এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ৮৫

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২১ জানুয়ারি ২০২৪ | ২৬০ বার পঠিত
  • গণেশ পাত্র বিড়ি বাঁধা বন্ধ করে দোকানে ঝাঁপ ফেলার তোড়জোড় করছিল। সাগর কোনরকমে নিজেকে এনে ফেলল সেখানে। গণেশ চমকে উঠলেও অভ্যস্ত চোখে নিমেষে বুঝে ফেলল সবকিছু। কোন সময় নষ্ট করল না। ডাকাডাকি করে পনেরটা ছেলে জড়ো করে ফেলল তিন মিনিটের মধ্যে।

    কানু, মাণিক আর শম্ভু যখন খবর পেল সাগর ততক্ষণে অপারেশন টেবিলে। চল্লিশটা ছেলে বিল্ডিং-এর বাইরে নীচে ঘোরাঘুরি করছে। চারজন গেছে সাগরের বাড়িতে তার মাকে রাত্রিবেলা আগলাবার জন্য। প্রায় পৌনে এগারোটা এখন। গণেশ এখনও বাড়ি যায়নি।
    কানুকে বলল, ' মালগুলোকে তো তুলতে হবে। কোন সাইডের কিছু ধরতে পারছিস ? '
    ----- ' এখনও ভাবিনি কিছু। আগে দাদা বেরোক তারপর কথা বলব। এক নম্বরে পতিতপাবনকে ডাউট করছি ... হারামি নম্বর ওয়ান। তাছাড়া বংশীলাল, সূরযমল এগুলো আছে। রামদুলালের দু একটা বেজন্মাও থাকতে পারে। পচা আলু আরও অনেক আছে। মালগুলোকে বার করতে পারলে ফোঁড়াটাও বেরিয়ে যাবে। তারপর যা হাল করব না ... যেখান থেকে বেরিয়েছে সেখানে ঢুকিয়ে দিয়ে আসব ... '
    গণেশ পাত্র বলল, ' হমম্ .... '
    রাত পুইয়ে সকাল হয়ে গেল। ডাক্তারবাবু অবশ্য রাত দুটো নাগাদ ও টি থেকে বেরিয়ে বলে গেছেন,
    অপারেশান ভাল হয়েছে। বুলেটটা বার করে দিয়েছি। পেশেন্ট স্টেবল আছে। তবে পেশেন্টকে পাঁচদিনের আগে ছাড়া যাবে না। একটু অবসার্ভেশানে রাখতে চাই। অনেকটা ব্লাড বেরিয়ে গেছে। দু বোতল ব্লাড দেওয়া হবে। কমন গ্রুপ... বি পজিটিভ। দু বোতলের বেশি লাগলে কিন্তু আপনাদের কালেক্ট করে আনতে হবে। ব্লাড গ্রুপ মিলে গেলে কেউ ডোনেটও করতে পারেন। আর হ্যাঁ ... সুপার স্যারের সঙ্গে একটু দেখা করে যাবেন। পুলিশ কেসের ব্যাপারে কি সব ফর্ম্যালিটিস আছে ... '
    ----- ' আচ্ছা সে দেখে নেব'খন ... এটা তো শ্যামপুকুর থানার আন্ডারে নাকি ? '
    ----- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... সুপার স্যারের চেম্বারে সকাল ন'টার পরে ... '
    ----- ' ঠিক আছে স্যার, দেখা করে নেব ... আপনি চিন্তা করবেন না ... ' কানু আশ্বাস দেয় ডাক্তারবাবুকে।

    সুপারের ঘরে ঢুকে কানু আর মাণিক দেখল শ্যামপুকুর থানার ওসি বসে আছেন।
    তিনি বললেন, ' হসপিটাল অথরিটি একটা বয়ান রেজিস্টার করেছে। আপনারা কি কোন এফ আই আর করাতে চান ? নাহলে তো আমরা ইনভেস্টিগেশানে নামতে পারব না ... সাগর মন্ডলের এগেনস্টেও অবশ্য আগের কেস হিস্ট্রি আছে ... যদিও কোনটাই কগনিজ্যান্স পায়নি শেষ পর্যন্ত।
    কানু বলল, ' এখন কিছু বলতে পারছি না ... ওসব বাদ দিন এখন। দাদা আগে হাসপাতাল থেকে ছুটি পাক তারপর ওসব কথা বলব। তবে, মনে হয় আমাদের ব্যাপার আমরাই বুঝে নিতে পারব ... আপনাদের মাথা ঘামাবার দরকার হবে না। আপনারা কেস হাতে নিলেই তো জল ঘুরতে থাকবে ... '
    ওসি সাহেব হেসে বললেন, ' হাঃ হাঃ হাঃ .... সে যা ভাল বোঝেন। তবে আমার অ্যাডভাইস হল আইন নিজের হাতে নেবেন না ... '
    ------ ' না না ... সে কি কথা ! যা হবে আইন মেনেই হবে। দাদা বেআইনি কাজ একদম পছন্দ করে না ... আচ্ছা উঠি এখন ... '
    কানু আর শম্ভু সুপারের ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।

    রাত্রি রাত্রিবেলা রান্না করছিল। রাতে রান্না করে রাখলে সকালে অনেকটা সময় পাওয়া যায়। শুধু ভাতটা করে নিলে হয়ে যায়। বাবা মেয়ে দুজনেরই বেরোবার তাড়া থাকে সকালের দিকে। রান্নাটা করে নিয়ে রাত্রি পড়তে বসবে। রাত বারোটা পর্যন্ত পড়াশোনা করে তারপর শুতে যায়। একই ঘরে দুটো খাট। একটা শিবপ্রসাদবাবু আর একটা রাত্রির। ঘরের আলো নিভলে নেংটি ইঁদুরের অফিস টাইম শুরু হয়। ঘরের মধ্যে তাদের ব্যস্ত তৎপর চলাফেরা শুরু হয়। খুটখাট খুটখাট দৈনন্দিন কাজকর্ম চলে দীর্ঘক্ষণ, যতক্ষণ না বাবা মেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। কিছু করার নেই, নেংটিদেরও পেটের জ্বালা আছে। তারা খাবার খোঁজে যত্রতত্র। পাক না পাক খুঁজেই যায়।
    ক্লান্ত চোখে ঘুম এসে বসার আগে প্রায় প্রতিদিনই দু চারটে কথা হয় দুজনের জড়িত কন্ঠস্বরে। সে কথাগুলোর উপসংহারে পৌঁছন হয় না কোনদিনই। তার আগেই ঘুমের দেশে চলে যায় ওরা।
    কথাগুলো এই ধরণের ...
    শিবপ্রসাদ বলেন, ' ইঁদুরের উৎপাত বড্ড বেড়েছে ... কেটেকুটে ছারখার করবে সব। এবার একটা ব্যবস্থা না করলেই নয় ... '
    রাত্রি ঘুম জড়ানো স্বরে বলে, ' হুঁ ... সেই তো ... '
    শিবপ্রসাদ এবার বলেন, ' তোর একটা ব্যবস্থা করে না যেতে পারলে আমি মরেও শান্তি পাব না ... '
    রাত্রি : ' হুঁ.. উঁ .. উঁ ... চুপ কর তো ... সবসময়ে ওই  কথা ভালো লাগে না ... ' ঘুমে চোখ জড়িয়ে আসছে, তাই কথাবার্তা বেশিদূর এগোয় না।
    শিবপ্রসাদ : অনিলকে বলেছি একটু খোঁজখবর করতে, আমার রিটায়ারমেন্টের সময়ও তো হয়ে এল ... '
    অনিল শিবপ্রসাদবাবুর অফিস কলিগ। তার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট। আয় বাড়াবার জন্য চাকরির পাশাপাশি বিয়ের ঘটকালির কাজও করে একটু আধটু।
    এ কথাটাও রাত্রি ঘুমোবার সময় রোজই শোনে। তাই বিশেষ কোন প্রতিক্রিয়া হল না।
    শুধু বলল, ' হুঁ ... উঁ .. উঁ ... '
    শিবপ্রসাদ : তারপর বাড়িটাও তোর নামে রেজিস্ট্রি করে দেওয়া দরকার। নইলে ঝন্টুরা পরে ঝামেলা পাকাতে পারে। এখনই এরকম ... আমার অবর্তমানে তো ... ভাগ্যিস সাগর মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল তাই ... নইলে তো ... আবার কবে কি ঝামেলা পাকায় ওরা ... খুব টেনশানে থাকি ... তোকে নিয়েই আমার যত চিন্তা বুঝলি ... পারলে সাগরের সঙ্গে আর একবার যোগাযোগ করিস তো ... '
    ওদিক থেকে কোন আওয়াজ এল না কারণ রাত্রি এতক্ষণে ঘুমিয়ে পড়েছে।
    রাত্রির চাদর সরে গিয়ে ভোরের আলো বেরিয়ে পড়ল একসময়ে।

    আজ আকাশ ঘন নীল। বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ। আবার আর এক পুজোর আগমনী সানাইয়ে ফুঁ পড়ল বলে।
    রাত্রি ট্রাম থেকে নেমে ইউনিভার্সিটিতে ঢুকতে যাচ্ছিল। অপরাজিতর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল গেটের মুখে। অপরাজিত রাত্রির সহপাঠী। কার জন্য যেন অপেক্ষা করছে ওখানে দাঁড়িয়ে।
    ----- ' কিরে ... কার জন্য দাঁড়িয়ে আছিস ? ' রাত্রি জিজ্ঞেস করে।
    ----- ' আরে কি বলব ... আমার মামাতো ভাইয়ের আসার কথা ... মেজমাইমা কি একটা মাদুলি না কি পাঠাবে মায়ের জন্য... সেই জন্য দাঁড়িয়ে আছি ... ফালতু ব্যাপার ... এ সবে আমি একদম বিশ্বাস করি না ... '
    ----- ' কি আর করবি বল ... অবলিগেশান বলে কথা ... বিশ্বাস অবিশ্বাসের ব্যাপার ইমমেটিরিয়াল... ' রাত্রি জানায়।
    ----- ' যা বলেছিস .... আজ তিনটের সময় এ কে বি-র ক্লাস আছে না ... ম্যাকবেথ .... '
    ----- ' হ্যাঁ মনে আছে ... ওটা মিস করা যাবে না ... লাইফ ইজ বাট এ ওয়াকিং শ্যাডো, এ পুয়োর প্লেয়ার, দ্যাট স্ট্রাটস অ্যান্ড ফ্রেটস.... '
    অপরাজিত পরিপূর্ণ করল, ' ইটস আওয়ার আপন দা স্টেজ ... '
    তারপর দুজনে মিলে শেষটুকু মেলালো, ' অ্যান্ড দেন ইজ হার্ড নো মোর ... কেমন একটা টিউন অফ প্যাথোজ আছে এনডিং-এ, না ? '
    ----- ' এগ্জ্যাক্টলি। কেমন একটা ফিলিং হয়। ডক্টর জনসনের এলুসিডেশান কিছু আছে নাকি ? '
    অপরাজিত বলে।
    ----- ' আছে নিশ্চয়ই... খুঁজে দেখতে হবে ... '
    ---- ' এ কে বি স্যার বার্নার্ড শ ও কিন্তু খুব ভাল পড়ান ... ' অপরাজিত বলে।
    ----- ' হ্যাঁ ... দারুণ ডেলিভারি ... নোটসও হাইলি কনডিউসিভ .... '
    এইসব কথার মধ্যে অপরাজিতর মামাতো ভাই শঙ্কর এসে হাজির হল তড়িঘড়ি করে।
    বলল, ' এই ... একটু দেরি হয়ে গেল। আমাদের পাড়ার কাছে কাল একটা গন্ডগোল হয়েছিল ... এই নে ... লাল সুতোয় পরতে হবে শনিবার দিন ... মা বলে দিয়েছে ... '
    ----- ' হুঁ হুঁ বুঝেছি ... পাড়ায় কি গণ্ডগোলের কথা
    বলছিলি ... '
    ----- ' পাশের পাড়ায়। একজন গুলি খেয়েছে খান্নার ওখানে ... গ্যাং ফাইট মনে হয় ... '
    ----- ' ও আচ্ছা ... এখন সিচুয়েশান নরমাল তো ? '
    ----' হ্যাঁ হ্যাঁ ... এখন সব ঠিক আছে ... যে গুলি খেয়েছে ... ওই যে সাগর মন্ডল, নাম শুনেছিস তো ... হাসপাতালে আছে ... '
    রাত্রি রায়ের পালসের একটা বিট মিস হল। রাস্তার ওপারে হিন্দু স্কুলের বিল্ডিংটা মনে হল একবার দুলে উঠে আবার স্থির হয়ে গেল।
    ডাক্তারবাবুরা বলেন, এসব সাময়িক স্নায়ুদুর্বলতার লক্ষণ। এরকম একটা স্নায়ু দৌর্বল্যে রাত্রি সহসা আচ্ছন্ন হল।
    শঙ্কর বলল, ' আমি আসি তা'লে ... '
    অপরাজিত বলল, ' হ্যাঁ ... তুই আয় ... মামাকে বলিস ... যাব একদিন ... '
    শঙ্কর চলে যাচ্ছিল। রাত্রির মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল, ' আচ্ছা ভাই ... সাগর মন্ডল এখন কেমন আছে ? '
    ----- ' সেটা বলতে পারছি না ... তবে বেঁচে আছে শুনলাম ... কই মাছের জান ওদের ... '
    ----- ' আচ্ছা ভাই... কোন হাসপাতালে আছে সে জান কিছু ? '
    ----- ' শুনলাম...আর জি করে ... কোন ওয়ার্ডে জানা নেই ... আর অত জানার দরকারই বা কি ... এসব নিয়ে যত কম মাথা ঘামানো যায় ততই ভাল। আচ্ছা চলি আমি ... দিদি চলি ... '
    অপরাজিত বলল, ' হ্যাঁ ... তোকে আর আটকাব না ... রাত্রি চল ... '
    রাত্রি আপনমনে বিড়বিড় করল, ' লাইফ ইজ বাট এ ওয়াকিং শ্যাডো, এ পুয়োর প্লেয়ার .... অ্যান্ড দেন ইজ হার্ড নো মোর ... '
    সে বলল, ' আমার শরীরটা হঠাৎ কেমন খারাপ লাগছে ... আজ আর ক্লাস করতে পারব না ... আমি বাড়ি চলে যাচ্ছি ... ' বলেই রাত্রি হাঁটতে আরম্ভ করল প্রেসিডেন্সি কলেজ বাস স্টপের দিকে।
    অপরাজিত বলল, ' দাঁড়া দাঁড়া ... আমি তোর সঙ্গে যাচ্ছি ... '
    রাত্রি হাঁটতে হাঁটতে পিছনে মুখ ঘুরিয়ে বলল, ' না না ... তার দরকার হবে না ... ওখানে পৌঁছে গেলে কাউকে তো পাশে পাবই ... '
    ভাবল, ভিজিটিং আওয়ার নিশ্চয়ই চারটের আগে নয়। কোন বিল্ডিং-এ আছে খুঁজে পেতে বেগ পেতে হবে না নিশ্চয়ই।

    ( চলবে )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • :|: | 174.251.160.150 | ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:১৮527896
  • "কথাগুলো এই ধরণের ।.."-এরপর মোটামুটি এক প্যারা নামটাম সব ঠিক আছে তো? একবার দেখে নিলে ভালো। 
  • Anjan Banerjee | ২২ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:২৭527906
  • হ্যাঁ , টাইপের ভুল হয়েছিল । ঠিক করে দিয়েছি । 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন