এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ৫৪ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | ২৪৯ বার পঠিত
  • পরপর দুটো ক্লাস হয়ে গেল। তারপর পনের মিনিটের একটা ফাঁক আছে। সুমনা আর থাকতে পারল না। অনেকক্ষণ ধরে উসখুস করছিল। এবার আর না বলে থাকতে পারল না।
    ----- ' কিরে কাবেরী, তোর কি খবর? '
    কাবেরী স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে অকপট জবাব দিল। ---- ' খবর একদম ভাল না। পড়াশোনা একদম এগোচ্ছে না ... '
    ----- ' কেন রে ... কি হল? '
    ----- ' তেমন কিছুই না ... কনসেনট্রেটই করতে পারছি না। এই ... যতসব উল্টোপাল্টা চিন্তা ... '
    এত সহজ সুযোগ এসে যাবে সুমনা আশা করেনি।
    সে দক্ষতার সঙ্গে সুযোগের সদ্ব্যবহার করল। সরাসরি আক্রমণে গেল ...
    ----- ' কাকে নিয়ে এত চিন্তা করছিস? অমিতাভর সঙ্গে ডায়রেক্ট কথা বল না ... লুকোচুরি খেলছিস কেন? হয় ধর, নয় ছাড়...ঝুলিয়ে রেখে লাভ কি?'
    সুমনা বেশ প্রেমাভিজ্ঞ ব্যক্তির মতো কার্যকরী পরামর্শ দিল।
    ----- ' অমিতাভকে নিয়ে চিন্তা করছি কে বলল তোকে? ' কাবেরী ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞাসা করল।
    ----- ' তা'লে? অন্য আর কেউ আছে নাকি? '
    ----- ' আছে হয়ত ... ঠিক বুঝতে পারছি না ... '
    ----- ' সে আবার কি? '
    ----- ' না ...মানে, কি করব ঠিক বুঝতে পারছি না।
    ক্লাস নাইন থেকে আমার জীবনে এসব চলছে। এখন আর এসব খেলা ভাল লাগে না ... '
    ----- ' ভাল লাগে না, তা'লে খেলছিস কেন? '
    কাবেরী কথাটা আদৌ অস্বীকার করল না।
    ----- ' সেই তো .... তা'লে খেলছি কেন ! নাহ্ আর এসব নয়। আর একটা কথা ... তোকে বলেই বলছি ... কফি হাউসে অমিতাভদের আড্ডায় একটা ছেলের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল ... একটু ঢ্যাঁটা টাইপের, অনেকটা আমার মতো আর কি ... হাঃ হাঃ হাঃ ... সে যাই হোক, সেদিন কলেজ স্ট্রিটে হঠাৎ দেখা হয়ে গেল ওর সঙ্গে ... তারপর দুচার কথা এগোতেই ও কায়দা করে প্রস্তাব দিয়ে বসল আর .... '
    ------ ' আর কি? '
    ------ ' আর আমি হেদুয়ায় ওর সঙ্গে মিট করতে রাজি হয়ে গেলাম ... কাল এসেছিল ... '
    ----- ' তারপর? '
    ----- ' কাল দুপুরে অনেকক্ষণ ছিলাম আমরা হেদুয়ায় ... অনেকক্ষণ ধরে ফালতু কথাবার্তা হচ্ছিল ... '
    ------ ' তাই নাকি? '
    ----- ' আগেও অনেকবার অন্য অনেকের সঙ্গে এরকম হয়েছে ... কেন জানিনা বেশিক্ষণ সহ্য করতে পারলাম না। ওকে গুড বাই করে দিলাম পার্মানেন্টলি ... ছেলেটা হিস্ট্রিতে এম এ পড়ে ... '
    ----- ' সেকি? '
    ------ ' হ্যাঁ ... আসলে ম্যাগনেটের সেম পোলে রিপালশান হয়। অপোসিট পোল হলে অ্যাট্র্যাকশান হয় ... কিন্তু এখন পর্যন্ত আমি যাদের সঙ্গে কানেক্টেড হয়েছি, সব সেম পোলের। ফলে আমি নিতে পারিনি। রিপালশান হয়েছে। এজন্য অনেকে খারাপ ভাবে আমাকে ... '
    ------ ' না না ... এ কি বলছিস ! খারাপ ভাববে কেন ... কাউকে দেখে কি তেমন মনে হয় ... আচ্ছা, তারপর ছেলেটা কিছু বলল না ... '
    ----- ' হ্যাঁ ... বলল তো বটেই। প্রথমে খুব অবাক হয়ে গেল। আমার কথা বিশ্বাসই করতে পারছিল না। তারপর, নানারকম হম্বিতম্বি করতে লাগল। থ্রেটও দিল ... বলল, ইউ উইল হ্যাভ টু পে ফর ইট। যা হয় আর কি ... '
    ----- ' ওহ গড ... যাই বল কাবেরী, কাজটা তুই একদম ঠিক করিসনি। তুই একজনকে বিনা কারণে অপমান করতে পারিস না। সবকিছুর একটা লিমিট আছে ... তুই ওর সঙ্গে মিট করতে রাজি হলি কেন ... সবকিছু কি ছেলেখেলা নাকি?'
    ----- ' কিন্তু আমি কি করব? এটা বোধহয় আমার একটা ম্যালাডি। হয়ত ট্রিটমেন্ট দরকার ... '
    ----- ' ঠিক তাই। ট্রিটমেন্ট দরকার। আচ্ছা ... কাবেরী অপোসিট পোলের কারো দেখা তুই কখনও পাসনি? '
    কাবেরী চুপ করে রইল অন্যদিকে তাকিয়ে। বোধহয় মনে করার চেষ্টা করছে কিছু।
    একটু পরে বলল, ' হ্যাঁ ... পেয়েছিলাম তো। কিন্তু তার সঙ্গে আলাপ পরিচয়ই করতে পারলাম না নানা গন্ডগোলে। সে মনে হয় অপোজিট পোলের ছিল। নিশ্চয়ই জোড় লাগত। এখনও যদি কিছু হয় ... খুব ভাল হয় ... '
    ------ ' কোথায় তার দেখা পেয়েছিলি? '
    ----- ' ওই তো ... হেদুয়াতেই। তোর মনে আছে ... তুই আর আমি যখন অফ পিরিয়ডে হেদোয় ঘুরতাম, স্কটিশের একটা ছেলে বুড়োদের মতো চশমা পরে বেঞ্চে বসে কি সব পড়ত ... ওকে দেখে কেমন একটা মায়া পড়ে গিয়েছিল ... আমার একদম উল্টো মেরুর ... বুঝলি তো ... '
    সুমনার বুকটা ছ্যাঁত করে উঠল।
    কয়েকবার ঢোকার গেলার পর ক'টা কথা তার মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল ---- ' ও ... হ্যাঁ, মনে পড়েছে। কিন্তু এখন কি আর লাভ আছে ওদিকে ঝুঁকে? '
    ----- ' কেন লাভ নেই কেন? '
    ----- ' তার ওপর হয়তো অন্য কোন অপোজিট পোলের মায়া পড়ে গেছে এতদিনে ... '
    সুমনা লক্ষ করল কাবেরীর একটা দীর্ঘশ্বাস পড়ল কথাটা শুনে।
    বেশ মননশীল ব্যক্তির মতো বলল, ' সেই তো ... কাঙ্খিত বস্তু সময়ে ধরতে না পারলে তা নাগালের বাইরে চলে যায় চিরকালের মতো ... '
    সুমনার মনে হল, তার যা জানার ছিল সে জেনে ফেলেছে। এখন কাজ হল তার ধনরত্ন গোপনে ঢেকে রাখা যাতে কারো চোখে না পড়ে যায়।

    একটা টেম্পো ভাড়া করে বড় বড় হাড়িকুড়ি, হাতা খুন্তি চাপিয়ে অনিমেষ, উৎপল, সমীরণরা পিকনিক স্পটে এসে হাজির হল সকাল ছটা নাগাদ। বিভূতিবাবুর জানা একজন রান্নার ঠাকুর বৃন্দাবনও এল ওদের সঙ্গে। ওকে বাকিরা রান্নাবান্নায় সহায়তা করবে। বাকিরা এল একটু পরে আর একটা টেম্পোতে। দলে পাড়ার মহিলার সংখ্যা অন্তত আট। রমাদেবী এবং সমীরণের মাও
    এসেছেন। আর অঞ্জলি এবং শ্রীলেখা তো আছেই। কাঁচা আনাজ, মশলাপাতি, মাংস সব শশীভূষণবাবুর চেনা ক্যাটারার সৌরেণ পালের লোক সেই প্রাণকেষ্ট সরকার নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেছে। ওগুলো এই এল বলে। ডিম, পাঁউরুটি কলা টলাও এসে গেল। চায়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে প্রতিবেশী পরিবারে কথা বলে। তিনি সানন্দে রাজি হয়েছেন। চড়ুইভাতিতেও এক কথায় অংশগ্রহণ করতে রাজি হয়ে গেলেন ওরা। সাতটার মধ্যে হেদুয়া পাড়ার বাকি লোকেরা এসে গেল। সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলার সরঞ্জাম টরঞ্জাম নিয়ে এসেছে। বৃন্দাবন তোলা উনুনে আঁচ ধরাল। গলগল করে ধোঁয়া উড়ে যাচ্ছে ওপরে। ঘাসের শিশির শুকোয়নি এখনও। পাশের পুকুরের জলের ওপর কুয়াশার চাক এখনও ঘন। ফাঁকা জায়গায় বেশ ভারি ঠান্ডা। হেদুয়ার মতো নয়। এখানে ওখানে হলুদ গাঁদা হাসছে। সামনের গৃহস্থ বাড়ির উঠোনে পাশাপাশি দুটো ছোটখাট শিউলি ফুলের গাছ। এপাশে ওপাশে আরও দু একটা শিউলিগাছ সারারাত ধরে শিশিরে ভিজে বিবশ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। গাছের তলায় মুক্তোর মতো ছড়িয়ে আছে শিশিরে ভেজা শেফালি কুসুম। ঝাঁকড়া চুলো বেঁটে মানুষের মতো গোটা তিনেক কুলগাছ দাঁড়িয়ে আছে ওই এক পাশে পুকুরের ধার ঘেঁষে।

    অখিলবাবু এবং তার পরিবারের সকলেই বিভূতিবাবুর বিশেষ তত্ত্বাবধানে এই বনভোজনে এসেছেন। জন্মেজয়বাবু এই পরিবেশে এসে খুব আনন্দ বোধ করতে লাগলেন। তার মনের ভার বেশ হাল্কা লাগছে এখন। তাঁর চোখমুখ সজীব, উজ্জ্বল দেখাচ্ছে। বললেন, ' বাহ্ নিতাইবাবু ... খুব সুন্দর জায়গায় বাসা বানাইসেন তো ... খুব ভাল লাগত্যাসে ... মনে হইত্যাসে য্যান কইলকাতার বাইরে আইসি ... আপনের বাসাটাও খুব সুন্দর হইসে .... বিভূতিবাবু আমাদের কি উপকার যে করলেন, সে আর কি বলব ... '
    তিনি পরমানন্দে ডিম, কলা, মাখন পাঁউরুটি দিয়ে টিফিন করলেন এবং বারংবার সন্তোষ প্রকাশ করতে লাগলেন।

    নরম রোদ্দুর এসে পড়ছে পুব আকাশ থেকে। উৎপল আর অসিত ব্যাডমিন্টন খেলতে শুরু করল। খুব তাড়াতাড়ি বোঝা গেল অসিত একজন দক্ষ ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার। সে পাকা হাতে নানা ধরণের শট নিয়ে উৎপলকে নাস্তানাবুদ করতে লাগল। বিভূতিবাবু রান্নার জায়গা থেকে একটা টুলে বসে অসিতের খেলা দেখতে লাগলেন। অসিত যে এত ভাল ব্যাডমিন্টন খেলে তার জানা ছিল না। ভাবলেন, ছেলেটার দেখছি অনেক গুণ।

    একটু দূরে দাঁড়িয়ে ব্যাডমিন্টন খেলার দিকে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে রইল আর একজন। তার নাম শ্রীলেখা।
    বাকিরা ব্যস্ত, হয় রান্নাবান্নায় কিংবা গুলতুনিতে। কুমিল্লা জেলার আমনাড়া গ্রামের জন্মেজয়বাবু ঘুরে ফিরে জায়গাটা দেখতে লাগলেন।

    ( চলবে )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন