মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশের সাথে সাথে, বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে মানুষের প্রধানতঃ দুইটি স্বপ্ন বা আকাঙ্ক্ষার সৃষ্টি হয়েছে। এক, মৃত্যুকে জয় করা অর্থাৎ অমরত্ব এবং দুই, অতীত আর ভবিষ্যতকে দর্শন করা অর্থাৎ বিজ্ঞানের ভাষায় টাইম ট্রাভেল করা। মৃত্যু মানব জীবনের একমাত্র সত্য হলেও মৃত্যুর পরের কল্পিত ঘটনাবলী মানুষ নিজেই তৈরী করেছে এবং স্বর্গ, নরক, পাপের প্রায়শ্চিত্ত ইত্যাদি ইত্যাদির চক্রব্যূহে নিজেই ... ...
হানসের কথা আমাদের অনেকেরই জানা। সমুদ্রের ধারে থাকা নেদারল্যান্ড দেশটার গড়ন অনেকটা চ্যাটালো। তাই সমুদ্রের জল কুল ছাপিয়ে ঢুকে পড়ে একেবারে দেশের ভেতরে। এরফলে উপকূল ঘেঁষে বসবাস করা মানুষজনের কাছে বিষয়টি খুব উদ্বেগের ও বিড়ম্বনার। কূলের ঠাঁই ছেড়ে অন্যত্র চলে যাবার উপায় নেই , কারণ এখানে বিপদের ঝুঁকি নিয়ে থাকা মানুষজনের অধিকাংশই হলো মেছুয়া। সমুদ্রের পশরা নিয়েই তাঁদের বেঁচে থাকার লড়াই। উপকূলের মানুষেরা তাই দরিয়ার সাথে দোস্তি করেই টিকে আছে। কীভাবে এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায় তা নিয়ে নানান আলোচনা চলে ভুক্তভোগী মানুষজনের । অনেক ভাবনা চিন্তা করে শেষে ঠিক হয় উপকূল ঘিরে টানা বাঁধ দেবার। দীর্ঘ সময় ... ...
BOOKER 2023 SHORTLISTED BOOK #1 বিধিসন্মত সতর্কীকরণঃ এই উপন্যাসটি পড়তে হলে স্কোয়াশ খেলা, খেলার বিধিবদ্ধ নিয়ম এবং কোর্ট সম্পর্কিত খুঁটিনাটি জানা আবশ্যক। প্রফেশনাল লেভেলের না হলেও বিগেইনার লেভেলের তো বটেই। নচেৎ, উপন্যাস পাঠের সময় কল্পনাশক্তির অভাবে আপনি বারবার উপন্যাসের টিউনিং থেকে হঠে যেতে পারেন। খেলাটাও একটু দেখে নিলে ভালো হয়। আমি, মাঝখান থেকে, ভারত এশিয়ান গেমসে ... ...
উনবিংশ শতকের গোড়ার কথা। তখনও প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়নি। সেই সময় অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার আকাশে এক রহস্যময় পেঁচার আবির্ভাব, সঙ্গিনী ছাড়াই! তবে প্রথমেই সে উড়ে এসে বসে ছিল - গোঁড়া ক্যাথলিক চার্চের মাথায়। সে কি আঁকা না সঙ্গীত শিক্ষা
#ঠিকানা #অণুগল্প #জয়ন্ত_অধিকারি "দাদু, দাদু...আমি চলে এসেছি।" বলেই দৌড়তে দৌড়তে এসে ছোট্ট দুই হাত দু দিকে বাড়িয়ে দাদুকে জড়িয়ে ধরে প্রিয়ম। রণজয় ছোট্ট প্রিয়মকে জড়িয়ে ধরেন। ওকে কোলে তুলে ফেলেন। জিজ্ঞেস করেন, "আসতে কোনও অসুবিধে হয় নি তো তোমার? রাস্তায় ঘুমিয়েছিলে? বাবা মা কে ডিস্টার্ব করো নি তো?""ধুর, আমি কেন ডিস্টার্ব করব ওদের? আমি তো পেছনে বসে মোবাইলে ডোরেমন দেখছিলাম। দেখতে দেখতে ঘুমিয়েই পড়েছিলাম। তারপর চোখ খুলেই দেখি... ... ...
বিকল্প মিডিয়া নিয়ে কিছু কথা লিখেছিলাম আগের দিন। আমাদের কথা, অর্থাৎ গুরুচণ্ডা৯ নিয়ে কিছু লিখিনি। সেটাও বলা দরকার। আগামী বছর গুরুচণ্ডা৯র কুড়ি বছর হবে। ২০০৪ সালে ওয়েবসাইট খোলা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত গুরুচণ্ডা৯ সম্পূর্ণ অলাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ, আমরা বই ছাপি, বিক্রিও করি, কিন্তু যদি তা থেকে লাভ-টাভ কখনও হবার সম্ভাবনা হয়, তাহলে সেটা পকেটে পুরে কেউ বাড়ি নিয়ে যায়না। বইয়ের ক্ষেত্রে লাভ করার বিশেষ চেষ্টাও অবশ্য আমরা করিনা, কম দামে সুলভে বই দেওয়াটাই আমাদের লক্ষ্য। লেখালিখির ক্ষেত্রে লক্ষ্য, 'অন্যরকম' ঘরানাকে উৎসাহ দেওয়া, তৈরি করা। আর ইন্টারনেটে লক্ষ্য একটা আলোচনার পরিসর তৈরি করা। বাণিজ্যিক, রাজনৈতিক অ্যাফিলিয়েশন আমাদের কোত্থাও নেই। ... ...
কালিপুজোর পরই নিতাইবাবু বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করে দিলেন। শশীভূষণবাবু তার চেনাজানা মিস্ত্রি এবং জোগাড়ের ব্যবস্থা করে দিলেন। তিনি মিস্ত্রির কাজ দেখাশোনার ভারও নিলেন সকালে বিকেলে হাজির হয়ে কারণ নিতাইবাবুর তো ছুটির দিন ছাড়া সময় হবে না। কাঁহাতক আর অফিস কামাই করা যায় এই বছরের শেষে। শশীভূষণবাবু অতি সদাশয় ব্যক্তি তাতে সন্দেহ নেই। এপাশে ওপাশে আরও দুটো কোঠা ... ...
এক-একটা সময় আমার মনে হয়, রবীন্দ্রনাথ আস্তে আস্তে কেমন করে যেন, আমার জীবনে, এক অন্তহীন পথ হয়ে যাচ্ছেন। আর সেই পথের ধারে ধারে কতই না পসরা! কি চাই, আছে তাই। গুরুগম্ভীর রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে শপিং মল থেকে শুরু করে তার মুখে চুনকালি দেওয়ার উদগ্র আগ্রহে পথের ধারে প্লাস্টিক পেতে বসে যাওয়া ফুটপাথের বেসাতি - আমি দেখি। তা বলে সেখান থেকে টুকরো টুকরো রবীন্দ্রনাথকে আমার জীবনে জুড়ি না। আমার ... ...
গান আর নাচ। নাচ গানের শোভাযাত্রা।নাচের দল গানের দল আসে,গান গায়, নাচে। বেরিয়ে যায়।আবার আসে তারা অন্য কোন গানে নিয়ে।নাচে, বেরিয়ে যায়।বুড়ো – বিধাতা লক্ষলক্ষ কোটিকোটি মানুষ সৃষ্টি করে চলেছেন,তবু মানুষের আশা মেটে না। বলে, আমরা নিজে মানুষ তৈরি করব।তাই দেবতার সজীব পুতুল - খেলার পাশাপাশি নিজের খেলা শুরু হল পুতুল নিয়ে, সেগুলো মানুষের আপন - গড়া মানুষ।(নেপথ্যে – কোরাস – গল্প বলো, গল্প বলো, গল্প বলো ………।।)বুড়ো- ‘গল্প বলো' ; ‘গল্প বলো' ‘গল্প বলো'। তার মানে, ভাষায় গড়া মানুষ বানাও।(নেপথ্যে- গল্প বল, গল্প বলো, ভাষায় গড়া মানুষ বানাও।) বুড়ো- গড়ে উঠল কত রাজপুত্তুর, মন্ত্রীর পুত্তুর, সুয়োরানী, দুয়োরানী, মৎস্যনারীর উপাখ্যান, আরব্য উপন্যাস, ... ...
নিকেশ হওয়া আহমদনগরের সঙ্গে যুক্ত মারাঠা সর্দারদের কিনে নিচ্ছিল বিজাপুর অথবা মোঘলরা। শুধু মারকাট নয়, দক্ষতার সঙ্গে আঞ্চলিক শক্তি - বিশেষ করে মারাঠা নানা সর্দারদের সঙ্গে আঁতাত করে নিজের প্রভাব ক্ষেত্র বাড়িয়ে চলেছিলেন শাহাজাদা ঔরঙ্গজেব। যুদ্ধ পেশায় যুক্ত চাষীরা দুদলে ভাগ হচ্ছিল আর রাজা-বাদশাহের চাপানো ছকের বাইরে মারাঠি ভাষী রায়তদের মধ্যে নিম্নবর্ণের জাগরণ হচ্ছিল, মারাঠা জাতীয়তাবাদের ভিত্তি তৈরি হচ্ছিল তলেতলে। নামদেবের ঐতিহ্যে আরেক শুদ্র ভক্তিবাদী মহান কবি তুকারাম (১৬০৮-১৬৪৯) উঠে এলেন অর্গলমুক্ত স্থানীয় ভাষায়, কুনবি শূদ্র রায়তের প্রতিনিধি হিসেবে :ভগবান তুমি কুনবি করেছ মোরে নইলে কবেই মরে যেতাম দ্বিচারিতার ঘোরে ভগবান তুমি বাঁচিয়ে দিয়েছ মোরে নাচে তুকা পড়ে তোমার শ্রীচরণের দোরে। ... ...
পিপের মধ্যে ঘুমিয়ে ছিল প্রজাতির মহাভারত। বিচ্ছু ছেলেটা লাথি মারতেই তাকে উল্টে পড়ে গড়াতে লাগল প্রত্ন-সাম্প্রতিক অবচেতনের নিষ্ফল চত্বরে, আর ঠিক তখনই ঘটলো স্বপ্নের মধ্যে লাল ক্রিসেনথিমামের বাস্তব বিস্ফোরণ....
ঈশ্বর কোথায় থাকেন? মন্দিরেও না, মসজিদেও না, গির্জায়ও না, মঠেও না। তবে থাকেন কোথায়? আকাশে? মহাশূন্যে? জলে? পাতালে? মাটিতে? স্বর্গে? নরকে? না। এসবের কোথাও না। তবু তিনি আছেন। তিনি না থাকলে কি সূর্য ওঠে? পাহাড় থেকে ঝরনা ঝরে? মেঘ থেকে বৃষ্টি পড়ে? ঝড় তুফানে সবকিছু তছনছ হয়ে যায়? তবে তিনি কোথায় থাকেন? তিনি থাকেন প্রতিটি প্রাণীর মধ্যে, প্রতিটি জড়বস্তুর ... ...
যেদিন আমার যাবার সময় হবে, সেদিন পারবে কি আমায় আটকাতে প্রিয়? স্বয়ং যমরাজের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে পারবে? শুনেছি মা সীতার অগ্নিপরীক্ষার কাহিনী - তিনি সফল হয়েছিলেন। আমি সেদিন দেখবো তোমার ভালোবাসার পরীক্ষা। তুমি পারবে না সফল হতে? কথা দাও। সারা জীবন যে এত ভালোবাসা দিলে, তা সব বৃথা হবে? মা সাবিত্রী মা বেহুলার মতো তুমিও কি পারবে না সতীত্ব রক্ষা করতে? সেই পৌরাণিক যুগ এখন ... ...
--------------------------- কলির শান্তিনিকেতন, শান্তিনিকেতনের কলি। প্রায় দু-মাস গরমের ছুটি কাটিয়ে, এবারে ফেরার পালা। এই দু -মাসে চিঠি সঙ্গী। ইনল্যান্ড কিংবা খামবন্দী গন্ধ মাখা চিঠি। কত, কত চিঠি!!..পরস্পরকে এভাবেই ছুঁয়ে থাকা। এবারে ফেরা। প্রথম প্রথম বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকা। এ-বাড়ি। ও-বাড়ি। সীমান্তপল্লীতেই ঘোরাফেরা। বালি পাড়ার কাছাকাছি দোতলা বাড়ি। ফুল ফল সবজির বাগান। কলিদের ঘর ... ...
বিসর্জনের দিন রামদুলাল সরকার স্ট্রিটের এক পরিবারে সত্যিই বিসর্জনের বাজনা বেজে উঠল। সপ্তমীর দিন বাগবাজার সার্বজনীনের মাঠে অনিমেষের বলা ' ওরকম বলিস না ... কোন কথাটা যে লেগে যায় কেউ বলতে পারে না ... ' একদম অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল। পাড়ার বয়স্ক বাসিন্দা সংসারনাথ মুখোপাধ্যায় অকস্মাৎ ইহলোক
ভারত-চীন এবং ভারত-পাকিস্থানের যুদ্ধের পরে বিশ্বের কাছে ভারতবর্ষ যখন এক উদীয়মান শক্তি হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছে ঠিক সেই সময়েই ভারতবর্ষের আকাশ থেকে দুইটি শক্তিশালী নক্ষত্রের পতন ঘটে। অভিশপ্ত সেই বছর ১৯৬৬ সাল এবং আরও ভালো করে বললে ১৯৬৬ সালের জানুয়ারী মাস। মাত্র ১৩ দিনের পার্থক্যে ভারতবর্ষ নামক দেশটি অনেকখানি রিক্ত হয়ে পড়ে। ১৯৬৬ সালের ১০ই জানুয়ারী ভারত-পাকিস্থান ... ...