাক্লাস তিনমাস
    ফিটনেস কনশাস
    মুড়িমাখা খাবো বলে ধরে বায়না।

    তখন সেটার দারুণ ঝক্কাস ইংরেজি তো করলেন দ্রি!!!

    Onceaslickhyenametanelephant
    Hoggedfortheredmeatbutdidenchant
    .....

    আহা সেসব দিন রামের অযোধ্যার সঙ্গে কোথায় চলে গেল!!!
  • Kartuj | 59.93.169.245 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১১:২২391479
  • কেসিদা, না। এ কথা মনে হল কেন?

    টিম, তাহলে তোমার কথা অনুযায়ী, আমি যদি 'পুরাতনী লেখা'-র ধারেকাছে না গিয়েও যদি কিছু জায়গায় ছন্দের খাতিরে আঁধার/তাহার/কাহার এসব লাগাই তাহলে আপত্তি নেই? নাকি ওতেই 'পুরাতনী লেখা'-র এলাকায় পড়ে যায়?
  • Tim | 173.163.204.9 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১২:১৫391480
  • হ্যাঁ তাই তো হওয়া উচিত। ছন্দের টই বলেই হয়ত ছন্দের কথা বারবার আসছে। কিন্তু বক্তব্যটাও খুব ইম্পর্ট্যান্ট। আলবাল লেখা সঠিক ছন্দে লিখলেও অখাদ্য লাগবে। এনিওয়ে, তুমি লিখবে, সুতরাং সে বিষয়ে তুমিই ডিসাইড করবে।
    দেখ, মূলত তিনটে কারণে লোক লেখে। এক, নিজের তাড়নায়, ভেতরের তাগিদে। দুই, অন্যদের আনন্দ দিতে। তিন, পয়সার জন্য (যদিও গুরুতে পহা নেই, সেগুড়ে বালি)। এর বাইরেও আছে কিন্তু এইতিনটেই বেশিরভাগ লেখালেখির কারণ। তুমি সিরিয়াসলি টইতে লেখ। ফিডব্যাক পেলে নিজেই বুঝে যাবে কেমন হচ্ছে। ফিডব্যাক দরকার না হলে তো কথাই নেই।
  • Kartuj | 59.93.205.216 | ০৫ জুলাই ২০১০ ২০:৫৯391481
  • আমার উত্তর কিন্তু পেলাম না। 'তাই তো হওয়া উচিত' মানে কি হওয়া উচিত?

    আলফাল বা বক্তব্যের কিছুই মাথামুন্ডু নেই এরকম লেখায় ঠিক/ভুল ছন্দ তো অনেক দূরের কথা, বাজে হলে তার আবার ছন্দের কোনো মূল্য হয় নাকি? সেটা আর যাই হোক কবিতা নয়, সেই 'সূর্য ব্যাটা বুর্জোয়া যে'র মত।

    ধরে নিন, বক্তব্য খুবই জোরালো এবং পুরাতনীর ছায়ামাত্র নেই। তাতে কিছু জায়গায় ছন্দের খাতিরে 'আঁধার, কাহার, তাহার' এসব আছে। বাকিটা নাতিসুলভ নিজস্ব ভাষা। তো, তাতেও কি 'দাদুর ছোঁয়া' পড়ে যায়? উত্তর হ্যাঁ কি না?
  • Tim | 173.163.204.9 | ০৫ জুলাই ২০১০ ২২:০১391482
  • না
  • nyara | 122.172.20.253 | ০৫ জুলাই ২০১০ ২২:১১391483
  • তখনও ছিল অন্ধকার, তখনও ছিল বেলা
    হৃদয়পুরে জটিলতার চলিতেছিল খেলা।
    ডুবিয়া ছিল নদীর ধার আকাশে অধোলীন
    সুষমাময়ী চন্দ্রমার নয়ান ক্ষমাহীন।
    কী কাজ তারে ডাকিয়া আর, যাহার ভ্রূকুটিতে
    সতর্কিত বন্ধ দ্বার, প্রহরা চারি ভিতে।
    কী কাজ তারে ডাকিয়া আর, এখনও এইবেলা
    হৃদয়পুরে জটিলতার ফুরালো ছেলেখেলা।।

    দাদু স্টাইল?
  • omnath | 188.135.2.143 | ০৫ জুলাই ২০১০ ২৩:০১391484
  • শক্তি স্টাইল। ;-P

  • Arpan | 122.252.231.10 | ০৫ জুলাই ২০১০ ২৩:১৫391485
  • আর এইটা? ;-)

    এবার হয়েছে সন্ধ্যা, দিনের ব্যস্ততা গেছে চুকে
    নির্বাক মাথাটি পাতি, এলায়ে পড়িব তব বুকে
    কিশলয়, সবুজ পারুল
    পৃথিবীতে ঘটনার ভুল
    চিরদিন হবে
    এবার সন্ধ্যায় তাকে শুদ্ধ করে নেওয়া কি সম্ভবে?
  • Tim | 198.82.16.68 | ০৫ জুলাই ২০১০ ২৩:১৮391486
  • এইটা অনুবাদে হিমেশ স্টাইল
    :-P
    :-)
  • Arpan | 122.252.231.10 | ০৫ জুলাই ২০১০ ২৩:২৭391487
  • :-)))

    ভাবা যায় নিচের পংক্তিটাও একই কবিতার? আলাদা করে উল্লেখ করলে মনেই হয় না!

    এবার হয়েছে সন্ধ্যা। সারাদিন ভেঙেছো পাথর
    পাহাড়ের কোলে
    আষাঢ়ের বৃষ্টি শেষ হয়ে গেলো শালের জঙ্গলে
    তোমারও তো শ্রান্ত হলো মুঠি
    অন্যায় হবে না – নাও ছুটি
    বিদেশেই চলো
    যে কথা বলনি আগে, এ-বছর সেই কথা বলো।

    এইবার নিশ্চয় বোঝা যাচ্ছে কার? :P
  • Tim | 198.82.16.68 | ০৫ জুলাই ২০১০ ২৩:৩৩391488
  • :-)
  • Somnath | 85.154.255.42 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১০:০১391490
  • শুধু মাত্র ছন্দ বা মিল রক্ষার জন্যে ভুলভাল শব্দ ব্যবহার গোটা কবিতাকে জস্ট খুন করে। সাধু ভাষা বা সাধু ক্রিয়াপদ ব্যবহার করার জন্যে আলাদা প্ল্যান লাগে। অন্যরকম বক্তব্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য আনার প্রয়োজন থাকে। কবিতার ভাব বা বক্তব্য, চাল এর সাথে ছন্দ বা মিল কোনো কিছুর জন্যেই আপোষ চলে না। করলে সেটা অমার্জনীয় অপরাধ, নেহাৎ ভাষার উপর দখলের অভাব।

    কৃত্তিবাস প্রকাশের সময় সুনীলের একটা ইস্তেহার ছিল। তার অনেক কিছুই আজ আর ভ্যালিড নয়। কিন্তু অত বছর আগেও কি কি ক্রাইটেরিয়াকে আধুনিক লেখালেখির জন্যে মিনিমাম ধরা হয়েছিল একবার পড়ে নিলে এসব প্রশ্ন আজ আবার করে উঠে আসে না। সুনীলের কবিতা সমগ্রের শেষের ৪র্থ বা ৫ম খন্ডে রয়েছে। কোনো দোকানে দাঁড়িয়ে একটু পড়ে নিলেও চলে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন