এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ১৬৪

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০১ আগস্ট ২০২৪ | ১১৬ বার পঠিত
  • | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
    সন্ধে সাড়ে ছটার সময় বিভূতিবাবু পাড়ার প্রবীণ চিকিৎসক হরিপদ মিত্রকে নিয়ে এলেন। জন্মেজয়বাবু তখন অঘোরে ঘুমোচ্ছেন। ধুতি পাঞ্জাবী পরা পক্ককেশ স্থূলকায় প্রচুর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হরিপদ মিত্র মশাই কোন তাড়াহুড়ো করলেন না। জন্মেজয়বাবুকে জাগালেনও না। বিছানার সামনে একটা চেয়ারে বসে তাকে একমনে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলেন কোলের ওপর হাত রেখে। দেখলেন রোগীর পা বেশ ফোলা। শ্বাসের ধরণ বেশ অনিয়মিত। ঘরের লোক জোরে না হলেও, কথা বলছে। কিন্তু জন্মেজয়বাবুর জাগার কোন লক্ষণ নেই। হরিপদবাবু কপালে এবং গলায় হাত দিয়ে শরীরের তাপ আন্দাজ করার চেষ্টা করলেন। একটা হাত তুলে চোখ বুজে নাড়ি ধরে বসে রইলেন এক মিনিট। চোখের তলা দুটো টেনে দেখলেন, দুপায়ের তলা হাতুড়ি দিয়ে ঠুকে, নিডল ফুটিয়ে পরীক্ষা করে দেখলেন দুপায়েই সাড় আছে। তারপর স্টেথোস্কোপ বার করলেন।

    হরিপদ মিত্র মশাই প্রায় আধঘন্টা থাকলেন রোগীর সঙ্গে। রোগীর দিকে তাকিয়ে ঠায় বসে রইলেন। এর মধ্যে জন্মেজয়বাবুর চোখের পাতা একবার সামান্য ফাঁক হল। আচ্ছন্ন অবোধ দৃষ্টিতে এক পলক তাকিয়ে দুর্বোধ্য জড়িতস্বরে একবার যেন বললেন, ' কে শশাঙ্ক ... যাই ... '। বলে জন্মেজয়বাবু আবার চোখ বুঝলেন। হরিপদ মিত্র রোগীর দিকে তাকিয়ে বসে রইলেন।

    ডাক্তারবাবু প্রেসক্রিপশান লেখা শেষ করে বিভূতিবাবুর হাতে দিলেন। এই ওষুধগুলো খাওয়ান। কিভাবে খেতে হবে সব লেখা আছে। আর ক'টা ব্লাড আর ইউরিন টেস্ট করতে দিয়েছি। ওগুলো কালকের মধ্যেই করতে হবে। আজই করাতে পারলে ভাল হত। কিন্তু আজ আর হবে কি করে। রিপোর্টগুলো আসা মাত্র আমাকে জানাবেন ... এখন উঠি। ওষুধগুলো শুরু করে দিন।
    ডাক্তারবাবুর সঙ্গে সঙ্গে বিভূতিবাবু আর অখিল বাইরে গেল। অখিল উৎকন্ঠিত স্বরে জিজ্ঞাসা করল, ' কি হয়েছে ... কিছু বোঝা গেল ডাক্তারবাবু ? '
    ----- ' দুটো সম্ভাবনা আছে। একটা ব্লাড পয়সনিং মানে, যাকে বলে সেপ্টিসেমিয়া, আর একটা হল রেনাল ফেলিওর মানে কিডনির কোন ডিসঅর্ডার। দেখা যাক, রিপোর্টটা আসুক। ঘাবড়াবেন না। ওষুধগুলো ইমিডিয়েটলি স্টার্ট করে দিন। তবে, কাল সকালেও যদি কন্ডিশান একইরকম থাকে তাহলে হসপিটালাইজ করে দেওয়াই ভাল। বাড়িতে রাখলে আপনারা ম্যানেজ করতে পারবেন না। দরকার হলে খবর দেবেন আমায় ... '
    ডাক্তারবাবু চলে গেলেন। অখিলের মাথায় যেন বিশ মন পাথর চেপে বসল। সে এ ধরণের সমস্যা আগে কখনও মোকাবিলা করেনি। তার মানসিক ভারসাম্য টাল খেয়ে গেল, পরিবারের কেউ মমূর্ষু অবস্থায় চলে গেলে যেমন অনেকের হয়। সে প্রেসক্রিপশানটা হাতে নিয়ে কিংকর্ত্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। বিভূতিবাবু বললেন, ' এটা আমায় দাও। তুমি ভিতরে যাও। এই সময়ে নিতাইবাবু ভিতর থেকে জামার বোতাম লাগাতে লাগাতে বাইরে এসে বললেন, ' চলুন, আমিও যাচ্ছি ... '
    বিভূতিবাবু যেতে যেতে বললেন, ' আজ রাতটা নয় দেখা যাক ... তারপর নয় হাসপাতালে ... '
    ----- ' ঠিক আছে, সেটাই ভাল ... আমার ছেলের বন্ধুগুলোকে নয় বলে রাখব ... ওখানে গিয়েও তো ঝক্কি আছে ... ' নিতাইবাবু বললেন।
    ----- ' সে তো বটেই, তার ওপর অখিল যেরকম নার্ভাস হয়ে পড়েছে ... '
    ----- ' খুব স্বাভাবিক... বাড়ির লোকের তো এই রকমই হয় ... '

    তবে, জন্মেজয়বাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যাবার ঝক্কি কাউকে পোহাতে হল না। কয়েক মাস ধরে কঠিন ব্যধি অবহেলায় পুষে রাখার দায়ভার তার শরীর আর বইতে রাজি হল না। অনেক স্নেহমাখা মানুষজন, মায়াভরা আকাশ বাতাস, কুমিল্লার আমডাঙা গ্রাম, কলকাতার রামদুলাল সরকার স্ট্রিট, হেদুয়ার আলোছায়ার পিছুটান কাটিয়ে রাত তিনটে নাগাদ অন্য দেশে চলে গেলেন তিনি। ডাক্তারবাবুকে খবর দেওয়া সম্ভব হয়নি।
    আর্ত শোরগোল শুনে বিভূতিবাবু ঘুম ভেঙে তড়িঘড়ি নীচে নেমে এসে এক মুহূর্তে ব্যাপারটা বুঝে নিয়ে নিথর নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন শূন্য দৃষ্টি মেলে। তার স্ত্রী এবং পুত্রও নেমে এল কিছুক্ষণের মধ্যে। নিতাইবাবুদের বোধহয় ঘুম ভাঙেনি এখনও। ভোর হতে এখনও একটু বাকি।

    নিখিল ব্যানার্জীর রাত্রে ভাল ঘুম হয়নি। নানা চিন্তা তার মাথা ভারি করে রেখেছে। তিনি বুঝতে পারছেন না তার 'মুভমেন্ট' তিনি কোন রাস্তায় কিভাবে জারি রাখবেন। তিনি যে এতগুলো অঙ্গীকারবদ্ধ, অনুপ্রাণিত মানুষ পেয়েছেন তার পাশে এই অল্প সময়ের মধ্যে তাদের তিনি তাদের কিভাবে কাজে লাগাবেন সেটাই এখন তার চিন্তার মুখ্য বিষয়বস্তু। স্বরূপ খাঁড়ার মতো ঘটনা তো বারবার ঘটানো যাবে না, প্রশাসনের সার্চলাইট কিছুদিনের মধ্যেই এদিক ওদিক ঘুরে নিঃসন্দেহে তাদের ওপর পড়বে। তারপর এই উদ্যোগ অঙ্কুরে বিনষ্ট হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। নিখিলবাবুর ধারণা এই কর্মকান্ড সারা দেশে বিস্তৃত হয়ে গেলে তখন হয়ত আর তাদের দমানো সহজ হবে না। কিন্তু তার জন্য তো অনেক পথ পেরোতে হবে ....

    আজ রবিবার। হঠাৎ অমল এল সকালে। প্রায় সাড়ে ন'টা বাজে। এখন কোচিং ঘর ফাঁকা। কেউ নেই। নিখিলবাবু ওপরে। নীচে একজন ঝাঁট দিচ্ছিল। সে অমলকে দেখে বলল, ' আজ্ঞে, কাকে চাই বাবু ? '
    ----- ' স্যার আছেন ? '
    ----- ' হ্যাঁ দাঁড়ান ... বলছি গিয়ে ... '
    লোকটি ঝাঁটাটা ফেলে রেখে ওপরে চলে গেল। একটু পরে নেমে এসে বলল, ' বাবু আসছে ... আপনি ওই ঘরে বসুন ... '
    নিখিলবাবু মিনিট পাঁচেকের মধ্যে ওপর থেকে নেমে এলেন।
    ----- ' আরে আরে ... কি খবর ... এতদিন ছিলে কোথায় ? রাত্রির কাছে শুনলাম তোমার নাকি বিয়ে ... বস বস ... '
    ----- ' হ্যাঁ স্যার ঠিকই শুনেছেন। কিন্তু সেটা কোন ব্যাপার না। আসলে, মনের ভিতরে ভীষণ দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগছি ... '
    ----- ' কিরকম ... কিরকম ? '
    অমল খানিকক্ষণ নীরব রইল।
    নিখিলবাবু বললেন, ' কি হল, কি এত ভাবছ ? '
    ----- ' আপনার চিন্তাধারা খুব সিরিয়াসলি নিয়েছি আমি ... আমি এটা থেকে বেরোতে পারছি না অনেক চেষ্টা করেও... '
    ----- ' তাতে সমস্যা কি ? '
    ----- ' আসলে, সত্যি কথা বলি স্যার ... আমি আপনাকে ধরতেও পারছি না, ছাড়তে পারছি না। বেশ একটা মানসিক সঙ্কটে পড়েছি বলতে পারেন।
    ----- ' ছাড়তে পারছ না, নয় বুঝলাম ... কিন্তু ধরতে পারছ না কেন ? '
    ----- ' সেটা আমি আগেও ইনডায়রেক্টলি বলেছি ...'
    -----' ও আচ্ছা ... বুঝতে পেরেছি। ডকট্রিনাল কোন প্রবলেম না, অপারেশানাল প্রবলেম। '
    ----- ' একদম সেটাই। অপারেশানাল গ্লিচ। থিয়োরি আর প্র্যাকটিস তো এক জিনিস না। কিভাবে অ্যাপ্লাই করা হবে আপনার এ ডকট্রিন ...
    এ মুভমেন্টের পরিণতি কি এবং কতটা বাস্তবসম্মত ... এই চিন্তাগুলো রাত্র দিন আমার মাথায় ঘোরে। আমি এর থেকে বেরোতে পারছি না। দেখুন, সোশ্যাল জাস্টিস দেওয়ার ব্যাপারে আপলিটিক্যাল ইন্ডিভিজুয়াল এফর্টের কথা যদি বলেন, সাগর মন্ডলের কোন জুড়ি নেই। কিন্তু মানুষের জীবন তো ক্ষণস্থায়ী। এর পরে কে ? '
    কথাগুলো শুনে নিখিলবাবু গম্ভীর হয়ে গেলেন।
    একটা ছোট শ্বাস ফেলে বললেন, ' কথাগুলো অস্বীকার করার উপায় নেই। আমারও এই কথাগুলো মাথার মধ্যে ঘোরে সবসময়ে। এই মুভমেন্ট যদি বিস্তৃতি লাভ করে তাহলে এফেক্টিভ একটা রেজাল্ট তৈরি হতে পারে। কিন্তু সেটা করতে গেলে সারা রাজ্যে ঘুরতে হবে আমাদের। আমাদের সংগঠন তো তত মজবুত হয়নি এখনও ... হমম্ ... কিন্তু আমি কখনও আমার মিশন থেকে এত সহজে সরে আসব না। আমি নিশ্চিত একদিন আমি আমার পাশে অনেক মানুষ পাব ... ডেডিকেটেড মানুষ ... '
    ----- ' স্যার ... আমারও সেটাই স্থির বিশ্বাস। একদিন না একদিন আপনার এই মিশন রাষ্ট্রের কাঠামো বদলে দিতে সাহায্য করবে, বিশেষ করে সাগর মন্ডলের মতো মানুষকে যখন আপনি সঙ্গে পেয়েছেন।
    ----- ' ইন দা ফেস অফ ইমোশান এটা একটু এক্সাজারেট করে ফেললে ভাই ... এভাবে রাষ্ট্রের কাঠামো বদলানো যায় না। কাঠামো বদলাতে গেলে ক্ষমতা দখল করতে হয়। সেটা করতে গেলে ক্যু লঞ্চ করতে হয়, সশস্ত্র বাহিনী তৈরি করতে হয়। ওসব সুদূরপরাহত চিন্তা। নেতাজি সুভাষ বোসই তেমন কিছু করতে পারলেন না ... '
    নিখিলবাবু একটু চুপ করে রইলেন। যে বারান্দা ঝাঁট দিচ্ছিল সে থিন অ্যারারুট বিস্কুট সমেত দুকাপ চা নিয়ে এল।
    নিখিলবাবু আবার বললেন, ' যাক ... তুমি অত প্রেসার নিও না, ওটা আমাকেই ক্যারি করতে দাও। তুমি যেন কোন অপরাধবোধে ভুগ না। শান্ত, স্থির মনে চিন্তা ভাবনা কর। যদি ভিতর থেকে সাড়া মেলে তবেই.... অকারণে দ্বন্দ্বের ধাক্কা খাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। তাছাড়া তুমি নতুন জীবনে প্রবেশ করতে চলেছ, তোমার এখন একটু হাল্কা মনে থাকাই ভাল ... একটা পার্সোনাল মেন্টাল স্পেস দরকার ... '
    ----- ' স্যার ... আমার সমস্যাটা অন্য জায়গায়। নতুন জীবনে পা রাখাটা আমার কাছে কোন গুরুতর ঘটনা নয়, আমি যেটা বলতে চাচ্ছি ... '
    ----- ' না না ... অমল আমাকে ভুল বুঝ না। আমি বলছি যে, তুমি সময় নাও ... অসুবিধে নেই। এছাড়া আর কিছু না। এ তো আর ইনস্ট্যান্ট কোন ডেলিভারির ব্যাপার নয় ...প্রচুর ডেলিবারেশন অ্যান্ড ক্যালকুলেশানের ব্যাপার আছে ... '
    অমল কি একটা বলতে যাচ্ছিল। এই সময়ে একটা ছেলে, একটা মেয়ে এসে দরজায় দাঁড়াল।
    মেয়েটা বলল, ' স্যার .... '
    নিখিলবাবু মুখ ঘুরিয়ে ওদিকে তাকালেন।
    ----- ' আরে ... সুমনা না ? আয় আয় ... '
    সুমনা আর প্রতিবিম্ব হাসিমুখে ঘরে এসে ঢুকল।
    নিখিল স্যার বললেন, ' কিরে এম এস সি করছিস তো ? '
    ----- ' হ্যাঁ স্যার '
    ----- ' এটা তো প্রতিবিম্ব ... কি ঠিক তো ? '
    ----- ' হ্যাঁ স্যার ... সিটি কলেজে একবার দেখা হয়েছিল ... ' সুমনা বলল।
    ----- ' ঠিক ... ঠিক। মনে পড়েছে। কিছু ভুলি না আমি। তারপর ... কি মনে করে ? '
    এই সময়ে অমল বলল, ' আমি এখন উঠি স্যার ... আবার দু চারদিনের মধ্যে আসব। '
    ----- ' আচ্ছা ... ঠিক আছে, সময় পেলে এস আবার ... কথা হবে। কথা বলতে বলতেই তো দরকারি কথা বেরিয়ে আসে। ঠিক আছে ... '
    ----- ' আসছি স্যার ... '

    অমল বেরিয়ে যাবার পর নিখিলবাবু আবার সুমনাদের দিকে ফিরলেন।
    ----- ' তারপর বল ... কোন খবর আছে নাকি ? মুখ দেখে তো মনে হচ্ছে, আছে ... হুঁ উঁ উঁ ... '
    সুমনা মাথা নীচু করে হাসিতে মুখ ভাসিয়ে বলল,
    ' হ্যাঁ স্যার ... '
    ----- ' আ..চ্ছা আচ্ছা ... কবে ? '
    ----- ' হয়ত এই বছরেই ... ঠিক জানি না এখনও।
    জানতে পারলেই জানাব স্যার ... '

    ( চলবে )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন