কয়েক লক্ষ মন ভিজিয়ে মেঘ ফিরলো আধেক লেখা চিঠি আবার পেলো কথা নাকের কাছে ঘাম, চায়ের কাপে রাস্তা-ধুলো মেঘের নামে কেউ শোনালো কিচ্ছু যা-তা ভয় পাইয়ে বুক জাপটে ঘুম আনলো মেঘের অনেক ছলচাতুরি কেউ বুঝলো নাও সব সময় তোমায় পেতে মন চাইলো বৃষ্টি জানে কবির পেটে ভাত জোটে না। স্তব্ধ কাচের দেওয়াল পিছে কেউ ঘুমোলো ... ...
এঁটে বসে মুখোশ, মুখে ধুরন্ধরের হাসিসব নীল নায়িকার দোষ, যদি শরীর ভালোবাসি ভেলকি যৌবনজ্বালায় উপোষ তাই সাত পাকেরই আপোসকে বলবে কার সত্যি মুখ খুললেই ওড়ে মাছি। আরো গল্প ছিল মজার, এই তো সবে শুরু কাঁটা বেছে খেত বেড়াল, স্টক বাড়ছে সজারু-র এদিকে আলগা পেলেই স্ক্যান্ডাল পরকীয়া নামের ক্যাচাল আকাশ ছুঁতে একটু বাকি প্রতিবেশীর ভুরু। দুরু দুরু বুকে রাত্তির, পথে ছায়া চলাচল হচ্ছে উন্নয়ন ... ...
তিস্তা ফুঁসছে। উন্নয়নের শিকল ছিঁড়ে নিজের আনন্দে বয়ে চলার বার্তা পাঠাতেই সব ছারখার, সব বিধ্বস্ত। বিপুল অর্থ খরচ করে নদীর শরীর জুড়ে তৈরি চুঙথাঙ্ বাঁধ ভেঙে তিস্তা যেন ফিরে পেতে চাইছে তাঁর হারিয়ে যাওয়া যৌবনের উচ্ছল স্মৃতিকে। খুব সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হিমাচল, উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয়ের কাহিনি সম্পূর্ণ অতীত হবার আগেই সিকিমের এই ঘটনা আবার প্রকৃতি পরিবেশের ওপর মানুষের খবরদারি করার ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে যেন নতুন করে ... ...
গুরু সম্বন্ধে জেনেছিলাম ২০২২ এর এক্কেরে শেষের দিকে। তাও যোগ দিতে ২০২৩ পৌঁছে গেছিল। আরে সময় এত তাড়াতাড়ি দৌড়ায় কি বলবো! পায়ে পা মিলিয়ে চলার তো দুষ্কর। অবশ্য এত দেরি হওয়ার কারণ অবশ্যই আমার কুঁড়েমি। তারপর নিয়মিত না হোক কখনো সখনো এসে হরিদাস পালদের লেখ্য গুলো গিলতে চেষ্টা করতাম, অবশ্য হজম হয়নি কখনো, তা বলাই বাহুল্য।লিখালিখির বাজে অভ্যেস ছোটবেলা থেকেই ছিল, তবু গুরু-তে, মানে বুঝছেন গুরু-তে লিখালিখি করার কথা ... ...
এই নিউজক্লিক কান্ডের পর অন্য একটা কথাও মনে হচ্ছে। সেটা বিকল্প মিডিয়া প্রসঙ্গে। গত কুড়ি বছরে, বাংলা এবং গোটা ভারতেই বিকল্প লেখালিখির জায়গাটা দুমাদ্দুম স্টার্টআপ সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। এই স্টার্টআপ জিনিসটা কী? না আপনি নিজের উদ্যোগে বা খরচায় কিছু একটা ছোট্টো করে বানালেন। তারপর তার মুনাফা-বানানোর সম্ভাবনা আছে দেখিয়ে বড় কোনো শিল্পগোষ্ঠীর কাছে বেচে দিলেন। অথবা সরাসরি বেচলেননা, কিন্তু বেশিরভাগ শেয়ারই বেচে দিয়ে বিনিয়োগ আনলেন। জিনিসটা নতুন কিছু না, কিন্তু ... ...
নমস্কার। আমি বিনয়ভূষণ মুখোপাধ্যায়। লেখক অর্ঘ্যদীপের সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটে কলকাতার বইমেলায়। একটা বুক স্টলে।তবে আমি বইটই লিখি না। আমি খুব গল্প বলতে ভালোবাসি।তবে কোনো বানানো গল্প নয়, নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার কথা বলি।আর সেই থেকেই লেখক আমার সাথে বন্ধুত্ব করেন। আমার বাড়িতে আসেন প্রায়শই। আমার মুখ থেকে সেইসব ঘটনার কথা শোনেন।আর তা থেকেই গল্প লেখেন।তো আজ সেইরকমই আমার জীবনে ঘটে যাওয়া এক ঘটনার কথা শুনবেন লেখকের কলমের মাধ্যমে।আমার জন্ম ইছামতি নদীর তীরে একটি ছোট্ট গ্ৰাম গঙ্গাপানিতে। বর্তমানে আমার বয়স ষাট বছর।যে সময়ের কথা বলছি তখন আমার বয়স বারো কি তেরো বছর। মানে ঐ ক্লাস সিক্স কি সেভেনে ... ...
দিল্লিতে ভোর রাতে গেস্টাপো বাহিনীর হানাভিডিও জার্নালিস্ট অভিসার শর্মা, বরিষ্ঠ সাংবাদিক ভাষা সিং, প্রবীণ সাংবাদিক উর্মিলেশ, নিউজক্লিক-এর এডিটর প্রবীর পুরকায়স্থ ও লেখক গিতা হরিহরণ, প্রখ্যাত সাংবাদিক ও রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির ভাষ্যকার অনিন্দ্য চক্রবর্তী, সক্রিয়তাবাদী ও ইতিহাসবিদ সোহেল হাসমি, এবং কৌতুকাভিনেতা সঞ্জয় রাজৌরার বাড়িতে আজ ভোর রাতে দিল্লি পুলিশের বাহিনী রেইড করে। মুম্বাইয়ে তিস্তা শেতলওয়াড়ের বাড়িতে দিল্লি পুলিশের দল ... ...
মন খারাপের গল্প ————— সুপ্রিয়া চৌধুরী ————— ঐ নীলপাখিটা রোজই আসে বসি যখন বাতায়নে এলোচুলে মন খারাপের কাপে যখন দিই চুমুক, - ঠিক তখনি। সিক্ত আঁখি, মনের মাঝে অঝোর ধারায়
নকুড়ের দোকানের একটু আগে গঙ্গাপদর মুদির দোকান। পুজোর সময় শুধু নবমীর দিন একবেলা বন্ধ থাকে। বাকি সব দিন খোলা। সেই সকাল নটায় দোকান খোলে আর রাত দশটায় বন্ধ করে। দুপুরের সময়টা বাদ দিয়ে সে সময়েই ব্যস্ত থাকে। দোকানের পাশের দিকে একটা বেঞ্চি পাতা আছে। গঙ্গাপদর পুরণো নিয়মিত দু একজন
বেনারস পর্ব ৭সন্ধ্যা হয়ে আসছে। বেনারসের রাস্তা আলোয় ঝলমল করছে। জনস্রোত চলেছে। নিজস্ব ছন্দে, গতিতে এগিয়ে চলেছে সকলেই। আমিও চলেছি দোকান দেখতে দেখতে, মানুষ জন দেখতে দেখতে। এ চলাও এক অদ্ভুত চলা ! এমন ভীড় রাস্তায় একমাত্র কলকাতার পূজোর সময়েই চলেছি। জামাকাপড়, বাসনের দোকান, মিষ্টি, রাবড়ি, চাট, ঠাণ্ডাই , মশলা দুধ, চা – কি না! সব দোকানেই ভীড়। একটি জায়গায় দেখা গেল বড় বড় হাঁড়িতে খিচুড়ি – বিলি করা হচ্ছে পথ চলতি মানুষের মধ্যে । সেই প্রসাদ কেউ গ্ৰহণ করছেন প্রসাদরূপে কেউ বা ক্ষুধা নিবৃত্তির উদ্দেশ্যে। স্বয়ং মা অন্নপূর্ণার বাস বারাণসীতে – সেখানে মায়ের কোনোও সন্তান কি আর অভুক্ত থাকতে ... ...
প্রেম থেকে প্রাণ ঝাঁপ দিয়ে পড়ে ট্রেনের সামনে, কুচিকুচি হওয়ার আগে অব্দি তার চোখে ডিলিউশন। আমরা বই খাতা ফেলে ইস্কুল টিউশন খুঁজে ফিরি
একই আকাশের নিচে আমাদের বাসা খড়কুটো নিয়ে ভাবনা অফুরান রোজই লড়াই ঝরায় কান্না ঘাম ভিড় বাস আর ট্র্যাফিকে দিশেহারা থমকে থমকে চুল বাড়ে, চুলে পাক আঁচড় জানায় নখের
শরৎ এলেই শিশির ঘাসে, শিউলি ফুলের আলপনা। শরৎ এলেই মনের ভেতর, হাজার খুশির - জালবোনা। শরৎ এলেই
অতিরিক্ত ভদ্রলোক হয়ে গেলে যা হয় আর কি -অপমান, অসম্মান, উপেক্ষা, হেনস্থা এসব তো আছেই, চোখে চোখ রেখে তোমাকেই কোনোদিন কিছু বলা হয়ে ওঠে নি ! অথচ আমার অপদার্থতা জেনেও তুমি সেই ভোরবেলায় ফুল দিয়ে বসলে।আর আমি নিমকহারাম বিড়ালের মত শিকে ছিঁড়তেই দে ছুট... পালিয়ে এসেছিলাম!কি দিতাম বলতো তোমাকে?ফুলের বদলে একটা ফুল? একটা বই? কিম্বা এক তাড়া গানের ডালি?সে সব বড় ক্লিশে হয়ে যেত না? আর কিই বা দিতাম তোমায় এই আঁস্তাকুড় খুঁজে?তোমার একমাথা কোঁকড়ানো চুল, ছোট্ট কপাল আর সাঁওতালি সুন্দরীদের মতো মিষ্টি পুরু ঠোঁটে হারিয়ে যেতে চেয়েছিলাম -পারিনি তাই ছুট... ছুট... ছুট...কোনো বেশ্যা যেমন পয়সা জমায় তার ভালোবাসার লোকের জন্য ... ...
মহালয়ার দিন ভোরে নিতাইবাবু আর অঞ্জলি বাগবাজার ঘাটে এসেছে চান করতে। বটতলা ঘাটের পাশের ঘাটের সিঁড়িতে দুজনে খানিকক্ষণ বসল। বেলা দশটা বাজে। রোদের বেশ তাপ। বটের ছায়ায় বসেছে দুজনে। জলের ওপর দিয়ে ঝিরিঝিরি হাওয়া বইছে সারাক্ষণ। অঞ্জলি বলল,
শেকসপিয়র এর As You Like It নাটকে এক বিদুষকের চরিত্র রয়েছে যার নাম Touchstone। বাংলায় যাকে বলে পরশপাথর। পরশপাথর দেখিয়ে দেয় খাঁটি সোনা আর নকল সোনার ফারাক। ভিক্টোরিয়ান আমলে Matthew Arnold কবিতার গুণাগুণ বিচার করার উদ্দেশ্যে এমনি কিছু পরশপাথর সন্ধান করতে চেয়েছিলেন যার মাধ্যমে সকল কাব্যিক সৃষ্টির শ্রেণীবিভাগ করা সম্ভব হবে। তারও কিছু পরে যখন এলিয়ট এর Prufrock এর আবির্ভাব ... ...
ইচ্ছেগুলো চেষ্টা ছুঁতেই পগারপারস্বপ্নগুলো বালিশ ছুঁতেই জ্যান্ত সবসফল প্রেমের আঁকিবুকি ভরছে দেয়ালত্রিকোণ প্রেমে কবির পাওনা দু-কলম।ঘুম পেরিয়ে অন করে দিই অলস মোডপেঁচিয়ে রাখি গলার কাছে কনফিডেন্সমাথার মধ্যে সন্ধ্যে বেলার জিবি রোডলিখলে পরে কটাক্ষ, নাক-উঁচু ননসেন্স