মার ঝাড়ু মার ঝেঁটিয়ে বিদায় কর
১) ভাব অলঙ্কার থেকে দূরে সীমাহীনটাকে অতিক্রম করে লভ্য – অলভ্য পরম জাগতিক যাবতীয় প্রলুব্ধকর অবতারণা আর প্রতারণাপূর্ণ চাহনি কথা মিষ্টি হাসি সাবেকী আর অর্বাচীন প্রস্তাবিত এবং কল্পিত ‘ব্যবাক’ আর সেই সাথে যুগের
বিশ্বম্ভর বাবা আস্তে আস্তে শুয়ে পড়লেন। তার দুচোখ বুজে আসল। তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন। স্বর্ণালি জিমিকে খাট থেকে নামিয়ে আনল। কলতান বুঝতে পারল মহারাজ যে ইচ্ছে করেই দরজাগুলো বন্ধ করেননি। বিশ্বম্ভর ঘুমোতে লাগলেন। কলতানরা বাইরে বেরিয়ে এল। রাত একটা বাজল। ওরা রাত পোহাবার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল অফিসঘরের চেয়ারে জেগে বসে থেকে। জিমিরও বোধহয় ক্লান্তি আসছিল নানা বিচিত্র সব ব্যাপারের প্রতিঘাতের ... ...
মধ্যরাতে লক্ষ পায়ের স্রোত 'অর্ধ আকাশ' চিনে নিতে এল পথ রক্ত কণায় সাইক্লোন মারে ঝাপটা আবেগে অথির কাঁপছে জনপদ। পৌঁছে যাবই মোহনায় নিশ্চয় জাহাজ যেখানে বেঁধে রাখা
তুমি যদি কখনও কোনো অপরাধ করে মানুষের হাত থেকে পেয়ে যাও পার, জেনো ভগবানের হাত থেকে তুমি পাওনি পার। মানুষের চোখে ধুলো দেয়া সহজ তবে ভগবানের চোখে ধুলো দেয়া নয় সহজ, তুমি তো মানুষকে দেখতে পাও তাই মানুষের চোখে ধুলো
চটি চাটা (লিমেরিক) ——— সুপ্রিয়া চৌধুরী ——— ক্ষেন্তী পিসীর চটিখানা এক্কেবারে খাস ময়লা নোংরা কোনো কিছুর পাবেনা আভাস পিসীর চটি চেটে চেটে লজ্জা ভয়ের মাথা কেটে চটির তরে সমর্পিত ! তোরা জ্যান্ত ? নাকি লাশ ?
প্রতিবাদ আটকাতে এত পুলিশ, তা হলে ডার্বি হল না কেন? প্রশ্ন সমর্থকদেরমোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকেরা প্রশ্ন তুলছেন, যদি নিরাপত্তার দাবি তুলে ডার্বি বাতিল করা হয়, তা হলে প্রতিবাদ আটকাতে এত পুলিশ মোতায়েন করা হল কেন? এর থেকে কম পুলিশে তো ডার্বি হয়ে যেত, বলছেন
জন্ম হয়েছে মৃত্যুর জন্য। জন্ম হয়েছে কিছু করে যাওয়ার জন্য। জন্ম হয়েছে দুঃখ আনন্দ মাথা পেতে নেওয়ার জন্য। জন্ম হয়েছে সত্যের পথে থাকা কতটা কঠিন তা বোঝার জন্য। জন্ম হয়েছে ঈশ্বরের সৃষ্টি করা পৃথিবী
আজ আছি কাল থাকব না পৃথিবী আজ আছে কাল থাকবে না সূর্য আজ আছে কাল থাকবে না আকাশ আজ আছে কাল থাকবে না। এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে কোনোকিছুই চিরস্থায়ী নয় যা আজ আছে কাল তা থাকবে না। বলা যায় এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডটাই আজ
ও চিরপ্রণম্য অগ্নি, আমাকে পোড়াও। শুধু আমাকে নয়, পোড়াও এই নিবিড় অরণ্য। পোড়াও বৃক্ষের কোটরে কোটরে যত পক্ষীশাবক। হৃদয় সমেত যত প্রকোষ্ঠ পোড়াওনিভৃতবিরামস্থলও। পোড়াও করস্পর্শ আর কোমলতা যা কিছু উদ্গত স্বপ্নের ভেতর ছিল, বিরতিহীন উদ্যমে
রাত্রে খিচুড়ি খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল আশ্রমে। কাকলি খাওয়াদাওয়া করে ঘরে ফিরে গেল। কলতান দাঁড়িয়ে রইল। কারণ, স্বর্ণালি খেতে আসবে জিমিকে কাকলির জিম্মায় দিয়ে। জিমিকে খাওয়ানো হয়েছে ঘরেই। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ কাকলিরা ঘুমিয়ে পড়ল দরজা ভেজিয়ে রেখে, বোধহয় প্রকৃতির ডাকে জিমির বাইরে যাবার সুযোগ রাখবার জন্য। ঠিক এগারোটার সময় কলতান নীচে নেমে গেল। গ্রামাঞ্চলে রাত ... ...
সম্প্রতি বর্ধমানে এক আদিবাসী তরুণীকে খুন করা হয়েছে। খুনের কারণ যত দূর জানা যাচ্ছে, প্রাক্তন প্রেমিকের প্রতিহিংসা। তরুণী সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন যা তাঁর প্রেমিকের গোঁসার কারণ। সেই গোঁসা বাড়তে বাড়তে এমন জায়গায় পৌঁছে গেল যে তিনি প্রাক্তনকে খুন করে দিলেন। এই ঘটনা আমাদের পশ্চিমবঙ্গের তবে এমন অপরাধ এ দেশের গ্রাম, মফস্বল, বড় বড় শহর থেকে প্রায়ই কাগজের শিরোনাম হয়। ব্যাপার হ'ল- প্রেম-ভালোবাসার ... ...
আমি কখনো আমার প্রেমিকার মুখদর্শন করিনি, ইচ্ছা যে ছিল না তা নয়, আলো ছিল না তখন। সে যতদিন ছিল, আকাশজুড়ে মেঘ ছিল,আর গভীর রাত ছিল। আমি ভাবতাম প্রতিদিন, "আজ নিশ্চয় সকাল
‘রাতের দখল নাও’ রাজনৈতিক না অরাজনৈতিক? পিকনিক না আন্দোলন? তৃণমূলের স্বেচ্ছাচারিতা ও লাগামহীন অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মানেই বিজেপির সুবিধা। এই দূ্র্ভাগ্যজনক ঘটনা টা কে গুজব ছাড়িয়ে ব্যাকডোরে সরকার পতনের চেষ্টা চালাচ্ছে সাম্প্রদায়িক শক্তি। বোকা জনগণ তা না বুঝে ধেই ধেই করে নাচছে। এমন প্রচুর বাণী বর্ষিত হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে অহরহ। আচ্ছা তাহলে ম্যাঙ্গো পাবলিক যাবে কোনদিকে? একটা নির্মম, নৃশংস ... ...
শুনুন তবে, পারমিশন নিতে হয় এটা জানতাম না, কিন্তু চুমু খেতে চেয়েছিলাম, ভিড় হলে, সিনেমাটা আগেই দ্যাখা, তবু মেসেজে জিজ্ঞেস করেছিলাম চুমু খাবো? মেসেজেই বলেছিলো, আমি কী জানি। চুমুটা হয়নি কিন্তু। লজ্জা করেছিলো মাইরি। আর রাগও হয়েছিলো। কথা খুব বেশি হয়নি। কী কথা বলতে হয় আমি জানতাম না। যদিও মেসেজে কথা হয়েছে তারপর। খালি সেক্সটিং করার ঝোঁক। সম্পর্ক টেকেনি। তখন খারাপ লেগেছিলো কিনা এখন ... ...
গেস্ট হাউসের দোতলায় দুটো ঘর খুলে দেওয়া হল। একটা কাকলি আর স্বর্ণালির জন্য এবং তার পাশেরটা কলতানের জন্য। জিমি থাকবে স্বর্ণালিদের সঙ্গে। ঘর দুটোর আকার বেশ বড়। দুটো ঘরেরই একপাশে গ্রীলে ঘেরা বারান্দা আছে। জিমি বারান্দায় শুতে পারবে। কাকলিদের ঘরে ঢুকে কলতান বলল, ' ব্যাস... রাত কাটানোর ব্যবস্থা হয়ে গেল ... মনে রাখবেন বিশ্বম্ভরজি আছেন ওনার ওই অফিসঘরের লাগোয়া ... ...
কারোর খারাপ চাওয়া ঠিক নয় এতে খারাপ হয় নিজেরই। কারোর ক্ষতি করা ঠিক নয় এতে ক্ষতি হয় নিজেরই। মন এমন করা উচিত ---- কাউকে সাহায্য করতে
আকবরের দেওয়া জমি দান১) পনেরো শো পঁয়ষট্টির প্রথম জমি দান -মদনমোহন মন্দিরের সেবায়েত গোপালদাসকে দুশো বিঘে।২) পনেরোশো আটানব্বইতে মন্দির চত্বরে দানের জমির পরিমাণ বাড়িয়ে করা হলো এক হাজার বিঘে ইলাহী। মোট এলাকা দাঁড়াচ্ছে দুশো চল্লিশ হেক্টর বা ছশো একর জমি।জাহাঙ্গীরের দেওয়া জমি দানআগের দান নবীকরণ করে আরো দুশো তিপ্পান্ন দশমিক পঁয়তাল্লিশ বিঘে ইলাহী বা ষাট হেক্টর বা একশো ... ...
মাঠের মধ্যে বটতলায় পৌঁছে বিশ্বম্ভর মহারাজ বললেন, ' ও হরি .... তাই তো ... এ তো দেখছি মনোময়েরই গাড়ি ... গাড়ি ফেলে কোথায় চলে গেল .... ওর স্বভাবটা অবশ্য এইরকমই, বাউন্ডুলে টাইপের ... ' ---- ' এখন তা'লে কোথায় খুঁজে পাব ওকে ? আপনি আমাদের কি করতে বলেন ? ' ---- ' সেটা তো আমার পক্ষে বলা মুশ্কিল.... আপনারা পুলিশের ... ...
পোর্ট ব্লেয়ার একটা বিচিত্র জায়গা। আন্দামান যতটা দেখলাম ততটা পুরোটাই। আন্দামানের আদিবাসীদের বসতি ছোট করে করে মূলবাসীদের বসতি হয়েছে। তাতে অবশ্য বিচিত্র কিছু নেই, ভারতে এই রীতি অনেক জায়গায়। তবে এই উচ্ছেদের অতীত-বর্তমান এই লেখার আলোচ্য নয়। বিচিত্র হচ্ছে আন্দামানের মূলবাসীরা, যাদের অধিকাংশই বাঙালী, অনেকে ১৯৭১এ প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে আসা, অনেকে পশ্চিমবঙ্গীয়। প্রথম চমকটা দিলেন এক পাঁপড় ... ...