এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • চিয়ারলিডার বা সুড়সুড়ি বা খেলা বা রাজনীতি

    Ishan
    অন্যান্য | ২৯ এপ্রিল ২০০৮ | ১৯৩৯৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ishan | 12.240.14.60 | ০২ মে ২০০৮ ০৯:৪২395918
  • অতএব, ক্ষমতার এই রোলারপনার বিরুদ্ধে বলতে হলে, তার মেকানিজমের বিরুদ্ধে বলতে হবে। ইকুয়ালিটির বিরুদ্ধে বলতে হবে।

    মনে রাখতে হবে, দমনমূলক ক্ষমতা ঠ্যাঙাতো। তার ভিত্তি ছিল অসাম্য। রাজা উঁচু, প্রজা নিচু। এইটা বেসিস। ডিসিপ্লিনারি পাওয়ার এল তার জবাবে ইকুয়ালিটির ধ্বজা নিয়ে। দমনের বিরুদ্ধে বলা, আর ডিসিপ্লিনের বিরুদ্ধে বলার স্ট্র্যটেজি কখনও এক হতে পারেনা। কারণ দুটোর মেকানিজম আলাদা।

    সোজা বাংলায়, যদি কেউ বৌ ঠ্যাঙায়, তাকে আপনি গিয়ে বলতে পারেন, "সকল মানবই সমান। অন্যের উপর জোর ফলিয়ে তুমি মানব সত্বার অপমান করছ'। কিন্তু "সুন্দর হতে চাইনা' বলে কেউ যদি সোসাইটির বিরুদ্ধে কাঁদে, আপনি সোসাইটিকে গিয়ে কমপ্লেন করতে পারবেন না, যে, তার প্রতি অবিচার হচ্ছে। ক্ষমতা বলবে "সবার সমানাধিকার। কেউ সুন্দর না হতে চাইলে হল না'। কেউ তো জোর করছে না।

    অতএব, ইকুয়ালিটির দাবী নিয়ে ডিসিপ্লিনারি ক্ষমতর রোলারের বিরুদ্ধে স্বর তোলা যাবে না। আপনাকে ইকুয়ালিটির বিরুদ্ধে বলতে হবে। হবেই।

    (চলবে)
  • Ishan | 12.240.14.60 | ০২ মে ২০০৮ ০৯:৪৪395919
  • শ্যামলবাবু, সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলে গেছে। নাওমি ক্যাম্পবেল আজ সুন্দরী।
  • Ishan | 12.240.14.60 | ০২ মে ২০০৮ ১০:০১395920
  • তো, এইটাকেই আমি "র‌্যাডিকাল' দাবী বলছিলাম। :) যে, ক্ষমতার রোলারের বিরুদ্ধে লড়ার একমাত্র হাতিয়ার হল সমতা কে বর্জন করা।

    সেটা কি কেস? উদাহরণ দেওয়া যাক।

    এক। তৃতীয় বিশ্ব তৃতীয় বিশ্বের মতো হবে। সে পশ্চিমের সমান হবেনা। চেষ্টাও করবে না। সে অন্যরকম হবে। (ল্যাদ লাগছে, বেশি ম্যাখ্যায় যাচ্ছিনা। শর্টে বলি, মাও এর চিন পশ্চিম হতে চায়নি। "শহর' হতে চায়নি। "সমৃদ্ধ গ্রাম' হতে চেয়েছিল।

    দুই। নারী পুরুষের মতো হবেনা। নারী নারীর মতো হবে। কারণ নারী কস্মিন কালেও পুরুষের সমান নয়। নিচুও নয়। নারী আলাদা। তার দাবী-দাওয়া চাহিদা আলাদা। উদা:, নারীর মাতৃত্বের ছুটি দরকার হয়। ফিজিকালি। পুরুষের কদাচ হয়না। নারী দারুণ জিমন্যাস্ট হয়, কিন্তু পুরুষের মতো দৌড়তে পারে না।

    এবার এই গুণগুলো নারী বায়োজিকালি অর্জন করেছে, না কন্ডিশনড হয়ে, সেটা খুঁজে বার করা অনর্থক। আসল কথা হল নারী আলাদা। এবং আলাদা হয়ে থাকার অধিকার তার চাই। সম্মান তার চাই।

    ইকুয়ালিটির চক্করে পড়লে এ জিনিস হবে না। ইকুয়ালিটি একটি গ্র্যান্ড ডিসকোর্সকে এনে হাজির করবে। যেখানে হয় সবাইকে "সুন্দর' হতে হবে(যদি বাজারের শাসন চলে), নইলে সক্কলকেই শরীর ঢেকে চলতে হবে (যদি মৌলবাদীদের শাসন চলে), অথবা সব্বাইকে "সিরিয়াস' হতে হবে, ছ্যাবলাপনা চলবেনা (যদি প্রগতিশীলদের শাসন চলে)।

    বেশি লিখতে ল্যাদ লাগছে। মোদ্দা কথা হল, ইকুয়ালিটি নয়, নতুন যদি কোনো রাজনীতি নির্মান করেন, তার ভিত্তি হল "রাইট টু বি ডিফারেন্ট' । ইকুয়াল নয়। ইকুয়াল মানেই চেঁছে সমান করা।

    সমস্ত কিছুর সঙ্গে নারীবাদের ক্ষেত্রেও কথাটা প্রযোজ্য।

    (আর একটু চলবে, যদি না ঘুমিয়ে পড়ি)।
  • Ishan | 12.240.14.60 | ০২ মে ২০০৮ ১০:৪৬395921
  • এখন আর হবেনা। স্যান আর পিনাকির স্পেসিফিক কেসগুলো ধরে আলোচনা করা যেতে পারত। তার এই মূহুর্তে খুব দরকার নেই। দরকার হলে কাল করা যাবে।

    মোদ্দা কথাটা হল, ইকুয়ালিটির স্ট্যান্ড নিয়ে যদি চলেন, তাহলে বউ কিছুই বাদ থেকে যাবে। ধরা যাবেনা। যেমন, যৌন কর্মীদের অধিকারকে সমর্থন করতে পারবেন না। কারণ, কিছু পুরুষ যৌনকর্মী থাকলেও, ঐ পেশাটি মেয়েদের একান্ত নিজের। পুরুষের "সমান' হতে গেলে ওটাকে "খারাপ' বলে বর্জন করতে হবে।

    ইকুয়ালিটি আসলে ক্ষমতার দিগন্তকে আরও বড়ো করবার একটা মেকানিজম।

    (আপাতত: শেষ)
  • pinaki | 131.151.54.206 | ০২ মে ২০০৮ ১১:১২395922
  • এই পলিটিক্স-টার সঙ্গে আমার পূর্বে পরিচয় হইয়াছে। কিন্তু এর সফল প্রয়োগ নিয়ে আমি সন্দিহান। আমাকে কি দু-একটা সফল প্রয়োগের উদাহরণ দেওয়া যাবে?
  • dri | 75.3.201.43 | ০২ মে ২০০৮ ১৩:২০395923
  • এক। মনে হচ্ছে দুপুরে ভাট মারা আমার বন্ধ হল। জীবনে মিটিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    দুই। রিমির গল্পটি ... সুইট।

    তিন। ঈশেনের ফুকোয় মোড়া ঘোড়াড্ডিমও কম সুইট নয়!

    চার। তবে কিনা সুইট গল্পেরও ক্রিটিক হয়।
    ক) ডিসিপ্লিনারি পাওয়ারের ঠেলায় সৌন্দর্য্যের সাম্যবাদের কাহিনী লোরিয়ালের মার্কেটিং ম্যানেজারের মুখ থেকে বেরোতেও পারে, যদি তিনি মন দিয়ে ফুকো পড়েন। এবং ঢের সারে বিজ্ঞাপণ দিলে, যারা 'সুন্দরী' হয়ে জন্মান নি কিন্তু বড়লোক, তারা সেরকম 'সুন্দরী' সাজতে পারেন যেরকম টিভি আর বিলবোর্ড আমাদের শিখিয়েছে। আর যাদের পয়সা নেই তাদের জন্য আছে বিশ্বসুন্দরী।

    খ) তুমি কিন্তু ফুকোর স্পিরিটটাই মিস করলে। তার মূল বক্তব্য ছিল আজকার 'সভ্য সমাজে' দমনমূলক ক্ষমতার স্থান নিয়ে নিচ্ছে ডিসিপ্লিনারি পাওয়ার যা (প্রায়) মানুষের অজান্তেই মানুষকে ম্যানিপুলেট করে (বা স্বেচ্ছায় ম্যানিপুলেটেড হতে অভ্যস্ত করে)। এই ডিসিপ্লিনারি পাওয়ারের স্বরূপ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে, এবং তার ক্রিটিক করতে হবে। কিন্তু তুমি ফুকোর ওয়ার্ডসগুলো চুরি করে নিয়ে তাতে জিলিপির প্যাঁচ মেরে যেটা নেট দাঁড় করালে তা হল, 'কিন্তু দেখ এই টুয়েন্টিএথ সেঞ্চুরি ডিসিপ্লিনারি পাওয়ার মিডিয়াভেল ওপ্রেসিভ পাওয়ারের থেকে কত্ত ভালো'। ঠিক যেমন লালবাজারে রুলের বাড়ি গলা অব্দি মাটিতে পুঁতে মাথায় পাথর ছুঁড়ে মারার থেকে অনেক ভালো।

    পাঁচ। শ্যামলবাবুর উত্তরে। চুরি করার মধ্যে ইনট্রিনসিকালি কিছু খারাপ আছে বলে আমার মনে হয়না। ছোটবেলায় বারান্দায় দাঁড়িয়ে কাকেদের খাওয়াতাম। দেখেছি একটি কাক ঠোটে রুটি নিয়ে উড়ে গিয়ে বসল। কিন্তু যেই খেতে যাবে আরেকটি কাক এসে ছোঁ মেরে নিয়ে চলে গেল। দ্বিতীয় কাকটিকে কোন আত্মগ্লানিতে ভুগতে দেখিনি। বরং ডারউইনিয়ান সেন্সে এই কাকটিই বেশী 'ফিট'। মানুষের সমাজে চুরি করা যদি 'ওকে' হত, তাহলে দেখা যেত তারাই বেশী বড় হিরো যাদের হাত সাফাইয়ের ক্যালি বেশী। বিয়ের অ্যাডে তখন হয়ত দেখা যেত চৌর্য্যবিদ্যায় পারদর্শী পাত্র চাই।

    ছয়। এত রাতে এর বেশী আর কিছু লিখতে পারব না। সবটা পড়াও হল না।
  • hanu | 125.18.104.1 | ০২ মে ২০০৮ ১৪:৫৭395924
  • মাও, ফুকো, পোমো অ্যান্টি এনলাইটেনমেন্ট তঙ্কÄ ইত্যাদি ঘেঁটে নিয়ে ইশান যে 'র‌্যাডিকাল' দাবীটি দাঁড় করালো সেটা এক দিকে থেকেই র‌্যাডিকাল। সেটা হল মোটামুটি এই যে ক্রিটিকের অনেক গাড্ডা, সেখানে প্রগতিশীলেরা পড়ে ঐ দেখুন গাদাগাদি করে মারামারি কচ্চেন, তাই প্লিজ ক্রিটিক করবেন না, আসুন মেনস্ট্রিমেরে ডিস্কাউন্ট দিন। সর্বত্র মার্জিন আছে, অতএব মার্জিনের ভয়েসের অর্গানাইজেশন প্রচেষ্টা কে ব্যক্তিগত ইমোটিভ ইস্যু বলে উড়িয়ে দিন। এইটা অনেক দিন ধইরাই ভারতীয় বিদ্বজনেরা করতাছেন। কারণটা ঐতিহাসিক। ব্যর্থ কন্টিনিউইটি খোঁজার প্রচেষ্টা মাত্র। এবং এইটা করতে গিয়ে তিনটে প্যাঁচ খেললো। ইশান , অফ অল পিপল। প্রথমত: আইডেন্টিটি পলিটিক্স এর মূল একটা দ্বন্দ্ব হল এখানে পার্সোনাল আর পোলিটিকাল এর বিভেদ অনেক ক্ষেত্রেই অস্পষ্ট। এবং আইডেন্টিটি পলিটিক্স সত্যিকারের ব্রড অর্গানাইজড রেজিসস্টান্স তৈরী করতে সব সময়ে সক্ষম নয়। কিন্তু তার মানে এই নয় জেন্ডার পলিটিক্স যে সমাজ তঙ্কেÄর ইতিহাসে অনেক নতুন পার্সপেকটিভ দিয়েছে তাকে উড়িয়ে দেওয়া যাবে। ইন্টারেস্টিং হল ইশান কিন্তু একই সঙ্গে রেজিসটান্সের রাজনীতিকেও খিল্লি করছে। দ্বিতীয়ত: জুডিসিয়াল এবং পারসোনাল এমপাওয়ার্মেন্টের মধ্যেকার যে ডিবেট, সেটা পুরোনো। ধরেন মেয়েদের আরো বেশি করে লেজিসলেটিভ পদে আনতে হবে এই দাবীতে মেয়েদের 'এমপাওয়ারমেন্টের' যে অর্থ খুব স্বাভাবিক ভাবেই কোন মেয়ে ঠিক কোন টি শার্ট পড়লে ঠিক কটা মাথা ঘুরে যাবে এই ক্ষেত্রে 'এমপাওয়ার মেন্টের' (আদৌ যদি সেটা বলা যায়) যে অর্থ সেটা খুব স্বাভাবিক ভাবেই আলাদা। দুটোকে এক জায়গায় নিয়ে গিয়ে ইশান খিল্লি করে মজা পেয়েছে। তৃতীয়ত: প্রতিক্রিয়াশীল সংরক্ষণশীলতাকে আর ফেমিনিস্ট অ্যাক্টিভিজম কে এক জায়গায় এনে ইকুয়ালিটির দাবীর সমালোচনা। বুলবুলভাজার দশটি নয় এই একটি ই বিধান। এইটা অবাস্তব প্রোজেক্ট। তার একমাত্র কারণ এই দুইটা জিনিসেরে এক জায়গায় আনা যায় না। যে কোন ইকুআলিটির দাবী (যেমন মহিলা শ্রমিকদের ইকুয়াল পে র দাবী) ঠিঅক সসেজ তৈরীর কারখানা নির্মান প্রস্তাব নয়। ইনইকুআলিটি, জেন্ডার বেসড ইনইকুআলিটি আছে, প্রচুর আছে বলেই তার ক্রিটিক তৈরী হয়েছে। এমনি এমনি হয় নি। ব্যক্তিগত ও সংগঠিত ভাবে মেয়েরা তার বিরুদ্ধে ক্রমাগত লড়ে চলেছেন।
    যৌনকর্মীদের স্বীকৃতির দাবীকে উদাহরণ হিসেবে তুলে এনে প্রগতিশীল দের দিকে গুলি ছুঁড়ে ইশান কি বলতে চাইলো আদৌ পরিষ্কার নয় এই তিনটে কারণেই। এই স্বীকৃতির দাবীর সঙ্গে মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার দাবীর দ্বন্দ কোথায়। এই স্বীকৃতির দাবীর সঙ্গে নিজের নামে ব্যাংক আকাউন্ট খোলার অধিকার, ছেলেমেয়েদের ইশকুলে পরিচয় হীনতা ঘোচানোর অধিকার, স্বাস্থ্যবীমার অধিকার জড়িয়ে রয়েছে। সেগুলোকে যদি অস্বীকার কেউ করে থাকেন তাহলে পুরুষতন্ত্র ই করেছে, বা যে কোন ডিসক্রিমিনেশনের সল্যুশনের জন্য টেকনোক্রাটিক সমাধান পন্থি যাঁরা তারা করেছেন। টেকনোক্রাটিক সমাধান পন্থী কারা এটা বার করা শক্ত বিশেষ কিছু নয়। এই যেমন ধরুন প্রচুর ফুড ক্রাইসিসের সময়ে কেউ কেউ বলছেন, সম্পূর্ণ ডি ক®¾ট্রাল্ড প্রাইস দরকার, তা নইলে খাবার সবার হাতে পৌঁছনোর সম্ভবনা কমে যাবে!! বা ধরুন কেউ বললেন মহিলা যৌনকর্মীদের অধিকার স্বীকৃতি দেওয়ার আগে প্রথমে পুরুষ যৌনকর্মীর ও তাঁদের ক্লায়েন্টদের সেনশাস করুন, তার পরে অধিকার সবাইরে এক লগে কোন এক অক্ষয় তৃতীয়া দেইখ্যা অধিকার টধিকার দ্যান। নইলে আফনে ডিসক্রিমিনেটরি প্র্যাকটিস করতাছেন!!

    রাবিশ!

  • hanu | 125.18.104.1 | ০২ মে ২০০৮ ১৫:৩৮395925
  • সম্ভবত প্রোফেসর কবিতা পাঞ্জাবির কোন ইন্টারভিউ তে একটা ইন্টারেসটিং পয়েন্ট শুনেছিলাম। অনেক বছর আগে। ভারী তাৎপর্যপূর্ণ শব্দকে কেমন ভাবে বিজ্ঞাপণের ভাষা ভায়োলেট করে। ধরুন হুইল সাবানের বিজ্ঞাপণ, এইটার কথা আগে বলেছিলাম, সেই বিজ্ঞাপণ দাবী করেছিলো হুইল সাবানে নিম্বু আছে অতএব এই সাবান নারীমুক্তি আনছে। এখন এটাকে অ্যাডভার্টাইজিং হাইপারবোল বা রসিকতা বলে চালিয়ে দেওয়াই যায়, কিন্তু এটা যখন দিনের পর দিন চলতে থাকে তখন যেটা খেলো হয়ে যায় সেটা হল নারীমুক্তির ধারণা। ময়লা নয় পরিষ্কার হয় নারীমুক্তির লেজিটিমেসি। ইশান গত কয়েকটা পোস্ট এ 'ইকুআলিটি', 'পাওয়ার' , 'এম্পাওয়ারমেন্ট' এই শব্দ গুলারে নিয়া এইরকম খেলা করেছে। খুব ই দু:খজনক। অথবা মতান্তরে সুইট:-)
  • d | 61.17.194.136 | ০২ মে ২০০৮ ১৬:৩৭395926
  • কয়েকটা কথা মনে হচ্ছে।

    স্বেচ্ছায় করা/ ডিসিপ্লিনারি পাওয়ার ইত্যাদি:
    ১। আমাদের দেশে যত কন্যাভ্রুণহত্যা হয়, তার বেশ কিছু ক্ষেত্রেই মহিলাদের এমনকি মা'দেরও বেশ ভাল একটা ভূমিকা থাকে। যে সব মা সিদ্ধান্ত নেবার অধিকারী এবং সিদ্ধান্ত নেন "আমার একটাই সন্তান চাই এবং সেটি পুত্রই চাই' তাঁদের এটিকে স্রেফ কোন প্রশ্ন করা চলবে না, কারণ তাঁরা এমপাওয়ারড হয়ে নিজে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে!!! শুধুমাত্র যাঁদের জোর করে মেরেধরে অ্যাবরশান করানো হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে প্রশ্ন করো, প্রতিরোধ গড়ে তোলো ...... কিন্তু যদি তেনারাও বলে বসেন "না না আমরা স্বেচ্ছায়ই করিয়েছি, আমরা মেয়ে চাই না'। তখন? তখন আমরা "আহা মেয়েগুলো কিরকম এমপাওয়ারড হয়ে গেছে। নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে' বলে দুহাত তুলে নাচবো তো?

    ২। দেখা গেছে, যৌনকর্মীদের সন্তান যদি মেয়ে হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাহলে তাকে লেখাপড়া করতে পাঠালেও এবং নিজের পেশায় আনতে না চাইলেও যখনই যৌনকর্মী অসুস্থ/বয়স্ক/ অন্যকারণে অপারঘ হয়ে পড়েন, তখনই মেয়ের লেখাপড়া ছাড়িয়ে, কোন কোন ক্ষেত্রে মুচলেকা দিয়েও মেয়েটিকে নিজের পেশায় ঠেলে দেন। যে মা ৫-৬ বছর আগেও জোর দিয়ে বলেছেন "না দিদি মেয়েকে লাইনে নামাবো না, মরে গেলেও না' তিনিই যখন ৬ বছর বাদে কাউকে কিচ্ছুটি না জানিয়ে চুপিচুপি গিয়ে মেয়েকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনেন এবং লাইনে নামান, তখন ভেবে নিতে হবে যে ইনি নিজে সিদ্ধান্ত নিয়ে পড়া ছাড়িয়েছেন কাজেই পদ্ধতিটাকে প্রশ্ন কোরো না, মা'কেওপ্রশ্ন কোরোনা। বরং বাবার বদলে মা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কাজেই খুশী হও!!!

    ৩। বহু বহুউদিন আগে পিপি, মেয়েরা কিভাবে পণের জন্য বাবাকে জোর করে, অন্য কোথায়ও তার গল্প শুনিয়েছিল। সেক্ষেত্রে সেইসব মেয়েরা অবশ্যই এমপাওয়ারড। বাবা মায়ের কাছে পাওয়ার দেখিয়েই তারা "দিদিকে দিয়েছ আমাকে দেবে না!' বা "আমি একমাত্র মেয়ে আমাকেও দেবে না' বলে বলে নিজেদের "পাওনা' আদায় করে নেয়। সেটাও এমপাওয়ারমেন্টের উদাহরণই বটে।

    ধ্যুৎ ধ্যুৎ!
  • S | 125.21.189.194 | ০২ মে ২০০৮ ১৭:০৭395928
  • যাগ্‌গে, ব্যাপারটা কিন্তু খানিকটা ট্র্যাক থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। এত লম্বা ডিসকাশন পড়ে আমারও কিছু বলতে ইচ্ছে করছিল, কিন্তু কোথা থেকে শুরু করব বুঝতে না পেরে ক্ষ্যামা দিলাম।
  • d | 117.99.16.102 | ০২ মে ২০০৮ ১৭:২৬395929
  • কি সব ভাট বকছো?
  • d | 61.17.194.136 | ০২ মে ২০০৮ ১৭:৫৭395930
  • 117.99.16.102 এর d,

    অন্য একটা নাম নিয়ে নিন না।
  • san | 220.226.83.58 | ০২ মে ২০০৮ ১৮:০৫395931
  • আর্যকে :
    আমরা নারীর অবস্থান নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে পণ্যায়ন আর লুক নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছি তা আদৌ নয়। আমরা পণ্যায়ন লুক আর অ্যাবিউজ নিয়ে আলোচনা করছি , মানে ঈশান করছে আর কি - তাই প্রসঙ্গত: নারীর অবস্থানের কথাটা বারবার আসছে। মানে পুরো উল্টো আর কি।

    এর মানে কোনমতেই এই নয় যে তোমার বলা বিষয়গুলো আলোচনা হওয়ার দরকার অপেক্ষাকৃত কম বা দরকার নেই। আরেকটা সুতো খুলে ফ্যালো , লেখো , তাহলেই তো হলো :-))))
  • san | 220.226.83.58 | ০২ মে ২০০৮ ১৯:১৮395932
  • ঈশানকে খুচরো কথার খুচরো উত্তর আগে :

    ১) 'তাদের হাতে সুন্দরী হওয়া ছাড়া কোন অপশন নেই , কিন্তু তারা হতে পারবেনা। এইটাই হল ডিসিপ্লিনারি পাওয়ারের বিরুদ্ধে আসল কমপ্লেইন।পিনাকী এবং স্যানের।'

    পিনাকীর কথা উনিই বলবেন, আমি যেখানে জড়িত - এটা আপাদমস্তক ভুল স্টেটমেন্ট। কেউ কেউ 'হতে পারবেনা' বলে মনের দু:খে কমপ্লেইন করা হচ্ছে তা আদপেও না। যদি ধরেও নিই আমি বা আমরা সকলেই হতে পারি, তার পরেও কিন্তু কমপ্লেইনটা থেকেই যায় যে পারি কি পারিনা সেটা কথা নয়, হতে হবে কেন। হতে না পারার জন্য বিরক্তি টা নয়, হতে হবে এই ডিসিপ্লিনটার জন্য বিরক্তি - সক্কলে পোটেনশিয়ালি হতে পারলেও বিরক্তি।

    দেখো ঈশান তুমি আইদার একা প্রবন্ধ লেখো - সেখানে আমরা চুপচাপ পড়ে যাই - নয়তো যদি ইন্ট্যার‌্যাকটিভ ডিসকাশন করতে চাও তো দয়া করে অন্যদের বক্তব্য ঠিক করে উল্লেখ করো - তোমার থিওরির কোন খাপে আমাদের আপত্তি টা গুঁজে দেয়া যায় সেইভাবে অন্যের কথাকে মোল্ড করোনা - এটা অনুরোধ।

    ২) পুরুষ পণ্য হয়না, বা হলে সেটা অবমাননাকর নয় এইরকম দাবি কেউ করেনি। পুরুষ একভাবে বিক্কিরি হয় মেয়ে আরেকভাবে।পুরুষের ক্ষেত্রে রোজগার - মেয়েদের ক্ষেত্রে শরীর - বললে কেউ আপত্তি তুলতোনা।দু:খের বিষয় Date:02 May 2008 -- 04:31 AM এই পোস্ট থেকে মনে হচ্ছিলো শারীরিক ভাবে আকর্ষণীয় হওয়াটা ( বা না হওয়াটা) ছেলেদের আর মেয়েদের জীবনকে একই ভাবে আর একই মাত্রায় প্রভাবিত করে। ( 'হয় উভয়েই বাধ্য হচ্ছে নয় কেউ হচ্ছে না') তাই পুরুষেরা মাসল বানানোর সময় কমপ্লেইন করেনা অতএব মেয়েরা তোমরাও রূপচর্চায় কমপ্লেইন কোরোনা । কোন ইউটোপিয়ায় বসবাস করলে একটা ভারতে বড় হওয়া লোক এই রকম স্টেটমেন্ট দিতে পারে ভাবলে মাথা গরম হয়ে যায় :-))))
  • san | 220.226.83.58 | ০২ মে ২০০৮ ১৯:৩৭395933
  • আরো যা যা নিন্দে করার ছিলো সেসব অলরেডি বোধিদা ঢের সুন্দর করে লিখে দিয়েছেন - আর পুনরাবৃত্তি করছিনা।
  • rimi | 168.26.191.117 | ০২ মে ২০০৮ ১৯:৫০395934
  • ইশানের 4.31 AM এর পোস্টের সঙ্গে প্রায় একমত, শুধু শেষ লাইনটা বাদে।

    মেয়েরা এখনো সব দেশেই discrimination এর শিকার, কোথাও কম, কোথাও বেশী। দু:খজনক ঘটনা হল, ভারতে অসুন্দর মেয়ের থেকেও বিয়ে হতে অনেক বেশি অসুবিধা হয় উচ্চশিক্ষিতা মেয়েদের (যদি তারা প্রেম না করে)। আমার চৈনিক কলিগের থেকে শুনেছি যে ওদের দেশেও ছেলেরা মাস্টার্স করা মেয়েদের যদি বা বিয়ে করে, পি এইচ ডি করা মেয়েদের কিছুতেই বিয়ে করতে চায় না। মেয়েটি যতই সুন্দরী হোক না কেন। সেই কারণে, আমার এই বান্ধবী মাস্টার্স করার আগেই বিয়েটি চুকিয়ে ফ্যালেন, পি এইচ ডি করেন তারপরে। কিন্তু আরেক চৈনিক বান্ধবী বুদ্ধি করে এটা করতে পারেন নি। তিনি বৃটিশ কলম্বিয়া থেকে অংকে পি এইচ ডি করেন, দেখতেও ভারি মিষ্টি, চীনারা যেমন হয়। তাঁকে ভালো লেগেছিল বহু চীনা ছেলের। কিন্তু কেউই বিয়ে করতে এগিয়ে আসে নি "ওরে বাবা পি এইচ ডি করেছে!" বলে ভয়ে পালিয়েছে। সেই বান্ধবী এখনো অবিবাহিতা।

    কিন্তু কথা হল, মেয়েদের ক্ষমতা আর অধিকার রক্ষায় বা অর্জনে তাদের সৌন্দর্য্য বা আকর্ষণীয়তা বাধা কি বাধা নয়? তসলিমা নাসরিনের দাদার বিয়ের গল্পে আছে, দাদা সুন্দরী মেয়ে খুঁজতে যখন পাগল, তসলিমা সে সময় মেডিকালের ছাত্রী। তসলিমা বান্ধবীদের মধ্যে সুন্দরী কেউ আছে কি না সে প্রসঙ্গে দাদার বক্তব্য, মেডিকালে সুন্দরী মেয়েরা কেউ পড়ে নাকি? মেয়ে পড়াশুনায় যতই ভালো হোক, দেখতে ভালো হলেই তার চটপট বিয়ে হয়ে যায়। পড়ে থাকে যতো কালো কুচ্ছিতরা। কথাটা অতীতে অনেক বেশি সত্যি ছিল, কিন্তু দিনকাল বদলাচ্ছে। তবুও ভারতবর্ষে এটা এখনো বাস্তব। অতএব সৌন্দর্য্য এই ধরণের সমাজে মেয়েদের প্রকৃত অধিকার অর্জনে বাধাই দিচ্ছে। এটা আরেকটা দিক। এখনো সুন্দরী মেয়ে বারো ক্লাসে উঠলেই বাবা মার কাছে ঘটক আসে, এমন ঘটনা প্রচুর ঘটে। এটা আরেকটা দিক। কিন্তু সুখের বিষয়, এই ধরনের মনোভাব ক্রমশই হ্রাস পাচ্ছে।
  • rimi | 168.26.191.117 | ০২ মে ২০০৮ ১৯:৫২395935
  • স্যান, সুন্দর জিনিষের বেশি মূল্য এই ব্যপারটা আদৌ কোনোদিন সমাজ থেকে তুলে ফেলা যাবে কি না কে জানে।
    'A thing of beauty is a joy forever.' :-))
  • san | 220.226.42.118 | ০২ মে ২০০৮ ২০:১১395936
  • রিমি, সুন্দর জিনিসের বেশি মূল্যে তো আপত্তি থাকতো না , যদি সত্যিই নানারকম এক্সটার্নালিটি মডেলে না চলে আসতো । দেশের বুভুক্ষু জনতার সৌন্দর্যপিপাসার ঠেলায় কতবার যে এই আপনা মাংসে হরিণা বৈরির রিয়েলাইজেশন হয়েছে , আমার নয় আমাদের, তার তো লেখাজোকা নেই - কাজে কাজেই তাঙ্কিÄক কমরেড বেসিক মডেল বানিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে পারেন , কিন্তু যাদের ভুগতে হয় তারা কেউ এক্সটার্নালিটি নিয়ে কনসার্ন প্রকাশ করলে সেটাকে ট্রিভিয়ালাইজ করা কতটা ঠিক কে জানে।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০২ মে ২০০৮ ২০:১৬395937
  • বোধিকে। যৌনকর্মীরা আদৌ "মানুষ' হিসাবে স্বীকৃতি চাইছেন না। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি খোলারও স্বীকৃতি চাইছেন না। তাঁরা তঁদের পেশাকে "বৈধ' করার দাবী জানাচ্ছেন।

    আমি খুব পরিষ্কারভাবে এই দাবীটি সম্পর্কে স্ট্যান্ড জানতে চেয়েছি। যেটা কেউ জানাননি। আরেকবার দাবীটি পেশ করলাম। যাঁরা এই বিতর্কে অংশগ্রহণ করছেন প্রত্যেকের কাছ থেকে। এড়িয়ে যায়েন না। কাইন্ডলি। :)

    স্যান এবং পিনাকির কোনো প্রশ্ন আমি এড়িয়ে যাইনি। লিখেওছি, স্পেসিফিক প্রশ্নগুলির উত্তর সময়াভাবে দেওয়া হয়নি। দরকার থাকলেই দেওয়া হবে। স্যান প্রয়োজন ব্যক্ত করেছে। উত্তর দেওয়া হবে। সঙ্গে থাকুন। :)

    এবং আরেকবার। যৌন কর্মীদের পেশার অধিকার সংক্রান্ত প্রশ্নটি এড়িয়ে যাবেন না। পতিতাবৃত্তি কে একটি বৈধ, স্বীকৃত পেশা হিসাবে আপনি চান না চাননা। চাইলে বা না চাইলে কেন ইত্যাদি। ১০ নম্বর।:)
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০২ মে ২০০৮ ২২:০৫395939
  • এবার এক এক করে উত্তর।

    বোধির ক্রিটিসিজমটা মূলত: টেক্সট বুকিশ। উত্তরাধুনিকতা সম্পর্কে "প্রগতিশীল' দের সমালোচনায় এই টোন শোনা যায়। যা মূলত: ওয়েস্টার্ন ক্রিটিকদের শেখানো। এবং আমরা যেগুলি আউড়ে আনন্দ পাই। সেখানে ওয়েস্টার্ন প্রজেক্টের সমস্ত সমালোচনারই এক দর। হরেক মাল আট আনা।

    একটু খুঁটিয়ে পড়লেই বোঝা যেত, "প্লিজ ক্রিটিক করবেন না। মেনস্ট্রিমকে ডিসকাউন্ট দিন', এইটা আমার টোন নয়। বরং উল্টোটাই। এই প্রসঙ্গে একটা রাশিয়ান উপন্যাসের কথা মনে পড়ছে। স্তালিন আমলে পার্জের সময় মিলিটারি একাডেমির একজন অধ্যাপককে সাইবেরিয়া পাঠানো হয়। তাঁর অপরাধ ছিল, তিনি সম্ভাব্য জার্মান আক্রমণের কৌশলগুলি নিয়ে অধ্যয়ন করতেন। জার্মান ভাষা শিখেছিলেন। এবং জার্মানদের সমরপদ্ধতির "ভালো' এবং "উন্নত' ব্যাপারগুলি জনতাকে জানানোর দাবী রেখেছিলেন।

    সেই সময়ে এইটা কমন প্র্যাকটিস ছিলনা। আসন্ন জার্মান যুদ্ধের কথা উঠলেই তখন সমস্বরে বলতে হত "জনতার জয় অবশ্যম্ভাবি। জার্মানরা আমাদের আক্রমন করলে জনতা তাদের হুঁড়িয়ে দেবেন। প্রগতির জয় হবেই'। সেই সুরে সুর না মেলানোর জন্য ভদ্রলোককে জার্মানির চর বলা হয়। অত:পর সাইবেরিয়া।

    পরবর্তীকালে জার্মান আক্রমনের সামনে ন্যাজে গোবরে হয়ে যাওয়া রাশিয়া অবশ্য জার্মাঅন রণকৌশল নিয়ে একটু অধ্যয়নের অভাবের কথা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিল। কিন্তু সে অন্য কথা। :)

    এখন বোধির সমালোচনায় সেই একই সুর। লড়তে হবেই। "ব্যক্তিগত ও সংগঠিত ভাবে মেয়েরা তার বিরুদ্ধে ক্রমাগত: লড়ে চলেছেন'। যেখানেই অসাম্য, সেখানেই বিদ্রোহ। ইত্যাদি।

    কথাগুলো শুনতে ভালই। কিন্তু যার সঙ্গে লড়ছ, তার রণকৌশল সম্পর্কে চিন্তাভাবনা বিশেষ নাই। আমার পরিষ্কার বক্তব্য ছিল ওয়েস্টার্ন পাওয়ার, ক্ষমতা, গত কিছু বছরে তার কৌশল একদম বদলে ফেলেছে। আভ্যন্তরীন রণকৌশল। যদি আমেরিকাই ধরি, ক্ষমতার দাদাগিরির বিরুদ্ধে অনেকগুলো আউটবার্স্ট হয়েছে। ব্ল্যাক পান্থার্স দের বিস্ফোরণ একটা। গর্ভনিরোধক আবিষ্কার এবং তার পরে ইকুয়ালিটির দাবী নিয়ে মেয়েদের মুভমেন্ট আরেকটা। ভিয়েতনামের সময় বেবি-বুমারদের বিস্ফোরণ আরেকটা। এগুলো হবার পরে, ক্ষমতা যে স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে, তা হল, জোর নয়, ইকুয়ালিটিকে প্রজেক্ট করো। সবাই সমান হও। যার একটা উদাহরণ হল, সৌন্দর্যের ধারণার বদল। সৌন্দর্যের ধারণা এখন অনেক বেশি, যাকে বলে "গণতান্ত্রিক'। ইকুয়ালিস্ট। এটা একটা। আরও অনেক আছে।

    এটা সর্বত্র সমান ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এমন নয়। কিন্তু ক্ষমতার লেটেস্ট স্ট্র্যাটেজি এটাই। সে জোর ফলাচ্ছে না। কনসেন্ট তৈরি করছে। এবং তার অবজেক্টিভ বেসিস হল ইকুয়ালিটি।

    তো, ক্ষমতার এই নতুন স্ট্র্যাটেজির বিরুদ্ধে আপনার কাউন্টার স্ট্র্যাটেজি কি? স্রেফ "আমাদের দাবী মানতে হবে' আউড়ে যাওয়া? সেই প্রশ্নটার উত্তর পেলাম না।

    দ্রিকে। ফুকোর স্পিরিটে আমার কিসু যায় আসে না। কিন্তু এক্ষেত্রে ফুকোর স্পিরিটটা মিস করিনি। ম্যানিপুলেশন ফুকোয় নাই। "ম্যানিপুলেশন' এর বদলে এসেছে "রিফ্লেক্সিভিটি অফ সেল্ফ বাই সেল্ফ'। বেসিকালি যেটাকে আমি এমপাওয়ারমেন্ট এবং স্টিমুলেশন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ বলেছি। হস্তমৈথুনের উদাহরণটা সোজাসুজি "পাওয়ার/নলেজ' থেকে টোকা।

    মরালিটি এবং আস্থানের প্রশ্নটা ফুকোতে সেভাবে নাই। ওটা ওখানে আমি ইনজেক্ট করেছি। ফুকোর বিরুদ্ধে বরং ক্রিটিসিজম এইটাই, যে, তিনি রাজনীতি বা মরাল অবস্থান নেওয়ার জায়গাটাকে শেষ করে দিয়েছেন।

    এটা একটা পয়েন্ট। দ্বিতীয় যে পয়েন্টটা দ্রি রেখেছেন, যে, লোরিয়েলের ম্যানেজারের মুখ দিয়েও বেরোতে পারত, সেটা একশবার ভ্যালিড। পারত নয়, ওটাই ক্ষমতার ভাষা। স্ট্র্যাটেজি। ইকুয়ালিটিকে প্রজেক্ট করা। সবাইকে সমান করে তোলা।

    তো, এই কন্ডিশনিং এ যারা কন্ডিশনড হচ্ছেন, তাদের নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। তারা কন্ডিশনড হচ্ছেন, একে অপরের "সমান' হচ্ছেন, হয়ে আনন্দ পাচ্ছেন। সমতা খারাপ জিনিস কেন হবে? সমস্যাটা হচ্ছে তাঁদের নিয়ে, যাঁরা এই ভাবে "সমান' হতে চান না। যাঁরা মার্জিনে। বা তার বাইরে। ইকুয়ালিটির প্রোজেক্ট তাঁদের উপর জোর করছে, এটা তাঁরা ফিল করছেন। তাঁদের বিকল্প পলিটিক্সটা কি হবে, সেই নিয়েই কথা। এটা নিয়ে আমি স্যানকে যে পোস্টটা করব এর পরেই, তাতে ডিটেলে লিখব।

    সঙ্গে থাকুন। :)
  • d | 61.17.194.136 | ০২ মে ২০০৮ ২২:৩০395940
  • আমি দেহব্যবসাকে একটি বৈধ পেশার স্বীকৃতি দেবার পক্ষে। এটিকে বৈধ পেশা হিসাবে স্বীকৃতি দিলে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সুরক্ষা ইত্যাদির দাবীগুলো জোর কত্রে তুলে ধরা যাবে। একটি পেশা বৈধ হলেই তার মধ্যে কোথায় কি অবৈধ হচ্ছে তার একটা হিসাব নেবার এবং প্রতিকার করার চেষ্টা করা যায়। যেমন শ্রমিক নিয়োগ অবৈধ নয়, কিন্তু ১৪ বছরের কমবয়স্ক শিশুশ্রমিক নিয়োগ অবৈধ। কোথায়ও সেরকম শিশুশ্রমিক নিয়োগ হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এছাড়াও IBM যেমন হার্ডওয়ার এবং সফটওয়ার দুইই বেচে, সেরকম মেধা/দক্ষতার সাথে সাথে অথবা দুইয়ের অনুপস্থিতিতে জন্মসুত্রে প্রাপ্ত দেহ (অর্থাৎ হার্ডওয়ারটি) ও কেউ কেউ স্বেচ্ছায় বেচতে চান। তো তার জন্‌হ্‌য় নির্দিষ্ট নিয়মকানুন থাকাই দরকার বলে আমার মনে হয়। এর ক্রেতারাও সেক্ষেত্রে জানবেন নির্দিষ্ট নিয়ম এবং বেনিয়ম করলে তা যে শাস্তিযোগ্য, সে সম্পর্কেও সজাগ থাকবেন।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০২ মে ২০০৮ ২৩:২৪395941
  • স্যানকে।

    এক। "পুরুষ একভাবে বিক্রি হয় নারী আরেকভাবে।' এইটাই আমার পয়েন্ট। যৌনতাই পণ্য হবার একমাত্র অবজেকটিভ ভিত্তি, এই দাবী আমার একদম নেই। পুরুষ শরীরও বিক্রি হয়, আমার দাবী এইটাই। বা সত্বা। কোনোভাবে "শুধু' শরীরই বিক্রি হয়, এই দাবী করেছি মনে হলে, দু:খিত। ওটা জাস্ট অ্যানালজি ছিল। শরীরে শরীরের ইকুয়েট করা ইকুয়ালিস্টদের কাজ, আমি তার বিরুদ্ধে।

    হ্যাঁ, "হয় উভয়েই বাধ্য হচ্ছে নয়তো কেউই হচ্ছেনা' দাবীটা এর পরেও সত্য। উভয়েই বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। বেচা অবমাননাকর হলে উভয়ত:ই। এইটা বললে যখন "কেউ আপত্তি তুলতনা', তখন আশা করি, মেয়েদের আলাদা করে পণ্য বানিয়ে অবমাননা করা হচ্ছে, এইটাও কেউ বলবে না।

    দুই। স্যানের মূল আপত্তি ডিসিপ্লিনটার বিরুদ্ধে। বাধ্যবাধকতার বিরুদ্ধে। সেনটেন্স ফ্রেমিং এর কচকচানিতে যাচ্ছি না। আমার সেনটেন্স ফ্রেমিং এ কোনো ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ থেকে গেলে সেটা কারেক্ট করে নেওয়াই বেটার। করে নিলাম।

    তো, এই সমস্যাটা নিয়েই আমি আলোচনা করছিলাম। ডিসিপ্লিন মানে তাতে এক ধরণের বাধ্যবাধকতা মিশে থাকে। আপনি যদি এমএ পড়েন, তো আপনাকে ক্লাস করতে হবে, সিলেবাসের পড়া পড়তেই হবে। এটা ডিসিপ্লিন, বাধ্যবাধকতা। না পোষালে নাও পড়তে পারেন, কেউ আটকাচ্ছে না। কিন্তু সেটা প্র্যাকটিক্যালি কোনো অপশন নয়। অতএব আপনাকে ডিসিপ্লিনড হতে হচ্ছে, এবং পথের শেষে আপনি হাতে পাচ্ছেন এমএ ডিগ্রি।

    এখানে তিনটে পয়েন্ট।
    এক। আপনাকে পড়তে কেউ জোর করেনি।
    দুই। না পোষালে নাও পড়তে পারেন, টা প্র্যাকটিক্যালি কোনো অপশন নয়। পড়তে ইচ্ছে না হলেও আপনাকে পড়তে হবেই। এটা বাধ্যবাধকতা।
    তিন।এমএ ডিগ্রি যখন হাতে পাচ্ছেন আপনি, তখন সেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনি বাধ্যবাধকতা হিসাবে দেখছেন না। বরং ঐ ডিগ্রি আপনাকে আলোকিত করছে। "আমি শিক্ষিত' বলে একটা গর্ব দিচ্ছে। এবং "শিক্ষিত' ব্যাপারটা আপনার সত্বার অংশ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আপনাকে এমপাওয়ার করছে।

    এই কেস স্টাডিতে দুটো জিনিসই আছে।
    এক ডিসিপ্লিন ও এমপাওয়ারমেন্ট। যেটা পৃথিবীর অনেক লোকই এনজয় করে। এমএ পড়ছি নিজের ইচ্ছায় পড়ছি। শিক্ষিত হবার জন্য পড়ছি। ইত্যাদি।
    দুই। ডিসিপ্লিন ও বাধ্যবাধকতা। যেটা কেউ কেউ এনজয় নাই করতে পারে। তিনি এই সিস্টেমের মার্জিনে দাঁড়িয়ে আছেন।

    এবার কথাটা হচ্ছে, যিনি স্বেচ্ছায়, "শিক্ষিত' হতে চান, এমপাওয়ারড হতে চান, তাঁর একশবার সেটা করার রাইট আছে। আবার আপনি যদি সিস্টেমের বাইরে থেকে "অশিক্ষিত' থাকতে চান, আপনারও সেই রাইট আছে। কিন্তু ডিসিপ্লিন আপনাকে "অশিক্ষিত' থাকতে দেবেনা। সে সকলকেই "সমান' , "শিক্ষিত' করার প্রোজেক্টে হাত দিয়েছে। অতএব, আপনি ক্ষমতার এই সর্বগ্রাসী মনোবৃত্তির বিরুদ্ধে যদি বলতে চান তো এই সর্বগ্রাসী ইকুয়ালিটির বিরুদ্ধে বলুন। বলুন, আমার আলাদা ভাবে থাকার রাইট আছে। যৌনকর্মীদের যৌন ব্যবসা চালানোর রাইট আছে। চিয়ার গার্লদের নাচার অধিকার আছে। আমরা কেউ ইকুয়াল নই, কিন্তু সবাই সম্মানীয়। ব্যস।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০২ মে ২০০৮ ২৩:৩৯395942
  • দময়ন্তী,

    এক। যদি কোনো "দমনমূলক' প্রেসার না থাকে এবং কোনো মা যদি সিদ্ধান্ত নেন, যে, তাঁর ছেলেই চাই, তো, সেটা একশবার তাঁর রাইট। তিনি সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, আর কোনো সন্তানের জন্ম দেবেন না এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না?

    এখানে আমি ধরে নিয়েছি, মার-ধোর/চাপ ইত্যাদি নেই। আমার, বা সরকারের, যদি মনে হয়, এতে সমাজের ক্ষতি-টতি হচ্ছে, তো সরকার ইনসেন্টিভ দেবে, যাতে এরকম না হয়।

    দুই। মেয়েকে "লাইনে নামানো'র সিদ্ধান্ত তো মা প্রেসারে পড়ে নিচ্ছেন। তিনি যদি বলেন "বাধ্য হয়ে চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি' তো তাঁকে সাহায্য করা আমাদের কর্তব্য। এখানে মেয়েটি কি ভাবছে সেটাও একটা ফ্যাক্টর। ইত্যাদি। তাই সিধে বাংলায় হ্যাঁ/না বলতে পারলাম না।

    তিন। হ্যাঁ। এটা এমপাওয়ারমেন্ট। আমার পছন্দ নয়, সে অন্য কথা। কিন্তু এমপাওয়ারমেন্ট। মেয়েটি তার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বাবার কাছ থেকে "নিজের জন্য' কিছু আদায় করছে।

  • Ishan | 12.163.39.254 | ০২ মে ২০০৮ ২৩:৪২395943
  • পিনাকী,

    যৌনকর্মী দের আন্দোলন। সমকামীদের আন্দোলন। ওপেন সোর্স মুভমেন্ট। লিনাক্স।হুগো শাভেজের ক্ষমতায় আসা এবং টিকে থাকা। সবকটাই এই ধরণের মুভমেন্টের উদাহরণ।

    তবে যৌনকর্মীদের আন্দোলন নিয়ে এক দমু ছাড়া আর কেউ মুখ খুললনা। সেন্সিটিভ ইসু বলে বোধহয়। :)
  • aja | 207.47.98.129 | ০২ মে ২০০৮ ২৩:৪৪395944
  • পুরনো নিউ ইয়র্ক টাইমসে এই লেখাটা পেলাম। এই সুতোতে লেখাটার শেষ প্যারাদুটো ট্যানজেনশিয়ালি রেলেভ্যান্ট। বাঁদরদের পয়সা ব্যবহার করতে শেখালে প্রস্টিটিউশন চালু হয়। লক্ষ্য করার মত ব্যাপার, দে ডু নট এক্সচেঞ্জ ফুড ফর সেক্স।

    http://www.nytimes.com/2005/06/05/magazine/05FREAK.html?_r=1&oref=slogin
  • hanu | 220.225.2.204 | ০৩ মে ২০০৮ ০৭:৩৯395945
  • অন্য কথা বলার আগে একটু ছোটো করে বলে যাই দুর্বারকে নিয়ে কথা আমি বলেছিলাম, সবার আগে কিনা মনে নাই।
  • ranjan roy | 122.168.68.167 | ০৩ মে ২০০৮ ১৯:২৯395946
  • ইজ্জতে গ্যামাক্সিন লেগেছে। সেন্সিটিভ ইস্যু এড়িয়ে যাওয়া?

    হ্যাঁ, আমি মনে করি লালবাতি এলাকার মহিলারা নারীশ্রমিক। কাজেই ঘেন্নার চোখে দেখা বা অসম্মানের ট্যাগ লাগানোর চাইতে তাঁদের প্রাপ্য সম্মন টুকু দেয়া উচিৎ।
    কেন?
    আমার মতে সমস্ত কর্মী মানুষ (স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে) নিজের শ্রমশক্তি বিক্কিরি করে। সেটা কর্পোরেশনের সাফাই কর্মী বা আই-টি র দক্ষ কর্মী দুজনের জন্যেই সমান ভাবে প্রযোজ্য। তাহলে যৌনকর্মীরা নয় কেন?
    আমার মতে এদের সার্ভিস সেক্টরের অন্তর্গত ( ঠিক যেমন আমার মত ব্যাংককর্মীরা) শ্রমিক ধরা উচিৎ। ক্যাবারে বা বারগার্লদের জন্যেও একই কথা।
    একটা কথা। আমার বাদল সরকারের স্পার্টাকাস চরিত্রের মত মনে হয় বেঁচে থাকাটাই বেশ বড় ব্যাপার।
    বাঁচার জন্যে কে কি পেশা নিতে বাধ্য হচ্ছে তা নিয়ে মানুষকে---।
    আমার ব্যাংকের চাকরি পছন্দ নয়।
    আমার মেয়ে যখন ল' পড়তে গেলো তার দাদু বল্লেন--ছ্যা, ছ্যা, শেষে পেটের জন্যে চোর-ডাকাত-খুনীকে ক্লায়েন্ট ধরবি?
    একটা সময় সিনেমা - থিয়েটারের মেয়েদের অসম্মানের চোখে দেখা হত। এমনকি পূববাংলায় নবান্ন করতে গিয়ে তৃপ্তি মিত্রও নাকের- জলে-চোখের-জলে হয়েছিলেন।
    আজকে তাঁরা সেলিব্রিটি!
    আর এই স্বীকৃতির ফল-আউট নিয়ে দময়ন্তীকে ডিটো।

    মূল ইস্যুতে মামুর পোস্ট গুলো আবার পড়লাম। মনে হল ও বলতে চাইছে
    টেনে- হিঁচড়ে গোদা ইক্যুয়ালিটির বদলে সবার জন্যে আন-ইক্যুয়াল থাকার ইক্যুয়াল রাইটের কথা।
    যেমন, ধনেপাতার গন্ধে আমার মাথা ধরে। অথচ বাড়ির এবং সমাজের :)) সবার কছে ওটি পরম উপাদেয়।
    আমি চাইবো সবার জন্যে রান্নায় ধনেপাতা দিয়ে ড্রেসিং করার আগে আমার জন্যে একটু আলাদা করে তুলে রাখা হোক।
    BL এর পাতায় কৌস্তুভ ""ব্যক্তিগত স্পেস'' নিয়ে কিছু কথা তুলেছে। আমার কেমন মনে হচ্ছে ইশানের আন-ইক্যুয়াল থাকার ইক্যুয়াল রাইট একটা বড় সেট।
    আর পার্সোনাল স্পেসের কনসেপ্ট ওরই একটা সাব সেট।
    বেশি ট্রিভিয়ালাইজ করে ফেল্লাম কি?
    মামু এক লাইন বল।

  • santanu | 217.196.19.45 | ০৩ মে ২০০৮ ২১:৪৮395947
  • চি: লি: , মামু আর মাত্র এক লাইন! কি যে বলেন!!
  • dri | 75.3.201.43 | ০৩ মে ২০০৮ ২১:৫৪395948
  • ঈশেন, তুমি আবার শব্দ ধরে কূটকচালি শুরু করলে। ফুকো ম্যানিপুলেশান শব্দটি ইউজ করেন নি, রিফ্লেকসিভিটি। সাধে কি আর তুমি মনে কর শব্দই ব্রহ্ম? ফুকো ডিসিপ্লিনারি পাওয়ারকে ইন জেনারাল কিভাবে মোকাবিলা করতে হবে বলে মনে করতেন তার একটু ধারণা পাবে ফুকো চমস্কির বিখ্যাত ডিবেটে, যার একটা ছোট্ট স্নিপেট ইউটিউবে রাখা আছে,
    । ফুকো অবশ্য ক্রিটিক করাতেই থেমে গিয়েছেন। ডাইরেক্ট অ্যাকশানে তাঁর বিশেষ আগ্রহ ছিল না। কি করিতে হইবে নিয়েও তিনি বিশেষ কিছু বলতে চান নি।

    কিন্তু এটা ঠিক, ফুকো কি বলেছেন তাতে কিছু যায় আসে না। পোস্ট-ফুকোডিয়ান সোসাইটিতে আমাদের বাস। এখন থেকে আমরা ঈশেনের কথাই মেনে চলব। কিন্তু মাঝেসাঝে দু চারটে প্রশ্ন করব, ব্যাস।

    একটি খারাপ জিনিষকে বেশ ভালোই দেখতে লাগে যদি পাশে একটি খুব খারাপ জিনিষ এনে বসানো হয়। ডিসিপ্লিনারি পাওয়ারের পাশে দমনমূলক পাওয়ার বসিয়ে তুমি ডিসিপ্লিনারি পাওয়ারকে যে লেজিটিমেসি দিয়ে দিলে (আমার মনে হল শুধুই তর্কের খাতিরে, সেই যে তুমি স্যানের সাথে তক্কো করতে গিয়ে চিয়ারলীডালের পক্ষ নিয়েছো সেই থেকে), সেটা আমার ঠিক হজম হয় নি।

    আর মনে রেখো, আপাত এম্পাওয়ারমেন্ট প্রদান আবার অনেক ক্ষেত্রেই এম্পাওয়ারমেন্ট কেড়ে নেওয়াও। সেজে সুন্দরী হওয়াই ধর। মেকাপ কেনার পয়সা থাকলে তুমি বর্ন সুন্দরী না হয়েও সুন্দরী হতে পারো, সেটা এম্পাওয়ারমেন্ট। আবার মেকাপের যুগে মেকাপ কেনার পয়সা না থাকলে, বর্ন সুন্দরীও অনেক সময় পাত্তা পায় না। ধর বস্তিতে, অনেক মেয়েই খুব সুন্দরী, একটু শরীর পরিচর্যা করলেই অপরূপা হতে পারত। তাদের দিকে কি তুমি ফিরে তাকাও? এটা এক ধরণের ডিসেম্পাওয়ারমেন্ট। সিমিলারলি, এম এ পড়া। এম এ পড়লে তুমি এম্পাওয়ার্ড। কিন্তু তুমি না পড়তে পারলে (পয়সার কারণেই হোক, বা কোয়ালিফাই না করতে পারার জন্যই হোক), তুমি ডিসেম্পাওয়ার্ড। নলেজ ভিত্তিক সোসাইটিতে, যারা নলেজের অ্যাকসেস পাচ্ছে না, তারা খুবই খুবই পিছিয়ে পড়ছে।

    এইসব বিভিন্ন যায়গা থেকে ডিসিপ্লিনারি পাওয়ার ভিত্তিক সোসাইটির বেসিসগুলোকে প্রশ্ন করা যেতে পারে। এবং করা উচিত। এ ব্যাপারে মানুষকে সেন্সিটাইজ করা উচিত। কারণ, এটা অনেক সময়ই মানুষের চোখ এড়িয়ে যায়।
  • ranjan roy | 122.168.72.131 | ০৩ মে ২০০৮ ২২:০০395950
  • দ্রি কে ডিটো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন