এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার  ধারে - ৮৭

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ | ১৭৬ বার পঠিত
  • বিভূতিবাবু বললেন, ' তাহলে তো ভালই হয়। আমিও নয় সকালের দিকে একবার করে ... '
    পদ্মা বলল, ' দুপুরবেলায় আমারও একটু সময় হতে পারে বাবু ... '
    কানু বলল, ' ঠিক আছে ... দাঁড়ান দাঁড়ান, আগে দাদাকে জিজ্ঞেস করি ... তারপর দেখা যাবে ... এখনই এত হড়বড় করবেন না ... '
    কানুরা যে ধরণের কর্মকান্ড এবং সর্পিল জীবনধারার সঙ্গে জড়িত তার প্রভাবে তারা কাউকেই সন্দেহের বাইরে রাখতে পারে না। এমনিতেই কানু মাণিকদের মাথায় এখন নানা চিন্তা ঘুরছে, সাগরের ওপর কারা হামলা করল সেটা না জানা পর্যন্ত স্বস্তি নেই। তারপর সাগর একটু সুস্থ হলে অপারেশানের প্ল্যানটা ছকতে হবে।

    ভিজিটিং আওয়ার শেষ হয়ে গেছে। রোগীর পরিজনেরা লিফট থেকে নেমে বেরিয়ে আসছে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে।
    সুরেশ্বর মল্লিক বললেন, ' আজ তো দেখা হল না ... কাল নয় একবার খোঁজ নেব ... '
    কানু বলল, ' এখানে আসার দরকার নেই... পটলের দোকানে খোঁজ নেবেন ... চেনেন তো ? '
    বিভূতিবাবু বললেন, ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... আমি চিনি ... ওখানেই তা'লে ... '
    রাত্রি বলল, ' আসছি এখন ... যদি সম্ভব হয় বলবেন শিবপ্রসাদ রায়ের মেয়ে এসেছিল ... উনি আমাদের খুব উপকার করেছিলেন ... '
    ----- ' হ্যাঁ জানি, গোয়াবাগান পার্কের ওখানে তো ? '
    ----- ' হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন ... আপনি গিয়েছিলেন নাকি ? '
    ----- ' আমরা অনেকেই ছিলাম রাস্তার ওদিকে। কাছাকাছি যাওয়ার দরকার হয়নি। দাদাই সব সামলে নিয়েছিল। ছোট কেস ছিল ... ঠিক আছে আমি জানাব দাদাকে ... '
    ওরা সকলে রাস্তার দিকে হাঁটতে থাকল একসঙ্গে।

    পরদিন দুপুরে সাগর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এল। অন্য কোন রোগী হলে অন্তত এক সপ্তাহের আগে হাসপাতাল ছাড়ার প্রশ্নই ছিল না। কিন্তু হাসপাতালের বেডে আটকে থাকতে চাইল না। মায়ের জন্যও চিন্তা হচ্ছিল খুব। তাছাড়া শত্রুদের খুঁজে বার করার চিন্তাটা তার মাথায় সারাক্ষণ আগুন জ্বালিয়ে রেখেছে।
    ট্যাক্সি করে কানু, বাদল আর শম্ভু সাগরকে বাড়ি নিয়ে এল।

    সাগরের শরীর এখনও তেমন চাঙ্গা হয়নি। কাঁধে যথেষ্ট ব্যথা আছে। সাগরের মা সরযূদেবী ছেলে বাড়ি ফিরে আসাতে আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেলেন।
    তিনি কানুদের বললেন, ' অনেক উপকার করলে বাবা ... তোমরা ওর পাশে আছ বলেই তো ও কাজ করতে পারছে .... '
    ------ ' না মাসীমা ... শুধু আমরা নই আরও অনেকে এসেছিল। একটা মেয়ে এসেছিল ... শিক্ষিত বলে মনে হল ... কাঁধে বই খাতার ঝোলা ছিল। সে বলল, সে এসে নাকি দাদার দেখাশোনা করবে ক'দিন ... '
    ওরকম ধাঁচের কোন মেয়ে এসে তার ছেলের সেবাযত্ন করবে এটা সরযূর কাছে তেমন বিশ্বাসযোগ্য মনে হল না।
    তিনি বললেন, ' তাই নাকি ? তা ভাল ... আচ্ছা সাগরকে কে গুলি মারল বল তো ... ও তো সবায়ের উপকারই করে, খারাপ তো করে না ... '
    ----- ' মাসীমা একজনের ভাল আর একজনের ধান্দা খারাপ করে, তাই ...। কে গুলি মারল আমরা দুদিনের মধ্যেই খুঁজে বার করব, তারপর ... '
    কানুর চোখ জ্বলতে থাকে।
    সাগর খাটে হেলান দিয়ে বসে ছিল। খালি গা। কাঁধ বেড় দিয়ে ইয়া ব্যান্ডেজ। এক জায়গায় ভিজে ভিজে লালচে, বোধহয় ওষুধের রস। নড়াচড়া করতে গেলে যন্ত্রনা হচ্ছে মুখ চোখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
    কাঁধে ঝোলা ব্যাগের একটা মেয়ের কথা কানে গেল কানুর নানা কথার ফাঁক গলে। এক লহমায় সাগরের মুখে ব্যথার দাগ মুছে গেল। সে কানুর মুখের দিকে তাকিয়ে রইল কথাটা আর একবার শোনার আশায়।
    কানু থেমে থেমে বলে চলেছে নানা আগুনে কথা, জ্বলন্ত শপথের পরিভাষা, সে যে সাগরের ওপর হামলার বদলা না নিয়ে ছাড়বে না এবং এ ব্যাপারে তার একনিষ্ঠ পরিকল্পনার কথা বারংবার উগরে দিচ্ছে সাগরের মায়ের কাছে। শুধু সেই কাঁধে ঝোলা ব্যাগের মেয়েটা হাসপাতালে কখন তাকে দেখতে এসেছিল, কতক্ষণ অপেক্ষা করেছিল এবং তাকে দেখাশোনার ব্যাপারে ঠিক কি বলেছে সেটা কানুর মুখ থেকে আর একবার শোনার জন্য সে উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু কানু তার নিজস্ব ঘরানায় নরম গরম কথাবার্তা বলে তার অন্তর্দাহ নিসৃত করে চলেছে।
    সাগর একবার ভাবল, মেয়েটার কথা একবার জিজ্ঞাসা করে যে সে ঠিক কি বলেছে। কানুর কথা থামিয়ে সাগর কিছু জিজ্ঞাসা করতে যাচ্ছিল ... যেটা জিজ্ঞেস করাই তার পক্ষে স্বাভাবিক। কিন্তু এক অদ্ভুত জড়তা এসে চেপে বসল পাথুরে সাগর মন্ডলের ক্ষুরধার জিভে। সে কোন গভীর প্রত্যাশা নিয়ে চুপ করে তাকিয়ে রইল কানুর মুখের দিকে।

    এদিকে অঞ্জলি গিয়ে হাজির হল রাজা রাজকৃষ্ণ স্ট্রিটে গোয়াবাগান পার্কের পাশে বাড়িটায়, রাত প্রায় আটটার সময়। তার এসব ব্যাপারে প্রবল উৎসাহ।
    শিবপ্রসাদ বললেন, ' আরে, অঞ্জলি যে .... কি খবর ... হঠাৎ পথ ভুলে নাকি ? এই তো দু হাত দূরে থাকিস ... '
    অঞ্জলি বিড়ম্বিত গলায় বলে, ' খুবই অন্যায় ... খুবই অন্যায়, অস্বীকার করছি না শিবুদা ... কিন্তু কি করব বল ... বিশ্বাস কর ... একদম সময় পাই না, সংসারের কাজে এত ব্যস্ত থাকি ... তা তোমরা ভাল আছ তো .... '
    ----- ' ভাল আর থাকতে দিচ্ছে কই ... পাশের ওরা তো পেছনে লেগেই আছে ... '
    ----- ' ও ... ওরা এখনও ঝামেলা করে যাচ্ছে ! অথচ ছোটবেলায় কত সুন্দর মেলামেশা ছিল ... কত সুন্দর সম্পর্ক ছিল ... কি যে হয়ে গেল সব ... ভাবলেই অবাক লাগে ... '
    এই সময়ে রাত্রি ঘরে ঢুকল।
    একগাল হেসে বলল, ' কেমন আছ গো অঞ্জলি মাসি ... '
    ----- ' এই চলে যাচ্ছে আর কি ... কি করছিলি ? '
    ----- ' এই... রান্নাঘরে ছিলাম ... রাত্রে রান্নাটা করে রাখি ... তা'লে সকালে একটু সময় পাওয়া যায় আর কি ... '
    ----- ' হ্যাঁ ... সেটা ঠিকই বলেছিস ... তুই বরাবরই বুদ্ধিমতী, লেখাপড়াতেও, কাজকর্মেও। তোর মা চলে যাওয়ার পর তুইই তো সংসারটাকে ধরে রেখেছিস ... সে কি আর আমি জানি না ... তোর নাম রাত্রি হলেও তুই যেখানে যাবি সে সংসার আলো করে রাখবি ... '
    রাত্রি এ কথার উত্তরে কি বলবে ভেবে না পেয়ে চুপ করে রইল।
    ----- ' অঞ্জলিমাসি চা খাবে নাকি ? ' রাত্রি জিজ্ঞেস করল।
    ----- ' নারে ... এখন আর চা খাব না ... আমি সকালে একবারই চা খাই ... ভীষণ অম্বল হচ্ছে আজকাল ... তুই বোস। কিচ্ছু করতে হবে না ... '

    অঞ্জলি আস্তে আস্তে মূল প্রসঙ্গে ঢুকতে চাইল।
    ----- ' শিবুদা, রাত্রির ব্যাপারে কিছু চিন্তা ভাবনা করছ নাকি ? '
    ----- ' মানে ? ' শিবপ্রসাদ ঠিক ধরতে পারেন না।
    ----- ' না ... মানে ... আজ হোক কাল হোক মেয়েকে তো পরের ঘরে পাঠাতেই হবে ... '
    ---- ' ও ... তাই বল ... হ্যাঁ সে তো বটেই... সে তো বটেই... '
    অঞ্জলি আর গৌরচন্দ্রিকা না করে কথাটা পেড়ে ফেলল রাত্রির উপস্থিতিতেই, ' একটা ভাল পাত্র ছিল হাতে ... আমার মামার বাড়ির দিককার ... পাকা সরকারি চাকরি করে ... তোমরা রাজি থাকলে আমি ওর বাবা মাকে খবর পাঠাতে পারি ... ওরা কাটোয়ায় থাকে ... '
    শিবপ্রসাদবাবু রাত্রির ব্যাপারে আগে এরকম প্রস্তাবের মোকাবিলা করেননি। এই প্রথম।
    তিনি ভাবতে লাগলেন ঠিক কি বলা যায়।
    ----- ' হ্যাঁ ... ওই ইয়ে ... তা ভালই তো ... দেখি ... '
    এরকম অসংলগ্ন বাক্যবিন্যাস শোনা যেতে লাগল শিবপ্রসাদের মুখে।
    রাত্রির মুখে কিন্তু কোন অসংলগ্ন কথা শোনা গেল না। সে পরিষ্কার বলল, ' ঠিক আছে অঞ্জলিমাসি ... বাবা এই তো সবে শুনল, একটু ভাবনা চিন্তা করে নিক ... তারপর নিশ্চয়ই খবর দেবে তোমাকে। তবে আমি কিন্তু এই মুহুর্তে বিয়ে টিয়ে করার অবস্থায় নেই নানা কারণে ...' তারপর একটু থেমে আবার বলল, 'কিছু মনে করলে নাতো ? '
    অঞ্জলি কিন্তু রাত্রির এ কথায় আদৌ হতাশ হল না। সে বলল, ' না না ... এতে মনে করার কি আছে ? বিয়ে কি আর এক কথায় হয় ... হাজার কথার পরে তবেই ... সবই বিধাতার হাতে ... কি বলে, জন্ম মৃত্যু বিয়ে, তিন বিধাতা নিয়ে ... '
    রাত্রি বলল, ' সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই ... '
    তার হঠাৎ কিং লিয়ার মনে পড়ল। বিড়বিড় করতে লাগল --- অ্যাজ ফ্লাইজ টু ওয়ান্টন বয়েজ আর উই টু দা গডস ... দে কিল আজ ফর দেয়ার স্পোর্ট। সো ডিস্ট্রিবিউশন শুড আনডু এক্সেস। অ্যান্ড ইচ ম্যান হ্যাভ এনাফ ....
    অঞ্জলি আশাভরা গলায় বলল, ' অ্যাঁ ... কিছু বলছিস নাকি রাত্রি ? '
    রাত্রি বলল, ' না না ... আমি আর কি বলব ? যা বলার বলবে সামনের সময় ... সময়ই সব কিছু বলবে ... '
    অঞ্জলি মনে মনে বলল, ' বড্ড এঁচড়ে পাকা মেয়ে ... গাল টিপলে দুধ বেরোয় সে কিনা ... '

    ( চলবে )
    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন