শহরের একটি মাঝারি স্তরের বেসরকারি স্কুলে কেজি ক্লাসে ভর্তির ফর্ম তোলার লাইনে দাঁড়িয়ে সত্যিই মনে হল এক রঙ্গমঞ্চে পুতুল হয়েই দাঁড়িয়ে আছি। আমায় কেউ গ্যারান্টি দিতে পারবেনা যে কলেজস্ট্রিটের তিনটে স্কুলের কোনও একটিতে আমার ছেলের নাম লটারিতে উঠবেই। অগত্যা কিছু বেসরকারি স্কুলেও ফর্ম তুলতে হচ্ছে, যেগুলিতে বাংলা প্রথম ভাষা হিসেবে পড়ান হয় । সেন্ট জেভিয়ার্সে ওয়েবসাইটেই বড় বড় করে লেখা আছে স্বামী-স্ত্রী একসাথে ইন্টারভিউতে আসতে হবে সব অরিজিনাল ... ...
আজ, এই বিশ্ব স্বীকারোক্তি দিবসে, আমার মনে পড়ছে কুড়ি বছর আগে, আমার (বা গুরুচণ্ডালির) প্রথম করা পাপের কথা। গুরু প্রথম পয়সা খায় মিঃ পাল নামক (পুরো নাম বললাম না, অকারণে নাম নিয়ে কী হবে) এক অনাবাসী বাঙালি ব্যবসায়ীর কাছে। ক্যাশে নয়, কাইন্ডসে। তাঁর সার্ভারের ব্যবসা ছিল, দাতব্য করে একটা সার্ভার গুরুর সাইটের জন্য ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন। এইটা আমি প্রায় চেপে দিতে পেরেছিলাম। কিন্তু পুরো থ্রিলারের মতো হঠাৎ করে আমার একটা মেলের অংশবিশেষ ফাঁস হয়ে ... ...
অ্যাম্বুলেন্সের তীব্র শব্দটা বদলে গেল মাইকের চটুল ভোজপুরি গানে। সাথে কেমন একটা ঘোর লাগা অনুভূতি। আসন্নপ্রসবা স্ত্রী-র আর্ত চিৎকার, সদর হাসপাতাল থেকে রেফার হয়ে মেডিকেল কলেজের দিকে ধাবমান অ্যাম্বুলেন্স – সব কিছুই কী তাহলে স্বপ্ন ছিল? গতকাল রাতের হাসপাতালের ঘণ্টা কয়েক হুজ্জুতি, ভাঙচুর, ডাক্তারের কলার ধরে কষিয়ে থাপ্পড়, এমার্জেন্সির টেবিল চেয়ার ভাঙচুর এসবের ঠিক পর দিন কী করে আবার স্বপ্নে আসে সেই হাসপাতাল, ডাক্তার এসব? বিছানার ওপর থম মেরে বসে প্যাকনা।আদুল গায়ের সাথে লেগে থাকা তেল চিটচিটে বিছানার চাদর ঘামে ভিজে সপসপ করছে। নিজের ঘেমো গন্ধে ঘরের বাতাস ভারী হয়ে আসে। গা গুলিয়ে ওঠে প্যাকনার। একটা চোঁয়া ঢেঁকুর ওঠে। ছাট ... ...
সদ্য ভাইরাল হওয়া এক ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে কিভাবে উত্তর প্রদেশের এক শিক্ষিকা ক্লাসের সব ছাত্রকে ডেকে একটি নির্দিষ্ট ছাত্রকে মার খাওয়াচ্ছেন। কি দোষ বাচ্চাটির ? না, সে ধর্মে মুসলিম। কোনো বাচ্চা সঠিক ভাবে তাকে প্রহার না করতে পারলে শিক্ষিকা উৎসাহ যোগাচ্ছেন, আরেক ঘা বসাতে। পাশের সহকর্মীর সাথে হেসে হেসে বলছেন, "এদের" এভাবেই তাড়াতে হয়। ভিডিওটি দেখে শিক্ষিকাটির প্রতি তীব্র ঘৃণা ও আশঙ্কায় শিউরে ... ...
এখন সময় ———— সুপ্রিয়া চৌধুরী ———— মরে গেলে নয়, এখন সময়,- বলো তারে ভালবাসো, পরে বলে কি হবে ? আফসোস্ ছাড়া ? অহংকারের মুখোশ টা আজ নাশো ! মরে গেলে নয়, এখন সময়,- ক্ষমা চাও
ঈশ্বর একা সব যুদ্ধ, দাঙ্গা লাগাতে পারেন নি - তিনি সৃষ্টি করেন হিটলার, তোজো, মুসোলিনি; হ্যারি ও যোসেফ মানবতার কফিন তৈরি করে শত্রু মিত্র নির্বিশেষে সবাই এখন দামোদরে।।
জীবন তরঙ্গের দোলায়: অম্লান সরকার "কি রে তুই কোন প্রতিক্রিয়া দিলিনা এই ব্যাপারে।" "রতিক্রিয়া? নাহ্, ওটা এখন আর হয় না। বয়স হয়ে গেছে। তার ওপর আবার প্রোস্টেট গ্রন্থির সমস্যায় অনেক দিন ধরেই যন্তরটা উত্থান শক্তি রহিত। কাজেই বুঝতেই পারছিস।" কথা হচ্ছিলো ষাটোর্ধ্ব দুই পুরনো বন্ধুর মধ্যে। বরুণ ঘোষাল আর বাদল মৈত্র। এক জমানায় দুজনে কলেজে একসঙ্গে পড়াশোনা করার সঙ্গে সঙ্গে ... ...
গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে একটি সুপরিচিত সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদপত্রের পাতায় গ্রীন হিউমার বা সবুজ রসিকতা শিরোনামে একটি কার্টুন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। ব্যঙ্গচিত্রীরা তাঁদের চিত্রভাষ্যের মধ্য দিয়ে খুব জটিল কোনো বিষয়কে হালকা চালে প্রকাশ করেন। যে কার্টুন প্রতিবেদনটির কথা দিয়ে কথকতা শুরু করেছি সেই কার্টুন মালা খুব জটিল
ভারত এবং ইণ্ডিয়া দুটোই আমাদের উত্তরাধিকারইমানুল হক১সমাজমাধ্যমে একটা মিম খুব ঘুরছে -- ২০১৪তে ওরা সরকারি প্রকল্পগুলোর নাম বদলে ছিল, ২০১৯-এ বদলায় রাস্তা এবং শহরের নাম, এবার অরা দেশের নামই বদলিয়ে দিতে চায় ২০২৪এর লক্ষ্যে। ২অনেক 'মিথ' দেখা যায় মিথ্যা। ছোটদের বিদ্যালয় পাঠ্য বই লেখানো উচিত সবচেয়ে জ্ঞানী পণ্ডিতদের দিয়ে। কিন্তু আমাদের দেশে হয় উল্টোটা। এবং প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতনক্রম ... ...
আমাদের ওখানে তখন ঘাস গরম ছিল হয়ত। সে ঘাস গরুতে খাবে কী করে, কী করেই বা গুলির আওয়াজ শুনে বোঝা যাবে ঘাসেরা গরম হলই বা কেন। আমাদের ওখানটা তখন সাত রাইফেল দিয়ে সুরক্ষিত রাখা হত আর ছিল সতেরোটা দানা, রাইফেল কয়েল রিকয়েল করে থেমে যাবে আর দানা ভরার জন্য হাত এলে আর দানা পাবে না এমনই রেশনিং। এমনই অবস্থা এ্যামুনিশনের। এ পরিস্থিতির এক পরের কথা হল- যখন দানা থাকে না আর না থাকলে রাইফেলও ... ...
ভৌতিক কাণ্ড স্বামী জব্দ। চূর্ণী নদী থেকে ইছামতি নদীর উৎপত্তিস্থলের দুই নদীর পাড়ে পাড়ে প্রকৃতি বিভিন্ন ধরনের ছোট ও বড় গাছ পালায় ভরে উঠেছে। তার পাশ দিয়ে গেদে টু শিয়ালদা রেল লাইন ইছামতি নদী পার হয়ে চলে গেছে। এক কিলোমিটার দূরে ইছামতি পাড়া অবস্থিত। উৎপত্তিস্থলের নিরিবিলি পরিবেশের মাঝে চূর্ণী নদীর পাড়ে মহাশ্মশানে মানুষের শেষ ঠিকানা। এই মহাশ্মশানে দিনের বেলায় মানুষ আসতে ভয় পায়। এখানকার ঠান্ডা পরিবেশে কেমন ... ...
বসুধৈব কুটুম্বকম” —————— সুপ্রিয়া চৌধুরী —————— রাজধানীতে আজ সাজো সাজো রব- দিল্লী সেজেছে নববধূ রূপে জি ২০ র শীর্ষ সভায় দেশ বিদেশের রাষ্ট্রনেতাদের করতে
বিভূতিবাবুর ঘরে জোরদার রিহার্সাল শুরু হয়ে গেল। দুটো নারী চরিত্র আছে বটে। তবে তাদের মুখে ডায়লগ রাখা হল না। সেটা স্টেজ রিহার্সালের সময় পাড়ার মধ্যে থেকেই দুজনকে ঠিক করে নিতে হবে। অসিতই সকলের প্রচ্ছন্ন অনুমোদনে এ নাটকের পরিচালক হয়ে গেল। যতই ছোটখাট ব্যাপার হোক একজন পরিচালক তো চাই। অসিত অবশ্য একটা ফিমেল রোলে, সংলাপহীন ... ...
এরপর বাদশাহ শাহাজাদা ঔরঙ্গজেবকে নিয়ে বুন্দেলা রাজধানী ওরচা গেলেন , সেখানে তখন নতুন রাজা দেবী সিংহ। সঙ্গে সেপাইসালার খান -ই জাহান,আব্দুল্লাহ খান বাহাদুর ফিরোজ জং আর খান -ই দৌরান আর তাঁদের সিসোদিয়া , রাঠোর , কাছওয়া আর হাডা রাজপুত সেনানায়ক আর সেনার দল। বুন্দেলা রাজধানীতে ঝুঝরের বাবা জাহাঙ্গীরের সহযোগী বীর সিংহ বুন্দেলা তাঁদের কূলদেবতার মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। রাজ ক্ষমতার প্রতীক এই মন্দির ... ...
কিসসা কিস (Kiss) কা:চুমু খাওয়ার ইতিহাস :অম্লান সরকারচুমু খাওয়ার ইতিহাস বহু প্রাচীন। গবেষণায় দেখা গেছে খ্রীষ্টের জন্মের প্রায় ২৫০০ বছর আগে প্রাচীন মেসোপটেমিয়া ও ইজিপ্টে চুমু খাওয়ার প্রচলন ছিল। একজন পুরুষ ও নারীর পরস্পরের প্রতি যৌন আকর্ষণজনিত আবেগের প্রথম বহিঃপ্রকাশ ঘটে একজনের অধরের সঙ্গে আর একজনের অধরের এক মিলিত অবস্থা দিয়ে যাকে আমরা চুমু বা শুদ্ধ বাংলায় চুম্বন নামে ... ...
বেনারস পর্ব ৩ ভোরবেলা অন্ধকার থাকতেই স্নান সেরে তৈরী হয়ে নিলাম বেরোবার জন্য। জলখাবার সেরে অদ্বৈত আশ্রমের মন্দিরে গিয়ে বসলাম। সকালের পূজো চলছে মন্দিরে। মন্দির চত্বরেই দুর্গা দালান – শ্রীশ্রীমা এবং শ্রীশ্রীঠাকুরের সন্তানদের পদধূলি ধন্য । কাশীধামে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করবার জন্য ভিঙ্গার রাজা স্বামী বিবেকানন্দকে কিছু অর্থ প্রদান করেছিলেন। কাশীতে মূলতঃ বেদান্ত প্রচারের উদ্দেশ্যে স্বামীজীর নির্দেশে এই বেদান্ত আশ্রম স্থাপন করেন স্বামী শিবানন্দ। নাম রাখা হয় "শ্রীরামকৃষ্ণ অদ্বৈত আশ্রম"। কোনোও পুণ্যস্মৃতি বিজড়িত স্থানে গেলে তা অনুভূতিতে ধরা দেয়। গোটা বাড়িটি জুড়ে যেন কি এক আধ্যাত্মিকতার পরশ! শত বছরেরও বেশী সময় পার হয়ে গিয়েছে এই আশ্রম বাড়িটির উপর দিয়ে। দেওয়াল, থাম, ... ...
হুতুম পেঁচির জাফরি হতেজি - ২০তামিমৌ ত্রমি দিনমণি চোগা চাপকান পরে গদিতে বার দিয়ে বসেচেন। ঢাকাই ও শান্তিপুরে কাপুড়ের মত ফিনফিনে মেঘেরা, আতরওয়ালার মত জলদগম্ভীরা ও যাত্রার দালালের মত গুমোট জগদ্দল মেঘেদের মোসায়েবরা মার্তণ্ডকে ঘিরে তোয়াজ কচ্চেন। রাজধানী দিল্লিতে বর্ষা ও মোচ্ছব লেগেচে। পুতুল নাচ, বুলবুল ফাইট বা ম্যাড়ার লড়াইয়ের
পেত্নীর অতৃপ্ত ভালোবাসা আদায়। লেখক :- শংকর হালদার শৈলবালা। শ্রেণী :- ভৌতিক গল্প। ◆ রাতের বার বগির কৃষ্ণনগরের শেষ ট্রেন নৈহাটি স্টেশন দাঁড়িয়ে আছে। মৃত্যুঞ্জয় ট্রেন ধরার জন্য ছুটতে ছুটতে সাত নম্বর বগীর জানলার কাছে গিয়ে ভিতরে ফাঁকা জায়গা আছে কিনা উঁকি মেরে দেখতে থাকে। ◆ ট্রেনের মধ্যে জানালার পাশে বসা এক মহিলা
গুরুগ্রামের না হোক, গুরু যে একখান হেভি মাল তা নিয়ে সন্দেহ নাই!প্রত্যেক ধাপে ধাপে চমক।বেশ লাগে মাইরি! খুলি, দেখি। লোভও লাগে। স্বাভাবিক। ভাবি, কিছু লিখলে হয়।একখান লিখেই ফেললাম। দিলাম মেইল করে। গুরু যে হেব্বি গুরু! সাড়াশব্দ নাই! আরও
প্রতিবিম্বর মামা পরমানন্দ বোস বললেন, ' একটু কথা বলতাম ওনার সঙ্গে ... একটা সমস্যা ছিল ... উনি কি আছেন ? ' সুমনা পলকে নিজের মধ্যে ফিরে এল। লজ্জিত স্বরে বলল, ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... আসুন আসুন .... কিছু মনে করবেন না মেসোমশাই ... ' সুমনাকে অনুসরণ করে প্রতিবিম্ব আর তার মামা দোতলায় ... ...