এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ১৫৩ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৬ জুলাই ২০২৪ | ১১২ বার পঠিত
  • | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
    বাড়ির দোতলার বারান্দায় মাইক লাগানো হয়েছে। সাগর আর নন্দ যখন গিয়ে পৌঁছল সেখানে নাগাড়ে ভক্তিগীতি হয়ে চলেছে। বাবার নামেই নানা গান আর কি ... আট দশ রকম ঠাকুর দেবতাদের মিলিয়ে মিশিয়ে। নীচে অনেক লোক দাঁড়িয়ে আছে ভক্তি গদগদ চোখমুখ নিয়ে। ওপরে মনে হয় হাউস ফুল। নাহলে এই গড়াগড়ি খাওয়া ভক্তরা নীচে দাঁড়িয়ে থাকত না। বোধহয় ভোরবেলা থেকে কিংবা কাল শেষ রাত থেকে হত্যে দিয়ে লাইনে বসে থাকা ভক্তের দল ওপরে যাওয়ার চান্স পেয়েছে। আর কিছু ভি আই পি ভক্ত তো নিশ্চয়ই আছে। তাদের লাইন মারার দরকার হয় না। তাদের ভক্তি, খুব কস্টলি ... মানে দামী আর কি ...

    সে যাই হোক, ওখানে মাতব্বরদের মধ্যে দেখা গেল দুচারজন সাগরকে চেনে। চেনে মানে হাড়ে হাড়ে চেনে। কোন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অতীত অভিজ্ঞতা হয়েছে নিশ্চয়ই। তারা এক সঙ্গী সহ সাগরকে এখানে দেখে চমকে উঠল। খানিকটা চিন্তায়ও পড়ে গেল। একে অপরের সঙ্গে চোখাচোখি করে ইশারায় ইঙ্গিতে মাথা ঠান্ডা রাখার সিদ্ধান্ত নিল।
    একজন এগিয়ে গিয়ে অমায়িক ভঙ্গীতে বলল,
    ' আসুন দাদা .... ওপরে যাবেন তো ?
    সাগর বুঝতে পারল, সে লোকটাকে না চিনলেও, লোকটা তাকে ভালমতো চেনে।
    সাগরও বিনয় বজায় রেখে বলল, ' হ্যাঁ ... একটু যেতাম ... দুজন আছি ... '
    ----- ' অসুবিধে হবে না ... চলে আসুন ... স্পেশাল অ্যারেঞ্জমেন্ট আছে ... '
    সাগর বলল, ' না না ... আমাদের ওসবের দরকার নেই। আমরা ভক্ত ... দাঁড়িয়েই থাকব কিংবা নীচে বসব ... '
    লোকটা সাগরদের সঙ্গে সঙ্গে আসছিল। সাগর খানিকটা আদেশের সুরে বলল, ' আপনার আসার দরকার নেই ... আমরা দেখে নিচ্ছি ... '
    লোকটা অনিচ্ছাসত্ত্বেও বলল, ' আ... চ্ছা... ঠিক আছে তা'লে ... '
    সে আর এগোল না। বাইরে বেরিয়ে গিয়ে তার ওই সতীর্থদের সঙ্গে কি সব আলোচনা করতে লাগল।

    সাগর ওপরে উঠে দেখল বাবাজি একটা তাকিয়া পরিবেষ্টিত মখমল আচ্ছাদিত সুসজ্জিত ছোট আকারের পালঙ্কে পদ্মাসনে বসে আছেন। পরনে লাল টকটকে মসলিনের আলখাল্লা গোছের একটা পোশাক। বাবাজির নধরকান্তি শরীরের চামড়ার রঙ পলসন কোম্পানির মাখনের মতো। বাবাজির চুল আলুথালু, পূর্ণিমার চাঁদের মতো গোলাকার মুখ সাদা কালো মেশানো গোঁফদাড়িতে ঢাকা।

    বাবা চোখ বুজে বসে অছেন। সাগরের মনে হল, ধ্যান ট্যান কিছু করছেন। কিংবা এই মওকায় ওখানে বসে হয়ত এক ঘুম দিয়ে নিচ্ছেন। কম ধকল তো সইতে হয় না প্রতিদিন। ভক্তজনের ভয় ভক্তি ধরে রাখতে গেলে ধকল তো কিছুটা হজম করতেই হবে। তাই এখন সুযোগ পেয়ে এক ঘুম দিয়ে নিচ্ছেন।
    পালঙ্কের সামনে ঘরের মেঝেতে একদিকে মহিলা আর একদিকে পুরুষ ভক্তরা হাতজোড় করে গদগদ আবিষ্ট চোখে বাবাজীর দিকে তাকিয়ে তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করে আছে, বাবা কখন কৃপা করে চোখ খুলবেন। ঘরটা যথেষ্ট বড়। সাগর আর নন্দ পুরুষদের দিকটায় পিছন দিকে গিয়ে বসল। বসে নজর করে ব্যাপারটা দেখতে লাগল সাবধানে এদিকে ওদিকে ঘাড় ঘুরিয়ে।

    তার দিকে কারও চোখ পড়েছে কিনা বোঝার চেষ্টা করছে। নন্দকে ফিসফিস করে বলল, ' খেয়াল রাখিস। এসব জায়গায় অনেক খেঁকশেয়াল ঢোকে ... '
    সাগর নীচু গলায় বলল, ' সে সব বলতে হবে না ...সব জানি ... '
    ওখানে অবশ্য, সবাই দেখা যাচ্ছে ভক্তিভাবে বিভোর। অন্য কারো দিকে তাকাবার আগ্রহ নেই কারও। এইভাবে আরও মিনিট পনের কাটল। হঠাৎ ভক্তবৃন্দের মধ্যে একটা আলোড়ন দেখা দিল। অনেকে বলতে লাগল, ' বাবা জাগছেন.... বাবা জাগছেন ... সমাধি ভেঙেছে ... '
    ওদিকে মহিলাদের অংশ থেকে হঠাৎ উলুধ্বনি উঠতে লাগল। কোরাসে আওয়াজ উঠতে লাগল ' জয় বাবা ... জয় বাবা ... '
    সাগররা দুজন একটু উঁচু হয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে দেখল পালঙ্কের ওপর ধ্যানস্থ মাধবানন্দ ব্রহ্মচারি পদ্মফুলের পাপড়ি মেলার মতো একটু একটু করে নীমিলিত নয়ন উন্মীলিত করছেন। এরকম কায়দা করে চোখ মেলা দেখে সাগরের হাসি পেতে লাগল।
    মাধবানন্দজি ঢুলু ঢুলু চোখে সামনের দিকে তাকিয়ে, কার উদ্দেশ্যে কে জানে অপার করুণাভরা কন্ঠে ননীগোপালমার্কা হাসি হেসে মোলায়েম কন্ঠে বললেন, ' ওরে ... তোরা ফুল নিয়ে আয় ... '
    জনা তিনেক মাঝবয়সী মহিলা বোধহয় এই ডাকের জন্য তৈরি হয়েই ছিল আগে থেকে। তারা কয়েকটা বড়সড় রূপোলী রেকাবিতে, বোধহয় রূপোরই হবে ... রাশি রাশি গোলাপ ফুল নিয়ে বাবার খাটের দিকে এগিয়ে যেতে লাগল পিছন দিক থেকে ভিড় কাটিয়ে। বোধহয় গুরুদেবের পায়ের কাছে রাখবে।
    সাগর আবার ফিসফিস করে বলল, ' যা শুনেছি, এবার বোধহয় ফুল ছোঁড়াছুঁড়ি হবে ... '
    নন্দ কথাটা ঠিক বুঝল না। কিন্তু কোন প্রশ্নও করল না। বলল, ' ও ও ... '

    নন্দ দেখল, সাগরের কথা ঠিক মিলে গেল।
    বাবা প্রসন্নতামাখা চোখে ভক্তবৃন্দের দিকে তাকিয়ে রূপোর থালা থেকে কয়েকটা করে গোলাপ তুলে নিয়ে আলতো করে ছুঁড়ে দিতে লাগলেন, পুরুষ এবং মহিলা দুই দলের দিকেই। ওখানে জমা হওয়া লোকজন বেশ শান্ত এবং সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান করছিল। কিন্তু সেই মহাপুণ্যময় ফুল বা ফুলের পাপড়ি বর্ষণ শুরু হওয়া মাত্র চঞ্চল তরঙ্গ দেখা দিল। সেই ফুল বা পাপড়ি লুফে নেওয়ার জন্য উপস্থিত জনতার মধ্যে এক অদ্ভুত ক্ষিপ্ততা এবং ক্ষিপ্রতা দেখা দিল।
    বাইরের মাইক থেমে গেছে। কিন্তু ভেতরটা সরগরম হয়ে উঠল। সাগর লক্ষ করল বাবার মুখে কোন বিরক্তির চিহ্ন নেই। তিনি ক্ষমাশীল প্রসন্ন মৃদু হাসি মাখা মুখে ভক্তদের দিকে তাকিয়ে আছেন। সাগরের মনে হল তিনি ব্যাপারটা উপভোগ করছেন। যেন পরমানন্দে বিভোর হয়ে তাকিয়ে আছেন ভক্তদের দুষ্টুমি দেখে।
    তার চোখের উজ্জ্বল তারা শান্ত ভঙ্গীতে দৃষ্টি বুলিয়ে যাচ্ছে তার ধেড়ে কিংবা কচি নির্বোধ সন্তানাদির ওপর।
    মাধবানন্দজির চোখের তারা ঘুরতে ঘুরতে একসময়ে গিয়ে পড়ল একদম পিছনে বসে থাকা সাগর আর নন্দর ওপর। তার দৃষ্টি থমকে গেল হয়ত এটা দেখে যে এ লোক দুটোর মধ্যে ফুল সংগ্রহের জন্য কোন হুটোপাটি নেই। বাবাজী অভিজ্ঞ চোখে সাগরদের জরিপ করতে লাগলেন। সাগর নন্দর উদ্দেশ্যে অস্ফুটস্বরে বলল, ' বাবার চোখে পড়েছি রে ... '
    নন্দ কিছু না বলে শুধু বলল, ' হুঁ ... '
    বাবার দৃষ্টি কিন্তু নির্বিকার, নিরুত্তাপ এবং দুর্বোধ্য। কৌতূহলিও বটে।
    তিনি চেয়ে রইলেন এদিকে এবং সাগরও চোখ সরাল না। সোজা তাকিয়ে রইল বাবাজীর দিকে।
    হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে মাধব ব্রহ্মচারি বেশ অবাক হয়ে গেছেন। তার এই ধাঁচের ভক্ত আছে বলে তার জানা নেই। তিনি বাঁদিকে ঘাড়টা একটু ঘুরিয়ে ডান হাতটা একটু তুললেন। পালঙ্কের একপাশে ভিড়ের মধ্যে থেকে একজন বেরিয়ে এল।
    নন্দ সাগরের গায়ে কনুইয়ের একটা ছোট্ট ঠেলা মেরে বলল, ' ওই দেখ ... '
    ------ ' দেখেছি ... এরকম কিছু দেখবার জন্যই তো এখানে আসা ... নতুন কিছু না। চুপচাপ থাক একদম ... দেখি শালা কি করে ... '
    মাইক আবার চালু করে দেওয়া হয়েছে। বাইরে চারপাশ সচকিত করে বাজতে লেগেছে বাবাজী মাহাত্ম্য কীর্তন।

    ( চলবে )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন