তোমার মুখের দিকে একবার, শুধু একবার তাকিয়েই আমার আর ফেরা হলো না!কেমন বলবো?- ঐ স্বর্গের দেবী বা অপ্সরী বা জলপরীদের মুখের মতন তোমার মুখের গড়ন।তোমার দুই চোখের কাজল, নরম দুই পাতলা গোলাপী ঠোঁট, টানা টানা দুই ভুরু, সেই ভ্রুদ্বয়ের মাঝে লাল টিপ, দুধে আলতা গালের রঙ, নাকে ছোট্ট সোনালী ... ...
আমি এখনও অব্দি তোমায় বলতে পারলাম না 'ভালোবাসি',তোমাকে যতবারই দেখি যতবারই কাছে আসো,শুধু বলার চেষ্টা করে যাই- তবু বলতে পারি না।আমার খাওয়া, ঘুম ত্যাগ হয়েছে তোমায় বলতে পারছি না বলে, দিনের পর দিন কথাটা জমে জমে আমার শরীরটাকে একটা আস্ত জগদ্দল পাথর
একালের প্রবন্ধ সঞ্চয়ন ।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯২-এ বইটি প্রকাশ করে আবশ্যিক বাংলা বইয়ের পাঠ্য হিসেবে। পাঠক্রম নির্মাতাদের এতদিন পর অভিনন্দন জানাতে হচ্ছে, অসাধারণ কিছু প্রবন্ধ সেখানে সন্নিবেশিত করায়। যা ৩১ বছর পর অসম্ভব প্রাসঙ্গিক।ইতিহাস ও সংস্কৃতি -- সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়মার্কসবাদ ও মনুষ্যধর্ম--নীরেন্দ্রনাথ রায়রামকথার প্রাক-ইতিহাস -- সুকুমার সেনযে দেশে বহু ধর্ম বহু ভাষা-- অন্নদাশঙ্কর রায়কৃষি সমস্যা ও আমরা-- অশোক মিত্র এছাড়াও ছিল ... ...
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে পশ্চিমে গাল্ফ অফ মেক্সিকোকে আগলে রেখে পূবে উত্তর এ্যাটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যে তর্জনীর মতো প্রসারিত ফ্লোরিডা রাজ্য - যার কিছু মূল আকর্ষণ মায়ামি সৈকতে উচ্ছ্বল সমূদ্রস্নান বা নেশা ধরানো নিশাজীবন। মায়ামির সানি আইল্যান্ডের শুভ্র বালুকা সৈকতে আছে ডোনাদার চোখধাঁধানো ট্রাম্প রিসর্ট। এখানে আছে নানা থিম পার্ক - ডিজনি ওয়ার্ল্ড যার শিরোমনি। সেইসব কল্পলোকে বাচ্চা থেকে বুড়ো টিকিট কেটে দেখতে যায় মনুষ্যনির্মিত নানা আজব কান্ডকারখানা।মেক্সিকো উপসাগরের উপকুল ধরে পশ্চিমে গেলে দেখা যাবে ফ্লোরিডা ও লুইসিয়ানা রাজ্যের দাপটে সৈকতে সলজ্জে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে আলাবামা ও মিসিসিপি রাজ্যের কয়েকটি করুণ আঁচিল। লুইসিয়ানার আঁকাবাঁকা সৈকতরেখা ধরে আরো পশ্চিমে এগোলে দেখা যাবে দীর্ঘাঙ্গী ... ...
যদিও আমার পিতৃপুরুষেরা ফরিদপুর জেলার আদি বাসিন্দা ছিলেন, যা বর্তমানে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অন্তর্গত, কিন্তু তাঁরা দেশভাগের প্রাক্কালেই এদেশে চলে এসেছিলেন এবং পাকাপাকিভাবে বাংলাদেশ যুদ্ধের সময়ে সেই ভিটের সাথে নাড়ীর যোগ ছিন্ন হয়েছিল। এদেশে এসে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়ে থিতু হতে না পেরে শেষ অব্দি বহরমপুরে থিতু হয়েছিলেন সেই পঞ্চাশের দশকের শুরুতে। আমার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা সেই বহরমপুর শহরেই। সেকারণে পিতৃপুরুষ বঙ্গবাসী হলেও আমাকে বাঙাল বললে ছোটবেলা থেকেই ভীষণ রাগ হতো। এই রাগের কারণেই আমার নামের সাথে শব্দটি জুড়ে গিয়েছিল মাতৃকুলের বদান্যতায়। আমি মনে প্রাণে এদেশীয় মানে ঘটি। যে দেশ চোখে দেখিনি তার সম্পর্কে অনুরাগ থাকা আমার একেবারেই না পসন্দ ... ...
দিবাকর বলল, ' আসুন আসুন ... 'শঙ্খ দিবাকরের পিছন পিছন দোতলায় উঠে এল ।অলোকেন্দুবাবুর চেম্বারের পাশে সেই ছোট ঘরটার দরজা খুলে ফ্যান চালিয়ে দিয়ে বলল , ' বসুন ... খবর দিচ্ছি ' ।বাসন্তীদেবীর ঘরের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে দিবাকর বলল, ' বৌদি ... একজন দেখা করতে এসেছে । ওয়েটিং রুমে বসিয়েছি ... 'রেডিওয় গীতা দত্তের 'মেরা নাম চিন চিন চু ... হ্যালো মিস্টার হাউ ডু ইউ ডু ... ' হচ্ছিল আর বাসন্তীদেবী তালে তালে পা নাচাচ্ছিলেন শুয়ে ... ...
দত্তপুলিয়ার ইতিহাস। প্রাচীনকালের দত্তপুলিয়া। ১৪৭৩ থেকে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। লেখক :- শংকর হালদার শৈলবালা।দত্তপুলিয়া, নদীয়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। ◆ দত্তপুলিয়া গ্রামের উৎপত্তির ইতিহাস।◆ বিভিন্ন জনশ্রুতি থেকে জানা যায়, দত্তপুলিয়া গ্রাম আনুমানিক ৫৫০ বছর আগে অর্থাৎ ১৪৭৩ খ্রিস্টাব্দের দিকে বসতি স্থাপন
ড্রেসিং টেবিলআমার পিতা মাতার বিবাহের দিন, হয়তো অনেকের মনে আছে, কারণ, সেইদিন প্রথম আমদের দেশে লোকসভা নির্বাচনের দিন, বালিগঞ্জ কেন্দ্রে। দিনটা ছিল বিবাহ আর বৌভাতের মাঝের দিন, সেই কারণে ভোট দিতে কারো কোন অসুবিধাই হয় নি। কম কথায়, বিয়ের সম্বন্ধের কথাটা সেরে নি। আমার ঠাকুমা অনেক পুত্র কন্যা রেখে চোখ বুঝলেন, ঠাকুর্দা অথৈ জলে পড়লেন। আমার বাবা বড় ছেলে, সেই কারণে তার বিবাহের ... ...
টুঙ্কু, বাপন, সোনাই, তিন্নি - এসব ডাক নাম। পাড়ায় দুর্গাপুজোর সুভেনিরে ভেতরের দিকে কোনো এক পাতায় তলায় দিকে - "যাদের বাদ দিয়ে চলে না" - শিরোনামে এসব নাম পদবী ছাড়াই ছাপা হয়। দু এক লাইনেই শেষ। ব্যতিক্রম ব্যতীত বেশিরভাগ পুজোর সুভেনিরের বাঁধা গৎ। প্রথমে থাকে 'আমাদের কথা' জাতীয় একটা ভাবগম্ভীর লেখা। তারপর থাকে সভাপতির বক্তব্য। আবেদন করে পাওয়া মুখ্যমন্ত্রী বা জেলাশাসকের পাইকারি হারে বিলোনো যান্ত্রিক ... ...
নলিন সরকার স্ট্রীটের সুশোভন সেদিন প্রতিবিম্বকে বলল, ' রবিবারে বাড়িতে আয়। পুজোর গান কিনেছি কিছু ... শোনাব। মানবেন্দ্র খুব নাম করেছে জানিস তো ... ও একটা দারুণ গান করেছে .... কি যেন ... বনে নয় মনে মোর পাখি আজ গান গায়। দারুণ লাগল। আসিস কিন্তু ...। পুজো এসে পড়ল প্রায়। রবিবার দুপুরের দিকে সুশোভনের বাড়ি গেল প্রতিবিম্ব। শুধু বনে নয় ... না, আরও অনেক গান টান শোনা ... ...
শাহাজাদী জাহানারা সুরাট বন্দরের বিপুল রাজস্ব পেতেন, সবচেয়ে ধনী মহিলা শিল্প-বাণিজ্য উদ্যোগী ছিলেন ষোলো সতেরো বছর বয়েস থেকে, ছিলেন বিরাট বিরাট সব জায়গীরের মালিক। তাঁর বা ছোট বোন রোশেনারার বিয়ে থা দিতে শাহাজানের বা শাহী খানদানের কারুর কোন উদ্যোগ নেই। বিয়ে দেওয়ার ঝামেলাও আছে, যদি ছেলে হয় সে তো নির্ঘাত দারা শুকোহর ছেলে সুলেমান শুকোহের প্রতিদ্বন্দ্বী ... ...
আয়রে ভোলা, দুয়ার খোলা, আয়না মোদের ঘরে আয়। শতেক বছর পরেও যে মন সেই সে মজায় মজতে চায় । দেশ ভরেছে হুঁকো মুখোয়
প্রতিবিম্ব দাঁড়িয়ে উঠল । সুমনা ওখানেই দাঁড়িয়ে রইল । ----- ' আরে আপনি এখানে ? সেদিন অবশ্য মিস্টার মিত্র বললেন , আপনি বেথুন কলেজে ম্যাথসে অনার্স পড়েন ... 'সুমনা একটু এগিয়ে এল । বলল, ' অফ পিরিয়ডে মাঝে মাঝে আমরা ঘুরি এখানে । আজ অবশ্য আমি একাই আছি ... ' ----- ' ও আচ্ছা ... আপনার বস কিন্তু খুব সিনসিয়ারলি ... ...
------ এই ভাবে শাহাজাদা দারা শুকোহ কাদিরি সুফি সিলসিলার একজন হয়ে উঠলেন।------ ব্যাপারটা ওতো সহজ ছিল না।------ ছিল না ?------ না, শাহাজাদা তাঁদের কাছে একবার দুবার লোক লস্কর নিয়ে এসে উদ্ধার করে দিলেন, এমনটা ভাবার বান্দাই ছিলেন না কাদিরি পীর মিয়াঁ মির বা কাশ্মীরের মুল্লা শাহ
মাননীয় কল্লোল বাবু,আপনাকে কিছু জানাতে গেলে আমাকে সেই চিঠির সাহায্যই নিতে হয় প্রতিবার। এ বোধহয় বিধিলিপি একরকম। আচ্ছা আপনি বিধিলিপি মানেন? আতুরে এসে বিধাতাপুরুষের লেখাজোকা? মানেন না নিশ্চয়ই। গোরা নকশালও যে মানত না, তা আপনার লেখা পড়েই বুঝেছি। গোরা, সুশান্ত, প্রিয়াংশু, ব্রতী, অনিমেষ এমন বহু বহু হারিয়ে যাওয়া পরিচয়, তারা কেউ বিধিলিপি মানত না। বরং নেপোলিয়নের ... ...
নিতাইবাবুর বাড়িতে রাত দশটার সময় রাশি রাশি তালের বড়া ভাজা হচ্ছে। বাজারে আজ বেশ সস্তায় তাল পাওয়া গেল। গন্ধে ম ম করছে বাড়ি। নিতাইবাবু অঞ্জলির সঙ্গে দীর্ঘ পরামর্শের পর ঠিক করে ফেলেছেন যে তিনি বি টি রোড থেকে খানিকটা ভিতরের দিকে ওই সিঁথির জমিটাই কিনবেন। দমদমে হনুমান মন্দিরের কাছে অনেক জমি ... ...
নাটকের রিহার্সালের দৌলতে বিভূতিবাবুর মন বেশ ফুরফুরে আছে। যদিও তিনি নাটকে কোন চরিত্রে নেই, তার উৎসাহ এবং উদ্যমের শেষ নেই। যেদিন রিহার্সাল থাকে তার মনে হয় উৎসবের দিন। অসিতের ক্যাপ্টেন্সিতে মহড়া ভালই এগোচ্ছে। ছোকরার এলেম আছে বলতে হবে। জিনিসটা দাঁড়িয়ে যাবে মনে হয়। অভিনেতারা সবাই একনিষ্ঠ হয়ে নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছে। একটু বয়স্ক অনেকের অভিনয় দেখে মনে হচ্ছে জীবনের অনেকটা বেলা ... ...
বেনারস পর্ব ৫পরের দিন সকালে জলখাবারের পর গেলাম অদ্বৈত আশ্রমের কাছেই "লক্ষ্মী নিবাস" এ। মহিলা ভক্তদের সঙ্গে শ্রীশ্রীমা টানা আড়াই মাস এই বাড়িতে ছিলেন। বড় আনন্দের ছিল সে সব দিন। বাড়ির মালিক কলকাতার বাগবাজারের বাসিন্দা। শ্রীশ্রীমায়ের ভক্ত। ভক্তদের কাছে মা স্বয়ং লক্ষ্মী – স্বয়ং জগজ্জননী। ভক্ত পরিবার তাই নব নির্মিত বাড়িটিতে শ্রীশ্রীমাকে দিয়েই গৃহপ্রবেশ করিয়েছিলেন। সেই পূত পাদস্পর্শে পবিত্র হয়ে বাড়িটি মন্দিরের মর্যাদা পায়। এখনও বাড়িটিতে পরিবারের লোকজন বসবাস করেন নীচের তলায়। উপরের তলায় সুন্দর, আড়ম্বরহীন শ্রীমায়ের মন্দির। জানা গেল, ঐ ঘরটিতেই শ্রীমা বসবাস করেছিলেন বলেই ঘরটিকে মন্দির করা হয়েছে। গোটা বাড়িটির দেওয়াল জুড়ে শ্রীশ্রীমা ও তাঁর সঙ্গী সাথী, শ্রীমায়ের ... ...
গণপতি গজানন আখ্যানসুযোগটা হঠাৎ করেই এসে গেল। ঠিক যেন মেঘ না চাইতেই জল। আমার কন্যাকে একটা বিশেষ কাজের জন্য মুম্বাই যেতে হবে। একজন চরণদার দরকার। তাই আমি হুলো বেড়ালের মতো কোমর বেঁধে অন্যদের টা টা বাই বাই করে একেবারে উড়ানপথে মুম্বাই চললুম। জরুরি কাজ ঠিকঠাক মিটিয়ে আসার উত্তেজনার পাশাপাশি মনের ভেতরে আরও একটা বাড়তি টান বেশ টনটনিয়ে উঠেছিল আর তা হলো - গণেশ চতুর্থী উদযাপনের জন্য মুম্বাইকরদের ... ...
নয়টি সেকেন্ড মাত্র ——————— সুপ্রিয়া চৌধুরী ——————— যাতায়াতের পথে নজর কাড়ার মত আকার ছিল তার,- কুতুবমিনারের চেয়ে ও উঁচু,- সগর্বে দাঁড়িয়ে থাকা, বিশালকায় আবাসন, যার তুলনা মেলা ভার। কখনো ভেবেছি আনমনে, এই আবাসন যাদের হবে ঠিকানা, তারা হয়ত