পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামক সংগঠনের ডাকা মিছিলের আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ীকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সায়নকে ছাড়ার সময়য়ীমাও বেঁধে দিয়েছে আদালত। নির্দেশে বলা হয়েছে, শনিবার দুপুর ২টোর মধ্যে তাঁকে ছাড়তে হবে পুলিশকে। আদালতের নির্দেশ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ
বলরাম বসুর জীবনী নিয়ে এত তথ্য! কিন্তু এই তথ্যের সত্যতা নিয়ে আপনারাই নিজেই সন্দিহান, তাই না? আচ্ছা, আপনারা বলছেন উনি সন্ন্যাসী নন, অথচ রক্তজবা পরেন। তাহলে কি উনি অভিনেতা? নাকি রাজনৈতিক ম্যাজিশিয়ান - এক মুহূর্তে টিভি মেকানিক, পরের মুহূর্তে কট্টর আরএসএস সমর্থক? আপনারা যে প্রগতিশীলদের সমালোচনা করছেন, সেটা কি আপনাদের নিজের প্রগতিশীলতার প্রমাণ? নাকি আপনারাও সেই দলেই পড়েন যারা পোশাক দেখে মানুষ ... ...
"The Diary of West Bengal" এই ডায়েরিতে লেখা আছে - "কীভাবে একটা সিনেমা না দেখিয়ে হৈচৈ করা যায়!"পশ্চিমবঙ্গে রিলিজ না করার কারণ বোধহয় এইটাই - অজন্তা চটি কোম্পানির লোকেরা চা-বিস্কুট খেতে খেতে যে জঘন্য সমালোচনা করতো! তার চেয়ে ভয়ংকর কিছু ভাবতে পারেনি প্রযোজকরা! আর, সেন্সর বোর্ডের (CBFC) সার্টিফিকেট? ওরা বোধহয় ... ...
গুরুর আসন -গুরুগাদ্দিতে বসে, গুরু গোবিন্দ দেখলেন অমৃতসর আর স্বর্ণ মন্দিরের পবিত্র স্থল বেদখল করে বসে আছে প্রতিদ্বন্দ্বী শিখ গোষ্ঠী। তারা তাঁকে মোটেই মানে না। গুরুর প্রতিনিধি মাসান্দরা, যারা ছিল গুরু আর অপামর শিখদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম, সব ক্ষমতা আর টাকা পয়সা কুক্ষিগত করে বসে আছে। তারা নিজেরাই মাসান্দ নিয়োগ করে গুরুকে পাত্তা না দিয়ে – একেবারে ছন্নছাড়া অবস্থা, তাই তিনি দুঃসাহসী পদক্ষেপ ... ...
যে হারে মেয়ে ভ্রূণ নষ্ট করছে তাতে প্রকৃতি X ক্রোমোজোমের সন্তরন পটুত্ত্ব বাড়িয়ে দিচ্ছে। Y বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। XX হয়ে মেয়ে হচ্ছে তাদের যারা ভ্রূণ নষ্ট করছে না। এই ভাবে লং টার্মে শুধু মেয়েরা জন্মাবে। স্বল্প কালে মেয়ে পিছু ছেলেরা কম। তাই আবার পলিগামী
"ছাত্র আন্দোলনে এত বয়স্ক লোক গেল কেন? তারা কি ছাত্র?" ― গতকাল মিছিলের পর এই প্রশ্ন'টা মাথায় মাথায় ঘুরছে! শুনুন মশাই, ছাত্রের বয়স নিয়ে মজা করে লাভ নেই। পিসির উপস্থিতিতে ছাত্রজীবন চিরস্থায়ী। পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, চাকরি হারাম - শুধু চা-চপে পিএইচডি! আর, বয়স? ওটা তো শুধু সংখ্যা মাত্র!
কত ইতিহাস আমরা ভুলে গিয়েছি, কত ইতিহাস আমাদের ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। আজকের দিনের ছেলেমেয়েরা সেই কারণে অনেক কিছুই জানে না। তারা তাদের অতীত শেখেনি। আজকের দিনে অনেকেই এক পয়সা, দুই পয়সা, পাঁচ পয়সা, দশ পয়সা, কুড়ি পয়সা, পঁচিশ পয়সা, পঞ্চাশ পয়সা, এক টাকা, দুই টাকা দেখেনি কোনোদিন। তাদের কাছে এসবের অস্তিত্ব প্রশ্নমূলক। কিন্তু এসব তো ঘটমান অতীত। তাই এদের কাছে পাই, পয়সার গল্প ... ...
এসব পশ্চিমবঙ্গে নামার আগেই টুক করে পোস্ট করে নিই - বিজেপির মত বিষ ভারতীয় রাজনীতিতে এই মুহূর্তে আর নেই। নতুন সোশ্যাল মিডিয়া পলিসি অ্যাপ্রুভ করেছে উত্তরপ্রদেশের ক্যাবিনেট, যাতে অ্যান্টিন্যাশনাল পোস্ট করলে তিন বছর থেকে শুরু করে যাবজ্জীবন জেল অবধি হতে পারে বলে বলা হয়েছে। বাকস্বাধীনতা জিনিসটার মূল্য বা চর্চা দুই-ই এদেশে কম, ফলে এধরণের বিষাক্ত রাজনীতির প্রতিবাদ খুব যে দেখব ... ...
মৃণাল সেন কি কখনো কখনো গোদারিয়ান? কিন্তু ১৯৬০ ১৯৭০ এর দশকে সারা পৃথিবীতেই ব্যাপক ভাবে আঙ্গিকগত পরীক্ষা চলে তা সে নতুন জার্মান ছবি হোক, জাপানের নবতরঙ্গ হোক, হোক বা সে লাতিন আমেরিকার ছবি বা পূর্ব ইউরোপের। বরং এই আঙ্গিককে ব্রেখটিয়ান বলা যেতে পারে। ৬০-৭০ দশকের ব্রেখটিয়ান সিনেমা কী করতে চাইছিলো? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী শীতল যুদ্ধ চলাকালীন আমেরিকান ছবি ও তাকে মডেল হিসেবে ধারণ করা সারাপৃথিবীর ... ...
আজ কলকাতা পুলিশ প্রমাণ করল: তাদের নৈতিকতা বিকিয়ে দিয়েছে দুর্নীতিগ্রস্তদের কাছে। আইনের রক্ষক আজ অপরাধীর দালাল। তিলোত্তমার হত্যা আর ধর্ষণের প্রমাণ লোপাট করে ন্যায়বিচারের বদলে অপরাধীর পক্ষ নেওয়া, বোধহয় এটাকেই বলে!এ কোন বিকৃত আইনের শাসন? রক্তের দাগ মুছে ফেলা সহজ, কিন্তু বিবেকের
মানলাম যারা ছাত্রসমাজ নাম দিয়ে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে তারা এককালে ABVP বা RSS ছিল। যারা 'দফা এক দাবি এক পিসির পদত্যাগ চায়' যোগ দিয়েছে ছাত্র অছাত্র নির্বিশেষে। কেউই কোন দলের পতাকা নিয়ে আসেনি। ছিপি (এম) পার্টি যোগ দেয়নি এবং ঘোষণা \
সাধারণ পুরুষের ভিড়ে ধর্ষক পুরুষেরা বেড়ায় ঘুরে, কিন্তু তাদের দেখে বোঝার উপায় থাকে না যতক্ষণ না তারা ধরা পড়ছে, যতক্ষণ না তাদের মুখ সকলের কাছে পরিচিত হচ্ছে। বড়ো অদ্ভুত এই সমাজ! অন্যায় করেও, অপরাধ
'উত্তরবঙ্গ সংবাদ' আর 'আনন্দবাজার পত্রিকা' নাকি এখন নবান্নের রান্নাঘর থেকে পরিবেশন হচ্ছে! তা দাদা, দুটো আলাদা থালা কেন? একটা বাটিতেই 'চটি পক্ষ' পরিবেশন করে দিন না কেন! প্রথম সংস্করণে প্রথম পাতার হেডলাইন হবে: 'পুলিশি গু খেয়ে বকের আত্মত্যাগ!' কারণ, আজকাল কলকাতা পুলিশ প্রমাণ লোপাটের মহাযজ্ঞে মেতেছে! তাদের এই মাঠে-ঘাটে, অপাচ্য কর্মকাণ্ড হজম করতে গিয়ে বেচারা বক প্রাণ দিল! তবে চিন্তার কিছু নেই, পরের সংস্করণে লিখবে - 'মৃত বকের পেট থেকে উদ্ধার হলো হারানো প্রমাণ!' ... ...
নিহত মেয়েটির বাবা বলছেন ইন্দিরা মিথ্যা বলছেন
প্রকাশ পেল যুক্তাক্ষর প্রকাশনীর দুটি বই- শ্রীমতী শোভা ঘোষের "যেন ভুলে না যাই" (সম্পাদনা: যশোধরা রায়চৌধুরী), আর মঞ্জিস রায়ের "পাতায় পাতায় উষারডিহি" । "যেন ভুলে না যাই" এর লেখিকা শ্রীমতী শোভা ঘোষ লিখেছেন "সুন্দার হেই দ্যাশ" বরিশাল এবং ঢাকার ভাষায় দুটি আখ্যান। তিনি ঢাকার কন্যা, বরিশালের বধূ। তাঁর দুই বান্ধবীরকে দিয়ে লিখিয়েছিলেন চট্টগ্রাম এবং সিলেটের ভাষায় আরও দুটি আখ্যান। এই বই চার ... ...
'অতি ব্যবহারে ক্লিষ্ট'- এ কথাটা ভাষার বেলাতেও ঘটে। শব্দের ধ্বনি সার করে কিছু অনুভূতি ক্লিশে হয়ে গেলে শ্রুতি ব্যাখ্যা বা অতীত দ্যোতনা অভিঘাত সে রাখতে পারে কি? হতে পারে আহত বা অনাহত নাদ শ্রুতি গ্রাহ্য বা শ্রবণের অতীত বাহ্য সামগ্রিকতার অর্থে
এই প্রতিবাদ জিইয়ে রাখতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না। ওরা চাইবে ভুলিয়ে দিতে, ঘুরিয়ে দিতে। শুধু একটা নয়। সচেতন হতে হবে সব দুর্নীতির বিরুদ্ধে।যতটা যেভাবে পারা যায়…আমরা সবাই আমাদের অংশটুকু যোগ করবো। সব শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে এক জোট হয়ে থাকতে হবে। যেমনভাবে দুর্বৃত্তরা একজোট হয়ে যায় স্বার্থসিদ্ধির জন্য, আমাদেরও একজোট হয়ে থাকতে হবে। কোনোরকম বিভেদ নয়। একটাই স্বার্থ.. মানুষের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তার ... ...
আজ বাংলা যখন বারুদের স্তূপের ওপর বসে, কে তুমি বাবু, ঠান্ডা মিষ্টি কথা লিখছ জোশে? সমস্ত দেখে শুনেও করছ ঢং শান্তি ঢং শান্তি, এ দিকে পশ্চিমবঙ্গ রাগে জ্বলছে, প্রায় ক্রান্তি; আর তুমি বলছ- কিছু নয়, গণভ্রান্তি গণভ্রান্তি! জেনো আমজনতার এমন ক্রোধ
এখনো শহরে হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি নামে, কচি কচি হাতে নৌকা বেরিয়ে এসে, ভেসে যায় নিরুদ্দেশের ঠিকানায়। বড়-বুড়োরা সারাদিন গম্ভীরমুখে মোবাইলের স্ক্রিনে চেয়ে থাকে, যেটুকু বেঁচে থাকা, সজীবতা, ওই কচি মুখগুলোতে ফুটে উঠে। বুঝতে পারি, মানুষ এখনো বিলুপ্ত হয়নি। এখনো কিছু কিছু মানুষ স্বপ্ন দেখে, তারা ভাবে পৃথিবীর সব খারাপ মুছে ... ...
"The struggle of man against power is the struggle of memory against forgetting."– Milan Kundera [The Book of Laughter and Forgetting: 1978] এত খবরের ভিড়ে, এত নৃশংসতার মাঝে আমি নিজেকে কোথায় আড়াল করব? কোনও একটা শান্তির পরিসর খুঁজে পাব এই আশা আমার নেই। যা করতে চাইছি, করতে পারছি না। এই যে, এখন একটা গল্প লিখতে বসেছি তোমাদের শোনাব বলে, তার শব্দ সাজাতে বসে আমাকে বার বার ... ...