শশী, দিনমণি, ধরণী যেমন সত্য পাহাড়, নির্ঝর, সাগর যেমন সত্য অনন্তলতা, অলকানন্দা, নিশিগন্ধা যেমন সত্য সমুদ্রবল্লভা, ঝটিকা যেমন সত্য গগন, পবন যেমন
প্রতিবেশী বাংলাদেশের গণ অভ্যুথ্বান দেখে একটা কথা মনে হচ্ছে যেটা দুবছর আগের শ্রীলংকার গণ অভ্যুথ্বান এবং আমাদের দেশের এন আর সির বিরুদ্ধে আন্দোলন অথবা কৃষক আন্দোলনেও দেখা গেছে, সেটা হল জনতা নিজেদের মত করে রাজনৈতিক সংগঠন তৈরি করছে এবং স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে নেমে পড়ছে । বিশ্বের অন্যান্য কিছু কিছু জায়গাতে ও এই প্রবণতা দেখা গেছে । হাইতিতে কিছুদিন আগে গ্যাংস্টারেরা জনতার একাংশের সহায়তায় ... ...
এটা শেষ বিবৃতি- ★ এক দফা: খুনের দায়ে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকারের পতন ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ। ★ ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গঠন করা হবে যেখানে সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে৷ এমন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করা হবে যাতে বাংলাদেশে আর কখনোই স্বৈরতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে না পারে। ★ অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন। ★ পাশাপাশি আগামীকাল ... ...
কোনোদিন ভাবিনি যে বাংলা ওয়েব সিরিজ নিয়ে কিছু লিখতে হবে। যে কটি বাংলা সিরিজ সম্পর্কে সুপারিশ পেয়েছি দেখার সেগুলিকে মাথায় রেখেই বলছি Fridaay নামে নতুন বাংলা বিনোদন অ্যাপে কৌশিক করের ‘ফটাস’ দেখে বেশ চমকে গেছি। এরকম একটা মাধ্যমে যেখানে বিনোদনধর্মীতাকেই একমাত্র মাপকাঠি ধরে নিয়ে যাবতীয় ভাবনা শুরু হয় সেখানে বিনোদনধর্মকে অক্ষুণ্ণ রেখে বা তাকে ছাপিয়ে ... ...
* ঢাকায় (৩ আগস্ট) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে স্মরণকালের বিশাল সমাবেশে লাখো ছাত্র-জনতা। সমাবেশ থেকে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে কাল অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের; জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান। রাতে শাহবাগে অবস্থান শিক্ষার্থীদের। * আন্দোলনরত শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে ১৫৮ সদস্যের সমন্বয়ক টিম গঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র
সময় তো আর থেমে থাকবার নয়। বার্ষিক গতিচক্রের নিয়ম মেনে পৃথিবী আরও দুবছরের বুড়ো হয়ে গেল। এল ১৯৬৬ সাল। ১৯৫৯ -এর মতো ১৯৬৬ সালেও শুরু হল ব্যাপক খাদ্য আন্দোলন। চাল ডাল থেকে শুরু করে আলু বেগুনে পর্যন্ত আগুনের ছ্যাঁকা লাগল। চারদিকে সে কি অশান্তি। মধ্যবিত্ত গেরস্থরা একবেলা গমের খিচুড়ি খেতে লাগল। আলুর বদলে কাঁচকলা সেদ্ধ খাওয়া অভ্যেস করে ফেলতে লাগল সরকারের পরামর্শ মেনে। বছর দুই আগে কমিউনিস্টরা দুভাগে ভাগ হয়ে গেছে চিন ভারতের যুদ্ধ নিয়ে মন কষাকষি করে দলের লোকেদের ... ...
তাজা রক্তের ১৯ মে অমর হোকঃ বাংলা ভাষা আন্দোলনের রক্ত ঝরা দিন আসামের বরাক উপত্যকার বাংলা ভাষা আন্দোলন ছিল আসাম সরকারের অসমীয়া ভাষাকে রাজ্যের একমাত্র দাপ্তরিক ভাষা করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, যেহেতু ঐ অঞ্চলের জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ছিল বাংলাভাষী। এই গণ আন্দোলনের প্রধান উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি১৯৬১ সালের ১৯ মে ঘটে, সেদিন ১১ জন প্রতিবাদীকে শিলচর রেলওয়ে স্টেশনে আসাম প্রাদেশিক ... ...
এরকুল পোয়ারো ইস্তাম্বুলে তাঁর প্রিয় ক্যাফেতে সাতসকালে সবে পোচ অর্ডার করেছেন, এমন সময় দুঃসংবাদটা এসে পৌঁছল। ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেসে আটজন সন্দেহভাজন খুনি ছিল, তারা একসঙ্গে খতম। হাঁচড় পাচড় করে খবর দিতে এসেছিলেন অফিসার। তদন্তের জন্য এখনই অকুস্থলে রওনা হওয়া দরকার। তাঁকে থামিয়ে পোয়ারো বললেন, দাঁড়ান, তার আগে একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস দেখে নেওয়া দরকার। ওয়েটার, ওয়েটার। ওয়েটার দূর থেকে ... ...
সন্ধে সাড়ে ছটার সময় বিভূতিবাবু পাড়ার প্রবীণ চিকিৎসক হরিপদ মিত্রকে নিয়ে এলেন। জন্মেজয়বাবু তখন অঘোরে ঘুমোচ্ছেন। ধুতি পাঞ্জাবী পরা পক্ককেশ স্থূলকায় প্রচুর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হরিপদ মিত্র মশাই কোন তাড়াহুড়ো করলেন না। জন্মেজয়বাবুকে জাগালেনও না। বিছানার সামনে একটা চেয়ারে বসে তাকে একমনে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলেন কোলের ওপর হাত রেখে। দেখলেন রোগীর পা বেশ ফোলা। শ্বাসের ধরণ ... ...
তখতে বসার পর আলমগীরের বাধ্যবাধকতা ছিল দারা শুকোহর রাজনৈতিক বিরোধিতা করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যার মধ্যে পড়ে দরবারে সংস্কৃত চর্চায় উৎসাহ দেওয়া বন্ধ করা। আগেই জানা গেছে দারা ঘনিষ্ঠ সংস্কৃতজ্ঞ কোবিন্দাচার্য স্বরস্বতীর ভাতা বন্ধ করেছিলেন তিনি। পণ্ডিত প্রবর কোবিন্দাচার্য মোঘল অভিজাত দানিশমন্দ খানের দরবারে পুনর্বাসন পান। তবে ব্যক্তিনিরপেক্ষ শরিয়তি বিধানে ঔরঙ্গজেব আলমগীরের আস্থা গুজরাটে সুবেদারি করার ... ...
জীর্ণতার এন্টিকুইটি জরাজীর্ণতাকে আর্ট ডেকোর সোপিস বানিয়ে তাক আর বাক্সে জীবনের লিভিং রুমে প্রপ্স হিসেবে সাজিয়ে আগলে আটকে রাখতে পারলেন কই, মিসেস সোম ? ‘‘নেলি মাসি এটা জানেন’’ ওগুলোকে ছেড়ে দিন, দুর্বৃত্ত করে খাক। নিয়ে যাক, মনের কাছে অন্তত এইটুকুন সান্ত্বনা পাবেন
পথের পাঁচালির শুটিং সেবার বন্ধ হবার উপক্রম। অপু-দুর্গার ট্রেন-দৃশ্যের শুটিং। অন্য কেউ হলে আস্ত ট্রেনই ভাড়া করত, কিন্তু মানিকবাবুর বাজেট কম, চেয়েচিন্তে কুড়িয়ে বাড়িয়ে সিনেমা হচ্ছে, তাই টাইমটেবিল দেখে শুটিং এর সময় ঠিক হয়েছে। সেই মতো লোকজন হাজির। কাশফুলের ওদিকে রেললাইন। ক্যামেরা বাগিয়ে সুব্রত মিত্র। অপু-দুর্গা পোশাক-টোশাক পরে তৈরি। একজন সরকারি কর্তাও শুটিং দেখতে এসেছেন। সবাই তৈরি, খালি ট্রেন আর আসেনা। মানিকবাবু অধৈর্য্য হয়ে ... ...
ভগবান সত্য। এই বিশ্ব যেমন সত্য ভগবান তেমন সত্য। সূর্য, চন্দ্র, বুধ, মঙ্গল যেমন সত্য ভগবান তেমন সত্য। যূথিকা, জবা, নিশিগন্ধা, হাসনাহেনা যেমন সত্য ভগবান তেমন সত্য। মানুষ যেমন সত্য, পশুপাখি যেমন সত্য, পাহাড়-পর্বত যেমন
অনেক কঠিন সত্যের পথে থাকা, অনেক সহজ মিথ্যার পথে থাকা। সত্যের পথে সবাই থাকতে পারে না, যারা পারে তারাই পায় ভগবানের ভালোবাসা। মিথ্যার পথে থাকলে সুখ দু'দিনের, সত্যের পথে থাকলে সুখ
পুণ্যার্থী, পর্যটক, পরিবেশ এবং….. ঠাকুমার ঘোষণা এক ছোট্ট ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সেবার বাড়িতে একেবারে হুলুস্থুল বেঁধে গেল। কী সেই ঘোষণা? আর কেইবা করলেন এই ঘোষণাটি? ঘোষিকা স্বয়ং আমাদের ঠাকুমা। তাঁর ইচ্ছে এবার তিনি তীর্থ ভ্রমণে যাবেন। তা হঠাৎ এমন ঘোষণা কেন? সকলের মনেই উঁকি দিতে থাকে নানান প্রশ্ন। কী এমন ঘটলো যে ভরা সংসার ছেড়ে তিনি তীর্থ দর্শনে যাবেন? তাঁর তীর্থযাত্রার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আলোচনা ... ...
"অমিত বলে, ফ্যাশনটা হল মুখোশ, স্টাইলটা হল মুখশ্রী। ওর মতে, যারা সাহিত্যের ওমরাও-দলের, যারা নিজের মন রেখে চলে, স্টাইল তাদেরই। আর যারা আমলা-দলের, দশের মন রাখা যাদের ব্যাবসা, ফ্যাশান তাদেরই। [..]"– 'শেষের কবিতা', রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরতিনি মহান, তিনি 'লেখকদের লেখক', তাঁর লেখায় জাদু আছে, এরকম লেখা আর কে লিখতে পারে ইত্যাদি কথার কোনও অর্থ আমার কাছে নেই অন্তত। কারণ খুব সোজা, এগুলো বলে কারওর সাহিত্য প্রতিভাকে আদপেই মর্যাদা দেওয়া যায় না, আর কোনও টেক্সট'কে বোঝা যায় না। আরেকটা ব্যাপার, দু'-চারটি প্রতিক্রিয়া ও লেখালিখিতে দেখেছি যে তিনি দুর্বোধ্য, পাঠকপ্রিয় নন। প্রসঙ্গ অমিয়ভূষণ মজুমদার। এর আগেও স্বীকার করেছি যে, আমি সাহিত্য কম পড়েছি। কিন্তু যখন ... ...
---- কোন ধারণাকে নাকচ করতে উঠেপড়ে লাগলেন ঔরঙ্গজেব আলমগীর? ---- স্বর্গীয় আশীর্বাদ পুষ্ট সার্বভৌমত্বর ধারণা সেক্রেড সভরিনিটিকে নাকচ করতে। ---- নিজে রাজা হয়ে রাজার বিশেষ ক্ষমতা, ঐশ্বরিক ক্ষমতার উদ্ভাসের ধারণাকে নাকচ করা? ---- ছোট বেলা থেকে তাঁকে নিষ্ঠায় ধর্মাচরণ করতে দেখা গেছে। ---- ঔরঙ্গজেব গোঁড়া মুসলমান? ---- দক্ষিণ এশিয়ার ... ...
সাগর আবার এসে চোরবাগানের গলির মধ্যে ভাঙাচোরা বাড়িটায় এসে কড়া নাড়ল। নেড়ে দাঁড়িয়ে রইল সে। সাড়াশব্দ পাওয়া গেল না। আবার কড়া নাড়ার পর ঠিক আগের দিনের মতোই দরজা খুলল কানুর বৌদি রানু। সাগরকে দেখে ঠিক আগের দিনের মতোই গায়ে ভাল করে আঁচল জড়িয়ে নিল। সাগরের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে আগেই। অর্থ সাহায্যের কথাও সে ভুলে যায়নি। সে সেই রকমই দরজার একটা পাল্লা ধরে ... ...
অনেকের পরিষ্কার পরিষ্কার বাতিক থাকে। সেটা নিয়ে বাড়াবাড়ি লোকের চোখে পড়ে যায় বৈকী! ঘরের লোকজনকে বইতে ও সইতে হয়। আর বাইরের লোকজনকে চিরাচরিত ব্যাপার, কইতে হয়। এ সব কথা ছড়াতে সময় লাগে না।আমার মা যখন এম এ ক্লাসের ছাত্রী তখন অদ্ভুত চরিত্রের এক বন্ধুর সংস্পর্শে এসেছিল। এই বন্ধুটা মফস্বলের মেয়ে, কলকাতায় হোস্টেলে থেকে এম এ পড়ত। বাইরের জিনিস সম্পর্কে তার মারাত্মক ছুঁচিবাই ছিল। বাড়ির থেকে চিঠি এলে কাঠি দিয়ে সেই চিঠি ধরত। কেউ জিজ্ঞাসা করলে বলত, বাইরে কত লোকের হাত পেরিয়ে এসেছে, ও চিঠিতে অনেক জীবাণু। হাত দিয়ে ধরা যায় নাকি?আমাদের অতি পরিচিত এক ভদ্রমহিলার মারাত্মক পরিষ্কার পরিষ্কার বাই ছিল। ... ...