এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ১০৯

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৮ মার্চ ২০২৪ | ১০৯ বার পঠিত
  • নিখিল স্যার সবাইকে আজকের মতো ছুটি দিয়ে দিলেন। বললেন, ' আজ একটু কাজ পড়ে গেছে বুঝলে ... আবার সোমবার হবে ... ঠিক আছে ? '
    ছাত্রীরা বই খাতা গুছিয়ে নিয়ে উঠে পড়ল। ওরা বেরিয়ে যাবার পর নিখিলবাবু বাইরে গেলেন।
    গিয়ে দেখলেন কাল খান্নার মোড়ে সিগারেটের খোলে যাকে বাড়ির ঠিকানা লিখে দিয়েছিলেন সেই লোকটি দাঁড়িয়ে আছে।
    নিখিল ব্যানার্জী বললেন, ' আপনি ? মানে ... সাগর মন্ডলের সঙ্গে দেখা হয়নি বোধহয়। ঠিক আছে, দেখুন যদি কনট্যাক্ট হয় আপনার সঙ্গে ... তাড়াহুড়োর ব্যাপার নেই ... '
    সাগর বিনীতভাবে বলল, ' কিছু মনে করবেন না ... আমিই সাগর মন্ডল ... '
    ----- ' আরে ... তাই নাকি ? হোয়াট আ গ্রেট সারপ্রাইজ ! '
    ------ ' আমাদের লাইনটা একটু অন্যরকম তো ... সবসময়ে সতর্ক থাকতে হয়, বুঝেসুঝে চলতে হয় ... '
    ----- ' হ্যাঁ জানি ...অন্যরকম ... সেই জন্যই আপনাকে ডাকা অন্যরকম কিছু কথা বলার জন্য। আসুন আসুন ... '

    নিখিলবাবু সাগরকে নিয়ে পড়াবার ঘরেই ঢুকলেন। সে ঘর এখন খালি।
    নিজে একটা চেয়ারে বসে সামনের চেয়ারটা দেখিয়ে সাগরকে বললেন, ' বসুন ভাই ... '
    নিখিলবাবু কয়েক মুহূর্ত চুপচাপ বসে কি চিন্তা করতে লাগলেন। সাগর কোন প্রশ্ন করল না।
    নিখিলবাবু বললেন, ' আসলে কাজের কথা কিছু নেই। অকাজের কথা বলতে পারেন। তবু আমার মনে হয় বলা দরকার। কাউকে না কাউকে তো বলতেই হবে। আমার কথা পাগলের প্রলাপ মনে হতে পারে হয়ত ... হাঃ হাঃ। আমার মনে হয় আমরা যেভাবে বেঁচে আছি সেটা ঠিক পদ্ধতি নয়। কিছু লোক দিব্যি আছে। আর বেশীর ভাগ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে সবকিছু থেকে। খাওয়া পরা শিক্ষা স্বাস্থ্য সবকিছু থেকে। আমার মনে হয় এর একটা পরিবর্তন হওয়া দরকার। আমূল পরিবর্তন পৃথিবীর কোন কোন দেশে বিদ্রোহ বা বিপ্লবের মাধ্যমে হয়েছে। আমার মনে হয় আমাদের দেশে সে আবহ বা পরিমন্ডল নেই। সে রকম কোন অভ্যুত্থান ঘটবার মতো জমি আমাদের দেশে তৈরি নেই। এখানকার বহুমাত্রিক, বহুস্তরীয় এবং বিভক্ত মানসিকতাসম্পন্ন সামাজিক কাঠামোর মধ্যে থাকা মানুষকে একত্রিত করে বিপ্লব ঘটানো প্রায় অসম্ভব ব্যাপার .... .মনে হয় কোনদিনই সম্ভব হবে না ... '
    নিখিলবাবুর কথাবার্তা সাগরের একটা ধোঁয়াটে হেঁয়ালির মতো মনে হচ্ছে। সে বুঝতে পারছে না তাকে এখানে ডাকা হল কেন। তার রাত্রির কথা মনে পড়ল। হ্যাঁ, রাত্রি থাকলে হয়ত স্যারের এইসব শক্ত শক্ত কথা বুঝতে পারত। তবে সাগর কোন প্রশ্ন করল না। অপেক্ষা করতে লাগল।
    নিখিলবাবু বলতে লাগলেন, ' তবে আমার মনে হয়
    সাধ্য অনুযায়ী আমাদের কারো কারো কিছুটা দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়া উচিত। একা একা ব্যক্তিগতভাবে নয়, সংগঠনের মাধ্যমে ... '
    সাগর এবার না বলে পারল না, ' কিন্তু আমি এসব ব্যাপারে ... আমি তো ঠিক লেখাপড়া জানা লোক নই ... '
    ----- ' লেখাপড়া জানা নেই, জেনে নেবেন ... কি আছে ? আমি কিছু বই দিয়ে দেব ... সেগুলো পড়লেই হবে। আপনি তো আর স্কুল কলেজের পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন না। লেখাপড়া জানা লোক তো আমার অনেক জানা আছে। তাহলে আপনাকে ডাকলাম কেন ? '
    ----- ' তাই তো ...আমাকে ডাকলেন কেন ? '
    ----- ' ডাকলাম এই কারণে যে আপনার কাজকর্মের সব খবর আমি রাখি। আপনি যেগুলো করেন তার মধ্যে কোন রাজা প্রজার সম্পর্ক নেই, মানে দাতা এবং গ্রহীতার সম্পর্ক নেই ... '
    সাগরের ভাষাজ্ঞান সীমিত হলেও নিখিলবাবুর কথা আক্ষরিকভাবে বুঝতে তার অসুবিধে হচ্ছিল না। কিন্তু ভাব বা উদ্দেশ্যটা ঠিক ধরতে পারছিল না।
    সে বলল, ' মানে ? '
    ----- ' মানে, আমাদের দেশ নাকি পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ। কিন্তু দেশের বেশির ভাগ লোকের সঙ্গে শাসকশ্রেণীর সম্পর্ক হল রাজা প্রজার। এটা তো রাজতন্ত্রের স্বাভাবিক রীতি বা প্রক্রিয়া। চরম আর্থিক বৈষম্যই এর কারণ।আমরা তো এসবের পরিবর্তন করতে পারব না, কিন্তু গোপনে একটা সংগঠন গড়ে তুলতে হবে, যার অনেক শাখা প্রশাখা থাকবে বাংলার নানা অঞ্চলে। সমাজের ভিতর থেকে আস্তে আস্তে একটা সংস্কারের বীজ পোঁতা শুরু করতে হবে মানুষের মনে যাতে পরবর্তী প্রজন্ম রাষ্ট্রীয় কাঠামোর খোলনলচে বদলে ফেলতে সক্রিয় হতে পারে। মানুষের সম্মিলিত মানসিকতা বদলই তো আসল পরিবর্তন আনে ... '
    এইসব আজগুবি এবং তার পক্ষে দুর্বোধ্য সব কথা সাগরের মাথায় জট পাকিয়ে দিচ্ছিল। তার নিজস্ব কার্যপদ্ধতি অত্যন্ত সোজাসাপটা। কোন বদমায়েশের খোঁজ পেলে সোজা গিয়ে তাকে পাকড়াও এবং উচিত শিক্ষা দিয়ে দাও।
    তার আবার মনে হল রাত্রি থাকলে হয়ত স্যারের কথাগুলো ধরতে পারত।
    সাগর যতটা সম্ভব মোলায়েম স্বরে বলল, ' কিন্তু স্যার আমাকে কি করতে হবে এ ব্যাপারে ? '
    ----- ' আপনার মতো মানুষ আর আছে কিনা সেটা আপনাকে খুঁজে বার করতে হবে এবং তাদের দিয়ে সংগঠন জোরদার করতে হবে সারা বাংলায়।সারা দেশে আপনার মতো দশটা লোক পেলেই আমার মিশন সাকসেসফুল হয়ে যাবে আশা করি ... অবশ্য আপনি যদি আমার সঙ্গে কাজ করতে রাজি থাকেন। '
    সাগর হ্যাঁ বা না কিছুই বলতে পারল না। সে এরকম আতান্তরে কোনদিন পড়েনি। নিখিলবাবুর এইসব উদ্ভট প্রস্তাব শুনে তার বুদ্ধিসুদ্ধি গুলিয়ে যেতে লাগল। অবশ্য এও ভাবল, এত শিক্ষিত একজন লোক যখন বলছে ব্যাপারটার মধ্যে নিশ্চয়ই কিছু আছে। কানু, মাণিকদের সঙ্গে এ ব্যাপারে পরামর্শ করে দেখলে কেমন হয়, এটাও ভাবল। কিন্তু ব্যাপারটা কানুদের পরিষ্কার করে বুঝিয়ে বলতে পারবে কিনা তা নিয়ে তার মনে ঘোর সন্দেহ দেখা দিল।
    নিখিলবাবু বোধহয় সাগরের মনের কথা পড়তে পারলেন।
    ----- ' ঠিক আছে ... আপনি চিন্তাভাবনা করুন। এক্ষুণি কিছু বলতে হবে না। আপনার মতো আরও কেউ থাকলে তাদের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন। একটা কথা মনে রাখবেন, আপনি আপনার নিজের ধরনে কাজ করবেন, লেখাপড়া জানা লোক হওয়ার কোন দরকার নেই ... '
    সাগর কোন কথা না বলে মাথা নাড়ল।

    সাগর নিখিলবাবুর বাড়ির থেকে বেরিয়ে এল।
    বেরিয়ে খেয়াল হল এটা বংশীলালের এলাকা। তার অনেক লোকজন এদিকে ওদিকে আছে। সে এই মুহুর্তে একা। একবার হামলা হয়েছে তার ওপর, তার দাগ এখনও শুকোয়নি। সাত পাঁচ ভেবে সাগর একটা বাসে উঠে গেল। এসে নামল
    বিবেকানন্দ রোড কর্ণওয়ালিস স্ট্রিটের মোড়ে। নেমে হাঁটতে লাগল বিডন স্ট্রিটের দিকে। ভাবল, পটলের দোকান মনে হয় এখনও খোলা আছে। কানুকে একটা খবর পাঠানোর দরকার। আর রাত্রি ? তাকেও নিখিল স্যারের কথাগুলো বলার দরকার। সে লেখাপড়া জানা মেয়ে,ব্যাপারটা ধরে নেবে নিশ্চয়ই। রাত্রির সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আবার সন্তোষ দাসকে ডেকে পাঠাতে হবে। শালা কাজের ছেলে। হেব্বি চালাক ... পুলিশের ইনফর্মার ছিল শ্যামপুকুর থানায়। কিন্তু সমস্যা হল, স্যার যে কি বললেন সে তো এর মধ্যেই ভুলে গেছে। কাকে কি বোঝাবে ! গরীব বড়লোকের মধ্যে এত তফাত থাকা উচিত না ... এই ধরণের কি একটা বলছিলেন। আরে বাবা, যার এলেম বেশি সে তো বেশি কামাবেই ... কি করা যাবে ? যাই হোক, দেখা যাক এরা কি বলে ... বেশ ভজঘট ব্যাপার।

    আজ সকাল থেকে আকাশ মেঘলা মেঘলা। বেলা নটা বাজল। অমল ঘন্টাখানেক পরে চান খাওয়া সেরে অফিসে বেরোবে। এখন খবরের কাগজ নিয়ে বসে আছে। খেলার পাতায় চোখ বোলাচ্ছে।
    রান্নাঘর থেকে ডালে ফোড়ং দেওয়ার ঝাঁঝ আসছে। হাঁচি আসছে বারবার। এ সংসারে রান্নার ব্যবস্থা একান্নবর্তী। সঞ্চারী ঘর থেকে বেরোল। ইউনিভার্সিটি যাবে। আজ দশটায় একটা ক্লাস আছে। ভাত এখন খাওয়া যাবে না। রান্না হয়নি। জলখাবার খেয়ে বেরোচ্ছে। কাগজ পড়তে পড়তে খোলা দরজা দিয়ে অমলের চোখ গেল সঞ্চারীর দিকে। বলল, ' কিরে ... বেরোচ্ছিস ? '
    ----- ' হ্যাঁ ... দশটায় একটা ক্লাস আছে। তাড়াতাড়িই ফিরব ... তিনটে নাগাদ। এসে খাব দুজনে একসঙ্গে ... '
    ----- ' কার সঙ্গে ? '
    ----- ' রাত্রির আসার কথা আছে। ওই যে সেদিন এসেছিল না ... মা আসতে বলেছে। দুপুরে খাবে ... '

    সাড়ে ন'টা নাগাদ অমলের মা ঘরে এসে দেখল, ছেলে গায়ে একটা চাদর চাপা দিয়ে শুয়ে আছে গুটিসুটি মেরে।
    শিবানীদেবী বললেন, ' কিরে, অফিস যাবি না ? সাড়ে নটা বেজে গেছে ... রান্না হয়ে এসেছে ... '
    অমল চোখ না খুলেই বলল, ' নাঃ ... শরীরটা কেমন যেন করছে ... আজ আর বেরব না ... '
    ওদিকে আকাশে বাদল মেঘের মাদল বাজতে লেগেছে।

    (চলবে)

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন