--- আকবর পনেরোশো ছাপ্পান্ন থেকে বিরাশি পর্যন্ত জিজিয়া আদায় করতেন?--- আকবর ছাব্বিশ বছর জিজিয়া আদায় করেছিলেন।--- আকবর কেন জিজিয়া আদায় করতেন?--- আকবর শরিয়ত মেনে জিজিয়া আদায় করতেন।--- আকবর শরিয়ত ভেঙে জিজিয়া বন্ধ করেন?--- তা বলা যাবে না।--- তবে কি বলা যাবে?--- আকবর সর্বোচ্চ আইন
ষোলশো সাতাত্তরের কোন একদিনে মথুরার কাজিসাহেবকে হন্তদন্ত হয়ে সদর আল সুদুর – বিচারক প্রধান শেখ আব্দাল নবীর কাছে আসতে দেখা যাচ্ছে। ধরে নেওয়া যাক সেটা শীতের অপরাহ্ন কারণ গরমে কাজিসাহেবের কষ্ট হবে আর বর্ষায় ছাতা ব্যবহার বাহুল্যমাত্র, ছাতা যখন তখন হারাবে, তাই বর্ষার কথা ভাবাই যাচ্ছে না। কাজিসাহেবের অভিযোগ শুনে নবী সাহেবের রাতের ঘুম চলে যায়। এক রইস ব্রাহ্মণ মসজিদ বানানোর জন্য আনা জিনিষপত্র ... ...
সাগরের বুঝতে অসুবিধে হল না স্বরূপ খাঁড়ার নির্দেশে শক্তিপদ বিশ্বাস আর মুচিপাড়া থানার ওসি পরিতোষ কর্মকার মিলে কানুর দাদা প্রীতিময়কে টাকার টোপ দিয়ে কানুকে কোথাও ডেকে নিয়ে যায় কাউকে বাঁচানোর নাম করে। তারপর কোথায় কখন কিভাবে কানুকে মারা হল সেটা বার করা গোয়েন্দাদের কাজ। সাগরের গোয়েন্দাগিরি করার কোন উৎসাহ নেই। তার মাথায় ঘুরছে বদলার আগুন। কানুর কথা ভাবলেই তার মাথায় আগুন ... ...
দাদা ভাবতে তো পারি ভাবতে তো পারি যুদ্ধ শেষে ফালতু হেসে ছাপতে তো পারি ছাপতে তো পারি আড়চোখে কারচুপি করে নিয়ে খুলে টুপি রেখে দিলাম তোদের সামনে একটু তোরা রক্ত একটু তোরা ঘাম নে তোদের মতোই লিখতে পারা শব্দের যত দম তবুও
মাটিতে গাঁথা বর্শাফলক কৌশিক লাহিড়ী আমরা আসলে স্রেফ কথামৃত (নাস্তিক হলেও সে বইটা আমার বড্ড প্রিয়), জীবন-স্মৃতি আর অর্ধেক জীবন পড়েই বড়ো হয়েছি তো তাই মোহনদাসের ট্রুথ নিয়ে সামান্য এক্সপেরিমেন্টের ভনিতাতেই আমাদের প্রায় অর্গাজমিক ব্রেথলেসনেস শুরু হয়ে যায় ! কয়েকটা ষষ্ঠীব্রত আর পরিতোষ সেনে কি আর খোঁয়ারি কাটে? পিকাসো, হুইটম্যান, হেমিংওয়ে বাদ থাকাই ভালো ! লোম উঠে যাবে ! তাই এই বইয়ের নামের মধ্যে হাফলাইফ দেখে সন্দ হয়েছিল এটাও কি তবে আরেক অর্ধেক জীবনের সতর্কী ... ...
সে সব সময়ের কথা আজ থাকতোমার সঙ্গে থাকা তোমার তনয়ার সাথে স্বাভাবিক বাকস্ফূর্তি খেই হারাবে তাই পরিচয় শেষে বা শুরুতেই সলজ্জ মেনারিজেমের সালাম-আদাব আর কুশল বিনিময়য়ের পর আমি সমাচ্ছন্ন দৃষ্টি সরিয়ে নিয়েছিলামঝাঁঝাঁ রোদের জরৎ জগতের দিকে আর আমার মনোযোগও অচেতনে সরে গিয়েছিলো বহুদূর অতীত এ্যালবামেতুমি তাঁকিয়ে দেখছিলে নিয়ন সাইনের পোড় খাওয়া সেঁকা মাংস আর রুটির দোকানটাকে। সময়ের ঢাল বেয়ে নাবতে গিয়ে আবেগের স্পন্দন শুনবো বলেআমরা আটকে গেছিলাম হৃদপোড়ন আর চেতনার দ্বিচারি অন্যমনস্কতায়আমাদের কত বছর পর ফের দেখা হলকিংবা ‘ওর বয়স কত’? – এখন সেটা তো আর ওভাবে জিজ্ঞেস করা যায় না,তাই শুরুতেই জানতে চাইলাম ‘‘তুমি কোন ক্লাসে পড়, মামনি’’?সময়ে কে আমি ধরতে পারিনি বিধাতাকেও খুজিনি কখনও,মৃত্যুকেও দেখা হয়নি খুব কাছ থেকে মানুষের সান্নিধ্যে এলে কুঁকড়ে যাই তবে আজ ... ...
বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি। শ্বশুর শ্বাশুড়ি ননদ কিংবা দেওর মিলিয়ে ব্যস্ত পরিবারের অংশ। অথবা পরমাণু পরিবার। স্বামী স্ত্রী আর একটি সন্তান। স্বামী অফিসে। সন্তান স্কুলে। তাই সারাটা দিন একাকিনী। বাবার বাড়ি, ভাইবোনের সঙ্গ। স্কুল কলেজের বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা। সবই অতীতের সুখস্বপ্ন। অনেক পরিশ্রম করার পর চাকরি পেয়েছিলেন। সকাল আটটায় কোনক্রমে নাকে মুখে গুঁজে বেরিয়ে পড়েন। বাড়ি ফেরার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। অক্লান্ত পরিশ্রমে ... ...
ছেলেটা… রোগা পাতলা হাড়জিরজিরে চেহারা। ধোঁয়ার চোটে চুপসে যাওয়া গাল। বারোমাস বাসস্ট্যান্ড থেকে একই বাসে পেছনের জানলার সাইডের সিট। কিসের যেন অপেক্ষা। বাসস্ট্যান্ড থেকে এল আই সি মোড়, মাত্র পাঁচ মিনিট, কে জানে আসে নাকি ? দেখতে ইচ্ছে করে রোজ… বাচ্চা তো, খুব বেশি হলে ইলেভেন হবে। কিছু বোঝে
জারি গান
রাত একটা বেজে গেল। কাবেরীর কবিতা লেখার নেশা ধরেছে। লিখছে আর কাটছে। যেন অদৃশ্য কার সঙ্গে কাটাকুটি খেলা চলছে কাবেরীর। কেটেকুটে চেঁচে ছুলে যাহোক একটা দাঁড়াল শেষ পর্যন্ত। রাত সওয়া দুটো বাজে। কাবেরীর বেশ ক্লান্ত লাগছে এবার। এই সব ছাই পাঁশ সে কেন যে লিখছে কে জানে। এগুলো কার কি কাজে লাগবে ? অবশ্য দু একজন শ্রোতা বা পাঠক যাই ... ...
কোনো এক গ্ৰামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ বাস করতেন। নাম তাঁর অনিল চক্রবর্তী। তিনি বিবাহ করেননি।ফলে একাই থাকতেন আর বিভিন্ন লোকের বাড়িতে যদি কোনো পুজো থাকত তাহলে পুজো করতেন, এই পুজো করে যা পেতেন তা দিয়েই কোনোরকমে দিন চালাতেন।খুব সুখে যে তাঁর দিন চলত এমন বলা যায় না আবার খুব দুঃখেও দিন চলত না। একা মানুষ থাকতেন নিজের মতো আর যা আয় হতো তাই দিয়েই কোনোমতে টেনেটুনে ... ...
যুগে যুগে, হাজার হাজার বছর ধরে, সবাই একই কাজ, একই ভাবে বারবার করে যায়। বসন্ত আসে, তারপরে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত। শুধু গরম বেশি কম হয়, শীতও, কোনো বছর বর্ষায় বেশি জল ঝরে। কিন্তু মানুষ পাল্টায় না। তার জন্মায়, মরে
গূঢ় হাত ধরেছিল যেই জরায়ু সৃষ্টির কারওয়াই- এ সে নিপুনাকর্মের যোগ হয়ে গেছিলোদু’ধারের পথ সেই যাত্রায়। সময়কে দোষ দিয়ে লাভ কি ?কালের ঐ মহাবিরেচনে অজানিত কাল থেকে এমনই বহু কিছু আচানক লোপ পায়। এ এমন নিগূঢ় এষণা কারক আর কারণিক, কর্ম মিলে গিয়ে তিনি যিনি সেখানে দু'ধারের পথগুলো বাৎলায়
অচেতন ভাব বলয়ে উদ্দেশহীন ঘূর্ণন(কবি কবীর সুমন শ্রদ্ধাভাজণেষু ) একটা প্রশান্ত বিকেলের কথা ভাবুনঝুল বারান্দায় টি কোজিচা এর পর্ব আর মুক্ত হাসি ‘ভাবুন এজন্যে বলছি (যে)আপনারা অচেতনে সচেতনভাব বলয় থেকে সেগুলোকেআপনি হারিয়ে ফেলেছেন । দ্বিতীয়টি খোয়া যাবার আগেএবার পূর্বেকার প্রসঙ্গটা আরেকবার ভাবুন ।পূর্বাপর শুকনো ঝরা পাতার উদ্দেশহীন ঘূর্ণননির্জন দুপুরে কিংবা 'মন খারপ করা বিকেল'পুরনো প্রেমিকার নাম্বারে অযথাডায়াল করে নিঃশব্দে কেটে দিয়েও , জীবনের গুরুত্ববহ ভুল চালগুলোআর ফিরিয়ে নেয়া যায় নি । এমন বহু রচনা সম্ভারআপাত নিরীহ আর কল্যাণকরবহু আয়োজন দুষ্কৃতিআর দুরভিসন্ধির বহুতর অভিযোগে সেই কুটনি মেয়েটার উপমা নিয়ে সর্বত্র আজ বিতাড়িত । তাই বলছি বহুদর্শী কবিতাকে বাদ দিয়ে বলতে গেলে বহুজ্ঞবহু কিছুই আজকে কেবলই দুরাচার আর নিকৃষ্ট প্রবণ মিথ্যা হয়ে রয়ে গেছে ... ...
চ‚ড়ান্ততম সঙ্কীর্ণ ও স্বার্থপর কৌমগুলো পৃথিবীর ইতিহাসে আজীবন পালিয়ে বেঁচেছে, মিলেনিয়াম জুড়ে তারা অবর্ণনীয় হত্যা-ধর্ষণ-লুটের শিকার হয়েও স্বভাব বদলায়নি। ফলে পাশের মনোলিথিক রাষ্ট্রে কেউ যখন ঘরের ভেতর বন্দি অবস্থায় আকাশে প্রতিটি হেলিকপ্টারের শব্দে কেঁপে উঠেছে, সামনে শরিয়া পুলিশ এলে কী হবে এই ভয়ে যখন সে কাতর...তখন খাঁটি মুসলিমের লবজ ধার করেই বলতে হয়...পৌত্তলিক দেশের নর-নারী চিন্তিত হয়ে ... ...
দীর্ঘ কৃশ বেত্র করে শিক্ষাগুরু ধীরে ধীরে আসিলেন যবে শ্রেণীকক্ষে, পরণে মলিন বেশ মস্তকে শুভ্র কেশ ছাত্রদল কাঁপে দুরুবক্ষে॥ পাঠে যদি ভ্রম হয় শিয়রে শমন ধায় দুইচক্ষে রোষায়িত দৃষ্টি, যষ্টিমধু বেত্রাঘাত
আকবর নিজে কি ইসলামী শাসক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছিলেন? এর উত্তর হ্যাঁ । শরিয়ত বিনে আকবর অসম্পূর্ণ । কিন্তু কী ভাবে ? কী ছিল তাঁর রাস্তা ? পথ ? উজুদি পথের পথিক আকবর ……।------ দাঁড়াও , দাঁড়াও।------ এত থামাও ।------ থামাব ।------- বাদশাহ কোন সিলসিলার হতে পারে ?------- তা বটে । বাদশাহ রাষ্ট্রের দাস , রাষ্ট্র ক্ষমতার । আকবরও তাই ... ...
হাসতে কি ভুলে গেছ-কথাটা কি সত্যি ! কতশত হাসি আছি-পেটেতেই ভর্তি। কেউ হাসে হা হা করে, কেউ হাসে মুচকে, হাসতে হাসতে যায় নাক মুখ কুঁচকে। হাসতে সবাই জানে কেউ কম বেশী, কারো কারো জন্মেই গালভরা হাসি। কেউ কেউ জোরে হাসে যার নাম অট্ট, স্মিত হাসি
তবু- ছ’দিনের মত পুরো অন্তর্জাল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবার মূহুর্তে কারো কারো চিন্তিত সমবেদনায় সেই নারকীয় মূহুর্তেও খানিকটা উপশম হয়েছিল। কেউ কেউ সামান্য হলেও সমবেদনা উচ্চারণ করেছেন। এক/দু’টো পোস্টে মন্তব্য করেছেন। তাঁদের ধন্যবাদ।
খ্যাকস। সৌজন্য/মেধা-সত্ব: কবি যশোধরা রায় চৌধুরী (নতুন করে একটি অক্ষরও লেখার ইচ্ছা ছিল না। কিন্ত কারো মেধা-সত্ব অস্বীকার করার চেয়ে বড় পাপ আর কিছুই হতে পারে না। এর পাশে গোলা-গুলি, ভাঙচুরও তুচ্ছ বা তুশ্চু)।