এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • স্বচ্ছন্দে ছন্দ শিখুন: আনন্দ পুরস্কার গ্যারান্টেড

    `'
    অন্যান্য | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ | ৮২২৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • san | 203.91.201.56 | ২৮ মে ২০১০ ১৭:০১391391
  • আমার সীমিত জ্ঞানে স্বরবৃত্তে দিও দুমাত্রা, দাও একমাত্রা, দিই একমাত্রা। কারণ সিলেব্‌ল অনুযায়ী ভাগ।

    ভুল হলে ভিকি বা সোমনাথদা ঠিক করে দেবে :-) বা অন্য কেউ।
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ২৮ মে ২০১০ ১৭:০৩391392
  • ঠিকই, তাহলে কই, দই এগুলো-ও ২ হবে, রাইট?
  • san | 203.91.201.56 | ২৮ মে ২০১০ ১৭:১১391393
  • সে কী? ওগুলো স্বরবৃত্তে একমাত্রা , মাত্রাবৃত্তে দুমাত্রা।
  • san | 203.91.201.56 | ২৮ মে ২০১০ ১৭:১২391394
  • মনে লয় কার্তুজদা আমারে মুর্গি করতাসেন :-((((
  • chhaandasik.R.huto | 203.99.212.54 | ২৮ মে ২০১০ ১৭:১৩391395
  • বৃত্ত গুনে এমন কি হবে মোক্ষলাভ
    চিত্তে জমে কালি ঝুল লুতাতন্তুজাল
    পিত্ত কফ বায়ু কোপ বাড়ে
    সন্দিগ্‌ধ আপদ স্বভাব
    পদে পদে মিল গুঁজে গুঁজে
    চক্ষু বুঁজে কাব্যরসধারা
    পাড়ায় পাড়ায় হুতো খুঁজে খুঁজে সারা
    ছন্দে বড় ত্রুটি, সমধিক জ্ঞানের অভাব
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ২৮ মে ২০১০ ১৭:১৯391396
  • না না, just verify করে নিচ্ছি। আমি সিরিয়াসলিই জিগেস করছি। থ্যাংকিউ স্যান। :-)

    তুমি আমায় মুর্গি করছো না তো? প্লীজ অন্য সবেতে করো আপত্তি নেই, এটায় করলে পুরো ওটাই মনে থেকে যাবে। সিরিয়াসলি বললে তো?
  • san | 203.91.201.56 | ২৮ মে ২০১০ ১৭:২৭391397
  • আমি প্রোচোন্ডো সিরিয়াস।
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ২৮ মে ২০১০ ১৭:২৯391398
  • যাক, নিশ্চিন্ত হওয়া গেল।
  • Somnath | 85.154.255.42 | ২৯ মে ২০১০ ১১:২৭391399
  • প্রিয় ফুল - টা রঞ্জনদা ঠিকই ভেঙেছেন। তবে ওটা ৪ এর মাত্রাবৃত্ত । সেইজন্যেই "উজ্বল দিন দিক্‌-অন্তে" লেখা। পুরোটা পড়লেই বুঝবে।

    ল্যাদোশদা। পূর্নিমা""র"" চাঁদ প্লীজ বলবেন না। এসব ইতিহাসের বিষয়। বড্ড গায়ে লাগে।

    কার্তুজ। বাবা, রবিঠাকুর লেখার বেশ পরে বাংলা ছন্দের এই ক্লাসিফিকেশন হয়েছে। প্রবোধচন্দ্র মশাই দাদুর সাথে বসে বসে ঘষে ঘষে বাংলা ছন্দ ব্যপারটা ফর্মালাইজ করেছেন। এসব ইতিহাসের বিষয়। বইতে লেখা আছে। পড়তে হয়।

    বাবরের প্রার্থনা সাতমাত্রার মাত্রাবৃত্তের ডেফিনেশন। কোথায় কাটছে মনে হয় বললে আমি হয়ত সাহায্য করতে পারি।

    বাংলা ছন্দ গ্রামারের মধ্যেই পড়ে। বি এ / এম এ ক্লাসে কলকাতা ইউনিভার্সিটির টেক্সট বই অমুল্যধন বাবুর বইটি।

    ল্যাদোশদা। ফ্রি ভার্স এর খোঁজে হন্যে হয়ে গেলেন শঙ্খ ঘোষ। ছন্দের বারান্দা পড়তে হবে। এখন যে কেউ যদি কিছু একটা টলোমলো ছন্দে লিখে বলে এই তো ফ্রি ভার্স, লোকে হাসবে। অমিয় চক্কোত্তির লেখায় ফ্রি ভার্স এর দেখা মেলে খানিক।

    কার্তুজ দিও প্রিয় একটি ধ্বনি না দুটি ধ্বনি এই নিয়ে সমস্যা থাকলে ক্লাস ফাইভ সিক্স এর বাংলা গ্রামার বই পড়তে হবে। যেখানে ধ্বনি, বর্ণ এসবের সংঞ্জা ছিল। সিলেবল এর ডেফিনেশন জানতে হবে। ইয়ার্কি নয়, বা চাপ দিচ্ছি না। তবে বয়স বাড়লে আমরা অনেক বেসিক জিনিস ভুলে যাই। WBCS এর জন্যে লিঙ্গুইসটিকস বলে একটা জিনিস পড়তে হয়। তার জন্যে আমাকেও ঐ ৫-৬ এর গ্রামার বই খুলতে হয়েছিল।

    স্যান ঠিক।
  • lcm | 69.236.166.15 | ২৯ মে ২০১০ ১৩:২৩391401
  • ফুটকি-র বিশ্লেষণটি ভালো, বিশেষ করে যেসব কবিতা ছন্দহীন একটানা গদ্যের মতন মনে হয়, তাতেও একটা প্যাটার্ন থাকে - এই ব্যাপারটা নিয়ে। যদিও সব ফর্ম না জানলে ফ্রি ফর্মে লেখা যায় না - এটা থিওরেটিক্যালি ফুল অফ্‌ সেন্স হলেও....

    বিক্রম-এর অবশ্য এর উত্তর কিছুটা দিয়েছে, প্যাটার্ন রেকগ্‌নিশন্‌... কোনো এক্সিস্টিং প্যাটার্নের সাথে ম্যাচ বা নতুন প্যাটার্ন তৈরীও হয়ে যেতে পারে।

    সোমনাথ-কে ধন্যবাদ - ছন্দের ফান্ডা যে বাংলা গ্রামারের সিলেবাসে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর লেভেলে পড়ানো হয় এটা জানতাম না।

  • lcm | 69.236.166.15 | ২৯ মে ২০১০ ১৪:৫০391402
  • সরি সোমনাথ, "র" টির জন্য....
  • Kartuj | 59.93.216.29 | ২৯ মে ২০১০ ১৯:৫৪391403
  • এই রে আবার সোমনাথের খিস্তির মুখে পড়ে গেলাম। পরে হয়েছে এই formalizationটা সেটা আবার কোথা থেকে জানবো? তবে একটা জিনিস ভালো হয়েছে, ছন্দ জিনিসটা বুঝতে এসে সি প্লাস প্লাস/জাভা/ডট নেট-এ কোড করতে গিয়ে যে একটু টাফ লাগত আর লাগছে না। ওগুলো একেবারে জলের মত সোজা হয়ে গেছে এখন।

    তবে একটা খটকা এলো মনে, স্বরবৃত্ত/মাত্রাবৃত্ত/অক্ষরবৃত্ত তো শিখলাম বই পড়ে। মানে defnটা বোঝা গেল। তো, প্রিয় ফুল-টা ঐ ৪ লাইনে তো স্বরবৃত্ত ৯+৮+৯+৮ এ পড়ে গেল। এটা বোধায় হয় না, নাকি? কিন্তু স্বরবৃত্ত ৮+৬+৮+৬ তো হয় ওপরে যা দেখলাম সেদিন। 'উঙ্কÄল দিন' ইত্যাদি ওটা তো এখানে ৪ লাইনে নেই। পুরোটা আমার জানাও নেই। তো ঐ ৪ টে লাইন মাত্রাবৃত্ত হল ঠিক আছে, কিন্তু ৯+৮+৯+৮ এ পড়েও কেন স্ব.বৃ. নয়? আবার খিস্তি খাবো, খাই আর কি করব... ৫-৬ ক্লাসে তো আর ভর্তি নেবে না এই বয়েসে। সেসব বইও আর নেই।
  • ranjan roy | 122.168.211.84 | ৩০ মে ২০১০ ০০:২২391404
  • কার্তুজ,
    ফুটকি অরুণ মিত্রের কবিতার উদাহরণ দিয়ে ব্যাপারটা চমৎকার স্পষ্ট করেছেন। কম বয়েসে অন্তত: অরুণ মিত্রের গদ্য কবিতা পড়লে কবিতা মনে হত না। কিন্তু বিষ্ণু দের ""টপ্পা-ঠুংরি'' পড়লে কবিতা মন এহত, সমর সেন--হত না। বয়েস হলে অরুণ মিত্র- সমর সেনের ভক্ত হয়ে গেলাম।
    কাজেই তুমি কবিতা লেখ, নিজে হাতে তাল দিয়ে দেখ ছন্দ ( তা সে যাই হোক, "শার্দূলবিক্রীড়িত' হলেও ক্ষতি নেই) ইউনিফর্ম আছে কি না, তোমার কানে ঠিক লাগছে কিনা, তালেই হল। নইলে যদি প্রতিপদে ভাবতে থাক যে এটা মাত্রা, না অক্ষর , না স্বর? কোন বৃত্ত? তাহলে মাইরি কবিতা লেখা এগোবে না। তুমি কি হতে চাও কবি? না ছান্দসিক?
    প্রবোধ চন্দ্র সেন ছান্দসিক, রবীন্দ্রনাথ কবি! ভেবে দেখ।
    আমাদের শ্রদ্ধেয় ছান্দসিক সোমনাথের স্ত্রী কহিপ্তাশার ""রাধিকা'' সিরিজ পড়ে চোখের জল ফেলেছেন, কিন্তু সোমনাথের কোন ছন্দের ওপর গম্ভীর পোবন্ধ পড়ে কেঁদেছেন? তবে?
  • Somnath | 85.154.255.42 | ৩০ মে ২০১০ ১৭:০৫391405
  • মে-দিনের কবিতা/সুভাষ মুখোপাধ্যায়

  • Somnath | 85.154.255.42 | ৩০ মে ২০১০ ১৭:০৬391406
  • মে-দিনের কবিতা/সুভাষ মুখোপাধ্যায়

    প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য
    ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা,
    চোখে আর স্বপ্নের নেই নীল মদ্য
    কাঠফাটা রোদ সেঁকে চামড়া।

    চিমনির মুখে শোনো সাইরেন-শঙ্খ,
    গান গায় হাতুড়ি ও কাস্তে--
    তিল তিল মরণেও জীবন অসংখ্য
    জীবনকে চায় ভালবাসতে।

    প্রণয়ের যৌতুক দাও প্রতিবন্ধে
    মারণের পণ নখদন্তে;
    বন্ধন ঘুচে যাবে জাগবার ছন্দে,
    উঙ্কÄল দিন দিক-অন্তে।

    শতাব্দীলাঞ্ছিত আর্তের কান্না
    প্রতি নিশ্বাসে আনে লজ্জা।
    মৃত্যুর ভয়ে ভীরু বসে থাকা, আর না--
    পরো পরো যুদ্ধের সজ্জা।

    প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য
    এসে গেছে ধ্বংসের বার্তা,
    দুর্যেআগে পথ হয় হোক দুর্বেআধ্য
    চিনে নেবে যৌবন-আত্মা।
  • Kartuj | 59.93.194.157 | ৩০ মে ২০১০ ২০:০৬391407
  • থ্যাঙ্কিউ সোমনাথ 'মে দিন'-টা তুলে দেয়ার জন্যে। এবার আমার উত্তরটা নিজেই পেয়ে যাচ্ছি মনে হচ্ছে।

    রঞ্জন-দা, আপনার কথাগুলো খুব ভালো লাগলো। :-)
  • Somnath | 85.154.255.42 | ২৬ জুন ২০১০ ১৫:১৫391408
  • তো, কবিতার ক্লাস পড়ে ছন্দ শেখা গেল। নেসফীল্ড পড়ে গ্রামার শেখার চেয়ে বেশি কিছু নয়। এবার ক্ষি?

    একটু সিরিয়াস লেখালেখি পড়ে দেখা যেতে পারে। জয়ের রৌদ্রছায়ার সংকলন, সংশোধন ও কাটাকুটি, শঙ্খ ঘোষের কবিতার মুহূর্ত, সুনীল গাঙ্গুলীর ও এরকম কি একটা বই আছে। আরো প্রচুর আছে বাজারে। যাতে কিছু কবিতা নিয়ে অ্যানালিসিস, ভালোলাগা শেয়ার করা আছে। কোন জিনিসটা অনেকরকম অর্থ নিয়ে ধরা দিচ্ছে, সেসব আলোচনা করা আছে। একটু ডেপথ বাড়বে। লেখা লাইনগুলো, শুধু আক্ষরিক অর্থের বাইরে যে সম্ভাবনাগুলোর জানলা খুলে দিচ্ছে, সেগুলো অ্যাপ্রিসিয়েট করার শুরু।

    আর কিছু নতুন লেখালেখি পড়ার শুরু।
    দাদুর পরেই মন্দাক্রান্তা (একটা কবিতা সমগ্র বেরিয়েছে, বোধহয় প্রতিভাস থেকে?), শিবাশিস, পিনাকী, বিনায়ক, শ্রীজাত পড়লে একটা ঝটকা লাগে। কবিতা লেখার ভাষাটা এতটা পাল্টে গেছে দেখে। খুব ভালো এক্সপেরিয়েন্স। দাদু পড়ে, বা নজরুল, পাঠ সংকলন, সুকান্ত পড়ে যারা লিখতে শুরু করে তাদের জন্যে খুব দরকার। আর জয় পড়তে হবে। আনন্দ থেকে জয়ের আগের লেখাগুলো সব পাওয়া যায় তিনটে খন্ডে। লেখার আগে দেখার চোখটা পাল্টাতে খুব কাজে দেয়।

    সুনীল, শক্তি, শঙ্খ, বীরেন, নীরেন, বিষ্ণু, অরুণ, বিনয়, উৎপল .... এরকম একটা লম্বা লিস্ট আছে, সেগুলো সিরিয়াস লোকজন সমগ্র কিনে পড়া প্রেফার করে, কিন্তু প্রথমে দে'জ এর শ্রেষ্ঠ কবিতা সিরিজ গুলো কিনে পড়াটা বেটার। বেস্ট কাজগুলোর একটা হাতে গরম ফীল পাওয়া যায়। পরে ভালো লাগলে সবটা কিনে পড়া।

    দাদুর পরেই জয় শ্রীজাত ঘুরে, তারপর সুনীল শক্তি তে ফিরলে ভালো লেখা সম্বন্ধে কনসেপসনটা খানিক আনবায়াসড হয় বলে আমার নিজের ধারণা।

    এইসব পড়াশোনার পশে পশে নিজের লেখাটা চালিয়ে গেলে, একটা সাইকেল কমপ্লীট হওয়ার পরে পুরোনো লেখা দেখলে বোঝা যায়, এতদিন কি আল-ফাল লিখেছি।।

    সব শেষে জীবনানন্দ পড়বে। তখন বোঝা যায় লোকটা কে, কী করেছে বাংলা ভাষায়!! তালগাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে ... ইত্যাদি।

    ছন্দে রচনা লিখতে শেখার পরে খানিক কবিতা লিখতে শেখার জন্যে .....
  • aka | 24.42.203.194 | ২৭ জুন ২০১০ ০৮:২৬391409
  • কবিতা লিখতে হলে এসবরেও আগে প্রতিভা লাগে। যাদের আসে তাদের ভ্যাক ভ্যাক করে কবিতা বেরিয়ে আসে। যাদের আসে না, তাদের ঐ লাখে লাখে পড়ে টড়েও আসে না। তবে আসছে কি আসছে না, পাচ্ছে কি পাচ্ছে না, এতো কবির নিজেরই বোঝা উচিত। আমি যে কবিতা লিখতে পারি না সে কথা অন্য কেউ বললে মানবই না, যদ্দিন ছড়ানোর ইচ্ছে করবে ছড়াবো, পড়ি বা না পড়ি।
  • arindam | 59.93.193.72 | ২৭ জুন ২০১০ ১২:০৭391410
  • aka
    কবিতায় জন্মগত প্রতিভা! যে কোন সৃজনশীল কাজেই প্রতিভা লাগে, সেটা সবটাই জন্মগত, অর্জিত নয় এইরকম ভাবার কোন কারণ নেই। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বা শঙ্খ ঘোষের বই পড়লেই কবিতা লেখা যাবে এইরকম বোধহয় সোমনাথ বলেনি, ও অনেকের কবিতা পড়তে বলেছে কারণ অনেকসময়ই অনেক কবির ছন্দ জ্ঞান কান-নির্ভর। একেবারে টেকনিক্যালি ফারফেক্ট নাহয়েও একজন দারুণ ছন্দে কবিতা লিখতে পারে...
    আর ঐ যে লিখলেন "আসছে কী আসছেনা, পাচ্ছে কি পাচ্ছেনা,...' এইটা বুঝতে হলে পড়তে হবে, জ্যোতিষ চর্চা করলে হবে না।
  • Kartuj | 59.93.205.133 | ২৭ জুন ২০১০ ২০:৪৮391412
  • কবিতার ক্লাস শেষ করেও মাত্রাবিষয়ে একটা ছোট্ট কনফিউসন আছে -

    সবই, আজও এগুলো মাত্রাবৃত্তে ৩ ধরব না ২? ছবি, সাজো এদের সাথে মেলাতে গেলে এগুলো তো ২ মাত্রা। সেক্ষেত্রে সবি, আজো এরকম লিখে ২ মাত্রা বলে চালাতে পারি?

    আর একটা জিনিস -

    কোনো গদ্যকবিতা অক্ষরবৃত্তে লেখা তো যায় যাতে ছোটো বড় লাইনে কোনোটা ১৮ কোনোটা ১৪ বা ১০ অথবা শেষের ২ মাত্রা দরকার মত বাদ দিয়ে ৮ বা ১২ বা ১৬ তে লেখা যায় যাতে ৪+২ বা ৪+৪+২ বা ৬+২ প্যাটার্নে ভাঙা যায়। এটা তো বলাই আছে। কিন্তু অক্ষরবৃত্তের দিকে না গিয়ে শুধুমাত্র উপযুক্ত শব্দসংগতির মধ্যেই যদি কাব্যিক দ্যোতনা আনতে চেষ্টা করি সেটা কি ছন্দলঙ্ঘন বলে বিবেচ্য?
  • ranjan roy | 122.168.238.179 | ২৭ জুন ২০১০ ২৩:৪১391413
  • না-আ-আ।
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ২৮ জুন ২০১০ ০৯:৩৬391414
  • বুইলাম না। :-D
  • Somnath | 85.154.255.42 | ২৮ জুন ২০১০ ১২:৪৩391415
  • কিভাবে উচ্চারণ করতে / করাতে চাইছো তার ওপর সবি না সবই, আজও না আজো।

    ৩:
    সব-ই দেখেছি আমি বুঝেছিও সব
    কিছুই লাগেনি কাজে সমস্ত ঢপ।

    ২:
    সবই তোর কাছে মূল্যবিহীন সবই তোর কাছে ঢপ !
    বিভূতিভূষণ? পথের পাঁচালি কিংবা আরণ্যক!

    ২:
    আজও আছে সেই সূর্যডোবানো দিন
    আজও আছে সেই নক্সীকাঁথার মাঠ

    আজও আসেনি ফিরে বহুদূরে গিয়েছিল যারা ( : ৩ : )
    কিছু স্মৃতি পড়ে আছে, কিছু স্মৃতি আজও গতিহারা ( : ২ : )

    "উপযুক্ত শব্দসংগতির মধ্যেই কাব্যিক দ্যোতনা আনা"-র ব্যপারটা একটু লিখে বোঝাতে হবে। তারপর বাকিরা, মানে যারা পড়ছে তারা, "বিবেচনা"-টা করবে। :-P
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ২৮ জুন ২০১০ ১৪:০৪391416
  • বেশ, বুঝলাম।

    না আমার জিজ্ঞাস্য হচ্ছে,

    ধরা যাক কোনো একটি কবিতা মিলহীন ভাবে লিখতে গিয়ে দেখা গেল কোনো লাইনে অক্ষরবৃত্তে ১৮ বা ১৪ বা ১০ বা ৬ এরকম থেকে এক আধটা লাইনে ১৯ বা ১৫ বা ১১ এরকম হয়ে যাচ্ছে, যেখানে মাত্রা ঠিক রাখতে অন্য কোনো শব্দ লাগালে ঠিক ভাবটা ফুটছে না। তাতে কি পুরোটাই দফারফা? গদ্যকবিতার পাঠক কি এটা mandatorily একস্পেক্ট করে?

    কবিতার ক্লাসে তো 'ছন্দের সহজ পাঠ'-এ গল্পগুচ্ছের দুটি উদা দিয়ে দেখানো হয়েছে এই জাতীয় লেখায় তথাকথিত মাত্রা না থাকতেও কিভাবে পাঠকের মনে কাব্যিক বোধ জন্ম দেয়। বা অনেক কবিতার বইয়ে টানা গদ্যেও কিছু লেখা থাকে। যেমন, শক্তির দুপাতা জুড়ে টানা গদ্যে 'সুবর্ণরেখার জন্ম'। সেক্ষেত্রে নিয়মটা কেমন? সেখানে কি শুরুতেই ধরে নেয়া হয় যে, একেবারেই ছন্দের বারান্দা ইচ্ছাকৃত ভেঙে অন্য এক উৎকর্ষের প্রকাশ ঘটানো হয়েছে?
  • Souva | 125.18.104.1 | ২৮ জুন ২০১০ ১৫:১০391417
  • বেড়ে বেড়ে। অনেকদিন পর গুরু-তে ফিরে বেজায় ভাল্লাগছে।

    ছন্দ ব্যাপারটা কিন্তু মূলত: কানে শুনে বোঝার জিনিশ। মানে, আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তাই বলে। শুধু কর গুণে মেলানোর চেষ্টাটা একটু চাপের।
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ২৮ জুন ২০১০ ১৫:১৫391418
  • কানই আসল জাজ, সে তো একশবার। কিন্তু অনেক সময় এরকমও তো হতে পারে যে মিলহীনের কেসে ১৩/১৫/১৭ হয়েও কানে খারাপ লাগছে না। তখন করণীয় কি ?
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ২৮ জুন ২০১০ ১৫:২০391419
  • আর রবীন্দ্রনাথের গদ্যকবিতায় বেশ কিছু জায়গায় ১৮/১৪/১০ এরকম হতে হতে এক আধটা লাইনে ১৯ দেখেছি। নীরেনবাবু যেটা বলেছেন যে, অসবর্ণ মিলন (যে হিসেবে 'বাঁশি' তে , 'আকবর', 'বাদশার' ইত্যাদি কে কে ৩ ধরেছেন), সেটা আবার 'জিজ্ঞাসু পড়ুয়া' বলেছেন না ওগুলো ৪ ই ধরা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ নিজেও অসবর্ণ মিল দিতে চেয়েছিলেন কিনা জানা নেই। সেগুলোর ব্যাখ্যা কি?
  • Somnath | 85.154.255.42 | ২৮ জুন ২০১০ ১৫:৫৪391420
  • কোন্‌ জায়গায় ১৯ দেখেছো সেটা না বললে ক্ষি করে কমু?

    "আকবর বাদশার সঙ্গে" লাইনটাকে ৪+৪+২ পড়া যায়, আবার "আক্বর (৩)বাদ্‌শার (৩) সঙ্গে (২)" ৩+৩+২ ও পড়া যায়।

    অসবর্ণ মিলন সেটাকে ("১৯") বলেনি। ভুল বুঝেছো। কথ্য উচ্চারণের জন্যে হয়ে যাওয়া যুক্তাক্ষর, যা আসলে লেখা হরফে যুক্তাক্ষর নয় সেটাকে বলেছে।
    সুনীলবাবুর কবিতার উদাহরণ ("খিদির্পুর" না কি যেন ছিল?) দেওয়ার পরে ফ্লো তে এসে দাদুর কবিতাতেও ওরম অছে বোঝাতে ভুল উদা দিয়ে বসেছিলেন। প্রবোধচন্দ্র সেন এসে ছদ্মনামে বকে দিয়ে গেছেন। তখন নীরেনবাবু অন্য উদা দেখিয়ে ঠিক করেছেন। প্রবোধবাবু কিনা দাদুর সাথে বসে ছন্দ টন্দ বুঝেছেন, দাদুর মিস-ইন্টারপ্রিটেশন ঠিক নিতে পারেন না।

    (সুনীলদা আর নীরেনদা লিখতে গিয়ে ভিকির কথা ভেবে গুটিয়ে নিলাম ;-P )
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ২৮ জুন ২০১০ ১৬:৩৮391421
  • না না, 'অসবর্ণ মিল' বলতে ১৯ এর ব্যাপারটা নয়, হবেই বা কেন? ওটা ঠিকই বুঝেছি। আমি আসলে বলছি, দাদুর অন্য কোনো লেখায় যেখানে ১৯ দেখেছি, সেখানে অসবর্ণ মিল ধরলে খাপে পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু উনি কি সেটা করবেন বলেই করেছেন? খুব একটা তো তার উদা পাই না। বাঁশি-র ব্যাপারটা যেমন নাকচ হয়ে গেছে। আর, বাঁশি-তে ১৭/১৯ এর কেস নেই। অন্য এক জায়গায় দেখেছি, লাইন এখন মনে নেই, তাই দিতে পারলুম না। পরে সুযোগ পেলে quote করে জিগেস করব। বোধ হয় 'আরোগ্য' তে দেখেছি এক আধ জায়গায়।
  • omnath | 85.154.255.42 | ২৮ জুন ২০১০ ১৬:৫৫391423
  • খুঁজে পেলে দিও, আমারও কাজে লাগবে। শেখা হবে।

    এই সুযোগে শ্রীজাত /চন্দ্রিলের অন্তমিলের কায়দাটা আর শক্তির মাত্রাবৃত্ত- স্বরবৃত্তের মাখামাখি কেসটা নিয়ে আমার সিলেবল ভিত্তিক থিয়োরিটা দিয়ে ফেলতে পারি, দু-এক মাসের মধ্যেই। কিন্তু ইয়ে, প্রবোধবাবু বোধয় এখনো আছেন। সেটাই একমাত্র ভয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন