এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • চিয়ারলিডার বা সুড়সুড়ি বা খেলা বা রাজনীতি

    Ishan
    অন্যান্য | ২৯ এপ্রিল ২০০৮ | ১৯৩৯৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kallol | 122.167.75.90 | ১৪ মে ২০০৮ ০১:৩৮396118
  • ঈশেন কেসটা অল্প করে খেলে দিয়েছে (খারাপ অর্থে নয়)।
    হ্যাঁ। কেউ যদি বাধ্য হয়ে কোন পেশায় আসে, তারপর সে সেই পেশার জন্য যাই করুক - সেখানে একটা বাধ্যতার প্রশ্ন থেকেই যায়। এইভাবে দেখলে দেখা যায়।
    কিন্তু - যদি আমার প্রথম উদাহরনটা নেই। আমি বাধ্য হয়ে অপিসে কাজ করছি। আচ্ছা, ছাড়ো।
    রামপ্রসাদ - হিসাবের খাতায় গান লিখে ফেললেন। জমিদার মশয় যদি দুঘা জুতোর বাড়ি মেরে রামাকে দূর করেও দিতেন, তাহলেও কি জমিদরের ওপর, রামাকে হিসাব লিখতে বাধ্য কারার, অভিযোগ আনা যেতো?
    আমি যৌন কর্মীর কাজের ঐ জায়গাটাকে স্ব-ইচ্ছার কথাটা বলছি। যদিও শেষ বিচারে - ঈশেন এর যুক্তিটাও ফেলনার নয়।
    আর একটা তফাৎ আছে। চুরি-ডাকাতিতে বলপ্রয়োগ করছে চোর-ডাকাত। যৌনকর্মী বলপ্রয়োগ করছে না।
  • kallol | 122.167.75.90 | ১৪ মে ২০০৮ ০১:৪৪396119
  • একজন নারী - এখন সন্তান চাই না (লিঙ্গ নির্ণয় না করেই)- এই কারনে গর্ভপাত করান যদি, তো কিইই বা বলার আছে। কিন্তু গর্ভস্থ সন্তান মেয়ে জেনে সেই কারনে গর্ভপাত করানো - দুটোয় হাজার যোজন তফাৎ।

  • Ishan | 12.240.14.60 | ১৪ মে ২০০৮ ০৮:৪৮396120
  • কল্লোলদা,

    এক।বলপ্রয়োগের কেসটা "স্ব ইচ্ছা' র কেসেই ঢুকে যাচ্ছে। মানে স্বেচ্ছায় না করলে তবেই বলপ্রয়োগ করে করা/করানো হয়। তবে জটিলতায় না ঢুকতে চাইলে ডাকাতি বাদ দিয়ে শুধু চুরি নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।

    দুই। ক্লাসিকাল মার্কসিস্টরা এই যুক্তি শুনে যা বলবেন, তা অনেকটা এরকম: যদিও বুর্জোয়া সমাজ একটি বাজার-কেন্দ্রিক সমতার ধারণাকে প্রোজেক্ট করে, কিন্তু সেই সাম্য আসলে ভাঁওতা। শ্রমিক এবং পুঁজিপতির মধ্যে "সমতা'র ভিত্তিতে কোনো চুক্তি হয়না। পুঁজিপতির দিক থেকে যে চুক্তি হায়ার-অ্যান্ড-ফায়ার, "ফ্রি উইল'এর এক্সপ্রেশন, শ্রমিকের দিক থেকে তা জীবন বাঁচানোর বাধ্যবাধকতা। শ্রমিক বাধ্য চাকরির শর্ত মেনে নিতে। এবং সেই মানিয়ে নেওয়াটাকে মসৃণ করতেই শ্রমিককে এই "স্ব ইচ্ছা' বা "ফ্রি উইল' এর ঢপটি খাওয়ানো হয়। এই শ্রেণীবিভক্ত সমাজে শ্রমিক ভাবে বা ভাবতে বাধ্য হয়, সে যা করছে তা "ফ্রি উইল', কিন্তু আদতে ওটি ঢপ।

    কিকরে এই ঢপটি খাওয়ানো হয়, সে নিয়ে মার্কসীয় লেখাপত্তরও আছে। সিভিল সোসাইটি বা জনসমাজে কিকরে "দমন' বা "শোষণ'এর কনসেন্ট আদায় করা হয়, দমনকারী শ্রেণীটি কিকরে কিকরে অবদমিত শ্রেণীটির কাছ থেকে দমনের মতাদর্শগত বৈধতা আদায় করে সেই নিয়ে কার্কসীয় সাহিত্য আছে। যথা গ্রামশি। যার মূল কথা একটিই, যে, "অবদমিত' শ্রেণী বা ইন্ডিভিজুয়াল আসলে "স্বকীয়' চেতনার বদলে শাসকশ্রেণীর চেতনায় আচ্ছন্ন। বিপথগামী। ইত্যাদি।

    এই মার্কসীয় ধারণাগুলি কিন্তু বেশ সুগঠিত। লজিকালি এবং কনসেপচুয়ালি। অবদমিত শ্রেণী, বর্গ, বা ইন্ডিভিজুয়ালের "স্ব ইচ্ছা'র ধারণাতে জোর দিতে গেলে এগুলোকে কাউন্টার করতে হবে। এবং একই সঙ্গে তৎসংলগ্ন ইকুয়ালিস্ট স্ট্যান্ডকেও কাউন্টার করতে হবে।

    সেটা কিভাবে করছেন, তাই আমার প্রশ্ন। নচেৎ, বক্তব্যের সঙ্গে আমি মোটামুটি একমতই বলা যায়।

    ** দময়ন্তীকে: কথাগুলো ভুলে যাইনি। কিন্তু এই দুটো জিনিস রিলেটেড বলে আপাতত: উত্তর দিচ্ছি না। পরে ঘুরে আসব।
  • jlt | 203.110.246.22 | ১৪ মে ২০০৮ ১০:৪০396121
  • ব্যক্তিগত যৌণতা কি ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরে এসেছে? what about other socially monogamous species (most birds and few mammals including whales)? তারা কোন সম্পত্তি সন্তানদের দিয়ে যায় ?
  • Somnath | 59.160.220.131 | ১৪ মে ২০০৮ ১০:৪২396122
  • এখানে কল্লোলদার প্রথম উদাহরণটাই ক্লাসিক।

    স্বেচ্ছায় যে কোনো পেশাতে আসা নিয়েই তাহলে এই প্রশ্নটা থাকবে। আমার চাকরিটা আমি জিরো জব স্যাটিসফ্যাকশনেও করছি, কারণ আমার মাস গেলে টাকা দরকার। যে কোনো পেশা, শিক্ষকতা, গবেষণা, ডাক্তারি র ক্ষেত্রেই এইটে ভ্যালিড।
    কিন্তু কিছু লোক আছে যারা টাকা কম পেলেও, এমনকি না পেলেও কাজটা করত। কাজটা করতেই তারা ভালোবাসেন। হাই জব স্যাটিসফ্যাকশন। কেউ হয়ত পড়াতে ভালোবাসেন, কেউ চিকিৎসা করতে, কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিজাইন। তাহলে কি আমি আমার কাজটা স্বেচ্ছায় করছি না, কিন্তু তারা করছে? আমারটা অপ্রেশন না তাদেরটা ফলস কনসাসনেস?
    যৌনকর্মীদের এই পেশায় আসার কারণ অনেকগুলো বলা হয়ে গেছে, কিন্তু কেউ বলেননি, একটি মেয়ে, স্রেফ অনেক পুরুষের সাথে শুতে ভালোলাগে বলে এই কাজটি করছে? নিম্ফোম্যানিয়া নয়, হাইপার সেক্সুয়ালিটি বা সেক্সুয়াল অ্যাডিকশন নয়। স্রেফ নতুন নতুন লোকের সাথে শুতে ভালো লাগে, রোমাঞ্চ লাগে, ইন্টারেস্টিং, অ্যাডাভেঞ্চারাস লাগে তাই।
    তো, এই ডিজায়ারটা মেটানোর অন্য একটা পথ ছিল, টাকা পয়সাকে পিকচারে না এনেই প্রচুর ছেলের সাথে বন্ধুত্ব করে, বা স্ট্রেঞ্জারসদের কাছে নিজেকে বেশি অ্যাভেলেবেল করে তুলে। সেটা নানা কারণে কারো কাছে সুবিধে জনক না হওয়ায় সে ট্রাডিশনালি দেহব্যবসায় নামতে পারে - পার্টটাইম, স্কুল কলেজ বা গার্হস্থ্য সামলে, লেজার সময়ে - বা ফুলটাইম, প্রথাগত সংসার ত্যাগ করে ইত্যাদি। আবার মিনি মাগনার মালের চাইতে দাম দিয়ে কেনা জিনিসের কদর বেশি বা বেশি টাকা নিলে কোয়ালিটি লোকের সাথে শোয়া যেতে পারে ইত্যাদি।

    ট্রেনে বাসে মেয়েদের মোলেস্টেশন নিয়ে প্রচুর কথাবার্তা হয়, হয়েছে। কিন্তু এই আলোচনাতে এটা কখনো ই আসে না, প্রচুর মেয়ে ও মহিলা ট্রেনে বাসে স্বেচ্ছায় ছেলেদের সঙ্গে সেক্স সেক্স খেলেন। উভয় পক্ষের সম্মতিতে হলে ব্যপার অনেক দূর পর্যন্ত যেতে বহু নিত্যযাত্রীদেরই আঁখো দেখা ঐতিহাসিক তথ্যাবলী মজুত আছে। এই স্বেচ্ছা উপভোগের উপর কোনো ফলস কনসাসনেসের প্রভাব নেই বলেই তো মনে হয়।

    সভ্যতার আবরণ যখন যেখানে এই রকম রংচটে আদিম ও জৈবিক প্রবৃত্তিগুলোকে নগ্ন করে দেয় প্রকাশ্যে, মার্ক্স ও ঈশানের থিওরি সেই সৎ স্বীকারোক্তি বা স্বীকৃত সততার বাগানে নৈতিকতা বা ফলস কনসাসনেসকে কিভাবে ডিফাইন করে জানতে সাধ রইলই, অ্যাকাডেমিকালি।
  • Ishan | 12.240.14.60 | ১৪ মে ২০০৮ ১১:০১396123
  • ঘুমোতে যাবার আগে দু পয়সা। ছোট্টো করে।

    এক। jlt। ব্যক্তিগত যৌনতা ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরে এসেছে কিনা জানিনা। তবে এঙ্গেলস এই রকমই লিখেছেন। এখানে মার্কসিস্ট থট নিয়ে কথা হচ্ছিল, তাই ওটা লিখেছি। নইলে নৃতত্ব নিয়ে আমার জ্ঞান খুব কম।

    দুই। সোমনাথ। "প্রচুর মেয়ে ও মহিলা ট্রেনে বাসে স্বেচ্ছায় ছেলেদের সঙ্গে সেক্স সেক্স খেলেন'। এক-আধজন খেলে থাকতেই পারেন, কিছু বলার নাই। কিন্তু বেশিরভাগই যে জিনিসটাতে প্রচন্ড বিরক্ত হন সে নিয়েও কোনো সন্দেহ নাই। প্র্যাকটিকালি বিরক্ত হবারই কথা। ভিড় ট্রেন, বাস, প্যাচপ্যাচে গরম, আর তার মধ্যে তোমার বা আমার যৌনাঙ্গ বিপরীত লিঙ্গের কেউ খপ করে ধরলে কেমন লাগবে একটু আন্দাজ করো, তাহলেই ব্যাপারটা বোঝা যাবে।

    বাকি কথা কাল।
  • Somnath | 59.160.220.131 | ১৪ মে ২০০৮ ১২:১৪396124
  • হেঁ হেঁ ঈশান,
    ১) "ট্রেন বাস" মানেই "ভিড়" "প্যাচপ্যাচে গরম" নয়। ঋতু (সীজন), ফ্যান ও জানলা দরজার আপেক্ষিক অবস্থান, ভিড়ের প্রকৃতি, ট্রেন বাসের স্পীড, বাইরের পরিবেশ, ইত্যাদি ভ্যারিয়েশন আছে।
    ২) "সেক্স সেক্স খেলা"র সাথে "খপ করে যৌনাঙ্গ ধরা"র ও কোনো সম্পর্ক নাই। এর সঙ্গে অবিবাহিতা ও বিধবাদের পোস্টকলোনিয়াল সেক্স স্টার্ভেশন বা মনোগ্যামীতার একঘেয়েমী বা মধ্যবয়সী সংসারজীবনের রোমাঞ্চ বা প্রেমহীনতা ইত্যাদির রিলেশন থাকতেও পারে। সে অন্য টইয়ের বিষয়। আপাতত: এই টইয়ের বিষয়ভূত "সুড়সুড়ি" র সঙ্গে কিঞ্চিৎ মিল দেখা যাচ্ছে মাত্র।
    ৩) "আন্দাজ" করে "বিরক্ত হবারই কথা" বলা হচ্ছে না। স্পেকুলেটেড থিওরির কোনো জায়গা নাই। হার্ডকোর প্র্যাকটিকালিটির কথা হচ্ছে, অবজার্ভেশনের কথা হচ্ছে। প্লেজারের কথা বলা হচ্ছে।
    ৪) আর অবশেষে, দীর্ঘদিন প্রবাসযাপন ও পশ্চিমবঙ্গীয় (ভারত অবধি এক্সট্রাপোলেট করলাম না) পাবলিক ট্রান্সপোর্টের জেনেরাল কামরা ইত্যাদিতে পিক টাইমে যাতায়াতের দীর্ঘকালীন অনভিজ্ঞতাজনিত ডিসকাউন্ট অর্জনে কোনোপ্রকার সন্দেহ রাখলুম না। :-))

    তবে সংখ্যাতাত্বিক অপূর্ণতাজনিত কারণে "এক-আধজন" না " ৪৩ %" এই কনফার্মেশনের অভাবে এই দিকটিকে ব্যতিক্রম ধরে যে কোনো আলোচনার বাইরে রাখা যেতেই পারে। মেথডোলজীর সমস্যাসঙ্কুল ""ক্লোজার""টি নিয়ে সেক্ষেত্রে আর বাক্যব্যয় করছি না। :-))
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১৪ মে ২০০৮ ২২:২৩396125
  • সোমনাথ।
    "স্পেকুলেটেড থিওরির কোনো জায়গা নেই। হার্ডকোর প্র্যাকটিক্যালিটির কথা হচ্ছে, অবজার্ভেশনের কথা হচ্ছে।'

    ফাইন। স্পেকুলেশনহীন অবজেক্টিভ তথ্য এনে দাও। কথা হবে। কারণ আমার অবজার্ভেশন তোমার সঙ্গে মেলেনা।

    আমার অবজার্ভেশনে আমি কলকাতা ও শহরতলীর ৯০% মেয়েকে রাস্তায় হাঁটার সময়ে বুকে কিছু একটা গার্ড দিয়ে হাঁটতে দেখেছি, যা "খপ করে ধরা' জাতীয় আকস্মিক আক্রমনের হাত থেকে বাঁচার জন্য বলেই আমার মনে হয়েছে। এটা আমার দেখা এবং মনে হওয়া। পুরুষ হিসেবে এই অভিজ্ঞতা অনুভব করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। তবে আন্দাজ করতে পারি, একজন পঞ্চান্ন বছরের মাসীমা, বা বিশালবপু একজন ভেন্ডাররমনী, ট্রেনের ভিড়ের সুযোগে এক বা একাধিক দিক থেকে, শারীরিক ভাবে আমাকে অ্যাটাক করে নিজেদের যৌন চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছেন, পুরুষ হিসাবেও আমার সেটা ভালো লাগতনা। বা রাস্তায় হাঁটার সময়ে একটি ক্রিকেট ব্যাট হাতে নিয়ে নিজের যৌনাঙ্গ গার্ড করে চলতে হলে সেটা খুব ইরিটেটিং লাগত। ইত্যাদি ইত্যাদি।

    এটা আমার দেখা। আন্দাজ করা। অন্যরকম দেখা, এবং স্পেকুলেশনহীন থিয়োরির অপেক্ষায় রইলাম। পেলে আলোচনা করা যাবে।
  • Paramita | 63.82.71.141 | ১৪ মে ২০০৮ ২২:৪৫396126
  • ঈশেন তোমার সিগনেচার ক্যাম্পেন দরকার হলে বোলো। এখনও এত বছর পরেও এই অসম্ভব রাগ ও অসহায়তার স্মৃতির জায়গাটিতে কোন থিয়োরি দেখতে চাই না। এবং কারুর সঙ্গে চেক না করেই আমি এখানে মেজরিটি পথেঘাটে বেরোনো মেয়েকে রিপ্রেজেন্ট করছি।
  • r | 198.96.180.245 | ১৫ মে ২০০৮ ০০:০৩396128
  • সোমনাথের এই বিচিত্রতম অবজার্ভেশন পড়ে চমৎকৃত! আমাদের পুরো পরিবারের ডিসকাউন্টবিহীন দীর্ঘকালীন ডেলি প্যাসেঞ্জারির সম্মিলিত অভিজ্ঞতার সাথে এক শতাংশও মেলে না।
  • Du | 67.111.229.98 | ১৫ মে ২০০৮ ০০:২৬396129
  • আঁখো দেখা আর সইতে হওয়ার মধ্যে যে কতটা তফাৎ, সেটা অ্যাকাডেমিক আর সংখ্যাতাত্বিকভাবে বোঝা কি সম্ভব ?
  • san | 220.226.58.169 | ১৫ মে ২০০৮ ০১:০৬396130
  • সোমনাথকে কিছু উত্তর দেবো ভেবেছিলাম।

    কিন্তু ঘেন্না ছাড়া আর কোন রিয়াকশন আসছেনা। যুক্তি সাজাতেও তো মাথা ঠান্ডা রাখতে হয়। একটু নৈর্ব্যক্তিক হতে হয়।পারলামনা।আমারই অক্ষমতা।

    অথচ ধর্ষিতার চরিত্র নিয়েও তো আমাদের দেশে আলোচনা হয়ে থাকে। হয়েই থাকে।সে সব দেখে শুনে পড়েও সিজনড হইনি বোধহয়। এখনো এই প্রলাপ শুনে এত বছরের সব ঘেন্না অপমান এক মুহূর্তে ফেরৎ আসে।
  • pi | 128.231.88.5 | ১৫ মে ২০০৮ ০৬:৩৮396131
  • রেপড হবার সময় মেয়েদের 'স্বেছায়' 'সেক্স-সেক্স খেলা' নিয়ে ব্যাপারটা 'বহুদূর অব্দি গড়ানো',মানে এই গর্ভবতী হয়ে পড়া টড়া ইত্যাদি, এনিয়ে কোনো 'ঐতিহাসিক তথ্যাবলী' মজুত নেই ?
  • m | 12.240.14.60 | ১৫ মে ২০০৮ ০৮:৩৬396132
  • সোমনাথ,
    তোমার বিশ্লেষণ পড়ে আমি মুগ্‌ধ এবং শিহরিত- স্তব্ধবাক হয়ে আরো ""আলোকিত"" হবার আশায় রইলাম।
  • hanu | 125.18.104.1 | ১৫ মে ২০০৮ ১০:১৪396133
  • সোমনাথ যে কথাটা বলেছে সেটা বেসিকালি রাবিশ। তার মূল কারণ হল এটা বেশির ভাগ লোকের একস্পিরিয়েন্স নয়। আমরা পুরুষেরা সেই বিশ্রী অভিজ্ঞতার বিন্দুমাত্রও বুঝতে পারব না। তঙ্কেÄর নিকুচি করেছে। পাতি ক্যালানো দরকার। মলেস্টেশন কত জাস্ট রিপোর্টেড হয় না তার মূল কারণ জুডিসিয়াল প্রসেস টা, পাবলিক স্ফিয়ারের অন্যান্য ফর্মাল বা ইনফর্মাল প্রসেসের মতই মেল ডমিনিটেড।

    সেকসুয়াল স্টারভেসন তো আছেই। মেয়েদেরো আছে ছেলেদের ও আছে। কিন্তু সেটা মরালিটির যে স্ট্রাকচার আর এনফোর্সমেন্টের জন্য আছে সেটা পুরুষতন্ত্রের আর বিভিন্ন বোগাস জেন্ডার্ড রোলের ইম্পোজিশনের ডমিনেশনের ফল। সেটাকে ডিফাইন করাতে মেয়েদের জেন্ডার ভূমিকা জাস্ট নেই। সেকসুয়াল প্লেজারের প্রশ্নটিতেও সিম্পলি মেয়েদের কোন জায়্‌গা নেই। তাদের পাব্লিক সেকসুয়াল ভূমিকা নির্দিষ্ট, সেটা হল একসাইট করা, মেল গেজ এটা ডিফাইন করেছে, আর প্রাইভেট রোল হল সাবজুগেটেড হয়ে থাকা, এটাও পুরুষ তন্ত্রই ডিফাইন করেছে।

    সোমনাথ, ইউ গট ইট রং মেট। নিড টু থিংক মোর।
  • shrabani | 124.30.233.101 | ১৫ মে ২০০৮ ১০:২৪396134
  • উল্লিখিত পোস্টদুটি পড়ার ঠিক পরমুহুর্তের অনুভূতি ব্যক্ত করার মত ভাষা আমার নেই। নিছক রাগ অপমান ঘেন্না এসবও অত্যন্ত সহজ ভদ্র রিয়্যাকশন মনে হচ্ছে তাই তা লেখা যাচ্ছেনা ।
  • aja | 71.106.244.161 | ১৫ মে ২০০৮ ১০:৩৪396135
  • সোমনাথের বক্তব্য কি ঠিক বোঝা গেল না। কিছু মেয়ের একাধিক পুরুষসঙ্গ ভাল লাগে সেটা সম্ভব। তারা ট্রামে-বাসে অপরিচিত পুরুষকে প্রলোভিত করে বা তাদের প্রলোভনে সাড়া দেয় সেটাও সম্ভব। কিন্তু সেটা যে কোন অপরিচিত মেয়েকে বিরক্ত করার অজুহাত হতে পারে কি? মানে যুক্তিটা কি এই রকম - যেহেতু কিছু মেয়ে ঐ রকম করে, সেহেতু সব মেয়েই ঐ রকম ব্যবহার পছন্দ করে। বা, ঐ মেয়েটি ঐ ছেলেটির সাথে এরকম করছে, আমার সাথেই বা করবে না কেন?

    সোমনাথের বক্তব্যে অন্য একটি ডাইমেনশনও থাকতে পারে। সেটি হল, সব মেয়েই ঐ রকম ব্যবহার পছন্দ করে, তবে লোকলজ্জার ভয়ে মুখে অন্য কথা বলে। অন্যে কি ভাবে সেটা ঠিক করে দেওয়া ঠিক ভদ্রতা নয়। আর যদি সত্যিই সব মেয়েকে এই ভাবে লোকলজ্জার দায়ে মনের কথা লুকিয়ে চলতে হয়, তবে অর্ধেকের বেশী মানুষের জন্য কি অসম্ভব রিপ্রেসিভ এনভাইরনমেন্টের বরাদ্দ রয়েছে ভাবলে ভয় হয়। সে রিপ্রেশন কাটানোর রাস্তা কি আরো বেশী করে মেয়েদের মনের কথা আন্দাজ করে নেওয়া?

    সত্যি বলতে কি, মেয়ে হয়ে জন্মানোর কথা ভাবলে বড্ড ভয় করে। মিসোজিনিস্ট এবং ফেমিনিস্তা, দু'পক্ষই যেভাবে সব মেয়ের মনের কথা জেনে ফেলেছেন, তাতে মেয়ে হলে জন্মালে মনে মনেও মনের কথা বলতে সাহস পেতাম না।
  • dri | 75.3.201.43 | ১৫ মে ২০০৮ ১০:৩৭396136
  • পাতার পর পাতা তঙ্কÄকথা লিখেও ঈশেন যেটা করতে পারেনি, সোমনাথ জাস্ট দুটো পোস্টে সেটা করে দেখিয়ে দিল। আলোচনায় মেয়েদের এনগেজমেন্ট নিয়ে আসা। এ ব্যাপারে রিয়েল ডেটা মেয়েদের কাছ থেকেই বেশী আসার চান্স।

    তবে সোমনাথের এই দেখাটা বেশ কমন দেখা। অনেকেই এভাবে 'দেখে'। আসলে মানুষ যা দেখতে চায় তাই দেখে।
  • dri | 75.3.201.43 | ১৫ মে ২০০৮ ১০:৪২396137
  • সেক্সুয়াল এক্সপিরিয়েন্সের লোভ সবারই থাকে। কিন্তু নিজের টার্মসে সেক্সুয়াল এক্সপিরিয়েন্স। কিন্তু বাসে ট্রামে মেয়েদের যেটা জোটে সেখানে টার্মসটা নিজের নয়।
  • nyara | 64.105.168.210 | ১৫ মে ২০০৮ ১০:৫১396139
  • মহিলারা ব্যাপারটা খুব ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে নিয়েছেন মনে হচ্ছে। ভাবছেন যে সোমনাথ বলতে চাইছে বাসে-ট্রামে মেয়েরা যে অসভ্যতার শিকার হয় সেটা মেয়েরা চায় বলেই। অনেকটা সেই kill the dog and give it a bad name গোছের victimize the victim ব্যাপার।

    আমি যদিও সোমনাথের বক্তব্যটা সেইভাবে পড়িনি। মনে হয়েছে ও এখানে একটা "on the other hand" পরিপ্রেক্ষিত আনতে চেয়েছে। মানে, "হ্যাঁ, মেয়েরা অসভ্যতার শিকার হয়। কিন্তু এর একটা উল্টোদিকের গল্পও আছে। এবং এই উল্টোদিকের গল্প ছাড়া এই আলোচনা অসম্পূর্ণ। "

    আমারও মনে হয়েছে এই উল্টোদিকের গল্প উত্থাপন করা এই আলোচনায় প্রক্ষিপ্ত ও অনেকটাই অপ্রাসঙ্গিক।
  • Somnath | 59.160.220.131 | ১৫ মে ২০০৮ ১০:৫২396140
  • প্রথমত:, খপ করে ধরা জাতীয় আকস্মিক আক্রমণ ও তার থেকে বাঁচার জন্যে মহিলাদের হাঁটাচলার পদ্ধতি সম্পর্কে আমি কিছুই বলিনি। ঈশান বলেছে, যার সঙ্গে আমার মতের বিশেষ তারতম্য দেখছি না। পঞ্চান্ন বছরের মাসীমা বা বিশালবপু ভেণ্ডাররমণীর অ্যাটাককেও আমি পছন্দ করছি বলে বলিনি কোথাও। (যদিও গোটা পোস্টে একমাত্র এই পয়েন্টটাই আমার বক্তব্যের সঙ্গে রেলেভেন্ট বলে মনে হছে, তাই পরে ফিরে আসছি) মেল গেজ-এর রেসপেক্টে ফিমেল অসহায়তা, আর তা কাউন্টার করার পদ্ধতি নিয়েও আমার কিছুই বলার নাই। সুতরাং ক্রিকেট ব্যাট ইত্যাদি হাবিজাবি বাদ দিলাম। সেক্ষেত্রে, ঈশানের গোটা পোস্টটার সঙ্গে বিশেষ দ্বিমত পোষণ করছি না।

    এটা চেনা পদ্ধতি, যেটা কাউন্টার করতে হবে তার বিপ্রতীপে জেনারেলি আপত্তিকর এক্সট্রিম একজাম্পল হাজির করা আর সেটাকে কাউন্টার করা। বোধিদার পুরোনো কোনো পোস্টে এ সম্পর্কে লেখা ছিল বটে। এবার ঈশানের উদাহরণে পঞ্চান্ন বছরের মাসীমা বা বিশালবপু ভেণ্ডাররমণীকে তন্বী, আকর্ষণীয়া যুবতী দ্বারা রিপ্লেস করে দেখা যাক, যাকে কলেজে পেলে আরো দশটা ছেলের মতো ঈশানও সুযোগ পেলেই প্রপোজ করে ফেলত। মেয়েটির, "শারীরিক ভাবে অ্যাটাক করে নিজের যৌন চাহিদা মেটানোর চেষ্টা"কে ক্লাসিক সিডাকশন দিয়ে রিপ্লেস করা যাক - এই যেমন ফিরে ফিরে চোখের দিকে তাকানো, আলতো করে আঙুল ছোঁয়া, হ্যাণ্ডেল ধরতে গিয়ে হাত ছুঁয়ে ফেলা, ইত্যাদি, মুগ্‌ধতা, যা ক্রমে সেক্সের দিকে যাবে, উভয়ের সম্মতিতে। গন্তব্য স্টেশনে নেমে যাওয়ার সময় একখানি সলজ্জ চাহনি বা তৃপ্ত হাসির বেশি যে সম্পর্কের আর স্থায়িত্ব রইল না। আমার বক্তব্য ছিল, এটাও হয়, আর এটাকে পুং নির্যাতন বা কণ্ডিশনড ফলস কনসাসনেসের ধারণা দিয়ে পুরোপুরি মেপে ফেলা যায় না। "স্ব-ইচ্ছা" শব্দটি এখানে একটি নতুন মাত্রা পায়। কাহিনীতে ইমমরালিটি আনার জন্যে যুবতীটিকে সদ্য বিবাহিতা পরস্ত্রী দিয়েও রিপ্লেস করা যায়। ভালগারিটি আনার জন্যে বৌদি, মাসীমা, ঠাকুমা, ভেণ্ডাররমণী যা খুশি। পুরো ব্যপারটাই উল্টো দিক দিয়েও হতে পারে, যেখানে দারুণ সুন্দর আকর্ষণীয় যুবকটিকে গুঁফো কাকু বা বুড়ো দাদু দিয়ে রিপ্লেস করলেই যথেষ্ট ইরিটেশন পিকচারে এনে ফেলা যায়। কিন্তু তাতে আমার মূল গল্পটি পাল্টায় না। সেটাও হয়। আর অন্য আপত্তিকর কেসগুলো ও হয় বলেই, মূল গল্পটা, যেখানে কারোরই কোনো আপত্তি নেই, ঘৃন্য হয়ে যায় না। এবং এইভাবে মেয়েটি নিজের পার্টনার নিজে বেছে নেওয়ার মত এমপাওয়ার্ড। সে যখন সহযাত্রী ছেলেটিকে অ্যাপ্রোচ করছে, পাশ থেকে অবাঞ্ছিত কারো হাত গায়ে এসে ঠেকলে সে ঘুরে দাঁড়িয়ে ঠাস করে একটি চড় মারতেই পারে। সেটাও তার অধিকার, আর সেটাকেও আমি সমর্থনই করব।

    এখানে খুব স্পষ্টভাবে বলে দেওয়া দরকার মনে হচ্ছে, "ব্যপার অনেকদূর পর্যন্ত যাওয়া" কখনই, কোনো অর্থেই পরিশেষে মেয়েটির দিক থেকে নির্যাতন বা মোলেস্টেশনের অভিযোগে, অপমানের গ্লানিতে শেষ হওয়া মীন করতে চাওয়া হয়নি। সেই রকম মনে হয়ে থাকলে বক্তব্যের অস্পষ্টতাজনিত দূ:খ প্রকাশ করছি। কারণ স্যান বা পাইয়ের পোস্ট দেখে মনে হল আমার কথাটা, মহিলারা সেক্স সেক্স খেলেন আর সেটা আয়ত্বের বাইরে চলে গেলেই নির্যাতন বলে হাঁক পাড়েন - এরকম কোনো ইমপ্লিকেশন কারোর কারোর কাছে দিচ্ছে বা দিয়েছে। আমি এটা বলতে চাইনি। "ব্যপার বহুদূর পর্যন্ত যায়" বলে আমি বলতে চেয়েছি ঘটনা অনেক সময়েই পাবলিক প্লেস শোভনতা বা শালীনতার সীমা ছাড়ায়, যা অংশগ্রহণকারী দুজনেই বোঝেন না, বা বুঝতে চেষ্টা করেন না। সহযাত্রীরা এমব্যারাসড হয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকেন। ইত্যাদি। কফি শপে সকলের সামনে কোলে চড়ে চুম্বনরত ছেলেমেয়েটির মতই অনেকটা আরকি।

    আমি স্বেচ্ছা উপভোগের কথা বলছি। দ্বিপাক্ষিক সম্মতিতে। মহিলারা পথে ঘাটে হামেশা নির্যাতিত হন, অপমানিত হন, রেপড হন এটা যেমন সত্যি। এর উল্টোদিকে, খালি ফ্ল্যাটে টিভি মেকানিক ছেলেটিকে ডেকে তার ওপর চার পাঁচজন মহিলার অত্যাচার করার ঘটনাও যেমন সত্যি। তেমনি সম্পূর্ণ অপরিচিত নারী ও পুরুষ পুরোপুরি নিজেদের ইচ্ছেয় ওয়ান নাইট স্ট্যাণ্ড নেন, স্বল্পকালীন সহযাত্রার থেকেও ঘনিষ্ঠতা ও কিছু উষ্ণ মুহূর্ত, প্লেজার, খুঁজে নেন এটাও সত্যি। অন্তত: আমি এরকমটা অনেকবারই দেখেছি। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। কারোর সাথে না মিললে কিছুই করার নেই।

    মেয়েরা মোলেস্ট হয় বলেই তারা কেউ কখনো স্বেচ্ছায় সেক্স করেনা, এমনটা মানলাম না আরকি। যেমন আমি কখনই বলছি না, তারা স্বেচ্ছায় সেক্স করে বলেই মোলেস্ট হয়, বা কেউ কেউ স্বেচ্ছায় সেক্স করে বলেই অন্য কেউ মোলেস্ট হয় - ইত্যাদি। অ মানেই অজগর, আ মানেই আম এতটা সহজপাঠে আটকে নেই, এটাই বলার। ইতিপূর্বে শোনা যাবতীয় অপ্রীতিকর কসাল অ্যানালিসিস কে পরবর্তী কালে শোনা কোনো অ্যানালিসিস প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িয়ে ফেলে স্মৃতিবিষাক্ত ব্যক্তিগত অসহিষ্ণুতাকে কাউন্টার করার কোনো চেষ্টা আর করলাম না সেই অনুভূতিটাকে যথেষ্ট সম্মান জানিয়েই।

    আমি "স্বেচ্ছা" কথাটিকে যুগ যুগান্তরের কন্ডিশনিং বা ফলস কনসাসনেসের বাইরে আক্ষরিক অর্থে স্ব-ইচ্ছা নামক ডাইমেনশনটি দিতে চাইছি। এই ডাইমেনশনটি ঈশানীয় মডেলে ঢোকে কিনা জানতে চাইছি। এই যেমন, কোনো কন্যাভিলাষী, একমাত্র সন্তানের প্ল্যানিং করা, দম্পতি পুত্রভ্রূণ হত্যা করলে সেটাকে তাদের রাইট বলা হবে, না শস্তিযোগ্য অপরাধ বলা হবে জানতে চাইছি।
  • hanu | 125.18.104.1 | ১৫ মে ২০০৮ ১০:৫২396141
  • কিন্তু কেস হল ইকুয়ালিটি কে অ্যাটাক করা কে জাস্টিফাই করার জন্য আবার অনেক কিছুই ইশানকে নতুন করে লিখতে হতে পারে।

    অজদাকে সংক্ষেপে, এই ডিবেটে ফেমিনিস্তা কিস্যু রিপ্রেজেন্টেড হন নি, উল্টে দুটো জিনিস হয়েছে, সেটা হল ফেমিনিজমের স্বরের ভিন্নতার সম্ভবনাকে ওভারলুক করা হয়েছে। কারণ ধরে নেওয়া হয়েছে প্রচন্ড লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রয়েছে। এটা টেকনোক্র্যাসির জেনেরাল সমস্যা। এবং যাতটুকু যা স্যান আর অক্ষ বলেছিল, বেশির ভাগ স্বর কেই হয় হোমোজেনিটি নয় কনজারভেটিজম বলে উড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
  • Somnath | 59.160.220.131 | ১৫ মে ২০০৮ ১২:২২396142
  • আমার লেখাটা মমামীর লেখাটা অবধি পড়ার পর।
    অজদাকে আলাদা করে উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করছি, কারণ অজদার প্রথম দু লাইন বাদে বাকি পুরোটাই আমি কখনই বলিনি বা বলতে চাইনি। অনেকটা আমার মনের কথা আন্দাজ করে নেওয়ার চেষ্টা হল, যেটা মেয়ে হয়ে না জন্মেও আমি পছন্দ করলাম না। :-)

    আমি অজদার লেখার ঐ প্রথম দু লাইন ফ্যাক্ট ডেসক্রাইব করেছি মাত্র, আর সেটাকে কিভাবে এই টই য়ের তাত্বিক ফরমূলেশন ধরতে চাইছে জানতে চাইছিলাম। ফ্যাক্টটা কেন হচ্ছে সে সম্পর্কে আমি কোনো কারণ দেখাই নি, বরং বলেছি অন্য টই খুলে এই নিয়ে আলোচনা চলতে পারে। এমনকি আমি ফিমেল মোলেস্টেশনের কোনো কারণ ও আবিষ্কার করিনি বা করতে চাইনি। সেসব করার সম্ভাবনাকে খোরাক করার হাল্কা চেষ্টা অবশ্য করেছি পোস্টকলোনিয়াল ইত্যাদি জার্গনে। :-)

    শুধু বলতে চেয়েছি, এই ফর্মূলেশনের সময়ে ফিমেল মোলেস্টেশন নিয়ে কথা চলছে। প্রস্টিটিউশন কে শ্রম বেচার মত মার্ক্সীয় ঘরাণায় এনে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু নিজস্ব চাহিদা, বা ইচ্ছের মত ফ্যাক্টরগুলো, ঠিক মেজারেবল কোয়ান্টিটি নয় বলে তারা থিওরাইজেশনের ভেরিয়েবল হওয়ার গৌরব থেকে নিষ্কৃতি পাচ্ছে - এটা হওয়া উচিত নয়। বলা হয় শ্রমিক শ্রম বেচে পয়সা পান, আমরা মেধা বেচে পয়সা পাই, যৌনকর্মীরা যৌনতা বেচে পয়সা পান। সুতরাং এদের সবার প্রোডাক্টগুলির, অর্থাৎ শ্রম, মেধা, যৌনতার আদতে বিশেষ তফাত নাই। আমি বলতে চাই আমি যদি আমার কাজটা করে আনন্দ পাই, এমনকি বিক্রি না হলেও আমি কাজটা করব। বা, আরেকটু স্পষ্ট ভাবে, তখন এই বিক্রি হওয়াটা আমার কাছে একটা বাড়তি লাভ। আমি যদি কবিতা লিখে আনন্দ পাই, আমি কবিতাটা এমনিও লিখব। সেটা কোন বড় কাগজ ছাপিয়ে আমায় পয়সা দিলে সেটা আমার লাভ। তাতে খুশি তো হবই। কিন্তু ঐ লব্ধ মূল্যটাই আমার কবিতা লেখার ড্রাইভিং ফোর্স বা পুরোপুরি নির্ণায়ক ফ্যাক্টর নয়। সেটাই সেক্স মার্কেটের এক অংশের ক্ষেত্রেও খাটে। বিশেষত: এলিট অংশটি।

    এই নিয়ে বাংলালাইভের মতাতের পাতায় একদা প্রচুর কথাবার্তা হয়ে গেছে। মূলত: এই দুটি লেখার পরিপ্রেক্ষিতে
    http://tinyurl.com/5bugvb
    http://tinyurl.com/6ndhrz

    মতামতের ২৩৭ পাতায় পরে এক্ষুনি সেসব লেখাপত্র রয়েছে ঈশানের লেখা সহ। কৌস্তুভের লেখা দিয়ে যে সিরিজের শুরু। নবনীতা দেবসেনের ( তেলুগু পত্রিকা বার্তা-এর ২২ শে মে, ২০০৫ থেকে অনুবাদ করে লেখার) সহমতে একজন পাঠক লিখেছিল - "অনেকেই আছে, ভালো নামী দামী স্কুলের মেয়েরা, অগাধ বড়লোক বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান, যারা কল গার্ল হয়ে যায়। নিছক সময় কাটানোর উত্তেজক উপায় হিসেবে। তারা তাদের কাস্টমারদের মিট করে ওভার এ গ্লাস অফ ড্রিংক অর টু। পছন্দ হলে তাদের কামনা মেটায়, নাহলে সোজা উঠে চলে আসে। এদের রেট ও অনেক বেশি। অ্যারাউণ্ড ১০০০০-১৫০০০ পার নাইট।" এই কেসগুলো উদ্বৃত্ত শ্রম, না কন্ডিশনং না ফলস কনসাসনেস দিয়ে থিওরেটাইজ করা হচ্ছে সেটাই জানার ছিল।

    দ্রি,
    অধিকাংশ ক্ষেত্রে না হতেই পারে, তবু, বাসে ট্রেনে, এমনকি নিজের টার্মসে সেক্সুয়াল এক্সপেরিয়েন্সের স্বাদ ও মেয়েরা পেয়ে থাকেন। অন্তত: কিছু জনতার পাওয়ার গল্প আমি দেখেছি, ও শুনেছি। সেটাই বললাম।

    ন্যাড়াদা, থ্যাংকু। অন্তত: একজন বুঝতে পেরেছে কি বলতে চাইছি।

    হানুদার বক্তব্য ক্লাস স্ট্রাকচারে হায়ার ক্লাসের ক্ষেত্রে খাটে না। সেখানে ফিমেল এমপাওয়ারমেন্ট নিতান্ত বুকিশ বা থিয়োরেটিক রোমান্টিসিসম মাত্র নয়। অনেকক্ষেত্রেই রিয়েলিটি।
  • hanu | 125.18.104.1 | ১৫ মে ২০০৮ ১২:৪১396143
  • তার মানে এইটা স্বীকার করছিস, যে জেন্ডার এমপাওয়ারমেন্টের ন্যুনতম শর্ত অর্থনৈতিক পজিশন, এটা এমপাওয়ারমেন্ট নাও হতে পারে। আই রেস্ট মাই কেস।
  • hanu | 125.18.104.1 | ১৫ মে ২০০৮ ১৩:০৮396144
  • সোমনাথকে, হ্যারল্ড পিন্টারের একটা বক্তৃতা আছে বুঝলি, তাতে পিন্টার বেসিকালি টোনি ব্লেয়ার কে অ্যারেস্ট করতে বলছেন। ইরাকে বম্বিং এর জন্য, 'টেররিজম' এর্জন্য। আর লিবেরাল দের চোখে 'রিডিকিউলাস' এই দাবী কে এই ভাবে মোটামুটি ডিফেন্ড করছেন , অবজেকটিভ ট্রুথ বলে কিছু হয় কিনা, মালটিপল লেয়ার্স অফ ট্রুথ কারে কয়, এই সব নিয়ে একজন আর্টিস্ট হিসেবে আমার কন্সার্ন আছে, কিন্তু সিটিজেন হিসেবে আমার কনসার্ন টা আলাদা। এই দুটোকে গুলোতে আমি রাজি নই ইত্যাদি।

    আমি আঁতেল তাই এই বক্তৃতাটা পড়েছি। তুই যদি আঁতেল হতে চাস আমি তোরে পাঠায়ে দেবো :-)

    হতেই পারে, মরালিটির রক্তচক্ষুর আড়ালে প্রচুর লোক, মহিলা ও পুরুষ উভয়েই প্রচুর বিচিত্র ক্ল্যান্ডেস্টাইন ও সাবভার্সিভ সেকসুয়াল প্লেজার খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে। হতে পারে প্রাইভেট স্ফিয়ারের টার্‌ম্‌স এ তার স্যাম্পল সাইজ তেমন কম নয়, হতে পারে সে খবর তুই রাখিশ, তোর 'অভিজ্ঞতা' তাই, কিন্তু তাতে কিস্যু প্রমাণিত হয় না। প্রমাণিত হয় না যে মেয়েদের বিরুদ্ধে কমিটেড ক্রাইম নেই বা কমছে। প্রমাণিত হয় না, জেন্ডার ডিসক্রিমিনেশন নেই কর্মক্ষেত্রে। ইত্যদি।
    বেসিকালি জানিস, আমরা পুরুষ , আমরা জেন্ডার ইকুআলিটির বাজারে জাস্ট পুরুষ বলেই প্রচুর অ্যাডভান্টেজ পেয়ে থাকি। এই বাংলা রিয়েলিটি টাকে রেকগনাইজ কর। ইট ডাজেন্ট ম্যাটার হাউ কন্‌শাস আই অ্যাম ও ইউ আর।

  • rimi | 24.214.28.245 | ১৫ মে ২০০৮ ২০:৪৭396145
  • ধুর!!!!

    মেয়েদের এই আলোচনায় অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে - মেয়েদের কাছে এই সব অভিজ্ঞতা এতোটাই তিক্ত যে তা নিয়ে এই ধরনের উল্টোপাল্টা আলোচনা পড়তেও রাগ হয়! হবেটা কি? এই সব পাতার পর পাতা তঙ্কÄ আউড়ে কি লাভটা হচ্ছে? মেয়েরা এসব ভাওঁতাবাজিতে বিশ্বাস করে না, তাই এই নিষ্ফল আলোচনায় তারা নেই।

    পুরুষেরা করুক আলোচনা, পায়ের উপর পা তুলে, আপিস গিয়ে দুনিয়া উদ্ধার করে, আয়েশ করে চা খেতে খেতে। আর তাদের বৌরা কিম্বা মায়েরা গলদঘর্ম হোক রান্নাঘরে, কিম্বা বাচ্চার পিছনে ছুটোছুটি করে, কিম্বা কাজের লোকের পিছনে রাগারাগি করে, চাকরি করে কিম্বা স্বেচ্ছায় নিজের কেরিয়ার বিসর্জন দিয়ে।

    মেয়েদের, আরো বিশেষ করে মায়েদের, আরো বিশেষ করে চাকুরিরতা ছোটো বাচ্চার মায়েদের জাস্ট সময় নেই। আর বিশ্বাসও নেই।

    ডি: এটা আমার কথা। এখানে যে সব মহিলারা আসেন, তাঁদের কথা এটা নাই হতে পারে। তবে তাঁরা আর সংখ্যায় কতো? কজন মেয়ে গুরুতে আসার বিলাসিতা করতে পারেন?
  • Du | 67.111.229.98 | ১৫ মে ২০০৮ ২০:৫০396146
  • পারফেক্ট, রিমি।
    এমনকী দেশে চীয়ারলিডার আমদানী হওয়ার বিপরীতে আলুসেদ্ধ, ভুটাসেদ্ধ আর বেকড মাংসের টেস্ট আমদানী হলে বরং তাদের কিছু আরাম হত।
  • san | 220.227.64.98 | ১৫ মে ২০০৮ ২১:০৬396147
  • এইবারে সোমনাথকে লেখা যেতে পারে।

    "ট্রেনে বাসে মেয়েদের মোলেস্টেশন নিয়ে প্রচুর কথা হয়, হয়েছে।কিন্তু এই আলোচনায় এটা কখনোই আসে না, প্রচুর মেয়ে ও মহিলা ট্রেনে বাসে স্বেচ্ছায় ছেলেদের সঙ্গে সেক্স সেক্স খেলেন।" - এই বাক্যটির একাধিক মানে হওয়াই সম্ভব। এক্ষুনি তিনটে মনে আসছে।

    ১)মেয়েরা খেলে, অত:পর মোলেস্টেড হয়, অত:পর কান্না জোড়ে।
    ২)মেয়েরা স্টার্ভেশন ইত্যাদি জনিত কারণে ট্রেনেবাসে অপরিচিত পুরুষের সঙ্গে সেক্স সেক্স খেলে।
    ৩)পূর্ব-পরিচিত বন্ধুদ্বয়, বা প্রেমিকযুগল বা হোয়াটেভার, নলবন ভিক্টোরিয়া ইত্যাদির মত ট্রেন বাসকে আরেকটি ঘনিষ্ঠ হবার জায়গা হিসেবে ইউজ করেন।

    আলাদা করে তিনটেতেই লিখি।

    ১)আজকের পোস্টে দেখা যাচ্ছে এইটি বক্তার দাবি ছিলোনা।তবে "কিন্তু এই আলোচনায়" বাক্যবন্ধ ইউজ করে মোলেস্টেশন ও সুড়সুড়ির যে আপাত ডাইরেক্ট লিংক টি তৈরি হয়েছে এই লিংকেজের দায় 'স্মৃতিবিষাক্ত ব্যক্তিগত অসহিষ্ণুতার দায়ে অপরাধীরা' নিতে অক্ষম ও ততোধিক ভাবে অনিচ্ছুক। অপ্রীতিকর কজাল অ্যানালিসিসকে পরবর্তী অ্যানালিসিস প্রচেষ্টার সঙ্গে যদি কেউ জড়িয়ে থাকেন তো লেখক স্বয়ং অনবধানে তা করেছেন ।

    ২)বহু বহু মেয়ে ট্রেনে বাসে মোলেস্টেশনের প্রতিবাদ করে উঠতে পারেন না। তার একমাত্র কারণ এই নয় যে সেটা তাঁরা এনজয় করছেন। তবে জনতার দৃষ্টি আকর্ষণে প্রচণ্ড অনীহা এবং হিতে বিপরীত হবার ভয় তাদের চুপ করিয়ে রাখে। ফলে লোকে আস্কারা পেয়ে মাত্রা আরো বাড়ায় আর মহিলারা দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করেন। এক্ষেত্রে দর্শক যদি ঠুলিপরা চোখে একে পরস্পরের সম্মতি বলে দেখেন তাহলে দ্রি এর মতই বলতে হবে - লোকে অনেক সময়ই তাই দেখে যা সে দেখতে চায়।

    ৩)কোন ভারতীয় মেয়ে স্বেছায় সেক্স করেনা, বা বিবাহ-পূর্ব/বহির্ভূত সেক্স করেনা এই দাবি মনে হয় না এখানে কেউ করতে চাইছে।স্বেচ্ছায় সেক্স বা খেলা যথেষ্টই লোকে করে তবে সেখানে ট্রেন বা বাস ব্যাপারটা অবান্তর - নলবন বা খালি ফ্ল্যাট বা কফিশপে কোলে বসা ইত্যাদির মতই স্থান টা ইনসিডেন্টাল। । তো ট্রেনেবাসে মোলেস্টেশনের সঙ্গে স্বেছাকৃত সেক্স বা খেলার আদৌ কী ধরণের সম্পর্ক বর্তমন যে ' কিন্তু এই আলোচনায় এটা কখনোই আসেনা' বলে অভিযোগ করা হচ্ছে? দুটোর লিংকটা কেউ বুঝে থাকলে আমাকে বুঝিয়ে দেয়া হোক।
  • r | 198.96.180.245 | ১৫ মে ২০০৮ ২১:১৩396148
  • মেয়ে না হয়েও, রিমিকে বুঝলাম ও সমর্থন করলাম।

    খুব সম্প্রতি এক বিখ্যাত সমাজতাঙ্কিÄক বলছিলেন- এইটা বোঝা দরকার যে সমাজতাঙ্কিÄক আলোচনার একটা নির্দিষ্ট গন্ডী রয়েছে। সেই গন্ডীর বাইরে যাবতীয় তঙ্কÄ নিষ্ফল, সময়ের অপচয় মাত্র। সেই গন্ডীটা বোঝা খুব জরুরী।
  • P | 163.244.62.125 | ১৫ মে ২০০৮ ২১:৪১396150
  • অন দ্য অদার হ্যান্ড , আমি ন্যাড়াবাবুর সাথে অম্পূর্ণ একমত।
    সোমনাথের লেখা পড়ে আমার মেয়ে-স্বত্তা এতটুকু আহত বা অপমানিত হয় নি। কারণ যুগযুগ ধরে আমরা মেয়েরাই কখন যেন নিজেদের লাঞ্ছিত-অপমানিতা-নির্যাতিত দেখতে দেখতে অসম্ভবরকমের ডিফেন্সিভ হয়ে গেছি। এখন আমরা মেয়েরাই চুড়ান্ত রকমের ডিগ্রীত-শিক্ষিত-স্বাবলম্বী হয়েও কোথায় যেন সেই লেট-সিক্সিটিজেই রয়ে গেছি। আর সেই জন্যেই এক পরিচিত পুরুষ চিয়ারলীডারদের ছবির লিংক শেয়ার করলেই আমরা গেল-গেল রব তুলি। অথচ সে স্বল্পবসনা মেয়েটি কিন্তু স্বেচ্ছায় চিয়ারলীডার , হয়তো তার কাছে চিয়ারলীডিং ডাক্তার-ইঞ্জিনীয়ার হবার মতই সম্মানীয়। গতকয়েক হপ্তা ধরে গুরুর চিয়ারলীডিং নিয়ে বেফালতু তাঙ্কিÄক কচকচি পড়লে হয় তো সেই মেয়েটি প্রথমবার নিজের পোশাকাশাক আর পেশা সম্বন্ধে অপমানিত বোধ করতে পারত।

    এবারে দুই-নম্বর কচকচি। সোমনাথের বক্তব্য আমি কোনোমতেই মেয়েদের প্রতি কমিটেড ক্রাইমের স্বপক্ষে অথবা বিপক্ষে দেখি নি।
    সোমনাথকেই কোট করি - " যৌনকর্মীদের এই পেশায় আসার কারণ অনেকগুলো বলা হয়ে গেছে , কিন্তু কেউ বলেন নি একটি মেয়ে স্রেফ পুরুষের সাথে শুতে ভাল লাগে বলে এই কাজটি করেছে?"
    এইখানে বলে রাখি আমি চেন্নই এ একটি এন জি ওর হয়ে বছরতিনেক যৌনকর্মীদের সাথে কাজ করেছি আর ব্যক্তিগতসূত্রে একটি হস্টেলে থাকাকালীন একজন স্বেচ্ছাযৌনকর্মীর রুমমেট হিসেবে দেড়বছর কাটিয়েছি। প্রথমাবারের অভিজ্ঞতা গতানুগতিক হলেও দ্বিতীয়জন এক্কেবারে সোমনাথের বক্তব্য এপিটোমি। বোধিকে কোট করলে হ্যাঁ আমি "খবর রাখি" , হ্যাঁ এই আমার "অভিজ্ঞতা" কিন্তু " তাতে কিস্যু প্রমাণিত হয় না" । অফকোর্স হয় না। আর প্রমাণ করতে চেয়েছেই টা কে ? শুধু কয়েনের যে আরো একটা উল্টো পিঠ আছে (হোক না প্রাইভেট স্ফিয়ারের টার্মে ক্ষুদ্র স্যাম্পল সাইজ ), দেখাতে গেছে সোমনাথ। আর বাই চান্স আমিও সোজাদিকটার সাথে উল্টোদিকটা কিছুটাও দেখেছি এগারোবছরধরে বনের মোষ তাড়ানোর সুবাদে।

    আর বোধির জেন্ডার ইক্যুয়ালিটির প্রসঙ্গে আরো একটি কথা বলার ছিল। আজকের "জেন্ডার ইক্যুয়ালিটির" বাজারে
    পুরুষদের থেকে ঢের বেশি অ্যাডভান্টেজ আমরা মেয়েরা পেয়ে থাকি। এইটাও কিন্তু বাংলা রিয়েলিটি।

    তবে হ্যা আসল কথাটা বলে গেছেন রিমি।
    "ধুর !!"
    জীবনে এমনিতেই এত চাপ , গুরুতে পাতার পর পাতা তক্ক করার বা পড়ার সময় বা ইচ্ছা কোনোটাই হয় না। বরং দিনশেষে সময় পেলে বুলবুলভাজা-গুচ-বই রিভিউ বা টিম-ডিডিদা-প্রত্যুষার কবিতা পড়লে ঝিমনো মন একটু ফুরফুরে হয়।আমার কাছে গুরুর এইটুকুই সার , বাকি সব ভুষি। তাও আজ ল্যাদ আর একটা কন কল কাটিয়ে তক্ক করে ফেল্লুম। কম কথা !

    আর হ্যাঁ , ডানদিকে বাংলা নাই। বানা ভুল থাগলে মাপ চেয়ে নিচ্চি আগেভাগে। খিল্লি শোনার ভয়ে। বানান নিয়ে বাড়াবাড়ি দেখলে আমার আবার একটু গা জ্বলে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন