এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • যে আঁধার আলোর অধিক ঃ পর্ব এক

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ২৩ আগস্ট ২০২৪ | ৪৭৩ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • যে আঁধার আলোর অধিক
    রঞ্জন রায়

    [ ঘটনাচক্রে আমার সুযোগ হয়েছিল এক বিচিত্র অভিজ্ঞতার -- ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ অ্যাডভান্সড বিহেভিরিয়াল সায়েন্সের (ISABS) দুটো আবাসিক শিবিরে যোগ দেওয়ার। একটি বেসিক হিউম্যান ল্যাব (BHLB), পরেরটি অ্যাডভান্সড হিউম্যান ল্যাব (AHLB)। এটি তারই আখ্যান — কখনও উত্তম পুরুষে, কখনও গঙ্গারাম দাসের বকলমে বলা। যেহেতু এই শিবিরে সবার মনের চোরকুঠুরি খুলে যায়, আমরা একে অন্যের দর্পণ হয়ে উঠি, তাই নিতে হয় মন্তগুপ্তির শপথ। যদিও এটি উপন্যাস তবু এই পথে আমার গুরু দিল্লি নিবাসী বিহেভিরিয়াল সায়েন্টিস্ট তেজিন্দর সিং ভোগলের নামপরিচয় লুকোই নি। ওইটুকু আমার গুরুদক্ষিণা। ]

    গৌরচন্দ্রিকা

    (১)

    ও মন জানো না, তোমার মাঝে বসত করে কয় জনা!

    সত্যিই তো, মনের মধ্যে যে বসতবাড়িটি তাতে ক’টি কামরা আর ক’খানা চোরকুঠুরি? কে জানে! আমি বাউলের আউলকথা জানি না। ছাপোষা গেরস্ত মানুষ। বাঁধা পথে মেপে পা রাখি; এদিক সেদিক তাকাই নে। দিনগত পাপক্ষয়।

    তবু, কোন এক বর্ষার রাতে ঘুম ভাঙলে উঠে বসি, কেঁদে উঠেছে শিশুকন্যা, ওর ভেজা কাঁথা পালটে দি’,--- পাশে ঘুমন্ত স্ত্রী, নিঃশ্বাস পড়ছে মাপা লয়ে। তারপর জানলা দিয়ে ঢোকে এক বিষণ্ণ ভিজে হাওয়া। তার ছোঁয়ায় বেজে ওঠে কোন বেসুরো তার।

    কোথায় যেন যাওয়ার কথা ছিল; কাকে যেন একটা কথা বলার ছিল। কিছুই হয়ে ওঠে নি।
    ‘কী যে শালার জীবন হইল’!
    একটু একটু করে ধাতস্থ হই। জল খাই, ঘুমিয়ে পড়ি।

    দিন যায়। সকাল গড়িয়ে বিকেল। শীত গিয়ে বসন্ত। আমার ছত্তিশগড়ের গাঁয়ের রাস্তার দু’ধারে রক্তরাঙা থোকা থোকা শিমূল ফোটে। মহুয়া ঝরে পড়ে — টুপ টাপ, টুপ টাপ। গ্রামের দিকে রাত্তিরে আসে হরিণের দল। অন্ধকারে জ্বলে ওদের সবুজ চোখ — হিরের মত। ভোরের দিকে আসে ভালুক। মহুয়ায় মাতাল হয়ে টলোমলো হাঁটে।

    জ্বালানিকাঠ কুড়ুনি মেয়েরা বা নদীতে নাইতে যাওয়া ছেলেমেয়ের দল দুদ্দাড় করে পালায়। অভিজ্ঞতা শিখিয়েছে সাবধান হতে। ভালুক বড় হিংসুটে, বাঘ অমন নয়।

    গ্রামীণ ব্যাংকের কাজ। আমি গঙ্গারাম দাস, ঘুরে বেড়াই গাঁয়েগঞ্জে, নদি নালার ধারে, আদাড়ে পাঁদাড়ে । লোকজনকে দেখি, আবাদ করে, বিবাদ করে, সুবাদ করে তারা।
    সন্ধ্যেবেলা একা একা মোটরবাইকে করে ফেরার সময় কোন গেরুয়ারঙের বিবাগী নদি দেখে আচমকা মনে হয়—হেথা নয়, হেথা নয়; অন্য কোথা অন্য কোনখানে।

    তাই বুঝি? এ’কথা আগে মনে হয় নি ? তাহলে আদ্দেক জীবন ভুল পথে ঘুরে মরতে হত না। কোনটা ঠিক পথ? তাহলে আগে ঠিক করতে হয় যাবো কোথায়?
    কেন, সবাই যেখানে যেতে চায়? দিল্লি শহর!

    আমার ঠাকুমা গাইতেন —
    হাটবাজারে বিকোয় না সে, থাকে নাকো গাছে ফলে।
    সে যে দিল্লিশহর নয়কো রাস্তা করিমচাচা দেবে বলে।।

    তাহলে আগে করিমচাচার ডেরায় যেতে হবে? আজও তার ঠিকানা জানি না। খুঁজে চলেছি।

    (২)

    আলো-অন্ধকারে যাই, মাথার ভিতরে
    স্বপ্ন নয়, কোন এক বোধ কাজ করে।

    কিন্তু একদিন দেখা হল একজনের সঙ্গে, কাজের সূত্রে। সে এসেছে ছত্তিশগড়ের গাঁয়ে গঞ্জে চাষিবাসি মানুষদের বাঁচতে শেখাবে বলে। সে কী কথা! ওরা কি বেঁচে নেই? এমন অলুক্ষুণে কথা কখনও শুনি নি।

    আরে ‘ধান কী কটোরা’ বলে সুখ্যাত ছত্তিশগড়ে কুল্যে একটাই ফসল — খরিফ। রাশি রাশি ভরা ভরা,ধানকাটা হল সারা, তারপর? বাকি ছ’মাস? হয় পেটে কিল মেরে পড়ে থাক, নয় মজদুরি করনে চলো। কোথায়? সে অনেক জায়গায়, দিল্লি হরিয়ানা, পাঞ্জাব, বঙ্গ – এ দেশে জায়গার অভাব?

    তাই মাটির ঘরের কেঠো দরজায় তোল শেকল, মারো শস্তার ক্লিক তালা; আর ছেলেমেয়ে-জোয়ানমরদ মিলে আড়কাঠির পেছন পেছন ট্রেনে ওঠ। ফিরবে কবে? চৈত্র মাসে, হোলিপরবের সময়ে, কোঁচড়ে কিছু নগদ পয়সা নিয়ে।

    তবে নতুন মানুষটি অন্য কথা বলে। সে বলে তোমাদের জমিতে চাইলে তিনফসল ফলাতে পারো; ধান দু’রকম — আশু ও আমন। আর ফলাও তরিতরকারি। লাগাও সূরজমুখী।

    শুনতে ভাল; কিন্তু এই অঞ্চলে চাষবাস হয় ইন্দ্রদেবের দয়ায়। বৃষ্টি কম হলে খরা। প্রতি তিনবছরে একবার। তখন ধার করতে হয়। সেটা শুধতে দু’বছর। তাই নগদের জোগাড়ে আমাদের বসতবাটি ছেড়ে ‘কামানে কে লিয়ে ভিনদেশ জানা’ ছাড়া উপায় নেই।

    কাজেই ফালতু স্বপ্ন দেখিও না। আমরা অত বোকা নই, কানে ফুসমন্তর দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে মালকড়ি হাতিয়ে কেটে পড়বে — সেটি হচ্ছে না।

    কিন্তু এই লোকটি -- মানে শ্রীমান তেজিন্দর সিং ভোগল -- সহজে হাল ছাড়ার পাত্তর নয়। সে শিবনাথ নদির তিরে ঘুরে বেড়ায়, জলের ফ্লো-ইঞ্চ বা জলের স্রোত প্রতি সেকেন্ডে কত ইঞ্চি গভীর — এই সব মাপে, সেচ ও কৃষিবিভাগের থেকে তথ্যসংগ্রহ করে। কম্পিউটারে কীসব হিসেব নিকেশ করে নদির পাড়ের গাঁয়ে গিয়ে চাষিদের বলে — যদি নদির থেকে পাম্প করে জল তুলে সবার ক্ষেতে পৌঁছে দেওয়া যায় তাহলে ইন্দ্রদেবের ভরসায় থাকতে হবে না।

    প্রথম বছরে দুই, তারপর তিনফসল ফলানো যাবে। তিনটে বছর তো, চেষ্টা করে দেখ কেনে!

    সারাবছর মাঠে কাজ থাকবে, লোকে দুবেলা পেটভরে ভাত খাবে। বাচ্চারা স্কুলে যাবে। লোকে চারমাস কাজ খুঁজতে সপরিবারে বোঁচকা-বুঁচকি মাথায় করে হিল্লি-দিল্লি যাবে না। নিজের ঘরদোর সাজিয়ে সেখানেই থাকতে পারবে।

    তুমি কি ম্যাজিক জান?

    না; আমি কৃষিবিজ্ঞানী। পাঞ্জাবের। একবার আমাকে সুযোগ দাও। অন্যদের ভোট দিয়ে পাঁচ বছর সুযোগ দিয়ে আসছ, আমাকে দুটি বছর দাও।

    গাঁয়ের লোকে এত সহজে শহুরেদের বিশ্বাস করে না। করবে কী করে ? ঠকেছে যে! বাপ-ঠাকুদ্দার আমল থেকেই। তবু জল ঢালতে ঢালতে পাথরেও ফুটো হয়। এ তো মানুষ।

    পাঁচ নয়, তিনটে বছর। তাতেই চমৎকার। এদিকের লোকজন বলে — চমৎকার কো নমস্কার!

    তাই হল। বিলাসপুর থেকে চল্লিশ কিলোমিটার দূরে রায়পুর ন্যাশনাল হাইওয়ের পাশে, শিবনাথ নদের পাড়ে দুটো গ্রামের পাঁচশ একর জমিতে সোনা ফলল। দেড়শ’ লোক এই নদি থেকে জল তুলে ক্ষেতে পৌঁছানোর – লিফট ইরিগেশন — প্রোজেক্টে সামিল হল। তাতে পাঁচ ডেসিমেল, দশ ডেসিমেল জমির প্রান্তিক চাষির দলই বেশি।

    প্রথম দু’বছরে দু’ফসল, তারপরে তিন ফসল। এখন সামাদপুর আর তার পাশের গাঁ থেকে কেউ ঘর ছেড়ে বাইরে যায় না। গরমের ধানে ফলন বেশি, আয় বেশি। এছাড়া শুরু হয়েছে বাদাম, সর্ষে, সয়াবিন ও সূর্যমূখীর চাষ।

    মেয়েরা গড়ে তুলেছে সেলফ হেল্প গ্রুপ বা এস এইচ জি।

    গ্রামীণ ব্যাংকের পোয়াবারো। একসঙ্গে অনেক গুলো কৃষিঋণ দেওয়া যাচ্ছে। লোকে যেচে ব্যাংকে এসে ঋণের কিস্তি জমা করে যাচ্ছে। এর পেছনে একজনের অদৃশ্য উপস্থিতি — কৃষিবিজ্ঞানী ভোগলসাব।

    আমি, গঙ্গারাম দাস গোড়াতে ভোগলকে সন্দেহ করেছিলাম, ওই গাঁয়ের লোকদের মতই। সন্দেহ করেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক, বলেছিলেন এসব স্কীম এদেশে চলবে না। আসলে ভয় পাচ্ছিলেন — বোকাসোকা নিরীহ লোকগুলো ওঁর খপ্পর থেকে বেরিয়ে না যায়।

    কিন্তু শত্তুরের মুখে ছাই দিয়ে স্বপ্ন সফল হল। ছত্তিশগড় তখনও রাজ্যের সম্মান পায় নি, বিশাল মধ্যপ্রদেশের দক্ষিণ-পূবে দক্ষিণ মহাকোসল অঞ্চল বলেই পরিচিত ছিল। তাই রাজধানী ভোপাল থেকে খবরওলারা এল, ছবি উঠল। নাবার্ড একে নিজেদের সফল প্রোজেক্ট বলে দাবি করে বোর্ড লাগিয়ে দিল। জেলার কলেক্টর, জনপদ পঞ্চায়েত কেন পিছিয়ে থাকবে?

    তারা বলল — আমরা মুফতে ৬৫ কেভি ক্ষমতার ট্র্যান্সফর্মার লাগিয়েছি, বিদ্যুতের লাইন টেনে দিয়েছি। আমাদেরও বোর্ড লাগাতে হবে। গ্রামীণ ব্যাংক বলল – আমরা চাষিদের সফট লোন দিয়েছি, যা দিয়ে দশটা হাই পাওয়ার পাম্প এসেছে, মাটির নিচ দিয়ে পাইপ গেছে। নইলে?

    হক কথা; ব্যাংকেরও বোর্ড লাগান হল ।

    খালি বাদ পড়ল “প্রদান’’ বলে সর্বভারতীয় এনজিও’র ভোগল নামের এক স্বপ্নদর্শীর কথা। তাতে ওর ভারি বয়ে গেছে। সে চলে গেছে ওই নদের তীর ঘেঁষে আরেকটি এলাকায়, তার স্বপ্নের ঝুলি নিয়ে।

    কিন্তু আমি তার সঙ্গ ছাড়ি নি ।

    একদিন ইনস্পেকশনে গিয়ে সামাদপুর গাঁয়ের পাশে লিফট ইরিগেশনের দোতলা পাম্প হাউস থেকে লোহার সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে দেখি ভোগল -- হাসিমুখে যেন আমারই অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে। আমরা নদির পাড়ে পা ঝুলিয়ে বসি, গ্রামের লোকজনের ভালবেসে দেওয়া মুড়ি আর বাদাম খেতে খেতে টুকটাক এর ওর খবর নিই।

    আস্তে আস্তে কথা ফুরিয়ে যায়। অস্তগামী সূর্যের লালিমা আর অলকমেঘের খেলা। ও জানায় যে আগামী সপ্তাহে মুসৌরি যাচ্ছে, সেখানে একটা ওয়ার্কশপ আছে। পাহাড়ে জুম চাষ শেখাবে নাকি? শ্রীমান লজ্জা লজ্জা মুখ করে জানায় ও একজন সার্টিফায়েড বিহেভিরিয়াল সায়েন্টিস্ট।

    মানে ওই যারা পার্সোনালিটি ট্রেনিং দেয়? কর্পোরেটের উঁচুতলায় ধাপে ধাপে উঠতে হলে কীভাবে সাফল্যের সিঁড়িতে গুণে গুণে পা ফেলতে হবে সেইসব গুপ্তজ্ঞান দেয়?

    আরে নাঃ; আমি ও আমাদের মত প্রফেশনাল, যারা গোটা ভারতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছি, তারা সবাই ইন্ডিয়ান সোসাইটি ফর অ্যাপ্লায়েড বিহেভিরিয়াল সায়েন্স বা ‘আইস্যাবস’ এর সদস্য। আমাদের বছরে অন্তুতঃ তিনটে ওয়ার্কশপ করতে হয় –কর্পোরেট এগজিকিউটিভ, এনজিও’র কর্মী এবং যাঁরা ইচ্ছুক, তাদের সবার জন্যে।
    এটা কোন প্রফেশনাল কোর্স নয়, তবে প্রতিভাগীরা সার্টিফিকেট পাবে। আর করপোরেটের হ্যাপা বেশি, ফীস বেশি। এনজিওদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা স্পার্টান, তাই ফীস বেশ কম। যাবেন নাকি?

    আমার কী লাভ হইবে? ওই সার্টিফিকেট, যা আমার চাকরির পার্সোনাল ফাইলে যুক্ত হইবে না?
    এটা অন্য ব্যাপার। আমরা শেখাই মানুষের কাজের পেছনে লুকিয়ে থাকা ইমোশনকে চিনতে? নিজের মনের অন্ধকারের মুখোমুখি দাঁড়াতে।
    ওরে বাবা! এটা কি তান্ত্রিক সাধনা বা অমনি কোন কাল্ট?

    ধ্যাৎ, আমাকে দেখে ওইরকম কিছু মনে হয়? এটা টী-গ্রুপ মেথড, অর্ধশতক আগে আমেরিকান মনোবিজ্ঞানীদের তৈরি। প্রথমে বেসিক হিউম্যান ল্যাব, পরের ধাপে অ্যাডভান্সড হিউম্যান ল্যাব।

    এবার হচ্ছে মুসৌরির কাছে হিমালয়ের কোলে ছ’দিনের আবাসিক শিবির। শস্তার কিছু সিট খালি আছে, যাবেন তো বলুন।
    আমার ঘন্টা কী লাভ হবে, সেটা না জেনে যাই কী করে? আমি কোন ঋষিমুনি হতে চাই নে।

    আসল লাভ — নিজের মনের শক্তিবৃদ্ধি, বিশ্লেষণের ক্ষমতা হবে। চিনতে পারবেন আসল নিজেকে, আর অন্যদেরও। উপরি লাভ — হিমালয়ের কোল।

    (চলবে)

    * এই লেখাটি তার প্রাথমিক চেহারায় এক দশক আগে গুরুচণ্ডালিতে বেরিয়েছিল। এখন সামান্য ঝেড়ে মুছে ফের পাঠকদের পাতে দিচ্ছি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২৩ আগস্ট ২০২৪ | ৪৭৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 172.58.244.82 | ২৩ আগস্ট ২০২৪ ২০:১৫536781
  • রঞ্জনদা,
    এটা কি 'আলো অন্ধকারে যাই' এর ঝাড়ামোছা সংস্করণ? ঐ লেখাটা খুবই ভালো লেগেছিলো। এ আমার খুব আগ্রহের বিষয়। মন দিয়ে পড়ছি। লিখুন।
  • NRO | 165.124.84.35 | ২৩ আগস্ট ২০২৪ ২০:১৭536782
  • ভালই লিখছেন তবে নদী থেকে বেশি জল টেনে নিয়ে চাষ বাস করতে গেলে আবার কয়েক বছর পর নদী শুকিয়ে কাঠ হয়ে অন্যরকম ইকোলজিকাল ডিসাস্টার তৈরী করে। মানে জলও নেই চাষও নেই। যাকে বলে হিতে বিপরীত।  এই প্রব্লেম টা তখন লোকে বোঝে নি কিন্তু এখন it is becoming more and more acute in many places, even in Bengal. ভারতের population distribution এর একটা বড় সমস্যা হল unsustainable density in some places, like, in parts of West or Southern India. 
  • হীরেন সিংহরায় | ২৩ আগস্ট ২০২৪ ২২:০৯536787
  • সত্যিকারের ব্যাংকিং করেছো তুমি । কি সাবলীল ভঙ্গিতে মিশিয়ে দিয়েছো জীবনের সঙ্গে ঋন দান, কন্ট্রোল , অডিটের বর্বর দুরাচার। পশ্চিমে আমরা কি ধাষটামো করেছি। 
  • Kishore Ghosal | ২৪ আগস্ট ২০২৪ ১১:২২536798
  • খুব ইন্টারেস্টিং লাগছে, রঞ্জনদা - অপেক্ষায় রইলাম। 
     আমাকে বলেন - পর্বগুলো বড়ো হলে ভাল হয় - আর এদিকে নিজে এত ছোট পর্ব করছেন কেন?  বড়ো পর্ব চাই।  
  • Ranjan Roy | ২৪ আগস্ট ২০২৪ ১৪:২৫536801
  • কেকে,
     ঠিক সেটাই।
     
     কিশোর,
     ঠিক আছে, চেষ্টা করছি।
     
    এন আর ও,
        ভুল বলেননি। 
     
    তবে কেস স্পেসিফিক দাওয়াই হবে। যেমন স্টেরয়েড বা অ্যান্টি বায়োটিক। অবস্থা বুঝে ডোজ ঠিক করা। শিবনাথ নদ  এবং মনিয়ারি নদীতে জলের ফ্লো, বার্ষিক বৃষ্টিপাতের গড়  রেকর্ড এবং সারা বছর তিন ফসলী চাষে ৫০০ একর জমির জন্য কত  জল চাই --এসব ক্যালকুলেট করেই তেজিন্দর ভোগল প্রোজেক্টটি বানিয়েছিল।
     শুরু হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। 
      সাতাশ বছর কেটে গেছে। গত বছর উঁকি মেরেছিলাম। দিব্যি চলছে।
     খালি মনীরাম, যে ছেলেটি সে সময় ভোগলের পায়ে পায়ে ঘুরত, সে এখন সম্পন্ন কৃষক নেতা। আর ভোগলের এনজিও'র যে ফিল্ড ওয়ার্কার ছিল গাঁয়ের লোকে মজা করে তার নাম দিয়েছে 'লিটিল ভোগল'!
       
    আমি খালি মানবজীবনের জলছবির অ্যালবাম দেখে যাই--এতেই খুশি।
     
    হীরেনদা,
    আপনার ক্যানভাস অনেক বড়।
    আমি মাইক্রো ছবি স্কেচ পেন দিয়ে আঁকি। 
  • NRO | 165.124.84.35 | ২৪ আগস্ট ২০২৪ ২১:০৫536809
  • Ranjan babu, in that case hats off to Mr. Tejinder Vogal. He seems to be a real doer, not a talker. Very few Indians are like that. In my opinion he could be recommended for M. S. Swaminathan award. You must have heard of Bharat Ratna Prof. Swaminathan, he single-handedly brought green revolution in India and saved a Billion lives. There is an award in his honor for excellence in serving humanity.
  • Ranjan Roy | ২৪ আগস্ট ২০২৪ ২৩:১১536815
  • NRO
    1 আপনি আমার গ্রামীণ ব্যাংকের চাকরির প্রথম দিন পেত্নী দেখার অভিজ্ঞতা লেখাটা পড়েছেন।
    তার প্রথম প্যারাতেই আমি উল্লেখ করেছি ডক্টর স্বামীনাথনের গ্রীণ রেভোল্যুশন এবং গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার কথা।
     
    ২ তেজী ভোগল এখন দেশের নামকরা বিহেভিয়ারিয়াল সায়েন্টিস্ট, আইস্যাবস এর সক্রিয় সদস্য। ওদের হয়ে বই লিখেছে। আফগানিস্তানের গিয়ে সরকারি কর্মচারিদের ওডি আই করেছে, অবশ্য তালিবান আসার আগে। 
    বর্তমানে   ও এবং আমি কর্মদক্ষ বলে একটি এনজিও'র বোর্ডে আছি।
     ছত্তিশগড়ে শ্রী পদ্ধতির চাষ এবং মেয়েদের স্কিল সেট বাড়িয়ে ইনকাম বাড়ানোর কাজ করাই।
    ধরুন, মোটরসাইকেল অটো চালানো এবং তার মেরাম্মত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন