এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • কাগুজেগুরু ২

    Rajdeep
    বইপত্তর | ০৯ জানুয়ারি ২০১০ | ৪০১৮০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ishan | 173.26.17.106 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:২৮437705
  • তা, এইটাই যদি দর্শন হয়, তাহলে, গাম্ভীর্যের যে আচরণসর্বস্বতা, তার প্রতি নতজানু হয়ে সেটা করা যায়না। ওটাকে কিঞ্চিৎ পরিমানে হলেও চ্যালেঞ্জ করতে হয়। কেন? না ধরুন, আজ যদি "ডিডির কিচাইন' ছাপি ম্যাগাজিনে, তখনই কোনো মাস্টার ডাস্টার উঁচিয়ে বলবেনই, এইটা কি ধরণের ফুক্কুড়ি হচ্ছে, কোনো একটা গাম্ভীর্য নেই অ্যাঁ? শুধু পপুলার হবার তাল? নতুন শুরু করেছ, এখনই এসব কি, একটু বড়োদের দেখে শেখো, ইত্যাদি।

    ডিডির কিচাইন টা জাস্ট একটা উদাহরণ। কিন্তু কিঞ্চিৎ মাত্রায় পাবলিক স্পেসে পৌঁছতে গেলেই এই রেসিস্ট্যান্সগুলো আসে। আসবে। বাইরে থেকে নয়, আমাদের নিজের মধ্যে থেকেই আসবে। কারণ, বিকল্প এবং পপুলার, এর কোনো মডেল আমরা দেখিনি। পপুলার মানেই আমাদের কাছে আনন্দলোক, আর বিকল্প মানেই, ধরুন ইপিডাব্লু। এখান থেকে একটা মানসিক রেফারেন্স আসে, যে, গম্ভীর মানেই সাদা-কালো, কঠিন। একটি নির্দিষ্ট বৃত্তের বাইরের লোকে যা পড়বেনা। ইত্যাদি। এখান থেকেই আসে গাম্ভীর্যের আড়ম্বরের প্রতি নতজানু হবার প্রবণতা। গাম্ভীর্য নয়, গাম্ভীর্যের আড়ম্বর।

    এটাকে চ্যালেঞ্জ না করে, এই মনোভঙ্গীকে থোড়াই কেয়ার করি, এরকম একটা অবস্থানে না পৌঁছলে বিকল্প কিন্তু পপুলার, এই জায়গায় পৌঁছনো যাবেনা। এটা বাইরের লোককে চ্যালেঞ্জ না, নিজের পাঠভঙ্গীকে চ্যালেঞ্জ, নিজের লেখার ধরণকে চ্যালেঞ্জ। নিজেকে স্ট্রেচ করে এবং ডাইলিউট না করে, পপুলার স্পেসকে অ্যাড্রেস করার চ্যালেঞ্জ।

    গাম্ভীর্যের উপচারের বন্দনা, আসবাবপত্রের পুজো, আড়ম্বরের, আচারের আরাধনা, ঢের হয়েছে। আসুন, ধরা যাক দু-একটা মাউস এবার। এই জন্য গুরুচন্ডালি। এই জন্য দাম নিয়ে ভাবা, প্রচ্ছদ নিয়ে ভাবা, প্রেসেন্টেশন নিয়ে ভাবা, ডিসট্রিবিউটর নিয়ে ভাবা।

    (চলবে)
  • Ishan | 173.26.17.106 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:৩২437707
  • (প্রশ্ন পেলে কি হবে? আমার এখন লেখা পাচ্ছে :) )

    তা, বোধির আপত্তি, এই পুরো অবস্থানটাতেই। সে থাকতেই পারে। আমি যে ১০০% ঠিক ভাবছি তা নাই হতে পারে। ইন ফ্যাক্ট পদ্ধতিটার অনেকটাই অজানা। জিনিসটা আদৌ দাঁড়াবে কিনা তাই জানা নেই এখনও।

    তা সে আপত্তি নিয়ে বলার কিছু নেই। কিন্তু রাগ কেন? ডিবেট করো না, অসুবিধে কি? স্রেফ এই বিষয়টা নিয়েই লেখ। বোধি-দাগু আর সৈকত বাঁড়িজ্যের ডিবেট গুরু ছাড়া আর কেই বা বার করবে? সেই জন্যই তো গুরু। :)

    (শেষ। এবার পোশ্নো করুন। কিন্তু ঘুম পাচ্ছে, উত্তরের গ্রান্টি নেই)।
  • h | 203.99.212.53 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:৩২437706
  • আর্জো, অতি সংক্ষেপে:

    ১। দেখা হলে বা অন্যত্র আলোচনা করা যাবে।
    ২। কনটেন্ট শুধু না অনেক কিছুই মার খেয়েছে, পরে আলোচনা হবে। আমার দিক থেকে এটা নিছক স্টাইল এর পার্থক্য ছিল না, সেটা কা গু হাতে পেলে বুঝবি। এ বিষয়ে আর এনগেজ করছি না।
  • Ishan | 173.26.17.106 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:৩৬437708
  • অজ্জিতের প্রশ্নের উত্তর।

    প্রেসে একটা মিরর ইমেজ ট্রেসিং করে। সেটা পেজমেকারে ভালো হয়। অন্য জিনিস, এমনকি ওয়ার্ড ফোয়ার্ড থেকেও করা যায় শুনেছি, কিন্তু কলকাতায় কাউকে সাকসেসফুলি করতে দেখিনি।

    বাংলা কথা হচ্ছে, এই স্ট্যান্ডার্ডটা প্রেস ঠিক করে। ওদের টার্মসেই চলতে হয়। হয়তো গিয়ে বসলে ওরা অন্য কিছুতেও রাজি হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা দূর থেকে বলে হবেনা।

    ** ব্যস্ততা কাটলে সুমেরু এই বিষয়ে হয়তো কিছু আলোকপাত করতে পারে।
  • a x | 143.111.109.1 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:৩৭437709
  • কাল করুম, এখন বাড়ি যাই।
  • a x | 143.111.109.1 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৫৫437710
  • ঈশানকে,

    এই দুটো প্রশ্ন লেখক তোমাকে করা -

    ১) শিল্পে ব্রাত্য জনগোষ্ঠির কথা শোনার, তাদের ভাষায় কথা বলার যে পয়েন্টটি তুমি তুলেছ। এই ব্রাত্য জনগোষ্ঠি কারা? মাছওয়ালা? বাড়ির গৃহবধূ? এরা যে ভাষায় কথা বলে সেই ভাষায় তো তুমি লেখো না। তোমার লেখা বা চন্দ্রিলের লেখা এবং নবারুণের লেখা এগুলো যাদের অ্যাপিল করবে তারা কি "শিল্পে" ব্রাত্য ছিল? যেটাকে কেসি "ফচকেমি" বলেছেন সেটা কি সাধারণের ভাষা? সেটাও তো একটা বিশেষ গোষ্ঠিকেই আকর্ষণ করে?

    ২) গাম্ভীর্যের এই দূর্গে গিয়ে পটকা পাঠানো, এটা করতে গিয়ে গাম্ভীর্যের চেয়েও বেশি গম্ভীর হয়ে যেতে হচ্ছেনা তো? পটকা না পাঠিয়েও নিজের ভাষায় কথা বলতে অসুবিধে কি? ইনফ্যাক্ট এই লাইনটাই সামারাইসেস কিছুটা পরিমানে তোমার ইদানীংএর কিছু লেখা, যেখানে পটকা পাঠানোটাই মুখ্য হয়ে যাচ্ছে, বাকি বক্তব্যতে কোনো অভিনবত্ব না এনে। যে আচরণসর্বস্বতার কথা তুমি বলছ, সেটা উল্টে এসে আবার জুড়ে বসছে আমার পাঠিকা চোখে, যেখানে স্টাইল প্রাধান্য পাচ্ছে, কনটেন্টের চেয়ে।
    এতে কোনো প্রবলেম অ্যাস সাচ ছিলনা, কিন্তু স্টাইলটা একই জিনিসের পুনরাবৃত্তি হয়ে যাচ্ছে, একই গতে। প্রথমবার মনে হয় বাহ বেশ মজার, বাহ বেশ স্টাইলিশ, বাহ বেশ একটা ডোন'ট কেয়ার, দ্বিতীয়বার - মন্দ না, তৃতীয়বার - ওহ্‌ সেই একই। অর্থাৎ যা হচ্ছে লেখাটার ইনিশিয়াল অ্যাট্রাকশন স্টাইলে হচ্ছে, এবং সেটার পরের স্টেপে আর যেতে পারছেনা।

    এটা প্রশ্ন না, জাস্ট অবসার্ভেশন, আমার ধারণা, এবং এই ধারণা পড়ে ও সিনেমা দেখে, যে স্টাইল নির্ভর জিনিসের চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি, তাকে প্রতিবার রি-ইনভেন্ট করতে হয় নিজেকে, যেহেতু ছোট্ট করে ধাক্কা দেওয়া একটা উদ্দেশ্য। এবং এই স্টাইল আরোপিত মনে হলে আরো মুশকিল।

  • h | 121.242.55.34 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:৫৮437711
  • আমি ইশানের সংগে , আর্যোর মতই, তর্কে এনগেজ করতে চাইছিলাম না। কিন্তু এগজিট পয়েন্ট তো চাই, আর কবার এনকোর করবো? :-)
    আমার বা অন্য কয়েকজনের ভূমিকাটা, টেলিগ্রাফের পাতায় অশোক মিত্রের মত খানিকটা;-) বিতর্কে বেশি এনগেজ করলে, এই ভয়েস গুলো না, ফোরাম হিসেবে গুরুচন্ডালি র ট্রান্সপেরেন্সি আর ডেমোক্রাসি লেজিটিমাইজড হবে মাত্র। শর্ট টার্মে ক্ষতি আছে কারণ গুরু র তাতে ডিফেন্সিভ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা, সেটা অলরেডি যথেষ্ট হয়েছে, লং টার্মে তাতে ক্ষতি নাই কারণ অভিজ্ঞতা সবসময়েই অনেক কিছু শেখায়, তবে আমার কোনোটাতেই কোন উপকার নাই। গুরুচন্ডালি কি শিখবে কি না শিখবে তাতে আমার মাথা ব্যথা নাই। আলোচনা করে জাস্ট কোন লাভ নেই।

    একেকটা রিভিউ এ বইয়ের উল্লেখ নেই, কোথাও বইয়ের ইনফর্মেশন লেখার শুরুতে, কোথাও শেষে, আইটালাইজেশনের কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নাই, লেখার নাম, সেকশনের নাম আলাদা করা কেন যাচ্ছে না মাঝে মাঝে, কেন ফন্টের কনসিস্টেন্সী নেই, কেন কেন কী প্রয়োজনে এই একই সংখ্যাতে ইশানের মত বুদ্ধিভাষ্য ওয়ালা ছেলে, আমন্ত্রিত লেখক দের লেখার পদ্ধতি কে ডিনাউন্স করে আবাউট দশ পাতা জায়গা নিল, কি হিসেবে, পুরোনো লেখা হঠাৎ করে গজিয়ে উঠলো, এমন ভাবে গজিয়ে উথলো, তাতেও বইয়ের ইনফর্মেশন স্পষ্ট নয়, অনুবাদকের নাম কেন সর্বত্র নেই, কেন কী কারণে কোন লেখা মনোনীত হয়েছে কিনা, লেখক দের জানানো হল না, ইত্যাদি সমস্যার একমাত্র উত্তর কী, নতজানু হয়ে না থাকার চেষ্টা করা বা গুরুর কন্টিনিউইটি না গোটাটাকেই বোধির লেট দায়িঙ্কÄজ্ঞান্‌হীনতা নাকি এগুলো বিশেষ কোন ব্যাপার না, কারণ এগুলো একটু মন দিলেই হয় বা মাও বলেছেন, এশিয়ায় এরকম ভাবে এগোতে হয়, ইত্যাদি বলে চালানো যায়? আলোচনা করে লাভ নেই।

    পৃথিবীর অধিকাংশ ভালো পত্রিকাই আমার পরামর্শ ছাড়াই ভালো পত্রিকা হয়েছে;-) এটাও হবে, সন্দেহ নেই। তার উপরে আবার প্রতিভা নিয়ে আমার ও কোন সন্দেহ নেই। তবে এই চ্যালেঞ্জ এবং ডোন্ট কেয়ার জেনেরালি আমার কাছে কৈশোরে র বাতুলতার লক্ষন, এবং নিজেদের সামাজিক অবস্থান অস্বীকার করে ব্যাপক আংশের মানুষের কাছে পৌছনোর চেষ্টার লক্ষন। জেনুইন কিনা জানি না, কারণ আবেগটা কে শ্রদ্ধা করেও বলা যায়, এটা বামপন্থী বাংলায়, সবচেয়ে একে্‌স্‌পরিমেন্টাল পাঠকদের অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার প্রচেষ্টা মাত্র। এটায় পাবলিশিং ফেনোমেনন কখনো কখনো হওয়া যেতে পারে, সীমিত অর্থে, বা ভাষা ইউরোপীয় হলে, ব্যাপক অর্থে, (রিসেন্ট অনেক উদা আছে) কিন্তু এটা আমার পদ্ধতি না।

    তিব্বতের গুম্ফার উদাহরণ টা একটু অদ্ভুৎ। ভারতে যে কজন লোক বাংলা ভাষার অ্যামেচার তঙ্কÄ চিন্তা বা অলটারনেটিভ কুকারি নিয়ে চিন্তিত তাদের সংখ্যাটা যারা এন্রেগ বা ফুয়েলের দাম নিয়ে চিন্তিত তাদের তুলনায় বেশি বড় কিসু না। অতএব, পরিবেশক ডেটা দিল, আমি হাজার দুহাজার লোকের কাছে পৌছেছি, সংগে সংগে যে কোন রিগর কে, যে কোন পড়াশুনোর আগ্রহ কে যেকোন সিরিয়াস বইপড়াএ প্যাঁক দেওয়ার অধিকার জন্মে গেল, এটা অদ্ভুত যুক্তি। যতি এই ভিউ ই থেকে থাকে, একটাও বুক রিভিউ ছাপানো উচিত হয় নি।

    পপুলার এবং বিকল্প গুরুচন্ডালি একা নয়। এর প্রচুর রিয়াকশনারি, বিপ্লবী বা স্রেফ মিডিয়া ফেনোমেনন কে এই ক্যাটিগরি তে ফেলা যায়।ইতিহাস দেখলে তো বটেই। অনন্যতার দাবী ভালো, তবে বছরে একবার রিভিউ আর্টিকল কে জায়্‌গা দিলে গুরু র চরিত্র নষ্ট হবে, এটা ভাবার কোন ভিত্তি নেই। পাঠকদের কেও অত ছোটো করে দেখার কিসু নেই, তাঁরা শুধু বাজারি পত্রিকা না, তারাশংকর রবীন্দ্রনাথ বিভূতিভূষণ পড়েন। সম্ভবত নিয়মিত। বাজারি পত্রিকার জেকোনো গল্পের কন্টেন্টের তুলোনায় তারা প্রোগ্রেসিভ এবং শুধু তাই না, তুলোনায় অনেক বেশি নিরীক্ষামূলক। এদের কে মেনস্ট্রীম করা হয়েছে, জাতি নির্মান প্রোজেক্ট দিয়ে , পোলিটিকালি হয় তো পরে।

    রিগর সম্পর্কে আমার ধারণা আলাদা। এবং আমার মতে ল্যাহাপড়া না করে মানুষের কাছে পৌছনো গেলেও সেটা কোন কাজের কিসু না।

    আপাতত: যা দেখলাম, আমি এবং গুরুচন্ডালি নিজেদের কিছু স্পিরিটেড ডিফেন্স উপহার দিচ্ছি, এটার আর দরকার নেই, অনেকবার হয়েছে।

    পু: সুমন মান্নার কবিতা ব্যাপক লেগেছে।
  • SB | 59.93.201.170 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:০৪437712
  • সাধারন পাঠক হিসেবে অক্ষদাকে বড় করে ক। সৈকতের সিঙ্গুর নিয়ে লেখাটা (শিল্পায়নের নোটবই?) আমি অন্তত পড়ব এবং চেনাশোনা লোকজনকে পাঠাবো, অথচ কগুর লেখাগুলো কাউকেই রেকমেন্ড করব না, আর লেখাগুলোও জাস্ট ওপর ওপর চোখ বোলাবো উল্টে পাল্টে দেখব, তাও হয়তো ফিলার হিসেবেই। ফুক্কুরি মারতে পারলে ভাল, কিন্তু সবাই শনিবারের চিঠি / অচলপত্র হয়ে উঠতে পারে না, একটু হলেও চাপ আছে। সৈকতের লেখাটা কে পত্রিকার চরিত্রের রিপ্রেসেন্টেটিভ হিসেবে বল্লাম, কারন যাদের লেখা পড়ার জন্যে অনেকদিন থেকেই এই পাতায় চোখ রাখি, তার মধ্যে সৈকত একজন।

    অনধিকার চর্চা করে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থি। আসলে কি .... একবার বোধয় বলেওছিলাম, এই মুহুর্তে বাংলা পিরিওডিকাল্‌সএর মধ্যে কিছুটা স্পেস ফাঁকা আছে। কাগু সেখানে জায়গা করে নিলেও নিতে পারে, কারন অনেক প্রতিভাবান ও উৎসাহি মানুষ জুটে গেছে, পুরোটাই ফুক্কুরির ঠেলায় ছরিয়ে ফেলাটা বোকামি হয়ে যেতে পারে।
  • Ishan | 173.26.17.106 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:২২437713
  • অক্ষকে:

    প্রথমে দুই নং পয়েন্ট। খোলাখুলিই লিখি। জিনিসটার তিনটে দিক আছে।

    প্রথম দিক হল, স্টাইলটা একঘেয়ে লাগছে। মেনে নিচ্ছি। লিখতে লিখতে আমার নিজেরই লাগে। লেখককে সবসময় নিজেকে রি-ইনভেন্ট করে চলতে হয়। আমারও করা উচিত। ঝট করে মরে যাচ্ছিনা, অতএব সেই প্রক্রিয়া চলছে।

    দ্বিতীয় দিক হল, গুরুর মতামত অনেক দিন ধরে স্টাডি করে এটা আমার নিজস্ব পর্যবেক্ষণ, যে, পাঠকের দিক থেকেও কোনো কারণে একটা মাইন্ডসেট তৈরি হচ্ছে, যে, বিশেষ গম্ভীর লেখার জন্য বিশেষ রকমের গম্ভীর পোশাক বা ঠোঙা দরকার। এইটা ভাঙা দরকার। বিভিন্ন স্টাইলে সিরিয়াস লেখা তৈরি হতে পারে। অন্য পোশাকে দেখা যেতে পারে কলার খোসাকে, এর জন্য তৈরি থাকতে হবে বিদগ্‌ধ পাঠককে।

    তিন হল, আমাকে লেখক হিসেবে একটু ছাড় দেওয়াও উচিত। সত্যি সত্যিই আমি যা লিখেছি, তার এক দশমাংশ হল আমার চয়েস। বাকিটা লিখতে হয়েছে। গুরুর সেলসম্যান বা ধর্মপ্রচারক যাই বলুন, সেই হিসেবে। খোলাখুলিই বলছি, এখনও যেগুলো লিখছি, তার পিছনে একটা বড়ো উদ্দেশ্য থাকে একটা টার্গেট অডিয়েন্সকে রিচ করে নিজের বক্তব্য পৌঁছনোর।
    অন্য কিছু না, অনেকেই লেখেন মনের আনন্দে। ঠিকই করেন। আমি অনেককিচুই রিচ করার জন্য লিখি। কূক লেখা মোটামুটি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আবার লিখছি, স্রেফ কাগুজে গুরুর জন্য। এবং সেটাকে আমি নিচু মানের কাজ আদৌ মনে করিনা। এবং সেই জন্যই আমার একটা ছাড় প্রাপ্য বলে মনে করি। :)

    আরেকটা কথা। আমার সমস্ত লিমিটেশন মেনে নিয়েও এটা আমার বড়ো কমপ্লেন আমাদের পাঠক কাম লেখকদের কাছে, যে, তাঁরা অধিকতর লোকের কাছে রিচ করার প্রশ্নটাকে নিয়ে ভাবেন না। জাস্ট ভাবেন না। অরিজিনাল হোন, এবং পাঠকের কাছে রিচ করার কথা ভাবুন, আমি এইটুকু মেসেজ দিতে চেয়েছি। আমার ফর্ম্যাট একঘেয়ে লাগলে, বাকিদেরও অন্যান্য ফর্ম্যাট নিয়ে চিন্তাভাবনা করা উচিত।
  • Ishan | 173.26.17.106 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৫২437716
  • এবার এখান থেকেই আমরা এক নং পয়েন্টে ঢুকে পড়তে পারি। যে, কাকে রিচ করব। মাছওয়ালা? বাড়ির গৃহবধূ? কার ভাষায় কথা বলব?

    এইটা একটা চালু প্যারাডক্স। মাছওয়ালা কি বাড়ির গৃহবধূর ভাষাতে আমার কোনো আপত্তি নেই। এদের ভাষা নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু মজা হচ্ছে, এদের দিয়ে কখনও লেখানোর/বলানোর চেষ্টা করে দেখো। এরা আসলে "নিজের' ভাষায় লেখেন না। মাছওয়ালা বক্তৃতা দিতে উঠলে বলে "বন্ধুগণ'। গৃহবধূ গপ্পো লিখলে শারদীয়া গপ্পোকে নকল করার চেষ্টা করেন। ইত্যাদি। এঁরা আমাদের চেয়ে আলাদা কিছু নন। আমাদের মতই এঁর বিশ্বাস করেন, সাহিত্য এবং প্রবন্ধের একটা আলাদা ভাষা থাকবে। থাকতে হবে। সেখানে শুধু পন্ডিতদেরই নাগাল। পারি বা না পারি ঐভাবেই আমাকে বলতে/লিখতে হবে। নইলে লোকে মূর্খ বলবে। প্যাঁক দেবে। কাজেই আমার নিজের যতই বুদ্ধি বিবেচনা থাক, আমি সেই রচনাবইয়ের প্যাটার্নেই ঢুকে যাবো। লেখার সময় এবং ভাবার সময়।

    তা ফুক্কুড়ি কেন? ফুক্কুড়ি নিজে নিজে কোনো এন্ড নয়। জাস্ট একটা মিন্স। এইটা দেখানোর জন্য, যে, এই দেখুন, সিরিয়াস জিনিস নিয়ে ইয়ার্কি মারা যায়। লেখার/ভাবার বাঁধা ধরণগুলো মোটেও কোনো শালগ্রামশিলা নয়, যে তাদের পুজো করতে হবে। এই ধারণাটাকে উস্কে দেবার জন্য ফুক্কুড়ি। এটাই সেই পটকা, অন্য কিছু না।

    এতো গেল ফুক্কুড়ি। আরেকটা জিনিস হল স্মার্টনেস। একটা ধারণা, রবীন্দ্রনাথের আমল থেকেই চালু, যে, যাহা চকচক করে তাহা কোনোমতেই সোনা নয়। অতএব স্মার্টনেস হল চাপল্যের লক্ষণ। অন্তর্নিহিত গাম্ভীর্যের জন্য আনস্মার্ট হওয়াটা জরুরি। এটা ঠিক কথা নয়। যেকোনো কম্পোজিশনেরই তার নিজের মতো করে স্মার্ট হয়ে ওঠার প্রয়োজন আছে। ফুক্কুড়ি, শুধু ফুক্কুড়ি মেরেই জগৎ উদ্ধার করব, এটা এক্কেবারে একটা এক্সট্রিমের লক্ষণ, নি:সন্দেহে । অন্যদিকে স্মার্ট হলেই সেটার দিকে তাকাবোনা, উহাতে বিষয়বস্তুর অভাব আছে, এটা বোধহয় আরেকটা এক্সট্রিম।

    লেখা যেকোনো ভাষাতেই হতে পারে, গম্ভীর, অগম্ভীর, ফুক্কুড়িমূলক, যা খুশি। আমার কোনো আপত্তিই নেই। কিন্তু স্টাইলটা যেন বিষয়কে গিলে না ফেলে। আমি চশমা-আঁটা প্রফেসর বলে, যা বলব, তাই সলিড জিনিস, অথবা ফুক্কুড়ি মানেই তাতে কোনো মেটেরিয়াল নেই, বা ফুক্কুড়ি মারছি মানেই হেব্বি হচ্ছে, এর কোনোটাই খুব গ্রহণযোগ্য না। বাংলা কথা হল, গম্ভীর, ছ্যাবলা, যা খুশি লিখুন, কিন্তু অজ্জিনাল লিখুন। নিজের মতো লিখুন। গতে বাঁধা টেক্সট বুকিশ ভাবনা থেকে বেরোন। সাহস পাচ্ছেন না? এই দেখুন না আমরা কেমন সিরিয়াস জিনিস নিয়ে ফুক্কুড়ি মারছি, মাস্টারদের নিয়ে ইয়ার্কি দিচ্ছি, ভয়ের কি আছে? এইটাই হল মেসেজ। আর কিছু না।

    এইবার এইটা বলে বলে লোককে বোর করে দিয়েছি সে হতেই পারে। :)
  • Ishan | 173.26.17.106 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:০৫437717
  • বয়স হচ্ছে। এইটুকু টাইপেই হাঁপ্পে গেলাম। বাকি কাল হবে আবার। :)
  • Rajdeep | 202.79.203.59 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:২৯437718
  • বলব বলব ভাবছিলাম অনেকদিন ধরেই , তো বলেই ফেলি :)

    ১) কাগু কি হতে চাইছে ? একেবারে অন্যরকম গণমাধ্যম , কিন্তু কিভাবে মানে সহিত্য-বই সমলোচনা ইত্যদি বিষয়ক না রাজনীতিবিষয়ক না প্রবন্ধ-নিবন্ধ-খবর ভিত্তিক না এর সবকটাই ? যদি সবকটাই হয় তাহলে গত ৫টি সংখ্যা দেখে মনে হল মোটামুটি চলেবেল। যদিও আমার খিচুড়ি খেতে ভালই লাগে , কিন্তু কাগু উপরিউক্ত কোন একটি বিষয়ে বেশি জোর দিক অর্থাৎ কিছুটা ফোকাসড হলে ভাল হয়, এই আর কি

    ২) তিব্বতি গুম্ফার উদাহনটা একটু এলিটিষ্ট হয়ে গেল না তো ;-) গুম্ফার ভেতরে না বসে ওটা যদি দার্জিলিং ম্যালে বসে পড়া হয় কি অসুবিধে ?

    ৩) ছবি ব গ্রাফিটির সংখ্যা আরেকটু বাড়ানো হোক , পায়ের তলায় সর্ষেতে বেশ কিছু ভাল ট্র্যাভেলগ আছে - প্রকাশ করার জন্য ভেবে দেখুন

    ৪) নিয়মিত লেখকের বাইরেও বিষয়ভিত্তিক অতিথি লেখক বা সাংবাদিকদের লেখা ছাপা যায় কিনা সম্পাদকমন্ডলী বিবেচনা করুক

  • kallol | 124.124.93.202 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:৩৯437719
  • গুরু বড়ো হচ্ছে।
  • a x | 75.53.204.181 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:৫০437720
  • আচ্ছা এক এক করে লিখব, প্রথমে, ধরা যাক বুনুয়েলের সিনেমা (আবার কেন বিদেশী সিনেমাকেই টেনে আনছি বলে হাঁই হাঁই করনা) - প্রচুর ফকরামি, প্রচুর স্মার্টনেস, একই সাথে প্রচুর বক্তব্য। তো? এগুলো বুনুয়েল বুনুয়েলের লেভেলে করতে পেরেছেন বলে অবিস্মরণীয় সব সৃষ্টি করে গেছেন, কিন্তু তাই বলে, এক, তিনি বৃহত্তর কোনো গোষ্ঠির কাছে পৌঁছতে পেরেছেন এমন না, দুই, শুধু এই এই এইগুলো করেছেন বলে তিনি আলাদা কিছু হননি, এগুলো যে অসম্ভব ক্রিয়েটিভিটি এবং পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে করেছেন তাতে যে এন্ড প্রোডাক্টটা হয়েছে, তার জন্য হয়েছেন।

    দেখ নিজেই বলছ - "এর জন্য তৈরি থাকতে হবে বিদগ্‌ধ পাঠককে" তাহলে তুমি তো আবার সেই একলেকটিক গোষ্ঠির মধ্যেই থাকতে চাইছ। স্মার্টনেস চাপল্যর লক্ষ্মণ এটা সিরিয়াসলি কেউ মনে করেনা বোধহয়। স্মার্টনেসের ধরণ হয়, স্ট্রীট স্মার্টনেস একধরণের, ইম্যাজিনেটিভ স্মার্টনেস আরেকধরণের - ইনফ্যাক্ট নতুন কিছু, অন্যরকম কিছু করতে গেলেই স্মার্টনেস দরকার, সেটা ছাড়া হবেই না, আর স্মার্টনেস তো আপনা থেকেই আসে, জোর করে আনতে হবে কেন? স্মার্টনেস বলতে কি তুমি উগ্রতা বা ঔদ্ধত্য বোঝাচ্ছ?

    দ্বিতীয়ত, এসব কিছুর শেষে একটা মাল ঠিকঠাক করে নামাতে হলে একটা জিনিসের ইনস্‌ অ্যান্ড আউট্‌স জানা দরকার বলে মনে হয়, ফর্ম তখনই ভাঙ্গা যায় যখন ফর্মটাকে তুমি আগাপাস্তলা চেন। আমি যদি অজস্র বানান ভুল, ইনকন্সিস্টেন্ট কিছু নামিয়ে বলি, বেশ করেছি এটাই আমার ভাষা, এটাই দেখুন এই দিলাম আপনাকে, দেখুন দিকি কি সাহস আমার! সেটাকে একটা গন্ডির পরে কি সিরিয়াসলি নেওয়া হবে? কাজেই কিছু কিছু জিনিস সেগুলো মাস্টারদের বেঁধে দেওয়া মনে হলেও সেটা ফলো থ্রু করার মধ্যে একটা যত্নের বা সিরিয়াসনেসের (এই সিরিয়াসনেস ইচ্ছের সিরিয়াসনেস, স্টাইলের কথা বলছি না) ব্যপার তো থেকেই যায়?

    বাদবাকি আরো কিছু বলার আছে - কাল লিখব।
  • . | 125.18.104.1 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৩:২৯437721
  • ঈশান ও বোধির এই ইস্যুটা নিয়ে কিছু লিখব লিখব করেও লিখি নি। ঈশানের লেখা সেই সুযোগ করে দিল।

    এটুকু আপাতত: পরিষ্কার যে ঈশান সুনির্দিষ্ট নিজস্ব মতাদর্শ অনুযায়ী গুরুচন্ডালী প্রকাশ করছে। সেই মতাদর্শ নিশ্চয় সম্পাদকীয় নীতিকেও প্রভাবিত করে। যে কোনো পত্রিকাতেই তাই হয় এবং সেটা স্বাভাবিক। অতএব সেই সম্পাদকীয় মন্ডলীতে তাঁরাই কাজ করতে পারেন হয় যাঁরা সেই মতাদর্শে বিশ্বাস করেন বা যাঁদের পাল্টা কোনো মতাদর্শ নেই। যাঁদের এই মতাদর্শ বা দৃষ্টিভঙ্গীর সাথে মৌলিক বিভেদ রয়েছে তাঁরা একসাথে কাজ করতে পারবেন না। যে কোনো স্বেচ্ছাশ্রমের প্রকল্পে মৌলিক বিভেদ থাকলে একসাথে কাজ না করাই বাঞ্ছনীয়। এখানে ব্যক্তিগত মনোমালিন্য ইত্যাদির কোনো প্রশ্নই নেই। একটাই কথা- এই বিচ্ছেদ কাজ শুরু হওয়ার আগে বা কাজ শেষ হওয়ার পরে হওয়াটাই ভালো ছিল। কিন্তু এই বিচ্ছেদের মধ্যে আমি দু:খজনক কিছু তো পাইই নি, বরং এইরকম হওয়াই উচিত বলে মনে হয়েছে।

    ঈশানের "ল্যালাবাদী মতাদর্শ" নিয়ে দু এক কথা বলব ভাবলাম। কিন্তু লিখতে লিখতে ইচ্ছেটাই চলে গেল। ইচ্ছেটা ফিরে এলে দেখা যাবে। :-)
  • sinfaut | 203.91.201.55 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৩:৩৫437722
  • একি! তাড়াতাড়ি ইচ্ছে ফিরিয়ে আনো বলছি।
  • saikat | 202.54.74.119 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৩:৪৫437723
  • ঈশানের মোদ্দা বক্তব্য একটাই - নিজের মতো লেখ। লিখতে গিয়ে সেটা ফুক্কুড়ি হতে পারে, না হলেও ক্ষতি নেই কিন্তু লক্ষ্য রাখা ভাল যে তপোধীর ভট্টাচার্যের প্রবন্ধের মত না হয়। :-)
  • . | 125.18.104.1 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৫:০৩437724
  • অর্ধভীমরতিপ্রাপ্তের তঙ্কÄচর্চা অথবা হেঁ হেঁ, মতান্তর শুধু, মনান্তর নয় :-)
    _________________________________________________

    ঈশান যদি শুধু বলত- আমরা এমন একটি পত্রিকা প্রকাশ করতে চাই যেখানে উঁচু মানের অরিজিনাল লেখা থাকবে এবং আমরা চাই অনেক লোকে যেন সেই লেখা পড়েন- তাহলে খুব একটা সমস্যা ছিল না। এটা হল "সম্মিলিতভাবে পজিটিভ কিছু একটা করা"। যাঁরাই পত্রপত্রিকা চালান, তাঁদের সবাই এই ন্যূনতম শর্ত মেনে নিয়েই চালান। বাস্তবের সাথে আদর্শের কতটা ফারাক হয় সেটা আলাদা প্রশ্ন। সবাই বিকল্প হতে চায়, কেউ বিকল্প হয়, কেউ হয় না। :-) কিন্তু এটুকু বললে তো "ওরিজিনাল" হওয়া হল না। সবাই যা বলে, সেটুকু বললে আর "আলাদা" হওয়া কিসের? অতএব "ল্যালা", "আড়ালহীন কমিউনিটি", "নিয়ন্ত্রিত অ্যানার্কি", "ম্যানিফেস্টো" ইত্যাদি ইত্যাদি।

    অথচ আমি তো "ল্যালা" নই। "ল্যালা" বা "ট্যালা" কোনোরকম তকমাই আমি চাই না। কিন্তু ঈশান যেহেতু একটি ম্যানিফেস্টো লিখেছে এবং ঈশান যেহেতু গুরুচন্ডালী প্রকাশ করে, অতএব গুরুচন্ডালীতে প্রকাশিত লেখা মানেই "ল্যালা লেখা"- এইজাতীয় একটা সমীকরণ খাড়া হল। ঈশানের ম্যানিফেস্টোর স্বর, যা একটি বিশেষ স্বর এবং যা একটি ক্ষমতার স্বর, এখানে লেখকের লেখার ক্যাটিগরিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। অতএব অ্যানার্কি কম হইল, নিয়ন্ত্রণ থোড়া জেয়াদা। অথবা অন্য আর একটি উদাহরণ। ছত্তিশগড় ও লালগড় নিয়ে একটি বিশেষ রাজনৈতিক ধাঁচের লেখা প্রায় প্রতিটি সংখ্যায় ছাপা হয়। লেখাগুলির মধ্যে ঈশানবর্ণিত "ওরিজিনালিটি" খুব বেশি আছে সেটা লেখকরাও দাবী করবেন না। লেখাগুলি আলাদা কিছুও না, কারণ সংহতি, একক মাত্রা, মন্থন সাময়িকী, অনীক- ইত্যাদি অজস্র ব্লগ ও পত্রিকা রয়েছে যেখানে এইরকম লেখা ছাপা হয়। অজস্র লোকের কাছে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যটাও এইক্ষেত্রে খুব একটা পরিষ্কার নয়। কারণ সেই দায়িত্ব অপেক্ষাকৃত পুরোনো, নামচেনা এই পত্রিকাগুলি আরও ভালোভাবে পালন করতে পারে। আমার মনে হয় না ঈশান প্রগতি, বা নন্দন, বা জাগো বাংলার এমন কোনো লেখা রিপ্রিন্ট করবে যা এই মতের বিরুদ্ধে যায়। অর্থাৎ, "ল্যালামি" ছাড়াও ঈশানের একটি সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতের প্রতি সমর্থন রয়েছে এবং সেই সমর্থন ঈশানের সম্পাদকীয় পছন্দ অপছন্দকে নিয়ন্ত্রণ করে।

    তো নিজের পছন্দ অনুযায়ী লেখা ছাপার মধ্যে অন্যায় কিছুই নেই। কিন্তু সেটা যেমন অন্যায়ও নয় তেমন "ওরিজিনাল"ও কিছু নয়। নিজস্ব নিয়ন্ত্রণকে "আড়ালহীন কমিউনিটি" নামক একটি অলীক ধারণার আবডালে লুকিয়ে রাখার কোনো দরকার নেই। এইবার প্রশ্ন হল- আমার বা বোধির এইসব উল্টোমতের লেখাও তো লোকে পড়ছে। তাহলে বহুস্বরের খামতি কোথায়? এটাই হল কো-অপশনের মজা। সেন্সরশিপের বদলে কো-অপশন কিভাবে এই সময়ে আরও ভালো কাজ করে- সেটা নিয়ে ঈশান নিজেই বহুবার বহু জায়গায় লিখেছে। অশোক মিত্র বা অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়ের তুখোড় বামপন্থী লেখাও আনন্দবাজার বা টেলিগ্রাফ ছাপায়। কো-অপশনের মর্ম তাঁরাও বোঝেন। এতে এদিকও থাকে এবং ওদিকও থাকে। কিন্তু পত্রিকার মৌলিক ধাঁচা কিরকম হবে সেটা ঠিক করেন অভীক সরকার, বা ঈশান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটা একটা গন্ডী, যার বাইরে কেউ যেতে পারবেন না। বোধিও পারে নি। গন্ডী থাকাটা কোনো সমস্যা নয়। ঈশান এত বছরের পরিশ্রমে গুরুচন্ডালীকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। অতএব ঈশানের সম্পূর্ণ হক আছে এই গন্ডী ঠিক করে দেবার। কিন্তু গন্ডীর অস্তিত্ব অস্বীকার করলে সেটা সমস্যা।

    ওরিজিনালিটি-পপুলারিটি-ফক্কুড়িচর্চা পরের পর্বে। :-)
  • . | 125.18.104.1 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৫:১০437725
  • সিফোঁর আদেশ অমান্য করতে পারলাম না। ;-)
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২১:৪১437727
  • সৈকতকে ক।
    রঙ্গনকে ঙ।
  • Tim | 71.62.121.158 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২১:৪৪437728
  • রঙ্গনদাকে জিভ ভ্যাঙালো নাকি!
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২১:৫৯437729
  • রঙ্গনকে কেন ঙ ছোট্টো করে লিখে দিই। তত্বের কথা পরে হবে। তথ্যটুকু খালি দিই।

    এক। গুরুতে "বিশেষ রাজনৈতিক ধাঁচের লেখা' ছাপা হয় বলে সমস্যাটাকে পাতি রিডিউস করে একটা জায়গায় নিয়ে আসা হল, যেটা আজকের প:ব: এর রাজনৈতিক চালচিত্রের সঙ্গে ভালো যায়। রাজনৈতিক তফাত থাকলে সেটা আরও গভীরে। এই "আমি সিপিএম তুমি নকশাল' এর সঙ্গে তার কোনো সম্পক্কো নেই।

    দুই। কো-অপশন টন নয়। কেউ যখন দায়িত্ব নেন, তাঁকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো দায়িত্বটা নিতেই বলা হয়। কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়া।
    এবার দায়িত্ব নিলে সমালোচনা আসবে। এই টই এবং আগের টই পড়ে দেখুন, আমার কাজকম্মের কিরকম সমালোচনা হয়েছে। অন্য কেউ করলেও তাইই হবে। তার মানে হস্তক্ষেপ নয়। সেটা শুনে রাগ হতেই পারে। তাতে অসুবিধে নেই। কিন্তু সমালোচনা শোনায় অনীহাকে, অসহিষ্ণুতাকে, তাত্বিক মোড়ক দেবার কোনো মানে নেই।

    এই দুটো বলা জরুরি বলে ঝপ করে লিখে ফেল্লম। বাকি পরে হবে।
  • a x | 75.53.204.181 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:১৫437730
  • সৈকত - হ্যাঁ সেটা বুঝেই বলছি, ফক্কুড়ি মানেই অধিকতর পাঠকের কাছে পৌঁছনো এমন না। কিম্বা মাছওয়ালার নিজস্ব ভাষা যেমন বন্ধুগণ না, তেমনই ফক্কুড়িও না, স্মার্টনেসে ভরা ফক্কুড়ি হয়ত আরৈ না। Rত্বিকও তো অধিকতর লোকের কাছে পৌঁছনোর জন্য সিনেমাকে বেছেছিলেন, কিন্তু আদতে Rত্বিক কজন দেখে? সেটাও তো সেই "বিদগ্‌ধ গোষ্ঠি" কূলের মধ্যেই রইল?

    বেসিকালি এটা আমার কাছে সেল্ফ-কন্টাডিকটরি লাগছে, যে আমি পাঠিকাকে বলছি এই নতুন ধরণের লেখা পড়ার জন্য তোমাকে তৈরি থাকতে হবে, কিন্তু আসলে এটাই তোমার ভাষা, আগের পন্ডিতেরা তোমাকে যে ভাষা চিনিয়ে দিয়ে গেছে, সেটা তোমার ভাষা না।
  • a x | 75.53.204.181 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:১৬437731
  • ইউনিকোডে ঋ আসেনা?
  • . | 115.117.206.68 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৩৬437732
  • আচ্ছা।

    সেই কবেকার ঘিসাপিটা তর্ক এখনও করে যাছি। মানে হয়! এই ব্যাটা সিফোঁর কথায় বাড় খেয়ে লিখে ফেললাম। যাক গে। আর কোনো পর্ব নেই। সবার মঙ্গল হোক।
  • sinfaut | 117.194.197.163 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৫৭437733
  • এইযা: মামু দুম করে লিখে ব্যাপারটা কে চুলকে দিল। :((

    অ ফুটকি, লেখো না।
  • dipu | 59.164.190.214 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:০৬437734
  • হুঁ, লেখো না।
  • dipu | 59.164.190.214 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:০৯437735
  • এই বাজারে ফুটকিদাও চুপ করে গেলে হেবি দু:খ পাব। অ ফুটকিদাআআআ .....লেখো গোওওও .....
  • aka | 168.26.215.13 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:১৪437736
  • অথচ আমি লিখতে চাই তাও কেউ কিছু বলে না। :(
  • Tim | 71.62.121.158 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:১৭437738
  • এইত্তো আমি বল্লাম। লেখো লেখো! :-)

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন