এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ইকনমি ক্রাইসিস ডোমেস্টিক মার্কিন গ্লোবাল

    lcm
    অন্যান্য | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৮ | ৩৫৪৮৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dri | 117.194.224.77 | ০৮ জুন ২০০৯ ০০:৩৬403472
  • :-))। আমার আগের পোস্টের 'হাওয়ার কাট' হেল গে 'আওয়ার কাট।

    ওমনাথকে হাম্পি। তবে শুন বাছাধন, কানাকে কানা বলিতে নাই।

    রঙ্গন বাকি রইলেন।
  • Arpan | 122.252.231.12 | ০৮ জুন ২০০৯ ০১:১৭403473
  • বাবু ইন্দ্রনীল আউটসোর্সিং নিয়ে কিছু বলেননি?
  • dri | 117.194.227.194 | ০৮ জুন ২০০৯ ১০:৩০403474
  • আউটসোর্সিং কথাটা সরাসরি ব্যবহার করেন নি ইন্দ্রনীল। কিছুটা রিলেটেড বিষয় নিয়ে মত দিয়েছেন, গ্লোবালাইজেশান। বলেছেন, গ্লোবালাইজেশান ধাক্কা খাচ্ছে। সব দেশের মধ্যেই বর্ডার টাইট করার প্রবণতা দেখা দিচ্ছে।

    তবে আউটসোর্সিং নিয়ে ভিন্ন জায়গায় একটা খবর দেখলাম, http://www.marketwatch.com/story/indian-outsourcer-outsources-to-brazil। হয়ত অলরেডি জানেন।
  • r | 198.96.180.245 | ০৮ জুন ২০০৯ ১৬:৪৭403475
  • রঙ্গনচক@জিমেইল ডট কম।
  • ranjan roy | 122.168.76.85 | ০৯ জুন ২০০৯ ১১:৪৪403476
  • ভগবান-সুতোয় শ্যামলের বক্তব্য পড়ে ফোঁড়া ফেটে গেছে।চেয়ারে বসতে পারছি, কাজেই শ্যামলই এখন আমার ভগবান।
    ভাবছি অমেরিকা ও ভারতের ইনফ্লেশন নিয়ে আমার চল্লিশ বছর আগের জং ধরা কনসেপ্ট নিয়ে কিছু বলি।
    ভাট বকলে দ্রি, অনামিক ও রঙ্গন ধরিয়ে দেবেন।

    ক্লাসিক্যাল ইউরোপীয় কন্সেপ্টে একটা দেশে যত বেশি ফ্যাক্টর্স
    অফ প্রোডাকশন( পড়ুন: ভূমি, শ্রমশক্তি, পুঁজি, সংগঠন) তাদের ফুল পোটেন্সিয়ালের লিমিটের দিকে ব্যবহার হতে থাকবে, ততবেশি ইকনমির চাকা জোরে ঘুরবে, ন্যাশনাল প্রোডাক্ট, প্রতি ব্যক্তি আয় বাড়বে, লোকের রোজগার বাড়বে, বাজারে জিনিসের চাহিদা বাড়বে। কাজেই মুল্যবৃদ্ধি হবেই। কিন্তু সেটা সেকুলার। লোকের বাড়তি আয়, লাগাতার উৎপাদন বৃদ্ধি সেটাকে অ্যাডজাস্ট করে দেবে। যেমনি দিল্লির প্রচন্ড গরমে যদি অফিসটা এসি থাকে তাহলে কারও কাজ করতে অসুবিধে হবে না। আমার মত ফোঁড়াও হবে না।
    এই ট্রেন্ডটা ভারতে মোটামুটি ভাবে ১৯৯৫-২০০৫ অব্দি দেখা গেছে।
    কিন্তু এখন?
    আবার আরেকটা ফেনোমেনন আছে যাকে বলে-- stagflation। অর্থাৎ আর্থিক stagnaancy plus inflation. এই অবস্থায় শুধু দাম বাড়ে, রোজগার বাড়ে না, আয় বাড়ে না,আর্থিক চাকার স্পীড কমতে থাকে। অর্থাৎ এইটাতে inflation and deflation, দুটোরই নেগেটিভ ফিচারগুলো থাকে।
    দ্রি এই ফিচারগুলো বর্তমান আমেরিকায় দেখতে পাচ্ছেন।
    ভারতে এই অবস্থা ১৯৭১ থেকে প্রায় ১৯৮০ অব্দি ছিলো। বাংলাদেশ যুদ্ধের পর থেকে। ১৯৭৩ এ বোম্বে ইউনিভার্সিটির ড: পি আর ব্রহ্মানন্দের নেতৃত্বে প্রায় চল্লিশজন ইকনমিস্ট হস্তাক্ষর করে ইন্দিরা ম্যাডমকে পরামর্শ দিয়েছিলেন -- ডি-মনিটাইজেশন করতে। ড: মিন্‌হাস ইন্দিরাজীর ""গরীবী হটাও'' প্ল্যানকে ফিয়েজিবল্‌ বলে মানেন নি, প্ল্যানিং কমিশন থেকে ইস্তফা দিলেন। অশোক মিত্র মশাই প্রায় ঐ সময়েই ইন্দিরার ইকনমিক অ্যাডভাইসার হয়েছিলেন বা ফিনান্স কমিশনের চেয়ার্ম্যান হয়েছিলেন, রঙ্গন ভালো বলতে পারবেন--সে আরেক গল্পো।
  • r | 125.18.104.1 | ০৯ জুন ২০০৯ ১৩:২৩403478
  • ইন্দ্রনীলবাবু তো প্রবন্ধ লেখেন নি। বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য খবরের স্ন্যাপশট দিয়েছেন। এবং সেই প্রসঙ্গে কিছু সম্ভাব্য ফলাফলের উল্লেখ করেছেন। মতামত দেবার মত বিশেষ কিছুই নেই। তবে সঞ্চয়ের হার বাড়া সবথেকে উল্লেখযোগ্য খবর। কিন্তু এই সঞ্চয়কে বিনিয়োগে পরিণত করতে গেলে যতটা ভরসা লাগে সেটা মনে হয় এখনও ফেরে নি। যে কারণে এন এ সি এম ক্রেডিট ম্যানেজার'স ইনডেক্স এখনও পঞ্চাশের নীচে। অন্যদিকে উপভোক্তার খরচের হারও বাড়ে নি। সঞ্চয়কে বিনিয়োগে রূপান্তরিত করা গেলে উপভোক্তাদের খরচের হার না বাড়ার খারাপ দিকটা খানিকটা এড়ানো যেত। সেটা দেখা যাচ্ছে না। কিছু কিছু ভালো খবর আছে। কিন্তু শুধু সেই ভালোর ভারে অর্থনীতি উঠবে কিনা তা নিয়ে ইন্দ্রনীলবাবুকেও খুব একটা আত্মবিশ্বাসী লাগল না। আমাদের মতই। :-)

    এই মন্দার মিডিয়াম-টার্ম প্রভাব নিয়ে প্রণববাবুর এই লেখাটা পড়তে পারেন। মোটামুটিভাবে আমারও এইরকমই মনে হয়:

    http://www.outlookindia.com/full.asp?fodname=20090410&fname=pranab&sid=1&pn=1
  • arjo | 168.26.215.13 | ০৯ জুন ২০০৯ ২০:২৫403479
  • প্রণব বাবুর লেখাটা অতীব সুন্দর। নিজের ভেস্টেড ইন্টারেস্ট, অল্পবিস্তর খবরা খবর যা সংগ্রহ করি এবং বিশ্বাস কয়েক লাইনে লেখা। পড়লেই মেনে নিতে ইচ্ছে করে।
  • shyamal | 67.60.248.108 | ০৯ জুন ২০০৯ ২১:২৩403480
  • এল সিএমের দেওয়া লিঙ্কটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতে সত্যি বলতে কি, সরকারী লেভেলে ধনী, গরিবের যে মাপ নেওয়া হয় তা হয় অসম্পুর্ণ বা ভুল। কিন্তু এখন NCAER, Indicus, CMIE ইত্যাদি বেসরকারি সংস্থা হয়েছে যাদের মাপ ঠিক হতেই হবে কারণ বেসরকারি কোম্পানিরা তাদের কাছ থেকে প্রচুর পয়সা দিয়ে এই রিপোর্টগুলো কেনে তাদের বাজার ও ভবিষ্যৎ নীতি ঠিক করার জন্য।

    এই সার্ভেতে একটা জিনিষ লক্ষ্যণীয় যে গরিব পরিবারের সংখ্যা মাত্র দুবছরে (২০০৬ থেকে ২০০৮) ৪.২% পড়েছে। এটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এসব পরিবার হল যাদের পারিবারিক আয় বছরে ৭৫০০০ টাকার কম। ভারতে প্রায় ২২০ মিলিয়ন পরিবার আছে। তার মানে এই দুবছরে প্রায় ১০ মিলিয়ন পরিবার বা পাঁচ কোটি লোক গরিবত্ব অতিক্রম করে নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেনীতে ঢুকেছে। এদের পারিবারিক আয়
    0 to Rs 75000 ব্র্যাকেট থেকে 75K to 150 K ব্র্যাকেটে গেছে। এটা দেশের পক্ষে বিরাট অ্যাচিভমেন্ট।
  • shyamal | 67.60.248.108 | ০৯ জুন ২০০৯ ২১:৩১403482
  • দুতিনদিন আগে NYT তে খবর বেরিয়েছে যে ভারতীয়রা তো বটেই, এমনকি মেক্সিকানরা পর্যন্ত দলে দলে আমেরিকা ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এবছর এখন পর্যন্ত যত মেক্সিকান ঢুকেছে, চলে গেছে তার চেয়ে বেশী।
  • lcm | 69.236.189.2 | ১০ জুন ২০০৯ ১০:২০403483
  • আমি জানতাম কলকাতা-র বড়লোকেরা আলিপুর আর সল্ট লেকে থাকে। কিন্তু, এই নিউজ আর্টিক্‌ল-এ দেখলাম যোধপুর পার্ক।
  • nyara | 64.105.168.210 | ১০ জুন ২০০৯ ১০:৪৮403484
  • সল্ট লেকে বড়লোক থাকে না, আমি ঠিক জানি। দু চারটে ছুটকো-ছাটকা বড়লোক ঘুসে যেতে পারে, কিন্তু বাকি সব আমাদের মতন।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১০ জুন ২০০৯ ১০:৫১403485
  • কে বল্ল? সল্লেকে বাড়ির দাম কিছু না হলেও ৫০০০/স্কোয়্যার ফিট। যোধপুর পার্কে ৪ থেকে ৫০০০। বাড়ির দাম থেকে আইডিয়া পাওয়া যায় কোথায় কারা থাকে। সল্লেকে একটা বাড়ির দাম কিছু না হলেও কোটি।
  • nyara | 64.105.168.210 | ১০ জুন ২০০৯ ১১:০৩403486
  • হ্যাঁ, আজকাল সব ধনীরা আসছে। আমি পুরনো সল্ট লেকের দিকে বলছি। আমার বাবাদের মতন লোকেরা ধার-ধোর করে, প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ধার নিয়ে বাড়ি করা পাবলিক। সে বাড়ির দাম হয়তো এখন বেড়েছে (অরিজিত যত বলল তত নয় যদিও)। কিন্তু এরা অধিকাংশই বেচব বলে তো বাড়ি করেননি। সেটাও বোধহয় দাম বড়ার আর একটা কারণ। ইনভেন্টরি কম।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১০ জুন ২০০৯ ১১:১৫403487
  • মাইরি বলছি - সব ওইরকম দাম। সুলেখা বা অন্যান্য যে কোনো প্রপার্টি সাইটে এই রকম দামই দেখায়।

    যখন সল্লেক তৈরী হল তখন তো লটারি করে জমি দিয়েছে - বাবা একটা জমি পেয়েও ছেড়ে দিয়েছিলো। থাকলে এখন এই রোজ টালিগঞ্জ-সেক্টর ফাইভ ঠ্যাঙাতে হত নাকি?
  • pi | 69.143.119.233 | ১০ জুন ২০০৯ ১১:২৭403488
  • শ্যামলবাবু, এটা নিয়ে কোন বক্তব্য ?

    http://www.rediff.com/www/money/2009/jun/03unicef-attacks-indias-record-on-poverty.htm

    In a report on the impact of the global financial crisis on women and children in south Asia, Unicef said that food and fuel price shocks had increased the number of people suffering chronic hunger by 100m to more than 400m people. Of these, 230m are in India, where 76 per cent of the country's 1.2bn people live on less than $2 a day. Among many households, as much as 80 per cent of income is spent on food, making them highly sensitive to rice and wheat price fluctuations.....

    Mr Singh's championing of "inclusive growth" was electioneering and had left large swathes of the population untouched, he said.


    এটা কিন্তু অর্জুন সেনগুপ্ত কোনো EPW র পেপার না, সাইনাথের কথা না।
    ইউনিসেফের রিপোর্ট ।
  • lcm | 69.236.189.2 | ১০ জুন ২০০৯ ১১:৪২403489
  • পাই, এই প্রসঙ্গে মনে পড়ল। লিংক-টা হাতের কাছে নেই। বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট এবং জ্বালানি সংকট একসঙ্গে হুড়মুড় করে এসে পড়লে, কোথায় nse বা nyse স্টক মার্কেট ক্রাইসিস, গ্লোবাল ইকনমিক ক্রাইসিস, হাউসিং স্লো ডাউন, বা, গোর/পাচৌরি-র নোবেল পাওয়া গ্লোবাল ওয়ার্মিং... এ সব সংকট তুচ্ছে পরিণত হবে। যদিও বা পৃথিবীর এক প্রান্তে কিছু উদ্বৃত্ত খাবার পাওয়া যায়, তাকে অন্য প্রান্তে নিয়ে যাবার মতন জ্বালানি থাকবে না।
    নতুন করে ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন এর দরকার হবে :-)
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১০ জুন ২০০৯ ১১:৪৯403490
  • কেন - তখন বাজার কিছু করবে না?
  • lcm | 69.236.189.2 | ১০ জুন ২০০৯ ১১:৫৪403491
  • ম্যালথুশিয়ান ক্যাটাসট্রফি/ট্র্যাপ এর প্রবক্তা
    http://en.wikipedia.org/wiki/Thomas_Malthus

  • anaamik | 196.15.16.20 | ১০ জুন ২০০৯ ১২:২৭403494
  • দ্রি তো সুন্দর করে সামারি করেই দিয়েছেন। তাও পড়া করেছি বোঝাতে খান-দুই কথা -

    ১। ইন্টারেস্ট কভারেজ রেশিও - এটা লিক্যুইডিটির মাপ। সাধারণভাবে, এই সংখ্যা-টা যত বেশী হবে, একটি এন্টিটি-র সুদ দিতে পারার (এবং আসল শোধ করতে পারার) ক্ষমতা তত বেশী বলে মনে করা হয়।

    ২। বুক-টু-বিল অনুপাত - এটা সাবেক ইআর্পি-র অর্ডার-টু-ক্যাশ চক্রের মত। পুরো রিয়েল ইকোনমি-টাকে যদি একটা ব্ল্যাক বক্স বলে ধরে নেয়া যায়, তাহলে সমস্ত অর্ডার বুকিং হল তার ইনপুট আর সমস্ত আউটপুট-কে মাপা যায় কতটা রেভিন্যু বিলেব্ল্‌ হল তাই দিয়ে। এখানে অ্যাব্‌সল্যুট সংখ্যা-টা তত গুরুত্বপূর্ণ নয়, যতটা তাদের রিলেটিভ মাপ। যদি অর্ডার-এর পরিমাণ মোট শেষ হওয়া কাজের থেকে বেশী হয়, তার মানে ব্যাকলগ মেটাতে আরো বেশী উৎপাদন করা প্রয়োজন, অর্থাৎ আরো বেশী লোক-কে কাজে নেওয়া দরকার, অর্থাৎ আরো বেশী কাজ সৃষ্টি হতে চলেছে। আর উল্টোটা হলে উল্টো রকম ভাবে চাকা ঘুরবে।

    আর, ইয়ে ২.৫ - খারাপ ইন্‌ফ্লেশ্যন, ভালো চাকরি এসব নিয়ে বলতে গেলে ফিলিপ্স কার্ভ থেকে শুরু করে প্রচুর শক্ত ব্যাপার-স্যাপার আসবে, যা নিয়ে আমি কিচ্ছু জানি না। তাই ওখানে দু-আনা দেওয়া জাচ্ছে না।

    (আমি কাউকে বোর করতে চাই নি।)
  • anaamik | 196.15.16.20 | ১০ জুন ২০০৯ ১২:২৮403495
  • *যাচ্ছে না।
  • shyamal | 67.60.248.108 | ১০ জুন ২০০৯ ১৬:২৬403496
  • পাই,
    আমার অবশ্যই এব্যাপারে বক্তব্য আছে। প্রথমত: unicef সম্বন্ধে। আপনি কি মনে করেন এরা নিজেরা গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে? এদের কটা কেরানী বসে আছে নিউ ইয়র্ক বা জেনিভায়। সেগুলোর টাইটল হয়তো ফিল্ড ডিরেকটার বা ওরকম কিছু, কিন্তু ওগুলো পাতি কেরানী। এরা কেউ ১৭০টা দেশে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেনা, নির্ভর করে সেদেশের সরকারী তথ্যের ওপর। তাই ওরা বলেছে 76% live on less than $2 per day। এটা এক্স্যাক্টলি অর্জুন সেনগুপ্তের তথ্য। আর সেটা যে ভুল তা আমি অন্যত্র দেখিয়েছি। ২০০৪-০৫ এ ছিল ৬৫%। এখন ২০০৯ এ যদি ৪০% হয় আমি আশ্চর্য হবনা। ঐ ৭৬% টা গাঁজা।
    এমনকি UNHDR ও মনে হয় পুরো নির্ভর করে সরকারী তথ্যের ওপর। এখন পাকিস্তান বা চীনের সরকারি তথ্য আপনি বিশ্বাস করতে পারেন। আমি করবনা। বিভিন্ন জায়গায় বলা হয়ে থাকে যে চীন দারিদ্র অনেক কমিয়ে ফেলেছে। ভারতে ২৬% গরীব আর চিনে মাত্র ৪%। কিন্তু এটা তো স্বৈরতান্ত্রিক চীনের সরকারি তথ্য। তা সত্যি কিনা কে বলেছে?
    চীনের মোট জিডিপি ভারতের চেয়ে অনেকটা বেশী। কিন্তু আবার জিনি ইনডেক্স ভারতের চেয়ে অনেক খারাপ। তা ছাড়া ভারতের অর্থনীতি বাড়ছে আভ্যন্তরীন বৃদ্ধির জন্য। চীনে তা একেবারেই নয়।
    এই তথ্যগুলো নিয়ে সুনীল জৈন দেখিয়েছেন যে চীনের সবচেয়ে নীচের ২০% মানুষ ভারতের সবচেয়ে নীচের ২০% এর চেয়ে মোটেই ভাল নেই। দুই গ্রুপের অবস্থা প্রায় এক। তার মানে হল চীনে ৪% গরিব এই সরকারী তথ্য মিথ্যা।
    http://www.business-standard.com/india/storypage.php?autono=268311
    তবে মানতে হবে যে সাক্ষরতার দিক দিয়ে চীন এগিয়ে।

    ইদানিং চিনেদের সঙ্গে ওয়েবে তর্ক করতে গিয়ে অনেক কিছু জানলাম। চীনে আজও কোন বিদেশী সাংবাদিক যেখানে ইচ্ছে যেতে পারেনা। কাজেই দেশে কজন গরীব সেটা ভারতে মাপা অনেক সহজ, চীনে নয়। আপনি যদি ভারতীয় নাগরিক হন, সে যত গরিবই হোন না কেন, চাইলে ট্রেনে টিকিট কেটে বসলে দিল্লি বা মুম্বাই বা কলকাতা যাওয়ার স্বাধীনতা আপনার আছে। চীনে এই স্বাধীনতা নেই। আপনি যদি হুনানের গ্রামে থাকেন আর কোন ক্রমে বেজিংএ একটা চাকরী পেলেন, আপনার বেজিংএ বসবাসের জন্য পারমিট কিনতে হবে। আপনি আর স্পাউজ আসতে পারবেন। কিন্তু ছেলেমেয়ে এলেও বেজিংএর স্কুলে অয়াডমিশন পাবেনা। সেজন্য ছেলেমেয়েরা গ্রামেই থাকবে দাদু, ঠাকুমা, মামা, কাকার কাছে। বর্তমানে এরকম কয়েকশো মিলিয়ন পরিবার আছে যেখানে বাবা মা শহরে আর ছেলেমেয়ে গ্রামে আত্মীয়ের সঙ্গে থাকছে। এর নাম হুকো (hukou) সিস্টেম। মানুষগুলোকে হুঁকোয় পুরে পলিটব্যুরো সুখটান দিচ্ছে।
  • dri | 117.194.228.233 | ১১ জুন ২০০৯ ১০:০০403497
  • চীনের সরকারী তথ্য বিশ্বাস করছি না। করব না। কিন্তু সুনীল জৈনের কথা এবং তাঁর লেখায় জনৈক লার্ডির কথাই বা কেন বিশ্বাস করব সেটা বুঝলাম না। আর ইউ এন এইচ ডি আরের তথ্য না বিশ্বাস করলে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের তথ্যই বা মানব কেন? ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের কোন অফিশিয়ালই বা চীনের গ্রামাঞ্চলে ঘুরে বেড়াচ্ছে তথ্যের সন্ধানে?

    আজকালকার দিনে এই স্ট্যাটিসটিক্স হয়েছে এক সমস্যা। এত রকমের স্ট্যাটিসটিক্স দিয়ে মিডিয়া ভরে দেওয়া হয় যে সবাই তার মনের মত কিছু না কিছু ডেটা পেয়েই যায়।

    এই ধরা যাক, এই তথ্যটি। গত ৫ বছরে পাঁচ কোটি লোকের পারিবারিক আয় ৭৫০০০ অতিক্রম করেছে (ভারতে)। তাই পুষ্পবৃষ্টি হওয়া উচিত। কিন্তু গত পাঁচ বছরে যেমন গ্রোথ হয়েছে, তেমন পাল্লা দিয়ে ইনফ্লেশানও খুব হয়েছে। ইন ফ্যাক্ট গ্রোথের একটা বড় অংশই ইনফ্লেশানের ঘাড়ে চেপে। পাঁচ বছর আগে ৭৫০০০ টাকার যে পার্চেজিং পাওয়ার ছিল আজ তা নেই। এই আয়ের ব্র্যাকেটগুলো কি ইনফ্লেশানের সাথে সাথে অ্যাডজাস্ট করা হয়? অ্যাডজাস্ট করলে হয়ত দেখা যেত পাঁচ কোটি ফিগারটা অনেক কমে গেছে।
  • pi | 69.143.119.233 | ১১ জুন ২০০৯ ১১:৫৮403498
  • শ্যামলবাবু , :)

    আপনি যেখানে ঐ হিসেবে ভুল দেখিয়েছেন বলে ক্লেইম করেছেন, সেটা আপনার ভাষাতেই,
    The NCEUS claims that 836 million Indians or 77% live on Rs 20 per day

    আর এখন আপনি বলছেন, Uniecef এর রিপোর্টের 76% live on less than $2 per day তথ্য হল একজ্যাক্টলি সেই তথ্য।

    তার মানে, $2= ২০ টাকা?

    :)

    যাগ্গে।
    আমি যদ্দুর জানতাম, unicef এর তথ্যটা world bank এর তথ্যের ভিত্তিতে।
    http://www-wds.worldbank.org/external/default/WDSContentServer/IW3P/IB/2008/08/26/000158349_20080826113239/Rendered/PDF/WPS4703.pdf

    কাল সকালে এসে নিশ্চিতভাবে দেখবো, আপনি উত্তর দিয়েছেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক কি আর নিজে কাজ করে ? ঐ ঐ ভারত সরকারের ডাটা ই নিয়েছে।
    তাই তো ?
    :)
  • pi | 69.143.119.233 | ১১ জুন ২০০৯ ১৪:১৪403499
  • আর ভালো কথা।

    আপনি সমানে বলে চলেন, অর্জুন সেনগুপ্ত ভুল তথ্য দিয়েছেন।
    কারণ উনি নাকি বলেছেন, ভারতে ৭৭% লোক দিনে ২০ টাকার কম আয় করে।

    এই নিয়ে আপনি তো টই ও খুলেছিলেন, আর তারপর অনেকে মিলে আপনাকে বোঝালো ও , অর্জুন সেনগুপ্ত এরকম কিছু বলেননি।
    ১।আয় এর কথা বলেননি ।
    ২। ৭৭% এর হিসেবটা দিয়েছেন extremely poor, poor, marginal
    and vulnerable
    এই চারটে গ্রুপ মিলিয়ে।
    এই চারটে গ্রুপ কুড়ি টাকার কম ব্যয় করে বলে উনি কোথাও দেখাননি।
    ভালনারেবল ক্লাসটার ঊর্ধ্বসীমা মোটেও কুড়ি টাকা নয়।
    ৩। উনি একটা শব্দ ব্যবহার করেছেন, average
    http://epw.in/epw//uploads/articles/12054.pdf

    হ্যাঁ, এই ডাটা র ভিত্তিতে অনেক মিডিয়া তে বলা হয়, ভারতে ৭৭% লোক দিনে ২০ টাকার কম আয় করে।সেটা ভুল।

    ইউনিসেফ যদি এই তথ্যের ভিত্তিতে ঐ স্টেটমেন্ট দিয়ে থাকে, তাহলে গন্ডগোল আছে।
    কিন্তু ভারত সরকারের এ ব্যাপারে একাধিক এস্টিমেট রয়েছে, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের আলাদা এস্টিমেট রয়েছে। আর ইন য়াক্ট ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের হিসেবে সংখ্যাটা আরো বেশি।

    এটা দেখেছেন কি আপনি ?

    The number of people living below a dollar a day is down from 296 million in 1981 to 267 million people in 2005. However, the number of poor below $1.25 a day has increased from 421 million in 1981 to 456 million in 2005. This the biggest challenge facing India today.....To assess global poverty on comparable terms, we use an average of the national poverty lines of the world’s 15 poorest countries to determine the international poverty line at $ 1.25 per day at 2005 PPP prices. India, on the other hand, measures its poverty according to its own national poverty line which, in 2005 PPP, translates to $ 1.02 per day.

    আচ্ছা, একটা কথা জানার ছিলো।
    এই যখন বলা হয় , people live on less than $2 বা $1, তখন সেটা ঠিক কি বোঝানো হয় ? purchasing power এর ইক্যুইভ্যালেন্স? টাকার হিসেবে সেটা বছর বছর বদলে যাবে তো তাহলে? হয়তো খুব বেসিক প্রশ্ন। কিন্তু কেউ এটা একটু ভাল করে বুঝিয়ে বললে ভালো হয়।
  • shyamal | 67.60.248.108 | ১১ জুন ২০০৯ ১৭:২১403500
  • পাই,
    ২০০৪-০৫ এ ২০ টাকা ছিল $2 এর সমান PPP বেসিসে। অর্থাৎ আমেরিকায় $2 এর যা ক্রয়ক্ষমতা, ভারতে ২০ টাকার মোটামুটি একই ক্রয়ক্ষমতা। সেটা বোধ হয় অর্জুন সেনগুপ্তের (NCEUS) রিপোর্টেও বলা ছিল।

    আপনি ঠিকই ধরেছেন। PPP প্রতি বছর পাল্টে যাবে। কিন্তু PPP কোন বিজ্ঞান নয়, কতগুলো জিনিষের দাম থেকে এটা বের করা হয়। এটা একটা ট্রেন্ড দেখায়, কিন্তু প্রিসাইজলি দুই দেশের জীবনযাত্রার মানকে তুলনা করা যায়না PPP দিয়ে।

    যেমন আমি কাল বেগুন কিনলাম $1.50 per pound দিয়ে। টাকায় বদলালে কিলো ১৬০ টাকা। আর আনন্দবাজারে দেখলাম এখন ২০ টাকা। তাহলে বেগুন দিয়ে হিসেব করলে US $3.10 = Rs 20। তার মানে PPP তে ডলার হচ্ছে ৬ টাকা।
    অন্যদিকে আপনি BMW কিনতে গেলে এখানে যেই মডেলের দাম $50000 সেটা দেশে ৫০ লাখ। তখন ডলার হয়ে যাচ্ছে PPP তে ১০০ টাকা।

    দ্রি,

    আপনি জিডিপি গ্রোথ দেখলে ইনফ্লেশন দেখবেন না। কারণ জিডিপি গ্রোথ ইনফ্লেশন বিয়োগ করে হিসেব করা হয়। যদি ভারতে কোন বছরে মোট গ্রোথ হয় ১৫% আর ইনফ্লেশন ৭% তবে জিডিপি গ্রোথ হল ৮%।

    কিন্তু অবশ্যই মানুষের আয় হিসেব করার সময়ে ইনফ্লেশন অ্যাডজাস্ট করা হয়না। অর্থাৎ যদি একজনের আয় ৭৫০০০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০০০০ হয়, সেটা ইনফ্লেশন বাদ দিয়ে নয়।

  • shyamal | 67.60.248.108 | ১৫ জুন ২০০৯ ০৯:১৯403502
  • ফরিদ জাকারিয়া নিউজউইকে একটি গভীরতাপুর্ণ রচনা লিখেছেন : The Capitalist Manifesto : Greed is good

    উল্লেখ্য, greed is good কথাটি প্রথম বলেন গর্ডন গেকো (মাইকেল ডগলাস), Wall Street ছবিতে।

    http://www.newsweek.com/id/201935

  • arjo | 168.26.215.13 | ১৯ জুন ২০০৯ ১৮:১৫403504
  • Some executives at banks propped up by government aid have retained a coveted perk: personal use of the company jet.

    Flight records show numerous occasions when banks receiving federal money have flown their planes to destinations near resorts or executives' vacation homes, including spots in Europe, Mexico, the Caribbean, south Florida and Aspen, Colo. In some cases, it's clear that bank executives were traveling for personal reasons; for other flights, many of which were over weekends or holidays, the passengers and purpose couldn't be established.

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন