এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিবেকি কন্ঠ ও মার্কিন সরকারের বদমাইশি

    shyamal
    অন্যান্য | ২৯ জুন ২০০৮ | ২৬৪৭৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • bb | 121.245.52.117 | ১৫ জুলাই ২০০৮ ২৩:৩৩400615
  • অই আমাদের পাগল X, নিত্য হেথায় আসে
    আপন মনে গুনগুনিয়ে মুচকি-হাসি হাসে
    ---------
    --------
    চেঁচিয়ে বলে "ফাঁদ পেতেছ? X কি তায় পড়ে?
    সাত জার্মান,X একা, তবু X লড়ে
    ----------------------
    ----------------------------
    ----------------
    লিখলো তাতে-"শোনরে x, ভীষণ লড়াই হলো,
    পাঁচ ব্যাটাকে খতম করে জগাইদাদা মোলো।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১৬ জুলাই ২০০৮ ০১:০৫400616
  • না। আসলে আপনার ওয়ার্ল্ড ভিউ না। এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গী। কেন বলছি দেখুন।

    ১। স্কুল শিক্ষা আর স্বাস্থ্যকে আপনি কিছুটা বেসরকারি হাতে ছাড়তে বলেছেন। যদিও বাজারের হাতে ছাড়লে পরিষেবা উন্নত হবে। তবুও কিছুটা সরকারি রাখতে হবে। অনোন্যপায় হয়ে।

    এটা মার্কিনী মডেল। ইউরোপের অধিকাংশ জায়গাতেই শিক্ষা স্বাস্থ্য পুরো সরকারি।

    ২। আপনি সরকারের ব্যবসা করার ঘোর বিরোধী, কারণ আমেরিকান নীতি তাই। বিশ্বের আরও উন্নত দেশ টেশ আছে। তাদের এরকম নীতি নয়। যেমন ধরুন ইইউ শুরু হয়েছিল যে কোল অ্যান্ড স্টিল অথরিটি দিয়ে, তারা পুরোটাই গোটা চারেক সরকারের অধীনে ছিল। এবং সরকার ব্যবসা করত।

    ৩। আপনি বাজারকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করার পক্ষে। যতটুকু আমেরিকা করে। একমাত্র প্রাইস ফিক্সিং বা মনোপলির ক্ষেত্রে বাজারকে আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে চান, কারণ ওটা অমেরিকান পলিসি।

    তো, কথাটা হচ্ছে, আপনার, বা টেলিগ্রাফীয় ওরফে আমেরিকান ওয়ার্ল্ড ভিউ কেন মেনে নেব? আমেরিকা করেছে বলে? কেন ইউরোপিয়ান মডেলে শিক্ষা-স্বাস্থ্যকে সরকারি করবনা, কেন সরকার ব্যবসা করবেনা? কেন ইউরোপ নয়, কেন আমেরিকা?

    তো, আমার পরের প্রশ্ন এইটাই। কেন ইউরোপ না। কেন আমেরিকা? আপনি-আমি থাকি বলে? :)
  • shyamal | 64.47.121.98 | ১৬ জুলাই ২০০৮ ০১:৪৮400617
  • এটা এই থ্রেডে হবেনা। আলাদা থ্রেড চাই। কারণ এটা সম্পুর্ণ অন্য টপিক। সংক্ষেপে, আমার ইউরোপ সম্বন্ধে জ্ঞান অতিশয় কম। কিন্তু যেটুকু শুনেছি , দেখেছি ( মাত্র লন্ডন ও প্যারিস, তাতে কিছু বোঝা যায় না) ইউরোপে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক মডেল বর্তমান। আমেরিকা আর ইউরোপ দুইতেই বিস্তর গলদ রয়েছে। ইউরোপে জেনারালি বেকার সমস্যা বেশী। ইনোভেশন কম।

    ভারতের জন্য আমার প্রিয় দ: কোরিয়া মডেল। তার মধ্যেও গলদ ছিল চেবোলের।
    ভারত আমেরিকা বা ইউরোপের চেয়ে অনেক গরিব। কাজেই সংক্ষেপে :
    ১) স্কুল শিক্ষা আমেরিকার মত সরকারি , ফ্রি চাই। যে ধনী , চাইলে প্রাইভেট স্কুলে পড়াতে পারবে।
    ২) প্রাথমিক স্বাস্থ্য (আমেরিকার মত একেবারেই নয়) সরকারি, ফ্রি চাই। তার কারণ প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও হাইজিন দেশের গড় স্বাস্থ্যের মান অনেক বাড়ায়। কঠিন রোগ হলে সরকারের দায়ীত্ব নয়। এটা শুনতে নিষ্ঠুর শোনালেও গরীব সরকারের পক্ষে এ ছাড়া উপায় নেই। কঠিন রোগে মাথাপিছু খরচ বিরাট।
    ৩)সরকারের ব্যবসা করার ঘোর বিরোধী। আমি তো ভাবলাম ই ইউ ঠেকে তাই শিখেছে। শিকাগো স্কুল প্রবর্তক হলেও এখন সারা বিশ্ব তাই ফলো করছে।
    ৪)আমেরিকা যত বাজার নিয়ন্ত্রণ করে আমি চাই তার চেয়ে অনেক অনেক কম নিয়ন্ত্রণ। আমেরিকার আজকের ম্যালেইজের অন্যতম কারণ ওভার রেগুলেশন। এই খাবেনা, ঐ খাবেনা, প্লাস্টিকের ব্যাগে লিখতে হবে, এটা খেলনা নয়, মাথায় দিলে বাচ্চা মরে যেতে পারে। এগুলো কি? ছাগলের আইন আমার মতে।

  • Ishan | 12.163.39.254 | ১৬ জুলাই ২০০৮ ০২:৫৬400618
  • তাহলে দাঁড়াল এই:
    এক। আপনি বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করা মেনে নিচ্ছেন।
    দুই। সার্বজনীন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে সরকারি উদ্যোগ মেনে নিচ্ছেন।

    এই দুটি ইস্যুতেই আমার পূর্ণ সম্মতি রইল। সোভিয়েতের কাছ থেকে টেলিগ্রাফ এগুলো না শিখুক, ইউরোপ অন্তত: শিখেছে। :)

    আপনার আপত্তি হল এইগুলিতে:
    এক। সরকারের ব্যবসা করায়। কারণ হিসাবে জানাচ্ছেন, সারা দুনিয়া ঠেকে শিখেছে, যে, সরকারে ব্যবসা করা উচিত না।

    তা, ধরুন, আমার জমিতে প্রচুর লোহা কয়লা ইত্যাদি আছে। সেগুলো তুলে বেচলে প্রচুর টাকা-পয়সা পাওয়া যাবে, যা, গরীব দেশের কাজে লাগবে। আপনার মতে তাহলে, এই সম্পদগুলো বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে বিনে পয়সায় তুলে বেচতে দিলে আর প্রফিট করতে দিলে দেশের প্রচুর উপকার হবে। সরকরের হাতে প্রচুর টাকা আসবে। সেই টাকা দিয়ে শিক্ষা স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিনা খরচে চালানো যাবে।

    আর সরকার যদি নিজে বা কাউকে লিজ দিয়ে এগুলো তুলিয়ে বেচে, তাহলে সাড়ে সব্বোনাশ। কারণ কোষাগারে টাকা আসবে। আর টাকা এলে লোকের মাথা ঘুরে যায়, কে না জানে। তখন শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি লাটে উঠবে। তাইতো?

    মতামত জানাবেন।

    দুই। ট্রেড ইউনিয়ন, ধর্মঘট, বন্‌ধ ইত্যাদিতেও আপনার আপত্তি। আজ পর্যন্ত মোটামুটি সারা বিশ্বেই ট্রেড ইউনিয়ন স্বীকৃত। হ্যাঁ, আমেরিকাতেও। বিলেতে তো বটেই। তারা আবার মাঝে মধ্যেই স্ট্রাইকও করে। পাইলটদের স্ট্রাইকে আমরা মাঝে মধ্যেই অসুবিধেয় পড়ি। এই সেদিন বৃটিশ এয়ারওয়েজের খাদ্য সরবরাহকারীদের ধর্মঘটে শিকাগো টু ইন্ডিয়া কোনো খাবার পাইনি।

    তা, এই অসুবিধে গুলো হঠাতে আপনার প্রেসক্রিপশন কি? পাইকিরি রেটে গুলি চালানো? ট্রেট ইউনিয়ন তুলে দেওয়া? আমেরিকা-ইউরোপ সেটা কেন করেনা একটু বুঝিয়ে দেবেন?
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১৬ জুলাই ২০০৮ ০৯:৫১400619
  • আজ্ঞে বাজারের ফাটা রেকর্ডটা মানুষের ক্ষেত্রে ম্যাপ করলে কি হয়ে সেটা দেখছিলাম আর কি। ভিমরুলের চাকে ঢিল পড়লো বুঝি?
  • santanu | 82.112.6.2 | ১৬ জুলাই ২০০৮ ০৯:৫৪400620
  • আলোচনাটা এবার আমার বিদ্যে বুদ্ধির নাগালে এসেছে, তাই ঈশান কে দুটি কথা জিগাই - পারলে ছোট করে উত্তর দিও, না হলে কাটিয়েও দিতে পারো, জানা খুব জরুরী নয়।

    ১ - আমার জমিতে তেল, লোহা ইত্যাদি আছে। আমি নিজে তুলেও বেচতে পারি, তাতে শুরুর খরচ আমার আর সব নাফাও আমার অথবা অন্য কয়েকটা লোহাবীর কে ডেকে বলতে পারি, যে বেশী পয়্‌সা আমায় দেবে, সে তুলবে, তবে বাপুরা এই ১৫ টা নিয়ম মানতে হবে, সে আমি দেখব। তা লোহাবীররা যেহেতু লোহা তুলে তুলে এক এক মাতব্বর, তারা কি ব্যাপারটা বেশী ভালো ডীল করবেনা? আমি নিজে করলে যা ছরাতে পারতাম, তার চেয়ে বেশী পয়্‌সা পাবো না? আমি মনের সুখে ছেলেমেয়ের পড়াশোনা, হেল্‌থ দেখতে পারতাম।

    ২-ইউরোপ, আমেরিকায় বাংলা বন্ধের মতো লন্ডন বন্ধ, ইলিনয়েস বন্ধ এমন হয়? বলতে চাইছি, হয়ত সমস্ত Transport Stike হলো, কিন্তু আমি যদি আমার নিজের গাড়ি চালিয়ে কোথাও যেতে চাই, সেটাও কি আটকানো হয়?
  • h | 220.225.84.122 | ১৬ জুলাই ২০০৮ ১০:১৮400621
  • কোন টাউন তার উপরে ডিপেন্ড করে। বড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনে, ধর একটা বা দশটা বড় কারখানার সঙ্গে জড়িত টাউনের অধিকাংশ লোক, তখন স্ট্রাইক প্রায় সার্বিক হয়।

    তবে জেনেরাল স্ট্রাইক বস্তুটা অনেক জায়্‌গাতেই আইন করে বন্ধ করা হয়েছে। আর্গুমেন্ট টা ঐ একই তাই, 'জনসাধারণের' অসুবিধে ইত্যাদি। ব্রিটেনে সম্ভবত শেষ বড় জেনেরাল স্ট্রাইক ১৯২৬ এ। তখন ব্যাংকের ম্যানেজার রা, পড় কনজার্ভেটিভ মিডলক্লাস রা, রাস্তায় নেমে বাস ট্রাম চালিয়েছিল, সেসব নিয়ে হিলারিয়াস গপ্প ও আছে। এলাকা বিশেষে এখনো হয়। তবে এর ডেটা জানি না, চাইলে যোগাড় করে দিতে পারি। পশ্চিমের স্ট্রাইক বা ইন্ডস্ট্রিয়াল অ্যাকশনের ডেটা একটা সময় লন্ডনে টি ইউ সি র লাইব্রেরি তে আর্কাইভ করা হত। ৮০ র দশকের প্রিন্টার্স স্ট্রাইক, পোল ট্যাক্স স্ট্রাইক (এটা খুব ইন্টারেস্টিং ইতিহাস), মাইনার্স স্ট্রাইক গুলো কোনো কোনো টাউনের কোন কোন অংশে জেনেরাল স্ট্রাইকের আকার ধারণ করেছিল। কারণটা ঐ একই, কর্ম সংস্থানের যোগ সাজস/ আর্বান আন্ডারক্লাস আর অ্যাফেক্টেড শ্রমিকদের নিজেদের মধ্যেকার বিভিন্ন অশুভ আঁতাত :-)

    ম্যানুফ্যাকচারিং এর ইন্ডাস্ট্রি র বিভিন্ন পরিবর্তন, রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন, মধ্য ও উচ্চবিত্ত প্রফেশনাল ক্লাসের নব উত্থান, স্ট্রাইক বা প্রোটেস্ট বা এমনকি ডিসেন্ট বিরোধী আইন ও আইনি অ্যাকটিভিজম ইত্যাদিতে কেসটা এখন আলাদা। তবে গত বিশ বছর তো আর ইতিহাস নয়, আর ভবিষ্যতে ক্রাইসিস বাড়লে কোথায় কি ঘটে যায় কিছুই বলা যাবে না।
  • h | 220.225.84.122 | ১৬ জুলাই ২০০৮ ১০:২১400622
  • 'জেনেরাল' স্ট্রাইক তোলার সময় ব্রিটেনে অন্তত যে টার্মটা ম্যাগি থ্যাচার ব্যবহার করেছিলেন , সেটা সম্ভবত 'সিম্প্যাথি স্ট্রাইক'।

    সমবেদনার উপর কার্ফিউ :-) নো ওয়ান্ডার শি ওয়াজ আ গ্রেট ফ্রেন্ড অফ পিনোশে।
  • h | 220.225.84.122 | ১৬ জুলাই ২০০৮ ১০:৩৮400623
  • আরেকটা ৯০ এর দশকে আর্জেন্টিনার মনিটারি ক্রাইসিস এর সময় জেনেরালি দেশ জুড়ে বন্ধ ছিল। শুরু বোধায় হয়েছিল অল্প কিসু একটা স্ট্রাইক দিয়ে, ঠিক মনে নেই। যারা সিনেমার খবর রাখেন বলতে পারবেন, এই সময়টা নিয়ে তোলা একটা ছবি, the last train?? তার ডিটেল টা। বুয়েনার্স এয়ারেস এ। ওমানে তেলের দাম বাড়াতে বোধায় একবার গরীব ওমানিরা প্রায় সব বন্ধ করে দিয়েছিল, খুব স্বভাবিক ভাবেই কোন পলিটিকাল পার্টির সাহায্য ছাড়া। বর্মা আর কোরিয়ায় আকছার স্ট্রাইক হত বড় বড় জেনেরাল স্ট্রাইক। কোরিয়ার ছাত্র রা তো রাস্তায় রায়টিং এর জন্য বিখ্যাত। এশিয়ান টাইগার ইকোনোমি র কোরিয়া।

    জেনেরাল বক্তব্য হল, মানুষ খচে গেলে কি করবে কেউ জানে না।
  • santanu | 82.112.6.2 | ১৬ জুলাই ২০০৮ ১৬:২৭400625
  • h এর ৩টে পোস্ট মিলিয়ে জেনেরাল বক্তব্য টা কি আমার বন্ধের প্রশ্নের উত্তরে?

    তাহলে, সে তো বটেই, মানুষ খচে গেলে কি করবে, কে আর বলতে পারে?
  • Suvajit | 203.51.58.112 | ১৬ জুলাই ২০০৮ ১৮:০২400626
  • তাছাড়া স্ট্রাইক বা বন্ধের তুলনা হলে পুরো ভারতের সংগে অন্য দেশের হওয়া উচিৎ। এখানে দেখছি তুলনাটা প:ব:এর সংগে অন্যান্য দেশের হচ্ছে। এটা মনে রাখতে হবে যে প:ব: বোধহয় ভারতের মধ্যে সবচেয়ে রাজনৈতিক চেতনা সম্পন্ন রাজ্য, সেটা যে কোনো কারনেই হোক না কেন।
    ভারতের সঙ্গে তুলনা করলে ভারতে খুব কিছু অতিরিক্ত স্ট্রাইক হয় কি, বাকি উন্নয়নশীল দেশের তুলনায়?
  • umesh | 62.254.196.200 | ১৬ জুলাই ২০০৮ ১৯:০৫400627
  • রাজনৈতিক সচেতন রাজ্য!!!!!!!!!!!!!
    তাই বুঝি!
    তাই মমতা দিদি রা করে খান, লাল দাদারা করে খান, ৩৫ বছর ধরে কোনো শক্তিশালী বিরোধী পক্ষ বানাতে পারলো না।
  • shyamal | 64.47.121.98 | ১৬ জুলাই ২০০৮ ১৯:৪৭400628
  • ঈশানের উত্তরে, সরকারের ব্যবসা করার অমি ঘোর বিরোধী। লোহার ব্যাপারটা জানিনা কিন্তু কয়লার কথা? কয়লা খনি জাতীয়করণের ফলে অসম্ভব চুরি বেড়েছে, ধানবাদে কয়লা মাফিয়া গিজগিজ করছে, কর্মীদের খুব কম পয়সা দেওয়া হয়। কারা কম পয়সায় সরকারী চাকরি করতে যায়? অধিকাংশ তলানীরা। কাজেই সেই ফল হয়েছে। জাতীয়করণের পর কয়লা তোলার গ্রোথ ভীষণ কমে গেছে। অথচ বেশিরভাগ পাওয়ার প্ল্যান্ট কয়লা দিয়ে চলে। বাধ্য হয়ে ভারতে বিশাল পরিমান কয়লা আমদানী করতে হয় যদিও ভারতে প্রচুর কয়লা আছে।

    শিক্ষা অর স্বাস্থ্যের নীতি কিন্তু জার্মানীর বিসমার্ক প্রবর্তন করেছিলেন লেনিন জন্মানোর বহু আগে।

    ধর্মঘট, বন্ধ সম্বন্ধে একই কথার পুনরাবৃত্তি করতে চাইনা। আমার এদুটো পোস্ট পড়ুন :
    ১২ জুলাই ২:২৮ আর ১৩ জুলাই ৬:৫৯
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১৬ জুলাই ২০০৮ ২০:৩৩400629
  • লেনিনের জন্মের আগে? আজ্ঞেনা। লেনিন তখন জম্মে গেছেন। আর কার্ল মার্কস তো জন্মেছেন বটেই। সব্বাই জানে মেনল্যান্ড ইউরোপের যে দুটো দেশে সোসাল ডেমক্রাটিক পার্টিরা (তখন কমিউনিস্টদের ঐ নামেই চিনত লোকে) প্রবল শক্তিশালী ছিল তারা হল ফ্রান্স আর জার্মানি। তদ্দিনে প্যারি কমিউন হয়ে গেছে। ইউরোপ কমিউনিজমের ভুত দেখছে। সোসাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বহু অ্যাজেন্ডার মধ্যে সামাজিক স্বাস্থ্য ছিল একটা। বিসমার্ক আন্দোলনের ঠেলায় পড়ে কমন মিনিমাম প্রোগ্রামে কয়েকটা সোসাল ডেমোক্রাটিক দাবী ঢোকাতে বাধ্য হয়েছিলেন।

    কাজেই ওটা কার্ল মার্ক্সীয় ধাঁচের শ্রমিক আন্দোলনের এবং তার অ্যাজেন্ডার জয়ের চিহ্ন। বিসমার্কের মহানুভবতার নয়।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১৬ জুলাই ২০০৮ ২০:৪১400630
  • সরকারি ব্যবসা সম্পর্কে:

    আপনি ইনেফিসিয়েন্সির কথা বলছেন। সেটা একশবার আছে। ও নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে তার কারণ এই নয়, যে, "তলানি'রা সরকারি চাকরি করতে যায়। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের "ভালো' ছেলেরা কোল ইন্ডিয়ায় চাকরি পেলে খুব খুশিই হত। আমাদের সময় অবধি।

    তো, ইন এফিশিয়েন্সির সমস্যা থাকলে আপনি লিজ দিয়ে দিন, শান্তনু যেমন বলেছেন। সরকারের কোম্পানি থাকবে, যারা দেখবে কিসে বেশি প্রফিট হচ্ছে। যদি আউটসোর্স করে বেশি প্রফিট হয় তো আউটসোর্স করবে। এতে তো কোনো সমস্যা নেই।

    কিন্তু এনেফিশিয়েন্সি আছে বলে জাতীয় সম্পদের উপর সরকারি মালিকানা ত্যাগ করব, বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে জাতীয় সম্পদ হরির লুটের মতো করে বিলোলে তাতেই মোক্ষ, এটা তো কোনো সমাধান না। কোন যুক্তিতে এটা মেনে নেব?
  • shyamal | 64.47.121.98 | ১৬ জুলাই ২০০৮ ২০:৪৯400631
  • আমি মনে করি সরকারের কাজ ব্যবসা করা নয়। সরকারি জমি যদি হয় তবে সরকার লীজ দিতে পারে বা বেসরকারী কোম্পানীকে বিক্রি করতে পারে। তবে জাতীয় সম্পদ যদি রক্ষা করতে চান, সরকার রপ্তানীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারী করতে পারে। তবে সেটা হতে হবে যখন কোম্পানী খনি কিনছে তখন। অর্থাৎ কোম্পানী এই জেনেই খনি কিনবে যে দরকার হলে সরকার বলতে পারে রপ্তানি চলবেনা।

    আজ রিলায়েন্স সহ অনেক কোম্পানী দেশের বিভিন্ন অংশে তেল খোঁজার কাজ করছে। পেলে পুরো তেল তার, সরকারের নয়। এব্যাপারে আপনার কি মত?
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১৬ জুলাই ২০০৮ ২০:৫৮400632
  • ধর্মঘট এবং বন্‌ধ সম্পর্কে:

    যা বুঝলাম ধর্মঘটে আপনার আপত্তি নেই। শুধু বন্‌ধে আছে(ভুল হলে জানাবেন)। আমারও আছে।

    কিন্তু ভারতে বন্‌ধের কারণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলো নয়। বন্‌ধ অনেকগুলো কারণে হয়। কথায় কথায় লোকে রাস্তা আর রেল অবরোধে নেমে পড়ে, সেতো আমরা জানিই। এবং সেগুলো বেশিরভাগ সময়েই স্বত:স্ফূর্ত। অর্গানাইজ করে করা নয়। এর পিছনে অনেক কারণ আছে।

    এক। আমাদের গণতন্ত্র তৃণমূল স্তর পর্যন্ত পৌঁছয়নি। লোকে ক্ষোভ-বিক্ষোভ জানাতে গেলে সরকারি দপ্তরে কেউ কান দেয়না। শোনেওনা, পাত্তাও দেয়না। এর কুইক অ্যান্ড ডার্টি সলিউশন হচ্ছে, এসো ভাইসব, রাস্তায় বা রেললাইনে বসে পড়ি। দোকান পাট বন্ধ করিয়ে দি। পুলিশ আর প্রশাসন বাপ-বাপ করে ছুটে আসবে। আমাদের কথা শুনতে বাধ্য হবে।

    দেশে যেমন গাড়ির হর্ন একটা কমিউনিকেশনের মাধ্যম, তেমনই প্রশাসনের সঙ্গে মানুষের কমিউনিকেশনের একটা উপায় হল পথ অবরোধ। বন্‌ধ। জিনিসটা ভালো নয়। কিন্তু এরকম দাঁড়িয়ে গেছে। এটা গণতন্ত্রের ফেলিওর। ইউনিয়নের দোষ নয়।

    দুই। অন্যের অসুবিধেকে পাত্তা না দেবার মানসিকতা। এটা আমাদের জাতীয় চরিত্র। সরকারি কর্মচারিরা নিজের দপ্তরে আসা মানুষকে মানুষ মনে করেন না। নিজের দরকারে এসেছে, এখন দাঁড়িয়ে থাকুক, ওর আবার কি সময়ের দাম, এরকম একটা হাবভাব। বেসরকারি আপিসে বসরা কর্মচারীদের মানুষ মনে করেন না। মাইনে দিচ্ছি, অতএব মাথা কিনে নিয়েছি, আটের জায়গায় চোদ্দ ঘন্টা থাকতে বললেও থাকতে হবে। মাইনে নিচ্ছে, ওর আবার সময়ের দাম কি। ইত্যাদি।

    এই মানসিকতা সর্বত্র। সর্বস্তরে। রাস্তা অবরোধ/বন্‌ধেও সেটা প্রতিফলিত।

    তিন। মব মেন্টালিটি। এটা ভয়াবহ। রাস্তায় একটা গাড়ি যদি অ্যাক্সিডেন্ট করে, তাহলে তার চালককে পেলে তো জনতা পিটিয়ে মারবেই, এবং সঙ্গে শুরু হবে পথ অবরোধ। অন্য গাড়ি ভাঙচুর। পয়সা আদায়। যেন একটা গাড়ি দোষ করলে বাকিদের উপর সেই দোষ এমনিই বর্তায়।

    এরপর স্থানীয় প্রশাসক আসবেন। পুলিশ আসবে। গোলমাল থামবে। রাস্তার উপর একটা ঢিপি বানিয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে। ইত্যাদি ইত্যাদি।

    তো, এগুলো সর্বস্তরে হয়। আমাদের গণতন্ত্র কোনো শান্তিপূর্ণ উপায়ে এর সমাধান বার করতে অসমর্থ। কেন অসমর্থ, সে নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। কিন্তু সেটা কোথাও দেখিনা। ঘন ঘন বন্‌ধ, পথ অবরোধ, এগুলো একটা সমস্যা। তার কারণটা নিয়ে কেউ আগ্রহী নয়।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১৬ জুলাই ২০০৮ ২১:০৩400633
  • "আমি মনে করি সরকারে কাজ ব্যবসা করা নয়'। আপনি এটা মনে করেন অনেকবার শুনলাম। কিন্তু কেন মনে করেন? না: একবারও শুনলাম না। :)

    রিলায়েন্সের ঐ প্রজেক্টের আমি বিরুদ্ধে। রপ্তানীর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলে সরকারের কোনো লাভ হবেনা। জাতীয় সম্পদ বিক্রি হবে, কিন্তু সম্পদের মালিক কোনো টাকা পাবেনা। চমৎকার বন্দোবস্ত (দয়া করে বলবেন না, যে, বিক্রয়কর পাবে)।

    জাতীয় সম্পদ, আপনি মনে করেন, ফিরিতে বিলোনোর জিনিস। বড়ো কোম্পানিগুলোকে। কেন করেন, জানতে চাইছি।
  • shyamal | 64.47.121.98 | ১৬ জুলাই ২০০৮ ২৩:২২400634
  • ধর্মঘট বেআইনি নয়। কিন্তু বনধ বেআইনি। বনধ বেআইনি হওয়ার আগেও বনধের দিনে কাউকে কাজে যেতে না দেওয়া বেআইনি ছিল। এটার একমাত্র কারণ পুলিশ তার নিজের কাজ ঠিক ভাবে করেনা। দুয়েক ক্ষেত্রে পুলিশ বেশী ক্ষমতা দেখায়। কিন্তু আমি যা দেখেছি, অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুলিশের যে পরিমাণ বলপ্রয়োগ করা দরকার, তা করেনা। বোধ হয় রাজনৈতিক বসের ভয়ে।
    অটো ওয়ালা লাল আলোয় বেরিয়ে গেল। পুলিশ তাকে ধরল। বলল, এই বোকা** মামাবাড়ি পেয়েছিস। বলে মাথায় একটা চাঁটি মারল। অটোওয়ালা চলে গেল। এটা আমার নিজের চোখে দেখা। পুলিশ যদি অটোওয়ালাকে হাজার টাকা ফাইন করত, খিস্তি না মেরে তবে সত্যিকারের শাস্তি হত। কিন্তু তাতে হয়তো অটোওয়ালাদের সহানুভুতিশীল যে মন্ত্রী আছেন, তাঁর কোপে পড়তে হত।
    পুলিশ যদি সম্পুর্ণ নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে বন্ধে লোকের কাজে যাওয়া অবাধ করত, অনেকে কাজে যেত। কিন্তু পুলিশ রাজনীতি দিয়ে বাঁধা। এটাই মেইন প্রবলেম।

    সরকারের ব্যবসা করা কাজ নয় এটার কারণ গুলো তো সবার জানা। তাও পরের পোস্টে লিখব।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১৭ জুলাই ২০০৮ ০০:০১400636
  • খুব স্পেসিফিক প্রশ্ন। জাতীয় সম্পদ বড়ো কোম্পানিগুলোকে কেন ফ্রি তে বিলোনো হবে?
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১৭ জুলাই ২০০৮ ০০:২১400637
  • পুলিশ প্রসঙ্গে:

    যে হাইওয়ে দিয়ে রোজ আপিসে আসে, আমেরিকাতে, সেখানে স্পিড লিমিট ৬৫ মাইল। রোজই দেখি, অনেক গাড়ি ৭০ উপরে চলছে। আম্মো চালাই। প্রায়ই দেখি পুলিশ বসে আছে, কিন্তু স্পিড লিমিট ক্রস করলেও কিছু বলছে না। ৭৫-৮০ তে কখনও সখনও ধরে, কিন্তু ৭০ মাইলে? কদাচ না। নিজের চোখে দেখা।

    আমেরিকায় সবাই এটা দেখেছেন। আশা করি শ্যামলবাবুও। পুলিশ কেন এটা করে? কেন সবাইকে ধরে যথেষ্ট "বলপ্রয়োগ' করে না? রাজনৈতিক বসের কাছে টিকি বাঁধা থাকে বলে কি?

    একতু চিন্তা করলেই বোঝা যাবে, যে, পাইকিরি রেটে আইন ভাঙাকে মুষ্টিমেয় কিছু পুলিশ "বলপ্রয়োগ' করে থামাতে পারেনা। পশ্চিমবঙ্গে বা ভারতে পুলিশের নিশ্চয়ই টিকি বাঁধা থাকে, কিন্তু তা না থাকলেও সেরেফ বলপ্রয়োগ করে ঐ আইন ভাঙা আটকানো যেতনা। কারণ আইন ভাঙাটাই যেখানে দস্তুর, পুলিশ সেখানে এক আধটা ফাইন করতে পারে ঠিকই, কিন্তু বেসিকালি ঠুঁতো জগন্নাথ।

    শ্যামলবাবুকে অনুরোধ, আমেরিকার হাইফাই পুলিশকে "বলপ্রয়োগ' করে স্পিড লিমিট মানাতে বলুন প্লিজ। সেটা করতে পারলে তারপর ভুঁড়িওয়ালা ঘুষখোর ভারতীয় নিধিরাম সর্দারদের আমরা পাকড়াবো। :)

    আর আমেরিকার পুলিশ কেন "বলপ্রয়োগ' করে আইন মানাতে পারেনা, সে বিষয়ে আপনার বক্তব্য জানান।
  • shyamal | 64.47.121.98 | ১৭ জুলাই ২০০৮ ০০:৪৯400638
  • একটি কোম্পানি যদি খনি কেনে তবে তা তার সম্পত্তি। জাতীয় সম্পত্তি হতে যাবে কেন? রিলায়েন্স বা যে কেউ সরকারের থেকে একটি অঞ্চল কিনতে পারে যেখনে সে তেল সন্ধান করবে। পেলে সে সেই তেল তুলবে আর দেশের ভেতরে বেচার রাইট থাকবে। না পেলে টাকা জলে গেল।

    সরকারের অনর্থক ট্যাক্সের টাকা দিয়ে তেল খুঁজতে হলনা। তেল পেলে সেই তেল দেশের মধ্যেই ব্যবহার হল। কাজেই ক্রিটিকাল সম্পদ দেশের বাইরে গেলনা।
  • rimi | 168.26.191.117 | ১৭ জুলাই ২০০৮ ০০:৫৬400639
  • আমেরিকাতে স্পীড লিমিট+- ৫ বেআইনী নয়। ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার বইতে পরিষ্কার লেখা আছে এটা। আমি ৩ বার লাইসেন্সের পরীক্ষা দিয়েছি (স্টেট চেঞ্জ করার জন্যে), তাই মনে আছে :-))))

    কিন্তু ৬৫ লিমিটে ৭৫ হলে আর পুলিশ সেটা দেখতে পেলে মোটেও ছেড়ে দেয় না। এ ব্যপারে আমার করুণ অভিজ্ঞতা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। :-((
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১৭ জুলাই ২০০৮ ০০:৫৯400640
  • বা:। এখানে ধরে নেওয়া হল, ভারত একটি অন্ধকার ভূখন্ড। দেশে কোনো খনি টনি নেই। আবিষ্কার হয়নি। বেসরকারি কোম্পানিরা খনি "আবিষ্কার' করবে। পৃথিবীতে উন্নত প্রযুক্তি নেই, স্যাটেলাইট নেই, অতব, খনি খোঁজা প্রচন্ড কঠিন কাজ, যেন, লিভিংস্টোন আমলের আফ্রিকা।

    এবং যেহেতু খনি নেই, তাই, যে সব খনি গুলো অলরেডি আবিষ্কৃত (কয়লা লোহার ক্ষেত্রে মোটামুটি সবই আবিষ্কৃত), সেগুলোকেও আমরা ধরে নেব, আবিষ্কার হয়নি। ওগুলোকে আরেকবার "আবিষ্কার' করে বেসরকারি কোম্পানিদের হাতে তুলে দেব।

    মানে কোম্পানিদের হাতে তুলে দেওয়াটাই লক্ষ্য। তার জন্য বর্তমান খনিগুলোকেও "অনাবিষ্কৃত' ধরে নিতে হবে। তাইতো? :)
  • shyamal | 64.47.121.98 | ১৭ জুলাই ২০০৮ ০১:০৭400641
  • এটা আমি একেবারেই মানতে পারলাম না। আমি বন্ধের দিন কাজ করতে যেতে চাই, আমার রুটি জুটবেনা নয়তো। এক্ষেত্রে যদি একদল ছেলে এসে আমাকে বাধ্য করে না যেতে আর পুলিশ তাদের দেখেও দেখেনা, এটা পুলিশের অপরাধ। বহু ক্ষেত্রে হয়, কাছেই তিনজন পুলিশ বসে আছে, কিন্তু কিছু বলছেনা। ভারতে গণতন্ত্র তৃণমূল লেভেলে নেই বলে এটা হচ্ছে বলাটা দ্বিচারিতা।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১৭ জুলাই ২০০৮ ০১:০৮400642
  • শিকাগোতে ৭৫ না হলেই পুলিশ ধরবে। :)

    আর +৫ বে আইনী নয় এটা আবার কোথায় আছে? আমি একবারই লেখা পরীক্ষা দিয়েছি। ক্যানসাসে। সেখানে এসব ছিলনা।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১৭ জুলাই ২০০৮ ০১:১৪400643
  • শ্যামলকে।

    লোকে বন্‌ধ করবে। পথ অবরোধ করবে। আপনি কাজে যেতে পারবেন না। এটা ভালো নয় তো। আমি ভালো বলিনি। কেউই ভালো বলবে বলে মনে হয়না।

    কিন্তু পাবলিক যেখানে নিজের ভালো নিজে চায়না, সেখানে পুলিশের ঘাড়ে সব দোষ চাপিয়ে দিলে চলবেনা। পুলিশ বন্‌ধের দিন ফালতু ঝামেলা নিয়ে আপনাকে রাস্তা করে দেবেনা, তার একটা দিক যেমন, পুলিশ নিজের কাজ করছেনা, অন্য দিক হল, পুলিশ ফালতু কেন ঝামেলা নেবে? এখানে ছাড়িয়ে দিলে আপনি দু-পা পরে গিয়ে আবার আটকে যাবেন। পুলিশ তো আর সত্যিই সারা দেশ জুড়ে গুলি চালিয়ে পাঁচশ লোক মারতে পারবেনা।
  • Blank | 170.153.62.251 | ১৭ জুলাই ২০০৮ ০১:২৫400644
  • ফাইভের গপ্প শুধু জর্জিয়া তে
    http://www.mit.edu/~jfc/laws.html

  • arjo | 168.26.215.54 | ১৭ জুলাই ২০০৮ ০১:২৯400645
  • আমি অনেক স্টেটে অনেক বার পরীক্ষা দিয়েছি (যাকে বলে কম্পার্টমেন্টে কম্পার্টমেন্টে অভিজ্ঞতা), এগুলো স্টেট টু স্টেট ভ্যারি করে। পুলিশের আর কোনো কাজ না থাকলে ঘ্যাঁক করে এসে ধরে। আবার টার্গেট মিট না করলে বা অন্য কোনো তদন্ত চললে র‌্যাডার দেখে ২ পেরোলেই ধরে। চোখ কান খোলা রাখতে হয়।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১৭ জুলাই ২০০৮ ০১:৪১400647
  • এসব কাটানো যাক। আসল কথা দুটো।

    এক। আমেরিকার ফ্রি ওয়েতে স্পিড লিমিট টপকানো একটা কমন ফেনোমেনন। আমরা সক্কলেই জানি। এবং পুলিশ এই মাস স্কেল ভায়োলেশনকে "বলপ্রয়োগ' করে ট্যাকল করতে পারেনা। কেন পারেনা?

    দুই। যে খনিগুলো ট্যাক্সের টাকায় ইতিমধ্যেই আবিষ্কৃত, সেগুলো কোন যুক্তিতে কোম্পানিদের মুনাফা করার জন্য তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন