এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • চিয়ারলিডার বা সুড়সুড়ি বা খেলা বা রাজনীতি

    Ishan
    অন্যান্য | ২৯ এপ্রিল ২০০৮ | ১৯৬১৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r | 198.96.180.245 | ৩০ এপ্রিল ২০০৮ ২১:২৯396238
  • চিয়ারলিডার-কেন্দ্রিক আলোচনায় পুংতন্ত্রের একটি অংশই বারবার ফিরে আসে- "পুরুষ দৃষ্টি" যাকে বোধি বারবার "মেল গেজ" বলে। :-)

    এই "দৃষ্টির" সর্বজনীনতা নিয়ে কিছু তাঙ্কিÄক প্রশ্ন তোলাই যায়, যা পোস্ট-কলোনিয়াল ফেমিনিস্ট ডিসকোর্সের অঙ্গ। কিন্তু স্যানের আপত্তি এইখানে- ঈশান রাষ্ট্রের দাদাগিরির বিরুদ্ধতা করতে গিয়ে "পুরুষ দৃষ্টির" নৈতিকতাকে জাস্টিফাই করে ফেলেছে। অর্থাৎ ঈশেনের লেখায় যা যা উদাহরণ আসে তার সবই পুরুষের উপভোগ্য। তাহলে রাষ্ট্রের দাদাগিরির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কি তখনই যখন "পুরুষ দৃষ্টি" নিজেকে বঞ্চিত মনে করছে?

    ঈশানের লেখার তরফে দুইটি কৈফিয়ৎ দেওয়ার আছে:

    এক, ঈশানের যে কোনো লেখায় অ্যাফোরিজ্‌ম ও হাইপারবোলের ছড়াছড়ি থাকে, বিশেষত: স্যাটায়ারধর্মী লেখা হলে তো কথাই নেই। এই নিয়ে আমি আগেও ঈশেনকে আওয়াজ দিয়েছি। অতএব ঈশানের লেখার স্টাইল ও লেখাটির চরিত্র অনুযায়ী মনে হয় ঈশানের কিছু ডিসকাউন্ট প্রাপ্য।

    দুই, ঈশানের লেখা একজন "পুরুষ লেখকের" লেখা। এই লেখায় দুইকূল রক্ষা করতে গেলে লেখার পোলিটিকাল কারেক্টনেসের ভারসাম্য হয়তো ঠিক থাকত, কিন্তু লেখার স্বাভাবিক জোরটা হারিয়ে যেত। এই দৃষ্টি "পুরুষ দৃষ্টি" এবং এই দৃষ্টি দিয়ে পৃথিবীকে দেখা পুরুষের অক্ষমতা- এটা সব লেখারই ব্যাকগ্রাউন্ড হিসাবে মনে রাখা দরকার। অতএব, "পুরুষ লেখক" হিসেবে আরও কিছু ডিসকাউন্ট ঈশানের প্রাপ্য ছিল।

  • san | 220.226.21.125 | ৩০ এপ্রিল ২০০৮ ২১:৪৪396239
  • চমৎকার। আমি যখন আমার মত করে সিরিয়াস কথা বলতে চাই তখন ব্যঙ্গ বিদ্রূপ কম শুনিনা। হ্যাঁ আমার জ্ঞান বুদ্ধি কম থাকায় যুক্তি হয়তো ঠিকঠাক থাকেনা সত্যি কিন্তু ইন্টেনশন সিরিয়াস ই থাকে সেটা বুঝেও লোকে দিব্যি যা খুশি বলে খোরাক করে।তখন ঈশানের মনে আসেনা এইসব উচিত অনুচিতের সার্মন দেবার কথা। হঠাৎ আমি বললেই মনে পড়ে এইভাবে কথা বলতে নেই ঐদিকে তাকাতে নেই ইত্যাদি।আমাকে বলে না ,কোটি কোটি খিল্লি করে এ ওকে আহত করে তখন কখনো রা কাড়তে দেখা যায়না, কি না ব্যক্তিস্বাধীনতা। এবং শ্লীলতার ওপাশে না গেলে নাকি কিছু বলা মডারেটর এর শোভাও পায়না। হঠাৎ আমাকে উপদেশামৃত?

    যাগ্গে ঈশান গুরুচন্ডালি টা তোমার বানানো এবং তুমি মডারেটর এইজন্য তোমার কথা মেনে এখানে বাক্যালাপ করতে আমি বাধ্য। সেটা আমার দ্বারা হবেনা।এমনিতেও তো আমি বাজে বকে ভাটের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছি বা সেন্সরিং করতে চাইছি এইরকম দাবি - সকলেই অসন্তুষ্ট। (প্রায়নগ্ন ছবি সেন্সরিং করার প্রশ্নই আসেনা কিন্তু 'মাগো মা' সেন্সরিং করতে হয় - কি অসাধারণ )।আর জনতাকে তিতিবিরক্ত না করাই ভালো।

    আর্য সহ আর যাদের কোন না কোন সময় আমার কোন কথায় খারাপ লেগেছে তাদের কাছে দু:খপ্রকাশ করছি। এখানে খিল্লি চলেই থাকে তাই আমিও না ভেবেই নানাসময়ে করেছি তার জন্য লজ্জিত।মন থেকে বললাম।
  • pinaki | 131.151.54.206 | ৩০ এপ্রিল ২০০৮ ২১:৪৮396240
  • আসলে নৈতিকতা-অনৈতিকতা, ক্ষমতার রূপ এবং তার ব্যবহারিক প্রয়োগ, বাজারের স্ট্র্যাটেজি, রাষ্ট্রের ভূমিকা - এগুলো কোন দেশ-কাল নিরপেক্ষ absolute truth নয়। এগুলোর একটা dynamics থাকে। তাই বিকল্প বক্তব্য এগুলো মাথায় রেখেই তৈরী হওয়া উচিত বলে আমার মনে হয়। আমেরিকা তে চীয়ারলীডিং নিয়ে কি বলব, ইরান-এ কি বলব আর ভারতে কি বলব - এই তিনটে আলাদা হতে বাধ্য। এই ব্যপারটা আলোচনাতে আসা উচিত বলে আমার মনে হয়।
  • arjo | 168.26.215.54 | ৩০ এপ্রিল ২০০৮ ২১:৫০396241
  • আরে কি কেলো!!! আমার আদৌ খারাপ লাগে নি তবে গুলিয়ে গেছে সেটা সত্যি। চটো কেন! পরে বলবখন কেন গুলিয়ে গেছে। এখন চটে আছো।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ৩০ এপ্রিল ২০০৮ ২১:৫২396242
  • ধুর ছাই। আমার কথা মেনে বাক্যালাপ করতে বাধ্য কেন হবে, কি জ্বালা। সেন্সরিং ই বা কোথায় দেখলে? ঠাট্টা ইয়ার্কি ব্যঙ্গ বিদ্রূপেও কে আপত্তি করেছে? শুধু আর্যর প্রশ্নের উত্তরটা হ্যাঁ না না, সেটা উত্তর শুনে বোঝা গেলনা, এইটাই বলছিলাম। ব্যস।

    আর এখানে আমি তক্কো করছি। মতামত দিচ্ছি। মডারেটর হিসাবে আমার কোনো বক্তব্য নয় এসব। সবই যদি মডারেটর হিসাবে বলতাম, তাহলে, সেই হিসাবে, আমার মতের বিরুদ্ধে কেউ বলতেই পারতনা, নয় কি?

    সবশেষে। খিল্লি চলেই থাকে। চলুক। নো প্রবলেম।
  • a x | 192.35.79.70 | ৩০ এপ্রিল ২০০৮ ২১:৫৩396243
  • আচ্ছা স্যান, ঈশানকে এত পাত্তা দেবার কি আছে? এটাই তো মজা। হোক না সম্পাদক, কিন্তু এমনই সম্পাদক, তাকে খিস্তি করে প্রবন্ধ লিখলে ছপিয়ে দেবে। ও বলছে বলেই সেটাই বেদবাক্য বা সেটাই গুচ'র ভার্ডিক্ট এমন ভাবার কি দরকার। তুমি লিখে যাও তোমার মত, ম্যাগো সহ বা বাদে। ও ওর মত পক্ষপাত দুষ্ট ধমকানি দিক আর না দিক। মানে সম্পাদক হিসেবেই লিখছে এমনই বা ভাবার দরকার কি?
  • rimi | 168.26.191.117 | ৩০ এপ্রিল ২০০৮ ২১:৫৭396244
  • আমার কিন্তু ইশানের লেখা পড়ে মনে হয় নি যে ইশান পুরুষ দৃষ্টির নৈতিকতাকে 'জাস্টিফাই' করছে। না, আবারো লেখাটা পড়ে দেখলাম। সেরকম কিছু পেলাম না। বক্তব্য অতি সহজ - মর‌্যালিটি বা সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুললে অনেক কিছু তার আওতায় এসে পড়ে। এমনকি সাহিত্যও।
  • rimi | 168.26.191.117 | ৩০ এপ্রিল ২০০৮ ২২:০৪396245
  • মোট কথা, এই এতো পাতার এতো এতো আলোচনা থেকে কিছুই বোঝা গেল না যে কে ঠিক কি বলতে চায়।

    'দশটি বিধান' লেখাটা এর থেকে অনেক বেশি পরিষ্কার ও রসালো (ডি: আমার কাছে)। :)))
  • r | 198.96.180.245 | ০১ মে ২০০৮ ০০:৫৭396246
  • আছে। ৪ নং পয়েন্টেই কিছু ওভার দ্য টপ অ্যাসার্শন আছে যার থেকে মনে হতেই পারে লেখক "পুরুষতন্ত্রের কারসাজি", "নারীকে পণ্য বানানোর চক্কর" ইত্যাদিকে লেখক স্রেফ খিল্লিযোগ্য মনে করেন। আমার মতে এটা লেখার স্টাইলের ইস্যু।
  • aja | 207.47.98.129 | ০১ মে ২০০৮ ০১:০৬396248
  • পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে পুরুষেরা প্রতিবাদ করে কেন?
  • tatin | 130.39.149.83 | ০১ মে ২০০৮ ০৩:১৭396249
  • ip ও অন্যান্য বৌদি-জামাইবাবুদের,
    পাপের ওনাস শুধু পাপীর ঘাড়েই যাবে এরকম দাবী দেখলে মনে হয়, এ পোড়া গ্রহে ইতিপূর্বে কেউ 'পাপ কে ঘৃণা করো, পাপীকে নয়' বা 'সমাজ-ই চোরকে তৈরী করে' জাতীয় জ্ঞান ছড়িয়ে যান নি, অথবা, কলকাতা শহারে জৌনো-অপরাধ হয় না; বা যারা করে, প্রকৃতপ্রস্তাবে তাদের সকল-কে রাঁচীর ট্রেনে তুলে দেওয়া সম্ভব!!!

    বাস্তব পরিস্থিতিটা হিসেব করলে নিশ্চিতভাবেই চীয়ার-লিডিং সেক্স-ক্রাইমের রেট বাড়াবে-- যেমনটা কেবল টিভি বাড়িয়েছে।

    যে ছেলেগুলো জন্ম ইস্তক মা ছাড়া কোন ও নারীর ক্লিভেজ চোখের সামনে দেখেনি।। শরীরের বাকি প্রত্যঙ্গ তো ছেড়েই দিলাম, আর দুর্গপুজোর ভীড়ের মধ্যে কনুই উঁচিয়ে হেটে থাকে, তাদের জীবনচর্যার সঙ্গে আঅমেরিকান ইনস্টিটুটে ই হয় তার তুলনা বেশ মজাদার-- আমেরিকার একটি রাজ্যে ফেব্রুয়ারী মাসের শেষ সপ্তাহে একটি ফেস্টিভ্যল হয়, যেখানে গলায় পুঁতির মালা পড়ালে ভদ্রঘরের মেয়েরা(মানে যৌনোকর্মী নয় তারা) তাদের বুক হাত দিতে দ্যায়-- শুধু আমেরিকা নয়, পৃথিবীর অনেক প্রান্তেই এধরনের ফেস্টিভ্যল হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু সেটা দুম করে কলকাতা বা কুচবিহারে করতে গেলে কেসটা ক্যমন হবে

    আর, এখানে আসে, একটা সমাজের নিজের থেকে বিকশিত হওয়ার প্রসঙ্গ আর বাইরে থেকে আসা ঘাত-প্রতিঘাতে তার 'রিএকশন'-- এবং মরালিটির ভূমিকা।

    মরালিটি কতোটা শাসকের নির্মিত ও শাসকের সম্পত্তি, সে নিয়ে প্রশ্ন থাকবে- আমাদের মরালিটি বলে সত্যি বলো, ট্রান্‌স্‌পারেন্ট হও, হত্যা করোনা, শাসকের নর্ম কিন্তু বলে মন্ত্রগুপ্তির কথা, ফাঁসী ও যুদ্ধের কথা। আর, যে সমাজব্যবস্থায় কোনো শাসন কাঠামো গড়ে ওঠেনি, সেখানে আইন ছিলোন ব নেই মেনে নিতে পারি, মর‌্যলিটি ও কি নেই?
    জানতে আগ্রহী, জারোয়া-দের কোনো মর‌্যালিটি আছে কিনা!

    যাকগে, মূলকথাটা হচ্ছে, একটা সমাজ, তার বিকাশের স্বাভাবিক ধারায় যে জায়গাটা অর্জন করেনি, সেখানে বাজার এসে একটা কিছু চাপিয়ে দিলে, তার ফল সমাজটার পক্ষে ভালো নাও হতে পারে- আর, এ নিয়ে 'অরণ্যের ঘাস কাটা' কিছু লোকের কিছু বক্তব্য থাকতেই পারে- সেই বক্তব্যের নির্যাস না শুনে ব্যাপারটাকে প্রো-ব্যানিং ধরে বাতিল করে দিলে তো সমস্যা।

    তবে, ব্যানিং টা কখোনৈ কাজের কথা নয়-- ওট সিপিএম ক্যাটেগরির একটা সলিউশন, যাতে বাজার আরো কিছুটা ইমপাল্‌স গেইন করে ফেলবে এক ই ব্যাবসায়।
  • pinaki | 131.151.54.206 | ০১ মে ২০০৮ ০৪:১৫396250
  • আমার university তেও কদিন আগে Free Hug Day হয়ে গেল। হ্যাঁ, মামনিরাও ছিলো। Hug বিতরণে। ভাবছি এবার দেশে ফিরে নিউব্যারাকপুর এ পি সি কলেজের ফেস্ট-এ কনসেপ্টটা নামালে কেমন হয়? কিছু মামনিকে volunteer করতে হবে। ব্যাস।
  • ip | 69.251.184.3 | ০১ মে ২০০৮ ০৭:৫৯396251
  • তাতিন, কাজের কথাটা কি হবে তাইলে ? জারোয়া সমাজে মরালিটি র শিকড় বাকড় ফলাফল জড়িবুটি সন্ধান ? :)

    যাই হোক, প্রশ্ন ছিলো ।
    যে সমাজ তার বিকাশের স্বাভাবিক ধারায় একটি জায়গা অর্জন করেনি বলে মেনে নিচ্ছেন,
    সেই শূন্য গোয়ালে যাই ঢুকবে তা দুষ্টু গরু হবে ধরে নিচ্ছেন ক্যানো ?

    যে অপরাধ অবদমন থেকে হয়, অবদমন ক্যানো থাকবে সে প্রশ্ন না তুলে, সেটার সব দায় সোস্যাল প্রোভোকেশান এর উপর চাপানো গেলে সমস্যার সমাধান হবে তো ?

    আর, পিনাকীবাবু, সোসাল প্রোভোকেশানে রেপড বা মোলেস্টেড হওয়া মেয়েটির কথা আসছেনা বলছেন, এই সোসাইটি কিন্তু মেয়েটির দিক থেকে আসা প্রোভোকেশানের দিকেও আঙ্গুল তোলে!
  • Ishan | 12.240.14.60 | ০১ মে ২০০৮ ০৮:০০396252
  • একটু চান্স পাওয়া গেছে। আমি আমার বক্তব্যের সেকেন্ড পার্টে আসব এবার। প্রশ্নোত্তর, তক্কাতক্কি পরে করা যাবে।

    আমার প্রথম পয়েন্ট ছিল রাষ্ট্রের দাদাগিরি ইত্যাদি। ঘাড়ধাক্কা বনাম কন্ডিশনিং। দমন বনাম ডিসিপ্লিন। আমি এখানে পরিষ্কার কন্ডিশনিং এবং ডিসিপ্লিনের পক্ষে। দমন বা ঘাড়ধাক্কার পক্ষে নই। এবং এই পয়েন্টটা নিয়ে, অন্তত: এই ফোরামে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। সবাই মোটামুটি একমত।

    এবার পরের প্রশ্ন আসে কন্ডিশনিং নিয়ে। জ্যাক নিকলসন দিয়ে লিখতে শুরু করেছিলাম, কিন্তু তারপরে অনেক জল গড়িয়ে গেছে, ঐ জায়গাটায় পরে যাওয়া যাবে। এখানে স্পেসিফিকালি কন্ডিশনিং নিয়ে আমার বক্তব্যটা পেশ করে দিই। তারপরে অন্য কিছু লাগলে দেখা যাবে।

    নারীর কন্ডিশনিং সম্পর্কে মূলত: এখানে একটা ধারণা দেখছি, যে, কন্ডিশনিং মানেই হল অপ্রেশন। অর্থাৎ নারীর যে "প্রকৃত' রূপ, তা কন্ডিশনিং এর ফলে ঢেকে যাচ্ছে। পুং তন্ত্রের দ্বারা শোষিত নিপীড়িত ইত্যাদি হয়ে নারীসত্বা একটা তোবড়ানো আকার পাচ্ছে। ঘরে ও বাইরে। সে ঘরে আটকে থাকছে। তার কেরিয়ার জলাঞ্জলি যাচ্ছে, ইত্যাদি। ( ঠিক এই কথাগুলো কেউ এখানে বলেননি, কিন্তু এটা একটা চালু সুর, এখানেও সেটা দেখতে পাচ্ছি)।

    তো, এগুলো মিথ্যে এমন নয়। কিন্তু কন্ডিশনিং এর আরেকটা দিক আছে, যেটা বোধহয় নজর এড়িয়ে যাচ্ছে। সেটা হল, কন্ডিশনিং শুধু "অপ্রেস' করেনা, "দমন' করেনা। "এমপাওয়র' করে। গোটা সত্বাটাকে তৈরি করে। কিরকম? না, "শরীরকে সুন্দর করো', "শরীর দেখাও' ইত্যাদি আপ্তবাক্যগুলি একদিকে যেমন নারীকে বাধ্য করে একটি বিশেষ ধরণের নারী হয়ে উঠতে, যার, ত্বক হবে মসৃণ, ভুরু হবে ঘনুকের মতো প্লাক করা, চোখের পাতা হবে বড়ো এবং গাঢ়, পেটে কোনো মেদ থাকবেনা, শরীরে থাকবেনা কোনো লোম, ইত্যাদি ইত্যাদি, তখন এই কন্ডিশনিং, বাবা-বাছা করে করা হলেও, একটা বাধ্যবাধকতা। কিন্তু এটা শুধু "অপ্রেশন' নয়। নারীটি নিজেকে "মোহময়ী', "কমনীয়', "নারীসুলভ' করে তুলতে চাইছে, এটা শুধু অপ্রেশন নয়। কারণ "মোহময়ী' এবং অথবা "কমনীয়' এরা "নারীসত্বা' কে ডিফাইন করছে। নারী এরপরে যখন "আমি' শব্দটি উচ্চারণ করবে, সেই "আমি'র মধ্যে মিশে থাকবে "মোহময়ী' এবেঅং/অথবা "কমনীয়' এবং/অথবা আরও অনেক কিছু। নারীসত্বা, নিজেই একটা কন্ডিশনিং। নারীর অধিকার বা নারীর "নিজস্ব' দাবীও আসলে কন্দিশনড একটি সত্বার দাবী।

    সোজা বাংলায় যে নারীসত্বার জন্য আপনি দাবী তুলছেন, সেটা কনডিশনড। এই কন্দিশনিং নারীকে তার নিজস্ব স্পেসের দাবী করতেও শিখিয়েছে। এই কন্ডিশনিং নারীকে এমপাওয়ারও করেছে। যে "নারীত্ব' এর জন্য সে লড়ছে, সেটা কন্দিশনড নারীত্ব। ইত্যাদি।

    অতএব, আমার স্ট্যান্ড খুব পরিষ্কার। যেখানে অপ্রেশন, সেখানে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো দরকার। যেমন পণ, বৌ-পোড়ানো ইত্যাদি। কিন্তু যেখানে কন্ডিশনিং নতুন আইডেন্টিটি তৈরি করছে, সেখানে নতুন আইডেন্টিটির পক্ষে দাঁড়াতেই হবে। নারী একদা শুধু কন্যা-বৌ-মা ছিল। এইটুকুই ছিল আইডেন্টিটি। পরে তাতে যোগ হয়েছে ওয়ার্কিং-ওম্যান, সিঙ্গল-মাদার ইত্যাদি। এবার মোহময়ী-মডেল নামক একটি আইডেন্টিটি যোগ হলে ক্ষতি কি?

    যত বেশি আইডেন্টিটি, তত বেশি ক্ষমতা। পুরুষের ক্ষেত্রেও যেমন সত্য, নারীর ক্ষেত্রেও।

    আপাতত: এইটুকু। আবার পরে। :)
  • Ishan | 12.240.14.60 | ০১ মে ২০০৮ ১০:৪৫396253
  • আরেকটু চান্স পেয়েছি। এইটা ইপ (একটা ভালো নাম নেওয়া যায়না?) র প্রশ্নের জবাব।

    প্রশ্ন ছিল এই, যে, যৌনতা নিয়ন্ত্রণ কিভাবে যৌনতার উপাখ্যান দিয়ে হচ্ছে। স্টিমুলেশনের মাধ্যমে তো ডিসিপ্লিন করা হচ্ছে অশিক্ষিত শরীরকে, কিন্তু যৌনতা নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে কোদ্দিয়ে?

    উত্তর একটাই। সম বা বিপরীত লিঙ্গের "সুগঠিত' শরীরের প্রতি আকর্ষণ একটি যৌন আকর্ষণ। এখানে "সুগঠিত' শব্দটা উদ্ধৃতি চিহ্নের ভিতর, তার কারণ, "সুগঠিত' কনসেপ্টটাকেই ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করছে। সুগঠিত মানে পেশীবহুল এবং/অথবা নির্মেদ। ছেলে হলে রাফ অ্যান্ড টাফ, মেয়ে হলে কমনীয়। আরও এক-আধটা ভ্যারিয়েশন থাকতে পারে, কিন্তু অপশন সীমিত। একমাত্র এই ধরণের শরীরের প্রতিই যৌন আকর্ষণ সম্ভব। মোটা হলে আকর্ষণ জাগেনা। ভুঁড়িওলা হলে জাগেনা। এটা একরকম করে যৌনতার প্রকরণকে নিয়ন্ত্রণ করা। যৌন অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করা।

    এই নিয়ন্ত্রণটা আছে বলেই ছেলে-মেয়েরা জিমে দৌড়চ্ছে। শরীর বানাচ্ছে। নইলে পাত্তা পাওয়া অসম্ভব। সুগঠিত শরীর এবং যথাযথ লুক হল গুরুত্ব পাবার চাবিকাঠি। সুখ পাবার চাবিকাঠি। শরীর বানান, মেয়ে হলে মোহময়ী লুক তৈরি করুন, ছেলে হলে রাফ অ্যান্ড টাফ। তারপর অজস্র দৃষ্টিকে চুম্বকের মতো টেনে নিন। নিয়ন লাইটের মতো অজস্র ঝারি-করা দৃষ্টির সামনে দিয়ে গটগটিয়ে হেঁটে যাবার যে কি অপূর্ব সুখ, সে শুধু আপনিই টের পাবেন। বাকিরা বুড়ো আঙুল চুষবে।

  • Ishan | 12.240.14.60 | ০১ মে ২০০৮ ১০:৫৫396254
  • (লিখতে লিখতেই মাথায় এল), এটা আগের পোস্টটার সঙ্গে রিলেটেডও বটে। সুন্দর পোষাকে, আকর্ষণীয় ভ্রুভঙ্গীতে, সুন্দরী কন্যা যখন পুরুষের মুগ্‌ধ দৃষ্টির সামনে দিয়ে হেঁটে যান, তখন তিনি এই সুখ পান। নারীত্বের সুখ পান। এটা এমপাওয়ারমেন্ট।

    অন্যদিকে সেই শরীরকেই, আকর্ষণীয় হয়ে ওঠার জন্যই, আক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে হয়। আক্রমণের ভয়ে থাকতে হয়। সেটা অপ্রেশন।

    ফলে পয়েন্ট একটাই। নারীশরীরকে ভোগ্য, সুন্দর, সেক্সি এইসব বিশেষণে যখন অভিহিত করা হয়, সেটার সঙ্গে এক্সপ্লয়টেশন ইত্যাদির একটা যোগ আছে। আক্রমণর একটা যোগ আছে। একই সঙ্গে এনজয়মেন্টেরও একটা যোগ আছে। এমপাওয়ারমেন্টেরও একটা যোগ আছে।
  • ip | 69.251.184.3 | ০১ মে ২০০৮ ১২:০৩396255
  • আকর্ষণীয় চেহারা বিনে empowerment নাই !!!
  • nyara | 64.105.168.210 | ০১ মে ২০০৮ ১২:১৩396256
  • একটা কথা মাঝে মাঝে শুনি যে মেয়েদের সাজগোজ করা আসলে সেই সাবজুগেশনেরই একটা ফর্ম। পুরুষের চোখে মোহময়ী করে তোলার পুরুষের বানানো কল। সব সময়ে তা নয় কিন্তু নয়। একটা 'আমাকে দেখুন' ব্যাপার আছে। মানে যে অঙ্গে রং মাখা হয় - ঠোঁট বা নখ, অথবা যে অঙ্গে গয়না পরানো হয় কান বা গলা - এগুলো তো আসলে সেই অঙ্গগুলো হাইলাইট করা। যদি ব্যাপারটা সর্বত:ই পুরুষনির্মিত হত, তাহলে সাধারণ বুদ্ধি বলে যে অন্য অঙ্গ হাইলাইটেড হত বেশি। এর পুং কাউন্টারপার্টও আছে। মুগুরভাঁজা-ব্যায়াম-করা শরীরওলা পুরুষ তার গুল্লুগুল্লু বাইসেপ দেখাতে বাহুতে কুন্ডল বা তাবিজ পরে থাকে।

    নখপালিশের উৎপত্তিটাও মজার। উচ্চশ্রেণীর লোকেদের কায়িক শ্রম করতে হত না। তাই তাদের হাত সুন্দর। খেটেখাওয়াদের হাত এবড়োখেবড়ো, আঙুল ট্যারাব্যাঁকা। এখন ধনীরা কি করে বোঝাবে যে আমি ধনী? তারা তখন নখ রঙ করতে শুরু করল। মানে 'দেখ গো, আমার হাত কি সুন্দর, নখ ভেঙে যায়নি। কারণ আমাকে তো বাড়ির কাজ করতে হয়না, কেননা আমার অনেক পয়সা।' অর্থাৎ এখানে পুং-স্ত্রী ব্যাপার নয়, শ্রেণীবিভেদের গল্প।
  • pinaki | 131.151.54.206 | ০১ মে ২০০৮ ১২:১৭396257
  • ইশান, তুমি এই দুটো জায়গা একটু ক্লিয়ার করবে?

    ১) ক্ষমতা-র হঠাৎ হস্তমৈথুন কে নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন হল কেন? কিশোরবেলার অভ্যাস ক্ষমতার কোন বাড়া ভাতে ছাই দিচ্ছিল?

    ২) শরীর কে disciplined করার সাথে হস্তমৈথুন কিভাবে নিয়ন্ত্রিত হল? এদুটোর সম্পর্ক কি এই জায়গায় যে শরীরকে disciplined করার সময় এই কনসেপ্ট ছড়ানো হয় - হস্তমৈথুন শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক?
  • pinaki | 131.151.54.206 | ০১ মে ২০০৮ ১২:২৩396259
  • ন্যাড়াদা, ঠোঁট কিন্তু ভালমতো sex organ। কাজেই লিপস্টিকে পিছনে অন্য গল্প থাকাটা উড়িয়ে দেওয়া যায় না মনে হয়।
  • pi | 69.251.184.3 | ০১ মে ২০০৮ ১২:৪১396260
  • ঈশানবাবুর বক্তব্য যে, হস্তমৈথুন কে ঠেঙ্গিয়ে নিয়ন্ত্রন replaced হয়েছে যৌনতার উপাখ্যান শুনিয়ে শারীরিক ডিসিপ্লিন এর নিয়ন্ত্রন দিয়ে। কিন্তু দুটি ক্ষেত্রে 'নিয়ন্ত্রন' এর তো দুরকম মানে। প্রথম ক্ষেত্রে suppression, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে control। তাই নয় কি ? তাহলে আর replace বলা হচ্ছে ক্যানো ?

    (আর, নামটা উল্টেপাল্টেও আর ভালো হতেছে না :))
  • pinaki | 131.151.54.206 | ০১ মে ২০০৮ ১৪:১০396261
  • ইশানের শেষ বক্তব্যটা সত্যি আমার কাছে নতুন। এভাবে আগে কখনো ভাবি নি। স্বীকার করে নেওয়া ভাল। তবে এখন আমি একটু কূট তর্ক করব। সেটা অন্য কোন কারণে নয়। নিজের বোঝার জায়গাটা clear করার জন্যে।

    ১) তাহলে দেখা গেল মা, বোন, বউ যেমন মেয়েদের এক একটা সঙ্কÄ¡, তার সাথে "মোহময়ী মডেল" আর একটি সঙ্কÄ¡ জুড়ল। এখন এই সঙ্কÄ¡গুলো কি একে অপরের সমতুল্য? না। মোটেও নয়। "মা" সঙ্কÄ¡টি সমাজে বেশি সম্মানের জায়গায় placed "মোহময়ী মডেল"-এর তুলনায়। আমি এখানে ভারতীয় সমাজের কথা বলছি। আমেরিকায় হয়ত উল্টোটা হবে। আমি জানি না। কিন্তু আমাদের সমাজ নিয়েই তর্কটা। কেন "মা" সঙ্কÄ¡টি ভারতীয় সমাজে বেশি সম্মানের জায়গায় placed? মনে হয় ভারতীয় সমাজের feudal remnants এবং patriarchyর ডমিনেশন। তাহলে একটা লড়াই থাকছে patriarchy র বিরুদ্ধে, "মা" নামক archetype টি মেয়েদের যেভাবে "সম্মানের সাথে" (:-)) অপ্রেস করে - তার বিরুদ্ধে। ঠিক একইভাবে দেখা যাবে মেয়েদের স্বাধীনতা, আর্থিক প্রতিপত্তি এবং হ্যাঁ - সম্মানেরও নতুন যে archetype টি সমাজে নির্মিত হচ্ছে - সেটা হল "মোহময়ী মডেল"। এই নির্মাণটি কার? বাজারের। জালটা এমনভাবে বিছানো যে patriarchyর খপ্পর থেকে মুক্ত হতে গেলেই বাজারের খপ্পরে গিয়ে পড়তে হবে। এবং এই সঙ্কÄ¡টির সাথেও বহু অপ্রেসনের গল্প (অনেকটাই সেক্সুয়াল অপ্রেসন) জড়িত। তাহলে আর-ও একটি দায় থাকছে বাজারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার, বাজারের নির্মাণের সাথে যে exploitation গুলো জড়িয়ে থাকে সেগুলোর-ও বিরুদ্ধাচরণ করার। এই দুটোর কোন একটার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে গিয়ে অন্যটির পক্ষ নিলে সেটা কতটা সঠিক অবস্থান - তা নিয়ে আমার সংশয় রইলো। "দশটি বিধান" কিঞ্চিৎ এই দোষে দুষ্ট (৪ নং বিধান) বলে আমার মনে হয়েছে। তবে যেহেতু বাল থ্যকারে বা সুভাষ চক্কোত্তির বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এটা লেখা বলে মনে হয়, তাই ইশানের মাথায় ঐ ইস্যুটাই ডমিনেট করেছে, অন্যগুলোর তুলনায় - এটা ধরেই নেওয়া যায়।

    ২) তাহলে সঙ্কÄ¡র উচ্চ-নীচ আছে। ভাল-খারাপ আছে। হ্যাঁ, এখানে নির্মিত সঙ্কÄ¡র কথাই হচ্ছে। কারণ সব সঙ্কÄ¡-ই নির্মিত। ভাল-খারাপ কনসেপ্ট গুলো-ও সাধারণভাবে নির্মিত। আমরা যদি একটা বিকল্প পলিটিক্স নির্মাণের দৃষ্টিতে ব্যাপারটা দেখি, তাহলে আমাদের এই বর্গীকরণের বিরুদ্ধে কথা বলার থাকছে। কিন্তু পলিটিক্স শুধু ideology দিয়ে চলে না। তার একটা প্রায়োগিক দিক থাকে। সেখানে অনেক হিসেব উল্টে যায়। আমাদের এতক্ষণ ধরে নির্মিত রাজনীতি আপাত: ভাবে খুব নিশ্ছিদ্র মনে হলেও, বাস্তবে কিরকম সমস্যা হতে পারে - তার একটা হাইপথেটিক্যাল উদাহরণ দেওয়ার চেষ্টা করছি। ধরুণ "চালাক" এবং "বোকা" - মানুষের দুটি সঙ্কÄ¡। সামাজিকভাবে নির্মিত এবং সামাজিক হায়ারার্কিতে "চালাক" রা "বোকা" র চেয়ে উচ্চাসন পেয়ে থাকে। আমাদের এতক্ষণ ধরে আলোচিত পলিটিক্স আমাদের শেখায় এই উচ্চ-নীচ বর্গীকরণের বিরোধিতা করতে। যদিও আমরা এ-ও জানি যে আমরা বিরোধিতা করলেও এই বর্গীকরণ কল্য প্রভাতে দূর হইবে না। এমতাবস্থায় হঠাৎ একদিন দেখ গেল, কোন একটি পণ্যের বিজ্ঞাপণে পাঞ্জাবিদের 'বোকা' প্রতিপন্ন করা হয়েছে। এর ফলে পাঞ্জাবিদের যে সামজিক অবমাননা ফেস করতে হল, তার পরিপ্রেক্ষিতে যদি তাঁরা ঐ বিজ্ঞাপণটি বন্ধের দাবি জানান, তাহলে আমরা কি বলব? "বোকা" সঙ্কÄ¡টি অসলে সামাজিক নির্মাণ এবং এই নির্মাণ যেমন আপনাকে exploit করে তেমনি empower করে। অতএব এই বিজ্ঞাপণ বন্ধ করার তালিবানি পদ্ধতিতে না গিয়ে আসুন সঙ্কÄ¡র সমস্ত ধারণের নির্মাণ এবং বর্গীকরণের প্রতিবাদ করি। সামাজিকভাবে অপমানিত পাঞ্জাবিদের গিয়ে এই পলিটিক্সটি দিতে পারবো তো? আমার সংশয় রইলো।
  • a x | 207.69.137.10 | ০১ মে ২০০৮ ১৭:৪৬396262
  • "নারী যখন নারী শব্দটি উচ্চারণ করবে, সেই আমির মধ্যে মিশে থাকবে কমণীয়, মোহময়ী"!!! এই আপ্তবাক্য গুলো এক্সাক্টলি কটি নারী সঙ্কÄ¡য় ডুব দিয়ে অরুপ রতনের ন্যায় উঠে এল??
    জারমেন গ্রীয়ার যার নাম বোধি করেছিল - এই শতকের একজন তাবড় ফেমিনিস্ট। তিনি মাঝ বয়সে এসে বলেছিলেন "if you are born a woman and not good looking, you are not worth anything" (paraphrased) । এত অক্ষরে অক্ষরে ফলে গেল দেখছি।
  • rimi | 168.26.191.117 | ০১ মে ২০০৮ ১৮:৫৪396263
  • ইশানের 10.55 AM এর পোস্টের সঙ্গে একমত। যতো বেশী আইডেন্টিটি ততো বেশী ক্ষমতা - এটাও ঠিক, ছেলে মেয়ে সবার ক্ষেত্রেই।

    তবে 10.45AM এর পোস্টের সঙ্গে পুরোপুরি একমত নই। সবাই যৌনতার জন্যে জিম-এ যায় না। ৫০% যায় কোলেস্টেরল কি হাই প্রেসার কমাতে (যেমন আমি)। :-))

    নারী পুরুষের এই ইকুএশনের একটা ইভোলিউশনারি ব্যাখ্যা আছে। নারী পুরুষ উভয়ের জীবনেরই একটা instinctive goal আছে - biological reproduction। নারী ও পুরুষের mate এর যোগ্যতার মাপকাঠি আলাদা আলাদা। নারী এমন সঙ্গী খোঁজে যে তার সন্তানদের দায়িত্ব নিয়ে প্রতিপালন করবে, বাইরের বিপদ থেকে রক্ষা করবে, সন্তানদের ফেলে চলে যাবে না ইত্যাদি। অতোএব নারী চায় বলিষ্ঠ ক্ষমতাবাণ, দায়িত্বশীল পুরুষ। অন্যদিকে পুরুষ চায় এমন নারী যে তার জিনকে বাঁচিয়ে রাখবে, অর্থাৎ বহু সন্তান উৎপাদনে সক্ষম হবে, অর্থাৎ অল্পবয়সী, স্বাস্থ্যবতী ইত্যাদি। স্বাস্থ্যের একটা লক্ষণ হল চকচকে টানটান চামড়া (চামড়ার রং নয়)। তাই সুন্দর নির্দাগ চামড়া সৌন্দর্য্যের একটা মাপকাঠি।

    এবার এই থিওরি ঠিক কি ভুল তা বায়োলজিস্টরাই বলতে পারবেন। :-))
  • a x | 192.35.79.70 | ০১ মে ২০০৮ ১৯:০৮396264
  • ঈশানের যুক্তির মধ্যে অ্যাসাম্পশন্স ওভার অ্যাসাম্পশন্স। প্রথমে তো ঐ নারীর ডেফিনিশন মোহময়ী এট্‌সেটেরা। এবং মোহময়ী কি হবে সেটাও ডিফাইনড।
  • rimi | 168.26.191.117 | ০১ মে ২০০৮ ১৯:১২396265
  • পুরুষ দৃষ্টি বা male gaze , ইভোলুশনারি বায়োলজিস্টদের মতে, প্রকৃতির অবদান। একটি সুপ্রাচীন অভ্যাস, দৃষ্টি দিয়ে নারীর সঙ্গিনী হবার যোগ্যতার একটা screen testfemale gaze ও আছে। কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক কারণে নারীর দৃষ্টি কিছুটা অপ্রেসড, বিশেষ করে আমাদের দেশে। এই বিষয়ে প্রচুর থিওরি আছে, বিতর্কও আছে, তবে সেই বিতর্ক থিওলজিস্টদের সঙ্গে ইভোলিউশনারি বায়োলজিস্টদের, অর্থাৎ একেবারে গোড়ার তর্ক, আমরা সকলেই ঈশ্বরের সন্তান কি না সেই বিষয়ে। ই.বা. দের নিজেদের মধ্যে এই থিওরি নিয়ে দ্বিমত নেই, আমি যতোটুকু জানি।
  • rimi | 168.26.191.117 | ০১ মে ২০০৮ ১৯:১৬396266
  • ইশানের মধ্যে প্রাচীন পুরুষের জিন বিশেষভাবে প্রকট। :-)))
  • san | 220.226.51.237 | ০১ মে ২০০৮ ১৯:২৫396267
  • ঈশান - বাকি ঝগড়া আবার অফলাইনেই - আপাতত কিছু বক্তব্য রেখে দি -

    ১) ঘাড়ধাক্কা বনাম কন্ডিশনিং - এই বনাম টাকে গায়ে পড়ে নিয়ে আসা হচ্ছে কেন? বনাম ব্যাপারটাই আদৌ আনতে হচ্ছে কেন? ঘাড়ধাক্কা এবং কন্ডিশনিং দুটোর বেশি চয়েস নেই এমন তো নয়। তোমার মডেলে এমন একটা দেখানো হচ্ছে অ্যাজ ইফ একটাতে আপত্তি করলেই আরেকটায় গিয়ে পড়তে হবে, যেহেতু দাদাগিরি বেশি আপত্তিকর তাই কন্ডিশনিং ঠিকাছে। এই অবস্থানটাই আমার কেমন একটা আনরিয়েলিস্টিক লাগছে।আর কারো লাগছেনা?

    ২) 'মোহময়ী এবং কমনীয় এরা নারীসত্বাকে ডিফাইন করছে ।নারী এরপর যখন নারী শব্দটি উচ্চারণ করবে ....' - তোমার এই পোস্ট টাই এই কন্ডিশনিং এর এই চূড়ান্ত ইরিটেটিং দিককে সামনে আনে যখন তুমি এবং তোমরা কোন কোন কন্ডিশন্ড নারীর সত্বাকে চরাচরব্যাপী নারীসত্বার ডেফিনেশনের পার্ট ভেবে নাও ও সেই মর্মে একটি অ্যাবসলিউট স্টেটমেন্ট দাও। অনেকেই বলেছেন বুলবুলি নাচতে চায় স্বেচ্ছায় তো তোমাদের কি অসুবিধে ? তো এক্সাক্টলি এইটাই অসুবিধে। যে বা যারা নাচাটাকে দরকার মনে করেনা তাদেরকেও নির্বিকারভাবে নৃত্যশিল্পীদের দলে ঢুকিয়ে নেয়া হয়। কন্ডিশনিং ভালো হোক খারাপ হোক কেউ সেটা চায় কেউ চায়না - ফাইন - কিন্তু কারুর কারুর চাওয়াটাই রিয়েল লাইফে এইরকম সর্বব্যাপী সত্বা ডিফাইন করে ফেলে ।

    এই যে মোহময়ী কমনীয় এরা একবার নারীসত্বাকে ডিফাইন করে দিলো - এইবারে তুমি চাও না চাও তোমার আর মুক্তি নাই। একে বলে নেগেটিভ এক্সটার্নালিটি - কাজ করবে একে ভুগবে অন্যে। বেসিকালি আমি সমাজে কিভাবে ট্রিটেড হবো সেটা অনেক ক্ষেত্রেই ডিফাইনড হয় কিন্তু অধিকাংশ মেয়ের আইডেন্টিটির উপরে বেস করে।আমার নিজের কোন আইডেন্টিটি টা গ্রহণযোগ্য লাগছে বা লাগছে না তা দিয়ে নয় কিন্তু, অন্তত আমাদের দেশের মত পরিকাঠামোয়। এই যে 'মুক্তি নাই' অবস্থান তৈরি হল এইটাও একধরণের দাদাগিরি।অপ্রেশন। ইকুয়ালি আপত্তিকর।

    ৩)'কন্ডিশনিং গোটা সত্বাটাকে তৈরি করে' -মোটেই না। একটা পার্ট তৈরি করে ঠিকই। সবার সত্বাতেই কিছুটা কন্ডিশনিং এর প্রভাব থাকে , এর মানে এই নয় যে কন্ডিশনড পার্ট টাই পুরো সত্বাটা কভার করে যায় । আমার মধ্যে খানিকটা কন্ডিশনড পার্ট আছে মানেই এই নয় যে আমার যে অংশটি নিজস্ব স্পেসের দাবি তুলেছে সেইটা কন্ডিশনিং থেকেই এসেছে।কাজে কাজেই এমপাওয়ারমেন্ট বা অধিকারের বোধ যা যা এসেছে সবই তো কন্ডিশনিং এর সুফল বলে হাঁক পাড়ারও কিছু নেই।
  • a x | 192.35.79.70 | ০১ মে ২০০৮ ১৯:২৯396268
  • এই না না, ঝগড়া থেকে আমাদের বঞ্চিত করার আমি প্রবল প্রতিবাদ জানালাম। সব ঝগড়া এখানেই হোক!
  • san | 220.226.51.237 | ০১ মে ২০০৮ ১৯:৫৫396270
  • যাত্তারা গালাগালি নেম-কলিং এইসব যে অফলাইন হয়ে গেল , ভদ্রভাবে যেটুকু বলা বাকি - অক্ষ আগে বলবেন তো যে সার্কাস দেখতে ভালোবাসেন :-(((((
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন