এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  গপ্পো

  • তোমার বাস কোথা যে...- ১১

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | গপ্পো | ১৮ জুলাই ২০২৪ | ৪৫৫ বার পঠিত
  • ।। এগারো ।।

    [ এই কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তির সাথে কোনও মিল যদি কেউ খুঁজে পান তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়। ] 
    ওই রাতে ইন্দ্রনীলের অদ্ভুত কথার পর কয়েক দিন কেটে গেছে। বিনীতা কিছুটা ধাতস্থ হয়েছে এই ক’দিনে। তবে মাঝে মাঝেই তার মনে হয়েছে কী বোঝাতে চেয়েছিল তার স্বামীর ডাক্তার? প্রেম নিবেদন করল? এ ছাড়া অন্য কিছু আর কী হতে পারে? বিনীতার কথায় ইন্দ্রনীল নিশ্চয় বুঝেছে রোগী আর স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক খুব একটা স্বাভাবিক নয়। শর্মার বাড়ির পার্টিতে ইন্দ্রনীল তাহলে সত্যিই তাকে দেখছিল। আর হবি তো হ তার কাছেই কিনা অরুণাভকে পাঠাল কোলিয়ারির ডাক্তার শ্রীবাস্তব! অবশ্য সে-ই বা কেমন করে জানবে ব্যাপারটা এই রকম একটা মোড় নেবে? এখন বিনীতার কী করনীয়? অরুণাভর কাছে ভালবাসা সে পায়নি। সে কি সাড়া দেবে ইন্দ্রনীলের ডাকে? অরুণাভ আছে আর এক বছর…
    এই কথাটা মনে আসতেই আর একটা সম্ভাবনা মাথায় এল বিনীতার। ডাক্তার চিকিৎসা ঠিক মত করবে তো? গায়ত্রী কাগজপত্র পাঠিয়েছিল কলকাতার ডাক্তারকে, সে বলেছিল সব ঠিক আছে। তবে তখন তো এই সব ঘটেনি। ডাক্তার পালটাবে? তাতে কি অরুণাভ রাজী হবে? সেকেন্ড ওপিনিয়ন নিতেও বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখায়নি সে। তাতে নাকি কাজের ক্ষতি হবে। ইন্দ্রনীল লোকটা আসলে কেমন? ও কি অরুণাভর ক্ষতি করতে পারে? হাসপাতালে দেখা হওয়া সেই বাচ্চা ছেলেটির মা তো প্রচুর প্রশংসা করেছিল। পেশেন্ট দেখতে তাদের বাড়িতেও গেছিল ইন্দ্রনীল। আচ্ছা, ওই মহিলা তো বেশ ভাল দেখতে ছিলেন। বিনীতা জানে সে নিজেও নেহাত মন্দ নয় দেখতে। এ দুটো কি দুই-এ দুই-এ চার করা যায়? তবে তার বাড়িতে আসা অবশ্য নেমন্তন্ন রক্ষা করতে। অরুণাভ কেন যে ডিনারে ডাকল ডাক্তারকে, না এলে এই সব কিছুই হয়তো ঘটত না। স্বামীকে কিছু জানায়নি এখনও বিনীতা। জানালেও কোনও লাভ হবে বলে মনে হয় না। 
    এমন অভিজ্ঞতা তার জীবনে প্রথম। এমনিতেই অসুখ বিসুখ নিয়ে ঝামেলার শেষ ছিল না, তার ওপর এই সব। বিনীতার মনে হয় কাউকে একটু বলতে পারলে ভাল হত, মনটা একটু হালকা হত। গায়ত্রী ছাড়া আর কেউ নেই যার কাছে কিছু বলা যায়, তবে এসব কথা ওকেও বলা যাবে না। কি ভাবে নেবে কে জানে। গায়ত্রী খুবই ভাল মেয়ে, তবে একটু কনজারভেটিভ। হয়তো বিনীতারই দোষ দেখবে, নয়তো বলবে ভগবানকে ডাক। পুজো আচ্চা নিয়ে বিনীতা খুব একটা ভাবে না। স্নান সেরে মা কালীর ছবির সামনে একটা ধূপ দেখায় এই পর্যন্ত। সামনের বছর সরস্বতী পুজো করবে বলে ভেবেছে রঙিনের জন্য। প্রতিবেশীরা কেউ পুজোতে ডাকলে অবশ্য যায় রঙিনকে নিয়ে।   
    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একা বসে চা খেতে খেতে এসবই কথা ভাবছিল বিনীতা। একা চা খাওয়া অবশ্য তার কাছে রুটিন ব্যাপার। অরুণাভ অফিস গেছে। রঙিন গিয়েছিল কাছেই এক বন্ধুর বাড়ি; ফিরে এসেছে। 
    বাইরে একটা মোটরবাইক থামার আওয়াজ আর কলিং বেলের শব্দ হল। দরজা খুলে গায়ত্রী আর তার বর রঞ্জিতকে দেখে খুব অপ্রস্তুত হল বিনীতা। ওরা সন্ধ্যাবেলা আসবে আগেই জানিয়েছিল, কিন্তু সেটা ও বেমালুম ভুলে গিয়েছিল সে। তবে ওরা আসাতে একটা সুবিধে হল, বিনীতার মনের মধ্যে যে ঝড় বইছিল সেটা থামল। 
    রঞ্জিতের সবসময়েই হাসিমুখ, সে ব্যবসা করে, স্থানীয় বাজারে একটা শাড়ি-জামাকাপড়ের দোকান আছে তার। এবার বোকারোর সেক্টর ফোরে সিটি সেন্টারের কাছে একটা বড় দোকান দিচ্ছে, সেখানে অবশ্য এক জন পার্টনার আছে। সেই দোকানের উদ্বোধনের নেমন্তন্ন করতে আসবে জানিয়েছিল ওরা। রঞ্জিত অরুণাভকেও ফোনে বলেছিল যে আজ আসবে।
    “সরি রে, একদম ভুলে গেছিলাম তোরা আসবি,” বিনীতা বলল গায়ত্রীকে।
    “সে ঠিক আছে, রঙিন কই?”
    “ভেতরে আছে। দাঁড়া ডাকি।” বিনীতার ডাকে রঙিন এল বাইরের ঘরে।
    গায়ত্রী কথা বলছে রঙিনের সাথে, তখন রঞ্জিত বিনীতাকে জিজ্ঞেস করল অরুণাভর কথা।
    “স্যারজী কোথায়? নিশ্চয় অফিসে আছেন।”
    “হ্যাঁ, আর কোথায় যাবে বলুন।”
    “এই শরীর নিয়ে… যাকগে, এসব তো আর ওনাকে বলে লাভ নেই।”
    বিনীতা বিসপাতিয়াকে ডেকে চা দিতে বলল।
    বিসপাতিয়া গায়ত্রীকে আগে থেকেই চেনে, এই বাড়িতে তাকে কাজ এই ভাবিই দিয়েছিল। দু’জনে কথা বলল একটু, সেই ফাঁকে রঙিন চলে গেল। এবার সে পড়তে বসবে। মা তাকে দুটো পোয়েম মুখস্থ করতে বলেছে।

    বাইরে গাড়ি থামার আওয়াজ আসায় বোঝা গেল অরুণাভ ফিরে এল। সাহেবের ব্যাগ, টিফিন ক্যারিয়ার আর গাড়ির চাবি বিসপাতিয়ার হাতে দিয়ে চলে গেল ড্রাইভার বিকাশ। বাইরের বারান্দায় টবে খান চারেক পাতাবাহারের গাছ আছে। আর আছে একটা ছোট বসার জায়গা, তার সামনেই জুতো রাখার র‍্যাক। জুতো মোজা সেখানেই ছেড়ে ঘরে এল অরুণাভ, বসল একটা সিঙ্গল সোফাতে।

    “কী ব্যাপার স্যারজী? সন্ধ্যা সাতটা অবধি কাজ?” রসিকতা করে জিজ্ঞাসা করল রঞ্জিত।
    “চাকরি করে খেতে হয় ভাই। আপনার মত মালিক তো আর নই। তারপর মালিক, হালচাল কেমন?” একই ভাবে উত্তর দিল অরুণাভ।
    হাতের ফাইল থেকে একটা খামসহ কার্ড বার করে অরুণাভর দিকে এগিয়ে দিল রঞ্জিত। “নতুন দোকানের ওপেনিং নেক্সট রবিবার, একবার পায়ের ধুলো দিতেই হবে দাদা।”
    খামের ওপর অরুণাভ আর বিনীতার নাম লেখা। খাম থেকে কার্ড বার করে দোকানের নাম দেখে ভ্রূ কুঁচকে গেল অরুণাভর।
    “টেগোর ফ্যাশন হাউস! রবীন্দ্রনাথের সাথে ফ্যাশনের কিম্বা জামাকাপড়ের কি রিলেশন?” বিনীতার দিকে কার্ড এগিয়ে দিল অরুণাভ।
    “দেখুন না দাদা… কী একটা নাম দিয়েছে। এখানকার দোকানের নাম কুসুম ক্লথ স্টোর আর ওখানে ওই,” অনুযোগ করল গায়ত্রী।
    “কি ভাবি, আপনারও কি একই মত?” জিজ্ঞেস করল দোকান মালিক।
    “সত্যিই তো… টেগোর কেন?” বলল বিনীতা।
    “ইয়েস। এই একটা প্রশ্ন লোককে হন্ট করবে। একজন জিজ্ঞেস করবে আর একজনকে - হোয়াই টেগোর? সে আবার জিজ্ঞেস করবে তিন নম্বর লোককে - হোয়াই টেগোর? এই চেন চলতে থাকবে আর দোকানের নাম ছড়িয়ে পড়বে ইন ওয়ার্ড অফ মাউথ। নতুন দোকান, তাও সেক্টর ফোরে। পাবলিসিটি তো লাগবেই,” ছদ্ম গাম্ভীর্যের সাথে বলল রঞ্জিত।
    “আইডিয়া আচ্ছা হ্যায়,” মাথা ঝাঁকিয়ে বলল অরুণাভ।
    “ওই নামের জন্যই লোকে দোকানে আসবে। আর বৃষ্টি যদি হয় তবে ছাট আসবেই,” বলল রঞ্জিত।
    “মানে দোকানে লোকজন এলে বিক্রিও হবে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ আর ফ্যাশন…?” পুরোন কথায় ফিরে এল দাস সাহেব।
    “দেখুন স্যারজী, কেন ভাবছেন যে টেগোর মানেই রবীন্দ্রনাথ। অন্য কেউও তো হতে পারে।”
    রঞ্জিতের প্রশ্নের উত্তর এল গায়ত্রীর কাছ থেকে। “কেবল রবীন্দ্রনাথের ফ্যামিলিই ওই সারনেম ব্যবহার করে। আর কোনও টেগোর নেই। বাকি সব ঠাকুর।”
    মুখের একটা অদ্ভুত ভঙ্গি করল রঞ্জিত। “ঠাকুর, তাই না…?” একটু থামল সে, তারপর শোলে ফিল্মের ঢঙে বলল, “কিৎনে আদমী হ্যায়?”
    “মানে?” কথাটা গায়ত্রী বলল, তবে প্রশ্নটা সবার মনেই এসেছিল।
    “দেখ গায়ত্রী, তুমি কলকাতার কলেজে পড়েছো। বাংলা ভাল জানো, বোঝো, একটু আধটু পড়তেও পারো। । তোমার জানা আছে কে টেগোর, আর কে ঠাকুর। কিন্তু বোকারোতে কত জন জানবে? আর যারা জানবে তারা হল… কী যেন বলে বাংলায়… হ্যাঁ, ভদ্রলোক। যারা জানবে তারা সব ভদ্রলোক। আর স্যারজী, কোনও ভদ্রলোক এমন বেকার কোয়েশ্চেন করবে না, আমার দোকানেও আসবে না,” পরিস্কার বুঝিয়ে দিল গায়ত্রীর স্বামী। তারপর চায়ের কাপে চুমুক দিল।
    একটু আগেই চা দিয়ে গেছে বিসপাতিয়া।
    অরুণাভ আর বিনীতা হেসে উঠল; আর গায়ত্রী ডান হাত আর মাথা নাড়িয়ে যে ভাবটা করল তার একটাই মানে হয় - ‘ধ্যাৎ’।
    “এক মিনিট,” ফের শুরু করল রঞ্জিত,  ”একটু ভুল বলেছি। স্যারজীও তো ভদ্রলোক, আর তিনিও ওই সেম কোয়েশ্চেন করলেন। তার মানে, প্রশ্ন মনের মধ্যে থাকলেও ভদ্রলোকেরা দোকানে আসবে,” বলল রঞ্জিত।

    রঞ্জিতের উচ্চারন করা তিনটে শব্দ - “একটু ভুল বলেছি” - বিনীতাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেল গত রবিবারের রাতে। একটু অন্যমনস্ক হয়ে গেল সে। তবে জোর করে মনকে বর্তমানে টেনে আনল।

    ওদিকে অরুণাভ প্রশ্ন করল রঞ্জিতকেঃ “এখানকার দোকানের কী হবে?”
    “থাকবে। দু’ জায়গায় সময় দিতে হবে। লোকে যেমন দুই বৌকে টাইম দেয়।”
    “তাই? তাহলে গায়ত্রীর জায়গা কোথায়?” জিজ্ঞাসা করল বিনীতা।
    “কেন? গায়ত্রী আমার বৌ নাকি?” সকলের অবাক হওয়াটা, বিশেষ করে নিজের স্ত্রীর ভ্রূ কুঁচকে তাকানোটা, উপভোগ করল রঞ্জিত। তারপর বলল, “ও তো আমার গার্লফ্রেন্ড।”

    মৃদু হাসল শ্রোতারা। রঞ্জিত আর তার স্ত্রীর মধ্যে বন্ডিং খুব ভাল। এই একটি কারণে মাঝে মাঝে গায়ত্রীকে ঈর্ষা করে বিনীতা।

    “এবার উঠব,” বলল রঞ্জিত, “আরও দু’জায়গায় যেতে হবে এই কলোনিতেই। সবাইকে ফোনেই বলা আছে অবশ্য, যদি বাই চান্স যেতে না পারি। স্যারজী, আপনাকে আসতেই হবে। ভাবি, রঙিনকে নিয়ে চলে আসবেন।”
    “আমি আর রঙিন রেডি। বাকি আপনার স্যারজী জানেন,” বলল বিনীতা।
    “চারটের সময়ে হবে বলে মনে হয় না। তবে সন্ধেবেলায় যাওয়ার চেষ্টা করব,” জানাল অরুণাভ।
    যাক, কোথাও একটা অন্তত এক সাথে যাওয়া যাবে, যেটার সাথে অফিসের কোনও কানেকশন নেই, ভাবল বিনীতা। আর তার পরেই মনে হল রঞ্জিতের নতুন দোকান সেক্টর ফোরে, আর সেক্টর ফোর মানেই বিএসসি হসপিটাল, আর সেটার মানেই… 
    নাহ, বড্ড বেশি বেশি ভাবছে বিনীতা। বরং চেষ্টা করা যাক মনের ভেতর থেকে এই ঝড়কে সরিয়ে দেওয়ার। প্রথম ধাপ সফল হবে না জানে সে, তবু দেখা যাক।

    রাতে শোবার সময়ে বিনীতা জিজ্ঞাসা করল, “এক জন ডাক্তারের কথার ওপর ভরসা করেই তো পুরো ট্রিটমেন্ট চলছে। একটা সেকেন্ড ওপিনিয়ন তো নেওয়া যায়।”
    বই থেকে চোখ সরালো অরুণাভ। “কেন? কিছু হয়েছে? আমি তো ভালই আছি। আগেই তো বলেছি অন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সময় নেই।”
    “একবার একটা ওপিনিয়ন তো নেওয়াই যায়।”
    “শ্রীবাস্তব আমায় খারাপ কোনও ডাক্তারের কাছে পাঠাবে না। বাই দ্য ওয়ে, আমি হসপিটালে থাকার সময়ে কিছু মেডিক্যাল ডকুমেন্টের ছবি তুলেছিলে মোবাইলে। সেগুলো কী করলে?”
    অস্বস্তিতে পড়ল বিনীতা। সেটাও চোখে পড়েছে! মনে হচ্ছিল তো ঘুমোচ্ছে।
    “কলকাতার এক ডাক্তারের কাছে পাঠিয়েছিলাম, গায়ত্রীর থ্রু দিয়ে।”
    “কী বলেছেন তিনি?”
    বড় একটা নিঃশ্বাস ফেলল বিনীতা। “বলেছেন মোড অফ ট্রিটমেন্ট ঠিক আছে।”
    “তাহলে আবার ফ্রেশ ওপিনিয়নের কথা উঠছে কেন?” বই-এর দিকে চোখ গেল অরুণাভর। সেই ভাবেই বলল পরের কথাটা, “কনান ডয়েল বলেছিলেন, একজন ডাক্তার যখন ভুল করে সে একজন ক্রিমিনাল, কারণ তার জ্ঞানও আছে আর নার্ভও আছে। আমার মনে হয় না ডক্টর বিশ্বাস নিজেকে ক্রিমিনাল হিসেবে দেখতে চাইবেন।”

    এরপর আর কিছু বলার নেই বিনীতার। চিরুনিটা তুলে নিয়ে বারান্দার দরজার দিকে এগিয়ে গেল সে। (ক্রমশঃ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১৮ জুলাই ২০২৪ | ৪৫৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রঞ্জন | 2001:999:68c:44a9:bfee:731:45c8:6ed4 | ২০ জুলাই ২০২৪ ১৫:১৯535036
  • কাহিনী বিপজ্জনক বাঁক নিচ্ছে।
  • Joydeep Roy Chowdhury | 2402:3a80:4314:5270:678:5634:1232:5476 | ২১ জুলাই ২০২৪ ১০:২০535088
  • ভীষণ ভালো লেখা , গল্পের গতি সুন্দর এগোচ্ছে। অধীর অপেক্ষায় আছি ক্লাইম্যাক্স কি হয় 
  • Nirmalya Nag | ২১ জুলাই ২০২৪ ১৩:২০535097
  • রঞ্জনদা, জয়দীপ - অনেক ধন্যবাদ। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন