এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ১৬৫ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৩ আগস্ট ২০২৪ | ১৯৬ বার পঠিত
  • | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
    সময় তো আর থেমে থাকবার নয়। বার্ষিক গতিচক্রের নিয়ম মেনে পৃথিবী আরও দুবছরের বুড়ো হয়ে গেল। এল ১৯৬৬ সাল।

    ১৯৫৯ -এর মতো ১৯৬৬ সালেও শুরু হল ব্যাপক খাদ্য আন্দোলন। চাল ডাল থেকে শুরু করে আলু বেগুনে পর্যন্ত আগুনের ছ্যাঁকা লাগল। চারদিকে সে কি অশান্তি। মধ্যবিত্ত গেরস্থরা একবেলা গমের খিচুড়ি খেতে লাগল। আলুর বদলে কাঁচকলা সেদ্ধ খাওয়া অভ্যেস করে ফেলতে লাগল সরকারের পরামর্শ মেনে। বছর দুই আগে কমিউনিস্টরা দুভাগে ভাগ হয়ে গেছে চিন ভারতের যুদ্ধ নিয়ে মন কষাকষি করে দলের লোকেদের নিজেদের মধ্যেই মতের মিল না হওয়ায়। সি পি আই তো সাবেক নাম ছিলই, আর একদল ওখান থেকে বেরিয়ে এসে নাম নিল সি পি আই এম। এম মানে নাকি মার্কসবাদী।

    সে যাই হোক, হুড়ুম দুড়ুম, গন্ডগোল, ক্যাঁতাকেঁতি, মিটিং মিছিল, রেললাইনে টাইমে বেটাইমে বসে পড়া, আর পুলিশের হুড়োহুড়ি ডান্ডাবাজি খুব জোর চলতে লাগল। প্রত্যেকদিন সন্ধের দিকে রেডিওয় গরম গরম খবর। জ্যোতি বসুর নাম খুব শোনা যেতে লাগল। নিতাইবাবু বললেন, ' বড় নেতা ... দম আছে ... সেদিন দেখলাম ... দেশবন্ধু পার্কে মিটিং করছিল ... ওঃ শরীর গরম হয়ে ওঠে একেবারে ...।'

    বাংলা কংগ্রেস বলে একটা দল হয়েছে। বিভূতিবাবু ভাবলেন বাঙালীরা মিলে বোধহয় একটা কংগ্রেসি দল তৈরি করেছে, তাই নাম দিয়েছে বাংলা কংগ্রেস। পরে জানলেন, আসলে তা নয়। তবে একদিন বিকেলবেলার দিকে শ্রদ্ধানন্দ পার্কের ওদিকে একটা কাজে গিয়ে ওদের নেতা অজয় মুখার্জী না কি নাম, ধুতি আর গেরুয়া মতো পাঞ্জাবী পরা, তার বক্তৃতা শুনে বেশ সন্তোষ লাভ করলেন বিভূতিবাবু। ধীরে সুস্থে কেমন বলে গেলেন। লোকের মুখে শুনলেন তার ভাই বিশ্বনাথবাবু নাকি আবার সাবেক কম্যুনিস্ট। বোঝ ঠ্যালা।

    মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল সেনের প্রাণ একেবারে ওষ্ঠাগত। কারা সব ল্যাম্পপোস্টে তার নাম করে কাঁচকলা আর অতুল্য ঘোষের নাম করে পোকাধরা বেগুন ঝুলিয়ে রাখছে।

    বিভূতিবাবুর মনে হল, 'এ হে হে ... এগুলো ঠিক হচ্ছে না ছেলে ছোকরাদের, হাজার হোক বয়োজ্যেষ্ঠ লোক, কত দুঃখ পাচ্ছে মনে ... '

    প্রতিবিম্ব আর সুমনার বিয়ের পর দেড় বছর পেরিয়ে গেল। ওরা দার্জিলিঙ বেড়াতে যাবে সামনের বুধবার। অলোকেন্দুবাবু স্টেশনে যাবেন তাদের ট্রেনে তুলে দিতে। পরমানন্দবাবু পরম আনন্দে আছেন সুমনা এ বাড়িতে বউ হয়ে আসায়। অলোকেন্দুবাবু চেয়েছিলেন ওদের একটা আলাদা বাড়ি কিনে দিতে। সুমনা তার বাবার সে প্রস্তাব সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে। আশ্চর্যের ব্যাপার বাসন্তীদেবীও এ ব্যাপারে তার মেয়ের পাশে দাঁড়ালেন। তিনি রেডিওয় অনুরোধের আসরে 'জীবনে যদি দীপ জ্বালাতে নাহি পার, সমাধি পরে মোর জ্বেলে দিও 'তে মশগুল হয়ে থাকতে থাকতে শাসনের ভঙ্গীতে স্বামীকে বললেন, ' ওদের ব্যাপারে তুমি নাক গলাচ্ছ কেন ? ওদের ব্যাপার ওদের বুঝতে দাও না ... আমাদের জামাইয়ের ক্ষমতা তুমি জান না ... '
    অলোকেন্দুবাবু ভ্রু কপালে তুলে বললেন, ' ও আচ্ছা ... তাই ? তুমি জান ? '
    ----- ' জানি বৈকি ... নইলে মেয়ের বিয়ে দিলাম কেন ওখানে ? '
    ----- ' ও আচ্ছা আচ্ছা ... তাও তো বটে ... '
    ' .... এখনও কাছে আছি তাই তো বোঝ না .... আমি যে তোমার কত প্রিয় ও ও ও ... '
    সতীনাথ থামলেন।
    পরের গানটির জন্য অনুরোধ করেছেন উলুবেড়িয়া থেকে বাপি, শম্পা, মানু, দিলীপ, অনিন্দিতা; কাঁকিনাড়া থেকে বিজয়, হারাধন, মন্টু, বেবী, চন্দন; কাটিহার থেকে গনেশ দাশ, সান্টু শর্মা, বিপুল বটব্যাল এবং যাদবপুর থেকে গৌতম, তাপস, মিঠু, সৌরীন্দ্রমোহন এবং পঞ্চানন ...
    শিল্পী আশা ভোঁসলে।
    ' এই এদিকে এস ... এস না ... কথাটি শোন ... শোন না প্লিজ ... কেন দূরে দূরে সরে থাক ... '
    বাসন্তীদেবী আর বাক্যব্যয় না করে গানের ভিতর কান এবং মন সঁপে দিলেন।

    সুমনার স্থির বিশ্বাস প্রতিবিম্ব নিজেই সমস্ত ব্যবস্থা করতে পারবে। তার অপেক্ষা করতে কোন অসুবিধে নেই। অত স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশ থেকে এসে এখানে মানিয়ে নিতে বিন্দুমাত্র অসুবিধে হয়নি তার।

    একদিন কাবেরী এল তাদের বাড়ি। সে নিখিল স্যারের সংগঠনের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ রেখেছে। অনেক গল্প, অনেক হাসি ঠাট্টা হল। সুমনা বলল, ' চল আমরা একদিন দুপুরবেলায় আগের মতো হেদুয়ায় শিরিষ গাছটার তলায় গিয়ে বসি ... '
    কাবেরী তো নেচে উঠল সঙ্গে সঙ্গে।
    ----- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... চল চল ... কবে যাবি বল ? '
    প্রতিবিম্ব বলল, ' চল না ... এই রবিবারে। হেদুয়ার সেই দুপুরগুলোকে ভীষণ মিস করি ... '
    সুমনা বলল, ' এবার তুইও ঝুলে পড় ... অনেক তো স্বাধীনতা উপভোগ করলি ... '
    কাবেরী বলল, ' আর বলিস না ... বাড়ি থেকে যেভাবে উঠে পড়ে লেগেছে স্বাধীন জীবন কাটানো বোধহয় আর বেশিদিন ভাগ্যে নেই ... '
    ----- ' হয়ে যাক, হয়ে যাক .... এ পরাধীনতা মধুর চেয়েও মিষ্টি। বুঝতে পারবে ম্যাডাম ... ' প্রতিবিম্ব ফুট কাটল।
    ----- ' তুমি খুব ভাল বুঝেছ মনে হচ্ছে ... '
    ----- ' শিওর শিওর ... তোমার বন্ধুকেই জিজ্ঞাসা কর না ... হাঃ হাঃ হাঃ ... '
    সুমনা চোখ পাকিয়ে বলল, ' অ্যাই কী হচ্ছে কী ? চিমটি খাবে কিন্তু এবার ... '
    মশগুল হয়ে উঠল তিনজনে মিলে নিরালা রবিবাসরীয় আড্ডায়।

    সুরেশ্বর মল্লিকের মনটা আজ বেশ ফুরফুরে আছে।
    তার ছোট মেয়ে স্কুল ফাইনাল পাস করেছে ফার্স্ট ডিভিশনে। তিনি বিকেলবেলায় নকুড়ের দোকানে মিষ্টি কিনতে গেলেন। রাস্তায় পরিচিত যার সঙ্গেই দেখা হল তাকেই খবরটা দিলেন এবং তাদের দাবী অনুযায়ী একদিন খাওয়াবার প্রতিশ্রুতি দিলেন। নকুড়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে দুজন লোকের কথা তার মনে খুব মনে পড়তে লাগল। সাগর মন্ডল আর নিখিল স্যার। পটলের দোকানে একটু পরেই যোগাযোগ করবেন বলে ঠিক করলেন। আর নিখিল স্যারের বাড়ি কবে যাওয়া যায় সেটা সাগরকে জিজ্ঞেস করে নেবেন।
    ঘটনাক্রমে বিভূতিবাবুর বাড়ির সামনে তার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। বিভূতিবাবু একা একা দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি বেশ রোগা হয়ে গেছেন। অনেক চুল পেকে গেছে। মুখে কেমন একটা মলিন আস্তরণ পড়েছে।
    সুরেশ্বর তাকে চাট্টি একথা সেকথার পর মেয়ের সাফল্যের খবরটা দিলেন। বিভূতিবাবুর মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল খুশিতে।
    বললেন, ' বাঃ বাঃ .... শুনে বড় শান্তি পেলাম। লেখাপড়া মানুষের মনের শক্তি বাড়ায়, বুঝলে তো। তোমার মেয়েরা তোমার মুখ উজ্জ্বল করুক। খুব ভাল খুব ভাল ... প্রাণভরে আশীর্বাদ করি ... '
    সুরেশ্বর আবেগতাড়িত হয়ে একহাতে মিষ্টির বাক্স সামলে রেখে বিভূতিবাবুর পায়ে ঢিপ করে একটা প্রণাম করলেন। ছলছল চোখে বললেন, ' কিছুই তো করতে পারিনি মেয়ে দুটোর জন্যে। বাবা মায়ের বখে যাওয়া, কুলাঙ্গার ছেলে আমি। পড়াশোনা করিনি কিছু। আশীর্বাদ করুন আমার মেয়ে দুটো যেন আমার বদ রক্ত না পায় ... '
    প্রবল আবেগতাড়িত হয়ে কম্পিত কন্ঠে কথাগুলো বলে মল্লিকবাবু মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে রইলেন।
    বিভূতিবাবু বললেন, ' আরে মল্লিক ... এসব কি বলছ। কতবড় খানদান তোমাদের ...। বললেই হবে ? তোমার রক্ত বদ হলে তোমার সন্তানরা কি অত ভাল হত। আমি তো ওদের চিনি জন্ম থেকে। ওদের কোন তুলনা হয় না ...'
    সুরেশ্বর বলল, ' সবই আপনাদের আশীর্বাদে ...সাগর আমাকে উদ্ধার না করলে আমি যে কোন নালি দিয়ে ভেসে যেতাম কে জানে ... '
    বিভূতিবাবু অকৃত্রিম স্নেহে সুরেশ্বরের কাঁধে হাত রেখে বললেন, ' কোন গুণ না থাকলে সে গাছে হাজার চেষ্টাতেও ফল ধরানো যায় না। ওগুলো ভেবে কষ্ট পেয় না ... এখন বাড়ি যাও, আনন্দ কর ... '
    ---- ' একদিন আমার বাড়িতে পায়ের ধুলো দেবেন .... পাপী তাপি লোক আমি ... '
    ---- ' আবার সেই একই কথা ... কি বললাম এতক্ষণ ... '
    বিভূতিবাবু বুঝতে পারলেন স্ত্রী সন্তানদের ওপর একসময়ের কর্ত্তব্যে অবহেলা গভীর পাপবোধ পুঞ্জীভূত করেছে সুরেশ্বর মল্লিকের মনে।
    সুরেশ্বর আবার বলল, ' আমি যদি খারাপ হতাম নিখিল স্যার কি আমার সঙ্গে মিশতেন ? '
    ---- ' নিখিল স্যার কে ? ' বিভূতিবাবু জিজ্ঞেস করলেন।
    ---- ' ও তাও তো বটে ... আপনিতো তাকে চেনেন না ... ঠিক আছে আপনাকে একদিন নিয়ে যাব তার কাছে ... দেখবেন কতবড় পন্ডিত ... সাগরও যায় ওখানে ... '
    ---- ' ও ... তাই নাকি ? আচ্ছা ঠিক আছে, সে দেখা যাবে'খন ... '
    সুরেশ্বর চলে যাবার পর বিভূতিবাবু আরও খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন সেখানে। ভাবলেন, তার আর এর ওর কাছে গিয়ে কি হবে। ওসব আর ভাল লাগে না। কি বা আর পাওয়ার আছে তার। আর তো হাতে গোনা ক'টা দিন। থিয়েটার দেখার আগ্রহও হারিয়ে ফেলেছেন ইদানীং। গোধূলির অবসন্নতায় ভরে থাকে তার মন। এখন শুধু একাকী কোথাও বসে পিছনে ফেলে আসা দিনগুলোর আবছা হয়ে যাওয়া পুরণো মুখগুলোর কথা ভাবতে ভাল লাগে।

    ন্যাশনাল সুইমিং ক্লাবের ঘর থেকে বেরিয়ে নতুন একদল ছেলে নামল হেদুয়ার জলে সাঁতার শিখতে। এরা আসতে থাকে বর্ষে বর্ষে দলে দলে ....

    অমিতাভ, স্নেহাংশুদের নৈর্ঋত-এর নতুন সংখ্যা বেরোল আজকে। যেভাবেই হোক এই ডামাডোলের বাজারে এরা দু বছরের ওপর টেনে নিয়ে এল ছোট পত্রিকাটা। সাবাশ বলতেই হবে।
    মৃত্তিকা পাল বলে একটি মেয়ের কবিতা রয়েছে প্রথমেই। এবারের সংখ্যার থিম একটু অদ্ভুত -----
    ' হাসপাতাল '।
    মৃত্তিকার কবিতার নাম ' মর্গের বাইরে '

    ইমার্জেন্সির বারান্দায় ভূমিগত অচেতন
    ব্রেন টিউমার রুগী, সীমানার ওপারে এক পা বাড়িয়ে।
    অসহায় বাবা মা মোটে চোদ্দ বছরের ছেলের,
    লাট খাচ্ছে কাটা ঘুড়ির মতো হাসপাতালের বিপুল বিল্ডিং-এ,
    এ কামরা থেকে সে কামরা
    প্রকান্ড উদ্বেগে।
    থইথই করছে অগুন্তি ছোঁড়াখোড়া ধুলো ঢাকা গ্রামের প্রজারা,
    ডুবন্ত জাহাজের ডেকে কোমরের কষিতে প্রাণখানা বেঁধে রেখে ভূতে পাওয়া চোখে দেখছে জনসমুদ্র, সাইক্লোনের অজগর ঢেউ।
    নির্নিমেষে চেয়ে আছে যেন রেসকিউ পার্টির আশায় .... দুর্যোগে ধ্বস্ত।
    ছেলেটার যদি গতি কিছু হয় — নিষ্প্রভ ধূসর যা হোক একখানা বেড .....
    নিরুপায় ডাক্তার, অভ্যস্ত নির্বিকারত্ব বর্ষাতি মোড়া .... অম্লান ওয়ার্ড বয় বিড়ি ফুঁকে আসে একটু, তরতাজা বাগানের ওদিকে গিয়ে।
    বিকেল চারটে নাগাদ টিউমার ফেটে মারা গেল বারান্দার এককোণে নদীয়ার সুশান্ত বারুই।

    হেলেদুলে গজেন্দ্রগমনে প্রস্থান করছে সুপারিটেন্ডেটের দুধসাদা গাড়ি, কোন জরুরী মিটিং-এর টানে স্বাস্থ্য দপ্তরে।
    কটা ছটফটে চড়ুই ঘুরে ফিরে কুটো মুখে উড়ে আসছে বারবার,
    সামনের থামটার ফাঁকে,
    সংসার গুছিয়ে রাখার মায়াময় গরজে।

    সুশান্তর বাবা মা রাতভর লাইনে এখন ছেলের লাশখানা পাবার আশায় মর্গের বাইরে।
    জোয়ারের জল গেছে নেমে বুকের চাতাল ছেড়ে বেশ কিছু আগে।

    ( আর একটু বাকি আছে )
    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Tarun kumar roy | 103.165.115.224 | ০৩ আগস্ট ২০২৪ ১৫:৫৪535647
  • হেঁদুয়া  sudhu golpo noi amader ফেলে আসা twist এ ভরা  জীবনের  golpo 
  • Anjan Banerjee | ০৩ আগস্ট ২০২৪ ১৮:৫৭535651
  • অনেক ভালবাসা রইল 
  • ASG | 2406:7400:9a:9bb2:6cc7:a5:4ec6:4146 | ০৩ আগস্ট ২০২৪ ২১:৩২535661
  • জন্ম থেকে পুরো স্কুলজীবন শ্রীমানী বাজারের কাছে তারক প্রামাণিক রোডে কাটিয়েছি। ১৯৭২ এ কলকাতার বাইরে আইআইটিতে পড়তে চলে যাই। আর ওপাড়ায় থাকা হয়নি। হেদুয়া বা হেদো এই পিরিয়ডটা ওখানেই। মনে পড়ে কত কিছু। শেষ হয়ে গেলে মিস করব।  
  • Anjan Banerjee | ০৩ আগস্ট ২০২৪ ২৩:১৭535664
  • আন্তরিক ভালবাসা রইল।  শেষ হলেও আবার ফিরে আসব । সত্তরের দশক বাকি আছে না ... 
  • :|: | 174.251.163.212 | ০৪ আগস্ট ২০২৪ ০৪:৫০535682
  • ঊনবিংশ শতকের হেদো নিয়েও বেশ লেখা হয়। আফটার অল স্বামী বিবেকানন্দের পদধূলিরঞ্জিত পাড়া! 
  • Gopal Karmakar | 2001:67c:2628:647:d::3b0 | ০৪ আগস্ট ২০২৪ ০৫:০৮535683
  • এই গল্পটা কী নিয়ে একটা ছোট সামারি দিন না দাদা। হবু পাঠকের সুবিধে হয়।
  • :|: | 174.251.163.212 | ০৪ আগস্ট ২০২৪ ০৫:৪৬535684
  • "ছোট সামারি" দেওয়া মুশকিল। বড়ো সামারিটাই বরং পড়ে নিন -- মাত্র ১৬৫টি পর্ব তো! 
  • Anjan Banerjee | ০৪ আগস্ট ২০২৪ ১২:১৮535701
  • একমত । মাত্র ১৬৫ , বড়জোর ১৬৬ হবে । একটু কষ্ট করে ... ইয়ে মানে ... 
     
    একটা ভাল জিনিস ধরিয়ে দিলেন । উনবিংশ শতকের হেদো নিয়েও বেশ লেখা লেখা হয় । 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন