এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ১৬৭

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৮ আগস্ট ২০২৪ | ১২৬ বার পঠিত
  • | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
    সকাল থেকেই আজ আকাশ মেঘমেদুর। টিপটিপ করে বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে। বিবর্ণ নিষ্প্রভ দিন। রাস্তায় লোকজন কম। অঞ্জলি বলল, ' আজ কিন্তু খিচুড়ি খাবার দিন ... '
    ----- ' তা কর না ... সঙ্গে মামলেট ... আজ আর অফিস যেতে ইচ্ছে করছে না। মনে হচ্ছে পড়ে পড়ে ঘুমোই। দীনবন্ধুর খবর নেই অনেকদিন। কোথাও গেছে নাকি ? ' নিতাইবাবু বললেন।
    ----- ' না না কোথায় আবার যাবে। ওর বউয়ের বাচ্চা হবে। সেই নিয়ে ব্যস্ত আছে হয়ত ...'
    ---- ' অ ... তাই ? তা ভাল ... ' বলে নিতাইবাবু বিছানায় শরীর ফেলে দিলেন।
    ----- ' আরে এই অসময়ে শুয়ে থাকলে কি করে হবে ? একটু বাজারে যেতে হবে তো ... বেগুন আর পাঁপড় অবশ্যই আনবে ... '
    ---- ' ওঃ ... আবার বাজার ... ছেলে মেয়ে দুটো একেবারে অকম্মার ঢেঁকি ... না হোমে না যজ্ঞে ... '
    ---- ' ওরকম বোল না। ওরা এখন বড় হয়েছে। এসব কথা কানে গেলে আবার ... '
    ----- ' আরে দূর থাম তো ... তোমার আস্কারা পেয়েই এরা ... দূর দূর ... '

    নিতাইবাবু মন্দ্র আলো মাখা মেঘলা দিনে থলে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন মানিকতলা বাজারের দিকে।
    সঙ্গে একটা ছাতা নিলেন। টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়ছে যে। যেতে যেতে ভাবলেন, ছেলেমেয়ে দুটো কবে যে মানুষ হবে কে জানে। নিতাইবাবু ঠিক করেছেন শ্রীলেখার বিয়ের ঠিক হলে তারা সিঁথিতে তার নতুন বাড়িতে উঠে যাবেন। বাড়িটার দেখভালের খুব অসুবিধে হচ্ছে। বিভূতিবাবুর খুব মন খারাপ হবে তাতে সন্দেহ নেই। তাদেরও কি আর ভাল লাগবে। ঠাঁই বদলাতে কারই বা ভাল লাগে। কিন্তু উপায় কি ? আর কতদিন তারা ভাড়াবাড়িতে পড়ে থাকবেন, নিজে বাড়ি করে ফেলে রেখে। শশীভূষণবাবু বারবার সাবধান করছেন। সেখানে চোর ছ্যাঁচড়ের উৎপাত লেগেই আছে। তাছাড়া ভাড়া বাড়িতে থেকে তিনি মেয়ের বিয়ে দিতে চান না। শ্রীলেখার পড়াশোনা বেশিদূর হবে বলে মনে হয় না। অঞ্জলির সঙ্গে মেয়ের সকাল সকাল বিয়ে দেবার ব্যাপারে তিনি একমত হয়েছেন। মনে মনে তিনি সহধর্মিনীর দূরদর্শিতার প্রশংসা না করে পারেন না।
    অনিমেষের অবস্থাও তথাপি। হয়ত টেনেটুনে গ্র্যাজুয়েট হবে কোনরকমে। তারপর সুপার সাহেবকে ধরে করে রেল অফিসে ঢুকিয়ে দেবার চেষ্টা করবেন, পরিকল্পনা আছে তার। সাহেবের সঙ্গে নিতাইবাবুর ভালই খাতির আছে। কাজ গুছোতে গেলে খাতির তো রাখতেই হয়। ছেলে সেরকম পদের হলে আলাদা ব্যাপার ছিল। অনিমেষ অবশ্য যথেষ্ট ভাল ফুটবল প্লেয়ার। অনেক জায়গায় ওকে বরো করে নিয়ে যায় ম্যাচ খেলার জন্য। যদি ইস্টার্ন রেলের টিমে ঢুকতে পারে কোনরকমে, হিল্লে হয়ে গেল। টিমের ক্যাপ্টেন পি কে ব্যানার্জীর জহুরীর চোখ। নিজে যেমন প্লেয়ার, প্লেয়ার চেনেও তেমনি। এই তো সেদিন দেখলেন নিতাইবাবু .... কি একটা কাজে এসেছিল অ্যাকাউন্টসে।
    এইসব সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে নিতাইবাবু মানিকতলা বাজারে পৌঁছে গেলেন।

    দুপুর তিনটে নাগাদ নিখিলবাবুর কোচিং ঘরে এক গুচ্ছ লোক জমেছে। ভর দুপুরে মেঘলা আঁধার ঘনিয়ে আসায় ঘরে আলো জ্বলিয়ে দেওয়া হল। আজ বাঁধন ছেঁড়ার মন্ত্রে দীক্ষিত একগাদা মানুষ এসে জুটেছে নিখিল স্যারের ঘরে। সাগর, রাত্রি, মোনাবাবু, সন্তোষ, নন্দ, বাবলু, মজিদ, মাণিক, বাদল, শম্ভু, কাবেরী, নীলাঞ্জন,অমিতাভ, স্নেহাংশু, সুনির্মল এরা তো আছেই, তাছাড়া কানুর দাদা প্রীতিময় আর রানু এরাও এসেছে সাগরের সঙ্গে। বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া থেকে দুজন করে এসেছে। তাদের একদম ইস্কুলের মাস্টারমশায়ের মতো দেখতে। আরও কয়েকজন আছে যারা বোধহয় নিখিল স্যারের আমন্ত্রিত। বাকিরা চেনা মুখ না। দেখা গেল না শুধু অমল আর কালীবাবুকে।

    নিখিলবাবুর কথা বলা শেষ হয়েছে খানিকক্ষণ আগে। এসব কথা তিনি আগেও অনেকবার বলেছেন।
    তিনি বললেন, ' আমার কথা আমি বললাম। আমরা কোনোমতেই কোনরকম অন্যায় এবং শয়তানি মেনে নেব না ... সে রাজনৈতিক অন্যায় হোক বা অরাজনৈতিক ভ্রষ্টাচার হোক। শুধু প্রতিবাদেই আমাদের থামলে চলবে না, তাদের অকেজো করে দেওয়াটাই আমাদের লক্ষ্য। সাগর মন্ডল যে কাজটা ব্যক্তিগতভাবে করে থাকে, আমরা সেটা সমষ্টিগতভাবে করতে চাই। সকলেই তো আর সাগর মন্ডল হয় না। বিষাক্ত আগাছায় শুধু ওষুধ ছেটালে হবে না। গোড়া থেকে উপড়ে ফেলতে হবে। আর একটা কাজ করার দরকার। সাধারণের চোখ খুলে দেওয়া, তাদের ভাবতে অনুপ্রাণিত করা। জেগে ঘুমিয়ে যে কোন ধরণের অনাচারের সঙ্গে আপোষ করে নেওয়ার স্বভাব পরিত্যাগ করতে শেখানো।
    এই শেষের কাজটাই সবচেয়ে কঠিন। সাধারণ জনগন কোন কিছু নিয়ে মাথা ঘামাতে চায় না, তাদের পারিবারিক ব্যাপার ছাড়া কোন ব্যাপার নিয়ে তারা ভাবতে চায় না। তাদের ভাবনা চিন্তাটা তাদের ব্যক্তি স্বার্থের গন্ডীর বাইরে নিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করাটা সবচেয়ে বড় কাজ। আমার ধারণা, কয়েক বছরের মধ্যেই এক শক্তিময় প্রতিবাদের ঢেউ ধেয়ে আসতে চলেছে এবং হয়ত তা সশস্ত্র। মনে রেখ আমাদেরও কিন্তু তাই .... '
    নিখিলবাবু থামলেন। সামনের দিকে তাকিয়ে নীরবে বসে রইলেন।
    বাইরে টিপটিপ করে বৃষ্টি হচ্ছে। ঘরের ভিতরে মানুষগুলোর মনের ঘরে অগ্নিশিখা জ্বলে উঠল।
    প্রীতিময় ঘোষের স্ত্রী রানু ঘোষ তার নিজস্ব ভাষা ও ভঙ্গীতে ঘোষণা করল ---- ' শালাদের জান নিয়ে ছাড়ব ... আমার জানের পরোয়া করি না ...'
    তার দুচোখের তারা থেকে যেন জ্বলন্ত বহ্নি ঠিকরে বেরোচ্ছে।
    বাকিরা তার দিকে তাকিয়ে যেন সম্মোহিত হয়ে গেল। বিদ্যুতস্পৃষ্ট হল বলা যায়।
    একে একে সকলে মুষ্টিবদ্ধ হাত ওপরে তুলে যে যার মতো আওয়াজ তুলতে লাগল। সব শব্দ মিলে মিশে গিয়ে নিখিলবাবুর কোচিং ঘরের মধ্যে এক বিচিত্র প্রাণস্পন্দনের তরঙ্গ পাক খেতে লাগল।
    মোনাবাবু বসেননি। আগাগোড়া দাঁড়িয়েছিলেন ঘরের একপাশে। তিনি উচ্চৈস্বরে বলে উঠলেন,
    ' শপথ নিলাম ... শয়তানদের নিকেশ করবই। ছাড়ব না কাউকে ... '
    মনোরঞ্জনের চোখে যেন কিসের ঘোর। ঘরের কাউকে যেন তিনি দেখতেই পাচ্ছেন না। তার দুটো প্রজ্বলিত চোখ যেন বহুদূরের এক দিগন্ত দর্শন করছে ওই ঘন গভীর মেঘমালা সম্বৃত আকাশপারের দিকে তাকিয়ে।
    কেঁপে উঠল সাগর ছাড়া ঘরের আর সকলে। এক শিহরিত কাড়া নাকাড়া বাজতে লাগল নিখিলবাবুর বুকে। তিনি বোধহয় কোন ক্রান্তিকালের পদধ্বনি শুনতে পেলেন। সাগর এগিয়ে গিয়ে মোনাবাবুর কাঁধে হাত রাখল। তার চোখে শান্ত চোখ রেখে দাঁড়িয়ে রইল। তারপর তাকে ধরে আস্তে আস্তে বসিয়ে দিল একটা চেয়ারে। তার পাশে দাঁড়িয়ে সাগর বলল, ' আমরা সবাই আছি মনোরঞ্জনদা এই নৌকায় ... '
    হঠাৎ সবাই মিলে বলতে লাগল, ' এই নৌকায় সবাই আছি ... সবাই আছি ... সবাই আছি ... '
    ঠিক এই সময়ে কাকতালীয়ভাবে আকাশ চিরে একটা ধারাল বিদ্যুচ্চমক ঝলসে উঠল। পরমুহুর্তে চারপাশে প্রতিধ্বনি ছড়িয়ে বিরাট শব্দে আকাশ এক প্রচন্ড বজ্রপাত ঘটাল। সবই অবশ্য আকস্মিক সমাপতন। কোন দৈব ঘটনাক্রম নেই এর মধ্যে। স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ঘটনা।

    এবার আকাশ তার জলের ঝাঁপি খুলে দিল আচমকা। অঝোরে বৃষ্টি পড়তে লাগল। তুমুল বারিধারা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে একজনকে প্রায় দৌড়ে এসে ঘরে ঢুকতে দেখল সকলে।
    কালীকিঙ্কর ভট্টাচার্য মশায় পকেট থেকে রুমাল বার করে মাথাটা মুছে নিয়ে বললেন, ' এক্ক্যারে ঠিক সময় ঢুইক্যা পড়সি। বলা নাই কওয়া নাই বৃষ্টিটা হঠাৎ নাইম্যা গেল ... হ্যাঃ ... '

    ( সমাপ্ত )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Mira Bijuli | ১১ আগস্ট ২০২৪ ০৬:৪৭536152
  • উপন্যাস শেষ হল, তবু একটা অনুরণন রয়ে গেলো, কত কিছুই অজানা রয়ে গেল
  • Anjan Banerjee | ১১ আগস্ট ২০২৪ ১০:৫৫536159
  • শেষ থেকে আবার হয়ত শুরু হবে ... 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন