এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • চিয়ারলিডার বা সুড়সুড়ি বা খেলা বা রাজনীতি

    Ishan
    অন্যান্য | ২৯ এপ্রিল ২০০৮ | ১৯৪০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 122.168.72.131 | ০৩ মে ২০০৮ ২২:০২395951
  • শান্তনু,
    তোমার কথায় কেমন যেন "" সাচ্চাই কী পুট'' হ্যায়।:))))
  • shyamal | 72.24.208.96 | ০৪ মে ২০০৮ ০৫:১৫395952
  • ঈশানকে ,

    আমারও এতে কোন দ্বিধা নেই যে যৌন কর্মীকে (জিগোলো সমেত) অবশ্যই অন্যান্য কর্মীর মর্যাদা দিতে হবে । শুধু তাই নয়, কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হলে তাতে কর্মী ও খদ্দেরদের এস টি ডি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে। মুসলিম-পুর্ব কালে এঁদের সামাজিক স্ট্যাটাস অনেক ওপরে ছিল। বসন্তসেনা বা আম্রপালির গল্প তার উদাহরন।

    ঈশান যেটাকে ডিসিপ্লিনারি পাওয়ার বলেছেন, দ্রি সেটার লেজিটিমেসি সম্বন্ধে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বলে মনে হল। বিশেষত: এম এ পড়ার উদাহরনে। যে এম এ পড়তে পারছেনা সে ঠিকই এম এ পাশদের থেকে পিছিয়ে পড়ছে সামাজিক, আর্থিক দিক দিয়ে। কিন্তু সেটার কারণ যদি পয়সার অভাব হয় আর শিক্ষার অভাব হয় , দুটো সম্পুর্ণ আলাদা। প্রথমটার ক্ষেত্রে হয়তো সমাজের কিছু দায় থাকতে পারে। কিন্তু দ্বিতীয়টা অবশ্যই নয়।

    আমি এম এ তে ভর্তি হতে পারলামনা কারণ আমার সে বিদ্যে নেই। তাই আমি এমপাওয়ার্ড হলাম না। এবারে সে জন্য যদি সমাজের মেরিটোক্র্যাসিকে দোষ দেই সেটা আমার নির্বুদ্ধিতা। এর মধ্যেও ব্যাপার আছে। যদি সমাজ বাজারের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষিতদের এম এ পড়ার কলেজ করতে বাধা দেয় তবে সেটা সমাজের দোষ। কিন্তু যথেষ্ট কলেজ থাকতেও আমি যদি ন্যুনতম যোগ্যতাকে অতিক্রম না করতে পারি সেটা আমার দোষ।

    বাম ফ্রন্টের আমলে নিয়ম হয়ে গেছে যে মেরিট থাকুক চাই না থাকুক, ক্লাশ এইট অবধি প্রতি বছর পাশ করাতেই হবে। সে ছাত্র বা ছাত্রী যত খারাপই হোক না কেন। তাতে শিক্ষা ব্যবস্থা ফার্স হয়ে গেছে । মূল কারণ, বাম ফ্রন্ট মেরিটোক্র্যাসিকে চ্যালেঞ্জ করেছে বলে।
  • Ishan | 216.153.174.107 | ০৪ মে ২০০৮ ০৮:৩৯395953
  • রঞ্জনদা,
    "অন্যরকম হয়ে থাকার সমানাধিকার'। হ্যাঁ। প্রিসাইজলি এইটাই বলছি। পার্সোনাল স্পেসের কনসেপ্ট ডেফিনিটলি ওর একটা সাবসেট। (দুটো বাক্যে বললাম :) )।

    দ্রি,
    এই ডিবেটটা নেটে পুরোটা অ্যাভেলেবল। দিচ্ছি। http://www.chomsky.info/debates/1971xxxx.htm

    আরেকটা বিখ্যাত ডিবেট হল ফুকো বনাম হেবারমাস। সেইটা নেটে আছে কিনা ব্ল্যাংকি বলতে পারবে।

    অ্যাকচুয়ালি আমি একটু বেইবেই করতে এসেছি। টাইম পেলে একটু বাদে লিখছি। নইলে কাল। এই নিয়ে আমার পোচ্চুর লেখার আছে। :)
  • Ishan | 216.153.174.107 | ০৪ মে ২০০৮ ০৯:৩৫395954
  • এলাম যখন দ্রিকে কটা কথা লিখেই যাই। :)

    ফুকো নিয়ে তক্কাতক্কিটা পরে হবে। এখানে দুটো পয়েন্ট সংক্ষেপে।

    এক। মেকাপ কেনার যার পয়সা নেই সে বঞ্চিত। অতি অবশ্যই। এমএ পড়ার সুযোগ যে যোগ্যতা থাকতেও পেলনা, সে বঞ্চিত। কোনো সন্দেহ নেই। লক্ষ্য কর দেখবেন, স্যানকে শেষ পোস্টের আগের যে পোস্টটা করেছিলাম, তাতে লিখেছিলাম, "তুমি (অর্থাৎ ক্ষমতা) সুন্দরী সংজ্ঞাটাই এমন করে বানাচ্ছ, যাতে কিছু লোক এমনিতেই এক্সক্লুডেড। তাদের হাতে সুন্দরী হওয়া ছাড়া কোনো অপশন নেই, কিন্তু তারা হতে পারবেনা। অতএব, জ্যাক নিকলসনের মতো মৃত্যুর রাস্তাই খোলা আছে একমাত্র। মানে বেসিক্যালে এক্সক্লুডেড হয়ে থাকা। এইটা হল ডিসিপ্লিনারি পাওয়ারের বিরুদ্ধে আসল কমপ্লেন।'

    এই লেখায় "তারা সুন্দরী হতে পারবেনা' টা খুব কনসাসলি লেখা। কারণ আমার ধারণা ছিল, আসলে মূল পয়েন্ট হল "হতে না পারা'টাই। পরে স্যান জানাল, যে, কেউ কেউ মনের দু:খে হতে পারবেনা বলে মনের দু:খে কমপ্লেন কমপ্লেন করা হচ্ছে তা নয়। আসল কথা হল পারলেও হতে হবে কেন।(স্যানের ঐটাই পয়েন্ট ছিল, এখানে স্যানকে আমি কোনো দোষারোপ করছিনা কিন্তু)। ফলে তার উত্তরে আমি যাযা বলেছি, সেগুলোতে "পারলেও হতে হবে কেন' যাঁরা ভাবেন, মেইনলি তাঁদের অ্যাড্রেস করেছি।

    এখন আপনি বলছেন, "যারা সুন্দরী হতে পারবেনা', তাদেরকে কেন অ্যাড্রেস করা হয়নি। এটাকে কি আমি তর্কের খাতিরে ধরব? তর্কের খাতিরে বললেও আমার কোনো আপত্তি নেই, কারণ যুক্তি "তর্কের খাতিরে' হলেও দিতে হয়। সেটার কাউন্টারও করা যায়। এক্ষেত্রে "যারা পারবেনা' এবং "যারা চাইবেনা', তাদের উভয়ের ক্ষেত্রেই আমার স্ট্যান্ড একই। তারা এক্সক্লুডেড।

    দুই। ডিসিপ্লিনারি পাওয়ার "শুধু' শোষণের যন্ত্র, এক্সক্লুশনের হাতিয়ার, এইটাতে আমার আপত্তি আছে। এক্সক্লুশন হয়, একশবার হয়, সে নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। সেগুলোকে রেজিস্ট করা দরকারও। কিন্তু ক্ষমতা "শুধু' এক্সক্লুড করে এইটা আমি মানতে পারলাম না। ধরুন, আমি এই যে নেটে লিখছি, হোটেলের ঘরে বসে লিখছি, এত সহজে কমিউনিকেট করছি, তার পিছনে আদতে কি আছে? বিগ ক্যাপিটালের মুনাফার লোভ। তারা নিত্যনতুন প্রোডাক্ট লঙ্‌চ করছে, হরেকরকম কম্পিউটার বাজারে ছাড়ছে, বহু লোক তা থেকে বঙি্‌চত, সব সত্যি। কিন্তু ইন্টারনেট আমাকে কোনো পাওয়ার দেয়নি, এইটা শুধু মেনে নিতে পারবনা।

    ব্যস আর কিছ্‌হু না।
  • pinaki | 131.151.54.206 | ০৪ মে ২০০৮ ১০:১৮395955
  • বেই বেই করতে এসেও যারা পোবোন্ধো লেখে তাদের-ই সামজিকভাবে exclude করা উচিৎ। :-))
  • d | 117.99.28.112 | ০৪ মে ২০০৮ ১১:০৪395956
  • শ্যামল,

    আপনার শেষ প্যারার বক্তব্যের তথ্যসূত্র কি?
    কোন্‌ কোন্‌ স্কুলে এই নিয়মটা চালু?
  • dri | 75.3.201.43 | ০৪ মে ২০০৮ ২২:৩০395957
  • চিয়ারগার্লরা এসে কি মামুর শ্রেণীচরিত্রে কান্নিক লাগিয়ে দিল?

    তব হ্যামার পড়িল পদতলে -- তব সিক্‌ল পড়িল পদতলে হায় একি দশা!
  • arjo | 24.214.28.245 | ০৪ মে ২০০৮ ২২:৪১395958
  • এইখানে দু একটি কথা বলার ছিল:-

    ১। ঈশানের লেখার প্রথম দিকটা খুব অস্বচ্ছ ছিল। ঠিক বোঝা যায় নি, কিন্তু পরের দিকে বক্তব্য অনেক পরিস্কার, বুঝতে অসুবিধা হয় না। একটাই কথা, তাহল সমস্ত ধারণা বা ঘরানার একটা নিজস্ব ভোকাবুলারি থাকে আর সেটা ইউজ না করলে আমাদের মতন বইয়ের প্রচ্ছদ পড়া লোকজন দের একটু অসুবিধা হয়। :-) । আরও সমস্যা হয় উইকিতেও খুঁজে পাওয়া যায় না। কারণ কি দিয়ে খুঁজব বুঝে পাই না। আর বক্তব্যেও খানিকটা অস্বচ্ছতা থেকে যায়।

    ২। যাক, এখন যখন খানিকটা বুঝতেই পেরেছি যে ঠিক যেটা বক্তব্য - পোস্টমর্ডান ফিলজফি আর আইডেন্টিটি পলিটিক্স এর ঈশানীয় তঙ্কÄ - তখন এই প্রশ্ন টা রইল। ফেমিনিস্ট পলিটিক্স কি একটা ট্রানজিশনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে না? ফেমিনিস্ট পলিটিক্সের পরবর্তীকালের রিয়ালাইজেশন কি এটাই নয় যে নারীদের সমস্যা দেশ, কাল এবং স্থান নিরপেক্ষ নয় বরং ভয়ংকর রকম ভাবে ডিপেন্ডেন্ট? ফেমিনিস্ট পলিটিক্স কি অনেক বেশি মাইক্রো লেভেলের কথা ভাবছে না?

    একটা উদা: দেওয়ার চেষ্টা করি। বঙ্গদেশের একটা পরিবার। স্ত্রী এবং পুরুষ দুজনেই সমান শিক্ষিত এবং চাকরী করেন। কিন্তু দেখা যায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ক্ষেত্রে নারীটি রান্নাবান্না করবে, সন্তান প্রতিপালন করবে, আর পুরুষটি ইকনমিক পাওয়ার হোল্ড করেন। সমস্ত সিদ্ধান্ত পুরুষের - এমনকি সন্তান প্রতিপালনের ক্ষেত্রেও। অন্যদিকে ইওরোপিয়ান বা আমেরিকান সোশ্যাল স্ট্রাকচারে একটু অন্যরকম হত ব্যপারটা। বক্তব্য একটাই সেটা হল ভ্যারিড সোশ্যাল এবং ইকনমিকাল স্ট্রাকচারে এম্পাওয়ার্মেন্টের ডেফিনিশন কি বদলে যায় না? আমার মতে যায়। আমেরিকায় স্ট্রিপ ক্লাবে নাচার সিদ্ধান্ত একটা ভ্যালিড চয়েস একধরণের এম্পাওয়ার্মেন্ট কিন্তু পুরুলিয়ায় হাইরোডের ধাবায় পতিতাবৃত্তি অনেক ক্ষেত্রেই বাধ্যতা। তাই দময়ন্তীর প্রশ্নগুলোর সবকটাকে এমপাওয়ারমেন্ট বললে মনে হয় দেশ, কাল এবং সময়ের এই ডাইমেনশন টাকে ইগনোর করে জেনারাইলাইজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

    ৩। এবারে আমার অনেক আগের একটি পোস্টে যখন আমি ভারতীয় ইতিহাসের কথা বলছিলাম তখন আমি খুব অপরিস্কার ভাবে এই কথাটাই বলতে চেয়েছিলাম। ভারতীয় ইতিহাস, পলিটিক্স, অর্থনীতির কথা না ভেবে এই ইউনিভার্সাল ইন্টেলেকচুয়াল তঙ্কÄ আরোপ করে চি:লি: র আলোচনা করা হচ্ছে কেন? ভারত এইজন্যই কারণ যে বেসিক প্রশ্নটা থেকে এই ডিবেটের উৎপত্তি তাতে যুযুধান দু পক্ষের একপক্ষ পোস্টকলনিয়াল সোশ্যাল স্ট্রাকচারের মধ্যের জায়গা তুলে ধরার চেষ্টা করছে আর অন্য পক্ষ একটা ওয়েস্টার্ণ ফিলজফিকাল থিওরির ব্যাখ্যা দিচ্ছে। আমার নিজস্ব মতে এটা একটা বেসিক প্রবলেম।

    ৪। চি: লি: নিয়ে আমার মত অন্যান্য যে কোনো যেকোনো বৈধ প্রফেশন সম্বন্ধে হয়ে থাকে সেইটুকুই। আজকের যুগে ইকনমিক ইন্ডিপেন্ডন্স নারীকে অবশ্যই একটা আলাদা সঙ্কÄ¡ দেয়। চি:লি: একটা বৈধ প্রফেশন যা সব মিলিয়ে ১.৫ মিলিয়ন মানুশের প্রফেশন। তাই ভারতীয় সমাজে বি এ, এম এ পাস দেওয়ার থেকেও এদেশের চি:লি: অনেক বেশি এমপাওয়ার্মেন্ট দেয়। এটা কোন ঘরনার লোকে বলে এইসব শক্ত প্রশ্ন করবেন না। কোনো ঘরনার লোকে না বললেও অসুবিধা নেই।

    ৫। প্রস্টিটিউসন অবশ্যই বৈধ বলে স্বীকার করে নেওয়া উচিত। জানতে ইচ্ছুক নেদারল্যান্ডস বা অন্যান্য দেশের বর্ত্তমান অবস্থা কি? কারণ বৈধ বলে স্বীকার করলে এটা অনুমান করতে অসুবিধা হয় না এর কিছু নেগেটিভ এফেক্ট থাকবেই। বিশেষত ভারতে।
  • shyamal | 72.24.208.96 | ০৫ মে ২০০৮ ০২:১১395959
  • ডি,

    বলাই বাহুল্য যে প্রাইভেট স্কুল এর আওতায় পড়েনা। এই নিয়ম প্রযোজ্য সেই সব স্কুলে যেগুলো গভর্নমেন্ট বা গভর্নমেন্ট-এইডেড। প:বঙ্গে অধিকাংশ স্কুল হল গভর্নমেন্ট-এইডেড। ষাট-সত্তরের দশকে আমরা এইসব স্কুলে পড়েছি। এখন অবশ্য মধ্যবিত্ত প্রাইভেট স্কুল ছাড়া তাকায়না। তা এইসব স্কুলের নিজের গভার্নিং বডি আছে। কিন্তু সরকারী সাহায্যে চলত। আমাদের আমলে স্কুল কি ভাবে চলবে সেটা ঠিক করত গভার্নিং বডি। সরকার নয়।
    বাম ফ্রন্ট আসার পরে এইসব স্কুলে ছাত্ররা ফ্রি হয়ে গেল যেটা আমাদের আমলে ছিলনা। সেটা গরীবদের পক্ষে একটা ভাল ব্যাপার। সরকার ঠিক করল শিক্ষকদের মাইনে সরকার সরাসরি দেবে। আর নির্দিষ্ট স্কেল ঠিক করল। বেসিকালি কমিউনিষ্ট ভাবধারা অনুযায়ী বাজারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাল।
    কিন্তু সরকার যেহেতু স্কুল চালাচ্ছে, স্কুলকে তাদের কথা শুনতে হবে। তারফলে ছাত্রদের মান গোল্লায় গেল। আগে শিক্ষক আর গভার্নিং বডি ঠিক করত কি মান অনুযায়ী ছাত্রদের পাশ করাতে হবে। সরকারের অ্যাজেন্ডা অন্য রকম। তাদের দেখাতে হবে বহু ছাত্র ছাত্রী শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে।
    তাই তারা বলল যে ফাইভ, সিক্স, সেভেনে সবাইকে পাশ করাতে হবে। আমার দিদি এরকম একটি স্কুলে তিরিশ বছরের বেশী পড়িয়ে গত বছর অবসর নিয়েছে। দিদির কাছেই শোনা।
    শিক্ষকদের ওপরে চাপ আসে যে ছাত্রী অংকে আট পেয়েছে সেটাকে যেনতেন প্রকারেন তিরিশ করতে হবে। খারাপ রেকর্ডের ভয়ে শিক্ষকরাও তাই করেন। ছাত্রী ফাইভ, সিক্স, সেভেন পাশ করে যায়। এইট থেকে নাইনে ওঠার সময়ে সরকার স্ট্রিক্ট। কারণ তারা জানে যে মেয়ের ক্লাশ ফাইভের বিদ্যা নেই, সে যদি মাধ্যমিক দেয়, গোল্লা পাবে।
    এইটে গিয়ে ঝামেলা হয়। আজকাল এইসব স্কুলেও পেরেন্ট-টিচার-মিটিং হয়। সেখানে অভিভাবকরা (দিদির ভাষায় তারা অধিকাংশ আলুওয়ালা, পটলওয়ালা)এসে চোটপাট করে শিক্ষকদের, আমার মেয়ে এতোদিন ঠিক ঠিক পাশ করে গেল আর আপনারা ক্লাশ এইটে ছটা সাবজেক্টে ফেল করিয়েছেন। আপনাদের শিক্ষকতায় গলদ আছে। দিদির স্কুল কিন্তু মফস্বলের নয়। গড়িয়াহাট থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যে।
    এতে লাভ? পরিসংখ্যান। সরকার বলতে পারে আমাদের রাজ্যে বিশাল সংখ্যার ছেলে মেয়ে ক্লাস সেভেন পাশ।
    আর নতুন শিক্ষকদের মধ্যে ৯০% বামফ্রন্টের সমর্থক। এটা কোন কোয়েন্সিডেন্স নয়।

  • shyamal | 72.24.208.96 | ০৫ মে ২০০৮ ০৫:১৮395961
  • আর্য লিখেছেন আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারে নাকি সব সিদ্ধান্ত পুরুষের। তারাপদ রায়ের একটা চুটকি মনে পড়ে গেল। সেটা কিন্তু ১৯৭৪-৭৫ এ লেখা।

    তারাপদবাবু বলছেন, আমার বাড়িতে ডিসিশন ভাগ করা। বড় বড় ডিসিশনগুলো আমি নিই যেমন ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক কি হবে, ভারতের আমেরিকা না সোভিয়েত দেশ কার সঙ্গে বেশী বন্ধুত্ব করা উচিৎ, ভারতের অর্থনীতি কেমন হওয়া উচিৎ ইত্যাদি। আর আমার স্ত্রী নেয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ডিসিশন, যেমন ছেলেকে কোন স্কুলে ভর্তি করা হবে, কাজের লোকের মাইনে কি হবে, মাসিক বাজার খাতে কত টাকা খরচ করা হবে, মাসির মেয়ের বিয়েতে কত দামের গিফ্‌ট দেওয়া হবে ইত্যাদি।

    আর আমেরিকায় স্ট্রিপ ক্লাবে যে মেয়েরা নাচতে যায়, বেশিরভাগই পেটের তাড়নায় যায়। সখ করে যায় কমই। কাজেই তার সঙ্গে আমাদের দেশের পতিতাবৃত্তির তফাৎ কম। কোনটা বাধ্যতা আর কোনটা নয় তার ফারাক সূক্ষ। আমার এক বন্ধু হায়ার সেকেন্ডারিতে থার্ড হয় এবং আই আই টিতে ইলেকট্রনিক্স পড়ে। কিন্তু সে বলেছিল, সম্পুর্ণ স্বাধীন ইচ্ছা থাকলে সে ইংরিজিতে বি এ , এম এ করত।
  • stoic | 160.103.2.224 | ০৫ মে ২০০৮ ১৪:১৬395962
  • যদিও এই টই তে আগে লিখিনি, এইটা ঈশানের প্রশ্নর উত্তরের জন্য লেখা।

    আমিও d এবং শ্যামল বাবুর সঙ্গে একমত। যৌনবৃত্তি লিগালাইজেশনের পক্ষে। কারণ 'সেক্স সেল্‌স্‌'। সেটা বৈধ করলেও সেল্‌স্‌, অবৈধ করলেও সেল্‌স্‌। আমার ধারণা, অন্তত ইউরোপীয় কনটেক্সটে, লিগালাইজ করলে, এই পেশায় যারা স্বেচ্ছায় আসেনা, অপ্রেস্‌ড্‌ বা কোয়ের্সড হয়ে আসে, তাদের লাইফে কিছুটা হলেও, সমস্যা কমবে।

    ভারতীয় কনটেক্সটে বলতে পারব না, যেখানে সাধারণ বৈধ পেশাগুলোতেই এত কোরাপশান এবং দুনম্বরি, সেখানে দেহব্যবসাকে বৈধ করে কজন দেহব্যবসায়ীর জীবনে উন্নতি হবে, সে ব্যাপারে আমি যথেষ্টই স্কেপটিকাল।
  • pi | 69.251.184.3 | ০৫ মে ২০০৮ ২০:৪৯395963
  • 'যারা হতে চাইবে না ' বা 'যারা হতে পারবে না' তারা সবাই ডিসিপ্লিনারি পাওয়ারে 'এক্সক্লুডেড', এবং এই 'মার্জিনালাইসড' জনতার এই শোষণের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হলো 'রাইট টু বি ডিফারেন্ট' , তাই বলছেন তো ঈশানবাবু ?
    এতে করে 'হতে পারি কিন্তু ক্যানো হবো' গোত্র, যারা 'ডিসিপ্লিন ও বাধ্যবাধকতা কে এনজয়' করছে না, তাদের কাছে একটা বিকল্প পলিটিক্স এলো, মানছি।
    কিন্তু যারা, সত্যি সত্যি হতে 'চেয়ে' হতে পারলো না, সুন্দরী কিম্বা M.A পাশ,এবং সেটা সুযোগের অভাব কি বন্‌চনার কারণে হোক, দ্রি র সেই 'ডিসেম্পাওয়র্ড' জনতা কি এই পলিটিক্স এ এম্পাওয়রমেন্ট এর জন্য কোনো বিকল্প পাবে ? পেলে কিভাবে ?
  • pi | 69.251.184.3 | ০৫ মে ২০০৮ ২২:০৮395964
  • মায়েদের ইচ্ছায় কন্যাভ্রূণ হত্যা কি অত সহজে এম্পাওয়ারমেন্ট বলে দেওয়া যায় ? এই 'স্বেছায়' নেওয়া ডিসিশান কতটা just choice জনিত ? দমনমূলক প্রেশার আপাতভাবে না থাকলেও, সেটা কি অন্য subtle form এ কাজ করতে পারেনা ? অনেক ক্ষেত্রেই কিন্তু নিজে মেয়ে হয়ে যা ফেস করতে হয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি চান না মায়েরা , কিম্বা মেয়ে হলে পরিবারিক ভাবে সেটা অনেক্সময় ই আনওয়েলকাম হয়ে থাকে, মানে ছেলে হোক এই এক্সপেক্টেশান এর চোরাস্রোত বয়েই থাকেই বহুসময় ( সেটা দাবীদাওয়া র মতন উচ্চকিত নাই হতে পারে, তাই তাকে দমনমূলক ক্যাটাগরি তেও ফেলা যাবে না ঠিক)। সেটা দিয়ে পরোক্ষভাবে প্রভাবিত মায়ের ইচ্ছা কতোটা স্বেচ্ছা ? আর, এটা নিতান্ত চয়েস এর ব্যাপার হলে স্বেচ্ছায় পুরুষ ভ্রূণ হত্যার কথা শোনা যায় না ক্যানো ?

    আর, যৌনকর্মীদের কন্যাসন্তানকে নিজের প্রফেশান এ আনাটাই বা কিরকম এমপাওয়ার্মেন্ট ? এটা কি সন্তানের নিজের চয়েস হওয়া উচিত না ? মা কি বাবা যেই নিজের কি নিজের পছন্দমতন প্রফেশানে নিয়ে আসতে চাইছে, সেটা কে এমপাওয়ার্মেন্ট না বলে ক্ষমতার অপব্যবহার বা পাতি কথায় ঐ 'দমন' বলা উচিত নয়কি ?

    নিজের জন্য পণ চেয়ে বাবা মা কে চাপ দেওয়াটা ও কি অমনি একধরণের অন্যায় চাপ তৈরি নয়? যে জিনিষ চাওয়ার rights ই নেই, এমপাওয়ার্মেন্ট এর দোহাই দিয়ে সেই চাওয়াটাকে জাস্টিফাই করাটা কিন্তু সত্যিকারের এমপাওয়ার্মেন্ট এর ইস্যুগুলো কেই লঘু করে দেওয়া ছাড়া আর কিছু করেনা।

    যৌনব্যবসার বৈধীকরণ প্রসংগে, অনেকটাই একমত D এর সাথে, ঐ ন্যায্য rights এর দাবী করতে পারা ইত্যাদি ইস্যুতে। কিন্তু এই প্রফেশান এ আসা কি শুধুই স্বেচ্ছায় দেহ বেচার ইচ্ছা থেকে কি বাঁচার তাগিদে just যেকোনো একটা জীবিকা র খুঁটি ধরলাম, সব সময় তো তা নয়। বহু ক্ষেত্রে, অন্যায় ভাবে, exploit করে, জোর ফলিয়ে এই প্রফেশান এ ঢোকানো হয়। ব্যাবসাটি বৈধ হলে, এইসব যৌনকর্মী দের সম্বন্ধে কি stand নেওয়া হবে, compensation জাতীয় কিছু? just জানার ইচ্ছা ছিলো, এই নিয়ে যারা অন্দোলন করছেন, এটা নিয়ে কিছু বক্তব্য আছে কিনা তাঁদের।
  • Ishan | 12.240.14.60 | ০৫ মে ২০০৮ ২২:২৩395965
  • আর্য এবং পি,

    আমি মূলত: "ইকুয়ালিটির পক্ষে' কথা বলাটাকে রিপ্লেস করতে বলছি "বাধ্যবাধকতার বিরুদ্ধে' এবং "এক্সক্লুশনের বিরুদ্ধে' কথা বলা, এই দুটো জিনিস দিয়ে। এই দুটো ঘরানার মধ্যে কিছু সাধারন জিনিস আছে। যেমন, একটি মেয়ের ইচ্ছে নেই, কিন্তু তাকে পোশাক খুলে নাচতে হচ্ছে। বা একটি ছেলের ইচ্ছে নেই, কিন্তু চায়ের দোকানে কাজ করতে হচ্ছে। এগুলোর বিরুদ্ধে বলা দরকার। ইকুয়ালিটির মক্ষে যাঁরা আছেন, তাঁরাও বলবেন, আমিও বলব।

    কিন্তু তফাতও আছে। পোশাক খুলে নাচাটা একজন ভালোবেসে করছেন, নাকি "বাধ্য হয়ে' করছেন, আমার স্ট্যান্ড হল, সেটা ডিসাইড করার একমাত্র মালিক হলেন তিনি, যিনি নাচছেন (যদি সাবালিকা হন)। রাম-শ্যাম-ফুকো-মার্কস, কাররই রাইট নেই, একজন মানুষের ভালো-খারাপ থাকাটা তাঁর হয়ে ঠিক করে দেবার।

    অন্যদিকে ইকুয়ালিস্টরা বলবেন, জাস্ট উদাহরণ, যিনি নাচছেন, তাঁর ভালো লাগলেও (ধরা যাক লাগছে), সেটা তিনি না বুঝে বলছেন। আসলে তাঁর ডিগনিটি পুরুষতন্ত্র দ্বারা পদদলিত হচ্ছে। তাঁর কনসাসনেস আসলে "ফলস কনসাসনেস'। অতএব, না বুঝলেও, তিনি শোষিত হচ্ছেন।

    এই নিয়ে আরও লিখছি। একটু পরে।
  • pi | 69.251.184.3 | ০৫ মে ২০০৮ ২২:৪৫395966
  • জোর করে নাচানো বা স্বেছায় নাচার অধিকার নিয়ে আমি তো কোনো প্রশ্ন তুলিনি, এনিয়ে ঈশান বাবুর পোস্টের (আগের ও এইটি) সাথে তো দ্বিমত ও নেই।
    আমার প্রশ্ন, যে মেয়েটি দেখছে নাচলে ( বা অন্য কিছু করলে) empowerd হওয়া যাবে এবং সেখান থেকে (বা নিজের থেকে) এভাবে empowerd হবার ইচ্ছা জাগছে তার মনে, অথচ সেই নাচের শিক্ষা ( কি নিজেকে সুন্দর করে তোলার বা M.A পাস দেবার) লাভ করার সামর্থ্য যাকে সমাজ বা জন্মসূত্র দ্যায় নি (দ্রি বাবুর ঐ বস্তি র মেয়েদের উদাহরণ ই ধরা যাক না ক্যানো), এইসব পরিস্থিতি র কারণে excluded দের জন্য বিকল্প পলিটিক্স কি বলে ?
  • Ishan | 12.240.14.60 | ০৬ মে ২০০৮ ০৮:২৫395967
  • পি এর কথায় পরে আসব। আর্যর উদাহরণটা নিয়ে আগে কথা বলা যাক। ইকুয়ালিস্ট স্ট্যান্ডপয়েন্টের একটা চমৎকার ক্রিটিক হতে পারে এই কেস স্টাডিটা।

    এই মূহুর্তে আমরা যারা আইটিতে কাজকর্ম করিটরি, তাদের মধ্যে স্ত্রী-পুরুষে পাওয়ারের প্রশ্নে বিরাট পার্থক্য নেই। কিন্তু আইটিই পৃথিবী নয়। অতএব আর্যর কেস স্টাডিটি ভ্যালিড। ভারতীয় কনটেক্সটে পরিবারের পুরুষ উপার্জন করে, বড়ো-বড়ো সিদ্ধান্তগুলি নিয়ে থাকে। বড়ো ইকনমিক পাওয়ার হোল্ড করে। অন্যদিকে, স্ত্রী, সন্তান প্রতিপালন করেন। সংসার সামলান। এবং খুচরো খরচের ইকনমিক পাওয়ার হোল্ড করেন। স্পষ্টত:ই সিদ্ধান্ত নেবার প্রশ্নে পুরুষটি এখানে বেশি ক্ষমতা হোল্ড করেন।

    ইকুয়ালিস্ট ফেমিনিস্ট স্ট্যান্ড এখানে কি সমাধান দেয়? না উভয়েই চাকরি করুক। বা উপার্জন করুক। সংসারে একই রকম কাজ করুক। অর্ধেক অর্ধেক। সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা একই রকম এনজয় করুক। ইত্যাদি। যতদিন সেরকম না হচ্ছে, তদ্দিন নারী শোষিত।

    অর্থাৎ,
    এক। গৃহে বসবাসকারী নারী মূলত: শোষিত। বঞ্চিত। পরের পয়েন্টে যাবার আগে এইটা একটু ভালো করে দেখা দরকার, যে, গৃহে বাস, সকল নারীকে শুধুই বঞ্চনা করে কিনা। উত্তর হল না। "শুধু' বঞ্চনা করে না। মধ্যবিত্ত মাসিপিসিদের কথা স্মরণ করুন। গৃহে তাঁদের কথাই আইন। কোন আসবাবটা কোথায় বসবে থেকে শুরু করে আজ কি রান্না হবে পর্যন্ত সমস্ত। সেটা ক্ষমতা। একই বাড়িতে থাকলে শাশুড়ি-বৌ এর যে প্রবল বিবাদ লাগে, সেটা মোটামুটি এই ক্ষমতার অধিকারকে কেন্দ্র করেই। প্রায় সক্কল নারীই এই "ক্ষমতা'টি অনুভব করেন, এবং তার জন্য ফাইট দেন। অতএব "শুধু' বঞ্চনা কথাটা ঠিক না। ডেফিনিটলে বঞ্চনা আছে। এই মেয়েরা চায়ের দোকানে বসে অড্ডা মেরে গুষ্টিসুখ অনুভব করতে পারেন না, বাড়ির বাইরের জগতে অ্যাক্সেস কমে যায়। লিস্টিতে আরও অনেক কিছু থাকতে পারে, কিন্তু "শুধু' বঞ্চনা নয়।

    ইকুয়ালিস্ট অবস্থান এই ভালো লাগাটাকে উড়িয়ে দেয়। তাদের কাছে এই অবস্থানে নারী অতি অবশ্যই "শোষিত'। কেউ যদি এতেই সুখী থাকেন, তবে তিনি হয় "অবোধ' নয় "মূর্খ'।

    দুই। ফলে ইকুয়ালিস্ট অবস্থানের কাছে, গৃহকর্ম মানে একটি হীন কাজ। নিচু কাজ। নচেৎ গৃহকর্মনিপুণারা "শোষিত' আখ্যা পেতেন না। ধরুন মার্কসিস্ট ইকুয়ালিস্ট অবস্থান। সেখানে "গৃহকর্ম' কোনো কাজই নয়। কারণ গৃহকর্মে কোনো পণ্য উৎপাদন হয়না। কোনো পুঁজি নেই। কোনো উদ্বৃত্ত মূল্য তৈরি হয়না। অতএব, ওটা শ্রমই নয়।

    কিছু ইকুয়ালিস্ট এতে বিচলিত হয়ে মার্কসীয় কাঠামোতে গৃহকর্মকে ঢোকাতে চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু, প্রকল্পটি ডাহা ফ্লপ। ওতে হয় নারীবাদ বিসর্জন দিতে হবে, নয়তো উদ্বৃত্ত মূল্যের তত্ব।

    ফলে ইকুয়ালিস্ট প্রেসক্রিপশন হল, তোমরা যারা বাড়ির কাজ করছ, তারা আদতে হয়, কোনো কাজ করছনা, বা নিচু কাজ করছ। এবং এই স্ট্যান্ডটা ইকুয়ালিটির মুখোশ পরে অ্যাদ্দিন ধরে মেনস্ট্রিম বজায় রেখে যাচ্ছে। বাড়ির কাজ কোনো কাজ নয়, অতএব, মেয়েটি কোনো কাজ করছেনা। পরিবারের কর্তা বলবেন, বসে-বসে খাও, তুমি আর বাইরের জগতের কথা কি বুঝবে। মার্কসিস্ট বলবেন, তুমি গৃহবন্দী, পিছিয়ে পড়া, আগে এগিয়ে এসো, তারপরে কথা হবে। ইত্যাদি।

    উল্টো দিকে, আমি, গৃহকর্মকে একটি "কাজ' এর স্বীকৃতি দেবার পক্ষে। এবং একে সম্মান দেওয়া হবে। যে মা বাড়িতে সন্তান প্রতিপালন করছেন, তিনি কিছু নিচু না, তাঁকে চাকুরিজীবী পুরুষের "সমান' হতে হবেনা, তিনি অন্যরকম। তিনি অন্য একটা কাজ করছেন, এবং সে কারণেই সম্মানীয়।

    এতে করে ধরেবেঁধে সবাইকে "ভাই তুমি শোষিত' বোঝাতে হলনা। যে যা করছেন, তাতেই তিনি সম্মন পাবার যোগ্য। এবার এই পাওয়ার রিলেশনে ফেলে আপনি দেখুন, কে কার উপর পাওয়ার আধিপত্য বিস্তার করছে। পুরুষটি অন্যরকম কাজের "সম্মন' দিতে রাজি না হলে, সে বঞ্চনা করছে। নারীটি ক্ষমতার বৃত্তকে বাড়িয়ে "খান্দারনি' হয়ে উঠলে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। এবং ইকুয়ালিস্টরা মেয়েটিকে জোর করে "পথে এবার নামো সাথী' গাওয়াতে এলেও জোর ফলাচ্ছেন।

  • Ishan | 12.240.14.60 | ০৬ মে ২০০৮ ০৮:৫৯395968
  • পি,

    সমস্ত পরিস্থিতির জন্য আসলে একরকম প্রেসক্রিপশন নেই। এক্সক্লুশন একাধিক রকম হয়।

    ধরুন, "সুন্দরী' বা "স্বাস্থ্যবান' এর সংজ্ঞা এমন ভাবে বানানো হল, যাতে কিছু লোক এমনিই বাদ পড়ে গেল। ধরুন, "সুন্দরী' বা "স্বাস্থ্যবান' মানেই যদি ছয়ফুট লম্বা হতে হয়, তাহলে গড়পড়তা বাঙালি এমনিই বাদ। এখানে বেসিক আপত্তিটা হওয়া দরকার "প্রাতিষ্ঠানিক' বা "বৈজ্ঞানিক' ভাবে তৈরি করা ধারণাগুলোর বিরুদ্ধে। সেটা করা ভারি শক্ত। করতে গেলে প্রতিষ্ঠান আপনাকে কিস্যু বলবেনা। স্রেফ ইগনোর করবে। কিন্তু পাড়াপ্রতিবেশী বন্ধুবান্ধবই জান কয়লা করে দেবে। পাগল বলবে। সম্পাদকরা দেখলেই পালাবেন। ভালো বন্ধুরা "হায় ব্রুটাস শেষে তুমিও ভাট বকলে?' বলবে। সব মিলিয়ে জিনা হারাম হয়ে যাবে। কারণ, বেসিকালি আপনি "বিজ্ঞান' এর বিরুদ্ধতা করছেন। কোনো একটি গ্লোবার ছাতা নেই আপনার। "সুস্থতা', "সৌন্দর্য' ইত্যাদি ঠিক করে দিচ্ছে যে বিজ্ঞান তার ছাতাকে আপনি চ্যালেঞ্জ করছেন। অন্যদিকে "মার্কসবাদ' জাতীয় পাল্টা "বিজ্ঞান' এর ছাতাতেও আপনি নেই।

    সব মিলিয়ে কেস কেরোসিন। সর্বপ্রথম আপনাকে এক্সক্লুশন যে হচ্ছে এটা স্টেট করতে হবে। সেটা "মার্কসও এই বলেছেন', বা "ফুকোও তমুক বলেছেন' বলে বলতে হবে। মানে বেসিকালি কায়দাবাজি। অন্যের নাম করে নিজের কথা চালিয়ে দেওয়া। এটা একটা পন্থা হতে পারে। অথবা আপনার বুকের পাটা খুব বেশি হলে গায়ের জোরে "নিজের কথা' বলেই স্টেট করতে পারেন। এই স্টেট করার পন্থা নিয়েই কদিন পরে আমি ল্যালা ম্যানিফেস্টো নামিয়ে দেব, অপেঅক্ষা করুন। :)

    এটা একটা। আরও সরাসরি এক্সক্লুশন হতে পারে। যেমন, শিল্পায়ন। শিল্প হবে, কিন্তু যাদের জমি নিয়ে হবে, তাদেরকেই এক্সক্লুড করা হচ্ছে। এটা স্টেট করা সোজা। এমনকি "শিল্পায়ন' নামক ধারণাটাকে আক্রমন করলে লোকে আপনাকে বাহবাই দেবে, মারবেনা। ফলে এটা মূলত: স্টেট করার জায়গায় নয়, অর্গানাইজ করার জায়গায় আছে।

    এই দুটো হল দুটো চরম অবস্থা। দুটো বিপরীত দিকের চরমতা। এক জায়গায় আপনি কিছু বলতেই পারছেন না। অন্য জায়গায় আপনি থিয়োরাইজ করলেই লোকে লুফে নেবে। বাস্তব অবস্থা এ দুয়ের মাঝামাঝি হওয়াই স্বাভাবিক। সেখানে আপনাকে প্রবলেমটা স্টেটও করতে হবে, আবার অর্গানাইজও করতে হবে। কেস বাই কেস। কোনো গ্লোবাল প্রেসক্রিপশন নেই। কিন্তু আউটলাইনটা এরকমই।

    ডি: এইটা যা লিখলাম পুরোটাই ইমপ্রম্পটু। ইন ইকুয়ালিটি জিনিসটা নিয়ে আমার ইতিপূর্বেই ভানাচিন্তা থাকলেও, এই বিকল্প অ্যাকশন নিয়ে চিন্তাভাবনা কম। আমার বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করুন। কাটাছেঁড়া করুন। একটা ভালো আউটলাইন বেরোলেও বেরোতে পারে।
  • Ishan | 12.240.14.60 | ০৬ মে ২০০৮ ০৯:০৩395969
  • পি এর লাস্ট পোস্টের আগেরটা (যেটা দময়ন্তীর কেসগুলো রিইটারেট করছে) নিয়ে অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে। আগেরবার ধর তক্তা মার পেরেক জবাব দিয়েছিলাম। এগোলোও আসলে এক্সক্লুশনেরই জটিল খেলা। কিন্তু আজ না, কাল লিখব।
  • pinaki | 131.151.54.206 | ০৬ মে ২০০৮ ১১:৩৭395970
  • ১) ট্রু বা ফল্‌স কনসাসনেস, বা চেতনার উচ্চ-নীচ বর্গীকরণ করলে ব্যক্তিগত জীবন চর্যায় মানুষকে প্রকৃত মর্যাদা দেওয়া যায় না সবসময়। এটা ঠিক কথা। কিন্তু সামাজিক ক্ষেত্রে act করার সময় সেটা ছাড়া কি চলা যায়? যেমন ধর, নেপাল। কিছু মানুষ এখনো রাজতন্ত্রে ভরসা রাখেন। এনাদের অনেকেই হয়তো রাজার কোন অনুগ্রহ পান - এমন নয়। হয়তো গণতন্ত্র তাঁর অধিকারকে যে আরো বিস্তৃত করতে পারে - সে সম্বন্ধে তাঁর ধারণা-ই নেই। হয়তো অশিক্ষার কারণেই নেই। এখন এই মানুষগুলির কনসাসনেসকে কি ফল্‌স কনসাসনেস বলা যায় না? আমার তো মনে হচ্ছে - আসল দ্বিমত টা কনসাসনেসকে "ট্রু" বা "ফল্‌স" বলা নিয়ে নয়, আদৌ কোনো objective truth এক্সিস্ট করে কি না - তাই নিয়ে।

    ২) মা-এর সন্তান প্রতিপালন কে কোন মার্ক্সিস্ট অসম্মানজনক বলেছেন বলে শুনি নি। অপত্তিটা করা হয় "শুধুমাত্র" মাতৃত্ব-ই নারীর সম্মনজনক কাজ, অন্যগুলি অসম্মানজনক - এই পুরুষতান্ত্রিক ধারণার বিরুদ্ধে। এখানে তোমার আলাদা কিছু বক্তব্য আছে বলে তো মনে হয় না। তবে যেদেশে ঐ পুরুষতান্ত্রিক ধারণা ডমিনেট করবে - সেখানে মূল ফোকাস টা থাকবে মেয়েদের কাজের জগতে বের করার দিকে। উল্টোটা হলে প্রচারের ফোকাস-ও উল্টো দিকে হওয়া উচিৎ। যেমন চীয়ারলীডার নিয়ে সুভাষের কমেন্টের পর তোমার রিএকশন টা-ই প্রথমে আসবে। তারপরে বাজার, পুরুষতন্ত্র - ইত্যাদি। এগুলো তো স্ট্র্যাটেজিক ব্যাপার। ideological অবস্থানের ব্যাপার বলে তো মনে হয় না।
  • d | 59.93.241.142 | ০৬ মে ২০০৮ ১৩:০২395973
  • আচ্ছা ঠিক আছে। ঈশানের পরের বক্তব্য দেখে তবেই আমার বক্তব্য আবার রাখবো বরং।
  • Suvajit | 121.217.147.104 | ০৬ মে ২০০৮ ১৮:০৭395974
  • http://www.anandabazar.com/6khela15.htm
    এটাও থাক। শাহরূখ খান রবীন্দ্রনৃত্য করতে পারেন win-win situation চাইলে।
  • rimi | 168.26.191.117 | ০৬ মে ২০০৮ ১৮:২৫395975
  • গৃহকর্ম বা সন্তান প্রতিপালন চাকরি করার থেকে হীন কাজ এটা মনে করে না, এমন পুরুষ আমি আজ অবধি কাউকে দেখি নি। ঈশান কোথায় এই তথ্য পেয়েছ যে আইটিওয়ালাদের মধ্যে ক্ষমতার ডিস্ক্রিমিনেশন নেই? প্রচুর আছে। বাইরে থেকে দেখে কিছুই বোঝা যায় না। আর ছেলেরা এগুলো ঠিক বুঝতেও পারে না যে ঠিক কোথায় কেমন করে একটি মেয়ে humiliated হয়, সে চাকরি করুক আর না করুক।
  • san | 220.226.91.179 | ০৬ মে ২০০৮ ১৯:৪৭395976
  • Date:06May 2008 -- 08:25 AM এই পোস্টটা নিয়েই আমার কিঞ্চিৎ প্রশ্ন আছে কিন্তু মাঝপথে করবো কি? না ঈশান তোমার শেষ হওয়া অব্দি ওয়েট করবো?
  • ranjan roy | 122.168.87.189 | ০৬ মে ২০০৮ ২০:০৫395977
  • মাথাটা তাঝ্‌ঝিম- মাঝ্‌ঝিম করছে। তা বেশ। হনু ভাটপাতায় ভালো ক্রিটিক নামিয়েছে। অন্তত: পরিপ্রেক্ষিত স্পষ্ট করেছে।
    আমি ঈশানের "ঘরের কাজ' মডেল নিয়ে একটু ভাবিত হচ্ছি।
    আচ্ছা, ধরা যাক- ডোমেস্টিক লেবার স্ত্রী না করে মাইনে করা লোক করছে। বাচ্চা দেখা, রান্না, সাফ-সাফাই সব। সেখানে "সারপ্লাস ভ্যালু' থিওরি কি বলবে? মানে পুঁজি- উদ্বৃত্ত মূল্য এইসব প্রশ্নে? গোদাবাংলায় সার্ভিস সেক্টরের শ্রম, মজুরির বিনিময়ে হলে কি বলবে?
    আর যদি স্ত্রীর ঘরোয়া পরিশ্রমের opportunity cost, অর্থাৎ যদি এই কাজগুলো বাইরের লোককে পয়সা দিয়ে করাতে হত তাহলে টাকার মূল্যে কত হত যদি হিসেব করাযায়? যদি সেই টাকা স্ত্রীকে ক্যাশ বা কাইন্ডে দেয়া যায় তাহলে স্ত্রীকে শোষিত বা দমিত ধরা হবে কি না?
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৬ মে ২০০৮ ২২:১৮395978
  • প্রথমে রিমিকে। আইটিওয়ালাদের মধ্যে ডিসক্রিমিনেশন নেই আমার বক্তব্য নয়। ওটা জাস্ট কথার কথা ছিল। আমি প্রত্যাহার করলাম। বাকি কথাগুলো কিন্তু একই রইল। :)
  • kallol | 122.167.110.238 | ০৬ মে ২০০৮ ২২:৪৩395979
  • ঘরের কাজ নিয়ে একটা প্রশ্ন ছিলো।
    মেয়েরা যে ঘরের কাজ করে, ঘর ঝাঁট দেওয়া, বাসন মাজা, রান্না করা, বাচ্চা সামলানো, খেতে দেওয়া (ধরে নিচ্ছি মেয়েটির অন্য কোন জীবিকা নেই) এগুলো বাইরের লোক দিয়ে করালে যা মূল্য দিতে হতো, সেটা নাহয় দেওয়া গেলো।
    বাজার করা, রেশন তোলা, গম ভাঙ্গানো, ইলেকট্রিসিটির বিল, টেলিফোনের বিল, করপোরেশনের ট্যাক্স জমা দেওয়া, তার অন্য ঝামেলা সামলানো (হঠাৎ বিল বেশী আসতে শুরু করল, ট্যাক্স জমা দেওয়া সত্বেও ট্যাক্স জমা হয়নি বলে নোটিশ এলো), বাচ্চাকে ইস্কুলে পৌঁছে দেওয়া। এগুলোরও তো অপরচুনিটি কস্ট হয়। সেটা কে কাকে দেবে? (মেয়েটির কোন অন্য রোজগার নেই)।
  • nyara | 67.88.241.3 | ০৬ মে ২০০৮ ২৩:০৩395980
  • আমি দুহাত মাথার ওপর তুলে ঢুকছি। ওইভাবেই বেরিয়ে যাব। মাঝে খালি একটা কথা বলে যাই - কোথায় যেন স্টাডি করে ইকনমিস্টরা দেখিয়েছেন মার্কিন মুলুকে বাইরে-কাজ-না-করা মায়েরা/মেয়েরা যদি তাদের কাজের বাজার-চলতি দাম পেত, তাহলে তাদের ১৩০K না কত যেন মাইনে হবার কথা ছিল। এটা অ্যামেরিকার মিডিয়ান মাইনের অন্তত ৩-৪ গুণ। আমি নিউ ইয়র্ক টাইমসের লিংকটা পেলে দিয়ে যাব। ওই হাত তুলেই।
  • Du | 67.111.229.98 | ০৬ মে ২০০৮ ২৩:১৪395981
  • গৃহকর্মের পয়সা ফয়সা আসছে শূণ্য থেকে শুরু করলে। অন্তত: আমেরিকার আইন বলে স্ত্রী বা পুরুষ আলাদাভাবে একটি টাকা না আনলেও তাদের সমস্ত সম্পত্তির যৌথ মালিক দুজনেই।

    গৃহকর্মকে চাকরীর চেয়ে খাটো করা সম্পর্কে রিমির বক্তব্যকে আমি একটু জেন্ডার বায়াস সরিয়ে বলবো, এটা অত্যন্ত দু:খজনকভাবে উপার্জ্জনক্ষম নারী আরও মনে করে তার ঘরে বসা বরের সম্বন্ধে। এই পয়েন্টে ঈশানের সাথে একমত হচ্ছি ধারনাটাকেই কাউন্টার করা নিয়ে।
  • arjo | 168.26.215.54 | ০৬ মে ২০০৮ ২৩:৪৬395984
  • ন্যাড়াদার মতন হাত তুলে খানিক উঁকি মেরে আবার হাত তুলে বেরিয়ে গেলাম। কিছু বলায় গুরুর বারণ আছে। :(
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন