জলের দেশ আমাদের। একশটা নদী। কয়েক লক্ষ পুকুর ছিল। ঝিল-বিল-সরোবর। কোনোটারই কমতি ছিল না। আকাশ যেমন নীল প্রায় তেমনই নীল নীল ছায়া ধরা থাকত মাঠঘাটে গাঁয়ে। এমনকি শহরেও চারপাশে। অথচ আজ জল নিয়ে এমন দুরবস্থা – যেমন বন্যার বিপদ, তেমনই জল না থাকার কষ্ট। গাছপালা নেই, ঘাসজমিও প্রায় শেষ – বর্ষায় ভেসে আসা মাটি নদীর খাত ভরে দিচ্ছে। একটু বৃষ্টিতেই জল উপচে বন্যা। আর নদী খাল বিলে জল না থাকলে, হেমন্তকাল থেকেই জলের কষ্ট শুরু হয়ে যায়। এদিকে মাটির তলার জল খুব বেশি তুলে ফেলার ফলে কুয়ো নলকূপেও জল নেই। ঘরসংসারে জলের কষ্ট, চাষের ক্ষেতেও তাই। ... ...
গত কয়েকদিন ধরে আসামের উত্তর অঞ্চলের বাসিন্দারা সাক্ষী হয়ে চলেছেন রাজ্য পুলিশ এবং সিআরপিএফ এর দমননীতির। এই দমননীতি বাঁধ বিরোধী আন্দোলনকে স্তব্ধ করার জন্য। উক্ত বাঁধটি ২০০০ মেগাওয়াটের লোয়ার সুবনসিরি হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্ট, তৈরি হওয়ার কথা আসাম-অরুণাচল প্রদেশের বর্ডারে। মে ১১ তারিখ সন্ধ্যেবেলায় এনএইচ ৫২র কাছে ঠেকেরাগুড়ি গ্রামে এনএইচপিসি-র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ একটি ১১০০০ লিটার ডিজেল সমৃদ্ধ ট্যাঙ্কারের সামনের অংশে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এটা ঘটে সুবনসিরি নদীর ব্রিজ ছাড়িয়ে একটু এগিয়ে গিয়ে। এই ব্রিজটা পড়ে আসামের লখিমপুর জেলায় আর লাগোয়া ধেমাজি জেলার ২-৩ কিমি আগে। নদী পেরোলে বাম দিকে যে পর্বতশ্রেণী দেখা যায়, সেটা পড়ে অরুণাচল প্রদেশে। ... ...
অনীতার কথা এইবেলা বলে নেওয়া ভালো কেননা, অনীতা প্রেমে পড়েছে। সেটা খুব বড় কোনো ব্যাপার নয়, আকছার পৃথিবীর প্রতিটি কোণেই চৌদ্দ থেকে চব্বিশ বয়সী একগাদা মেয়ে কিশোরী মায় উদ্ভিন্নযৌবনা পর্যন্ত প্রেমে পড়ছে, শুধু পড়ছে না, বলা ভালো ধপাধপ আছাড় খাচ্ছে। প্রেমের মতো এমন একটা সঘন স-আবেগ তদুপরি সলজ্জ ব্যাপারের সাথে আছাড় খাওয়ার মতো অমন আনকুথ ক্রিয়াশীলতার কথা ভাবতেই কেমন যেন তেতো অনুভূতি হয় মুখের মধ্যে ওর, কিন্তু ব্যাপার টা ঠিক ঐ রকমই আনকুথ বলা যায় একেবারে বিশ্রী রকমের আনকুথ হয়ে গ্যাছে। কারণ অনীতা, আমাদের সুন্দরী ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া চোখে হাফ কাট রিডিং গ্লাস দেওয়া, লেয়ার কাট চুল, স্মুথ হেয়ার সিল্কি শাইনিং স্কিন অনীতা, টম ক্রুজ লুক আর রালফ লরেন পোলো টি শার্ট বিশেষজ্ঞ অনীতা, সর্বোপরি শোভা দে আর সিডনী শেলডন গোগ্রাসে গিলে খাওয়া অনীতা হঠাৎ করে আছাড় খেয়েছে, থুক্কু, মন প্রাণ সবই সঁপে বসে আছে এই দর্জিকে! ... ...
এই মুদ্রা আরেক বস্তু। কিছুকাল হল এর চল হয়েছে বাণিজ্যে। এককালের বিনিময়ের মাধ্যমের বাণিজ্য অনেক নিরাপদ হয়েছে এই মুদ্রা ব্যবস্থায়। বিশেষ করে বৈদেশিক বাণিজ্য। পথে দস্যুর হাত থেকে লুকিয়ে এই ধন গোপনে আনয়ন করা সম্ভব। তাছাড়া এই মুদ্রা ব্যবস্থার জন্য আরেকটি পদ্ধতি প্রণয়ন বণিকদের পক্ষে সহজ হয়েছে। সে হল বিনিময়ের প্রতিশ্রুতির মাধ্যম। মুদ্রা আনার ঝুঁকি না নিয়েও অনেকে অর্জিত অর্থের বিনিময়ে নিয়ে আসেন ধাতুর পাত বা চামড়ার পর্চা। সেই পর্চা বা পাত দেশে এসে নির্দিষ্ট ব্যাক্তিকে দেখালেই সেই ব্যাক্তি তার সমতুল্য অর্থ দেবেন ব্যবসায়ীকে। আর এই কাজ করার জন্য তার থেকে নেবেন কিছু অর্থ পারিশ্রমিক হিসেবে। সুধন্য একাজেও এই রাজ্যে প্রথম। এই কার্যের জন্যই তার বিভিন্ন রাজ্যে আবাস। এই যুক্তিকে আজ আর অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু দেবব্রত জানেন এ সব নয়। আসলে ক্রমশ ধনের জোর বেড়ে চলেছে সুধন্যর। সেই ধন দিয়েই সে গড়ে তুলছে তার নিজস্ব জগৎ। খুব ভাল লাগেনা দেবব্রতের। কিন্তু তাঁর করণীয়-ই বা কি! মুদ্রার প্রচলন হয়েছে তাঁর জন্মেরও আগে। প্রতি দেশের সেই মুদ্রামান নির্ধারণের জন্য রাজকোষে থাকা স্বর্ণকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। বিগত একশো বছরে মুদ্রা ব্যবস্থা আরো সুস্থিত হয়েছে। আগে যে যেমন খুশী মুদ্রা তৈরী করতে পারত। কিন্তু এখন তা সুনির্দিষ্ট হচ্ছে ক্রমশ। ... ...
কাকতালীয় ঘটনার সঙ্গে অপহরণের কোনও আপাত সম্পর্ক নেই, তবে এই কাহিনিতে আছে। আসলে পুরো ধানাই পানাই জুড়েই কাকতালীয় ঘটনার ছড়াছড়ি। সব এখানে লেখা সম্ভব নয়, তবু কিছু তুলে দিলাম। আমার এক বন্ধু, তার নাম বাবলু, ভাল নাম বি- আচ্ছা থাক। বাবলুই চলুক। আমি নিজের বাড়িতে ফোটো ল্যাব বানানোর আগে ওর বাড়িতে ছবি প্রিন্ট করতে যেতাম। ডার্ক রুমটা ছিল ছাদের ওপর। ছবি ছাপার সঙ্গে সঙ্গে গপ্পো গুজবও চলত সমানে। ওর আসল নামটা যেমন উল্লেখ করলাম না, বাড়িটা কোথায় ছিল, সে প্রসঙ্গও এড়িয়ে যাচ্ছি সঙ্গত কারণেই। ... ...
১৯৪৬ সালে জাঁ পল সার্ত্র L'Engrenage নামে একটি চিত্রনাট্য লেখেন। প্রথমে নাম দেওয়া হয়েছিল --'নোংরা হাত'। তখনো একই নামের সার্ত্রের অতিবিখ্যাত নাটকটি প্রকাশিত হয়নি। যাই হোক, সিনেমাটা আর হয়নি। এবং সার্ত্রের অন্যান্য রচনার তুলনায় এই রচনাটা একদম-ই জনপ্রিয় হয়নি। ফ্রান্স এবং জার্মানীতে এটার নাট্যরূপ মঞ্চস্থ করা হয়, এবং খুব তাড়াতাড়ি-ই বামপন্থী বুদ্ধিজীবীরা সমালোচনায় ফালাফালা করে ছাড়েন নাটকটাকে। তার কারণ-ও ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার মুখে সার্ত্র এমন একটা চিত্রনাট্য লিখলেন যা গোটা বিপ্লব-প্রক্রিয়াটাকেই প্রশ্ন করে বসেছিল। তখন সোভিয়েতের আকাশচুম্বী সাফল্য এবং বিপ্লব স্টালিন সাম্যবাদ এসবের লোককথা প্রায় অতিকথায় পরিণত হয়েছে। ফ্রান্সের বামপন্থী হেজিমনিতে (সার্ত্র নিজেও যার অঙ্গ ছিলেন) স্বভাবতই তখন এমন একটি শিল্পপ্রয়াস বেশ অস্বস্তিকর যা ইঙ্গিত করেছিল যে বিপ্লব তার সন্তানদের গিলে খাচ্ছে। বর্তমান নাটকটি L'Engrenage থেকে বহুলাংশে অনুপ্রাণিত। নাটকটা লেখার জন্য মার্ভিন সেভিলের করা মুল রচনার ইংরেজি অনুবাদ 'In the Mesh'-এর সাহায্য নেওয়া হয়েছে। ... ...
এখন এই এজমালি উঠোনে বলা সব কথা আমায় উদ্দেশ্য করে নয়, আমার বলাও নয়, বলাই বাহুল্য। সেখানে উচ্চারিত কোনো শব্দপ্রয়োগ কাউকে আঘাত করলে – ঔচিত্যবোধ বলবে -বাপু হে, এগিয়ে যাও – প্রতিবাদ রাখো। কিন্তু তা তো করিনা বেশিরভাগ সময়ে। প্রতিবাদ খুব বেশি হয়ে ওঠে না, সেই অনীহার পিছনে এক লোভ থাকে। আমার আড্ডার মৌতাত নষ্ট হয়ে যায় যদি। আরো একটা ব্যাপার থাকে – সেটা হল যাকে বা যাদের উদ্দেশ্যে বলা কথা ভালো লাগেনি, তার হয়ে বলতে গেলে যদি তার মনে হয় তার বা তাদের ব্যক্তিসত্তাকে অহেতুক করুণা দেখাচ্ছি – যদিও এটা অযুহাত হিসেবে রাখা গেল এখানে। ... ...
আমি ছেলেবেলায় ক্লাস ফোর অবধি লেক ভিউ স্কুলে পড়েছি। স্কুলটা মোটেই পাতে দেওয়ার মত ছিলনা। আমার মামাবাড়ি তখন ছিল হিন্দুস্থান পার্কে, আমি তো সে বাড়িতেই মানুষ(?)।আমাদের পাশের বাড়ি ছিল বাঙ্গালবাড়ি, সে বাড়ির ছেলে মেয়েরা ছিল, মীরা, ইরা, গোপাল, বুড়ি। এরা পিওর বাঙাল ভাষায় কথা বলত। একদিন মীরাকে ডেকে বাবা জিজ্ঞেস করল, অ্যাই তুই কোন ইস্কুলে পড়িস রে? মীরা বলল, লেক ভিউ। নামটা বেশ হাই ফাই, বাবা বলল, ইস্কুলটা ভাল? মীরা বলল, হ্যাঁ, খু-উব ভাল। ওপিনিয়ন নেবার ব্যাপারে বাবা খুব লিবারাল ছিল। গয়লাকে জিজ্ঞেস করত, তুমারা দুধমে জল টল নেই হ্যায় তো? গয়লা দু কানে হাত দিয়ে বলত, রাম রাম, কি যে বোলেন –। ... ...
আর সেসব কী দণ্ড রে মশায়, পড়লে আপনার দাঁতকপাটি লেগে যাবে। পাপ করে ভেবেছেন মনুর পৃথিবীতে রেহাই পাবেন, সেটি হবার নয়। তা রাজাই দণ্ড দিন বা নিজে নিজেই প্রায়শ্চিত্ত করুন। একটা শুনুন। গুরুপত্নীর সঙ্গে ইয়ার্কি দিয়েছেন, এখন লোহার তৈরী জ্বলন্ত এক নারীমূর্তি আলিঙ্গন করে আগুন গরম লোহার খাটে শুয়ে থাকুন, যতক্ষণ না প্রাণবিয়োগ হচ্ছে। আগুনে এলার্জি আছে বলছেন। তাহলে জাপানী স্টাইলে হারাকিরি (ওই তার কাছাকাছি আর কি) করতে পারেন, হাঁটতে হবে কিন্তু নৈঋতদিকে (ন য়ে ঐ, ঋ তে রেফ, ত)দিকে। অবশ্য আপনি যদি কোমলমতি হন, এইসব কাটাকুটি পছন্দ না করেন তাহলে তিনমাস যাউ (রেসিপি নেই) খেয়ে চান্দ্রায়ণ ব্রতও করতে পারেন। ... ...
উপরন্তু রক্তাক্ত হামলার ঘটনাটি যেহেতু পিসিপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিনে, সেহেতু এতে গভীর এবং সুদূর প্রসারী উদ্দেশ্য নিহিত রয়েছে বলে মনে করি। … কারণ পিসিপি প্রতিষ্ঠার ইতিহাস এবং এই সংগঠনের আন্দোলন-সংগ্রামের ভূমিকা আমরা সবাই জানি। তাই হয়তো তৃতীয় কোনো অশুভ শক্তি আমাদের ভাতৃঘাতি সংঘাতের সুযোগ নিয়ে এই ন্যাক্কারজনক হামলার মধ্য দিয়ে পিসিপির মতো লড়াকু সংগঠন তথা আমাদের সংগ্রামকে বিপথগামী কিম্বা স্তব্ধ করে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। ... ...
আমরা, দুর্গাপুর ই এস আই হাসপাতালের চিকিৎসকবৃন্দ, চিকিৎসাক্ষেত্রে বহিরাগত এবং দুর্বৃত্তদের নিরন্তর এবং অসহনীয় উৎপীড়নের বিষয়ে সাধারণ জন সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সাধারনভাবে প্রায় সমস্ত সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রকেই প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল পরিকাঠামো নিয়ে চিকিৎসা করতে যেয়ে জনরোষের মুখে পড়তে হচ্ছে। ই এস আই-এর ক্ষেত্রে এই অত্যাচার অমানবিক পর্যায়ে পোঁছে যাবার দুটো নির্দিষ্ট কারণ আছে। এক, শ্রমিক এবং কর্মচারীর দেওয়া মাসিক চাঁদার পরিবর্তে ই এস আই সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দেয়। দুই, এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত করার জন্য ই এস আই বিভিন্ন বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করেছে যার মাধ্যমে বিমাকারিরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সব রকম চিকিৎসা পেতে পারেন। ... ...
বিদূষকেরা বলিল, “মহারানী, সত্য কথা যদি শুনিবেন তবে ডাকুন বিদ্বজ্জনদের, পণ্ডিতদের, লিপিকরদের, ডাকুন যারা উন্নয়ন করে এবং উন্নয়ন তদারক করিয়া বেড়ায়। নিন্দুকগুলো ফেসবুকে লগ ইন করিতে পায় না বলিয়াই মন্দ কথা বলে।” জবাব শুনিয়া রানী অবস্থাটা পরিষ্কার বুঝিলেন, আর তখনি সাংবাদিক সম্মেলন ডাকিয়া বিদূষকদের একশোতে একশো নম্বর দেওয়া হইল। ... ...
যা বোঝা যাচ্ছে, অনুশাসনের সময় ক্রমে আসিতেছে। উচ্ছেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই অনির্দিষ্টকালের জেলবাস। কার্টুন আঁকলেই একরাত্রি হাজতযাপন। পুলিশেরও রেহাই নেই। অনুমতি ব্যতিরেকে সাদাকে সাদা, কালোকে কালো, ধর্ষণকে ধর্ষণ বললেই সিধে ব্যারাকপুরে ট্রান্সফার। অনেক অকর্মণ্য অপোগন্ডোই কদিন আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মাথায় দুটো শিং এঁকে আর মুখে দুটো শ্বদন্ত এঁকে ফেসবুকে সেঁটে দিয়ে অপার আনন্দ লাভ করছিলেন, আর এতদ্বারা কী প্রমাণিত হইল, জিজ্ঞাসা করলেই বুক ঠুকে বলছিলেন "পেইড ব্যাক ইন হিজ ওন কয়েন"। তাঁদের ফুর্তির দিন শেষ। ... ...
সেখানেও এখন বিধি বাম করে রেখেছেন, ওবামা সাহেব। এখন gay কি homosexuality টাইপ করুন, পাতার পর পাতা জুড়ে এখন তাঁর সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতিদানের খবর, আর তাই নিয়ে সমকামীদের হুল্লোড়বাজি । হপ্তা দুই ধরে হট টপিক। আর আরো তো আরো, homosexuality + cure দিয়ে সার্চাতে গেলে আরোই গণ্ডগোল। সমকামীদের ‘অসুখ’সারানো যেত বলে যে স্টাডি দাবি করেছিল, তা কেন ভুল, এসব বলে এতদিন মনোবিদদের পাতার পর পাতার কাউন্টার তো ছিলই, আপনাকে কনফিউজ করার জন্য সবরকম উপকরণ সহ। দুদিন আগে খোদ সেই স্টাডির মূল কত্তাই বোম ফেলেছেন। ক্ষমা চেয়ে। রীতিমতন কান্নাকাটি করে। নিজেই কইছেন, স্টাডি নাকি ভুল ছিল। ক্ষমা চেয়েছেন আলাদা করে সেই সমকামীর কাছেও যিনি নাকি ওই সারানোর থেরাপি নিতে গিয়ে আত্মহত্যা করতে বসেছিলেন। ... ...
শিলচরে বড় হবার সুবাদে ছেলেবেলা থেকে দেখতাম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীর দিন কতক পরেই পাড়ায় পাড়ায় আরেকটি দিন উদযাপনের ধুম পড়ে যেত, সেটি ১৯শে মে। ১১ শহীদের ছবি একটা চেয়ার বা অস্থায়ীভাবে তৈরি বেদীর উপর রেখে ফুলে ধূপে সাজিয়ে রাখা হতো, কেউ কেউ পাশে বাংলা দেশাত্মবোধক গান মাইকে বাজিয়ে দিত, কেউ নয়। এই রীতিতে দিবস উদযাপনের রীতিটি বোধ করি শিলচরীয়, বা কাছাড়ি ব্যাপার। কেননা, ব্রহ্মপুত্র উপত্যকাতে ওমন দেখা যায় না। রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে বা নেতাজী জয়ন্তীতে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রভাত ফেরি হতো, স্কুল থেকেই যোগ দিতে বলা হতো। কিন্তু ১৯শের কোনো পথ চলাতে গেছি বলে মনে পড়ে না। কলেজে গিয়ে জেনেছি যে ১৯শের দিনে খুব সকালে শিলচর শ্মশানে জড়ো হওয়া আর বিকেলে গান্ধিবাগ শহীদ বেদীতে –একটি নিয়মিত প্রথা। ... ...
এ লেখার নাম, ‘ধানাই পানাই’। দু হাজার তিন সাল থেকে ডায়েরির পাতায় হিজিবিজি লিখে গেছি, প্রধানতঃ নিজেই অবসরে পড়ব বলে। ডায়েরির পাতায় লিখলেও ডায়েরির মত ক্রোনোলজি নেই। মাঝে মধ্যে তারিখের উল্লেখ থাকলেও আগের বা পরের ঘটনা উল্টে পাল্টে গেছে। আমার তখন গোটা দুয়েক বাসস্থান ছিল। একটা ফ্ল্যাট ছিল, যাতে আমার পরিবারের অন্য সদস্যরা থাকত, আর আমার পৈত্রিক বাড়িটার তখন জরাজীর্ণ দশা, সেখানে থাকতাম আমি একা। কিছুটা সময় কাটানোর তাগিদেই লিখতে শুরু করেছিলাম ধানাই পানাই। ... ...
শুভ যোগ বলুন আর ত্রহ্যস্পর্শ মাইনাস ওয়ান, এমন কেলোর কীর্তি এর আগে হয়েছে কি? নারীদিবস আর দোল এবার পিঠোপিঠি। ওদিকে গালে রঙ কত জমেছে কে জানে, আমাদের লেখা জমে গেছে বিস্তর। টেকনিকাল টিমের হুড়কোয় এতদিন চুপচাপ থাকলেও এই মওকা আর ছাড়া গেলনা। জমে যাওয়া জিনিসপত্তর থেকে তুলে নিয়ে কিছু ছড়ানো-ছেটানো লেখা তোড়ায় বেঁধে হাজির করা হল এবারের স্পেশাল বুলবুলভাজায়। নতুন ভার্সানে নতুন গুরু এলে নতুন বুলবুলভাজা আবার বেরোবে। কিন্তু তার আগেই, এই সুযোগ, আর ছাড়াছাড়ি নেই। কত বাড়ি দেখা হল। এখনও তো বেশি বড় হইনি। যখন মায়ের মতন হব তখন আরো কত বাড়ি দেখব। কত ভাল কত খারাপ। মায়ের মতন বড় হওয় অব্দি কি বাড়িতে বাড়িতে কাজ করতেই থাকব? না আমি ভাবি যে বাবাকে বলব আমকে বিয়ে দিও না, আমাকে তোমার পার্টিতে নিয়ে নাও। দাদা আছে, আমিও থাকব। আমাকে ঐ চক্চকে সানাইএর মত বাঁশিগুলো বাজাতে দেবে। আমি তো বাজাতে পারি। যখন বাবা থাকে না, আমি একএকদিন বাজাই। জামাইদাদাও এগুলোই বাজায়। ওরা যা বাজাতে বলে সব বাজাতে পারি। আমি তো আর দাদার মতন নেশা খাব না, দুটো পয়সা পেলে ঘরেই আনব। বলব বাবাকে। ... ...
সেই সময়গুলোতে রানুর একটা বিশাল বিশাল জানালা ঘেরা ঘরে থাকতে ইচ্ছে করে। চারিদিক থেকে হাওয়া দেবে, জাহাজের মত। জাহাজে সে কোনোদিন চড়েনি বা দেখেনি, শুধু বইয়ে পড়েছে। তবু অনেক হাওয়ার কথা ভাবলে কেন জানিনা তার জাহাজের কথাই মনে হয়। ... ...
হে ধর্ষিতা, তুমি জান, শরীর কোথায় শেষ হয় কোথা থেকে শুরু হয় অদ্ভুত, দ্বিতীয় অপমান... ... ...
তোমরা ক্ষমা ক'রো আমার যৌনতা, আমার ক্রোমোজোম এতদিন ধরে শোষণ জ্বালিয়ে রেখেছে তোমাদের ত্রস্ত বিস্রস্ত করেছে ছিন্নমূল করেছে, মা। ... ...