এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ১১৩

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৬ মার্চ ২০২৪ | ১০০ বার পঠিত
  • মল্লিকবাজারের ওই ডাক্তার ছেলেটার সঙ্গেই চন্দনার বিয়ের ঠিক হল। ছেলের বাবাও ডাক্তার। বাসন্তীদেবী উদগ্রীব ছিলেন বড় মেয়ের বিয়ের প্রাক্কালে ভবিষ্যতদ্রষ্টারূপী প্রতিবিম্বর সঙ্গে একবার পরামর্শ ক'রে তার নিদান নেওয়া। জ্যোতিষীঠাকুরের ওপর তার অগাধ বিশ্বাস। তিনি সেদিন অলোকেন্দুবাবুর কাছে খোঁজ নিলেন, ' হ্যাগা ... সেই জ্যোতিষীবাবা তো আর এল না ...'
    অলোকেন্দুবাবু বললেন, ' হ্যাঁ আসবে আসবে ... ম্যাড্রাস গেছে পনেরদিনের জন্য ... '
    ----- ' ও ... ওখানে অনেক যজমান আছে বোধহয় ... ' বাসন্তীদেবী বললেন।
    তার স্বামী অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে বললেন, ' তা তো আছেই... '
    ----- ' ঠিক আছে উনি আসুক আগে ... তারপর নয় ... '
    ----- ' তারপর কি ? '
    ----- ' তারপর নয় ছেলেকে একবার ডাকা হবে ... জ্যোতিষীঠাকুরও সেদিন এসে টুক করে ছেলের মুখটা দেখে নিতে পারবে। সে তো মুখ দেখেই সব বলতে পারে ... '
    অলোকেন্দুবাবু বলতে বাধ্য হলেন, ' হ্যাঁ, তা বটে তা বটে .... দেখা যাক ... '
    আবার কিছুদিন পরে বাসন্তী বললেন, ' কি গো তোমার মক্কেল কি এখনো ফেরেনি ? '
    অলোকেন্দুবাবু বললেন, ' হ্যাঁ, ফিরেছিল, কিন্তু কি মুশকিল... ফেরার পরের দিনই উড়িষ্যা গেছে। ওখানেও অনেক যজমান কিনা ... '
    ----- ' ও ... তা তো থাকবেই... অত বড় জ্যোতিষী ... দেখি আর ক'দিন ... '
    আসলে, অলোকেন্দুবাবু সুমনা মারফত জানতে পেরেছেন যে প্রতিবিম্ব আর এই কমিকাল প্লে অ্যাকটিং-এ আগ্রহী নয়। তাতে যা হয় হোক।

    জ্যোতিষীঠাকুর বেপাত্তা হয়ে গেল ঠিকই, তবে কানাই সিকদার ঘড়িঘড়ি আনাগোনা করতে লাগল এ বাড়িতে। যোগাযোগের সেতু তো সে-ই।
    সে এসে তাগাদা দিতে লাগল বিয়ের দিন ক্ষণ পাকা করার জন্য। অলোকেন্দুবাবুর কোন আপত্তি নেই। কিন্তু বাসন্তীদেবী গড়িমসি করতে লাগলেন। তারও ইচ্ছে সামনের অঘ্রাণ মাসে কাজটা সেরে ফেলার। কিন্তু তার মনটা খুঁতখুঁত করছে। বিয়েটা হওয়ার আগে জ্যোতিষীবাবার সঙ্গে একবার কথা বলে নিতে পারলে ভাল হত। সুমনার ব্যাপারেও তো পুরোটা জানা হল না। মেজ মেয়ে বন্দনার ব্যাপারে অতটা চিন্তিত নন তিনি। তেমন কোন জটিলতা নেই তার জীবনে। নিপাট ভালমানুষ বলতে যা বোঝায় ও হল তাই। কোন সাতে পাঁচে নেই। শুধু নিজের পড়াশোনা ছাড়া আর কিছু বোঝে না।
    কানাই বলল, ' মেজদি, ওদের তা'লে কবে আসতে বলব ?
    দিনটা তো ঠিক করে ফেলুন ... কার কখন মন ঘুরে যায় ... অমন সোনার চাঁদ ছেলে ... '
    বাসন্তীদেবী অবশ্য কথাটা অস্বীকার করতে পারলেন না।
    বললেন, ' হুঁ ... কথাটা ঠিক। কিন্তু এখনও তো মাস দু আড়াই দেরি আছে। এত হুড়ুম দুড়ুম করার কি আছে বল তো ? আরও দিন পনের ঠেকিয়ে রাখ না। যদি এর মধ্যে এসে পড়ে ... '
    ----- ' কে ? '
    ---- ' ওই জ্যোতিষীঠাকুর। উড়িষ্যায় গেছে। এসে পড়বে ... এসে পড়বে ... ক'টা দিন ঠেকিয়ে
    রাখ না ... কি গো ...তাই তো ? '
    অলোকেন্দুবাবু প্রমাদ গনলেন। মুখে অবশ্য বললেন, ' নিশ্চয়ই আসবে .... নিশ্চয়ই আসবে ... সবুরে মেওয়া ফলে। দেখাই যাক না ... '

    প্রতিবিম্বর মামা পরমানন্দবাবু আবার এক ফ্যাসাদে পড়েছেন। তাদের বাড়িটার শরিকী গন্ডগোল আবার পাকিয়ে উঠেছে। অ্যাডভোকেট অলোকেন্দু মিত্র পাকা কাগজপত্র তৈরি করে দিয়েছিলেন কিন্তু পরমানন্দবাবুর জ্ঞাতিভাইয়েরা এত সহজে ভবি ভোলার নয়, হাল ছাড়ার পাত্র নয়। তারা তলে তলে নানান ফন্দীফিকির জারি রেখেছিল। তারা একজন দুঁদে উকিল লাগিয়ে কাগজপত্রে কি সব ফাঁক বার করেছে। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে নতুন করে মামলা তুলেছে। বাড়িতে কোর্টের এবং মিউনিসিপ্যালিটির নোটিস এসেছে। পরমানন্দবাবুর আবার অস্বস্তির দিন ফিরে এল। বুক ধড়ফড়ানি শুরু হল আবার।
    প্রতিবিম্ব সব শুনে বলল, ' ঠিক আছে, তুমি এত চিন্তা করছ কেন ? অলোকেন্দু স্যার তো আছেন ... আমি আজই যোগাযোগ করছি। কোন চিন্তা ক'র না ... '
    পরমানন্দ নির্বিরোধী শান্তিপ্রিয় মানুষ। তিনি উদ্বেগের চাপে শুয়ে পড়েছিলেন। তিনি বললেন,
    ' আচ্ছা ... দেখ কি করতে পারিস ... আজকেই যোগাযোগ করার চেষ্টা করিস কিন্তু ... '
    ----- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... দেখছি দেখছি ... '
    প্রতিবিম্ব কলেজে বেরিয়ে গেল।

    সুমনা হেদোয় ঢুকে শিরীষ গাছের তলায় গিয়ে দেখল প্রতিবিম্ব আগে থেকে এসে বসে আছে। পুকুরের জলের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে কি যেন চিন্তায় ডুবে আছে।
    সুমনা এসে দাঁড়ালেও সে ঠিক খেয়াল করল না।
    সুমনা প্রতিবিম্বর কাঁধে হাত দিয়ে বলল, ' এই যে ... ও মশাই, কি এত চিন্তা করছেন ? '
    প্রতিবিম্বর সম্বিত ফিরে এল।
    ----- ' ও তুমি এসে গেছ ... এইমাত্র এলে ? '
    ----- ' তোমার কি হয়েছে বলতো ? কি নিয়ে এত চিন্তা করছ ? '
    ----- ' মামার শরীর একদম ভাল নেই। আমরা আবার বিপদে পড়েছি ... '
    ----- ' সেকি ? কেন ... কি ... কি হয়েছে ? '
    প্রতিবিম্ব ব্যাপারটা খুলে বলতে লাগল। সুমনা নিষ্পলকে তার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।

    সেদিন রাত্রে সুমনার মুখে সব কথা শুনে অলোকেন্দু মিত্র ভ্রু কুঁচকে বললেন, ' হোয়াট ? হাউ রিডিকুলাস ! আবার নোটিসও এসে গেছে ... বাঃ বাঃ ... ফাইন। অলরাইট, নো প্রবলেম ... আয়্যাম টেকিং আপ দি চ্যালেঞ্জ ... নো ম্যাটার হুএভার মাই অপোনেন্ট ইজ ... '
    অলোকেন্দুবাবুকে বেশ উত্তেজিত দেখাতে লাগল।
    সুমনা বলল, ' বাপি, আমি তাহলে ওদের কবে আসতে বলব ? '
    ----- ' কাল দুপুরে '
    ----- ' তাহলে ওদের জানিয়ে দিচ্ছি কাল দুপুরে আসার জন্য ... '
    ----- ' না না .... ওদের আসতে হবে না। '
    ---- ' তাহলে ? ' সুমনা অবাক হয়ে যায়।
    ----- ' আমিই কাল ওদের বাড়িতে যাব দুটোর সময়। প্রতিবিম্বকে থাকতে বলিস ... '

    অলোকেন্দুবাবু ঠিক দুটোর সময় পরমানন্দবাবুর বাড়ি গেলেন। দলিল দস্তাবেজ পরীক্ষা নীরিক্ষা করলেন, তারপর বাড়ির ভিতরে বাইরে ঘুরে ঘুরে মাপজোক আন্দাজ করতে লাগলেন এবং একটা ডায়েরিতে কি সব নোট করতে লাগলেন। প্রতিবিম্ব বাড়ি নেই। জরুরী ক্লাস আছে।
    জ্ঞাতি অংশের লোকজন এদিক ওদিক থেকে উঁকিঝুঁকি মারতে লাগল। দেখে পরমানন্দবাবু কেমন কুঁকড়ে গেলেন নানা আশঙ্কায়।
    বললেন, ' এবার ঘরে গিয়ে বসলে হয় ... দেখছে ওরা ... '
    ------ ' কে দেখছে ... '
    ------ ' ওই ওরা .... '
    অলোকেন্দুবাবু ঘাড় ঘুরিয়ে একবার তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে 'ওদের ' দিকে দেখলেন। তারপর বললেন,
    ------ ' তাতে কি হয়েছে ? শখ হয়েছে, দেখুক না ...'
    ----- ' লোক সুবিধের নয় সব ... '
    ----- ' ঠিক আছে। সুবিধের নয় ... তাতে কোন অসুবিধে নেই আমার ... ঘুঘু দেখেছে ফাঁদ দেখেনি এখনও ... দেখতে পাবে শিগ্গীর... হাঃ হাঃ .... আপনি হলেন আমার মেয়ের মামাশ্বশুর, আসল শ্বশুরও বলতে পারেন ... আমার বেয়াই। আমি এমনি ছেড়ে দেব ? চোখে শর্ষেফুল দেখিয়ে ছাড়ব ... হুঁ ... '
    ----- ' আচ্ছা, ঠিক আছে ...এখন চলুন চলুন ... ঘরে চলুন ... '
    পরমানন্দবাবুর উদ্বেগে জবুথবু হয়ে আছেন। তিনি একরকম হাত ধরে অলোকেন্দুবাবুকে ঘরে নিয়ে গেলেন।

    ঘরে গিয়ে অলোকেন্দুবাবু ঝপ করে বসে পড়লেন একটা চেয়ারে। তার কোন হেলদোল নেই। এসব মামলা তার কাছে জলভাত।
    বললেন, ' একটা ক্যাভিয়েট করে রাখতে হবে যাতে শালারা ফাঁকতালে কেসটা এক্সপার্টি শো করে একতরফা ডিক্রি নিয়ে বেরিয়ে না যায়। আমি পেপার রেডি করে এনেছি, আপনি শুধু একটা সই করে দিন ... এই ... এখানটায় ... '
    পরমানন্দবাবু সই করে দিলেন বাধ্য মক্কেলের মতো।
    অলোকেন্দুবাবু বললেন, ' ব্যাস... আর কিছু করতে হবে না আপনাকে। আমি কাল সকালে কোর্ট খুললেই সাবমিট করব। আর কোর্টের যে নোটিসটা পেয়েছেন সেটা আমাকে দিন। একটা কাউন্টার পিটিশন ফরওয়ার্ড করতে হবে। সেটা রাত্রের মধ্যে করে ফেলব। তারপর দেখি কি কাউন্টার মুভ আসে। পুরোটাই আমার ওপর ছেড়ে দিন। আপনি ওদের সঙ্গে কোন কমিটমেন্টে যাবেন না। এমনকি ভার্বালিও নয়। ঠিক আছে ? আমি এখন উঠি। কাল রাত্রে দেখা হবে। ঠিক আছে ... '
    বলে অলোকেন্দুবাবু চেয়ার থেকে উঠে পড়লেন।
    ঠিক সেই সময় প্রতিবিম্ব হন্তদন্ত হয়ে ঘরে ঢুকল।
    ----- ' দুটো ক্লাস ছিল ... একটু দেরি হয়ে গেল ... আপনি কতক্ষণ এসেছেন স্যার ? '
    অলোকেন্দুবাবু ব্যাগপত্তর গুছিয়ে নিয়েছেন। তিনি বললেন, ' আরে তুমি আবার তাড়াহুড়ো করে আসতে গেলে কেন ? বাড়ির ডিরেকশান তো ফুচার কাছেই পেয়ে গেছি ... '
    ----- ' না ... তবুও... আপনি নিজে এসেছেন ...আমাদের কি অবস্থা তা তো দেখতেই পাচ্ছেন ... সুমনার এখনও ভাবনাচিন্তা করার সময় আছে ... '
    ----- ' এই ... সব্বনাশ এসব কথা বোল না ... মেয়ে শুনলে আর রক্ষা রাখবে না ... তুমি কেন আমার মতো একটা নীরিহ লোককে বিপন্ন করছ ?'
    ----- ' কি বলছেন স্যার ... মানে ... ' কুন্ঠিত স্বর প্রতিবিম্বর।
    ----- ' তুমি আমাকে স্যার স্যার বলাটা বন্ধ কর না। আমাকে নিজের লোক বলে ভাবাটা প্র্যাকটিস কর না ... '
    ------ ' প্র্যাকটিস তো করছি ... কিন্তু স্যার ... '
    ---- ' আবার সেই ... যাকগে সময়ে হবে সব। বলছিলাম যে ... ইয়ে ... তোমাকে একটা রিকোয়েস্ট করব প্রতিবিম্ব ? '
    ----- ' কি স্যার ... না, মানে কাকু ? '
    ----- ' বলছি যে আর একদিন অন্তত ওই জ্যোতিষীর প্রক্সিটা দিতে হবে যে ... এটাই ফাইনাল ... '
    প্রতিবিম্ব মহা বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ে গেল। সে একটু ভেবে আমতা আমতা করে বলল, ' আচ্ছা ঠিক আছে ... আপনি বলছেন যখন ... কিন্তু স্ক্রিপ্টটা ... '
    ----- ' বাইরে চল ... যেতে যেতে রাস্তায় বলছি ... পরমানন্দবাবু আসছি ... কাল রাত্রে দেখা হবে ... '

    ওরা দুজনে বাইরে বেরিয়ে গেল। আশপাশ থেকে দু চার জন উঁকি ঝুঁকি মারতে লাগল সন্দিহান চোখে।
    পরমানন্দবাবু প্রতিবিম্বদের দিকে তাকিয়ে রইলেন। ওদের সংলাপগুলো পরিষ্কার না বুঝলেও এই বাক্যালাপের অন্তর্লীন মাধুর্যটা অনুভব করতে পারলেন ভালভাবেই।

    ( চলবে )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন