মল্হারের ছবি ... ...
রু-এর ছবি ... ...
দুপুর গেল, বিকেল এল, বন্ধ তবু কক্ষ রে! ""ঘুমিয়ে মেসো পড়ল নাকি?'' বললো বিশে পক্ক রে! সন্ধ্যে হল, খতম লড়া, ছ লাইনের ছোট্ট ছড়া! বললে মেসো, ""কাটিয়ে দিয়ে জীবন লোহা-লক্কড়ে, "সাতটা কাকে' পড়তে গিয়ে, গেলুম পড়ে চক্করে।' ... ...
তিনু ছেলেটাকে নিয়ে ওদের সমস্তপুর গ্রামে এল। তারপর নিজের বাড়িতে গিয়ে বলল "ও আমার বন্ধু, ওর কোনো থাকার জায়গা নেই। ও কি আমাদের বাড়িতে থাকতে পারে?'' তিনুর মা তো আগে ছেলেটাকে দেখে নি, তাই ""না'' বলল না। তিনুর মা বলল ""হ্যাঁ পারে, কিন্তু আমাদের বাড়িতে থাকতে গেলে ওকে আমাকে কাজে সাহায্য করতে হবে''। ছেলেটা বলল ""হ্যাঁ, আমি তোমাকে সব কাজে সাহয্য করব। আমাকে প্লিজ থাকতে দাও। আমার নাম থিমু।'' তিনুর মা বলল "ঠিক আছে।'' পরের দিন তিনুর মা ঘুম থেকে ওঠার আগেই থিমু সব রান্না শেষ করে রেখেছিল। তিনুর মা ঘুম থেকে উঠে বলল, "এত তাড়াতাড়ি রান্না হয়ে গেল! তাহলে তুমি এবার বাসন ধুয়ে দাও।'' থিমু সেটাও খুব তাড়াতাড়ি করে ফেলল। ... ...
একটি মেয়ে খুব সুন্দর স্কুটার চালাত। সে আকাশের পাখিদের দেখত আর ভাবত সেও যদি উড়তে পারে। সে মাঝে মাঝে-ই দেখত একটি ছোট্টো পরী উড়ে এসে গাছের ডালে বসে তার স্কুটার চালানো দেখত। আর উড়ে উড়ে সঙ্গে যেতো। এই পরীটা ম্যাজিক জানত। সে তার ম্যাজিক ওয়্যান্ড সব সময় সঙ্গে রাখত। ... ...
খোকার গরীব দাদুর আর কিছুই ছিল না। এই একটি মাত্র সম্বল- ছাতিম পাতা। পঞ্চাশ বছর আগে এনেছিলেন ভুবনডাঙ্গা থেকে। কুড়িয়েই এনেছিলেন। বাঁকা অক্ষরে নাম লিখে দিয়েছিলেন কবি ঠাকুর- রবি ঠাকুর। ... ...
আমার বাবা আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিরকালই খুব সাবধানী। তার ফলে, সাইকেল চড়া থেকে সাঁতার- সবই আমি শিখেছি নির্ধারিত বয়েসের চেয়ে অনেক দেরিতে। পৃথিবীর ইতিহাসে আমিই সম্ভবত: একমাত্র মানুষ, যে ভারত মহাসাগরের জল মগে করে মাথায় ঢেলে স্নান করেছে। এহেন আমি মামাবাড়ি যাওয়াটাকে স্বাভাবিকভাবেই বহুবিধ অ্যাডভেঞ্চারের ছাড়পত্র পাওয়া বলে ধরে নিতাম। দাদুভাইয়ের প্রশ্রয়ে এবং উৎসাহে যেসব জিনিস জীবনে প্রথমবার করেছি তার মধ্যে ছিল সত্যিকারের খেলনা স্টিম ইঞ্জিন তৈরী করা, অন্ধকার ঘরে লন্ঠন জ্বেলে শ্যাডোগ্রাফি, মাটি দিয়ে ব্লক বানিয়ে খেলনা ছাপাখানা, নিজের হাতে তুবড়ি জ্বালানো। এমনকি একবার বাঁশ আর কাঠ দিয়ে নিজের হাতে বানিয়েছিলাম আস্ত একটা ঘর যার মধ্যে আমি নিজে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পর্যন্ত পারতাম। বাবাকে নিজের হাতে চিঠি লেখাও ওই মামাবাড়ি থেকেই প্রথম। ... ...
এরপর একদিন পেঁচা কাকের জন্য একটা সাদা জামা বানাতে শুরু করল। কিন্তু জামাটা কাককে পরাতে গেলেই সে বড্ড লাফাত। এমনই একদিন কাককে জামাটা পরিয়ে দেখা হচ্চিল ফিট করেছে কিনা। যথারীতি কাক লাফাচ্ছিল। কাকের এই তিড়িং বিড়িং পেঁচার মোটেই পছন্দ ছিলনা। তাই সে চোখ পাকিয়ে বলল, "খবরদার! আমি কিন্তু লম্ফ হাতে উড়ছি। লাফাস না!' ... ...
বড়োলোকের বড়োই অহংকার, কারণ সে নাকি আসলে রাজা। বেশ, তাকে আমরা রাজামশাই বলেই না হয় ডাকবো। তো সেই রাজামশাই পুত্রশোকে অস্থির হয়ে কোনালকে এত্তেলা পাঠালেন - রে কোনাল! আমার ছেলে তোর কি ক্ষতি করেছিলো যে তোর ছেলেরা তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে মেরে ফেললো? আমি চাইলে এখনি এর বদলা নিতে পারি, কিন্তু সে বদলা নিলে তোর আর আমার তফাত রইবে না। আমি মনস্থ করেছি, তোকে এক কঠিন কাজ দেবো। সে কাজ করতে পারলে আমি তোর ছেলেদের প্রাণভিক্ষা দেবো। লগলানের রাজার আস্তাবলে যে বাদামী ঘোড়াটা আছে সেটা নিয়ে আয়, তোর ছেলেরা প্রাণে বেঁচে যাবে। ... ...
রূপকথার পুরো জগতটা জুড়েই রাজপুত্তুর কোটালপুত্তুরদের সাথে সমান জাঁকিয়ে আছে এই সব না-মানুষরা। সে আমাদের দেশের গল্পেই বলুন আর অন্য দেশের কাহিনীতেই বলুন। রূপকথার জাদু দুনিয়ায় জন্তু জানোয়ার, পাখিপক্ষীরা যে মানুষের মতই কথা বলতে পারবে তাতে আশ্চর্য্য হবার কিছু নেই। ভালুক এসে চাষীর সাথে ফসলের ভাগ নিয়ে ঝগড়া করবে, শেয়াল আর সারস এ ওর বাড়ি নেমন্তন্ন যাবে, খরগোশ আর কচ্ছপ দৌড়ের বাজি ধরবে এসব ওখানে হামেশাই হয়ে থাকে। কিন্তু আজ আমি সেই সব না-মানুষদের কথা বলব নানান দেশের রূপকথায় যারা এক্কেবারে মানুষের মত হয়েই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রথমে আসুন দেখি আমাদের নিজেদের দেশের আঙিনায়। বাংলার রূপকথায় সেই যে ছিলো এক হীরেমন পাখি। এই হীরেমন দুনিয়ার সব প্রশ্নের উত্তর জানতো, তে¢ত্রশকোটি দেবদেবীর নাম বলতে পারতো। ... ...
একদিন একটা ভূত ছিল। ভূতটার অন্নপ্রাশন ছিল, মাংস আর খিচুড়ি রান্না করেছিল। ভূতের মা বলল, "তুঁই কিঁ চঁকলেঁট খেঁয়েঁছিঁস?' ভূত বলল, "হ্যাঁ, খেঁয়েঁছি।' ... ...
পুজো বললেই আমাদের কুঁজোর কথা মনে পড়ে। আকৃতি বললে গোবর গণেশ, প্রকৃতি বললে ল্যাবা কাত্তিক। আমরা লক্ষী বলতে ট্যারা বুঝি আর কলা বলতে বৌ। গনেশ প্রায়ই ওল্টায় বলে আমাদের ভবানী থাকেন ভাঁড়ে। বাজেটের এই হাল নিয়ে থিম-টিম আমাদের পোষাবেনা। তাই পুজো হলেই বা কি, পেরিয়ে গেলেই বা কি, আমাদের কোনো কোনো হেলদোল নেই। এবার আমাদের কোনো থিম নেই। ... ...
মিঞাদের আরো নাম আছে। পুরাতন অসমিয়াদের কাছে তারা 'ময়মনসিংগিয়া'। সম্বোধনটি তাচ্ছিল্যমিশ্রিত। তবে এর খানিক ইতিহাসভিত্তি আছে। বৃটিশদের ভূমিরাজস্বের খাঁই ছিল ভরপেট। আসামদেশ দখল করার পর সায়েবদের খেয়াল হল এখানে জমির অভাব নেই। অথচ জনসংখ্যা অপ্রতুল। রাজস্ব বাড়ানোর জন্য জমি চাষে লাগানো দরকার। ব্রহ্মপুত্রের চর, পলিজমি পাট চাষের জন্য উপযুক্ত। কিন্তু চাষ করবেটা কে? বাংলার জনঘনত্ব সেই সময় আসামের কয়েকগুণ। অতএব প্রশাসন পূর্ববঙ্গ থেকে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় চাষিদের আনার উদ্যোগ নিল। এদের প্রায় সবাই মুসলমান ছিলেন, এবং বেশিরভাগ ময়মনসিংহের। কালে পূর্ববঙ্গের মুসলমান মাইগ্রান্ট চাষি মানেই ময়মনসিংগিয়া নাম হল। বর্তমানে তাদের 'ন-অসমিয়া' নাম দিয়ে অসমিয়া সমাজে একাত্ম করার চেষ্টা চলছে। সরকারি প্রচেষ্টা আর কী। মধ্যবিত্ত মানসের অবস্থা বাসের মত। পাট চাষ নিয়ে এই লেখা,মাঝখানে শিবের গীত এসে গেছে। পরশু, ১০ অক্টোবর বেসিমারি গঞ্জে পুলিশের গুলিতে ৪ জন পাট চাষি মারা গেছেন, অনেকে আহত। দাবি ছিল পাটের জন্য ন্যায্য দামের, পাটের স্তুপ বানিয়ে ৫২ নং সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশের মাথায় ঢিল পড়লে পুলিশ কয়েন, মানে গুলি, ছোঁড়ে। ... ...
এরপরে তারা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে এবং প্রায় সারারাত জিজ্ঞাসাবাদ করে। এই জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাদের জিজ্ঞাসা ছিল প্রধানত বিভিন্ন আন্দোলনে আমি ঘরের খেয়ে বনের মোষ কেন তাড়াচ্ছি, আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না হয়েও কেন তাদের আন্দোলনে যোগ দিয়ে নিজের জীবন হুমকির মুখে ফেলেছি, এই রাষ্ট্রবিরোধী কাজের জন্য আমি অর্থনৈতিক ভাবে কীভাবে লাভবান হয়েছি, এত বড় এবং লম্বা লেখা আমি কোন ধরণের আর্থিক সুবিধা ছাড়া কেন লিখলাম সেটা, আমি নাস্তিক কিনা, আমি শুকর খাই কিনা, নামাজ রোজা কেন করি না, ধর্মবিরোধী লেখা কেন লিখি, ইত্যাদি। ... ...
কেশ বিন্যাসটাই দেখুন। অন্তত: পাঁচ আঙুল লম্বা চুল। তাতে বিনুনি করা। আর একটি খুব মোটা টিকি। বড় হাতলওয়ালা করাতের মতন দাঁত, তেমন একটি চিরুনি মাথায় গোঁজা। গলায় সরু হার। আঙুলে আংটি। কানে দুটো দুটো দুল, দলবীটক আর সীসপত্রক। সারা গায়ে কুমকুম ঘষে একটা হলদেটে আভা বেরোচ্ছে, বা বা নয়নাভিরাম। পরনের কাপড়টি ও হলুদ রংএর। পায়ে মোম দিয়ে বিজানেও হরির কাজ করা লোহার নাল লাগানো জুতো,খট খট শব্দ হবে কিন্তু পায়ে ব্যথা লাগবে না। সঙ্গে ল্যাপটপ নেই। আছে সদা-সর্বদার তাম্বুল বাহক ভৃত্য। তার ও গলায় মালা, তবে সেটি বড়ো পুঁতির মালা। তার নখগুলি রঙিন। হাতে শাঁখের মোটা বালা। ... ...
পুজোর সময়টা একটু ব্যস্ত থাকব। তেমন কিছু না, একটু ঘুরতে হবে আর কি। নানা বেড়াতে-টেড়াতে নয়। ওসব সুখ কি আর কপালে আছে? সাধ করে তো আর যাচ্ছি না। এই বুড়ো বয়সে কোথায় পায়ের উপরে পা তুলে আয়েস করব, লোকজন এসে প্রণাম টনাম করবে, অনেকদিন তো হল এবার একটু প্রধানমন্ত্রী হন স্যার বলে সাধবে, তা নয়, আবার রথে চড়তে হচ্ছে। না না কলা-টলা বেচতে যাচ্ছি ভাববেন না। ওটা বজরং দলের ডিপার্টমেন্ট। গদা হাতে ল্যাজ লাগিয়ে লাফাবে, কলা-টলা বেচবে। হই-হল্লা করবে। ওসব ছোটোখাটো জিনিস নিয়ে আমি মাথা ঘামাইনা। ... ...
প্রথম গল্প বডিগার্ড সিনেমার। একটু ভূমিকা করে নিই সিনেমার গল্প শুরু করার আগে। যাওয়া নিয়ে বিস্তর ঝামেলা হল বলে বলা। ফার্ষ্ট ডে ফার্ষ্ট শো যাবার ইচ্ছে ছিল। এবার দোষের মধ্যে নিয়ে চারটা টিকিট বুক করে ফেলেছিলাম। পাঁচ রুমমেট। একজন রুমমেট আবার সলমন খানের ডাইহার্ড ফ্যান। আর একজন যাই দেখাবে তাই দেখবে। আর দুজনের একজন অবশ্যই যাবে ধরে ঘরে ফিরে বুঝলাম হিসেবে ভুল হয়েছে। সলমন ফ্যানের আপিস আছে। বাকিরা কেউ যাচ্ছে মাসির বাড়ি তো কেউ জয়পুর। সিনেমা দেখতে যাবার লোকই পাওয়া যাচ্ছে না। ফ্রিতে দেখাবো ঘোষনা করলাম। তাও কেউ রাজি হয়না। লোকজনকে পাকড়াও করে হাতে পায়ে ধরাধরি শুরু করেও দেখি সাকুল্যে তিনজন হল। যথা লাভ। এদিকে এতোশতো করতে গিয়ে হয়ে গেলো দেরি। টিকিটের ঘরে দেখি লম্বা লাইন। লোকে অ্যাডভান্স টিকিটের জন্য ভিড় করে আছে। তার মাঝে টিকিট নিয়ে যখন হলে ঢুকছি তখন দেখছি অলরেডি বিশ মিনিট হয়ে গেছে। তো সিটে বসতে যাবো , দেখি সিট বেদখল!!!! লাও ঠ্যালা। অনেক কষ্টে নিজের সিট নিজের দখলে অ¡য়েশ করে বসলাম। ... ...
পুজোর জগতেও এবার এসে গেল পরিবর্তন। ষষ্ঠীর দিন এক বাংলা চ্যানেল জানালেন, এবার ফোকাসে পরিবর্তন। আর কলকাতা-কলকাতা নয়। এবার পুজো গোটা বাংলার। এবার পুজো বৃহৎ চেতনার। বঙ্গ চেতনা ও মানবচেতনার। ছোটোখাটো ইস্যুতে থিমকে আর বেঁধে রাখা যাচ্ছেনা যাবেনা। হাওড়ার পুজো কমিটির প্রধান জানালেন, তাঁদের এবারের পুজোর থিম জঙ্গলমহল, সাঁওতাল সমাজ ও নাগাল্যান্ড। জঙ্গলমহল আর ভূমিপুত্র না হয় বোঝা গেল, কিন্তু নাগাল্যান্ড কেন? না, নাগাল্যান্ড সরকার তাদের ভূমিপুত্রদের নিয়ে যে ধরনের উন্নয়ন ঘটিয়েছে, বাংলার সরকার দশকের পর দশক ধরে তার কানাকড়িও করতে পারেননি। এই জ্বলন্ত ইস্যুকেই তাঁরা তুলে ধরছেন তাঁদের থিমে। অন্যদিকে সল্টলেকের পুজো কমিটির প্রধান জানালেন, তাঁদের এবারে থিম নারীশক্তি। যিনিই ত্রাতা, তিনিই মাতা। ভাবছেন সে আর নতুন আর কি হল? দেবী দুগ্গা তো এমনিতেই নারী শক্তি। কিন্তু শুনতে সোজা হলেও আসলে ব্যাপার ততটা নয়, এসব বুঝতে হবে পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও বৃহৎ পরিপ্রেক্ষেতির প্রেক্ষাপটে। এ নারী তো সে নারী নয়। এ যে পরিবর্তিত নারী। ... ...
আঙুলের ছোঁয়া লাগছিল মুখে, কখনও চোখ, কখনও নাকের পাশে। আলগোছে। হাল্কা ছোঁয়া। অথচ শিরশির করছিল শরীর। সমস্ত শরীর। আঙুলের নখ ছুঁয়ে যাচ্ছিল কানের পাশের গাল। আলতো। চন্দনের ঘ্রাণ আসছিল। চোখ বুজে আসছিল কপালে ঈষৎ সূচালো কিছুর স্পর্শে । সে স্পর্শ যেন অবিচ্ছিন্ন তরঙ্গের মত কপালকে ছুঁয়ে যাচ্ছিল নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে। ও চোখ খুলতে চাইল। চোখের পাতা ভারি ঠেকল। সামনে দেখল হালকা কচি কলাপাতা রং, লাল পাড়ে ঘেরা। ... ...
বাতাসি জানে না আজ ফেব্রুয়ারি মাসের একুশ তারিখ। শীত সামান্য কমে আসার ফলে এখন সে তার ছেঁড়া পোশাকেও খুব ভোরে বেরোতে পারে। সে ঠিক করেছিল আজ নতুন বাড়িগুলোর পেছনের গলিতে যাবে। সে ঠিক জানে এখনও ওদের দলের কেউ ওখানে যায়নি। ... ...