এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • চিয়ারলিডার বা সুড়সুড়ি বা খেলা বা রাজনীতি

    Ishan
    অন্যান্য | ২৯ এপ্রিল ২০০৮ | ১৯৩৮৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • a x | 24.165.170.54 | ০২ মে ২০০৮ ০৪:৪১395885
  • আজকে আমি তন্ন তন্ন করে ম্যাট্রিমোনিয়াল কলামগুলো একবার দেখব। পাত্রের খোঁজে না। সুপেশী, সুদেহী পাত্রের খোঁজ চোখে পরে কিনা দেখতে। আর পাশাপাশি তন্বী, সুন্দরী পাত্রী চাই গুলো যেন কিছুতেই চোখে না পড়ে!
  • pinaki | 131.151.54.206 | ০২ মে ২০০৮ ০৪:৪৪395886
  • ইশান,

    এই যে সব জায়গায় বোল্ড আর আন্ডারলাইন দিয়ে equality র স্বর্গ তৈরী কর, এখানটা মানতে অসুবিধা আছে। তোমার assertion টা আমেরিকায় ভ্যালিড, ভারতে এখনও অসুন্দর মেয়েদের বিয়ে হয় না, অসুন্দর ছেলেদের সে অসুবিধে অনেক কম। স্বভবিকভাবেই সুন্দর হয়ে ওঠার সামজিক চাপ এবং সেটা না হতে পারলে হীনমন্যতা - এটা মেয়েদের যতটা সমস্যায় ফেলে, পুরুষকে তা ফেলে না।

    তবে তোমার র‌্যাডিকাল বক্তব্যটায় নিশ্চয় এসবের সমাধানসূত্র থাকবে। :-)
  • a x | 207.69.137.6 | ০২ মে ২০০৮ ০৪:৪৮395888
  • অ্যামেরিকাতেও আদৌ ভ্যালিড না। প্রচুর অ্যাড হয় যাতে রোগা প্যাংলা গাই নেক্সট ডোর টাইপের ছেলে মডেল হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে? আর "ট্রফি ওয়াইফ"এর কনসেপ্ট এদেশে কিছুই কম না।
  • pinaki | 131.151.54.206 | ০২ মে ২০০৮ ০৪:৪৮395887
  • যাহ শালা, অক্ষ দা দেখছি এক-ই লাইনে লিখেছে। এবার লোকে ভাববে টুকেছি। :(
  • san | 220.226.53.69 | ০২ মে ২০০৮ ০৪:৫০395889
  • কমরেড ঈশান সৌভাগ্যবান , তাঁকে 'হিরের আংটি আবার বাঁকা' প্রবাদটি কখনো শুনতে হয়নি।

    হায় আমরা অত সৌভাগ্যবান হতে পারিনি।
  • a x | 207.69.137.20 | ০২ মে ২০০৮ ০৪:৫১395890
  • ইভান লেন্ডেল আদৌ তথাকথিত ডেফিনিশনে ভালো দেখতে ছিল না। অ্যান্ড নোবোডি কেয়ারড সেটা নিয়ে। ওদিকে মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা কেমন দেখতে ছিল সেটা তার অসামান্য খেলার থেকে বেশি চর্চিত ছিল।
  • r | 74.13.20.101 | ০২ মে ২০০৮ ০৫:০৮395891
  • গম্ভীর্ফুটালাম ওরফে লিমেরিকালাম।
  • nyara | 64.105.168.210 | ০২ মে ২০০৮ ০৫:১৪395892
  • ম্যাট্রিমনিয়াল কলামে অক্ষদিদিকে একটি ট্র্যানস্লেশন করতে হবে।

    অসুন্দর পাত্রী -> উপার্জন অক্ষম পাত্র।

    সাবসেট :

    প্রকৃত সুন্দরী পাত্রী -> ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার/সিএ/ব্যাবসায়ী পাত্র
  • a x | 207.69.137.20 | ০২ মে ২০০৮ ০৫:১৭395893
  • ও আর পুরুষেরা কিসে পৌরুষপ্রাপ্ত হবে তাও তো তুমিই বলে দিয়েছিলে ঈশান। মেয়ে দেখে একটু উত্তেজনা না হলে ঠিক পুরুষ হওয়া যায়না। সেটাকে যদিও পরে হিরোইস্ম দিয়ে রিপ্লেস করেছিলে, মানে যে উত্তেজিত হয় তার হিরো হিরো ভাব, কিন্তু তার আগে যা বক্তব্য ছিল তাতে মনে হয়, যে পুরুষ বেচারার মেয়ে দেখলেই উত্তেজনা হয়না, তার কিছু একটা অসুখ আছে।
  • r | 74.13.20.101 | ০২ মে ২০০৮ ০৫:১৮395895
  • ন্যাড়াস্যার ফুট কাটলে কিছু বলা হয় না, আর আমি ফুট কাটলেই আমাকে গম্ভীর হতে বলা হয়। ঠিক আছে ঈশেন, তুমি যখন সম্পাদক, তাই না হয় হবে। আমি যদি ফুট কাটায় চিয়ারলিডারেরা পালিয়ে যায়, তবে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
  • a x | 207.69.137.20 | ০২ মে ২০০৮ ০৫:১৯395896
  • ইয়েস। ন্যাড়াদা। এটা আমি ভাটে লিখেওছিলাম। যে পুরুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং যৌনাঙ্গের মাপের বাজার তৈরি হচ্ছে। কিন্তু এখনও সেই স্টেজে আসেনি যেখানে তার সব কিছুকে ছাপিয়ে সেটাই ডিফাইনিং ক্যারেকটর হয়ে দাঁড়ায়।
  • nyara | 64.105.168.210 | ০২ মে ২০০৮ ০৫:২৪395897
  • বৃহত্তর বাজারের কথা বলতে পারব না, কিন্তু ভারতীয় ম্যাট্রিমনিয়ালে এটা পুরুষের যথেষ্টই ডিফাইনিং ক্যারেক্টার।

    দিস ইস নট ফুটকাটিং। দিস ইস সিরিয়াস ডিসকোর্স।
  • r | 74.13.20.101 | ০২ মে ২০০৮ ০৫:২৮395898
  • মেন কোর্স ছেড়ে ডিস্কোর্স খাওয়ার এই এক ফ্যাড চালু হয়েছে।
  • pinaki | 131.151.54.206 | ০২ মে ২০০৮ ০৫:২৯395899
  • অফকোর্স।
  • a x | 207.69.137.20 | ০২ মে ২০০৮ ০৫:৩৪395900
  • বাংলাদেশে তো বিবাহযোগ্যা কন্যা সবসময় উদ্বৃত্ত, কাজেই এখনও হয়নি।
    এইটা একটা রহস্য, একদিকে missing women আরেকদিকে সবসময় excess বিয়ের কনে।
  • san | 220.226.45.78 | ০২ মে ২০০৮ ০৫:৩৯395901
  • রঙ্গনদা ,

    না: থাক।
  • hanu | 220.225.2.204 | ০২ মে ২০০৮ ০৫:৫৩395902
  • ইশানের এই লেখাটা সম্পূর্ণ ভাট হওয়ায় একটা ব্যাপক সুবিধে হয়েছে ব্যাপারটার সিরিয়াসনেস একেবারেই উবে গ্যাছে। টার্মিনোলোজি ও ভাল বাংলা বাদ দিলে বক্তব্যটা মোটামুটি যে কোন এলিট কালেজের ফার্স্ট ইয়ারের কিসু পুঙ্গব ও তাদের মুগ্‌ধ গাল্ফেন্ড গণ ছাড়া আর কারো কাছে গুরুঙ্কÄ পাবে না। এত ভালো লেখাপড়া জানা লেখক এইরকম একখান বিস্তৃত ইয়ার্কি লিখতে সময় ব্যয় করেছে এইটা ভাবতে গিয়েই আমার প্রভূত চাপ হয়ে গেল। সব ই সম্ভবত মায়া।
  • r | 74.13.20.101 | ০২ মে ২০০৮ ০৬:১৪395903
  • স্যানকে আওয়াজ দিলাম বলে স্যান নিশ্চয় আবার রেগে গেছে! :-)
  • shyamal | 72.24.208.96 | ০২ মে ২০০৮ ০৬:৩২395904
  • অ ক্ষ,

    বিয়ের ব্যাপার বললে প্রেম করে বিয়ে করা বাদে এটা একটা বাজার যেখানে ছেলেদের দাম ঠিক হয় আয় দিয়ে আর মেয়েদের সৌন্দর্য আর আয় দিয়ে, ঐ অর্ডারে। তবে আজকাল আর মনে হয় এই বাজারে সুন্দরী মেয়ে পাওয়া যায়না কারন তারা সবাই অলরেডি প্রেম করে ফেলেছে। প্রেমের বাজারেও সুন্দরী মেয়েদের ডিম্যান্ড অনেক বেশী।
    যেহেতু বাজার তাই দুই দলই চায় গেইন ম্যাক্সিমাইজ করতে। তাই সৎ পাত্র (অর্থাৎ ভাল আয়) সুন্দরী মেয়ে চায়। আর সুন্দরী মেয়ের ঐ সৎ পাত্রে মন ভরেনা , সে চায় আরো সৎ পাত্র ( অ্যাস্ট্রোনমিকাল আয় আর হলে ভাল, হিরোর মত চেহারা)। চল্লিশ বছর আগে পাত্রীর আয়ের পোটেনশিয়াল কোন ফ্যাক্টর ছিলনা কিন্তু আজ হয়েছে। সেটা ভালই বলে মনে হয়।

    প্রেমের বাজার হচ্ছে পুরো ডারউইনিয়ান। কলেজে পড়ার সময়ে দেখেছি। তখন কাঠির মত চেহারা হওয়ায় অংশ নেওয়ার কথা ভাবিনি। দেখেছি সুন্দরী মেয়ে এলে সাহসী ছেলেরা তার সঙ্গে আলাপ জমানোর চেষ্টা করে। সেই যুদ্ধে সাধারনত: জয়ী হয় যার স্বাস্থ্য ভাল এবং মোটরবাইক টাইক আছে। কিন্তু তার যদি ভবিষ্যতে আয়ের সম্ভাবনা ভাল না থাকে, তাকে দুদিন পরে কাটিয়ে দেওয়া হবে।
  • Ishan | 12.240.14.60 | ০২ মে ২০০৮ ০৮:২৫395906
  • পরের কথায় পরে আসছি। আগে এইগুলান উত্তর দিয়ে নিই। চারটি কথা এবং একতি প্রশ্ন।

    এক। পাত্রপাত্রীর কলাম যদি কেউ সত্যিই খুঁটিয়ে পড়েন, তো দেখবেন, দেখবেন উহা একটি প্রকৃষ্ট বাজার। যেখানে পুরুষ এবং নারী কেনা-বেচা হয়। তো, পণ্য হওয়াটা যদি নারীর "অবমাননা' হয়, পুরুষের অবমাননা কেন নয় আমি বুঝলামনা।

    দুই। আমার দাবী কক্ষনো এরকম নয়, যে, পৃথিবীতে নারীর উপর স্রেফ নারী বলেই কোনো অত্যচার বা দমন হয়না। বিলক্ষণ হয়। পণ নেওয়া, বৌ পোড়ানো, বিস্তর হয়। স্রেফ মেয়ে বলেই হয়। সেগুলো দমন। "হীরের আংটি আবার বাঁকা' একই ভাবে দমন। এগুলোর একশবার বিরোধিতা করা প্রয়োজন। কারণ আমি যেকোনো দমনেরই বিরোধী।

    কিন্তু পোশাক খোলা বা শরীর দেখানো দমন নয়। যদি না বাধ্য করা হয়। ইন জেনারাল ওতে এনজয়মেন্ট আছে, প্লেজার আছে, ওটা নারীত্বকে শেপও দেয় একরকম করে। আবার খোলা শরীরের বিরুদ্ধেও শারীরিক আক্রমন আসে। দমন আসে। একশবার আমি সেটার বিরুদ্ধে।

    তিন। পুরুষ কিসে পৌরুষপ্রাপ্ত হবে ভাটে বলেছিলাম। পৌরুষও একটি নির্মান। পুরুষ ওভাবেই কন্ডিশনড হয়। সেই বক্তব্য থেকে সরে আসার কোনো কারণ এখনও দেখছিনা।

    চার। বোধি, রাগ কোরোনা। :)

    এবার প্রশ্ন। হক্কলকে। যৌনকর্মীরা একটি দাবী রেখেছেন, যে, তাঁদের শ্রমিকের মর্যাদা দেওয়া হোক, এবং শ্রমকে সার্ভিসের মর্যাদা দেওয়া হোক। এ বিষয়ে জনতার স্ট্যান্ড কি ও কেন। :)
  • Ishan | 12.240.14.60 | ০২ মে ২০০৮ ০৮:৩১395907
  • পাঁচ নম্বর কথাটা বাদ পড়ে গেছে। পুরুষের উপর সোসাইটির চাপ কিন্তু কিছু কম না। "হীরের আংটি আবার বাঁকা'র বিপরীত ভার্সানও আছে। "তুমি তো মেয়ে নও তোমাকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে'। মানে বাবা খুঁটে খাও। চাকরি না পেলে ফ্যাফ্যা করে ঘোরো। মেয়েটার তো নাহয় বিয়ে দিয়ে দেব। কিন্তু তোমার কি হবে। ইত্যাদি।

    একই ভাবে আসে, কঠিন হও। শক্ত হও। আবেগহীন হও। মাসল বানাও। গার্লফ্রেন্ড যোগাড় করো। ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলোকে যদি চাপ না ভাবেন, কন্ডিশনিং না ভাবেন, তবে সেটা ঠিক হবেনা।
  • Ishan | 12.240.14.60 | ০২ মে ২০০৮ ০৮:৪৮395908
  • এবার কাজের কথায় আসা যাক। পিনাকি আর স্যানের কথার উত্তর আলাদা আলাদা করে দেব না। বা পরে দিতেও পারি। জিনিসটা আগে দাঁড় করিয়ে নেওয়া যাক।

    প্রথমে পুরোনো কথাবার্তা। সংক্ষেপে।
    এক। ক্ষমতা দুই প্রকার। দমনমূলক ও ডিসিপ্লিনারি।
    দুই। দমনমূলক ক্ষমতা আমাদের কারোরই বিশেষ পছন্দ না।
    তিন। ডিসিপ্লিনারি ক্ষমতা মানুষকে একরকম করে কন্ডিশন করে। এবং একরম করে এমপাওয়ার করে।

    এই তিন নম্বর পয়েন্টটা ভালো করে বুঝে নেওয়া দরকার আগে। যৌনতা/নারী ইত্যাদিতে অনেক ব্যক্তিগত আবেগ জড়িয়ে যাচ্ছে বলে আমি সম্পূর্ণ অন্য একটা উদাহরণ দেব। কি উদাহরণ? ধরুন পাশ্চাত্যের ট্রাফিক ক®¾ট্রাল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ নাগাদ পশ্চিমের মোটামুটি কোথাও রাস্তায় "লেন' এর কনসেপ্ট ছিলনা। কত সাল নাগাদ চালু হল ভুলে গেছি। সেটা ইম্পর্ট্যন্টও না। কিন্তু চালু হল। তার আগে ট্র্যাফিক রাস্তার যেখান দিয়ে খুশি যেত, চালু করার পরে জনতাকে ডিসিপ্লিন করা হল লেন ধরে চলতে। জনতা এখন লেন সিস্টেমে অভ্যস্ত।

    এবার এই পুরো জিনিসটায় তিনটে জিনিস লক্ষ্যণীয়।

    এক। কন্ডিশনিং এর এই প্রক্রিয়ায় কোনো অপশন রাখা হয়নি। তুমি ইচ্ছে হলে গাড়ি না চালাতেই পারো, এই স্বাধীনতা তোমার আছে। কিন্তু গাড়ি চালাতে হলে নিয়ম মানতেই হবে।

    দুই। এই "জোর' টাকে যাতে "জোর' না মনে হয়, সে কারণে "সেফটি', "গতি', ইত্যাদি নানা হাবিজাবি কনসেপ্ট চালু করা হল। জনতাকে সেগুলি যুক্তি এবং বিজ্ঞানের নাম দিয়ে পড়ানো হল। শেখানো হল। জনতা সেসব শিখে ফেলল। ডিসিপ্লিনড হল।

    তিন। জনতাকে জাস্ট টুপি দিয়ে কন্ডিশনড করা হলনা কিন্তু। জনতা এই সিস্টেমে এমপাওয়ার্ডও হল। আগের চেয়ে তাড়াতাড়ি গন্তব্যে পৌঁছানোর ক্ষমতা তার হাতে এল। সেটা টুপি নয়। সত্যিকারের ক্ষমতা।

    এইটা জাস্ট উদাহরণ। বোঝার সুবিধের জন্য। আমাদের মডেলের সঙ্গে এর কিছু অমিল থাকতে পারে, সেটা আপাতত: আমরা ওভারলুক করব। কারণ এইটা জাস্ট অ্যানালজি।

    (চলবে)
  • hanu | 125.18.104.1 | ০২ মে ২০০৮ ০৮:৫১395909
  • রিমির গল্পটা পড়ে প্রচন্ড হাসলাম। ফ্যান্টাস্টিক।
  • Ishan | 12.240.14.60 | ০২ মে ২০০৮ ০৯:০০395910
  • এবার এই উদাহরণটা থেকে আমরা ডিসিপ্লিনারি পাওয়ার সম্পর্কিত আপত্তি গুলো, যেগুলো মূলত: পিনাকি এবং স্যান তুলেছে, তার কিঞ্চিৎ সুলুকসন্ধান পাবো।

    আপত্তিটা মূলত: প্রথম পয়েন্টে। যে, তুমি বস আমাকে কোনো অপশন দিচ্ছ না। যে অপশনটা দিচ্ছ, সেটা নামেই অপশন। বাস্তব জগতে "গাড়ি ইচ্ছে হলে নাও চালাতে পারো' টা কোনো অপশন নয়। তাহলে, বেসিকালি গায়ের জোরের সঙ্গে তোমার ঢপের ডিসিপ্লিনারি পাওয়ারের তফাত কি রইল।

    ঠিক এই কথাটা বলার জন্যই এই সুতোর গোড়ার দিকে বার্ড ফ্লুর জ্যাক নিকলসনের কথা শুরু করেছিলাম। সেখানে জ্যাক একজন মানসিক রোগী। তাকে ডিসিপ্লিন করা হচ্ছে চিকিৎসালয়ে। ইলেকত্রিক শক দেওয়া হচ্ছে। বাধ্য করা হচ্ছে সাবমিট করতে। সোসাইটির কাছে যা চিকিৎসা, ডিসিপ্লিন, জ্যাকের কাছে, সেটা গায়ের জোর। অত্যাচার।

    এটা সিনেমার গপ্পো। বাস্তব জীবনেও এরকম উদাহরণ পাব। আমাদের এই উদাহরণে "সুন্দরী হয়ে উঠুন' স্লোগানেও পাব। সুন্দরী মানে স্লিম, লম্বা, মেদহীন। ওদিকে এশিয়ার একটা বড়ো অংশের লোক বা মেয়েরা বেঁটে। মানে তুমি সুন্দরী সঙ্‌জ্‌ঞাটাই এমন করে বানাচ্ছো, যাতে কিছু লোক এমনিতেই এক্সক্লুডেড। তাদের হাতে সুন্দরী হওয়া ছাড়া কোনো অপশন নেই, কিন্তু তারা হতে পারবেনা। অতএব, জ্যাক নিকলসনের মতো মৃত্যুর রাস্তাই খোলা আছে একমাত্র। মানে বেসিক্যালি এক্সক্লুডেড হয়ে থাকা।

    এইটা হল ডিসিপ্লিনারি পাওয়ারের বিরুদ্ধে আসল কমপ্লেন। স্যানও বলেছে। পিনাকিও। দুটো আলাদা ফর্মে।

    (চলবে)
  • Ishan | 12.240.14.60 | ০২ মে ২০০৮ ০৯:০১395911
  • (বোধি রিমির গপ্পো পড়ে হাসে কেন। ওটা তো রিঅ্যাকশনারি গপ্পো। :) )
  • hanu | 125.18.104.1 | ০২ মে ২০০৮ ০৯:০৪395912
  • গল্পের আবার প্রতিক্রিয়া কি :-) আমারে ডিসিপ্লিন করো ক্যান। ল্যাখতাছো ল্যাখো না।
  • arjo | 24.214.28.245 | ০২ মে ২০০৮ ০৯:১১395913
  • আমারও একটা প্রশ্ন আছে সবার কাছে। সমাজে (ধরে নিচ্ছি ভারতে) নারীর অবস্থান নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে আমরা কেন শুধু "লুক", "সেক্সুয়াল অ্যাবইউস" আর পণ্যায়নের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছি?

    আর কোনো সোশ্যাল ইন্ডিকেটর কি নেই? ম্যালনিউট্রিশন, পুওর হেল্‌থ, শিক্ষার অভাব, ক্ষমতা (পরুন ইকনমিক) না থাকা, ভ্রুণ হত্যা এগুলো কি কোনো ইন্ডিকেটর নয়?

    ভারতে মেয়ের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। কেন?

    ভারতে প্রতি বছর যে ১৫ মিলিয়ন মেয়ে জন্মায় তার মধ্যে ২৫% তাদের ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগে মারা যায়। কেন? অক্ষ বলেছিলেন ১০০ মিলিয়ন হারিয়ে গেছে। মনে হয় ওটা গ্লোবাল ইন্ডেক্স ছিল। মানে যাদের বেঁচে থাকা উচিত ছিল কিন্তু বেঁচে নেই।

    মেয়েদের শরীরের তোয়াক্কা না করে এক একটি পরিবারে কোটি কোটি ছেলেমেয়ে। ক¾ট্রাসেপটিভের ইউজ নেই বল্লেই চলে। কেন?

    ম্যাটারনাল মর্টালিটি রেট ৫৭০ (১০০,০০০ লাইভ বার্থ) যেখানে ডেভলপিং কাϾট্রর রেট ৪৭০।

    আমার নিজের কাছে এগুলোই অনেক জ্বলন্ত প্রশ্ন। আরও প্রশ্ন এককালে যে ভারতে গার্গী, মৈত্রেয়ী র কথা খুঁজে পাওয়া যায় সেই ভারতে খ্রীষ্টীয় পঞ্চম বা ষষ্ঠ শতকে মনু সংহিতা বা ঋগ্বেদের সময় থেকে কি এমন হল যে আজ এই অবস্থায় এসে দাঁড়ালো। কি এমন জোর ছিল মনু সংহিতা বা ঋগ্বেদে যা নারীর সামাজিক অবমূল্যায়ণ ঘটালো। র, আমি জেনেটিক ইভলিউশন আর ইতিহাসে গুলাই নাই এই প্রশ্ন টা করতে চেয়েছিলাম।

  • Ishan | 12.240.14.60 | ০২ মে ২০০৮ ০৯:২৩395914
  • কমপ্লেনটি ভ্যালিড। কিন্তু যে কারণে এতো বাক্যক্ষয়, যে, "দমন আর ডিসিপ্লিনের মধ্যে তাহলে কি তফাত রইল' অবস্থানটি ভ্যালিড নয়। উভয়ের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য বর্তমান।

    মূল তফাতটা দুটো।

    এক। দমন মানুষকে এমপাওয়ার করেনা। কিন্তু ডিসিপ্লিনারি পাওয়ার এমপাওয়ার করে। স্লিভলেস ব্লাউজ পরে যে নারীটি ভ্রূভঙ্গীর ঝিলিক তুলে হেঁটে যাচ্ছেন, তিনি সফিস্টিকেটেড ও এমপাওয়ারড নারী। ক্ষমতা তাঁকে কন্ডিশন করেছে, সঙ্গে দিয়েছে ক্ষমতা। সত্বা। তিনি সেই ক্ষমতা দিয়ে অপকম্মো করতে পারেন (অপোকমে্‌ম্‌মা টা এখানে লুজলি বলা)। আঁচলের সামান্য নড়াচড়ায়, শরীরের সামান্য প্রদর্শনে কাজ হাসিল করতে পারেন নিমেষে। বা এলিগ্যান্ট মহিলা হয়ে "সম্মান' আদায় করতে পারেন। যাই করুন, তিনি, এমপাওয়ারড। ডিসিপ্লিন দ্বারা এমপাওয়ারড।

    অন্যদিকে যে নারীটি বরের হাতে ঠেঙানি খাচ্ছে, আগুনে জ্বলছে বা জ্বলছে না, সে দমনের শিকার। সে এমপাওয়ারড নয়। দমন মানুষকে ক্ষমতা দেয়না। কিন্তু ডিসিপ্লিনারি পাওয়ার দেয়। আত্মপরিচয় দেয়। এই দুটো পাওয়ার কক্ষনো এক নয়।

    এখানে, একটু অপ্রাসঙ্গিক, তবুও, বলে রাখি, এখানে দুতি আলাদা নারীর উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সে শুধু উদাহরণ। বাস্তব ক্ষেত্রে এরা দুজন এক শ্রীরে এসে মিশতে পারে এবং মেশে।

    দুই। দমন এবং ডিসিপ্লিনের মধ্যে মেকানিজমের তফাত আছে। দমন গায়ের জোর ফলায় সেটা সক্কলেই জানেন। কিন্তু ডিসিপ্লিনারি পাওয়ার কি করে? ঠেঙায় তো না, তাহলে?

    উত্তরটা আশ্চর্যজনক মনে হবে কিনা জানিনা, তবে ডিসিপ্লিনের মেকানিজম হল ইকুয়ালিটি। ডিসিপ্লিনারি পাওয়ার মানুষকে ইকুয়ালিটি দেয়। সব্বাইকে পাইকিরি রেটে "সমান' বানায়, এবং পাওয়ার দেয়। এই সমান বানানোটা বেসিকালি রোলার চালানো হয়ে দাঁড়ায় অনেক সময়।

    কিরকম? না, গণতন্ত্র এর একটা উদাহরণ। গণতন্ত্রে সক্কলেই সমান। কিন্তু সমান হবার আগে বস তোমাকে সংবিধানে বিশ্বস করতে হবে। মেরা ভারত মহান বলতে হবে। ক্রিকেট ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারলে দেশদ্রোহী হতে হবে। মানে বাকি সবার সমান হতে হবে। রাষ্ট্রের বাইরে দাঁড়িয়ে, একটু "অন্যরকম' হয়ে তুমি গণতন্ত্রের মেম্বার হতে পারবেনা।

    একই সুতোয় গাঁথা আমাদের "সুন্দরী' বা "সুন্দর' দের সংজ্ঞাও। প্রত্যেকে হয়ে উঠুক সুন্দরী, মোহময়ী। প্রত্যেকে একে অপরের সমান। কিন্তু তা হতে গেলে আপনাকে আগে "সুন্দরী'র সংজ্ঞায় বিশ্বাস করতে হবে।

    এটা সাম্য। কিন্তু রোলারের সাম্য। ইকুয়ালিটি মানে আসলে সিস্টেমের বাইরে দাঁড়ানোর অধিকার হরণ। সিস্টেমের ভিতরে থেকে, "ইকুয়াল' হয়ে এটা বোঝা যায়না। কিন্তু মার্জিনে দাঁড়িয়ে বোঝা যায়। সিস্টেমের ভিতরে যেটা কন্ডিশন করা, শিক্ষাদান, মার্জিনে সেটাই অত্যাচার। ইত্যাদি।

    (চলবে)
  • Ishan | 12.240.14.60 | ০২ মে ২০০৮ ০৯:৩১395915
  • তো, এই ইকুয়ালিটি, বেসিকালি, রোলারের ইকুয়ালিতি। সকল ইকুয়ালিটিই তাই। আমরা এই ইকুয়ালিটিকে উল্টে দিয়ে দেখেছি, বিশেষ লাভ হয়নি। আমি সমাজতান্ত্রিক ইকুয়ালিটির কথা বলছি। সেখানেও মার্জিন বিদ্যমান ছিল। তাদেরকে হয় ধরে ইকুয়াল করা হয়েছে, নয় যমের বাড়ি পাঠানো হয়েছে।

    বস্তুত: সমতা মানে অ্যাভারেজ। সব লোক সমান হতে পারেনা। বাই ডেফিনিশন। ইকুয়াল করতে গেলে কারো-কারো ডানা ছাঁটতে হবেই। আর কেউ কেউ হবে মোর ইকুয়াল দ্যান আদার্স। মানে ইকুয়ালিটির পিছনে মার্জিন থাকবেই। সেখানে প্রান্তিকরাও থাকবে।

    পাশ্চাত্ত্য ডিসিপ্লিনারি পাওয়ারের মতো এতো সুন্দর এবং সফল ইকুয়ালিটির টেকনিক ভূভারতে পাওয়া মুশকিল, কিন্তু সেখানেও মার্জিনে বসে স্যান এর মতো কেউ বলবে, আমি তো বস "সুন্দর' হতে চাইনা, আমাকে তোমরা সুন্দর বানবে কেন।

    অতএব, চরম গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাতেও ইকুয়ালিটির মধ্যে হায়ারার্কি থাকবে। আছে। মার্জিন থাকবে। প্রান্তিকতা থাকবে। এবং অপশনহীনতা থাকবে।

    (চলবে)
  • shyamal | 72.24.208.96 | ০২ মে ২০০৮ ০৯:৩৫395917
  • ঈশানের লজিক বড্ড স্ট্রেচড মনে হচ্ছে। কোনভাবেই সবাই সুন্দরী হতে পারেনা যতই মেক আপ দিক না কেন। জিনাত আমান কখনই হেমা মালিনির ন্যাচারাল লাবন্য তৈরী করতে পারবেনা। কাজেই সেখানে কোন সাম্য নেই। এজন্য অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সুন্দরীরা অহংকারী হয় যদিও সৌন্দর্য সে জন্মসুত্রে পেয়েছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন