এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ১১২

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৩ মার্চ ২০২৪ | ১০৫ বার পঠিত
  • সাগর রাত্রিকে নিয়ে কালীবাবুর ঘরে ঢুকল। কালীবাবু উৎসুক দৃষ্টিতে শ্যামবর্ণা রাত্রির পরিশীলিত বুদ্ধিদীপ্ত মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন কালীকিঙ্করবাবু। মনে মনে সাগরের পছন্দের তারিফ না করে পারলেন না তিনি।
    ----- ' আসেন আসেন বসেন ... বসেন ... '
    রাত্রি হাতজোড় করে বলল, ' নমস্কার... '
    ---- ' হ্যাঁ ... বসেন বসেন ... সাগরবাবুর কাসে আপনের নাম অনেক শুনসি... চা খাবেন তো ? '
    সাগর আর রাত্রি কালীবাবুর উল্টোদিকে পাশাপাশি চেয়ারে বসল বেশ খানিকটা ফাঁক রেখে।
    ----- ' না ... আমি চা তেমন খাই না ... ওসব দরকার নেই... '
    ----- ' আচ্ছা আচ্ছা ... আপনে আনকমফর্টেবল ফিল করত্যাসেন না তো ? '
    ------ ' না না ... আনকমফর্টেবল ফিল করার কি আছে ? কিছু হলে ইনি দেখবেন ... চিন্তা কি ? হাঃ হাঃ ... '
    সাগরের দিকে দেখিয়ে রাত্রি বলল হাসিমুখে।
    সাগর সপ্রতিভ হওয়ার চেষ্টা করল, ' একদম ... একদম ... থানায় অনেকের একটু অস্বস্তি হয় তাই ... '
    রাত্রি বলল, ' কি যেন ডিসকাস করার কথা ছিল ...'
    ----- ' হ্যাঁ ... একটু সিরিয়াস ম্যাটার। আমি সাগরবাবুর কাস থেকে শুনে যেটুক বুঝসি কইত্যাসি ... '
    বলে কালীবাবু নিখিল ব্যানার্জী বিবৃত উপলব্ধি ও তৎসম্পর্কিত দর্শন ও পরিকল্পনার ব্যাপারে যতটা সম্ভব প্রাঞ্জলভাবে নিজস্ব ভাষায় উপস্থাপন করলেন। তার উপস্থাপনায় বিশেষ ফাঁক রইল না। বেশ জমাট হল।
    রাত্রি স্থির মনোযোগের সঙ্গে কথাগুলো শুনতে লাগল।
    কালীবাবুর কথা শেষ হবার পর বলল, ' নিখিল ব্যানার্জী স্যার তো খুব ইনট্রেস্টিং ক্যারেক্টার ... দেখা করার ইচ্ছে রইল। ওনার কোন কথাই ফেলে দেবার নয়। সত্যিই তো একটা গণতান্ত্রিক দেশ এভাবে চলতে পারে না ... আমার সামান্য অভিজ্ঞতায় যা বুঝি। দেশের প্রায় সব সম্পদ ওপরের দিকের সামান্য কিছু লোকের হাতে। আমার অবশ্য পরিষ্কার ধারণা নেই। সবই পড়া বা শোনা কথা থেকে জানা। তবে এটা বুঝতে পারি অর্থিক বৈষম্য প্রচুর আছে। এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। একদিকে চূড়ান্ত ভোগ আছে, অন্যদিকে খেতে না পেয়ে মরা আছে। এটা নিশ্চয়ই হওয়া উচিত নয়। দেশে যদি খাবারই না থাকে তাহলে কিছু লোক এত খাচ্ছে কি করে ... তাই না ? '
    কালীবাবু মন দিয়ে রাত্রির কথা শুনছিলেন।
    তিনি বললেন, ' এক্ক্যারে টু দি পয়েন্ট ... একদম টার্গেটে হিট করসেন ... এত কম বয়সে এসব বোঝা মোটেই সহজ কাজ নয় ... খ্যামতা আসে আপনের ... '
    এই সময়ে সাগর উক্তি করল, ' চোখ কান খোলা রাখলেই সব কিছু বোঝা যায়। আর ওনার চোখ কান সবসময়ই খোলা থাকে। কিছুই নজর এড়ায় না ... ও তো আর আমাদের মতো না ... '
    রাত্রি মাথা ঘুরিয়ে চোখ বড়বড় করে তাকাল সাগরের দিকে।
    ----- ' আপনি থামবেন ... ? '
    সাগর হেসে বলল, ' আরে ... ভুল কিছু বললাম ? '
    রাত্রি কথাটা আর বাড়াল না। নিখিল ব্যানার্জী প্রসঙ্গে ফিরে এল।
    বলল, ' এসব ঠিক আছে। বিপ্লব টিপ্লব এত বহুধা বিভক্ত শুধু নিজের স্বার্থের পিছনে ছোটা জনগন নিয়ে কখনও হয় না। তাছাড়া তেমন নেতাই বা কোথায়। নেতাজি সুভাষই কিছু করতে পারলেন না ... '
    কালীবাবু বললেন, ' ঠিক কথা ঠিক কথা ... কিন্তু নিখিল স্যার তো বিপ্লবের কথা বলেনি। তিনি সংগঠন তৈরি করতে বলছেন, যাতে জনগণের মধ্যে একটা জাগরণ ছড়িয়ে পড়ে এবং বিচারবুদ্ধি তৈরি হয় ... '
    রাত্রি এইসময়ে একটা শানিত বুদ্ধিমন্ডিত কথা বলল।
    ----- ' স্যারের মিশনটা নিঃসন্দেহে নোবেল কিন্তু আমার মতে বেশ ইমপ্র্যাকটিক্যাল। আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে কোন হোলিস্টিক অ্যান্ড ইনক্লুসিভ চিন্তাধারা নেই। তার নিজের স্বার্থে ঘা পড়লে তবেই সে প্রতিষ্ঠানের ওপর ক্ষেপে ওঠে। তার আগে পর্যন্ত নয়। সবাই তো আর সাগর মন্ডল নয় ... এরকম মানুষ লাখে একটা থাকে ... '

    এবার সাগরের পালা। সে রাত্রির দিকে তাকিয়ে বলল, ' আপনি থামবেন ... ? '
    রাত্রি থামল না। সে বলল, ' স্যার নিশ্চয়ই ভীষণ সেনসিটিভ। তিনি বুঝতে পেরেছেন সাগরবাবুর ভিতর অন্য ধরণের মশলা আছে। এরকম আরো কয়েকজন সাগরকে খুঁজে বার করে কাজে লাগাতে পারলে এক মহা বিস্ফোরণ ঘটানো যায়, যেটা একটা পরিবর্তনের সূচক হতে পারে ... '
    সাগর কি বলবে ভেবে না পেয়ে মাথা নীচু করে রইল বিড়ম্বিত মুখে।
    কালীবাবু রাত্রিকে সম্পূর্ণ সমর্থন করে বললেন, ' এইডা একেবারে খাঁটি কথা বলসেন... সাগর মন্ডল লাখে একটা জন্মায়। যাই হোক আমার যা বলার সিল আমি বললাম, এখন আপনি বিবেচনা করেন কি করবেন, না করবেন ... '
    ----- ' না ... আমি অবশ্যই নিখিল স্যারের সঙ্গে দেখা করতে চাই... তার কথা শুনতে চাই। কিছু করতে পারি না পারি কিছু শিখতে তো পারব ওনার কাছ থেকে ... ' রাত্রি জানাল।
    ----- ' হ, আমারও একই মত। তার লগে অবশ্যই দেখা করুম। কিসু শিখতে তো পারব ... যাক ডিসিশান হয়্যা গেল তাইলে ... আমার দায়িত্ব শেষ .... না না ... সরি সরি, অর্ধেক শেষ ... '
    রাত্রি অবাক হয়ে বলল, ' সে আবার কি ? অর্ধেক শেষ মানে ... '
    ----- ' হ, সেইটাই বলার লাগব এখন ... মানে, ওই বাকি অর্ধেকটা বলব ... '
    রাত্রি একটু অধৈর্য হয়ে উঠল। অন্তরঙ্গ ভঙ্গীতে বলল, ' যা বলবার বলেই ফেলুন না মশাই। কি সব ইনস্টলমেন্টে পার্ট ওয়ান, পার্ট টু, পার্ট থ্রি করছেন ... '
    কালীবাবু একটু সময় নিয়ে কি সব ভেবে টেবে নিয়ে আস্তে আস্তে বললেন, ' আপনে তো নিজেই বললেন সাগর মন্ডল লাখে একটা পাওয়া যায় আর আমার এটা নিশ্চিত ধারণা হইছে যে আপনের মতো মেয়েও লাখে একটাই পাওয়া যায়। কাজেই একটা অসাধারণ সুন্দর যুগল দেখার আশা কি আমরা করতে পারি না ? দুজনে একসঙ্গে কাজ করলে তো দেশেরও ভাল। আপনাদের সংসারেরও ভাল। নিখিলবাবুও নিশ্চয় খুশি হবেন ... ঠিক কিনা ? '
    আচমকা কালীবাবুকে এইরকম চাঁচাছোলা প্রস্তাব পেশ করতে দেখে সাগরের টালমাটাল অবস্থা হল।
    তার মনে হল এবার বোধহয় সুপ্রীম কোর্টের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হতে চলেছে। তার মনে হল সে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছে। সাগরের মনে হচ্ছে সে এখান থেকে উঠে চলে গিয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। কিন্তু একটা অদৃশ্য চৌম্বক আকর্ষণ তাকে চেয়ারের সঙ্গে আটকে রাখল। সে টেবিলের ওপর দুহাত রেখে চুপচাপ বসে রইল।
    দুজন কনস্টেবল দুটো লোককে ধরে এনে প্রকাশ ঘড়াইয়ের ঘরের দিকে গেল। কালীবাবু গলা তুলে বললেন কেসটা লেইখ্যা নিয়া লক আপে রাখ। আমি হাতের কাজটা সেরে যাচ্ছি ... '
    তারপর তিনি স্থিতধী পুরুষের মতো রাত্রির মুখের দিকে উদাস দৃষ্টি মেলে বসে রইলেন এস্পার ওস্পার হবার প্রতীক্ষায়।
    রাত্রি নির্বিকারভাবে বলল, ' হ্যাঁ ... সে তো বটেই। করলে তো দুজনে একসঙ্গেই করব ... আমার সঙ্গে তো নিখিল স্যারের কোন কথা হয়নি এখনও। কথা তো ওনার সঙ্গেই হয়েছে ... '
    কালীবাবু দেখলেন স্রোতের জল অন্যদিকে গড়িয়ে যাচ্ছে। তিনি তাড়াতাড়ি বাঁধ দেবার কাজে নামলেন। স্রোত বেপথু হতে দেওয়া যাবে না। সুযোগ বারবার আসে না।
    তিনি বললেন, ' হ্যাঁ নিশ্চই ... নিখিল স্যারের ব্যাপার তো আসেই। ওনার কথা তো আমিও শুনতে যাব। হয়ত এক ক্রান্তিকারি হাওয়া আসছে বহুদূর থেকে ... ' বলে কালীবাবু আবার সরাসরি প্রস্তাবনায় গেলেন। বেশ 'গুছিয়ে' বললেন এবারেও ...
    ----- ' কিন্তু আমি বলছিলাম যে দুজনের এই মিলিত বন্ধন দিয়া যদি একটা সংসার গড়া যায় তাহলে, আমার বিশ্বাস তারা অনেক বড় বড় কাজ করতে পারব। অবশ্য সাগরবাবুর কাজের ধারা পরিবর্তন করতে লাগব। সেটা উনি নিশ্চই করে ফেলতে পারবেন ... '
    রাত্রির কোন তাপ উত্তাপ দেখা দিল না। সে নিরুত্তাপ এবং স্বাভাবিক কন্ঠে বলল, ' হ্যাঁ সেটা তো করতেই হবে। সমাজ এগুলো ভাল চোখে দেখে না, এটা প্র্যাকটিক্যাল কথা। নিখিল স্যারই হয়তো পথপ্রদর্শক হবেন ... কিছু কি বলা যায় ? '
    কালীবাবু এবার ফাইনাল হাতুড়িটা মারার জন্য তৈরি হলেন।
    ----- ' তাই বলছি,মানে ... এ কাজটা যদি সারাজীবন সাগরবাবুর পাশে থেকে আপনি করেন,
    মানে এক সংসারে থেকে... তার চেয়ে ভাল মনে হয় কিছু হয় না ... '
    ----- ' তা হবে হয়ত। কিন্তু সেটা হোক বা না হোক, মনের দিক থেকে এতদূর এগিয়ে আর তো পিছনো যায় না ... সেটা উনি বুঝতে পারুন বা না পারুন...'
    কালীকিঙ্করবাবু থ হয়ে রাত্রির দিকে তাকিয়ে রইলেন। ভাবলেন তার পুলিশি জীবনে এত সরল স্বীকারোক্তি বোধহয় আর আসেনি।
    সাগর ভাবল, সে বোধহয় স্বপ্ন দেখছে।

    ( চলবে )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন