এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ভোট শেষ -- কে কি বল্লেন

    Ishan
    অন্যান্য | ১৬ মে ২০০৯ | ১৫৪৬৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • shyamal | 24.119.10.202 | ২৩ মে ২০০৯ ০২:২৪410260
  • তিনোমুল ডাকবে কেন? ১৯৪৭ থেকে ৭৭ অবধি বামেদের কাজ কি ছিল? সেই কাজে ফিরে যাবে তারা। ধর্মঘট, বন্ধ, ঘেরাও, অবরোধ, ট্রাম পোড়ানো, বোমাবাজি, লক আউট আবার ফিরে আসবে। ওনারা তো অরিজিনাল শিক্ষক।
  • shyamal | 24.119.10.202 | ২৩ মে ২০০৯ ০৫:২১410261
  • উল্লেখযোগ্য তথ্য : প: বঙ্গে ১৯৬৭ থেকে ২০০৯ অবধি যত লোক সভা ভোট হয়েছে, তার মধ্যে এই ২০০৯ এ বাম দলগুলোর সম্মিলিত আসনের শতাংশ সবচেয়ে কম।
    যেমন এবারে ৪২ টির মধ্যে ১৫ : ৩৬%
    ১৯৬৭ তে ছিল (বাংলা কংগ্রেস সহ) ৪০ টির মধ্যে ১৮ : ৪৫%

    সবথেকে বেশি হয় ১৯৮০ তে , ৪২ টির মধ্যে ৩৮ : ৯০%
  • tatin | 70.177.57.163 | ২৩ মে ২০০৯ ০৯:০৫410263
  • সুমনের জেতায় ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো কলকাতা ও ত্‌ৎসংলগ্ন অঞ্চলের ভোটাররা কিন্তু সুমনের চারটে বিয়ে বা ধর্ম পালটে মুসলমান হওয়া বা অসংখ্য ব্যাভিচারের অভিযোগকে ততটা পাত্তা দেন নি। যথেষ্ট ম্যাচিওরিটি-ই এটা।
    আর, লোকজন সুমন বিয়ে করতে মুসলমান হলো টাইপের যুক্তি দিচ্ছে দেখছি, কিন্তু ধর্মান্তরের ঠিক পরের পাব্লিক পার্ফরম্যান্সে সুমন বলেছিলেন যে ধর্মত্যাগটা কেওনঝোড়ের প্রতিবাদে, এবং সেই নিয়ে একটি গানও গেয়েছিলেন। এবার তাঁর বক্তব্যকে সত্যি বা মিথ্যে হিসেবে গ্রহণ করার পূর্ণ স্বাধীনতা শ্রোতার আছে, তবে বিয়ের জন্যে ধর্মত্যাগের মতো পরিস্থিতি যেমন ছিল, তমনি কেওনঝোড়ের বাস্তবটাও ছিলো, আর অলরেডি তিনি যে কেওনঝোড় নিয়ে ডিস্টার্বড সেটা তাঁর গানে ও কথায় প্রকাশ পাচ্ছিলো (ধর্মত্যাগের আগের অনুষ্ঠানগুলি)।

    বাই দা ওয়ে, সুমনের টেলিগ্রাফ ইন্টারভিঊটা দেখলাম, গুজরাটের গ্রামে গ্রামে সড়ক ও বিদ্যুতায়ন নিয়ে তিনি মোদী সরকারের উদাহরণ টেনেছেন- মানে একটা ভালো কাজ মোদী যদি করে থাকতে পারেন, অন্য কেউ-ই বা পারবেনা কেন! এখান থেকে এক্সট্রাপোলেট করে সুমন-কে মোদীর ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের সমর্থক দেখানোটা কেমন যেন ঠেকছে!
  • Samik | 122.162.236.136 | ২৩ মে ২০০৯ ০৯:৩৯410264
  • ধর্মত্যাগ অবধি ঠিক আছে। আবার আরেকটা ধর্মগ্রহণেই লোকের আপত্তি। ৯২এর দাঙ্গা দেখার পরে আমিও নিজেকে হিন্দু বা বামুন বলে স্বীকার করতে ঘেন্না করি। ঢাকঢোল পেটাই নি, কিন্তু মনে মনেই ধর্মত্যাগ করেছি। আর, আমরা তো চুনোপুঁটি, কিন্তু যে লোকটা আমাদের কৈশোর জুড়ে আছে, যে আমাদের অন্যরকম ভাবতে শিখিয়েছিল সেই বয়েসে : ---

    আমি চাই বিজেপি নেতার সালমা খাতুন পুত্রবধূ
    আমি চাই ধর্ম বলতে মানুষ বুঝবে মানুষ শুধু ...

    অনেক দিন গেল সেই গান শোনার পরে। মানছি সে-সব নিছকই গানের লাইন, কিন্তু ভুলে যেতে পারি না আজও। যে লোকটা এমন লাইন লিখতে পারে, তাকে সালমা খাতুন পুত্রবধূ ঘরে আনার জন্য ধর্মান্তরিত হয়ে 'কবীর' হতে হয়, এইটাই মেনে নিতে পারি না। অবশ্য, কেওঞ্ঝড়ের যুক্তি টেনে আনলেও, খ্রীস্টান না হয়ে মুসলিম ... যাক গে, তার পার্সোনাল ব্যপার, মাথা ঘামিয়েই বা কী! সবাই কি আর এক রকমের হয়!

    ছেলেবেলার সেই বেহালা বাজানো লোকটা
    চলে গেছে বেহালা নিয়ে
    চলে গেছে গান শুনিয়ে ...
    এই পাল্টানো সময়ে সে ফিরবে কি ফিরবে না জানা নেই।
  • tatin | 130.39.149.146 | ২৩ মে ২০০৯ ১০:১৫410265
  • আমি চাই বিজেপি নেতার সালমা খাতুন পুত্রবধূ
    আমি চাই ধর্ম বলতে মানুষ বুঝবে মানুষ শুধু ...

    এর সঙ্গে

    শোনো গ্রাহাম স্টুয়ার্ট স্টাইনস
    আমি সংখ্যালঘুর দলে
    আমি কবীরের সন্তান
    যাকে কবীর সুমন বলে

    এর বিরোধ কোথায়?
  • tatin | 130.39.149.146 | ২৩ মে ২০০৯ ১০:৩৩410266
  • মানে বিষয়টা শুধু একটা দল বা identity ত্যাগ করার ছিলোনা, অন্য একটা identity গ্রহণ করার ছিলো।
    ইন ফ্যাক্ট, পরে সুমন লিখেছেন ও সেই অন্য identity-টার সপক্ষে ---

    শোনো তালিবান তালিবান
    আমি তোমাদের দলে নেই
    আমি ধর্মে মুসলমান
    আছি লালনের সঙ্গেই

    কতকটা 'আমরা' ছেড়ে একটা 'ওরা' হয়ে ওঠার চেষ্টা- সেটা অসম্পূর্ণ হতে পারে, অস্‌ৎ নয়।
  • arjo | 24.42.203.194 | ২৩ মে ২০০৯ ১৮:১০410267
  • তা সেই আইডেন্টিটি টা বাহাই কিম্বা খ্রীস্টান ধর্ম হল না কেন? উনি মুসলমান হলেন কেন?
  • tatin | 70.177.57.163 | ২৩ মে ২০০৯ ২০:৩৪410268
  • #২৪৫৪;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৯৬;#২৪৮৮;#২৫০৯;#২৪৬৩;#২৪৯৪;#২৪৭২; #২৪৭৬;#২৪৯৪; #২৪৭৬;#২৪৯৪;#২৪৮৯;#২৪৯৪;#২৪৩৯; '#২৪৫১;#২৪৮০;#২৪৯৪;'-#২৪৮০; #২৪৬৯;#২৫০৩;#২৪৫৩;#২৫০৩; #২৪৭৮;#২৪৯৭;#২৪৮৮;#২৪৮২;#২৪৯৫;#২৪৭৮; '#২৪৫১;#২৪৮০;#২৪৯৪;'#২৪৮০; #২৪৩৭;#২৪৭৪;#২৪৮০; #২৪৮৯;#২৪৯৫;#২৪৭২;#২৫০৯;#২৪৭০;#২৪৯৭; '#২৪৩৮;#২৪৭৮;#২৪৮০;#২৪৯৪;'-#২৪৮০; #২৪৬১;#২৪৯৪;#২৪৩৩;#২৪৬৩;#২৪৬৩;#২৪৯৪; #২৪৭৯;#২৫০৩; #২৪৭৬;#২৫০৩;#২৪৮৬;#২৪৯৬; #২৪৬০;#২৫০৯;#২৪৭৬;#২৪৮২;#২৫০৩; #২৪৪৭;#২৪৬৩;#২৪৯৪; #২৪৭২;#২৪৯৫;#২৫২৭;#২৫০৩; #২৪৫৩;#২৪৯৫; #২৪৭০;#২৫০৯;#২৪৭৬;#২৪৯৫;#২৪৭১;#২৪৯৪; #২৪৩৮;#২৪৫৯;#২৫০৩;?
  • tatin | 70.177.57.163 | ২৩ মে ২০০৯ ২০:৩৬410270
  • বাহাই বা খ্রীস্টান 'ওরা'-র থেকে মুসলিম 'ওরা'-র ওপর, হিন্দু 'আমরা'-র ঝাঁটটা যে বেশী জ্বলে তা নিয়ে কি সংশয় আছে?
  • Ishan | 173.26.17.106 | ২৩ মে ২০০৯ ২০:৫০410271
  • http://www.aajkaal.net/report.php?hidd_report_id=113285

    এইটাই ভাবছিলাম। কালকেই এটা নিয়ে কথা হচ্ছিল, আর আজই দেবেশবাবু লিখে দিয়েছেন, ভোটে জিতে ও জিতিয়ে, মমতার প্রধানতম প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, বিধানসভা বাতিল করে, রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করে, নতুন বিধানসভার জন্য ভোট করো। এবং তিনি আরও জানিয়েছেন, যে, "এ নিয়ে কোনো কথা না বললেও চলত, যদি, কথাটি মমতা ব্যানার্জি ছাড়া তাঁর দল বা জোটের অন্য কেউ বলত'।

    এই প্রবল বিপ্লবী প্রত্যয় সম্পর্কে ভীষণ সন্দেহ জাগে, যখন দেখি, কথাটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদপেই বলেননি। দীনেশ ত্রিবেদী বলেছিলেন। কিন্তু সেটা বললে বোধহয় জিনিসটার গুরুত্ব কমে যায়। তাই ওটা মমতার মুখে বসান, এবং গর্জে উঠুন। :)

    মমতা সত্যিই ওটা বলেন কিনা দেখার জন্য দুচারদিন অপেক্ষা করলেই হত। সত্যিই হয়তো কাল-পরশু করে দাবীটা করবেন। বা হয়তো করবেনই না। কিন্তু বলুক বা না বলুক, সত্যতা থাকুক বা না থাকুক, একটা হাওয়া তুলে দিয়ে হইচই জুড়ে দিতে হবেই, -- সেই ট্র্যাডিশান সমানে চলিতেছে। নির্বাচনের ফলাফল এনাদের কিছুই শেখায়নি।
  • tatin | 70.177.57.163 | ২৩ মে ২০০৯ ২১:০১410272
  • দেবেশ বাবুর অ্যানালিসিসটি পুরো অ্যানাল-ইস-ইস এর পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে-
    নন্দীগ্রামে সরকার আর স্থানীয়দের মধ্যে গোলমাল-ই হয় নি ।অব্যক্তিগত বিরোধ থেকে ছুটকো ঝামেলা হয়েছে । ভালো লেখা । সবার পড়া উচিত ।
  • tatin | 70.177.57.163 | ২৩ মে ২০০৯ ২১:০৬410274
  • *ব্যক্তিগত
  • Du | 71.252.226.191 | ২৩ মে ২০০৯ ২১:০৬410273
  • ঈশান , দেবেশবাবু বোধহয় এটার কথা বলছেন , ওনার ভোটে জিতে প্রথম এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউ। এই টইয়ের শুরুতেও লিংকটা আছে।

    http://tinyurl.com/pdnar6
    ডি: দেবেশবাবুর লেখা পড়িনি এখনও।
  • Du | 71.252.226.191 | ২৩ মে ২০০৯ ২১:০৯410275
  • শেষ ২০-২৫ সেকেন্ডে
  • shyamal | 24.119.10.202 | ২৩ মে ২০০৯ ২১:২৫410276
  • এই দেবেশবাবু কে জানিনা। ওনার বক্তব্য ভোটার নাকি ভুল বুঝে বিরোধীদের জিতিয়েছে। উনি কিন্তু বলেননি যে ৩২ বছর ধরে ভোটার ভুল না ঠিক করেছে। আরো বলেছেন পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু বামজনতার নির্বাসন ঘটেনি। লক্ষ্যনীয় যে আম জনতা না বলে বামজনতা বলছেন।

    শুধু বামজনতা দিয়ে ভোট জিততে পারবেন না, আম জনতা চাই।
  • arjo | 24.42.203.194 | ২৪ মে ২০০৯ ০৩:৩৯410277
  • একা আজকালই সিপিএমকে হারিয়ে দিল।
  • arjo | 24.42.203.194 | ২৪ মে ২০০৯ ০৩:৪০410278
  • এই রেটে এইসব লেখা ছাপালে বিধানসভাটাও একদম সিওর।
  • arjo | 24.42.203.194 | ২৪ মে ২০০৯ ০৩:৫০410279
  • মমতা ভোটে জেতার পর স্টার আনন্দের সুমনকে যে ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন তাতে বলেছিলেন বিধানসভার ভোট এগিয়ে আনার কথা। সেটা কি করে সম্ভব তা বুঝি নি অবশ্য।
  • pi | 128.231.22.89 | ২৪ মে ২০০৯ ০৪:১২410281
  • দু দি, ঐ ইন্টারভিউতে মমতা রাষ্ট্রপতির শাসন টাসনের কোনো দাবী করেন নি তো।
    আর শেষের কুড়ি সেকেন্ডে ভোট এগিয়ে আনতে চাওয়ার কথাটাই 'প্রধানতম প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া' !
  • Ishan | 173.26.17.106 | ২৪ মে ২০০৯ ০৬:৪৭410282
  • দেবেশবাবু যা দাবী করেছেন, তার কিছুই নেই ইন্টারভিউটাতে। বস্তুত: ইন্টারভিউটাতে নতুন কিছুই নেই। লোকসভা নির্বাচনের পর বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসবেই, এ কথা মমতা সেই কবে থেকে বলছেন। সে নিয়ে ঠাট্টা ইয়ার্কিও কম হয়নি। বুদ্ধবাবুর পদত্যাগ চাওয়াও নতুন কিছু না।

    একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ৩৫৬ চাইলে সেটা নিশ্চয়ই সিরিয়াস ব্যাপার। আজ বা কাল চাইতেও পারেন। কিন্তু চাইবার আগেই তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে ওঠাটা এট্টু কেমন কেমন যেন। :)
  • bitoshok | 75.72.245.81 | ২৪ মে ২০০৯ ০৭:২১410283
  • এই জন্যই তো আজকাল, গণশক্তি আর বর্তমান একসাথে পড়তে হয়। মমতা তো এখন জ্যোতিবাবুর বই থেকে ৭৭-র বাম রাজনীতি সাইট করছেন। সিপিএমের অস্বস্তি তো হবেই।
  • shyamal | 24.119.10.202 | ২৪ মে ২০০৯ ১৭:৪৫410284
  • এখানে বুলবুলভাজার দুই লেখকের তত্ব নিয়ে একটু লিখব ভাবলাম। শুধু শুধু বুলবুলভাজার টইটাকে না বাড়িয়ে।

    পিনাকী ও বোধিসত্ব দুজনের লেখাই মনোগ্রাহী। প্রথমে পিনাকীর লেখা সম্বন্ধে একটু প্রশ্ন আছে।

    উনি বলছেন যে বিজেপি সাম্প্রদায়িক শক্তি ও কংগ্রেস সাম্রাজ্যবাদীদের সেবাদাস। আমার ধারণা বিজেপি একটি দক্ষিণপন্থী পার্টি যার অধিকাংশ নেতা হিন্দু সুপ্রিমেসিস্ট নন (যথা আদবানী, জেটলি, শৌরী, যসবন্ত সিনহা, সুশমা) কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে নিজেদের তফাৎ করতে (অর্থাৎ ভোট পেতে) নির্লজ্জভাবে হিন্দুত্বকে কাজে লাগান। তার ফল হাতে হাতে পেয়েওছেন। অর্থাৎ বিজেপির বেঁচে থাকার কারণ সাম্প্রদায়িকতা নয়, যেভাবে হিন্দু মহাসভা, শিবসেনা বা মুসলিম লিগ বা অকালী দল সাম্প্রদায়িক।

    এবারে কংগ্রেস কি করে সাম্রাজ্যবাদীদের সেবাদাস হল, দেখা যাক। যতদূর মনে পড়ে, কংগ্রেস ছাড়া সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশরা ভারত ছাড়তনা। অবশ্য আমি জানি পিনাকীবাবু আমেরিকাকে সাম্রাজ্যবাদী বলেছেন যদিও উনি ইতিহাস পড়লে জানতে পারবেন যে কিছুদিন ফিলিপিন্সকে দখলে রাখা ছাড়া আমেরিকার কোন সাম্রাজ্য ছিলনা।

    আমেরিকা তাহলে সাম্রাজ্যবাদী হয়ে গেল কি কারণে? এটা কি ঠান্ডা যুদ্ধে রাশিয়া হেরে যাওয়ার সঙ্গে জড়িত? আমেরিকা সাম্রাজ্যবাদী তার কারণ তারা নিজের সীমার বাইরে তার ইনফ্লুয়েন্স খাটায়। আমার মনে হয় এটা হল বামপন্থীদের প্রধান গ্রাইপ।

    কি রকম? আমেরিকা ইউরোপের সঙ্গে নেটো করেছে। এশিয়ায় ইজরায়েল থেকে জাপান অবধি প্রায় সবদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে ও অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা আছে। যেমন চীন আমেরিকার বাজারের ওপর নির্ভরশীল। তেমনি আমেরিকা চীনের মার্কিন টি-বন্ড, টি-বিল কেনার ওপরে বেঁচে আছে। অনেক দেশে আমেরিকার মিলিটারি বেস আছে।

    কিন্তু এর সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদের কি সম্পর্ক? আমেরিকা তার তৈরী জিনিষ রপ্তানী করতে চায় অবশ্যই, কিন্তু বহু দেশ আমেরিকাকে রপ্তানী করে নিজের দেশে কাজ তৈরী করছে। সেটা কি সাম্রাজ্যবাদ? আমেরিকা কি বিভিন্ন দেশে ভোট কিভাবে হবে সেটা নিয়ন্ত্রণ করছে? সেটা যদি করতে পারত তবে ৩২ বছর প:বঙ্গে বামেরা থাকত না, প্যালেস্টাইনে হামাস আসতনা, ভেনিজুয়েলাতে আসতনা শাভেজ। আরে নিজের পাড়া কিউবাতেই কিছু করতে পারল না, তো ......

    আরেকটা কথা। আমেরিকা সাম্রাজ্যবাদী হলে ভারত, চীনও তাই। তারা আফ্রিকাতে নিজের ইনফ্লুয়েন্স বাড়াতে খুব ব্যস্ত। ভারত কাজাকস্তান না কোথায় মিলিটারী বেস করেছে।

    প:বঙ্গের ভোট প্রসঙ্গে এত শিবের গীত গাওয়ার দরকার হল এটা দেখানোর জন্য যে সিপিএমের যে প্রেমিস, আমেরিকা ও কংগ্রেস সাম্রাজ্যাবাদী সেটা সম্পুর্ণ ভুল। এটা সিপিএম বলে থাকে শুধু ভোট পাওয়ার জন্য। কারণ ভোট পেতে গেলে নিজেকে অন্য পার্টির থেকে ডিফারেনসিয়েট করতে হবে। বলাই বাহুল্য, আমেরিকা ব্যাড তাই কংগ্রেসকে ভোট দিওনা, আমাদের দাও -- এটা লোকে খায়নি।

    পিনাকীবাবু আরো বলেছেন, ""শিল্পায়নের বর্তমান নিওলিবারাল পথটি জারি থাকবে কিনা, গায়ের জোরে জমি অধিগ্রহণ হবে কিনা""।

    আমি ঠিক বুঝলামনা, উনি কি বলতে চাইছেন যে গায়ের জোরে জমি অধিগ্রহণ নিওলিবারালদের পদ্ধতি? এটা কিন্তু একেবারেই উল্টো। বুদ্ধদেববাবু গায়ের জোর দেখিয়েছেন কমিউনিস্ট চীনের কাছে শিখে। চীনে সরকার হামেশাই গায়ের জোরে জমি নেয় কোন অফিস, ফ্যাক্টরি বা মল করার জন্য। যেমন কিছুদিন আগে তারা একটি অফিস কমপ্লেক্স করার জন্য বেজিংএ একটি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স ভেঙে দেয় ও বাসীন্দাদের অন্যত্র বাসা দেয়। তাদের আপত্তি শোনার প্রশ্নই ওঠেনা।
    অপরপক্ষে নিওলিবারাল আমেরিকায় ভুরি ভুরি নিদর্শন আছে যেখানে একটি হাইওয়েকে বেঁকিয়ে দেওয়া হয়েছে কারণ জমি অধিগ্রহণের সময়ে একজন স্টাবর্ন লোক বলেছে , আমি কোনক্রমেই জমি দেবনা । নানা নিয়ম থাকা সত্বেও আমেরিকা সুপ্রীম কোর্টে লোকটির কাছে হেরে গেছে।

    এখন এ পর্যন্তই। সময় পেলে লিখব বামেদের হারের কারণ সম্বন্ধে আমার কি ধারণা।
  • shyamal | 24.119.10.202 | ২৪ মে ২০০৯ ২২:১৮410285
  • পিনাকীবাবু আরো লিখছেন,"" কংগ্রেস, বিজেপির মত জনবিরোধী নীতি রূপায়ণকারী দলগুলো মানুষের মধ্যে প্রভাব বজায় রাখে কি করে? উত্তরটা হল ক্ষমতায় থাকলে ক্ষমতার প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে।""

    আমার মনে হয়, আজকাল পত্রিকাও এত উদ্ধত লাইন লিখবে না। সিপিএম যে বারে বারে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করেছিল সেটা তাদের নেতারা এখন স্বীকার করছেন। কেন এটা ঔদ্ধত্য? এটা বলার অর্থ একধরণের সেল্ফ-রাইটিয়াসনেস দেখানো যে পৃথিবীতে আমরাই একমাত্র জনগণকে আসলি আগমার্ক মোক্ষ দেওয়ার দল, অন্যগুলো চোর, গুন্ডা, বদমাস যাদের জনগণ ভুল বুঝে ভোট দেয়।
    এটা শুধু ঔদ্ধত্যই নয়, শ্যালো চিন্তার প্রভাব। মোহনবাগান যখন ইস্টবেঙ্গলকে হারানোর জন্য খেলতে নামে, তখন কিন্তু ইস্টবেঙ্গল টীমের প্রতি শ্রদ্ধা তাদের প্রচুর থাকে।

    কারাট জাতীয় নেতারা (এদের নেতা বলা চলে কি?) বই পড়ে অনেক কিছু শিখেছেন। কিন্তু মানুষকে পড়েননি। যাদের ভোট চাইছেন তাদের প্রতি কোন শ্রদ্ধা বা সম্মান নেই। যারা কংগ্রেস , বিজেপিকে ভোট দেয় তারা নিতান্তই লোভী, হ্যাংলা। প্রসাদ পেয়ে সন্তুষ্ট থাকে।

    ঠিক হত যদি এনারা বলতেন, আমাদের দোষের জন্য ভোটদাতারা আমাদের ভোট দেয়নি বা দেয়না। এটা আমাদের পলিসি, প্রচার ও মানুষকে বোঝানোর দোষ। কংগ্রেস, বিজেপি দেশের উন্নতি করতে চায় না, শুধু গদি আর টাকার লোভে ভোটে দাঁড়ায় -- এরকম ভ্রান্ত ধারণা দূর না করলে জেতা মুশকিল।

    এখন মুশকিল হল, কেউ কেউ এও বলছেন ( যাদের ভোটে জিতে নেতা হতে হয়, বই পড়ে নয়) যে আমরা জনতাকে বোঝাতে অসমর্থ হয়েছি। সেটা কিছুটা ভাল। কিন্তু কংগ্রেস বা বিজেপি যেরকম ভোটে হারলে তাদের নীতিকে ট্যুইক করতে পারে , সেটা এরা পারবেননা। কারণ গোঁড়ামির ফলে এদের নীতি হল কাস্ট ইন স্টোন।
    যতদিন না পর্যন্ত কমিউনিষ্টরা মানুষের , দেশের চাহিদা অনুযায়ী নীতিকে পরিবর্তন করতে পারবেন, ততদিন খুব বেশী হলে একটি,দুটি রাজ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে।
  • pinaki | 131.151.102.250 | ২৫ মে ২০০৯ ০৩:৩৬410286
  • শ্যামলবাবু, শিল্পায়নের বর্তমান নিওলিবার‌্যাল পথটি জারি থাকবে কিনা, আর গায়ের জোরে জমি অধিগ্রহণ হবে কি না - এদুটো আলাদা আলাদা প্রশ্ন হিসেবে লিখেছি।

    আর আমেরিকা সাম্রাজ্যবাদী তো বটেই। কত জায়গায় ক্যু করেছে, নিজের সামরিক প্রভাব খাটিয়ে বা আর্থিক অনুদান বন্ধ করে দেওয়ার চাপ দিয়ে অসম বাণিজ্য চুক্তিতে কত দেশকে বাধ্য করেছে - সেসব নিয়ে গাদা গাদা বই আছে। এখানে লিস্টি দেওয়ার কোনও মানেই হয় না। কোথাও কোথাও বহু চেষ্টাতেও পারে নি, অতএব প্রমাণ হইল তারা সাম্রাজ্যবাদী নয়? (চোখ গোল গোল স্মাইলি টা হবে এখানে)

    তবে হ্যাঁ, ছোটো স্কেলে ভারত, চীনও সাম্রাজ্যবাদী। সে ব্যাপারে আপনার সাথে একমত। কিন্তু সেই স্কেলটা আমেরিকার সাথে তুলনায় আসে না।

    আর অ-বাম দলগুলোর গণভিত্তি ধরে রাখার একমাত্র কারণ প্রসাদ বিতরণ - এটা আমি বলি নি। ওটা ক্ষমতায় থাকলে। ক্ষমতায় না থাকলে তারাও মানুষের সমস্যা নিয়ে অন্দোলন করে। কিন্তু সেই আন্দোলন বড় পুঁজি বা বড় ল্যান্ডলর্ডদের সামগ্রিক স্বার্থের একেবারে বিরুদ্ধে গিয়ে নয়। কারণ দুটো - ১) এই দলগুলোর সামগ্রিক ভাবে বর্তমান সোশ্যাল অর্ডারের প্রতি আস্থা আছে। তাই সেটার কোনও আমূল পরিবর্তন তারা চায় না। বিশেষত: অনেকেই মনে করে (যেমন কংগ্রেস) যে বড় পুঁজিপতি গোষ্টীর হাত ধরেই মানুষের মোক্ষলাভ সম্ভব। তাই বড় পুঁজিপতিগোষ্ঠীর পুরোপুরি বিরুদ্ধাচরণ তারা করবে কেন? ২) দ্বিতীয় কারণটা এরই উল্টো পিঠ। এই দলগুলো মূলত: বড় পুঁজিপতিগোষ্ঠীর কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়েই বেঁচে থাকে। আর কে না জানে, যার নুন খাবে, তার গুণ গাইবে। চারদিক দেখে শুনে এটাই আমার উপলব্ধি। এর মধ্যে ঔদ্ধত্যের কি হল আবার?

    তবে আপনি শ্রদ্ধা অশ্রদ্ধার কথাটা পাড়লেন যখন বলেই ফেলি। এটা কেবল কংগ্রেস সম্পর্কে। এটাকে জেনারালাইজ করবেন না প্লিজ। সত্যি কথা বলতে কংগ্রেসের মত জালি, দুনম্বরি দল ভারতে খুব কমই আছে বর্তমানে। গোটা সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম এপিসোডে কংগ্রেস চুপটি করে বসে তামাশা দেখছিল, কারণ তখন তাদের বামেদের সমর্থন দরকার ছিল। আর এরকম গণহত্যা ভারতে কংগ্রেসের হাত দিয়েই সবচেয়ে বেশী হয়েছে। কাজেই কংগ্রেসের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোর সেই অর্থে কোনও কারণ আমার কাছে নেই।
  • shyamal | 24.119.10.202 | ২৫ মে ২০০৯ ১০:২২410287
  • পিনাকীবাবু লিখছেন ""সেজ আইন নীরবে মেনে নিয়ে, ডি এফ আই ডির টাকায় প:বঙ্গের শ্রমিক কর্মচারীদের ভি আর এস দিয়ে, খুচরো ব্যবসায় বড় পুঁজির ঢোকার ব্যাপারে নীরব থেকে ভারতের বড় মালিক গোষ্ঠিকে বার্তা পাঠাচ্ছিলেন যে ত্যজ্যপুত্র করার মত অবাধ্য ছেলে তাঁরা নন।""

    এর বিদ্রুপটা দারুণ। কিন্তু এখানে আর আপনার আজকের পোস্ট থেকে পরিষ্কার যে আপনি মনে করেন যে ""বড় পুঁজিপতি বা বড় মালিকগোষ্ঠির"" একটা কমন অ্যাজেন্ডা আছে আর সেটা গরীব বা মধ্যবিত্তের স্বার্থের পরিপন্থী। জানিনা, হয়তো ১৯ শতকের ইউরোপে সেটা খাটত। কিন্তু ২১ শতকের বিশ্বায়িত পৃথিবীতে কি সেটা চলে?
    বড় পুঁজিপতি আর গরীব মানুষের স্বার্থ এক হয়ে গিয়েছে। আজ পুঁজিপতিরা , যাতে গরীব মানুষ কিনতে পারে, সেজন্য একবার ব্যবহারের ছোট্ট শ্যাম্পুর প্যাকেট তৈরী করছেন। তাতে পুঁজিপতির বিক্রি বাড়ছে। অন্যদিকে গরীবেরা, যাদের ১০০ টাকার শ্যাম্পুর বোতল কেনার সামর্থ্য নেই, তাঁরা ঐ ছোট্ট প্যাকেট কিনতে পারছেন।

    এবছর ভারত যে মন্দায় তেমন ঝাড় খায়নি তার একটি বড় কারণ যে গ্রামে ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। এজন্য কিছুটা NREGA দায়ী আর এটা যারই ব্রেনচাইল্ড হোক না কেন, সিপিএম বা কংগ্রেস -- আমি তার প্রশংসা করব।

    পুঁজিপতি কারখানা, ব্রীজ, বহুতল, কল সেন্টার , মল বানালে সেখানে বহু গরীব ও মধ্যবিত্ত মানুষ কাজ পায়। দুজনেরই লাভ। এতে সংঘাতটা আসছে কোথায়?

    পুঁজিপতি যদি দশ ঘন্টা কাজ করিয়ে সাত ঘন্টার পয়সা দেন, বা প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা মেরে দেন বা অতি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কর্মচারীদের কাজ করান তাহলে সরকারের দায়ীত্ব মালিকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু এগুলো বরং ছোট পুঁজিপতিদের ক্ষেত্রেই ঘটে, বড়দের ক্ষেত্রে নয়।

    আমার মনে হয় ২১ শতকের জন্য সাম্যবাদ 2.0 লেখার সময় এসেছে।
  • shrabani | 124.30.233.105 | ২৫ মে ২০০৯ ১১:২৫410288
  • আমি ভাটে লিখেছিলাম, টইয়ে লিখতে গিয়ে ভুল করে।
    মমতা ধারার কথা উল্লেখ না করেও জেতার পরেই ই টিভি বাংলা তে বলেছিল সরকারের পদত্যাগের কথা। সিপিএম জনমত হারিয়েছে (বামফ্রন্ট বলেনি), এদের আর সরকারে থাকার অধিকার নেই। এ ব্যাপারে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করবে তাও বলেছে।

    এটা কোনো আলাদা ইন্টারভিউ ছিলনা। সব প্রার্থীদেরই জয়ের খবরের সাথে সাথে তাদের (মো: প্র রেজাল্ট যেখানে ডিক্লেয়ারের পরেই, প্রচুর সাংবাদিক ও সমর্থকের ভীড়ের মাঝে)বক্তব্য দেখানো হচ্ছিল।
    দিনেশ ত্রিবেদী এন ডি টিভিতে ইন্টারভিউয়ে বলেছে প্রেসিডেন্ট রুলের কথা, সৌগত রায় আই বি এন লাইভে। এবং তারা সেখানে তৃণমূলের হয়ে বলেছে "আমরা দাবী করব।"

    এমনি এমনি এটা ন্যাশনাল নিউজ চ্যানেলে নিউজ হয়নি। তবু এটা মমতার কথা নয় বলেই বা এত জোরের সঙ্গে কেন বলা হচ্ছে এখানে।

    শোভা দের ব্লগে দেখলাম এ সপ্তাহে তার কলাম (TOI sunday তে সম্ভবত) রিজেক্ট হয়ে গেছে কারণ কংগ্রেসের সম্বন্ধে কিছু স্ট্রং ওপিনিয়নের জন্যে। আর সেই সঙ্গে WSJPaul Beckettএর লেখা এদেশে কিরকম জার্নালিস্ট আর মিডিয়া হাউসে প্রচারে পয়সার খেলা চলে তা নিয়ে।
    তারপর থেকে ভাবছি এখানে যে কাগজের খবর তুলে দেওয়া হয়, লিঙ্ক দেওয়া হয়, আলোচনা তর্কাতর্কি হয় সেসবের তো কোনো মানেই হয়না।
    আসলে আমাদের সবারই নিজের নিজের চশমা আছে, কানে শোনার যন্ত্র আছে। যখন যা দেখতে চাই বা শুনতে চাই তাই দিয়ে দেখি শুনি। অন্যে কিছু দেখাতে শোনাতে চাইলে যা আমাদের মনমত নয় যন্ত্র গুলো খুলে ডেফ আর ব্লাইন্ড হয়ে যাই!
  • Ri | 203.197.96.50 | ২৫ মে ২০০৯ ১১:২৬410289
  • তাতিন ,
    আপন মনের মাধুরী মিশায়ে কথা বলবেন না মশাই। সুমনের সমালোচনায় "ঝাঁট" টি সুমনের অন্ধ ভক্ত দের ই জ্বলে।ধর্ম চেঞ্জ করে মহান হয়েছি বলে সুমন নিজেকে মহান দেখাতে চান আর ভক্ত রা পোঁ ধরেন।"ধর্ম বলতে মানুষ বলবে আনুষ" শুধুর সঙ্গে "আমি ধর্মে মুসলমান" বলার পার্থক্য অন্ধ ভক্তরা তাই বুঝতে চান না।সুবিধা মত নিজে একবার "ধর্ম মানি না" আরেকবার "আমি সংখ্যালঘু মুসলমান " বলে নিজেকে মহান প্রমাণ করতে চান।হিপোক্রেসির অনন্য দৃষ্টান্ত।কবীর আর লালনের নাম ওনার মুখে মানায় না।
    সুমন কি প্রিসিডেন্স সেট করেছে নাকি ? সেই কত বছর আগে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের পুজারী বামুন গদাধর চট্টোপাধ্যায় ইসলাম কবুল করে সাধনা করেছিলেন।
    হিন্দু থেকে ইসলাম নিলে বাঙালী হিন্দু দের(লক্ষণীয় বাঙালী শব্দ টা) কিস্যু যায় আসে না।
  • Ishan | 173.26.17.106 | ২৫ মে ২০০৯ ১২:০৬410290
  • দেবেশ রায়ের লেখাটার লিংক দিয়েছিলাম। এবার হাতে লিখে কোট করে দিই। "ভোটে জিতে ও নিজের দাঁড় করানো প্রার্থীদের এমন জেতা জিতিয়ে তাঁর(মমতার) প্রথমতম ও প্রধানতম প্রকাশ্য প্রক্রিয়া হচ্ছে -- ২০০৬ এ তৈরি বিধানসভা বাতিল করে, রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করে, নতুন বিধাসভার জন্য অবিলম্বে ভোট করো।'

    দেখা যাচ্ছে, লেখক জানিয়েছেন, এটা মমতা নিজমুখেই বলেছেন। তিনি আরও লিখেছেন, যে, "এ নিয়ে আর কোনও কথা না বললেও চলত, যদি কথাটি মমতা ব্যানার্জি ছাড়া তাঁর দল বা জোটের আর কেউ বলত'।

    দীনেশ ত্রিবেদী ঐ কথা বলেছেন। তার সমালোচনা দেবেশ রায় করতেই পারতেন। সেটাই যে তৃণমূলের "আসল মুখ' এসবও বলা যেত। বা ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে এল বলা যেত। যেমন গণশক্তি লিখেছে। কারো কিছু বলার ছিলনা। কিন্তু তা না করে, তিনি মমতার মুখে কথা বসালেন। মমতা কোনো কথা না বললে সেটা মমতার প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া হয়ে যায়না, এ নিয়ে আশা করি এখানে কোনো দ্বিমত হবেনা।

    মমতার বক্তব্য আমি শুনেছি। সিপিএম জনমত হারিয়েছে, বলেছেন। সরকারে থাকার আর অধিকার নেই, বলেছেন। আলোচনা করবেন, তাও বলেছেন। এগুলো সবকটা বলার অধিকারই ওনার আছে। এবং এগুলো একটাও "অগণতান্ত্রিক' নয়। রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা মমতা বলেননি। বললে অগণতান্ত্রিক হত। দীনেশ ত্রিবেদী বলেছেন। সেটা অগণতান্ত্রিক দাবীই হয়েছে।

    আরও একটা কথা। TOI বা অন্যান্য "বাজারি' কাগজে বিভিন্ন নোংরামি চলে। আমি মমতা আর দীনেশ ত্রিবেদীর বক্তব্য জানার জন্য গণশক্তি পড়েছিলাম। আশা করা যায়, সেখানে মমতার বক্তব্যকে কমিয়ে লেখা হয়নি।
  • tatin | 70.177.57.163 | ২৫ মে ২০০৯ ১৯:৩৭410292
  • মাধুরী কই মিশোলাম! যা যা বললুম, সবই এক ভদ্রলোক নিজের ব্যাপারে বলেছেন, আমার মনোগত ইনপুটের স্পেসটাই নেই!
    অথবা সবটাই মাধুরীর খেলা, কার নাম কার মুখে মানায় না ইতি আদি,
    যাক গে, ধর্ম মানিনা এরম কথা সুমন কবে বললেন একটু জানান!
    আর, ধর্ম বলতে মানুষ শুধু মানুষকে বুঝবে তিনি চাইলেন, কিন্তু দেখলেন ধর্ম বলতে মানুষ মানুষকে মারছে- ফলে যা চাইছেন তা হচ্ছে না, এমতাবস্থায় নিজের একটা স্ট্যান্ড নেওয়া দরকার মনে করে নিলেন -এতে হিপোক্রিসী দেখতে পেলে আপনার চটিতে চটিতে দন্ডব্‌ৎ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন