এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • স্বচ্ছন্দে ছন্দ শিখুন: আনন্দ পুরস্কার গ্যারান্টেড

    `'
    অন্যান্য | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ | ৮২৩২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১০ ১৩:০৮391624
  • সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের মে-দিন এর
    ২য় স্তবকে -

    তিল তিল / মরণেও / জীবন অ / সংখ্য
    জীবনকে / চায় ভাল / বাসতে

    ৪র্থ স্তবকে -

    প্রতি নিশ / শ্বাসে আনে / লজ্জা

    মাত্রাবৃত্ত ৪এর সার্কেল।

    শব্দ ভেঙে আনা আকছার আছে। সব জায়গায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পর্ববিভাগ আলাদা শব্দে হবে, এতটা দাবী সর্বত্র কি ঠিক? এত restrictionএ তাহলে তো ছন্দটাই হবে, বক্তব্যের সাথে আপস করতে হবে স্থানবিশেষে। সেটা নিশ্চয়ই বাঞ্ছনীয় নয় ? হয়ত বলবেন, ভাষার ওপর দখলের অভাব। সব সময়েই কি তাই? একটু ভেবে দেখলে ভালো হয়। 'যতিলোপ' বলে একটা জিনিস আছে, নীরেনবাবু বেশ গুছিয়ে লিখেছেন। যাঁদের এই সামান্য ভাঙাভাঙিতে আপত্তি, একটু পড়ে দেখে নিতে পারেন ঐ ১-২ পাতা।

    সায়ন্তনী-দি এই ব্যাপারটা নিয়ে আর একটু আলো ফেললে ভালো হয়।
  • ranjan roy | 122.168.105.189 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১০ ১৩:৩৩391625
  • ভাঙাভাঙিতে কোন আপত্তি নেই। লক্ষ্য চালটা ইউনিফর্মালি বজায় রাখা।
    ভাঙতে গিয়ে:
    দিল্লী লাহোরে যাক, যাক না আগ্রা,
    মাথায় পাগড়ি দেব, পায়েতে নাগরা।
  • amit | 128.103.93.245 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১০ ২১:৪৭391626
  • হুমম! শব্দ যে ভাঙ্গা হয়, তাতে আর সন্দেহ কি। কোন শব্দ ভেঙ্গে ছন্দ মেলালে কানে লাগবে না আর কোথায় লাগবে সেটা শুধু ছন্দ নয় শব্দ চয়নের এবং বাক্য গঠনের উপরেও নির্ভর করে এবং খুব বেশী ভাবেই করে, কোন বইতে আছে কিনা বলতে পারি না, তবে কবিতা পড়তে পড়তে এটা আমার মনে হয়েছে। তবে ঐ আর কি, ব্যাকরণ গত ত্রুটি নেই যখন তখন আর কি, আর ত্রুটি নিয়েও বহু লেখা উতরে যায় নিজস্ব গুণে, কাজেই পানসি ভাসুক আর কলার ভেলাই ভাসুক, লখীন্দর বাঁচলেই হল। সব ঠিক হ্যায়।
    পরিশেষে সায়ন্তনী কে আরও একবার অজস্র ধন্যবাদ এতটা পরিশ্রম করে আমাদের জন্য এমন সুন্দর ক্লাশের ব্যবস্থা করায়।
  • Kartuj | 59.93.217.251 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:০১391627
  • আমি কটা লাইন তুলে দিচ্ছি নীচে,

    আর্ত শব্দ বাঁধা তরণীর - মধ্যাহ্নের
    অব্যক্ত করুণ একতান, অরণ্যের
    স্নিগ্‌ধচ্ছায়া, গ্রামের সুষুপ্ত শান্তিরাশি
    ...

    কার লাইন বলাই বাহুল্য।

    বোঝাই যাচ্ছে পয়ার হয়েও প্রথম ৮ পেতে এর প্যাটার্ন একেবারে কপিবুক ৩+৩+২ বা ৪+৪ ফলো করছে না।

    যাঁর লাইন তিনি কিন্তু পয়ারে ওস্তাদ লোক ছিলেন। কাজেই ছন্দের রীতিনীতি সে সময় লিপিবদ্ধ হয়নি, সে যুক্তি অন্তত তাঁর পয়ারের ক্ষেত্রে খাটে না।

    অমিতবাবুর কাছে প্রশ্ন, এখানে কান (বা মন) কি বলছে?

    অন্যভাবে নেবেন না, সামান্য কৌতূহল মাত্র।
    আর এটা চললে ঐ ওপরের patternটাও দৌড়োনোর কথা, কারণ নিয়ম দুটোর জন্যে একটাই।

    সায়ন্তনী-দি, একবার এসে একটু এই ভ্রান্তির নিরসন ঘটান। আমারও খুব আগ্রহ যে অমিতবাবুর কান কেন একে মেনে নিতে পারছে না।
  • kumudini | 59.178.41.149 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:২০391628
  • কার্তুজ,অনেকদিন ভাটে আসোনি,চিন্তায় ছিলাম।লিখেওছি কয়েকবার।সব খবর ভাল তো?

    এখানে অন্য একটি অসাধারণ আলোচনা চলছে,ব্যাঘাত করার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
  • Souva | 122.177.180.179 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১০ ১৩:১৬391629
  • প্রথমত: কার্তুজের উদ্ধৃত লাইন-টা ঠিক পয়ার নয়, কিছুটা প্রবহমান পয়ারের ধাঁচ নিয়ে চলছে (ভুল বললে ধরিয়ে দিয়েন)। এটা এইভাবে পড়তে হয়--

    আর্ত শব্দ বাঁধা তরণীর**। - মধ্যাহ্নের* (১০+৪)
    অব্যক্ত করুণ একতান**। অরণ্যের* (১০+৪)
    স্নিগ্‌ধচ্ছায়া । গ্রামের সুষুপ্ত শান্তিরাশি**। (৪+১০)

    [**] দীর্ঘ ছেদ-চিহ্ন নির্দেশ করে। যেখানে ** বসেছে, সেখানে ভাবের পূর্ণ পরিসমাপ্তি। ফলে প্রচলিত পয়ারের ঢঙে প্রত্যেক লাইনের শেষে দীর্ঘ যতি দিলে ভাব ও ছন্দ দুয়েরই হানি ঘটবে। তাই এটিকে পয়ার বললেও, প্রবহমান পয়ারের কথা মাথায় রাখাই শ্রেয়।

    কিন্তু, আমি, ব্যক্তিগতভাবে, একে ঠিক পয়ার বা প্রবহমান পয়ার, কোনোটাই বলতে প্রস্তুত নই। কেননা, যদিও প্রতি লাইনে ১৪ মাত্রা রয়েছে, তবু এর লাইনগুলি ৮+৬-এর দুটি নির্দিষ্ট পর্বসমন্বয়ে গঠিত নয়। একে দশ ও চার মাত্রার দুটি পর্বে বিভক্ত অক্ষরবৃত্ত বললেই ঠিক হয় বলে আমার ধারণা।

    (জোর করে ৮+৬-এ ভাঙলে এই রকম দাঁড়ায়--

    আর্ত শব্দ বাঁধা তর। ণীর মধ্যাহ্নের
    অব্যক্ত করুণ এক। তান অরণ্যের
    স্নিগ্‌ধচ্ছায়া গ্রামের সু। ষুপ্ত শান্তিরাশি

    এভাবে পড়া আদৌ যায় কি?)

    ডি: সায়ন্তনী আলোকপাত করলে ব্যাপারটা আরো পোস্কার হয়।
  • Souva | 122.177.180.179 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১০ ১৩:৫৫391630
  • আমার মতে, কবিতাটির মজা এখানেই যে, ১৪ মাত্রার হওয়া সঙ্কেÄও, কবি পাঠককে কবিতাটি পয়ারের ধাঁচে পড়তে দিচ্ছেন না। বরং ১৪ মাত্রাকে ১০+৪-এর পর্বে ভেঙে ও তাতে প্রবহমানতা (enjambment) এনে পাঠকের সঙ্গে ঈষৎ রহস্য করছেন।

    যদি এটি ৮+৬-এর পর্বে সমভাবে বিন্যস্ত থাক্তো, তাহলে একে নিখুঁত অমিত্রাক্ষর বলতে পারতুম। (অমিত্রাক্ষরের প্রথম ও প্রধান বৈশিষ্ট্য কিন্তু তার প্রবহমানতা, অন্ত্যমিলের অভাব এর দ্বিতীয় চরিত্র)
  • Souva | 122.177.180.179 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১০ ১৬:৪২391631
  • হুঁ, এইবার খোলসা হলো। এখানে আসলে পর্বযতিলোপ ঘটেছে।
  • Souva | 122.177.180.179 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১০ ২০:০৯391632
  • উফ্‌ফ, ঝামেলায় ফেলে দিয়েছিলো কোবতেখান।

    এটার স্ক্যানিং আসলে এইভাবে হবে--

    আর্ত শব্দ বাঁধা তর : ণীর। মধ্যাহ্নের
    অব্যক্ত করুণ এক : তান। অরণ্যের
    স্নিগ্‌ধচ্ছায়া। গ্রামের সু : ষুপ্ত শান্তিরাশি

    [:] দিয়ে বোঝানো হচ্ছে যে ঐখানে পয়ারের নিয়মানুযায়ী যতি পড়ার কথা ছিলো। কিন্তু, আমাদের স্বাভাবিক উচ্চারণভঙ্গী এইভাবে যতিস্থাপনের বিরোধিতা করে। ফলে ওখানে পর্বযতিলোপ ঘটে, ও স্বাভাবিক পঠনভঙ্গী অনুযায়ী ৮ মাত্রার বদলে মূল পর্বটি ১০ মাত্রার হয়, যা ঐ [। ] চিহ্ন দিয়ে বোঝানো হয়েছে। এইভাবে ১০ আর ৪ মাত্রার পর্ববিন্যাসে কবিতাটি সুখপাঠ্য ও শ্রুতিসুখকর হয়।
  • amit | 128.103.93.245 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১০ ০১:০৮391634
  • কার্তুজ, প্রথম কথা, বাবু ট্যাবু-র দরকার নেই ভায়া! প্রশ্ন হল আমার কেন মনে হল যে ঠিক হচ্ছে না। বেশ, ভেবে দেখি----
    আমি প্রধানত কবিতা পড়ি, ছন্দ পড়ি না (প্রথম প্রথম পড়তাম অবিশ্যি)। তা পড়তে গিয়ে দেখলাম, বাহাদুরী কে ভাঙ্গার বাহাদুরী আমি দেখাতে পারছি না। তার মানে এই নয় যে যে কোন চার মাত্রার শব্দ কে ভাঙ্গতে আমার আপত্তি হবে। সেরকম তো হয়েই থাকে। শব্দ ভাঙ্গা নিয়ে কোন অসুবিধা নেই যদি পড়তে কোন অস্বস্তি না হয়। বাহাদুরী শব্দটি ভেঙ্গে পড়তে অসুবিধা হচ্ছে কি করি বল। আবার বলছি, শুধু এই শব্দটির ক্ষেত্রে বলেছি ভাঙ্গতে অসুবিধার কথা, সেটা শব্দের জন্য, ছন্দের জন্য নয়। পড়তে গিয়ে ঠেকছে (ছন্দ ভুল হচ্ছে বলে নয়, শব্দের জন্য)। ঠিক আছে?

    শৌভ কিন্তু দিব্ব্যি লিখছে। চালিয়ে যাও।
  • Somnath | 117.194.192.240 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১০ ০৪:১৪391635
  • আগেই বলেছিলুম। যতির ব্যপারটা নিয়ে দু কলম লিখে দিলেই আর এত প্রশ্ন আসে না।

    কার্তুজ, লাইনগুলো কার?
  • aka | 117.194.0.194 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১০ ০৬:০৮391636
  • বউ না তাড়ালেও ছেলে আর মেয়ে যে প্রচূর কেলাত তাতে সন্দেহ নেই।
  • ranjan roy | 122.168.207.68 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১০ ০৭:২৯391637
  • শৌভ ও অমিতের সঙ্গে একমত। শব্দের স্বাভাবিক ওজন ও ধর্মকে অনদেখা করে কিলিয়ে কাঁঠাল পাকালে ধম্মে সইবে না।
  • Souva | 122.177.201.51 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১০ ০৯:২০391638
  • এই যতিস্থাপনের ক্ষেত্রে কয়েকটা জিনিস খুব ইম্পর্ট্যান্ট।

    এই উদাহরণটা দেখুন--

    "অগ্নি-আখরে। আকাশে যাহারা। লিখিছে আপন। নাম।। (৬+৬+৬+২)
    চেন' কি তাদের। ভাই? (৬+২)
    দুই তুরঙ্গ। জীবন-মৃত্যু। জুড়ে তারা উ-। দ্দাম।। (৬+৬+৬+২)
    দুয়েরি বল্গা। নাই।। (৬+২)

    এখানে মূল পর্বটি যে ৬ মাত্রার, সেটা প্রথম দু-লাইন পড়ার পরেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। ফলে তৃতীয় লাইনে আপনা-আপনিই আমরা "উদ্দাম' শব্দোটিকে বিশ্লিষ্ট করে পড়ছি। এখানে খুব একটা কানে বা মনে লাগছে না। কিন্তু যদি এই ধরণের বিশ্লেষ প্রত্যেকটা লাইনেই ঘটে, তখন মূল পর্বের আকার-প্রকার নিরূপণ করতে গিয়েই কানের গোলমাল হয়। উদাহরণ এই রকম--

    "তোমারে ডাকিনু যবে কুঞ্জবনে
    তখনো আমের বনে গন্ধ ছিল
    জানি না কি লাগি ছিলে অন্যমনে
    তোমার দুয়ার কেন বন্ধ ছিল'

    মাত্রাবৃত্তে এর স্ক্যানিং এইরকম--

    তোমারে ডা। কিনু যবে। কুঞ্জব-। নে
    তখনো আ-। মের বনে। গন্ধ ছি-। ল
    জানি না কি। লাগি ছিলে। অন্য ম-। নে
    তোমার দু। য়ার কেন। বন্ধ ছি-। ল

    এখানে মূল পর্বটি ৪ মাত্রার। শেষে ১ মাত্রার একটা ভঙা পর্ব। আর স্বভাবতই এটি মাত্রাবৃত্তে চলেছে।

    কিন্তু আমাদের স্বাভাবিক বাকস্পন্দ অনুযায়ী পড়ার সময়ে কান এই ধরণের যতিস্থাপন চট করে ধরতে পারে না (যেহেতু এটা আমাদের স্বাভাবিক উচ্চারণরীতির সঙ্গে মেলে না)। ফলে ব্যাপারটা দাঁড়ায়--

    তোমারে ডাকিনু যবে। কুঞ্জবনে
    তখনো আমের বনে। গন্ধ ছিল
    জানি না কি লাগি ছিলে। অন্যমনে
    তোমার দুয়ার কেন। বন্ধ ছিল

    সুধী পাঠক, লক্ষ্য করুন, এখানে ২টো ৪ মাত্রার পর্ব একসাথে জুড়ে ৮ মাত্রার একটা যুক্তপর্ব তৈরি হয়ে গ্যালো। আর শুধু কি তাই? ছিলো মাত্রাবৃত্ত, হয়ে গ্যালো অক্ষরবৃত্ত (যদিও শেষে ৪ মাত্রার পর্বটা কানে একটা মাত্রাবৃত্তের আভাস নিয়ে আসে)।

    এই ব্যাপারটা অক্ষরবৃত্তে আরো বেশি, কারণ অক্ষরবৃত্ত আমাদের স্বভাবিক বাকস্পন্দের, বা কথাবার্তার ধরণের, সবচেয়ে কাছাকাছি রয়েছে। ফলে এখানে ঐ ধরণের ক্রমাগত বিশ্লেষণ (প্রতি লাইনেই) কান সহজে মেনে নেয় না। বরং মূল পর্বের সাইজ বদলে নেওয়াটাই তার কাছে সহজতর বলে মনে হয়।

    প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো যে, একটিমাত্র বিচ্ছিন্ন লাইনে "বাহাদুরী'-জাতীয় শব্দের বিশ্লেষণ অতোটা অসুবিধা সৃষ্টি করে না, যদি তার আগের লাইনগুলোয় মূল পর্বের চরিত্র সম্যক পরিষ্কার হয়ে যায় পাঠকের কাছে।

    ঠিক এই কারণেই, "সোনার তরী' কবিতার ছন্দ নিয়ে ছন্দোবেত্তাদের মধ্যে দ্বিধা আছে। একদল বলেন কবিতাটি সম্পূর্ণতই মাত্রাবৃত্ত, অন্যদলের মত, কবিতাটি আদতে অক্ষরবৃত্ত। এর আরেকটা কারণ কবিতাটিতে যুক্তধ্বনি বিশেষ নেই। আর তা ছাড়া, রবীন্দ্রনাথের মাত্রা-গণনা সব সময়ে প্রচলিত অক্ষরবৃত্তের নিয়ম অনুসারী নয়। যথা: "একটি' ও "একদিন'-কে তিনি যথাক্রমে ৩ ও ৪ মাত্রা ধরতেন। তেমনি "ভাবতে', "করতে' বা এই ধরণের ক্রিয়াপদগুলির ক্ষেত্রে (যেগুলো "ভাবিতে', "করিতে'-জাতীয় মূল ক্রিয়া থেকে নিষ্পন্ন, ও মূল ক্রিয়াপদগুলি ৩ মাত্রার) ৩ মাত্রা ধরেই হিসেব করতেন। এ জিনিস বুদ্ধদেব বসু, অমিয় চক্রবর্তী প্রমুখ রবীন্দ্র-পরবর্তী কবিরাও অনুসরণ করেছেন।
  • Kartuj | 59.93.217.251 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:৪৫391639
  • শৌভ যতিলোপের ব্যাপারটা চমৎকার লিখেছো। আমার কথাও তো তাই। এখানে পদান্তিক অর্ধযতিলোপ ঘটছে, যা কিছুটা ধাক্কা দেয়। পর্বশেষের লঘুযতিলোপ অতটা ঝামেলা করে না। লঘুযতিলোপ মূলত: ঘটে মাত্রাবৃত্তে। অক্ষরবৃত্ত পড়তে গিয়ে লম্বা চালেই আমরা পড়ি। তাই লোপ ঘটলে হয় কেবল পদান্তিক অর্ধযতিলোপ। একেবারে ৮-এর পদ, তারপর ৬-এর পদ, বা তারপর ৪ করে বাড়াও।

    চৈতালি-র 'মধ্যাহ্ন' থেকে যে ৩টে লাইন আমি তুলেছি, তার আগেপরে সব লাইনেই প্রথম ৮ একেবারে crystal clear, হয় ৩+৩+২ নয়ত ৪+৪ এর অন্যথা নাই কোনোখানে। কাজেই পুরোটা শুরু থেকে পড়তে পড়তে এসে পাঠক বুঝেই যায় এটা ৮+৬ এর Typical পয়ার। কিন্তু ঐখানে এসে ১০+৪ এর প্যাটার্ন যা সুখকর লাগছে, তা কি ৮+৬ এর কট্টরপন্থী পাঠক মেনে নেবে?

    তাহলে ঐ বাহাদুরী লাইনটা তো আমিও ১০+৬+২ বলে ভাবতে পারি। কারণ ধরে নিতে পারো, গোটা কবিতায় ঐ একটি লাইনেই exception ঘটছে। বাকি সব লাইনে ৩-৩-২ বা ৪-৪ এর প্রথম ৮। যদিও ওটা sample লাইন। অন্য আরেকটি লাইনের equivalent। পুরোটা লিখলে হয়ত বুঝতে সুবিধে হত। দেব কি? গাল খাবার ভয়ে তো কবিতার টইয়ে ঢুকি না।

    আচ্ছা শৌভ তাহলে বলছ যে, শুরু থেকে পড়তে পড়তে এসে যদি চালচলন সব ক্লিয়ার হয়ে যায়, তাহলে শব্দ বিশ্লেষণে অসুবিধে হয় না তাই তো?

    ভুল বললে শুধরে দিও। অনেক কিছু তো লিখে ফেললাম। খুব ঝামেলার জিনিস এই যতিলোপ :-)

  • Souva | 122.177.147.91 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১০ ১৩:১৩391640
  • আমার তো তাই মনে হয় যে শুরু থেকে নর্মাল ৮+৬-এর চলন থাকলে কান সেই প্যাটার্ণট ধরে নিয়ে পড়তে থাকে, ফলে আচমকা কবিতার চাল বদলালেও (পর্বযতিলোপের ফলে), যেহেতু কান অলরেডি ঐ ৮+৬-এর চলন-এ অভ্যস্ত হয়ে গ্যাছে, তাই সেটা বজায় রাখার জন্যে শব্দ-বিশ্লেষ করতে দ্বিধা করে না। কেননা, অন্যথায়, ৮+৬-এর একটা লাইনের পরেই ১০+৪-এর লাইন আরো সিরিয়াস ছন্দপতনের কারণ হয়।
  • amit | 128.103.93.245 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১০ ০২:১৩391641
  • শৌভ, একদম ঠিক। ছন্দের ক্লাশ যখন, তখন বলি, নীরেন বাবুর বইতে বোধহয় তাই বলা ছিল যে শব্দ ভাঙ্গা বা দুই রকম ছন্দের ভিতরে অনায়াস প্রকৃত বা আপাত যাতায়াত করলে ক্ষতি নেই, তবে পাঠকের কান কে সইয়ে নিয়ে করতে হবে, প্রতি লাইনে চমক থাকা ঠিক নয় ইত্যাদি। নইলে রঞ্জনদার কথা মতই ধর্মে সইবে না (এটা স্মাইলি সমেত)।

    কার্তুজ, কবিতা টা এখানেই দিয়ে দিতে পারো,তর্কের জন্য নয় জাস্ট এমনি দেখতে ইচ্ছা হচ্ছে একটু। শেষ অব্দি তো কবিতা সত্যি,--- মিথ্যা! কি বল?
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ২০ ডিসেম্বর ২০১০ ১৩:০২391642
  • আমি একটা জিনিস একটু ভুল বলেছিলাম। আমার উদ্ধৃত লাইনগুলি চৈতালির 'মধ্যাহ্ন' থেকে নেয়া, তার শুরু থেকে কিন্তু ধারাবাহিকভাবে কান সওয়ানোর জন্যে সহায়ক ৮+৬ নেই। ১ম লাইনটা ৬, ২য় ৮+৬, ৩য় লাইনেই সেই বহুচর্চিত ১০+৪ এর exception। তারপরও অনেক জায়গায় ফিরে ফিরে আসছে। লিংক দিলাম -
    http://www.rabindra-rachanabali.nltr.org/node/10421

    কানকে সইয়ে নিতে ১ লাইন কি যথেষ্ট তাহলে? কারণ, ৬ এর লাইনটাকে বাইরে রাখছি।

    সায়ন্তনীদি প্লীজ আসুন, সেই যে 'হ্যাঁ' বলে চলে গেলেন, তারপর না-এর দিকেই ঝড়টা বেশি।
  • Souva | 122.248.183.1 | ২০ ডিসেম্বর ২০১০ ১৭:২৩391643
  • কার্তুজ,

    প্রথমত:, প্রথম লাইনে কেবল একটি ভাঙা পর্বের উপস্থিতি রবীন্দ্রনাথের অনেক কবিতারই একটা অন্যতম বৈশিষ্ট্য, যা এই কবিতা-গুলিকে পূর্ববর্তী বাংলা কবিতার ঘরানা থেকে আলাদা করেছে।

    ৩য় লাইনে কোনোভাবেই ১০+৪ আসে না। বড়জোর ৬+৮ এর চলন ভাবা যেতে পারে। কিন্তু যেহেতু ৬ মাত্রার মূল পর্ব অক্ষরবৃত্তে ঠিক আসে না, তাই আগের লাইনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা ৮+৬ হিসেবেই পড়ি--"স্থির স্রোতোহীন, অর্ধ। মগ্ন তরী-পরে' এইভাবে। এখন তাহলে আপনি জিজ্ঞেস করবেন প্রথম লাইনে "বেলা দ্বিপ্রহর' এই ভাঙা পর্বটি কোনো ৮ মাত্রার পর্বের সাহায্য ছাড়াই কী ভাবে টিঁকে আছে। আসলে, ঐ লাইনটিকে ০+৬ এইভাবে স্ক্যান করা হয়। লাইনটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও শেষে একটি দীর্ঘ যতিও রয়েছে, ফলে ওটার আগে-পরে পাঠক লম্বা বিশ্রাম নেয়, ও এইভাবে লাইনটি বাকি কবিতার শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্রেফ একটি উপক্রমণিকা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

    এবার দেখুন, ২ থেকে ২২ নং লাইন পর্যন্ত যখনই পর্বযতিলোপ করে লাইনে পর্বের বিন্যাস এলোমেলো হচ্ছে, তার আগে-পরে প্রায় সবক্ষেত্রেই একটা না একটা ৮+৬-এর লাইন রেখে ব্যাপারটাকে সহনীয় করে তোলা হচ্ছে। একমাত্র, ২২-২৩-২৪ এই ৩টি লাইন ব্যতিক্রম। আর, সত্যি বলতে, পাঠক হিসেবে, এই জায়গায় এসে আমি কিন্তু একটু হোঁচটই খাচ্ছি, খুব স্বচ্ছন্দ লাগছে না বিন্যাসগুলো, একটু জোর করেই ছন্দ মেলানোর চেষ্টা করতে হচ্ছে। দাদু-র পদ্য নিয়ে এইরকম মন্তব্যে কেউ ক্ষুব্ধ হতেই পারেন, কিন্তু এটা যাকে বলে আমার অকপট স্বীকারোক্তি।

    আমার সীমিত জ্ঞানে এইভাবেই বুঝলাম ব্যাপারটা। আরো ভালো করে কেউ ব্যাখ্যা করলে উপকৃত হবো।
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ২০ ডিসেম্বর ২০১০ ১৭:৫১391645
  • শৌভ,
    আমার প্রশ্নটা বোধায় ক্লিয়ার করে উঠতে পারিনি।

    আমি বলছি, এই জাতীয় ব্যতিক্রমের জন্যে সহনীয় পরিস্থিতি তৈরী করতে তার আগে মিনিমাম ১টি ৮+৬ লাইন কি যথেষ্ট? যে কারণে ২য় লাইনের জন্যে ৩য়-র ব্যতিক্রম বিশেষ অসুবিধা করছে না।

    আর এটার প্রথম লাইন নিয়ে তো কোনো কথা নেই। এটা হল মূলত: অক্ষরবৃত্ত, তারপর পয়ার। অবৃ তে ৬ এর লাইন তো খুবই স্বাভাবিক। ৬,১০,১৪,১৮,...
  • .. | 125.20.3.146 | ২১ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:০৭391646
  • .
  • Kartuj | 122.248.183.1 | ২১ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:৫৬391647
  • ৬-এর লাইন নয়, ৬-এর মূল পর্বের কথা বলছিলাম। অক্ষরবৃত্তে বোধহয় ৬-এর মূল পর্ব খুব প্রচলিত নয়, যে কারণে একাবলী বা লঘু ত্রিপদী বা লঘু চৌপদী ছন্দগুলো রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে মাত্রাবৃত্ত ঢুকে পড়ার পর থেকেই প্রায় অবসোলিট হয়ে গ্যাছে, অন্তত:, অক্ষরবৃত্তের এক্তিয়ার থেকে। দীর্ঘ ত্রিপদী বা দীর্ঘ চৌপদী অবিশ্যি আছে, কারণ সেখানে মূল পর্ব ৮ মাত্রার।
  • Souva | 122.248.183.1 | ২১ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:০১391648
  • কি বিচ্ছিরি কেস মাইরি! আগের পোস্টটা আমারই, নিজের নামের জায়গায় কার্তুজের নাম লিখে দিছি। আসল পোস্টটা এইরকম লিখতে চেয়েছিলাম--

    @Kartuj

    ৬-এর লাইন নয়, ৬-এর মূল পর্বের কথা বলছিলাম। অক্ষরবৃত্তে বোধোহয় ৬-এর মূল পর্ব খুব প্রচলিত নয়, যে কারণে একাবলী বা লঘু ত্রিপদী বা লঘু চৌপদী ছন্দগুলো রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে মাত্রাবৃত্ত ঢুকে পড়ার পর থেকেই অবসোলিট হয়ে গ্যাছে, অন্তত: অক্ষরবৃত্তের এক্তিয়ার থেকে। দীর্ঘ ত্রিপদী বা দীর্ঘ চৌপদী অবিশ্যি আছে, কারণ সেখানে মূল পর্ব ৮ মাত্রার।
  • Souva | 122.248.183.1 | ২১ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:০৩391649
  • বাকি জানকারির জন্যে জীবেন্দ্র সিংহরায় বা বিজনবিহারী ভট্টাচার্য্যের বই দেখে নেওয়া যেতে পারে।
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ২১ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:১৭391650
  • চমকে গেছি, আমার নামে আবার কে লিখল রে বাবা।

    আমার উত্তর কিন্তু পেলাম না।

    প্রথমের ঐ ৬এর লাইন বা পর্ব নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই।

    বলছি কারণ, একটা contradiction আসছে তোমার কথা অনুযায়ী।

    Date:18 Dec 2010 -- 01:13 PMএ বলছ একটা ৮+৬ এর ঠিকঠাক লাইনের পরেই ভাঙতে হয় এরম লাইন সিরিয়াস ছন্দপতনের কারণ।

    ঠিক সেই জিনিসটাই দাদুর কবিতায় হচ্ছে।

    ১ম লাইন বাদ দিলাম।
    ২য় - ৮+৬
    ৩য় - ৬+৮ যেটার জন্যে মাঝখানে ভাঙতে হবেই।

    সেটা বলছ অসুবিধে নেই।

    তাহলে exceptionটাকে সামলাতে আগে একটা লাইন থাকলে কি enough?

    এটা ক্লিয়ার করো, কেটে পড়ি।
  • pi | 72.83.74.17 | ২১ আগস্ট ২০১১ ২১:৪৫391652
  • ধুর ! কী যে করি ! :(
  • ppn | 122.252.231.10 | ২১ আগস্ট ২০১১ ২২:১১391653
  • সহজে recursive loop শিখুন!
  • pi | 72.83.74.17 | ২১ আগস্ট ২০১১ ২২:২১391654
  • :)
  • Kaju | 121.242.160.180 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৬:০১391656
  • আবার বহুদিন পর এক জায়গায় খোঁচা খেয়েছি। ওমুদা যদি একটু...

    ব্যাপারটা হচ্ছে -

    ধরো,

    ওকখোরবিত্তে কোনো ৮-৪-৬ এর লাইন যদি এমন হয়,

    মানে কতার্কতা আর কি...

    'নির্জীব মরণোত্তর সময়ের থেমে যাওয়া মুখ'

    তো প্রথম আটে এই 'নির্জীব মরণোত্তর' কি মসৃণ ৩+৫ এ ঝামেলাটামেলা করে? না ওটাকে 'নির্জীব ম / রণোত্তর' করে ৪+৪ ধরা যায়? প্রোভাইডেড, এটি আসছে একটি ২১ লাইনের কবতে (?)-র ১৮ নম্বরে।

    বলছি কেন, ৩+৫ তো সুবিধের জন্যে ৩+৩+২ করাই ভালো, কিন্তু এতে ৩-এর পরে একটা হসন্ত স্বর পড়ে ৩+৩+২ এ বাধা সৃষ্টি করছে।

    মানে বাজারে ওমুদা আছে দেখেই আর কি... :))
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন