এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • স্বচ্ছন্দে ছন্দ শিখুন: আনন্দ পুরস্কার গ্যারান্টেড

    `'
    অন্যান্য | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ | ৮২৩৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Tim | 173.163.204.9 | ২২ নভেম্বর ২০১০ ১০:১৪391591
  • একঘর উইথ ব্যালকনি। (বেথে বলেনি দেখে আমিই বলে দিলুম) :-)
    চলুক চলুক। আইমিন দৌড়োক।

  • Kartuj | 125.20.3.146 | ২২ নভেম্বর ২০১০ ১১:৩৪391592
  • কোথায় ছিলে গো দিদি তুমি এতদিন?
    ছন্দ নিয়ে খিস্তি যবে মুখে গ্যামাক্সিন
    জানতে চাইলে কেউ দিত না জবাব
    খিল্লি মেরে অকারণে কেটে যেত জাব
    খেলার ছলেতে যদি লিখিতাম ছড়া
    তুচ্ছ ভুল বার করে গাল দিত কড়া
    তখন কোথায় ছিলে ছন্দযাদুকরী?
    বনলতা সেন হয়ে এই প্রশ্ন করি।
    উপবৃত্ত পরাবৃত্ত নাহি এ ভুবনে-
    এই কথা স্পষ্ট করে দাও 'গুরু'-জনে।

  • pathak | 151.141.84.194 | ২২ নভেম্বর ২০১০ ২১:০৬391593
  • এতদিনে! এতদিনে একটা সত্যিকারের জিনিস। এতকাল খালি লোকে ফুট কাটে আর "ছন্দের বারান্দা" রেফারেন্স দিয়ে পালায়।
    অর্থাৎ কিনা বেচারা পাঠককে বারান্দায় বসিয়ে তিন ফুটের চা আর লেড়ো বিস্কুট দিয়ে বিদায় করে। ছন্দের অন্দরে আর ডাকে না। আজ অন্দরে প্রীতিভোজে আপ্যায়িত হয়ে পাঠক আহ্লাদে ডগমগ।
    সিরিয়াসলি এই লেখা ভালোকরে প্রিজার্ভ করা দরকার। খুব খুব ভালো লেখা, গোটা সিরিজ আসুক।

    আচ্ছা এইটার ছন্দ বিশ্লেষণ করলে কী হবে?

    একটি কথার দ্বিধাথরোথরো চূড়ে
    ভর করেছিলো সাতটি অমরাবতী
    একটি নিমেষ দাঁড়ালো সরণী জুড়ে
    থামিল কালের চিরচঞ্চল গতি।
  • Kartuj | 59.93.196.119 | ২২ নভেম্বর ২০১০ ২১:১৯391594
  • ইহা ৬-এর চালের মাত্রাবৃত্ত উইথ এ ভাঙা পর্ব ২ ।
    প্রতি লাইনে ৬+৬+২।

    আসলে উত্তর জানলে লেখার জন্যে এত হাত চুলকোয়, ক্ষমা করবেন ভাইলোগ।
  • Kartuj | 59.93.196.119 | ২২ নভেম্বর ২০১০ ২১:২৭391595
  • ওহো, ভবানীবাবু বিশ্লেষণ চেইচিলেন না? রোসুন।

    একটি কথার / দ্বিধাথরোথরো / চূড়ে
    ভর করেছিলো / সাতটি অমরা / বতী
    একটি নিমেষ / দাঁড়ালো সরণী / জুড়ে
    থামিল কালের / চিরচন্‌চল / গতি

    উফ, কি খাটনি ! যাই হোক, দেবী চৌধুরানীকে অধমের সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাবেন। :-)
  • sayantani | 123.236.96.48 | ২২ নভেম্বর ২০১০ ২১:৩৮391596
  • আরও একটা উদাহরণ দেখা যাক।
    ১। কবিতা---
    ধরা যাক এই কবিতার লাইন দেওয়া হয়েছে ইন্টারসেকশনের জন্য--
    বিড়ালাক্ষী বিধুমুখী মুখে গন্ধ ছুটে
    আহা তায় রোজ রোজ কিবা রোজ ফুটে।

    ২। পর্ববিভাগ--
    উপরোক্ত কবিতাটি কে পর্ববিভাগ করলে দেখা যায় অনেকটা এমন দাঁড়াবে--
    বিড়ালাক্ষী/ বিধুমুখী/ মুখে গন্ধ/ ছুটে
    আহা তায়/রোজ রোজ / কিবা রোজ/ ফুটে।

    ৩। কানকে জিজ্ঞাসা করো--
    কানের কাছে জিজ্ঞাসা করলে কান বলবে--হুমমম, বেশ স্লথগতির ছন্দ মনে লয়! দলবৃত্ত হলে তো নেত্য করত। যখন নেত্য করছে না তখন দলবৃত্ত ও নয়। প্রত্নবৃত্ত তো কোন ভাবেই নয়।
    তবে?
    হয় মাত্রাবৃত্ত নয় মিশ্রবৃত্ত।
    বেশ, ফের দুটো অপশনে জগা খিচুড়ি।

    ৪। মাত্রাবৃত্ত হোক কি মিশ্রবৃত্ত-- শেষে বসে থাকা রুদ্ধদল দুই মাত্রারই হবে। ও মুক্তদল এক মাত্রার। এই খানে কোন জারিজুরি নেই। যত নাচন কোঁদন সব মাঝখানে অথবা শুরুতে বসে থাকা রুদ্ধদলএর ক্ষেত্রে। তাই চোখ বুঁজে মুক্তদল ও আলাদা ও শেষে থাকা রুদ্ধদলের মাত্রা দিয়ে দেখা যাক কি দাঁড়ায়।

    বি(১) ড়া(১) লাখ খি(১)/ বি (১) ধু (১) মু(১) খী(১)/ মু(১) খে(১) গন ধো(১)/ ছু (১) টে(১)
    আ (১) হা (১) তায়(২)/ রোজ (২) রোজ(২)/ কি (১) বা(১) রোজ(২)/ ফু (১) টে(১)

    এখানে দ্বিতীয় লাইনের প্রথম পর্বের দিকে তাকালে দেখা যায় যে প্রথম পর্বের মাত্রা সংখ্যা ৪। আ(১)+হা(১)+ তায়(২)=
    তবে ছন্দের নিয়ম মেনে প্রথম লাইনের প্রথম পর্বের মাত্রা সংখ্যাও ৪ মাত্রার হবে। কিন্তু সেখানে বিড়ালাক্ষী এর 'বি' 'ড়া' 'খি'- এই তিনটি মুক্তদল অলরেডি তিনমাত্রা নিয়ে নিয়েছে।
    তবে? মাঝখানে বসে থাকা 'লাখ' রুদ্ধদলটি একমাত্রার হলেই 'বিড়ালাক্ষী' চারমাত্রার হয়! অর্থাৎ 'লাখ' অন্তর্বর্তী রুদ্ধদলটি এক মাত্রিক।
    আর কোন ছন্দে শব্দের অন্তর্বর্তী রুদ্ধদল একমাত্রার হয়?
    নি:সন্দেহে মিশ্রবৃত্ত! তবে এই ছন্দটি মিশ্রবৃত্ত!

    ৫। এবার মিশ্রবৃত্তের পর্বের নিয়ম মেনে মাত্রাপর্ব বিভাগ--
    বি(১) ড়া(১) লাখ(১) খি(১)/ বি (১) ধু (১) মু(১) খী(১)/ মু(১) খে(১) গন(১) ধো(১)/ ছু (১) টে(১)
    আ (১) হা (১) তায়(২)/ রোজ (২) রোজ(২)/ কি (১) বা(১) রোজ(২)/ ফু (১) টে(১)

    মাত্রাপর্ব বিভাগ-- ৪///
    ///

    ছন্দটি মিশ্রকলাবৃত্ত ও পর্বমাত্রাবিভাগ ৪///

    এবার আসি শেষতম উদাহরণে।
    / কবিতা-- আরও একটি কবিতা নেওয়া গেল।
    চন্ডীমামা পশমি জামা পরে শীতের রাতে
    যাচ্ছিল এক রাত্রে পাড়ায় বিয়েবাড়ি খেতে।

    / পর্ববিভাগ করে নেওয়া যাক প্রথমে--
    পর্ববিভাগ করলে জিনিসটা দেখতে এমন হবে--

    চন্ডীমামা /পশমি জামা/ পরে শীতের/ রাতে
    যাচ্ছিল এক/ রাত্রে পাড়ায়/ বিয়েবাড়ি/ খেতে।

    / কানকে জিজ্ঞাসা করো--
    কান শুনে একটু ভুরু ভংগি করবে--- না বাপু, প্রত্নবৃত্ত নয়। ব্রজবুলি থাকলে তবে না প্রত্নবৃত্তর কথা ভাবব। মিশ্রবৃত্ত ও নয়। হলে এমন শুনে আমোদ পেতে না। উলটে নাক ডাকিয়ে ঘুমুতে শুরু করতে।
    তবে?
    দলবৃত্ত ও হতে পারে। মাত্রাবৃত্ত হওয়াও অসম্ভব নয়। কারণ মাত্রাবৃত্তও দ্রুতগতির হতে পারে। দলবৃত্ত তো দ্রুতগতিরই হয়।
    তবে?
    যাক গে, তাও তো দুটো অপশন পাওয়া গেল! এবার পরের ধাপ।

    /মুক্তদলকে মাত্রা দিতে হবে--
    এইখানে রুদ্ধদল নিয়ে একটু চাপ আছে। রুদ্ধদল দলবৃত্তে একমাত্রার, কিন্তু মাত্রাবৃত্তে দুই মাত্রার। তাই রুদ্ধদলের ধারেকাছেও যামু না। আগে মুক্তদলকে একমাত্রা দিয়ে দেখে নিই কেসটা কি দাঁড়ায়।

    চন ডী (১) মা (১) মা(১)/ পশ মি(১) জা(১) মা(১)/ প (১)রে(১) শী(১) তের / রা(১) তে(১)
    যাছ ছি(১) লো(১) এক/ রাত রে(১) পা(১) ড়ায়/ বি(১) এ(১) বা(১) ড়ি(১)/ খে(১) তে(১)

    / ফাঁকিবাজি--
    এবার দেখে নেবো যে কোথায় বা কোন পর্বে একটাও রুদ্ধদল নেই। শুধু মুক্তদল আছে। মুক্তদল নিয়ে কোনও চাপ নেই। সে বেচারা সবসময়ই একমাত্রার।
    অনেক খুঁজে খুঁজে দ্বিতীয় লাইনের তৃতীয় পর্বের 'বিয়েবাড়ি' শব্দটা পাওয়া গেল। ওখানে একটাও রুদ্ধদল নেই। সবটাই মুক্তদল। বি এ বা ড়ি-- এই চারটি মুক্তদল নিয়ে ঐ পর্বটি চারমাত্রার হল।
    যেহেতু ঐ পর্বটি চারমাত্রার হল তার মানে তার ঠিক উপরের পর্বটিও চারমাত্রার হবে। অর্থাৎ প্রথম লাইনের তৃতীয় পর্ব-- মানে 'পরে শীতের' অংশটির মাত্রাও সব মিলিয়ে চারমাত্রা হবে।
    কিন্তু 'প' 'রে' 'শী' এই তিনটি মুক্তদল অলরেডি তিনমাত্রা নিয়ে বসে আছে। তাহলে 'তের' রুদ্ধদলটি একমাত্রার হবে।
    আর রুদ্ধদল একমাত্রা হওয়ার মানেই ছন্দটা কোনমতেই মাত্রাবৃত্ত নয়। মাত্রাবৃত্তে রুদ্ধদল সবসময়ই দুই মাত্রার।
    রুদ্ধদল একমাত্রা মানেই ছন্দটি দলবৃত্ত। তাতে কোন সন্দেহ নেই।

    ৬। এবার দলবৃত্তের নিয়মানুযায়ী মাত্রা বসিয়ে পর্বমাত্রাবিভাগ নির্ণয় করতে হবে।

    চন(১) ডী (১) মা (১) মা(১)/ পশ(১) মি(১) জা(১) মা(১)/ প (১)রে(১) শী(১) তের(১) / রা(১) তে(১)
    যাছ(১) ছি(১) লো(১) এক(১)/ রাত(১) রে(১) পা(১) ড়ায়(১)/ বি(১) এ(১) বা(১) ড়ি(১)/ খে(১) তে(১)

    সবমিলিয়ে হল ৪///
    ///

    অতএব
    কবিতাটি দলবৃত্ত ছন্দে আছে। এবং এর পর্বমাত্রাবিভাগ ৪///

  • sayantani | 123.236.96.48 | ২২ নভেম্বর ২০১০ ২১:৪০391597
  • ছন্দশিক্ষা এখানেই শেষ হল।

    উপস্থিত এই অবধি বলেই শেষ করার তালে ছিলাম। কিন্তু একজন আবার একখানা নতুন উৎপাত ঘাড়ে গছিয়েছেন যার নাম মন্দাক্রান্তা। মন্দাক্রান্তা প্রসঙ্গে কয়েকটি কথা বলেই পলায়ন করিব। তার আগে একটু মন্দাক্রান্তা প্রসঙ্গে বলে নিই।

    মন্দাক্রান্তা!
    নামটা শুনলেই কেমন আত্মারাম খাঁচাছাড়া হতে চায়। কি গুরুগম্ভীর নাম রে বাবা! ম-ন-দা-ক্রা-ন্তা-আ-আ-আ! নাম শুনেই তো পিলে চমকে গেল!অনেকেই ভিতরের ছন্দটা জেনে কাজ নেই ভেবেই পা বাড়িয়ে রাখছেন। বিপদ দেখলেই বেমালুম চম্পট দেওয়ার তালে আছেন অনেকেই। তাদের আশ্বস্ত করেই বলি মন্দাক্রান্তাকে যতটা পারি সহজ করেই বলবো। কিন্তু এ একেবারে কুকুরের ল্যাজ। কিছুতেই সোজা হয় না!!!!!
    মন্দাক্রান্তা হচ্ছেন সংস্কৃত সাহিত্যের অন্যতমা হেভিওয়েট ছন্দ। এই ছন্দটি নানান নিয়মে বদ্ধ হওয়ার জন্য বাংলায় ব্যবহার করার আগে এর সংস্কৃত ফর্মটির কিছু অদল বদল করতে হয়েছে। বাংলার কথায় পরে আসবো। আগে সংস্কৃতটির কথায় আগে আসি।
    মন্দাক্রান্তার একটি গালভরা সংজ্ঞা আছে যেটিকে বলে মানুষের পিলে চমকে দিয়ে যারপরনাই আহ্লাদিত হওয়া যাবে। তাই আগে পন্ডিতি একটু ফলিয়ে নিই।
    সেটি হল--

    'মন্দাক্রান্তাম্বুধি রসনগৈর্মোভনৌ তৌ গ-যুগ্মম'

    যাকে বলা হবে তিনি পরমুহূর্তেই 'বুধি...বুধি...গম...গম...' বলতে বলতে ফেইন্ট হয়ে ধ্রাস করে পতন ও মুচ্ছোপ্রাপ্ত হবেন। তাই এটিকে বাংলায় বলার একটু চেষ্টা করলাম--
    ''মন্দাক্রান্তা ছন্দের পাদে ম-ভ-ন-ত-ত-গ-গ গণগুলি ক্রমানুসারে বিন্যস্ত হয়। চতুর্থ , ষষ্ঠ ও সপ্তম অক্ষরে ক্রমাণ্বয়ে যতি পরে।'
    গণ আর কিছুই না লঘু গুরু শব্দের বিন্যাস। ম, ভ, ন, ত,ত,গ,গ এর আসল রূপ এরকম--
    ম-তিনটে গুরু ভ-প্রথমটা গুরু পরের দুটো লঘু ন-তিনটেই লঘু ত-শেষেরটা লঘু প্রথম দুটো গুরু ত--শেষেরটা লঘু গ-গুরু গ--গুরু
    সংস্কৃতে মন্দাক্রান্তার নিয়ম এমনই। এবং মনে রাখতে হবে যে সংস্কৃতে মন্দাক্রান্তা লেখার নিয়মই ছিল এক একটি লাইনের অক্ষর সংখ্যা ১৭ হতে হবে। এবং লঘু গুরু দুই জাতীয় শব্দ নিয়েই মাত্রা সংখ্যা ২৭ হতে হবে। পর্ব মাত্রা বিভাগ হবে অনেকটা এই রকম--
    ///
    সব মিলিয়ে ২৭ মাত্রা।

    সংস্কৃত মন্দাক্রান্তার একটি উদাহরণ--

    'কশ্চিৎ কান্তা বিরহ গুরু না স্বাধীকার প্রমত্ত'

    এটার মাত্রা বিভাগ দেখাতে গেলে সমস্তটাই ঘেঁটে 'ঘ' হতে পারে। তাই একটা বাংলা উদাহরনই নেওয়া যাক।

    বাংলায় কিন্তু অত জটিলতা নেই। কারণ বাংলায় লঘু গুরু শব্দের নিয়ম নেই। তাই মন্দাক্রান্তা এখানে অনেকটাই মুক্ত। কিন্তু নিয়মাবলী পিছু ছাড়ে কই! বাংলায় মন্দাক্রান্তা লিখতে গেলে বা পড়তে গেলে যে বৈশিষ্ট্যগুলির দিকে খেয়াল রাখতে হয় তা হল--
    ১। মন্দাক্রান্তা বেশ দুলে দুলে চলে। ভাগ্যে সংস্কৃত জমানায় ফিদা হুসেন সাহেব ছিলেন না। নয়তো নির্ঘাৎ এই ছন্দের নাম রাখতেন 'গজগামিনী'। শুনলেই মনে হয় ছন্দটা হাতির পিঠে চেপে দুলকি চালে চলেছে! আর সেই জন্যই তার নাম মন্দাক্রান্তা। অর্থাৎ মন্দ + আক্রান্তা! তথা মন্দগতির দ্বারা যিনি আক্রান্ত হয়েছেন।

    ২। সব মিলিয়ে মাত্রাসংখ্যা ২৭ হবেই।
    ৩।অরুদ্ধদল ২ মাত্রার, মুক্তদল এক মাত্রার
    ৪। মন্দাক্রান্তার লাইনের প্রথম পর্বের চারটি ধ্বনি কে রুদ্ধদল হতেই হবে। দ্বিতীয় পর্বের প্রথম পাঁচটি ধ্বনি মুক্ত ও শেষেরটি রুদ্ধ দল হবে। তৃতীয় পর্বের প্রথমটি মুক্ত, পরেরটি রুদ্ধ, তৃতীয়টি মুক্ত এবং পরের দুটি রুদ্ধ। এবং শেষ পর্বের একটি মুক্ত ও দুটি রুদ্ধদল থাকা আবশ্যিক।

    উদাহরণ---

    পিঙ্গল বিহ্বল ব্যথিত নভতল কই গো কই মেঘ উদয় হও।

    পিঙ্গল বিহ্বল/ ব্যথিত নভতল/ কই গো কই মেঘ/ উদয় হও।
    পিং(রুদ্ধ)(২) গল(রুদ্ধ)(২) বিউ(২)(রুদ্ধ) ভল(২)(রুদ্ধ)/ ব্য(মুক্ত)(১) থি(মুক্ত)(১) ত(মুক্ত)(১) ন(মুক্ত)(১) ভো(মুক্ত)(১) তল(রুদ্ধ)(২)/ কই(রুদ্ধ)(২) গো(মুক্ত)(১) কই(রুদ্ধ)(২) মেঘ(রুদ্ধ)(২) / উ(মুক্ত)(১) দয়(রুদ্ধ)(২) হও(রুদ্ধ)(২)।

    পর্বমাত্রাবিভাগ--৮///
    সংস্কৃত সাহিত্যে লঘু গুরুর বিন্যাসে মাত্রা গোনা হত। কিন্তু বাংলায় মুক্তদল ও রুদ্ধদলের মাধ্যমে।

    এই হল মোটামুটি মন্দাক্রান্তার প্রাথমিক পরিচয়।

    এর বেশি জানতে হলে বই পড়ে দেখে নাও বাপু। অনেক চম্‌ৎকার চম্‌ৎকার বই আছে এ বিষয়ে। আমায় আর জ্বালিও নি!......

    (সমাপ্ত)

  • pathak | 151.141.84.114 | ২২ নভেম্বর ২০১০ ২২:২৬391598
  • এটার ছন্দ?

    যেমন আমি ভুলে গিয়েছিলাম সব যুদ্ধই আসলে অন্তহীন
    জীবনের বীজকম্প্র, যৌবনের প্রতীক!
    এইভাবে ভ্রমণে যাওয়া ঠিক হয়নি আমার হৃদয়ে হয়তো কিছু
    ভুলভ্রান্তি ছিল,
    আমি পুষ্পের বদলে হাতে তুলে নিয়েছিলাম পাথর!
    আমি ঢুকে পড়েছিলাম একটি আলোর ভিতরে, সারাদিন আর ফিরিনি!
    অন্ধকারে আমি আলোর বদলে খুঁজেছিলাম আকাশের উদাসীনতা!
    মধু- বদলে আমি মানুষের জন্য কিনতে চেয়েছিলাম মৌমাছির
    সংগঠনক্ষমতা!
    [ভ্রমণ যাত্রা, আবুল হাসান]

    এটার ছন্দ?

    এখন অন্যেরা কার করুণার ভিক্ষা চায়- যাবো
    তাদের গলায় দেবো আমার আরাধ্য মালা, সকলের ভালো।
    আমাকে গ্রহণ করতে হবে সব মানুষের উত্থান পতন;
    জয় পরাজয় বোধ, পিছু ফেরা সামনে তাকানো-
    আমার অনলে আজ জাগো তবে হে জীবন, জয়শ্রী জীবন!
    [জলসত্তা, আবুল হাসান]
  • ranjan roy | 122.168.241.21 | ২২ নভেম্বর ২০১০ ২২:৫৩391599
  • মুক্তছন্দ:, হিন্দিতে বলে মুক্তক।:))))
    আপাত কোন নির্দিষ্ট মাত্রা বা পর্ব বিভাগ নেই,
    কিন্তু একটি অন্ত: সলিলা চাল বা চলার গতি আছে, তাই দিয়ে আটপৌরে গদ্য এবং
    গদ্যকবিতায় ফারাক হয়।
    ঠিক যেভাবে শার্ট-প্যান্ট পরলেও মেয়েদের মেয়ে বলে চেনা যায়, ছেলে বলে ভুল হয় না (কিছু ব্যতিক্রম বাদে), তেমনি।:)))))))
  • tatin | 130.39.149.32 | ২২ নভেম্বর ২০১০ ২৩:১৪391601
  • যেমন আমি ভুলে গিয়েছিলাম সব যুদ্ধই আসলে অন্তহীন
    -----

    আম যদি সিম্পল অক্ষরবৃত্ত মেনে সাজাই:
    যেমন আমি /ভুলে গিয়েছিলাম/ সব যুদ্ধই /আসলে অন্ত/হীন ৫-৭-৬-৬-২

    পড়ার ঝোঁকে ওটা ১২-১২-২ হবে, যে জন্যে পড়তে গেলে গিয়েছিলাম-এর লাম-এ একটা ঝোঁক পড়ছে
  • sayantani | 123.236.96.48 | ২২ নভেম্বর ২০১০ ২৩:১৬391602
  • গদ্যছন্দ। অক্ষরবৃত্ত।
  • I | 14.96.198.193 | ২৩ নভেম্বর ২০১০ ০০:৪৬391603
  • সায়ন্তনীকে একঘর fc:-))))
  • I | 14.96.198.193 | ২৩ নভেম্বর ২০১০ ০০:৪৯391604
  • এই টইটাকে যেন হারিয়ে দিওনি বাপসকল ! আমার মাঝেমধ্যেই রিভিশন দিতে হব্যেক।
  • Shibanshu | 59.93.74.169 | ২৩ নভেম্বর ২০১০ ১০:৪২391605
  • সায়ন্তনীকে যাবতীয় ইতিবাচক বিশেষণসহ ধন্যবাদ।
  • Somnath | 85.154.255.42 | ২৩ নভেম্বর ২০১০ ১৯:২৯391606
  • এইতো। ফাটাফাটি। এবারে জনতা আমারে গালি দেওয়া বন্ধ করবে মনে হয়।

    সায়ন্তনী যখন এতটাই লিখলেন, গদ্যছন্দ আর তার লাইন ব্রেক (মানে লিখতে গেলে কোথায় লাইন শেষ করা হবে) করা নিয়ে দুকথা বলেই যান। ঐটা নিয়েও লোকের প্রচুর প্রশ্ন থেকে এসেছে। যতি-র ব্যপারটা।
  • dhus | 85.154.255.42 | ২৩ নভেম্বর ২০১০ ১৯:৩৭391607
  • ** আর যতির ব্যপারটা।
  • Arpan | 204.138.240.254 | ২৪ নভেম্বর ২০১০ ১৫:৫৭391608
  • সায়ন্তনীকে হাজারখানেক গান স্যালুট।
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১০ ১৮:১০391609
  • সায়ন্তনীদি গোটা বই লিখে দিয়ে গেলেন, তবু আমার প্রশ্ন আর শেষ হয় না। আগাম ক্ষমাপ্রার্থী। কি করব, বই ঘেঁটেও সিওর হতে পারছি না।

    নীচে একটা লাইন দিচ্ছি, হাসবেন না প্লীজ। এটা কস্মিনকালেও কোনো কবিতার লাইন হতে পারে না, কিন্তু অক্ষরবৃত্তে এই প্যাটার্নটা চলে কিনা সেটাই জিজ্ঞাস্য।

    *****
    দেখেছি অজস্র বাহাদুরী তার এবম্বিধ কাজে।
    *****

    এর স্ক্যানিংঅটা কি এরকম ধরতে পারি ৮+৮+২ এ?

    দেখেছি অজস্র বাহা / দুরী তার এবম্বিধ / কাজে।

    মানে, ৪ অক্ষরের কোনো শব্দকে কি প্রথম আটের খাতিরে কেটে নিতে পারি? অবশ্যই হসন্তস্বর নেই বা বে-জায়গায় পড়ছে না এরকম।

  • . | 125.20.3.146 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১০ ০৯:৫৯391610
  • ।।
  • Souva | 122.177.194.101 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:৩০391612
  • @sayantani

    অসাধারণ লেখা। খুব সুন্দর ছন্দের প্রাইমার। এতো খেটেখুটে এ রকম একটা লেখা দাঁড় করানোর জন্যে অসংখ্য কুর্নিশ। টই-টা সেভ করে রাখলুম।
  • Souva | 122.177.194.101 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:৩৩391613
  • @ Kartuj

    আমার ধারণা এই প্যাটার্ণ অক্ষরবৃত্তে চলে। যদিও খুব গোঁড়া ছান্দসিক হয়তো শব্দ ভেঙে পড়তে হচ্ছে দেখে নাক সিঁটকোবেন, কিন্তু এই প্যাটার্ণ চলে।
  • sayantani | 123.236.96.249 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১০ ১৩:১৯391614
  • হ্যাঁ, এই প্যাটার্নটা মিশ্রবৃত্ত তথা অক্ষরবৃত্তেই পড়ে। কার্তুজ ঠিকই বলেছেন।
  • Kartuj | 59.93.254.200 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১০ ২০:৫৫391615
  • নিশ্চিন্ত। থ্যাংকিউ সায়ন্তনী-দি। :-))
  • amit | 128.103.93.245 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১০ ২১:০৫391616
  • অপরাধ ক্ষমা করা হোক---- সায়ন্তনী, এই প্যাটার্ন টা ছন্দ, পর্ব হিসাবে ঠিক ই আছে, কিন্তু পড়তে গেলে কেমন একটা লাগছে, কানে না মনে জানি না, কিন্তু লাগছে।
  • Tim | 198.82.18.219 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:০০391617
  • বিশ্লেষণগুলো বড়ো ভালো, প্রাঞ্জল। বহুত কাজের জিনিস হয়েছে এই লেখাটা। থ্যাঙ্কু।
  • Souva | 122.248.183.1 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:১৫391618
  • শব্দকে ভেঙ্গে পড়তে অনেকেরই অসুবিধে হয়। কিন্তু এ জিনিস বিরল নয়, এমন কি, ক্লাসিকাল বাংলা কবিতায়-ও।

    ওপরেই একজন উদাহরণ দিয়েছেন--

    "ভর করেছিলো সাতটি অমরাবতী'

    এখানে "অমরাবতী'-কে "অমরা/বতী' হিসেবে পড়ছি।

    আবার দাদুর গানে--

    "ও রজনীগন্ধা তোমার গন্ধসুধা ঢালো'

    এটা পড়তে গেলে (গাওয়ার সময়েও), এইভাবে ভাঙতে হয়--

    "ও রজনী/গন্ধা তোমার/ গন্ধসুধা/ ঢালো'

    যদিও গানের ক্ষেত্রে একেকটি পর্বে মাত্রার কম-বেশি-কে প্লুতস্বর (dipthong, টান, তান ইত্যাদি) দিয়ে মেক-আপ করা হয়। ইন ফ্যাক্ট, ঐখানেই সুরের অনুপ্রবেশ।
  • Souva | 122.248.183.1 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:২৮391619
  • আচ্ছা, সায়ন্তনী-র (দিদি, মাসি ইত্যাদি বল্লুম না, কারণ কিছুদিন আগেই আবিষ্কার করেছি যে জনৈক ভার্চুয়ালি পরিচিত ব্যক্তি, যাকে এতোদিন "দাদা' বলতুম, আসলে আমার থেকে ২ বছরের ছোটো। আর লোকে ভাবলো আমি বয়েস ভাঁড়াচ্ছি! ) কাছে আমার একটা প্রশ্ন আছে।

    সংস্কৃত ছন্দে ঐ দীর্ঘ আর হ্রস্ব স্বরের প্যাঁচালটা আমার বরাবরই খুব গোলমেলে লাগে। কিছুতেই বুঝতে পারি না কোনটা দীর্ঘ আর কোনটা হ্রস্ব। আন্দাজে বুঝি যে "ঈ' নির্ঘাৎ দীর্ঘ আর "ই' হ্রস্ব, কিন্তু বাকিগুলোর ক্ষেত্রে? যুক্তাক্ষরের ক্ষেত্রে-ই ব কী নিয়ম?

    এই সমস্যাটা ইংরিজি ছন্দেও হতো (আফটার অল, বাংলা মিডিয়ামে পড়েছি, উরুশ্চারণ ততোটা দুরস্ত নয়), কেননা সেখানেও ঐ long আর short vowel-এর ক্যাঁচালটা আছে। তবে যাই হোক, বৌয়ের কাছে কেলাশ করে, ক্রমশ সেই গাঁটটা পার হওয়া গ্যাছে। এখন সমোস্কেতোটা যদি, এই ছন্দের কেলাশে অল্প হলেও বোঝা যায়, মানে জাস্ট ওপর-ওপর।

    কি সুন্দর সব ছন্দের নাম সমোস্কেতো-য়-- মন্দক্রান্তা, মালিনী, শার্দূলবিক্রীড়িত! বৌ-কে একবার বলেছিলুম মেয়ে-র নাম রাখবো মন্দাক্রান্তা আর ছেলে-র শার্দূলবিক্রীড়িত, বেশ একটা কাব্যিক ফেমিলি হবে! সেই শুনে খুন্তি নে তাড়া করেছেলো!
  • Samik | 155.136.80.174 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:৪৩391620
  • স্বাভাবিক। তুমি পরের স্টেপেই বাড়ির নাম রাখতে কিংকর্তব্যবিমূঢ়, আর সেটা পুরো সোসাইটির পক্ষেই অশুভ হত।

    খুন্তি অতি উপকারী জিনিস।
  • Souva | 122.248.183.1 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:০০391621
  • et tu Brute! :-(
  • Tim | 173.163.204.9 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:০৬391623
  • :-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন