এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • তোমার বাস কোথা যে... - ১৯

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬৮ বার পঠিত
  • ।। ঊণিশ ।।

    [ এই কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তির সাথে কোনও মিল যদি কেউ খুঁজে পান তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়। ] 

    বিনীতাকে বেরোতে হবে শুনে অরুণাভ আর ইন্দ্রনীল দুজনেই অবাক হল।
    “কোথায় যাবে?” জিজ্ঞাসা করল অরুণাভ।
    “এক কলিগের বাড়ি। জগন্নাথ মন্দিরের কাছে,” বিনীতা বলল।
    “এখনই যেতে হবে?” বলল অরুণাভ।
    “কাল কোয়েশ্চেন পেপার জমা দেওয়ার লাস্ট ডেট। ওনার একটু অসুবিধে আছে, কাল স্কুল যাবেন না। গায়ত্রীর কাছে শুনেছেন আমি আজ এদিকে আসব। তাই রিকোয়েস্ট করলেন। অনেক সিনিয়র টিচার, না করতে পারলাম না। এখন না গেলে ফের কাল সকালে আসতে হবে।”
    ইন্দ্রনীল বলল, “জগন্নাথ মন্দির মানে খুব একটা দূর নয় অবশ্য। কোনও কারণে জ্যামে আটকে না গেলে আধ ঘন্টা পঁয়তাল্লিশ মিনিটের মধ্যেই চলে আসতে পারবেন…চা-টা শেষ করে যান ম্যাডাম, ঠান্ডা হয়ে গেল বোধ হয়।”
    বিনীতা দেখল তার কাপটা ডিশ দিয়ে ঢাকা রয়েছে, অরুণাভ করেছে বলে মনে হয় না। সোফায় বসে কাপটা তুলে নিল।
    “যাবে কিসে? বিকাশ নেই তো?”
    “অটোতে চলে যাব, ওই অটো ধরেই ফিরে আসব। নইলে ক্যাব ধরতে হবে,” বলল বিনীতা। তারপর ইন্দ্রনীলের দিকে তাকাল, “ভেরি সরি।”
    “ইটস ওকে। তবে একটু দাঁড়ান, আমার চেনা এক অটোওয়ালা আছে। ওকে পাই কি না দেখব?” জিজ্ঞাসা করল ইন্দ্রনীল।
    “হ্যাঁ, দেখুন না প্লিজ,” বলল অরুণাভ।
    পাওয়া গেল তাকে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে আসার কথা বলে বেরিয়ে পড়ল বিনীতা।
    ইন্দ্রনীল বলল, “তাড়াতাড়ি ফিরে আসুন, আপনি এলে খাবার গরম করব।”

    অটোয় উঠে বিনীতা স্বস্তি পেল বলা যায়। সুপ্রিয়া ম্যাডামের ফোনটা ওকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। কিছুক্ষণের জন্য নিশ্চিন্ত।

    ***

    টেবিল থেকে কাপপ্লেটগুলো সরিয়ে নিল ইন্দ্রনীল, সেগুলো কিচেনে রেখে এসে বসল। সঙ্গে এনেছে একটা সুদৃশ্য কাঁচের বোতলে জল আর গ্লাস। 
    অরুণাভ বলল, “সুন্দর চা খাওয়ালেন। এখন এমন চমৎকার জলের বোতল আর গ্লাস এনেছেন। আমি ভাবলাম আরও কিছু আনবেন বুঝি।”
    ইন্দ্রনীল হাসল। “আমার স্টক খুবই কম। রেগুলার ড্রিংক করি না”
    “আরে সে তো আমিও করি না। বলেছিলাম না আপনাকে, আমি অকেশনালি খাই। সোশ্যাল ড্রিংকার,” বলল অরুণাভ।
    “কী খাবেন?” তার রোগীর শারীরিক অবস্থাটা একটু ভেবে নিয়ে উত্তর দিল ডাক্তার।
    “হুইস্কি আছে?”
    “আছে। স্কচ আর জ্যাপানিজ। কোনটা খাবেন?”
    “স্কচ তো খাওয়া হয়, জ্যাপানিজ সেরকম খাওয়া হয় না। ওটাই দিন।”

    ইন্দ্রনীল উঠে ছোট ঘরটায় যায়, একটা কাবার্ড খোলে। সেখানে খান চার পাঁচ নানা আকারের মদের বোতল রাখা। সেখান থেকে একটা বার করে সে। কিচেনে গিয়ে দুটো হুইস্কির গ্লাস নেয়, চাকা চাকা করে শসা কেটে নেয় দ্রুত, সেটা সাজিয়ে নেয় একটা ডিশে। তার ওপর ছড়িয়ে দেয় বিটনুন, পাতিলেবুর রস আর সামান্য গন্ধরাজ লেবুর রস। দুটো ফর্ক সহ সব ক’টা জিনিস একটা ট্রেতে করে নিয়ে আসে বাইরের ঘরে। মোবাইল থেকে কানেক্ট করে একটা হালকা ইন্সট্রুমেন্টাল মিউজিক চালিয়ে দেয় স্পিকারটায়। কী মিউজিক জানে না অরুণাভ, খেয়াল হয় এই নিয়েও তার কোনও জ্ঞান নেই।

    “আইস কিউব নেই দেখলাম ফ্রিজে, সরি,” বলল ইন্দ্রনীল। “যদি চান, ঠান্ডা জল দিতে পারি।”
    “নাহ, প্লেন জলই ভাল। ঠান্ডা পড়েছে,” বলল অরুণাভ। “আপনার হুইস্কির গ্লাস বেশ অন্য রকম।”
    “এগুলো গ্লেনকেয়ার্ন গ্লাস।”
    “ঠিক, আমার নামটা মনে পড়ছিল না। টিউলিপ ফুলের মত শেপ। মূলতঃ টেস্টিং-এর জন্য ব্যবহার করা হয়।”
    “যাক, কিছু জিনিস তাহলে আপনিও ভুলে যান।” হাসল ইন্দ্রনীল। সম্ভবত চা যতটা প্রিয় তার রোগীর, হুইস্কি অতটা নয়।
    গ্লাসে হুইস্কি ঢালতে ঢালতে মুচকি হাসল ইন্দ্রনীল। “ম্যাডাম চলে গেলেন বলেই আপনার হুইস্কি খেতে ইচ্ছে হল, তাই না?”
    উত্তইর দেওয়ার আগে একটু ভাবল অরুণাভ। “দেখুন, আমি খুব সাধারণ লোক আর আমার চাহিদা গুলোও খুব সাধারণ। দুজন সাধারণ লোকের প্রযোজন মত ঘুম; তিন জন সাধারণ লোকের মত হুইস্কি, আর চার জন সাধারণ লোকের প্রয়োজন মত মহিলা।”
    ইন্দ্রনীল ফের হাসল। “গুড জোক।”
    ডাক্তারের হাসিটা খুব সুন্দর, হঠাৎই মনে হল অরুণাভর। মুখে বলল, “এটা কিন্তু সো কলড জোক নয়। কারও লেখায় পড়েছিলাম। বোধ হয় জোয়েল রোজেনবার্গ।”
    “তিনি কে?” হুইস্কির গ্লাস আর শসার ডিশ এগিয়ে দিল ইন্দ্রনীল।
    দুটো সোনালী তরল ভর্তি গ্লাসের মৃদু  ঠোকাঠুকিতে টং করে শব্দ হল একটা। চুমুক দিল দুজনেই।
    “ভাল হুইস্কি,” বলল অরুণাভ।
    “জোয়েল রোজেনবার্গ কে বললেন না তো?”
    “আমেরিকান লেখক,” উত্তর দিল অরুণাভ।
    ইন্দ্রনীল বলল, “আপনার বোধ হয় আমেরিকান লেখকদের প্রতি দুর্বলতা আছে। আপনার আলমারিতেও এনাদের বই দেখেছি মনে হচ্ছে।”
    “ছোটবেলায় আমরা মেনলি ব্রিটিশদের লেখা পড়েছি। পরে হেমিংওয়ে, হার্পার লী পড়লাম, একটা ভাল লাগা তৈরি হল। সেই থেকে ইউ এস অথরদের লেখা পড়ছি,” উত্তর দিল অরুণাভ, চুমুক দিল গ্লাসে।
    ইন্দ্রনীল একটা শসার টুকরো তুলে মুখে দিল। “আমার বই পড়া অবশ্য সাংঘাতিক কিছু নয়। টুক টাক পড়ি, মেইনলি থ্রিলার… ছোটবেলায় ভাল লাগা বইগুলো ফের পড়তে ভাল লাগে। তবে মেডিক্যাল হিস্ট্রি বা ফিলোজফি নিয়ে আমার ইন্টারেস্ট আছে।”
    অরুণাভ আবার একটা বড় চুমুক দিল। “আপনার তো ফ্যামিলি নেই। কাজের বাইরে সময় কাটান কি করে?”
    ইন্দ্রনীল বলল, “বই পড়ে, খাপছাড়া কিছু লেখালেখি করে। দু-একটা জার্নাল সেগুলো কেন জানি ছেপেও দেয়। আর গান বা মিউজিক শুনে। ঘর অন্ধকার করে চুপ চাপ গান শুনি, রবীন্দ্র সঙ্গীত, ওয়েস্টার্ন ক্লাসিক্যাল, সফট রক, কান্ট্রি সংস, ইন্সট্রুমেন্টাল, ফ্লুট। মাঝে মাঝে তখন (হুইস্কির গ্লাস দেখিয়ে) এ আমায় কম্পানি দেয়।”

    অরুণাভর গ্লাস খালি হয়ে গেছে, সে নিজেই আর এক পেগ ঢেলে নেয়।
    ইন্দ্রনীল বলল, “বড্ড ফাস্ট খাচ্ছেন। এটাই কিন্তু লাস্ট।”
    এ কথার কোনও উত্তর দেয় না অরুণাভ। জিজ্ঞাসা করে, “এর আগে কোথায় ছিলেন?”
    “দিল্লিতে।”
    “এখানে কত দিন হল?”
    “আট বছর প্রায়,” উত্তর দিল ইন্দ্রনীল, এটাও ভাবল অরুণাভ তাকে জেরা করছে কি না, ভেবে মজা লাগল তার। হুইস্কি খেল একটু, অপেক্ষা করতে লাগল পরের প্রশ্নের জন্য।
    পর পর দুটো শসা খেল অরুণাভ, গ্লাসে চুমুক দিল। তারপর বলল, “এখানে প্রথম থেকেই এ রকম একা একা?”
    রোগী আলোচনাটা কোন দিকে নিয়ে যেতে চাইছে তার একটা আন্দাজ পেল ডাক্তার। বলল, “প্রথম বছর প্রায় পুরোটাই আমার স্ত্রী ছিলেন। তার পর থেকে একাই আছি।”
    অরুণাভ ফের গ্লাস তুলে নিল হাতে। “ওই সময়েই ডিভোর্স হল?” প্রশ্নটা করে মুখে তুলল গ্লাস, তারপরেই বলল, “সরি, আমি… এইটা ঠিক –”
    ইন্দ্রনীল অবশ্য সোজা ভাষাতেই জবাব দিল, “হ্যাঁ, ওই সময়েই হল।”
    “ইফ আই অ্যাম অ্যালাওড টু আস্ক - কেন হল?”
    হঠাৎ ইংরেজিতে কথা বলার কী হল বুঝল না ইন্দ্রনীল। কথাবার্তায় খুব একটা ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করতে ওনাকে শোনেনি সে। এই বিশেষ প্রশ্নটার মধ্যে কিঞ্চিৎ অভব্যতা আছে বলেই কি ইংরেজির আশ্রয়? নাকি নেশা হলে উনি ইংরেজি বলেন? কিন্তু এত তাড়াতাড়ি নেশা হবে কী করে? শর্মাজীর পার্টিতে তো উনি ড্রিংক করেছিলেন, এবং স্টেডিই ছিলেন।
    “আপত্তি থাকলে ইউ ডোন্ট হ্যাভ টু রিপ্লাই টু দ্যাট কোয়েশ্চেন,” বলল অরুণাভ।
    “দু জন মানুষ এক ছাদের নিচে থাকতে পারবে কি না সেটা বোঝা যায় না যতক্ষণ না তারা থাকছে,” উত্তর দিল ইন্দ্রনীল। গ্লাস তুলে নিল, একটা শসাও।

    অরুণাভ হুইস্কির গ্লাস তুলে চোখের সামনে ধরে ভাল করে দেখতে থাকে, কথা বলার ধরণে মনে হয় তার অল্প অল্প নেশা হয়েছে। বড্ড তাড়াতাড়ি খাচ্ছেন বলেই কি…, ভাবল ইন্দ্রনীল। মুশকিল, গাড়ি চালিয়ে ফিরতে হবে ওনাদের।
    গ্লাসটাকে হাতের মধ্যে ঘোরাতে ঘোরাতে বলল অরুণাভ, “কী যেন নাম? ইয়েস, গ্লেনকেয়ার্ন। আরও কয়েক রকম হুইস্কি গ্লাস হয়। ডাক্তার, হুইস্কির এই টিপিক্যাল গন্ধটা কোথা থেকে আসে বল তো?”
    তুমি করে কথা বলাটা কানে লাগল ইন্দ্রনীলের, তবু তাই নিয়ে কিছু বলল না সে। বরং প্রশ্নটার উত্তর দিল সে। 
    “ওক কাঠের ব্যারেলে হুইস্কি রেখে ম্যাচিওর করা হয়, গন্ধটা সেই ওক কাঠের। এটাই মোস্ট সিগ্নিফিক্যান্ট রিজন। এ ছাড়াও আরও কয়েকটা কারণ আছে। টাইপ অফ গ্রেনস ইউজড, টাইপ অফ ওয়াটার ইউজড–”
    ইন্দ্রনীলকে থামিয়ে দেয় অরুণাভ। “যে জল ব্যবহার করা হয়, তার গন্ধ। তবে সেটা সামান্য। আসলটা হয় ওক কাঠের ব্যারেলে রেখে ম্যাচিওর করার ফলে। পাঁচ বছর... দশ বছর... বিশ বছর... কাঠের ঘরে বাস করার গন্ধ।... মানুষের গায়ে কি ম্যাচিওরিটির গন্ধ থাকে ডাক্তার?”

    নাহ, লোকটার নেশা হয়ে গেছে। ম্যাডাম যে কখন আসবেন, ভাবল ইন্দ্রনীল। বলল, “গায়ে গন্ধ না থাকলেও কাজে কর্মে অভিজ্ঞতার ছাপ তো পড়েই।”
    অরুণাভ একটা লম্বা নিঃশ্বাস ফেলল। “আমার কাজে পড়ে না ডাক্তার, ১২ বছর পরেও। আমি শুধু অফিস বুঝি, আর বই বুঝি। আমার বউ বলে আমি নাকি বই-এর পাতায় মুখ গুঁজে থাকি, সংসার দেখি না, সংসারের কিছু ভাবি না।”
    “অভিযোগটা সত্যি?” এইবার উল্টো জেরা করার সুযোগ পেল ইন্দ্রনীল।
    ইন্দ্রর অরুণাভ কথা খেয়াল করল বলে মনে হয় না। বলে চলল সে, “বই আর বউ-এর মধ্যে সাধারনত বনে না। তবে তাদের মিলও আছে। হাত ছাড়া হলে কোনটাকেই আর পাওয়া যায় না।”
    ইন্দ্রনীল জিজ্ঞাসা করল, “বই হাত ছাড়া হয়েছে কখনও আপনার?”
    অরুণাভ বলল, “হ্যাঁ... হয়েছে তো... আমার বই, তোমার বউ…। হা হা করে হেসে উঠল অরুণাভ, তারপর হঠাৎ থেমে গিয়ে বলল, “সরি, ভেরি সরি।” 
    দু’জনেই কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে। অরুণাভ একটু মদ খায়, ইন্দ্রনীলও।
    ফের মুখ খোলে অরুণাভ। “আমার বউও হাতছাড়া হবে। আমার হাত-ধরা কোন দিন ছিল কিনা জানি না, তবু হবে। তুমি তো জানই, খুব বেশি হলে এক বছর… না, এখন হয়তো আর জাস্ট কয়েকটা মাস…”
    ইন্দ্রনীল বলল, “আপনার নেশা হয়ে গেছে, এমন জানলে আমি আপনাকে দিতাম না।”
    “আমরা তো কিছুই জানতে পারি না ডাক্তার। তুমি-ই জানিয়েছ। কেন জানালে?” একটু জোর দিয়ে আবার বলে “কেন জানালে?” আবার তার খাদে নেমে আসে, “আমার বউ ভাবে ও খুব স্ট্রং... আসলে (বুড়ো আঙ্গুল নাড়ে)।... ও খুব ভালো, জানো... আমিই আসলে… ওর কাউকে দরকার... ওর নিজের জন্য, রঙিনের জন্য... তুমি ওদের দেখো... মাঝে মাঝে আমাদের বাড়ি এসো... আমি থাকি আর নাই থাকি.....
    কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে অরুণাভ হঠাৎ গ্লাস তুলে নিয়ে যতটা ছিল এক সঙ্গে খালি করে দেয়। ফের বোতল থেকে ঢালতে গেলে ইন্দ্র বাধা দেয়।
    “ব্যাস, আর না।”
    অরুণাভ হাতের ইসারায় বোঝায় 'আর একটুখানি। ইন্দ্রনীল জোরে মাথা নাড়ে। অরুণাভ কিছু বলে না, সোফায় গা এলিয়ে দেয়।

    দরজায় কলিং বেল বেজে ওঠে। (ক্রমশঃ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • স্বাতী রায় | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০০:১২537824
  • ভালো লাগছে। পড়ছি। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন