এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ১২৯

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৮ মে ২০২৪ | ১২০ বার পঠিত
  • অভয় পালের মেয়ে চৈতালির মামলার ব্যাপারে অলোকেন্দু মিত্রের চিঠির জবাব এখনও আসে নি ও তরফ থেকে। এর মধ্যে সাগর একদিন দেখা করেছিল অলোকেন্দুবাবুর সঙ্গে। বলল, 'বটতলা থানায় এফ আই আর জমা করে দিয়েছি ... '
    ---- ' রিসিভড কপি নিয়েছেন তো ? '
    ---- ' হ্যাঁ নিয়েছি ... '
    ----- ' আচ্ছা ঠিক আছে। আপনাদের আর কিছু করার দরকার নেই এখন। যখন দরকার হবে আমি বলব। আমি বারুইপুরে চৈতালি পালের শ্বশুরবাড়ি রিপ্লাই পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন ওরা তিনটে কাজ করতে পারে। এক, এখন চিঠির ডিপোজিশান কমপ্লাই করে ওরা ঘরের বউকে নিতে আসতে পারে। দুই, তা না করে বরং অভয় পালদের এগেনস্টে কোর্টে মামলা তুলতে পারে চৈতালিকে অ্যাবডাকশান এবং ফোর্সফুল ডিটেনশানের ইস্যুতে। আর লাস্ট অপশান হল, কোন কিছু না করে চুপচাপ বসে ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ স্ট্র্যাটেজি নেওয়া। দেখা যাক কি করে .... ওদের নেক্সট স্টেপের ওপর আমাদের নেক্সট স্টেপ কি হবে সেটা ডিপেন্ড করবে ... '
    ----- ' আপনি যা ভাল বোঝেন ... আপনার হাতেই সব ছেড়ে দিয়েছি। মাস্তানি করতে এলে আমি সামলে নেব। সেটা অবশ্য আমি চাই না। যা হবার আইনের রাস্তাতেই হোক। তবে যে যে ভাষা বোঝে তাকে সেই ভাষাতেই জবাব দেওয়া উচিত ... ', সাগর বলল।
    অলোকেন্দুবাবু মাথা নেড়ে বললেন, ' একমত একমত ... '
    সাগর বলল, ' আমি তা'লে উঠি স্যার। আপনার আর সময় নষ্ট করব না। যাবার সময় একবার চাচার হোটেলে ঘুরে যাব। অভয়চরণকে আর একবার অভয় দিয়ে যাই। '
    ----- ' হ্যাঁ নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই... আমার নামেও বলবেন ... বলবেন কোনও ভয় নেই। আমরা আছি ... '

    সাগর চাচার হোটেলে অভয় পালের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফিরে গেল।
    মায়ের শরীরটা তেমন ভাল নেই। ডাক্তার দেখাতে হবে। রাত্রিকে বলতে হবে একদিন এসে যদি মাকে একটু দেখে যায়। ওর সঙ্গে কথা বললে মার মন হয়ত ভাল হয়ে যাবে। সবসময়ে নানারকম দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকে। হয়ত ছেলের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে চিন্তা। মায়ের চিন্তাটা একেবারে মিথ্যে নয়। সত্যিই তো তার জীবনটা কিভাবে কাটবে সে নিজেই জানে না। তার ওপর চারদিকে শত্রুরা ঘিরে আছে। সুযোগের অপেক্ষায় আছে সবসময়ে। এই নিয়ে সেদিন নিখিল স্যারের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। নিখিল স্যার বললেন, ' চিন্তা ক'র না ... বৈপ্লবিক কাজে শত্রু তৈরি হবেই। শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে ভয়শূন্য হয়ে। শত্রু মানেই শ্রেণীশত্রু নয়। নিজের শ্রেণীর মধ্যে প্রচুর শত্রু রয়েছে ছদ্মবেশে। তাদের মোকাবিলা করাই সবচেয়ে কঠিন। কারণ তাদের চিহ্নিত করা যায় না সহজে। সবরকম শত্রু খতম করার জন্য আমাদের তৈরি রাখতে হবে প্রতিটি মুহূর্ত ... ' সাগর কথাগুলো শুনল গভীর মনোযোগ দিয়ে। নিখিল ব্যানার্জীর বলা প্রতিটি কথা সাগরের মনের গভীরে গেঁথে যেতে লাগল। কয়েক মুহুর্তের জন্য যাবতীয় চিন্তাভাবনা ভাসিয়ে দিয়ে সাগরের শিরা উপশিরায় উন্মাদনার একটা শিহরণ বয়ে গেল।
    সে অস্ফূটস্বরে বলল, ' হুঁ হুঁ .... তৈরি থাকতে হবে ... '
    নিখিল স্যার বললেন, ' তোমাকে বুকে সাহস ধরে রাখতে বলা মানে তোমাকে অপমান করা। তাই সেটা আমি বলছি না। তবে, একটা কথা জানিয়ে রাখি। তোমার পাশে আমি সবসময়ে আছি। তুমি একা থাকলেও আসলে তুমি একা নও ... '
    নিখিল স্যার একটু চুপ করে থাকলেন। তারপর আবার বললেন, ' তুমি একা নও ... একা নও ... '
    বলে সাগরের চোখের দিকে তাকিয়ে রইলেন।
    সাগর অবাক হয়ে ভাবতে লাগল নিখিল স্যার একথা বলছেন কেন ? সে যে একা নয় এ তো সবাই জানে। কানু, মাণিক, শম্ভু, সন্তোষ দাস ... এরা তো আছেই। তাছাড়া কালীবাবুর মতোও কেউ কেউ আছে। সে একা হবে কেন !
    সে একটু চুপ করে বসে তারপর বলল, ' ঠিক আছে স্যার ... আমি তা'লে এখন আসি ... অনেক বেলা হয়ে গেল ... '

    রাত প্রায় বারোটা বাজে। বেলগাছিয়া ব্রিজের ওপর দিয়ে সাইকেল চালিয়ে শ্যামবাজারের দিকে আসছিল। নির্জন, নিশুত, প্রায় অন্ধকার এলাকা। গিয়েছিল বাঙুরে শতদল ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে। শতদলবাবুর বয়স হয়েছে। তিনি একসময়ে স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। আন্দামানেও অন্তরীণ ছিলেন কয়েক মাস। তারপর নানা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ঘটনার সমাপতনের প্রতিক্রিয়ায় ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তি ঘটে যায় কয়েক মাসের মধ্যে। শতদলবাবু এখনও রাজনীতি করেন, তবে সক্রিয় অংশগ্রহণ বলতে যা বোঝায় তেমন কিছু নেই। তিনি সাগরকে কয়েক বছর ধরে চেনেন এবং তার সঙ্গে বছর দুই আগে ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল এই বাঙুর এলাকায় একটা ঘটনার মাধ্যমে। ওই ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরে মেয়েদের উত্যক্ত করার ঘটনায় সাগর এবং তার ছেলেরা যেভাবে কিছু রোমিওকে সবক শিখিয়েছিল সেটা শতদলবাবুর মনে গভীর রেখাপাত করে। চিরকাল মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর আদর্শ অনুসরণ করে চলা শতদল ভট্টাচার্য মশায় এই আইনবহির্ভূত পেশীশক্তির সদর্থক প্রয়োগকে মনে মনে কুর্নিশ না জানিয়ে পারলেন না। লুম্পেনদের শায়েস্তা করার দিনই পুকুরের ধারে একটা ছোট মাঠে সাগরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তারপর থেকে ওনার বাড়িতে মাঝে মাঝে সাগরের যাতায়াত।
    শতদলবাবু রঙমহলের সামনে ক'টা ইভ টিজার লুম্পেনকে আড়াই ধোলাই দেবার ঘটনাটা লোকমুখে জেনে গেছেন এবং সাগর মন্ডলকে মনে মনে পুনর্বার কুর্নিশ জানালেন। তবে কাঁচাখেকো ছেলে তিনটে যে স্বরূপ খাঁড়ার পোষা সহচর তা জেনে তিনি বেশ উৎকন্ঠায় আছেন সাগরকে নিয়ে। সেটা আজকে বলেও ফেললেন -----
    ' আমরা একই দল করি কিন্তু কবে আর দলে সবাই ভাল ছিল ? কিন্তু স্বাধীনতার পর বেনোজলে ভেসে রাজনীতির মহানদে অনেক বিষ্ঠা এসে জমা হয়েছে এটা হয়ত তুমি আন্দাজ করতে পার। স্বরূপ খাঁড়াও তেমনই একজন ... এক বিষাক্ত জীব। আমার ক্ষমতা থাকলে আমি এসব পচনশীল অস্তিত্বকে কেটে বাদ দিয়ে দিতাম। কিন্তু আমার হাতে কতটুকু ক্ষমতা তুমি জান। পার্টি এখন মাসলপাওয়ার এলিমেন্ট জড়ো করতে চাইছে পরোক্ষ মদত জুগিয়ে ... '
    শতদলবাবু একটু থামলেন। বয়স হয়েছে অনেক, একটানা বেশিক্ষণ বলতে পারেন না।
    সাগর বলল, ' হ্যাঁ দাদা ... এগুলো আমরা রাজনীতি না করেও বুঝতে পারি ... কিন্তু কিছু তো করার নেই দাদা ... এগুলো তো হতেই থাকবে। ক্ষমতা দখল করা এবং তা দখলে রাখা এখন আসল কাজ ... '
    শতদলবাবু বললেন, ' হ্যাঁ অনেকটা ঠিকই ধরেছ।
    পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি যত ভালই হোক, একটা সর্বাঙ্গসুন্দর নিখুঁত সিস্টেম তো নয়। এর অনেক লুপহোল আছে। কিন্তু এর যথার্থ বিকল্পই বা কি ? .... '
    তারপর আবার একটু বিরতি নিয়ে বললেন, ' স্বরূপ খাঁড়া কিন্তু খুব প্রতিহিংসাপরায়ণ লোক। আমি ওকে ভালভাবে চিনি। ও কিন্তু ওৎ পেতে আছে সুযোগ পেলেই তোমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য। এরা হল দেশের পোস্ট ইন্ডিপেন্ডেন্স বাই প্রোডাক্ট। একটু সাবধানে থেক .... আর কি বলব ? আমার আর কি ক্ষমতা আছে .... তোমার কিছু হয়ে গেলে আমার খুব খারাপ লাগবে ... '
    সাগর আর কি বলবে। সে বলল, ' চিন্তা করবেন না দাদা ... সব সামলে নেব ... '
    শশধর ভট্টাচার্য একটা ছোট শ্বাস ফেলে বললেন, ' তাই যেন হয় ভাই ... '

    ব্রীজ পেরিয়ে আর জি কর কলেজের সামনে এসে পড়ল সাগরের সাইকেল। অন্ধকার জনহীন রাস্তা। কয়েকজন মাতাল এদিকে ওদিকে টলমল পায়ে ঘোরাঘুরি করছে। বাড়িঘর, দোকানপাট, শ্যামবাজারের মেসবাড়ি সব ঘুমিয়ে পড়েছে।
    সাগর ভাবল, এতটা দেরি করা উচিত হয়নি। অনেক আগেই বেরিয়ে আসা উচিত ছিল। সে কোন আর্মস নিয়ে বেরোয়নি। চারিদিকে শত্রু। এখানে অ্যাটাক হলে বেশ সমস্যা হবে। সাহায্য করার কেউ নেই। স্বরূপ খাঁড়া কি এতদূর এসে অপারেশান চালাবে ? বিশ্বাস কিছু নেই। শতদল ভটচাজ্জের কথাগুলোয় কোন ভেজাল নেই। একশ ভাগ সত্যি।
    সাগর রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিটের দিকে সাইকেল ঘুরিয়ে নিল। দেশবন্ধু পার্কের সামনে দিয়ে ঝড়ের গতিতে প্যাডেল মারতে লাগল। তার হঠাৎ মনে হল পিছন দিক থেকে কয়েকটা সাইকেল আসছে।
    সে ঝট করে একবার পিছন দিকে মাথা ঘুরিয়ে দেখল তিনটে সাইকেল আসছে। তার বুঝতে অসুবিধে হল না টার্গেটটা সে নিজেই। প্রায় মাঝরাতে চেনা রাস্তাটা অচেনা ভুতুড়ে মনে হচ্ছে। গা ছমছম করা পরিমন্ডল। সাগর কিন্তু দিশাহারা হল না। ওটা তার স্বভাবে নেই।
    মনে মনে হিসেব করে নিল, কোনরকমে মোড়টায় পৌঁছে বাঁ দিকে ঘুরে স্পীডে কিছুটা টেনে দিতে পারলে এলাকায় ঢুকে যাবে। শালাদের ওখানে ঢোকার হিম্মত হবে বলে মনে হয় না।
    কিন্তু তা হল না। কপাল খারাপ। এই বিপদের মধ্যে আচমকা সাগরের সাইকেলের একটা টায়ার ফেঁসে গেল।
    এবার সাগরের মতো লোকেরও মাথা গুলিয়ে যাবার মতো অবস্থা হল। সে মুখে আঙুল পুরে দুবার জোরাল সিটি মারল। কিন্তু তার মহল্লা এখান থেকে অনেকটা দূরে। সেখানে রাত্রে তার ছেলেরা তৈরি থাকে। অত দূরে তার শিষের শব্দ পৌঁছল না খুব সম্ভবত। সাইকেল তিনটে এগিয়ে আসছে। একজনের হাতে একটা পিস্তল রয়েছে সাগর পরিষ্কার আন্দাজ করতে পারছে। বাকি দুজনের হাতে কি আছে ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।

    সাগর এদিক ওদিক তাকিয়ে একটা আড়াল খুঁজতে লাগল যার পিছনে গা ঢাকা দিয়ে পিস্তলের গুলি ক'টা খরচ করিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু ভাগ্য এখানেও সহায় হল না। শরীর ঢাকা দেওয়ার মতো কোন আড়াল এ জায়গাটায় চোখে পড়ছে না। শুনশান শ্মশানের মতো। নিস্তব্ধ আশপাশ।
    তিনটে ছেলে সাইকেল ছেড়ে দিল। ওগুলো ছ্যাং ছ্যাং করে একপাশে পড়ে গেল। ওরা কুড়ি মিটারের মধ্যে চলে এসেছে। সাগর খালি হাতেই লড়াই দেবার জন্য তৈরি হল। এরকম অনেকবার দিয়েছে সে। কিন্তু তাদের হাতে অস্ত্র ছিল না। সেটাই আসল তফাৎ।

    সাগর টানটান হয়ে দাঁড়াল হয়ত বা শেষ লড়াই লড়ার জন্য। ছেলেটা পিস্তল উঁচিয়ে ছুটতে আরম্ভ করল সাগরের দিকে। তার সঙ্গের দুই সঙ্গীও ছুটে আসছে। তাদের দুজনের হাতেই খোলা চকচকে ছুরি। ফাঁকা রাস্তায় তিনটে কুকুর হঠাৎ তারস্বরে চিৎকার করতে লাগল ওদের দিকে তাকিয়ে। নির্জন পরিবেশ উচ্চকিত করে তুলল কুকুরগুলো। ছেলেগুলো ছুটতে ছুটতে সাগরের কুড়ি ফুটের মধ্যে চলে এসেছে। পিস্তল হাতে ছেলেটা এবার ট্রিগারে আঙুল দিল। কুকুরগুলো সমানে চেঁচিয়ে যাচ্ছে। ওই চিৎকারের মধ্যে ফটাস করে একটা টায়ার ফাটার আওয়াজ হল। পিস্তল বাগানো ছেলেটা রাস্তায় মুখ থুবড়ে পড়ে গেল। বাকি ছেলে দুটো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে নীচু হয়ে পড়ে যাওয়া ছেলেটার দিকে বিষ্ফারিত চোখে দেখছে। রক্তে রাস্তা ভেসে যাচ্ছে। একটা কালো রঙের অ্যাম্বাসাডার ওদের পাশ কাটিয়ে জোর গতিতে সাগরের সামনে যেন হ্যাঁচকা টানে থেমে গেল। গাড়ির ইঞ্জিন চালু আছে ....
    মাথায় মুখে কালো চাদর জড়ানো ড্রাইভারের সিটে বসা একজন দরজাটা খুলে দিয়ে বলল, ' কুইক কুইক .... হারি আপ ... তাড়াতাড়ি উঠে এস ... '
    তার ডান হাতে একটা পিস্তল তখনও ধরা আছে।
    সাগর বাঁচবার তাগিদে তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠে ভদ্রলোকের পাশে বসে পড়ল।
    গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে খান্নার মোড়ের দিকে চালাতে থাকলেন তিনি। মাথার, মুখের চাদর সরিয়ে দিলেন।
    সাগর অবাক হয়ে বলল, ' স্যার আপনি ! '
    নিখিল ব্যানার্জী মানিকতলার দিকে গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে বললেন, ' অস্ত্রাগারের মূল্যবান অস্ত্র রক্ষা করা হল অত্যাবশ্যক কর্তব্য। সেটাই হল ফার্স্ট স্টেপ। ফার্স্ট স্টেপটা আজ নিলাম। খতম ... এটা হল শুরুর শুরু ... '
    সাগরের মনে পড়ে গেল ---- ' তুমি একা থাকলেও ... আসলে তুমি একা নও... '
    নিখিল স্যার বিড়বিড় করে আপনমনে বললেন, ' শত্রু শুধু অন্য শ্রেণীতে থাকে না .... নিজের শ্রেণীর মধ্যেও থাকে ... '
    সাগর কোন প্রশ্ন করল না। বোঝবার চেষ্টা করতে লাগল।

    ( চলবে )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • মত | 173.62.207.237 | ০৮ মে ২০২৪ ২০:৪১531516
  • পুরো সিনেমা তো 
     
  • যোষিতা | ০৯ মে ২০২৪ ০৩:১৮531519
  • জানি না কেন, কালো ভ্রমর মনে পড়ল।
  • Anjan Banerjee | ০৯ মে ২০২৪ ১২:৫৪531525
  • মত ,
     
    তাই  ?
  • Anjan Banerjee | ০৯ মে ২০২৪ ১২:৫৫531526
  • যোষিতা, 
     
        ও আচ্ছা ...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন